মেহেরপুরে দুই গ্যাস ব্যবসায়ীর জরিমানা

বেশি দামে গ্যাস বিক্রির অপরাধে মেহেরপুর শহরের কাসারি পাড়ার এস এম গ্যাস হাউজের সাজ্জাদ হোসেন সবুজ ও হোটেল বাজারের জাকির ব্রাদার্স এর মালিক আমিনুল ইসলামের কাছে থেকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ এ অভিযান পরিচালনা করেন।

তিনি জানান, গ্যাস সিলিন্ডার, মুদিখানাসহ বেশকিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়। এসময় মেহেরপুর শহরের কাসারি বাজারে মেসার্স এস এম গ্যাস হাউজ নামক প্রতিষ্ঠানে তদারকিতে পাওয়া যায় নানা অনিয়ম। বিভিন্ন কোম্পানি থেকে ১২৯৫ টাকায় পুর্বের কম দামে কেনা গ্যাস বিক্রয় করছেন ১৫৭০ টাকা দরে যেখানে বর্তমান সরকার নির্ধারিত মুল্য ১৪৯৮ টাকা। সরকারি মূল্যের বাইরে গিয়ে অসৎভাবে সিলিন্ডার প্রতি লাভ করছেন ২৭৫ টাকা। নাই মুল্যতালিকা, লাইসেন্স বহির্ভূতভাবে আবাসিক এলাকায় অননুমোদিত গোডাউনে মজুদ করেছেন হাজারের অধিক গ্যাস সিলিন্ডার। এসকল অপরাধে প্রতিষ্ঠানের মালিক সাজ্জাদ হোসেন সবুজকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে, হোটেল বাজারের মেসার্স জাকির এন্ড ব্রাদার্স এর মালিক মোঃ আমিনুল ইসলামকে গ্যাস ও অন্যান্য পণ্যের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান পরিচালনাকালে জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা জিবরাইল হোসেন, জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) তারিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে মেহেরপুর পুলিশ লাইনের একটি টিম সহযোগীতা করেন।




মেহেরপুরে ১৫০ গ্রাম হেরোইনসহ তিন মাদক বিক্রেতা আটক

মেহেরপুর সদর উপজেলার কামদেবপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে  ১৫০ গ্রাম হেরোইনসহ তিন মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির ওসি সাইফুল আলমের নেতৃত্বে এ  অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫০ গ্রাম হেরোইন ও দুইটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

আটকরা হলেন- গাংনী উপজেলার গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামের মৃত পনজত শেখের ছেলে শাহারুল ইসলাম ওরফে আবেদ (৪২), সদর উপজেলার কালিগাংনী গ্রামের আনিচুর রহমানের ছেলে চঞ্চল হোসেন (৩০) ও একই উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের মৃত উজির আলীর ছেলে ছাবদুল হোসেন (৪৫)।

ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, গোপন খবরে জানতে পারি যে একদল মাদক বিক্রেতা সদর উপজেলার কামদেবপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠের উত্তরদিকের জনৈক আব্বাস আলীর বাড়ির গলিতে মাদক বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছে। পরে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে আটক করা হয়।

তিনি আরও জানান, তাদের মধ্যে আটক শাহারুল ইসলাম ওরফে আবেদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা ও দুইটি চুরির মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। হেরোইন উদ্ধারের ঘটনায় ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার  আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।




মেহেরপুরে ব্রয়লারের দাম বেড়ে ডাবল সেঞ্চুরিতে (ভিডিও সহ)

মেহেরপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৭০ টাকা। ব্রয়লার মুরগীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সোনালী ও দেশি মুরগির দাম। প্রতি কেজী সোনালী মুরগীর দাম বেড়েছে ৪০ টাকা, দেশি মুরগীর দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।

