নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। প্রতিষ্ঠানটিতে ‘প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর’ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

স্বীকৃত যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট/ সোশ্যাল সায়েন্স বা সমমান বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। পদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে। রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট বিষয়ে জানাশোনা থাকতে হবে। অনূর্ধ্ব ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

বেতন

৭৫,০০০/- টাকা।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩।

সূত্র : বিডিজবস




নেপালকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা

ফেভারিট হয়েই ফাইনালে নেমেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচ জুড়েও শামসুন্নাহার জুনিয়ররা দেখালেন সেই দাপট। শুরুর জড়তা কাটিয়ে প্রথমার্ধেই দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর শেষ দিকে আসে আরেক গোল। নেপালকে কোণঠাসা করে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে আরেকটি ট্রফি ঘরে তুলল গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।

বৃহস্পতিবার সাফ নারী অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। রাজধানীর কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের হয়ে গোল তিনটি করেন শাহেদা আক্তার রিপা, শামসুন্নাহার ও উন্নতি খাতুন।

এর আগে, বাংলাদেশ প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়েছিল। ৪২ মিনিটে শাহেদা আক্তার রিপা ও ৪৫ মিনিটে অধিনায়ক শামসুন্নাহার গোল করলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে বিরতিতে যায় স্বাগতিক মেয়েরা। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান ৩-০ করেছেন উন্নতি খাতুন।

বাংলাদেশ প্রথম দুই ম্যাচে নেপাল ও ভারতের বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে খেলেছিল ফাইনালে সেই ১১ জনকেই বেছে নেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। শুরু থেকে নেপালের ওপর চড়াও হয়ে খেলেও গোল পাচ্ছিল না বাংলাদেশের মেয়েরা।

দ্বিতীয় মিনিটেই আকলিমা খাতুন পেয়েছিলেন সহজ একটি সুযোগ। নেপালি গোলরক্ষক কবিতা বক্সের মাথায় এসে আক্রমণ ঠেকাতে এলে বল পেয়ে যান আকলিমা। ফাঁকা পোস্ট ছিল তখন। কিন্তু যে শট নিয়েছিলেন আকলিমা তা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।

১৮ মিনিটে অধিনায়ক শামসুন্নাহার বল নিয়ে ঢুকে ডান দিকে পাস দেন শাহেদা আক্তার রিপাকে। রিপা বক্সে ক্রস দেন আকলিমাকে। আকলিমা ফাঁকায় দাঁড়িয়েও বল রিসিভ করতে না পারলে সুযোগ নষ্ট হয় বাংলাদেশের।

৩৬ মিনিটে প্রথম সুযোগ তৈরি করেছিল নেপাল। তবে আমিশা কার্কি গড়ানো শট নিলে তা চলে যায় পোস্ট ঘেঁষে বাইরে। দ্বিতীয়ার্ধে নেপাল উঠে খেলার চেষ্টা করে। মাঝমাঠে বাংলাদেশের যে প্রাধান্য ছিল তাতে ভাগ বসিয়ে বেশ কয়েবার রক্ষণ ভাঙার চেষ্টাও করে তারা। তবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা সে সুযোগ দেননি।

দুই গোলে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছিল বারবার। শাহেদ আক্তার রিপা, শামসুন্নাহার জুনিয়ররা একটু দূর থেকে শট নিয়ে লক্ষ্যভেদের চেষ্টা করেছেন। তবে তাদের নেওয়া শটগুলো গোলে পরিণত হওয়ার মতো ছিল না। ৮৭ মিনিটে তৃতীয় গোল পায় বাংলাদেশ। রিপার ফ্রিকিক থেকে গোল করেন উন্নতি খাতুন।

নেপাল ব্যবধান কমানোর দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল ৮০ মিনিটে। আমিশা কার্কির গড়ানো শট ডান দিকে ঝাপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক রূপনা চাকমা।

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যবধান বাড়ে ৮৭ মিনিটে। ৩-০ গোলে জিতে বাংলাদেশের মেয়েরা বয়সভিত্তিক সাফে আরও একটি সাফল্য নিয়ে ঘরে ফেরে। এ নিয়ে বয়সভিত্তিক সাফে বাংলাদেশ চতুর্থ শিরোপা জিতলো।

বাংলাদেশ একাদশ

রূপনা চাকমা, শামসুন্নাহার, নাসরিন আক্তার, সুরমা জান্নাত, আফিদা খন্দকার, সোহাগী কিসকু, স্বপ্না রানী, মাহফুজা খাতুন (উন্নতি খাতুন), শাহেদ আক্তার রিপা, আকলিমা খাতুন (আইরিন খাতুন) ও ইতি খাতুন।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদা বাসট্যান্ডে সিমরান স্টোরে চুরি করার সময় হাতেনাতে যুবক আটক

