স্বাধীনতার ৫১ বছরে ২২ রাষ্ট্রপতি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি। আর এর পর গত একান্ন বছরে যারা সরকারপ্রধান ছিলেন, তাদের মধ্যে কেউ রাষ্ট্রপতি, কেউ প্রধানমন্ত্রী, কেউ প্রধান উপদেষ্টা আবার কেউ সামরিক শাসন জারি করে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দেশ শাসন করেছেন।

তবে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ২১ জন। আর নতুন করে মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু এই দায়িত্বে এলে এ পর্যন্ত ২২ জন রাষ্ট্রপতি পাচ্ছে বাংলাদেশ।

স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন—

প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান: ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ থেকে ১২ জানুয়ারি ১৯৭২। মোট ২৭০ দিন।

দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম: ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ থেকে ১২ জানুয়ারি ১৯৭২। মোট ২৭০ দিন। (ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি)

তৃতীয় রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী: ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৩। মোট ৩৪৬ দিন।

৪র্থ রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদউল্লাহ: ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৩ থেকে ২৭ জানুয়ারি ১৯৭৪। মোট ১ বছর ৩৪ দিন। (ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি)

৫ম রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদউল্লাহ: ২৭ জানুয়ারি ১৯৭৪ থেকে ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫। মোট ৩৬৩ দিন।

৬ষ্ঠ রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান: ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ থেকে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫। মোট ২০২ দিন।

৭তম রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ: ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ থেকে ৬ নভেম্বর ১৯৭৫। মোট ৮৩ দিন।

৮ম রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম: ৬ নভেম্বর ১৯৭৫ থেকে ২১ এপ্রিল ১৯৭৭। মোট এক বছর ১৬৬ দিন।

৯ম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান: ২১ এপ্রিল ১৯৭৭ থেকে ৩০ মে ১৯৮১। মোট চার বছর ৩৯ দিন।

১০তম রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার: ৩০ মে ১৯৮১ থেকে ২০ নভেম্বর ১৯৮১ (ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি)

১১তম রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার: ২০ নভেম্বর ১৯৮১ থেকে ২৪ মার্চ ১৯৮২। মোট ২৯৮ দিন।

পদ খালি (২৪ – ২৭ মার্চ ১৯৮২)

১২তম রাষ্ট্রপতি আ ফ ম আহসানউদ্দিন চৌধুরী: ২৭ মার্চ ১৯৮২ থেকে ১০ ডিসেম্বর ১৯৮৩ মোট ১ বছর ২৫৮ দিন।

১৩তম রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ: ১১ ডিসেম্বর ১৯৮৩ থেকে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০। মোট ৬ বছর ৩৬০ দিন।

১৪তম রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ: ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ থেকে ১০ অক্টোবর ১৯৯১। মোট ৩০৮ দিন।

১৫তম রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস: ১০ অক্টোবর ১৯৯১ থেকে ৯ অক্টোবর ১৯৯৬। মোট চার বছর, ৩৬৫ দিন।

১৬তম রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ: ৯ অক্টোবর ১৯৯৬ থেকে ১৪ নভেম্বর ২০০১। মোট পাঁচ বছর ৩৬ দিন।

১৭তম রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী: ১৪ নভেম্বর ২০০১ থেকে ২১ জুন ২০০২। মোট ২১৯ দিন।

১৮তম রাষ্ট্রপতি জমিরউদ্দিন সরকার: ২১ জুন ২০০২ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর ২০০২। মোট ৭৭ দিন।

১৯তম রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ: ৬ সেপ্টেম্বর ২০০২ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯। মোট ছয় বছর ১৫৯ দিন।

২০তম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ থেকে ২০ মার্চ ২০১৩। মোট ৪ বছর ৩৬ দিন।

২১তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ: ১৪ মার্চ ২০১৩ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত।

এবার ২২তম রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। আজ রোববার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর মনোনয়নপত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেন। আজ বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দিতে পারবেন পদপ্রত্যাশীরা।

আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হওয়ার কথা এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।