গতকাল সোমবার মেহেরপুর বড় বাজারের মুরগি বাজারে সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশি মুরগির বিক্রি হয়েছে ৪৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৭০ টাকা এবং বয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা, ডিম পাড়া (কর্ক) মুরগি ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে একই বাজারে দেশি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৪৩০ থেকে ৪৪০ টাকা, সোনালী ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা এবং বয়লার ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, ডিম পাড়া (কক) মুরগি ২২০ থেকে ২৩০ কেজি দওে বিক্রি হয়েছে। দিনে দিনে মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে মুরগি বাজার প্রায় ক্রেতা শুন্য দেখা গেছে।

বড়বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মো: সাকিব বলেন, আগে খামারিদের কাছ থেকে মুরগির বাচ্চার পিস ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এখন সেই মুরগির বাচ্চা ৪৫ টাকা । অনেক দাম বেড়ে গেছে সেই কারণে ব্রয়লার এর দাম বেড়ে গেছে। আবার যদি আগের মতো ব্রয়লারের বাচ্চার দাম কমে, খাবারের দাম কমে তাহলে আগের অবস্থায় চলে আসবে।

বড় বাজার মুরগি ব্যবসায়ী ওয়াদুদ বলেন বর্তমানে ব্রয়লার একটু সঙ্কট আছে। বাকি দেশি সোনালী ডিমপাড়া (কর্ক) পর্যাপ্ত পরিমাণ আছে। ব্রয়লারের দাম বাড়ার কারণে বিক্রয়ের পরিমাণ কমে গেছে।

তিনি আরো বলেন, এই বাজারে আনুমানিক ২০টি দোকান আছে এখান থেকে গড়ে প্রতিদিন সোনালি মুরগি ৬০০ কেজি, ডিম পাড়া (কক) মুরগি ২৫০ কেজি, ব্রয়লার ৪০০ থেকে ৫০০ কেজি পর্যন্ত বিক্রয় হয়।

এ সময় বাজারে মুরগি কিনতে আসা মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা কেজি। আমরা গরিব মানুষ কিনে খাব কি করে। আমরা দিনে ৫০০ টাকা উপার্জন করি ২ কেজি মুরগির কিনলে খরচ হয় ৪২০ টাকা। তাহলে চাল, ডাল, তেল ইত্যাদি কিনব কি দিয়ে আর সংসার চালাবো কি করে। হয় চুরি করতে হবে, আর তা নাহলে ডাকাতি করতে হবে বলে তিনি আক্ষেপ করেন।

মমতাজ নামের এক মহিলা ক্রেতা বলেন, আমাদের মত গরিব মানুষদের ব্রয়লার মাংসও জুটবে না। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে মুরগি কেনা নয়, সংসার চালানোয় দায় হবে।

 




মেহেরপুরে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে বিনামুল্যে গরু বিতরণ

গ্রামকে দারিদ্রমুক্ত করতে দারিদ্রমুক্তকরণ প্রকল্পের আওতায় মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বাগুয়ান ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে গরু বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার সকাল ১১টার সময় মুজিবনগর মাঝপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্ত্বরে মাঝপাড়া গ্রামের ৮টি হতদরিদ্র সুফোলভোগী পরিবারের হাতে একটি করে বকনা গরু বিনামূল্যে বিতরন করা হয়।

বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন (বিএনএফ) এর আর্থিক সহযোগিতায় পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) এর বাস্তবায়নে গরু বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধঅন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কাদের মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি।

পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুর রব, মাঝপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রূপ ছবি বিশ্বাস, পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) এর পরিচালক (কর্মসূচি) মোহাঃ কামরুজ্জামান, ঋণ কর্মসূচির উপ-পরিচালক মোঃ কামরুল আলম, সহকারী পরিচালক লাল মিয়া, মোনাখালী ইউনিয়নের সমৃদ্ধি কর্মসূচির সমন্বয়কারী মোঃ হাসানুজ্জামান।