দামুড়হুদা বাসট্যান্ডে নুরুন্নবী মার্কেটে সিমরান স্টোরে এক ফাইল গোল্ডলিফ সিগারেট চুরি করার সময় চুয়াডাঙ্গা হাতিকাটা’র এক যুবককে আটক করেছে দোকানদার ও স্থানীয় জনগণ।  বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে এই চুরির ঘটনা ঘটে।

আটককৃত হলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাতিকাটা গ্রামের ওসমানগণীর ছেলে রাসেল উদ্দীন (২৬)। সে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ম্যানেজমেন্টের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র। ১৮ হাজার টাকা জরিমানায় শেষ রক্ষা পায়।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডে নূরন্নবী মার্কেটের সিমরান স্টোরে এক ফাইল গোল্ডলিফ সিগারেট চুরি করে ধরা পরে আকিজ গ্রুপের চুয়াডাঙ্গার ডিলার ইনসাফ ট্রেডার্সের মাল ডেলিভারি ম্যান (ডিএসআর) রাসেল। পরে তাকে দামুড়হুদা বাসট্যান্ড বাজার কমিটির মাধ্যমে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এবিষয়ে সিমরান স্টোরের স্বত্বাধিকারী জয়রামপুর শাহপাড়ার ওসমান বলেন, আকিজ গ্রুপের ওই ডেলিভারি ম্যান যেদিন আসে সেই দিনই আমার দোকানে টাকা হারায়, সিগারেট হারায়। আমি তাকে সন্দেহ করি। তাকে দোকানে রেখে আমি টিউবওয়েলে পানি আনতে যাই, তখন এসে দেখি এক ফাইল গোল্ডলিফ সিগারেট আমাকে দেখে রেকের নিচে ফেলে দেয়। কি ফেললো জানতে চাইলে সে অস্বীকার করে। তখন পাসের দোকানে সিসি টিভি ক্যামেরায় রেকর্ডকৃত ভিডিও দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, সে সিগারেট চুরি করে ফেলে দিয়েছে। পরে দামুড়হুদা বাসট্যান্ড বাজার কমিটিকে জানানো হলে বিচার করে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




মেহেরপুর সরকারি কলেজে সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র কমিটির অনুমোদন

মেহেরপুর সরকারি কলেজে সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র কালচারাল সেন্টারের কমিটি ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে মেহেরপুর সরকারি কলেজে ঘোষণা করা হয়।

মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম সরদার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান আব্দুল্লা আল-আমিন ধুমকেতু, অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হাবিবুর রহমান, প্রভাষক বশির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র কালচারাল সেন্টারের সভাপতি হিসেবে ফারহানা কানিজ তথাপি, সহ-সভাপতি হিসেবে হাবিবা খাতুন, সহ-সভাপতি হিসেবে লিমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সম্রাট জাহাঙ্গীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোঃ আনিক হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রিদিওয়ানুল হক মুজাহিদ, নাট্যকলা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে হাদিউজ্জামান হিপু, নৃত্যকলা ও সংগীত বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মাকছুরাতুম লাজ, শিক্ষাও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে ফারজানা ইয়াসমিন জুঁই, সাহিত্য ও আবৃতি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মাইশা ফারজানা ঐশী, দপ্তর সম্পাদক হিসেবে মিমি আফসানা, অর্থ সম্পাদক হিসেবে মোঃ ফারুক, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মোহাম্মদ সান, নির্বাহী সদস্য হিসেবে সাজিদুল ইসলাম, সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ টনি আলী, নাফিয়া ইসলাম, ইকরামুল হক প্রমুখ।

এর পর মেহেরপুর সরকারি কলেজ শহীদ মিনারে নবগঠিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে পুষ্প অর্পণ করা হয়।




দামুড়হুদা কার্পাসডাঙ্গা বাজারে জোরপূর্বক দোকান দখলের অভিযোগ

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে জোরপূর্বক দোকান ঘর দখল, চেয়ার টেবিল ভাংচুর সহ দোকানের মালামাল ফেলে দেবার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, কার্পাসডাঙ্গা বাজারে মৎস আড়ৎ এলাকায় মৃত হাফিজ মালিথার ছেলে বিএনপি নেতা আকবত আলী মালিথার সাইকেলের দোকান রয়েছে। যার দোকান নং ৯৩/১। আকবত আলীর দুইটি স্ত্রী। দুই সংসারে তার ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ে। দুই পক্ষেরই দুটি করে ছেলে রয়েছে। আকবত আলীর দোকানের ডানদিকে তার মেজো ছেলের দোকান ও তার বামদিকে ৯৩/২ নং দোকানটি তার আরেক ছেলে আফছার আলী। আফছার আলী এই দোকানটিতে দীর্ঘ বছর ধরে মাছুম সু স্টোর নামে জুতা সেন্ডেলের ব্যাবসা করে আসছেন।

