আলমডাঙ্গার মুন্সীগঞ্জে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ যুবক আটক

আলমডাঙ্গার মুন্সীগঞ্জে ৫০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ গড়চাপড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

আটকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলেন- জেহালা ইউনিয়নের গড়চাপড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে দুদু (১৯)।

পুলিশ জানায়, উপজলার জেহালা ইউনিয়নের গড়চাপড়া গ্রামের দুদু নামের এক যুবক দীর্ঘদিন মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রি করছে। এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়িপুলিশের আইসি উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ সঙ্গীয় ফোর্স মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন।

এসময় মুন্সিগঞ্জ অঘোরনাথ মোড়ের ওয়াপদা নিকট থেকে গড়চাপড়া গ্রামের দুদুকে আটক করে পুলিশ। তার শরীর তল্লাশী করে ৫০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দ করে। শুক্রবার রাতেই তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সংশ্লিষ্ট মামলায় কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠাবে পুলিশ।




দামুড়হুদার জয়রামপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২ বিঘা চিচিঙ্গা গাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ

দামুড়হুদা উপজেলার কাদিপুর গ্রামের আলমগীরের জয়রামপুর মাঠে চাষ করা ফলন্ত ২ বিঘা জমির চিচিঙ্গা গাছ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জয়রামপুর গ্রামের সেলিম, রোকন ও মতি হুজুর কেটে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ চিচিঙ্গা গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার সকালে দামুড়হুদা মডেল থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে আলমগীর বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার কাদিপুর গ্রামের মৃত কাদের আলি ছেলে আলমগীর হোসেন জয়রামপুর গ্রামের সলেমান মল্লিকের ছেলে আজিবার এর নিকট হইতে মেয়াদী হিসাবে গ্রহণ করিয়া ৪বিঘা চিচিঙ্গা চাষাবাদ করে আসছে।

চিচিঙ্গা ধরার পর থেকেই জয়রামপুর গ্রামের মহিরের ছেলে সেলিমের নিকট বিক্রয় করে। গত বৃহস্পতিবার চিচিঙ্গা বিক্রয় করা নিয়ে আলমগীর ও সেলিম এর সাথে কথাকাটাকাটি হয়। তখন সেলিম বলে তোর দেখে নিবো। পরে আজ শুক্রবার সকালে চিচিঙ্গার জমিতে এসে দেখে ২ বিঘা চিচিঙ্গা গাছ কেটে দিয়েছে। এতে আমলগীরের প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায়।

পরে দামুড়হুদা মডেল থানায় আলমগীর বাদি হয়ে জয়রামপুর গ্রামের মহির ছেলে সেলিম,সেলিমের ছেলে রোকন ও মৃত মফিজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মতি হুজুর নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করে।

এ বিষয়ে আলমগীর বলেন, আমি একজন চাষী মানুষ। দামুড়হুদা থানাধীন জয়রামপুর গ্রামস্থ আজিবরের এর নিকট হইতে ৪ বিঘা জমি মেয়াদী হিসাবে গ্রহণ করিয়া চাষাবাদ করিয়া আসিতেছি। গত ইং ১০/০৮/২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ১০:৩০ ঘটিকার সময়ে আমি চিচিঙ্গে তুলে নিয়ে গিয়ে সেলিমের নিকট জিজ্ঞাসাবাদ করি যে, আপনি কত করে দাম দেবেন তখন সে বলে আমি ০৫/- টাকা করে কেজি দিবো। দর কসাকসির এক পর্যায় দাম সঠিক না পাওয়ায় আমি অন্যত্র এক ব্যাপারির কাছে ১৬ টাকা দরে বিক্রয় করে দিই। এ সময়ে সে ক্ষিপ্ত হইয়া আমার চিচেঙ্গের কার্টুনে লাথি মারে এবং আমাকে উদ্দেশ্য করিয়া অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করিতে থাকে এবং আমাকে হুমকি প্রদান করে যে তোকে দেখে নেবো এবং তোর যে কি ক্ষতি করিবো তুই বুঝতেও পারবি না। তারই জের ধরে গত ইং ১০/০৮/২০২৩ তারিখে সন্ধ্যার পর হইতে অদ্য ইং ১১/০৮/২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ০৭:০০ ঘটিকার সময়ের মধ্যে যে কোন সময়ে উক্ত বিবাদীগণ যোগসাজসে আমার ০৪ বিঘা জমির চিচিঙ্গে ক্ষেতের মধ্যে ০২ বিঘা জমির চিচিঙ্গে ক্ষেত কর্তন করিয়া ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি করিয়াছে।