জানাগেছে, ইতোপুর্বে এ প্রকল্পের আওতায় ৮টি পরিবারের মাঝে ৮টি বকনা গরু, ৪১টি পরিবারের মাঝে ৮২টি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল ১টি পরিবারকে ২টি গাড়ল ১টি পরিবারকে একটি প্যাডেল ভ্যান,৫টি পরিবারকে ৫টি ঘর ,৯৫টি পরিবারকে ৯৫টি স্যানিটারি ল্যাট্রিন সপ্রদান করা হয়েছে। এর প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় সোমবার ৮টি বকনা গরু বিতরণ করা হয়। এছাড়াও ১৩টি পরিবারকে ২৬টি বল্যাক বেঙ্গল ছাগল বিতরণ করা হবে। দেশের ৩৮২টি থানায় ১৭৭টি পরিবার এ পক্রল্পর সুফল ভোগ করতে পারবে।

মুজিবনগরের সীমান্ত এলাকার অনেক গ্রামের মানুষ অতি দরিদ্র । ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে এক জরিপে মাঝপাড়া গ্রামের দি ১৪৬ দিনমজুর, কৃষি ১৩৯, বাবসা ৩০, প্রবাসী ১৫, ভ্যান চালক ৭, মহুরি পেশায় ২, ড্রাইভার ২, গ্রাম্য চিকিৎসক ২, সরকারি চাকরিজীবী ৩, রাজমিস্ত্রি ৩, ছাগল পালনকারি ৫, নির্ধারি পেশা নেই ২৭টি পরিবার, মাঠ থেকে ফসল কুড়িয়ে জীবন নির্বাহ করেন ।

এমন ৩৮২টি পরিবারের মধ্যে ১৭৭টি পরিবার দরিদ্র। অনেকের বাড়িতেই নেই স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা। গ্রামটিতে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন(বিএনএফ) ।




মেহেরপুরের ৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভিন্ন আদলের শহীদ মিনার

একই আকৃতির শহীদ মিনার নির্মাণে উচ্চ আদালতের রুল থাকলেও মেহেরপুরের তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ভিন্ন আদলের শহীদ মিনার। দেখতে নান্দনিক হলেও সেগুলো ভেঙে ফেলার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নতুন শহীদ মিনারের বরাদ্দ না পাওয়ায় সেগুলো ভাঙছে না প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

মাতৃভাষা রক্ষার দাবিতে প্রাণ দেওয়া শহীদদের স্মরণে দেশে স্থাপিত শহীদ মিনারগুলো একেক স্থানে একেক কাঠামোর। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের যে কাঠামো তার সঙ্গে অনেকগুলোর মিল নেই। বিভিন্ন কাঠামোর এসব স্থাপনা সম্পর্কে অনেকের প্রশ্ন এগুলো কি আদতে শহীদ মিনার? অনেক বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা চললেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি।

এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাঠামো, নকশা অনুসরণ করে দেশে-বিদেশে একই আদলে শহীদ মিনার নির্মাণে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে গত বছরের ১৪ জুন হাইকোর্ট রুল জারি করেন। কিন্তু বিবাদীদের কাছ থেকে কোনো জবাব আসেনি। আর সুপ্রিম কোর্টের যে আইনজীবীর রিটে আদালত রুল জারি করেছিলেন, সে আইনজীবীও রুলের জবাব না আসার বিষয়টি আদালতের নজরে আনেননি। ফলে রুল জারির মধ্যেই আটকে আছে রিটটির কার্যকারিতা।

এ বিষয়ে গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহিদুল ইসলাম। প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের বেঞ্চ রুল দেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাঠামো, নকশা অনুসরণ করে দেশে-বিদেশে একই আদলে শহীদ মিনার নির্মাণে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাঠামো অনুসরণ করে দেশ-বিদেশে একই ধরনের শহীদ মিনার নির্মাণে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে। সংস্কৃতিসচিব এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিবকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এদিকে মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধানে জানা গেছে, মেহেরপুর শহরের কবী নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলে ১৯৬৭ সালে পিলারের মত প্যাচানো একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। জেলা শিক্ষা অফিস থেকে সেটি ভেঙে ফেলার জন্য মৌখিক নির্দেশনা দিলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙতে পারছে না। নতুন শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদে আবেদন করেছেন। এখনো সে বরাদ্দ পাননি।

গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজে রয়েছে স্মৃতিসৌধ আকৃতির নান্দনিক শহীদ মিনার। এছাড়া গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে একই আকৃতির শহীদ মিনার।

মেহেরপুর কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলের সহকারী প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বলেন, ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়েছে। শিক্ষা অফিস থেকে ভেঙে একই আদলের শহীদ মিনার নির্মাণের মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্থানীয়রা কোন বাঁধা হবে কি না সেই চিন্তাই সেটি ভাঙতে পারিনি। তবে নতুন করে শহীদ মিনারের জন্য জেলা পরিষদে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ওটা ভেঙে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।

জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসান আল নুরানী বলেন, মেহেরপুর শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে শহীদ মিনার দেখে তার আদলে ২০০৮ সালের দিকে স্কুলের টাকা দিয়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। পরে সরকারি ভাবে একই আদলের শহীদ মিনারের নির্দেশনা আসে। নতুন করে আবেদন করা হয়েছে। সরকারি বরাদ্দ পেলে একই আদালতের শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।

মেহেরপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী একই আদলে শহীদ মিনার নির্মাণ করার পরিপত্র সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক আগেই দেওয়া হয়েছে। যারা বিকৃত ডিজাইনের শহীদ মিনার নির্মাণ করেছেন সেগুলো পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




চাকরি দেবে ওয়াটার এইড বাংলাদেশ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ওয়াটার এইড বাংলাদেশ। সংস্থাটিতে ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইটি) স্পেশালিষ্ট পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইটি) স্পেশালিষ্ট।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

স্বীকৃত যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বিএসসি পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীর ছয় বছরের কজের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

কর্মস্থল

খুলনা।

বেতন

১,২০,০০০-১,২৫,০০০/-টাকা।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩।

সূত্র : বিডিজবস




দামুড়হুদায়  যুব ও সামাজিক নেতৃবৃন্দের ভূমিকা বিষয়ে সংলাপ অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদায় শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে দরিদ্র জনগনের অধিকার আদায়ে যুব ও সামাজিক নেতৃবৃন্দের ভূমিকা বিষয়ে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার বেলা ১টার দিকে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় দামুড়হুদা দর্শনা হঠাৎপাড়ায় ওয়েভ ফাউন্ডেশন ট্রেড ট্রেনিং সেন্টারে উক্ত সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা মেডিকেল অফিসার মকলেছুর রহমান,দামুড়হুদা উপজেলা লোকমোর্চার সহ-সাধারন সম্পাদক হানিফ মন্ডল, অধ্যক্ষ ট্রেড ট্রেনিং সেন্টার দর্শনা অফিস আব্দুস সালাম, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সমন্বয়কারী আনিসুর রহমান, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুল আলীম সজল, সাইফুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা লোকমোর্চার দপ্তর সম্পাদক ইউনুস আলী, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল শিশির, হাউলী ইউনিয়ন লোকমোর্চার সাধারণ সম্পাদক মজিবার রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল হাসান তোতা, নির্বাহী সদস্য টিপু সুলতান, প্রোগ্রাম অফিসার ফরহাদ হোসেন প্রমূখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান যুদ্ধ।




অজান্তেই কথা শুনতে থাকে স্মার্ট স্পিকার

অনেকেই ঘরে বা অফিসে ভার্চ্যুয়াল সহকারী সুবিধার স্মার্ট স্পিকার ব্যবহার করেন। মুখের কথায় নিয়ন্ত্রণের সুযোগ থাকায় দিন দিন এ ধরনের স্পিকারের চাহিদা বাড়ছে। তবে ভার্চ্যুয়াল সহকারী সুবিধার স্মার্ট স্পিকার সম্পর্কে উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করেছে ভিপিএন ও অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠান ভিপিএনওভারভিউ। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, প্রয়োজন না হলেও সব সময় ব্যবহারকারীর কথা শুনতে থাকে স্মার্ট স্পিকার। ইন্টারনেটে যুক্ত থাকায় সংগ্রহ করা তথ্যগুলো নিজ নিজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়েও দেয়। বন্ধ বা নষ্ট না হলে এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে।