বৃহস্পতিবার তার বাবা আকবত আলী ও তার মেজো ছেলে আনছার আলী হঠাৎ করে আফসার আলীর দোকানের পার্টিশন ভেঙ্গে তা দখল করে নেন। সেই সাথে আফছার আলীর দোকানের চেয়ার টেবিল ভাংচুর সহ দোকানের মালামাল ফেলে দেন।

আফছার আলী জানান তার বাবার দুইটা বিয়ে। দুই সংসারে তারা ৪ ভাই ৩ বোন।তিনি তাকে সহ আরেক ভাইকেও দোকানের পজিশন বুঝে দেন।সেই সাথে তিনি নিজের জন্যও একটি বড় দোকান রেখে দেন।দোকান গুলি

৪ ভাই এর নামে লিখে দেবার কথা।আমি বলেছি প্রয়োজনে আপনি সব দোকান একা নেন কিন্তু সকল ভাই এর নামে সমবন্টন করে দেন। যাতে ভবিষ্যতে সকলে এখানে অধিকার পাই। কিন্তু এখন তিনি চক্রান্ত করে তাকে ফাঁকি দেবার উদ্দশ্য বাকি ৩ ছেলেকে দেবেন বলে হঠাৎ করে আজ দোকানের পার্টিশন ভেঙ্গে তা জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছেন ও চেয়ার টেবিল ভাংচুর সহ দোকানের মালামাল ফেলে দিয়েছেন।যাতে করে তার প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।

তিনি আরো জানান তিনি দীর্ঘদিন ধরে সংসারে হাল ধরে আছেন । পিতা মাতা সহ ভাই বোনদের দেখা শোনা করে আসছেন,তাদের ওষুধপত্র সব কিনে দেন।তারপরও ১৫ ফুট চওড়া ২৮ ফুট লম্বা এ দোকানগুলোর মধ্য ইতিমধ্যই মেজো ছেলে আনছার ১০ ফুট দখল করে ব্যাবসা করছে আসছে একবার ব্যাবসার ৬০ হাজার টাকা নিয়ে বরিশাল পালিয়ে যায়।ভাই বোন কারো দেখাশোনা করেনা।বরং সে বাড়ি এসে দোকান দখল সহ তাকে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিচ্ছে।এ বিষয়ে আফছার কার্পাসডাঙ্গা বাজার দোকান মালিক সমিতিতে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে তার পিতা আকবত আলী মালিথার সাথে কথা বললে তিনি দোকান নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।




কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের দাফন সম্পন্ন

কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক (দিবা শাখা) মো: আনোয়ার হোসেন দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বাদ জোহর কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা এলাকার ছতিয়ান ঈদগাহ ও গোরস্থানে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়।

এরআগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাযা নামাজে কুষ্টিয়ার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আরিফুজ্জামান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ, কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক এফতেখাইরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হকসহ সকল শিক্ষক ও শুভাকাঙ্ক্ষী এবং মুসল্লীরা উপস্থিত ছিলেন। জানাযা নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা রুহুল আমিন।

পরিবারসুত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার রাতে বুকে ব্যাথা অনুভব করলে দ্রুত তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তিনি মারা যান।

সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের এই শিক্ষক হাসিখুশি প্রানবন্ত মানুষ হিসেবে সমাদৃত ছিলেন। শিক্ষার্থী ও সকল শিক্ষকদেরও প্রিয় ছিলেন আনোয়ার হোসেন।

পাঠকদের কাছে তিনি নেহাল আনোয়ার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন তার কবিতা ও উপন্যাস নিয়ে। গেলো বছর বইমেলায় তার দুইটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়। এবারের বইমেলাতেও একটা কবিতার বই আসার কথা রয়েছে। কিন্তু বড্ড অসময়ে তাঁর চলে যাওয়া কোন ভাবেই মানতে পারছে না তার স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, আনোয়ার হোসেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।




মেহেরপুরে আন্তঃ শেখ কামাল স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

মেহেরপুরে আন্তঃ শেখ কামাল স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে মেহেরপুর জেলা পর্যায়ে শেখ কামাল আন্তঃ স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) লিউজা-উল জান্নাহ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত জেলা প্রশাসক ড.মুহাম্মদ মুনসুর আলম খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আজমল হোসেন।

সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিংকন বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওবায়দুল্লাহ, এনডিসি গোলাম রাব্বানী, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রনি খাতুন, রিফাত জাহান, আবির হোসেন, সুমাইয়া জাহান ঝুরকা, জেলা ক্রীয়া অফিসার আরিফ আহমেদ, জেলা শিক্ষা অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান, সদর উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আনারুল ইসলাম, আশরাফপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাজউদ্দীন প্রমুখ।

জেলা পর্যায়ে খেলায় ৩ উপজেলার প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারীরা অংশগ্রহণ করছে।




বিনা টাকায় পুলিশে চাকরি–পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশিকুর রহমান

চাকরি নয় সেবা’ শ্লোগানে স্মার্ট পুলিশ তৈরি করতে মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা হবে। পুলিশের চাকরি পেতে টাকা-পয়সা লাগে না। সন্তানের চাকরির জন্য অভিভাবকদের জমিজমা বিক্রি করতে হবে না। কারো কোন তদবিরও লাগবে না। মাত্র ১২০ টাকায় কনস্টেবল পদে পুলিশে চাকরি দেওয়া হবে। এর মধ্যে ১০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট এবং ২০ টাকার ফরম কিনেই হবে যোগ্য প্রার্থীর চাকরি।

এ কথা বলেছেন ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশিকুর রহমান বিপিএম পিপিএম(বার)।

তিনি বলেন, আগামী ২ মার্চ(বৃহস্পতিবার) ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনস মাঠে কনস্টেবল পদে লোক নিয়োগ হবে। নিয়োগের সময় অনেকে প্রতারণার শিকার হন। চাকরির জন্য দালাল ধরেন। অনেক সময় দেখা যায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে দালালেরা ১০জন প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করে। তাদের মধ্যে যোগ্যতার ভিত্তিতে এক/দুইজনের চাকরি হয়ে যায়। তখন দালালেরা চাকরি দিয়েছে বলে দাবি করে এবং চুক্তিকৃত টাকা আদায় করে। এ ধরনের প্রতারণার বিষয়ে সচেতন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশিকুর রহমান।

সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, বিনা টাকায় পুলিশে নিয়োগের এই বার্তা আপনারা জেলার সব জায়গায় পৌঁছে দেবেন। সরকারি বিধিবিধান অনুযায়ী লাইনে দাঁড়াবেন। কেবল শারীরিক ভাবে যোগ্য,লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাই মেধার ভিত্তিতে চাকরি পাবে। এজন্য ঘুষ ও কোন প্রকার তদবির লাগবে না। যদি কেউ কোথাও চাকরির জন্য টাকা দাবি করে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিন।




মেঘনায় ধরা পড়লো ১৬০ কেজির শাপলা পাতা মাছ

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে প্রায় ১৬০ কেজি ওজনের শাপলা পাতা মাছ। ২৮ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে মাছ ব্যবসায়ী ছিদ্দিক বেপারী মাছটি কিনেছেন। এতো বড় মাছ এর আগে মেঘনার কমলনগর অংশে ধরা পড়েনি বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে জেলেরা মাছটি উপজেলার মতিরহাট ঘাটে নিয়ে আসেন। জোয়ারে বঙ্গোপসাগর থেকে মাছটি ভেসে আসতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের। মাছটি দেখতে উৎসুক জনতা ঘাটে ভিড় জমিয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. খোকন জানান, উপজেলার মোল্লা বাড়ির জেলে হাকিম মোল্লার জালে মাছটি ধরা পড়ে। মাছটি ছিদ্দিক বেপারী ২৮ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে নিয়েছে। এটি ঢাকায় পাঠানো হবে।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, এটি সামুদ্রিক মাছ। জোয়ারের সময় সাগর থেকে মাছটি নদীতে চলে আসে। তখন জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে। বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি হওয়ায় ছোট আকারের শাপলা পাতা মাছ প্রায়শই মেঘনা নদীতে ধরা পড়ে। তবে মেঘনার কমলনগর অংশে এতো বড় শাপলা পাতা মাছ ধরা পড়ার ঘটনা এটিই প্রথম।

তিনি আরও বলেন, বাজারে এ মাছের চাহিদা রয়েছে। বিরল প্রজাতির এই সামুদ্রিক মাছটিকে স্থানীয়ভাবে ‌‌হাউস মাছ বলা হলেও এর নাম রে ফিন ফিস বা স্টিং ফিস। তবে শাপলা পাতা মাছ নামেই বেশি পরিচিত।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা

দামুড়হুদায় ২১শে ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার সময় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের সভা কক্ষে এই প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিদা বেগম, দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস, উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা পাট অফিসার রিয়াজুল ইসলাম, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি লুৎফুল কবির, পার কৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, কুড়ালগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিনসহ উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান বৃন্দ।