দামুড়হুদা মডেল থানার ডিউটি অফিসার এস আই তোবারক সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ওসি স্যারের নির্দেশক্রমে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থাগ্রহন করা হবে।




দর্শনায় ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

দর্শনায় ১৫ই আগস্ট শোক দিবস পালন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার রাত আটটায় দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভার সভাপতিত্ব করেন দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী।

দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগর টগর।

তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আজ আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে বসবাস করছি। বাঙালি জাতির মুক্তিদাতা জাতির জনক কে ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশের কলঙ্কিত সন্তানেরা সৃষ্টি করেছিল এক কালো অধ্যায়ের। আমরা জাতির জনকের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি। এই উন্নয়নকে ধরে রাখতে হলে শেখ হাসিনা সরকারের কোন বিকল্প নেই। তাই আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে এজন্যে সকল ভেদাভেদ ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে হবে। একটি কথা মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে হলে ঐক্কের কোন বিকল্প নেই।

অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মনজু,দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খালি মুনসুর বাবু, দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু, পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম , দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট, দর্শনা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক আরিফ, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুল আলম, আ.লীগ নেতা দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, ফরজ মল্লিক, আ’লীগ নেতা জয়নাল আবেদীন নফর, সোলায়মান কবির, ফয়সাল আহম্মেদ, হাজী হায়দার আলী, হাবিবুর রহমান, দাউদ হোসেন, হবি, সাইফুল ইসলাম হুকুম, আশরাফুজ্জামান বেল্টু, খালিদ হোসেন মিঠু।




দামুড়হুদায় জাতীয় শোক দিবসের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ডাকবাংলোর সভাকক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মঞ্জু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো: আলী আজগার টগর।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী মুনছুর বাবু, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো: শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রুস্তম আলী, দর্শনা পৌরসভার মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু,পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জাকারিয়া আলম,জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী,দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবির ইউসুফ, নাটুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম, দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহম্মেদ রিংকু, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহব্বায়ক।এছাড়াও আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনা সীমান্তে পুলিশ বিজিবি অভিযানে ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ২

দর্শনায় পুলিশ, বিজিবি পৃথক মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ভারতীয় নাগরিকসহ আটক করেছে ২ জনকে। আটককৃত ২ জনের মধ্যে দর্শনা জয়নগরের শহিদুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা (২৪)ও ভারতের মালদা,পশ্চিমবঙ্গ জেলার হবিবপুর থানার কোটালপুর গ্রামের নগেন বিশ্বাসের ছেলে নরেশ বিশ্বাস(৪৪) কে আটক করে।