তবে জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় চুপ্পুই হচ্ছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুর সরকারি কলেজে পিঠা উৎসব

মেহেরপুর সরকারি কলেজে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন এমপি।

এসময় ফরহাদ হোসেন বলেন, পিঠা উৎসব অনুষ্ঠান এই কলেজের সুন্দরতম একটি অনুষ্ঠান। যে কলেজে দাড়িয়ে কথা বলছি। মুক্তিযুদ্ধে এই কলেজের অবদান অপরিসীম। এ কলেজ থেকে শিক্ষা অর্জন করে শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জীবনে প্রবেশ করেছে। এই কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতে আনন্দঘন পরিবেশে শিক্ষা জীবন পার করতে পারে তার জন্য একটি সুন্দর ক্যাফেটরিয়া ও ছাত্র হোস্টেল নির্মাণের চেষ্টা করবো।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মেহেরপুরে মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পাস হয়েছে। আমরা এখন একজন ভিসি নিয়োগ দেব। ভিসি নিয়োগ দেওয়ার এর কার্যক্রম শুরু হবে। এখানে আধুনিক বিষয়গুলি লেখাপড়া করানো হবে। যে বিষয়গুলোর চাহিদা সারাবিশ্বে আছে।

পিঠা উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শফিউল ইসলাম সরদার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার রাফিউল ইসলাম, কলেজের উপাধাক্ষ্য আব্দুর রাজ্জাক, গাংনী পৌর মেয়র আহমেদ আলী।

স্বাগত বক্তব্য দেন পিঠা উৎসব আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল ধুমকেতু।
পিঠা উৎসবে ২২টি স্টলে হরেক রকমের পিঠা প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ. করা হয়েছে।




গাংনীর জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠান

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবীন বরণ ও নতুন ভবন উদ্বোধন এবং এসএসসি ছাত্র-ছাত্রীদের বিদায় অনুষ্ঠান ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার(১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয় প্রঙ্গনে এসকল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে নবীণ বরণ অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-২(গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন (এমপি)। জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন,ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাসার, গাংনী পৌরসভার কাউন্সিলর মোতালেব হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত,জাতীয় পতাকা উত্তোলন নবীণদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। বিভিন্ন ডিস্পেপ্রদর্শন করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বিদায়ী সম্বর্ধনা দেয়া হয়। পরে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষকদের ফুল ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সব শেষে একটি ৪ তালা ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন এমপি।




মেহেরপুরে শান্তি সমাবেশের কথা জানতেন না চার সহ-সভাপতি

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কেও শান্তি সমাবেশে ৮ সদস্যর মধ্যে চার জনই অনুপস্থিত ছিলেন।

গতকাল শনিবার বিকালে শান্তি সমাবেশের মঞ্চে এ চিত্র দেখা যায়। মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমানে ৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি রয়েছে। এর মধ্যে মঞ্চে ছিলেন সভাপতি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ইব্রাহিম শাহীন। মঞ্চে দেখা যায়নি সহসভাপতি এ্যাড. মিয়াজান আলী, এ্যাড, ইয়ারুল ইসলাম, জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস ও আব্দুল মান্নানকে।

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে এ্যাড. মিয়াজান আলী, আব্দুল মান্নান ও এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম অভিন্ন ভাষায় বলেন, তারা কেউ জানে না এমনকি সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক শান্তি সমাবেশের কথা তাদের জানাননি।

এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম বলেন, লিগ্যাল এইড বিষয়ক একটি সেমিনারে ঢাকাতে আছি। মেহেরপুরে থাকলে না জানালেও যেতাম। যেহেতু এটি সেন্ট্রাল প্রোগ্রাম।

আব্দুল মান্নান বলেন, গত বৃহস্পতিবারও আমি সভাপতির সাথে কথা বলেছি অন্য একটি বিষয় নিয়ে। তবে শনিবার শান্তি সমাবেশ করা হবে আমাকে জানানো হয়নি। আমি শুক্রবারে ঢাকায় এসেছি। জানতে পারলে শান্তি সমাবেশ শেষ করেই ঢাকায় আসতাম।