ব্যবহারকারীদের অজান্তে বাড়তি তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি অস্বীকার করে গুগল বলেছে, নেস্ট স্মার্ট স্পিকারের কোনো তথ্য নিজেদের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয় না। অ্যামাজন জানিয়েছে, ইকো স্মার্ট স্পিকারের তথ্য ক্লাউড সার্ভারে নিরাপদে সংরক্ষণ করা হয়। ব্যবহারকারী চাইলেই তথ্যগুলো মুছে ফেলতে পারেন। তবে অ্যাপল জানিয়েছে, হোমপড স্পিকার ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনীয় ন্যূনতম তথ্য ছয় মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হয়।

স্মার্ট স্পিকারগুলোয় বিভিন্ন সুবিধা ব্যবহারের জন্য অনেকেই তৃতীয় পক্ষের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তিসেবা ব্যবহার করেন। ভিপিএনওভারভিউয়ের দাবি, এসব সেবাগুলো খুব বেশি নিরাপদ নয়। এসব সেবায় নিরাপত্তা ত্রুটি থাকায় তথ্য ফাঁস ও হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্মার্ট স্পিকার দিয়ে অনলাইনে সরাসরি কেনাকাটা করার সময় দুই স্তরবিশিষ্ট যাচাইকরণ ব্যবস্থা ব্যবহারেরও সুপারিশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

সূত্র: টেকরাডার




তুরস্কে ভূমিকম্পে মৃত্য সংখা ৯ শতাধিকের বেশি

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯১২–তে দাঁড়িয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এ তথ্য জানিয়েছেন। এই ভূমিকম্পের আঘাতে পাশের দেশ সিরিয়ায় অন্তত ৩৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় সময় আজ সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। প্রায় ৮৪ বছর পর এমন শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক। দুই দেশেই হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমিকম্পের পর রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, এখন পর্যন্ত তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯১২ হয়েছে। এ ছাড়া ৫ হাজার ৩৮৩ জন আহত হয়েছেন। নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে কত হতে পারে, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা দিতে পারছেন না তিনি।

এদিকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশটির সরকারনিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ভূমিকম্পে অন্তত ২৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৬৪৮ জন। এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে আলেপ্পো, হামা, লাতাকিয়া ও তারতুসের মতো শহরগুলো।

সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে হতাহতের খবর দিয়েছে এসব অঞ্চলে উদ্ধারকাজ চালানো দল হোয়াইট হেলমেট। এক টুইট বার্তায় তারা বলছে, ভূমিকম্পে সেখানে অন্তত ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩৪০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এখনো অনেক পরিবার ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে। তাই হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে, তখন বেশির ভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন। সিরিয়ার জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্রের প্রধান রায়েদ আহমেদ রাষ্ট্রীয় বেতার স্টেশনকে বলেন, ‘আমাদের এই কেন্দ্রের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প।’ ১৯৯৫ সালে কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ভূকম্পনবিদ স্টিফেন হিকস বলেন, এর আগে ১৯৩৯ সালের ডিসেম্বরে তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। ওই সময় ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এ ঘটনার পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় এলাজিগ শহরে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৪১ জন নিহত হয়েছিল। সে সময় আহত হয়েছিল ১ হাজার ৬০০–এর বেশি মানুষ।

সূত্র: এএফপি ও আল–জাজিরার




গাংনীতে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

গাংনী সাহারবাটিতে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাথর, বালু ও রডের মান নিম্ন। তাছাড়াও পাথর বালুর মিশ্রণ সঠিক নয়। এ সব অনিয়মের কারণে মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের এমপি সাহিদুজ্জামান নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিলেও ছায়াশক্তির বলে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবে সঠিকভাবে ও সমঝোতার মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন।

