চুয়াডাঙ্গায় ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ডিসি সাহিত্য মঞ্চে বেলা সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ১- আসনের সংসদ সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

এ সময় তিনি বলেন, ৫২ বছর আগে এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ এ গর্জে উঠেছিল উত্তাল বাঙ্গালী পরিণত হয়েছিলো জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের স্লোগানে উত্তাল হাওয়াই সেদিন উড়েছিলো বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা। সেদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল ।

এসময় তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের চরম শিখরে পৌঁছেছে। এ সময় তিনি ৭ মার্চের ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি ও ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে সকল অভিভাবকদের তাদের বাচ্চাদের সঠিক তথ্য জনানোর জন্য আহ্বান জানান। মূলত বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণে ছিল ৯ মাসব্যাপী বাংলা মুক্তিসংগ্রামের ঘোষণা ও মূল ভিওি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক সহ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক মন্ডলী, সুশীল সমাজের নাগরিকবৃন্দ, চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা ও শিশু একাডেমির শিল্পীবৃন্দ এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফ।




এইচএসসি পাসে নিয়োগ দেবে সোহাগ গ্রুপ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সোহাগ গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটিতে ‘ব্র্যান্ড প্রমোটার / ক্যাম্পেইনার ’ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

ব্র্যান্ড প্রমোটার / ক্যাম্পেইনার।

যোগ্যতা

প্রার্থীকে এইচএসসি পাস হতে হবে । বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছর। পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীকে অবশ্যই ই-মেইল এবং স্মার্ট ফোন অপারেশন জানতে হবে। যে আবেদনকারীর ব্র্যান্ড প্রমোটার বা ক্যাম্পেইনার হিসেবে ব্যবহারিক কাজের অভিজ্ঞতা আছে তারা অগ্রাধিকার পাবেন।

বেতন

১০,০০০/- (মাসিক )।

আবেদনের পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীদের বিডিজবস অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ

৮ মার্চ , ২০২৩।

সূত্র : বিডিজবস




ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন,চুয়াডাঙ্গা পুলিশ প্রশাসন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগ,যুবলীগ, কৃষকলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ এবং জাতির শেষ্ঠ সন্তান চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট সহ বিভিন্ন ধরনের পেশাজীবী সংগঠন রাজনৈতিক সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা এক আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার সেলুন এর পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

সকাল ৯ঃ৩০ এর সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের কার্যালয় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডঃ একেএম সাইফুর রশিদ, আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান সহ বিভিন্ন ধরনের পেশাজীবী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

শ্রদ্ধা জানানো শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য বৃন্দ সহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।




মুজিবনগরে নানা আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত

সারা বিশ্বের বঞ্চিত, অবহেলিত, শোষিত, স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের চিরন্তন অনুপ্রেরণা ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ।

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মুজিবনগরে পালিত হয়েছে এই দিনটি। দিবসের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি ঐতিহাসিক দিন। স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে ১৯৭১ সালের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দেন। মুক্তিযুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী এবং যে কোনো সময় জাতিকে অস্ত্র হাতে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে হবে ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু সেটা স্পষ্ট করেছিলেন।এ ভাষণের মধ্যে দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্পষ্ট ভাবেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সেই স্বাধীনতা অর্জনে যে গেরিলাযুদ্ধের প্রয়োজন তার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণটি আজ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবেও স্বীকৃত। এটি বিশ্বে সর্বাধিকবার প্রচারিত অলিখিত ভাষণ। এ দিন ঢাকায় রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক উত্তাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম”। তার এ ভাষণ ছিল জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার চূড়ান্ত নির্দেশনা।বঙ্গবন্ধুর ডাকে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির সেই বিজয় অর্জিত হয়।

দিনটি উদযাপন উপলক্ষে মুজিবনগর উপজেলা নিবার্হী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস এর নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন মুজিবনগর কমপ্লেক্সে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সঙ্গে ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসাদুজ্জামান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মামুনুর রশিদ, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দীন, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুর রব,বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন।

পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধা জানান মুজিবনগর থানার পক্ষে অফিসার ইনচার্জ ওসি মেহেদী রাসেল, মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান আলী, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির পক্ষে উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসার মিরাজুল ইসলাম , উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এসময় সঙ্গে ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ , বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মধু সম্পাদক নজরুল ইসলাম, দারিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তকিম হক খোকন,মহাজনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ বল্টু, কৃষক লীগের সভাপতি জাহীদ হাসান রাজীব, সম্পাদক শাহিনুজ্জামান মানিক,, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সকল নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন ।

শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, উপজেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি তকলিমা খাতুন ও সম্পাদিকা তাহমিনা খাতুন, শ্রদ্ধা নিবেদন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি মতিউর রহমান মতিন, বাংলাদেশ ছাত্র লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান মোনাখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি গাজী স্বপন ইয়ং বাংলা ফিচার লিডার মুজিবনগর শাখার পক্ষে সভাপতি হাসানুজ্জামান লালটু, সম্পাদক মতিউর রহমান মতিন এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসাদুজ্জামান ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তৌফিক আহমেদ, ফায়ার সার্ভিস মুজিবনগর, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

পরে বেলা ১০টা দিকে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে ৭ই মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।




ঝিনাইদহে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা, স্বামী-সতীনের মৃত্যুদণ্ড

ঝিনাইদহে যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে পুড়িয়ে ও নির্যাতন করে হত্যা মামলায় স্বামী সতীনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আ. গনি বিশ্বাসের ছেলে শহিদুল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী চম্পা খাতুন। তারা পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় মাজেদা খাতুনকে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় স্বামী শহিদুল ও সতিন চম্পা খাতুন। মাজেদার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় চৌকিদার শহীদুল ইসলাম সদর থানায় মাজেদার স্বামী শহিদুল ইসলাম ও প্রথম স্ত্রী চম্পা খাতুনকে আসামি করে একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল চার্জশীট দাখিল করে। দীর্ঘ আইনী প্রক্রিয়া শেষে আদালত ওই মামলা রায় ঘোষণা করে। দণ্ডিতরা বর্তমানে পলাতক রয়েছে।




দামুড়হুদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন 

দামুড়হুদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন উপলক্ষে পুষ্পস্তাবক অর্পণ আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার সকাল ১০টার সময় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের বঙ্গবন্ধু মুরালের পাদদেশে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে প্রথমেই উপজেলা পরিষদের বঙ্গবন্ধু মুরালের পাদদেশে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ। এরপর বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আছের উদ্দিন, রুস্তম আলী , উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা বেগম, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস, উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান, দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হেলেনা আক্তার নিপা।

উপজেলা সমবায় অফিসার হারুন অর রসিদ এর সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী শহিদুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান,

দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবির ইউসুফ, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি অপারেশন সাইফুল আলম, দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিলন, সহসভাপতি হায়দার আলী, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম সম্পাদক শেখ হাতেম, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমানসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ।




মেহেরপুরে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন

মেহেরপুরে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ২০২৩ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলির আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্প মাল্য অর্পণ করেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান,  পুলিশ সুপার মোঃ রাফিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক লিংকন বিশ্বাস, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৃধা মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম, পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুস সালাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ খালেক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম,বীর মুক্তিযোদ্ধা, ইদ্রিস আলী প্রমুখ।

এ সময় মেহেরপুর সিভিল সার্জন, তত্ত্বাবধায়ক জেনারেল হাসপাতাল মেহেরপুর, গণপূর্ত বিভাগ, আনছার ও ভিডিপি মেহেরপুর, এলজিডি মেহেরপুর, মেহেরপুর সরকারি কলেজ, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মেহেরপুর, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, মেহেরপুর জেলা শিক্ষা অফিস, মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, মেহেরপুর জেলা তথ্য অফিস, মেহেরপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীর মহম্মদপুরে নদী পাড়ের মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মহম্মদপুর চর গোয়ালগ্রাম পশ্চিমপাড়া মাথাভাঙ্গা নদী পাড়ের মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করছে স্থানীয় রিয়াজউদ্দীনের ছেলে বাবুল ও রবিউল ইসলাম। কয়েকদিন ধরে স্থানীয় ওই দুই ব্যাক্তি নদী পাড়ের জমির মালিকানা দাবী করে মাটি বিক্রি শুরু করেছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ট্রলি ভর্তি মাটি বহন করায় এলকাবাসিসহ পথচারিরাও বিপাকে পড়েছেন। মাটি বিক্রেতা জানিয়েছেন নদীর পাড় হলেও জমির মালিকানা আমাদের। তবে কত টুকু জমির মালিাকানা রয়েছে তার পরিমাপ জানেনা তিনি। উপজেলা প্রশাসন বলছেন দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ১০/১২ জন মাটি কাটা শ্রমিক ডালি কোদাল নিয়ে নদী পাড়ের মাটি কেটে ট্রলি বোঝায় কাজে ব্যস্ত রযেছেন। তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হলে একে একে সটকে পড়েন তারা । একজন শ্রমিক জানান এই মাটি বাবুল ও রবিউল কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করছেন। আমরা তাদের শ্রমিক। পরে বাবুলকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কথা না বলে চলে যান। ছুটে আসেন রবিউল ইসলাম। তিনি জানান এটা আমাদের জমি, আমরা কাটছি। পরে তাদের জমির পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি জানান,আমি জমির পরিমাপ জানিনা। পরে তার এক চাচাকে মোবাইল করে জমির পরিমাপ জানতে চাইলে তিনিও সঠিক তথ্য জানেনা বলে জানান। রবিউল আরও জানান, নদীর পাড়া কেটে আবাদের জন্য প্রস্তত করা হচ্ছে। মাটি কোথায় রাখছেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান,স্থানীয় ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রায় এক বিঘারও বেশি জমি কেটে ইতোমধ্যে বিক্রি করা হয়েছে। এখনও চলছে নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রির উৎসব। দ্রত ব্যবস্থা না নেয়া হলে নদীর পাড় ভাঙ্গন শুরু হবে।