জানাযায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে দর্শনা থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহ’র নেতৃত্বে অভিযান চালায় ঈশ্বরচন্দ্রপুর ঈদগাহপাড়ার লাভলুর বাড়িতে। এ সময় দর্শনা থানার এসআই শামিম রেজা, এএসআই মারুফুল ইসলাম, এএসআই মামুনুর রহমান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে লাভলু হোসেনের ভাড়াটিয়া বাড়ির সোহেল রানার উত্তর দুয়ারী বসত ঘরের মধ্যে থেকে ৫০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। এস আই শামীম রেজা বাদি হয়ে সোহেল রানা বিরুদ্ধে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা জেল হাজতে প্রেরন করেছে। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি ভারতীয় পাসপোর্ট ধারী যাত্রী কাছ থেকে বাংলাদেশের প্রবেশ করার সময় অবৈধ মাদকদ্রব্য ৫৫০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, এক বোতল ভারতীয় মদ এবং ভারতীয় প্রসাধনীসহ ভারতের মালদা,পশ্চিমবঙ্গ জেলার হবিবপুর থানার কোটালপুর গ্রামের নগেন বিশ্বাসের ছেলে নরেশ বিশ্বাস(৪৪),কে আটক করে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টার দিকে ভারতের নদিয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানাধীন গেদে চেকপোস্টের মাধ্যমে দর্শনা জয়নগর চেকপোষ্ট পৌছালে ৬ বিজিবির দর্শনা আইসিপি বিজিবির সদস্যরা তার ব্যাগ তল্লাশি করে। পরে বিজিবির সদস্যরা ব্যাগ তল্লাশি করে ৫৫০পিচ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, এক বোতল ভারতীয় মদ এবং ভারতীয় প্রসাধনীসহ তাকে আটক করে। আটককৃত ভারতীয় নাগরিককে বিজিবি মামলাসহ দর্শনা থানায় হস্তান্তর করে।

আজ দুজনকে মাদকদ্রব্য আইনে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে।




এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব

অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তামিম ইকবাল। ফলে ওয়ানডে সংস্করণে কে হবে বাংলাদেশের অধিনায়ক, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে আলোচনায় ছিলেন সাকিব আল হাসান, লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে অভিজ্ঞ সাকিবকে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) গুলশানে নিজ বাসভবনে এটি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। সাকিবের নেতৃত্বে আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশ। সাকিবকে অধিনায়ক করা প্রসঙ্গে বিসিবি প্রধান বলেন, ‘এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের সাকিবকে অধিনায়ক করা হয়েছে। বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের দল আগামীকাল (শনিবার) ঘোষণা করা হবে। আপাতত এশিয়া কাপের ১৭ জনের দল দেবেন নির্বাচকেরা।’

এর আগে গত ৩ আগস্ট ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। এরপর থেকেই নতুন অধিনায়ক খুঁজছিল বিসিবি। অধিনায়ক ইস্যুতে গত ৮ আগস্ট পরিচালকদের জরুরি সভাও ডাকা হয়। তবে অধিনায়ক ঠিক করা ছাড়াই সে সভা শেষ হয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




টিকটকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ভিডিও

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সহজেই বিভিন্ন বিষয়ের ভিডিও তৈরি করা যায়। আর তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ভিডিও তৈরি করে টিকটকে পোস্ট করছেন অনেকেই। বিষয়টি অজানা নয় টিকটকের কাছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ভিডিও আলাদাভাবে চেনার সুযোগ দিতে ভিডিওতে ‘এআই জেনারেটেড কনটেন্ট’ লেবেল প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করেছে চীনের ভিডিওনির্ভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি।

নতুন এ নিয়মের আওতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে কোনো ভিডিও তৈরি করলেই বাধ্যতামূলকভাবে ‘এআই জেনারেটেড কনটেন্ট’ লেবেল প্রদর্শন করতে হবে নির্মাতাদের। ফলে অন্য ব্যবহারকারী জানতে পারবেন ভিডিওর বিষয়বস্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। গুজব বা ভুল তথ্য যাতে না ছড়ায়, এ জন্য এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি। লেবেল প্রদর্শন না করলে ভিডিও মুছে ফেলা হবে। ফলে নির্মাতারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি কোনো ভিডিও টিকটকে প্রকাশ করতে পারবেন না।