জানাগেছে, সারা দেশের ন্যায় স্থানীয় যুবসমাজকে খেলামুখি করতে ও জনগনের দাবীর মুখে সরকার সাহারবাটি ফুলবল মাঠে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম তৈরীর সিদ্ধান্ত নেয়। উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পের( ২য় পর্যায়) আওতায় মোট পাঁচ কোটি ৫২ লাখ ২২ হাজার ৯৯৯ টাকা ব্যায়ে এ নির্মাণ কাজ পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসএস অ্যান্ড এমটি জয়েন্ট ভেন্সার ( জেভি) । যা বাস্তবায়নে রয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। আর এর স্থানীয়ভাবে দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। কাজ শুরুর প্রথম থেকেই নিম্নমানের রড পাথর ও বালু ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে।

বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শনে যান এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন। তিনি কাজে অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের প্রমাণ পান। এসময় তিনি কাজ বন্ধ রাখাসহ নিম্নমানের সামগ্রী সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেন।

কয়েকদিন পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আবারো কাজ শুরু করেন ওই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে। সাদা পাথরের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে কালো পাথর যা অত্যন্ত নিম্নমানের। এছাড়াও যে সমস্ত সাদা পাথর স্তুপ রাখা হয়েছে তা ব্যবহারে অযোগ্য। ২.৫ এফএম বালু ব্যবহার করার নির্দেশনা থাকলেও লোকাল বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই সাথে মিশ্রণটি সঠিক পরিমাপের নয়। স্থানীয় লোকজন একাধিকবার অভিযোগ করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোন কর্ণপাত করছেন না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, লোকাল বালুর সাথে সিমেন্ট ও পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। ফান্না ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও বাশের তৈরী ঝুড়ি ব্যবহার করায় পাথর বালু ও সিমেন্টের পরিমাপ আনুপাতিকহারে সঠিক হচ্ছে না। তাছাড়া রডের ব্যবহার হচ্ছে নিম্ন মানের। এর পরিমাপও সঠিক নয়। বালু ওয়াশ করার করা থাকলেও তা করা হচ্ছে না। ধুলা মিশ্রিত বালু ব্যবহার হচ্ছে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কয়েকজন জানান, কাজ শুরুর প্রথম দিকে যে রড বালু ও পাথর আনা হয়েছিল তা নিম্নমানের হওয়ায় এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন নির্মাণকাজ দেখতে আসেন এবং অনিয়মের কথা বলে মালামাল সরিয়ে নেয়ার আদেশ দেন। এর মধ্যে ওই পাথর বাদ দিয়ে কালোপাথর দিয়ে কাজ শুরু করতে বলায় নতুন করে কালো পাথর আনা হয়েছে কিন্তু কালো পাথর ব্যবহারের নির্দেশনা নেই। তবে ব্যবহারের অযোগ্য মৃত পাথরগুলো সরানো হয়নি। তাছাড়াও যে রডের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তা এমপি সাহের অনুমতি নিয়ে বিশেষভাবে কাজ চলছে। পরবর্তীতে নতুন করে রড আনা হবে।
শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পের কনসালটেন্ট সাদ্দাম হোসেন বালু ওয়াশ করা হয়েছে বলে দাবী করে জানান, নিয়মানুযায়ি কাজ করা হচ্ছে তবে নিম্নমানের পাথর সরিয়ে নেয়া হবে। তাছাড়া সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকনের নির্দেশে কালো পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে বালু পাথর ও সিমেন্টের আনুপাতিক হার সঠিক না হওয়ার ব্যাপারে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) রনি খাতুন জানান, স্টেডিয়াম নির্মানে কোন দুর্ণীতি সহ্য করা হবে না। সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

বন্ধ কাজ পুনরায় শুরু করার ব্যাপারে সাহিদুজ্জামান খোকন এমপির কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ শুরুর কারণে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পাথর ও বালু পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানানোর পর কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। তবে যেহেতু রড গেঁথে তার কাজ শুরু করা হয়েছে সেটি পরিবর্তন সহজ নয় এবং পরে উন্নত মানের রড ব্যবহারের শর্ত দেয়া হয়েছে।