স্থানীয় মটমুড়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তহশিলদার বদরুন্নাহার জানান, বিষয়টি আমি জেনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। যারা মাটি কেটেছে তাদের সাথে কথা হয়েছে। তারা জমির মালিকানা দাবী করেছেন। আমি সরকারি সার্ভিয়ার দিয়ে জমি মেপে দেখবো।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) রনি খাতুন জানান, প্রাথমিক ভাবে তহশিলদারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। মাটি কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। জমিটি তাদের বরে দাবী করেছে রবিউল ও বাবুল। জমি জরিপের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।




খ্যাতিমান নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুল আর নেই

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত খ্যাতিমান নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুল আর নেই।গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় ঢাকার সিদ্দিক বাজারের নিজ বাসায় তিনি মারা যান।

দেড় বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন মাসুম বাবুল। ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরেছিলেন তিনি।

মাঝে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে গত বছরের অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি।সোমবার তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।

সোমবার রাত ১১টার দিকে আজিমপুর গোরস্থানে সমাহিত করা হয় মাসুম বাবুলের মরদেহ।

মাসুম বাবুল অসুস্থ হওয়ার আগে ‘মুজিব: দ্য মেকিং অব আ নেশন’–এ কাজ করেছেন। সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

চার দশকের ক্যারিয়ারে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘কোটি টাকার কাবিন’, ‘বিক্ষোভ’সহ বহু চলচ্চিত্রে নৃত্য পরিচালনা করেছেন তিনি। ১৯৯৩ সালে ‘দোলা’ ২০০৮ সালে ‘কি জাদু করিলা’ ও ২০১৮ সালে ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমার জন্য নৃত্য পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন মাসুম বাবুল।

সূত্র: যুগান্তর




টি-টোয়েন্টিতে প্রোটিয়াদের নতুন অধিনায়ক মার্করাম

কিছুদিন আগেই টেম্বা বাভুমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব থেকে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি দলেও জায়গা হারালেন বাভুমা। বাভুমার জায়গায় প্রোটিয়াদের টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বভার তুলে দেওয়া হয়েছে এইডেন মার্করামের হাতে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগামী ২৫ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ সামনে রেখে দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসে)। সেখানেি নতুন অধিনায়ক হিসেবে মার্করামের নাম ঘোষণা করা হয়।

গুঞ্জন ছিলো সাবেক অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি এই সিরিজ দিয়ে দলে ফিরবেন। তবে ১৫ সদস্যের দলে নাম নেই সাবেক এই অধিনায়কের। তাকে দলে ফেরানোর চেষ্টা করেও পারেননি কোচ আর ক্রিকেট বোর্ড।

এদিকে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে আগামী ১৬ মার্চ থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এই সিরিজের জন্য ঘোষিত দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন ত্রিস্তান স্টাবস। এই সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে পেসার কাগিসো রাবাদা আর এনরিক নর্টজেকে।

দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি দল: এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), কুইন্টন ডি কক, হেনরিক ক্লাসেন, রাইলি রুশো, বিয়ন ফরচুইন, ত্রিস্তান স্টাবস, ডেভিড মিলার, মার্কো জ্যানসেন, সিসান্দা মাগালা, লুঙ্গি এনগিদি, আনরিখ নরকিয়া, ওয়েইন পারনেল, রেজা হেনড্রিকস, কাগিসো রাবাদা ও তাবরাইজ শামসি।

দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে দল: টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), কুইন্টন ডি কক, টনি ডি জর্জি, বিয়ন ফরচুইন, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন রেজা হেনড্রিকস, ত্রিস্তান স্টাবস, সিসান্দা মাগালা, জেরাল্ড কোয়েটজে, লুঙ্গি এনগিদি, রায়ান রিকেলটন, আন্দিলে ফিকোয়া, কেশব মহারাজ, উইয়ান মুল্ডার ও লিজাড উইলিয়ামস।

সূত্র: ইত্তেফাক