টিকটকের তথ্যমতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা ভিডিও আপলোডের সময়ই লেবেল যুক্ত করতে হবে। এ জন্য বাড়তি কষ্ট করতে হবে না নির্মাতাদের। ভিডিও আপলোডের সময় ‘মোর অপশনস’ থেকে ‘এআই জেনারেটেড কনটেন্ট’ লেবেল নির্বাচন করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি ভিডিওর সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, ভুল তথ্য ছড়ানো ঠেকাতে ২০২০ সালে ভুয়া বা ডিপফেক ভিডিও নিষিদ্ধ করেছে টিকটক। শুধু তা–ই নয়, বিভিন্ন সময়ে ডিপফেক ভিডিও মুছেও ফেলেছে ভিডিওনির্ভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি। ‘এআই জেনারেটেড কনটেন্ট’ লেবেল প্রদর্শনের নিয়ম চালুর মাধ্যমে টিকটক ব্যবহারকারীরা সহজেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি ভিডিও সম্পর্কে জানতে পারবেন। ফলে ভুল তথ্য প্রচার হবে না।

সূত্র: ম্যাশেবল




মেহেরপুরের ১৩ জঙ্গি সদস্য এটিইউ’র হেফাজতে

মেহেরপুর শহরের শিশুবাগান পাড়ার ৩টি পরিবারের শিশু ও নারীসহ ১৩ জনকে জঙ্গি সন্দেহে পুলিশের এনটি টেরিরিজম ইউনিটের (এটিইউ) একটি টিম তুলে নিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তারা সকলেই নিষিদ্ধ সংগঠণ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সক্রিয় সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর থেকে একজন নিরুদ্দেশ হয়েছেন। তবে ৫ শিশূকে পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

গত ২ আগষ্ট দিবাগত রাতে শহরের শিশু বাগানপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলী মিস্ত্রির ছেলে স্ট্রিট ফুড বিক্রেতা আনোয়ার হোসেনকে (৩০) তার বাড়ি থেকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারীর পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যায়।

আনোয়ার হোসেনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে প্রতিবেশি সেন্টু হোসেন ও পলাশ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় মেহেরপুর সার্কিট হাউসসহ বিভিন্ন স্থানথেকে তাদের আটক করেছে বলে পলাশের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন।

তারা হলেন- শিশু বাগানপাড়ার কিতাব আলীর ছেলে সেন্টু হোসেন (২৮), তার স্ত্রী দিলরুবা খাতুন (২৫), ছেলে লাসিন ও হুজাইফা, একই পাড়ার রিকসা চালক পলাশ (৫৫), তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৪৮), মেয়ে ফারহানা, প্রিয়া খাতুন, জামাতা ঝন্টু মিয়া, ছেলে ফরহাদ হোসেন, ফয়সাল হোসেন, নাতি বুখারি হোসেন, পলাশের আরেক মিনারুল ইসলাম, নাতনি মিতা খাতুন, রিতা খাতুন ও শাহিনুর।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে নিরুদ্দেশ হয়েছেন একই পাড়ার মাংস বিক্রেতা রফিকুল ইসলামের ছেলে রকিব মোল্লা ওরফে মুজাহিদ (৩০)।

এদের মধ্যে বুখারি, ফয়সাল, মিতা, লাসিন ও হুজাইফা শিশু হওয়ায় গত মঙ্গলবার মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের মাধ্যমে তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছে ফেরৎ দেওয়া হয়েছে।

তবে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাদের এক প্রতিবেশী বলেছেন, আটকরা সকলেই জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সক্রিয় সদস্য ছিলেন। পুলিশের কাছে এই তালিকায় ১৮ জনের নাম আছে বলেও জানান তিনি।

আনোয়ার হোসেনের মা আনোয়ারা খাতুন ও পিতা ইদ্রিস আলী মিস্ত্রি বলেন, ছেলেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের দুজনের পরনে পুলিশের পোশাক এবং অন্যরা সাদা পোশাকে ছিল।

আনোয়ারের স্ত্রী পলি খাতুন বলেন, তারা বলেছিলেন, দু একটা কথা জিজ্ঞাসা করে এখনি ছেড়ে দিয়ে যাবেন। সেই যে নিয়ে গেলো তারপর থেকে আর কোনো খোঁজ পাইনি।

তারা বলেন, আনোয়ারকে নিয়ে যাওয়ার কয়েকবার মেহেরপুর থানা, র‌্যাব অফিসে গিয়েছি। কোনো খোঁজ পাইনি। সেখানে না পেয়ে তারা জেলার অন্যান্য উপজেলার পুলিশ স্টেশন, র‌্যাব ও ডিবি অফিসে সন্ধান করেছি। কিন্তু সেসব জায়গায়ও আনোয়ার হোসেনকে পাওয়া যায়নি। থানায় জিডি দিতে গেলেও থানা পুলিশ জিডি নেননি।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি সুত্র থেকে জানা গেছে, আটককৃতরা জঙ্গি সংগঠণ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সক্রিয় সদস্য। তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের একটি গ্রুপ মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহযোগীতায় তাদের আটক করে ঢাকায় নিয়ে গেছে। আটককৃত ৬ শিশুর মধ্যে ৫ জন শিশুকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের মাধ্যমে তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিকট ফেরৎ দিয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সেন্টু হোসেন ও আনোয়ারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সবাই বারান্দায় বসে আছেন। তাদের সান্ত্বনা দিতে পড়শীদের কয়েকজনও সেখানে আছেন। এছাড়া পলাশ ও রাকিব মোল্লার বাড়িতে গিয়ে তাদের বাড়িতে তালা মারা দেখা গেছে। পলাশের ফেরৎ দেওয়া ছেলে ফয়সাল ও ফরহাদের ছেলে বুখারীকে পাওয়া যায়নি। তারা তাদের কোন আত্মীয়র বাড়িতে গেছে তাও বলতে পারেনি প্রতিবেশীরা।

সেন্টু হোসেনের দুই ছেলে লাসিন ও হুজাইফাকে ফেরৎ পেয়েছেন তার দাদী আদরী খাতুন। এর মধ্যে হুজাইফার একটি পা ভেঙ্গে গেছে। সেন্টুর মা আদুরী খাতুন বলেন এই দুটি দুধের শিশু নিয়ে আমি এখন কি করবো। কুল কিনারা পাচ্ছিনা।
বোন পাপিয়া খাতুন বলেন, আমার ভাইকে ধরে নিয়ে কোথায় রেখেছে সেটা তো আমরা জানার অধিকার রাখি। তারা অন্যায় করলে সাজা হোক। কিন্তু আমাদের পরিবারকে খোঁজ দিক।

আনোয়ার হোসেনের মা আনোয়ারা খাতুন জানান, রাত ১টার পরপরই দুজন পুলিশের পোশাক পরে, চারজন সাদা পোশাকে প্রাচীর টপকে বাড়িতে প্রবেশ করে। আইনের লোক পরিচয়ে ছেলেকে তুলে নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে। সকালে থানায়, ডিবি কার্যালয়, র‌্যাব ক্যাম্পে গেলে কেউ স্বীকার করেনি ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার কথা।
আনোয়ারের স্ত্রী পলি খাতুন বলেন, ‘স্বামীর সন্ধানে অনেক জায়গায় গিয়েছি কোথাও সন্ধান মিলল না। আমার স্বামী নিরপরাধ। তাকে কেন রাতের আঁধারে তুলে নেওয়া হলো তা বুঝতে পারছি না।’

প্রতিবেশী জাহিদ হোসেন বলেন, আনোয়ার ফুট পথে ব্যবসা করতো। তবে, নিয়মিত মসজিদে আসার আহ্বান জানাতেন। ধারণা করা হচ্ছে, জঙ্গি সম্পৃক্ততার সন্দেহে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন তাকে তুলে নিয়ে গেছে। তবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত বিষয়টি পরিবারটিকে জানানো। যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে না নিয়ে থাকে তাহলে তাদেরই উচিত আনোয়ারকে খুঁজে বের করা।

মেহেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, মেহেরপুরের পুলিশের কাছে এ বিষয়ে কোন তথ্য নেই। অন্য কোনো সংস্থা তাদের আটক করেছে কিনা তাও জানা নেই।




মুজিবনগরে হত্যার উদ্দেশ্যে সাংবাদিকের পিতা কে কুপিয়ে জখম

মুজিবনগরে পূর্ব শত্রুতা জের ধরে মেহেরপুর প্রতিদিন ও দৈনিক অর্থনীতির মুজিবনগর প্রতিনিধি সাংবাদিক সানোয়ার হোসেনের পিতা হাইদার গাজীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে সিরাজ ও তার পিতা আব্দুল কুদ্দুসসহ – আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে বাদশা ,আকরামুল, স্বপন,মতিন ,রাশিদুল ,খাপাড়ার মৃত কুদ্দুসের ছেলে সাগর আলী।

ঘটনা সূত্রে জানা গেছে গত ৬ তারিখ এলাকাই আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রবীর গ্রুপ ও সিরাজ গ্রুপের মধ্যে একটি সংঘর্ষ হয় তারই জের ধরে এই হামলা।

এলাকার সূত্রে জানা গেছে আহত হায়দার গাজী বৃহস্পতিবার বিকেলে কলার গাড়ি লোড দেয়ার উদ্দেশ্যে রশিকপুর মসজিদের কাছে অবস্থান করছিল এ সময় তাকে একা পেয়ে অভিযুক্তরা হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপ মারতে থাকে হায়দার গাজী মারা গেছে মনে করে তারা ফেলে রেখে চলে যায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসেন। কলার গাড়ি লোডের সময় কাছে থাকা ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।

মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আঘাত গুরুতর হওয়ায় কর্তব্য চিকিৎসক তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। শেষ খবর পাওয়া  পর্যন্ত তিনি কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
শরীরে দুটি গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে যেটি অস্ত্র প্রচার করা লাগবে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।

এ বিষয়ে মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল জানান, এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় আছে আর কোন যেন বিশৃঙ্খলা যাতে সূষ্টি না হয়।




দামুড়হুদার জয়রামপুর তপন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাব জয়ী

দামুড়হুদার জয়রামপুর তপন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ১ম কোয়াটার ফাইনালে দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাব ২ গোলে জয়ী হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে দামুড়হুদা জয়রামপুর ইউথ ক্লাবের আয়োজনে ক্লাবের মাঠে মুখোমুখি মাঠে খেলতে নামে দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাব বনাম রামাযুস রামনগর মাথাভাঙ্গা ক্লাব দর্শনা।

খেলার নির্ধারিত সময়ে রামাযুস রামনগর মাথাভাঙ্গা ক্লাব দর্শনা কে ২-০ গোলে হারিয়ে জয়ের লক্ষে পৌঁছে যায় দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাব। দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাবের স্ট্রাইকার ইমরান হোসেন ২টি গোল করে দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাব কে সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ করে দেয় এবং ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়।

দামুড়হুদার জয়রামপুর ইউথ ক্লাবের সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে মাঠে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন দামুড়হুদা উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হালিম ভুট্টু, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের অন্যতম নেতা শাহীন উদ্দীন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য শহিদ আজম সদু, নওশাদ আলী, সাবেক মেম্বার ইকরামুল হক, সাবেক ফুটবলার জাকির হোসেন, এনামুল হক, টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা গোলাম ছরোয়ার ছোটন, ফুটবলপ্রেমী সেলিম উদ্দিন, টুর্নামেন্ট কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ, আজিজুল হক, ইমান আলী।

খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন রবিউল ইসলাম, সহকারী রেফারি ছিলেন লিটা হাসান ও রবিউল হক। ধারাভাষ্যকার ছিলেন শামীম খান। দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাবের এই জয়ে ক্লাব সভাপতি এখলাছ উদ্দিন সুজন ক্লাবের সকল কর্মকর্তা, খেলোয়াড় ও শুভাকাঙ্খিদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।