তবে অপর সহসভাপতি জিয়া উদ্দিন বিশ্বাসের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।




চুয়াডাঙ্গায় কৃষকরা বিক্রি করে দিচ্ছেন কাঁচা গাছসহ ভুট্টা, হুমকির মুখে পোল্ট্রি শিল্প

চুয়াডাঙ্গা জেলায় মাঝপথেই কৃষকরা বিক্রি করে দিচ্ছেন কাঁচা গাছসহ ভুট্টা।এ গাছসহ ভুট্টা বিক্রির ফলে ধংস হয়ে যেতে পারে পোল্ট্রি শিল্প। বর্তমানে মুরগীর ডিম, মুরগীর মাংসের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে পোল্ট্রি ফিডের খাবার। তাই এভাবে কাঁচা গাছসহ ভুট্টা কেটে ফেললে ধংস হয়ে যেতে পারে পোল্ট্রি শিল্পখাত। তাই এ ভাবে চলতে থাকলে পোল্ট্রি শিল্প পড়বে হুমকির মুখে।

খামারিদের নিয়ে ভুট্টার দাম নিয়ে কিছু কথা বলতেই হয়। কেননা এই উপকরনের দাম বেড়ে গেলে দুধ, ডিম, মাছ ও মাংশ সকল জিনিসের দাম বেড়ে যায়। কেননা এটিই খাদ্যের প্রধান ও অন্যতম ফিড ইনগ্রেডিয়েন্ট। বর্তমান ২০২০ সালে করোনা পরবর্তি সময়ে ভুট্টা ৭শ টাকা থেকে ৮শ টাকা মন হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে ১৩শ থেকে ১৫শ টাকা করে মন প্রতি দাম যাচ্ছে। এভাবে কাঁচা ভুট্টা কেটে ফেললে সংকটে পড়বে বলে মনে করছে পোল্ট্রি খামারি ও শিল্প।

জেলায় মোট আবাদি জমির পরিমান ৯৭ হাজার ৫৮২ হেক্টর। দেশে ভুট্টার চাহিদা এবং দাম থাকায় চলতি বছরে সর্বচ্চ ৪৯ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। এসব ভুট্টা রােপন করা হয়েছে নভেম্বর মাসের দিকে। এখন ভুট্টার মােচা বের হয়ে সামান্য লালচে আকার ধারণ করছে। ভুট্টা কাটতে এখনও তিন মাস বাকি। এরই মধ্য ঢাকা মেঘডুবি এগ্রো ফার্ম নামের একটি প্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন অঞ্চলের গ্রামে কাঁচা গাছসহ ভুট্টা কিনছেন। চাষিরা এক বিঘা ভুট্টার জমিতে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্য বিক্রি করছেন। কোম্পানীর লোকজন ভুট্টা চাষিদের জমি থেকে কেটে এনে মেশিন দিয়ে কেটে সাইলেজ বিশেষ ব্যবস্থায় দীর্ঘ মেয়াদি সংরক্ষণ) করছেন।

ভুট্টাসহ গাছ বিক্রেতা কৃষক, তৌহিদ, মুলতাব, কাদের, জমির, তোফাজ্জেল, সুমনসহ অনেকই জানালেন, এখনও ভুট্টা উঠতে তিন মাস বাকি। এরই মধ্যে কাঁচা ভুট্টাসহ গাছ বিক্রি করতে পারছি বলে বিক্রি করে দিয়েছি। কারণ যে ভুট্টা  বিক্রি করছি তা পরিচর্চা করে ঘরে তুলতে এখনও ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ আছে। তার চেয়ে মাঝপথে বিক্রি করায় ঝামেলা এড়ানো এবং নতুন ফসল চাষ করার সুযােগ পাচ্ছি। তাই বিক্রি করে দিয়েছি।

গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে দর্শনা পৌর এলাকার শ্যামপুর গ্রামে এবং বিকালে বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্তবাজার পাড়ায় গিয়ে কুষ্টিয়ার হালসা থেকে আসা কোম্পানীর প্রতিনিধি মোস্তফার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মেঘডুবি এগ্রো ফার্ম নামে আমাদের একটি গরুর খামার আছ। আমাদের গাছসহ কেনা ভুট্টা প্রক্রিয়াজাত করে তারপর গরুকে খাওয়ানো হয় এবং অবশিষ্টগুলো বাজারে বিক্রি করা হয়।

ভুট্টা চাষ সম্পর্কে তিনি বলেন, নভেম্বরের শেষদিকে এগুলো লাগানো হয়েছে। গাছে ভুট্টা ধরতে প্রায় চার মাসের মতো সময় লাগে। ভুট্টা ধরার পর পুরো গাছ আমরা কেটে ফেলি। তারপর মেশিনের সাহায্যে ছোট ছোট পিস করে প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে প্রায় একমাস ড্রাম বা পলিথিনের ভেতর ফেলে রাখি। পরে খুলে গরুর খাওয়ানো হয়। গরুর খামারিরা অনেক সময় ফিড খাওয়ান। এই ফিডের দাম বেশি। সে সব ছোট খামারিদের খরচ কমানোর জন্য এটি আমাদের মূল টার্গেট। আমরা গরুর খাদ্য হিসেবে এই উন্নত গোখাদ্য ভুট্টা সাইলেজ বাজারজাতও করছি। ভুট্টা গরুর সবচেয়ে প্রিয় খাবার। ১ কেজি ভুট্টা সাইলজের দাম ১২ টাকা এবং ৫০ কেজি বস্তার দাম ৬শ টাকা। ব্যয় ও উৎপাদনের আশানুরূপ লাভ না থাকায় শেষ পর্যন্ত অনেক খামার বন্ধ হয়ে যায়। তাই আমরা কমমূল্যে উন্নত গোখাদ্য সরবরাহ করছি।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চদ্র সাহ বলেন, এবছর চুয়াডাঙ্গা জেলাতে সর্বচ্চ ভুট্টার চাষ হয়েছে। তবে গাছসহ ভুট্টা বিক্রি হচ্ছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। চাষিরা লাভবান হলে ভালাে কথা। তার পরও খোঁজ নিয়ে দেখবো।

জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডাঃ মিহির কান্তি বিশ্বাস বলেন, এটা গরুর জন্য স্বাস্যসন্মত এবং উৎপাদন বৃদ্ধি জাত খাবার। জেলাতে এখাবার উৎপাদন হয় কিনা আমার জানানেই। তবে এ সাইলেজ গরুর জন্য খুবই উপকারী।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন আমরা শুনেছি গো খাদ্য হিসাবে সাইলেজ তৈরি হচ্ছে।তবে এ সাইলেজ তৈরি হলে লাভবান হবে কৃষক। লাভবান হবে গরুর খামিরিরা।




আজ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের মিশন

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আজ আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করছে বাংলাদেশ। হারের বৃত্ত ভেঙ্গে জয় দিয়ে এবারের বিশ্বকাপ শুরুর স্বপ্ন বাংলাদেশের মেয়েদের।

আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এবার বিশ্বকাপে মোট ১০টি দল অংশ নিচ্ছে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে গ্রুপ-এ’তে বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। গ্রুপ-‘বি’তে আছে গতবারের রানার্স-আপ ভারত, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

গেল বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে এবারের মূল প্রতিযোগিতায় নাম লেখায় বাংলাদেশ। ফাইনালে আয়ারল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। অবশ্য বাছাইপর্বের রানার্স-আপ হিসেবে মূল পর্ব খেলছে আইরিশরাও।

এই নিয়ে পঞ্চমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে প্রথম বিশ্বকাপে খেলতে নেমেছিলো লাল সবুজের জার্সিধারীরা। এরপর ২০১৬, ২০১৮ ও ২০২০ বিশ্বকাপে অংশ নিলেও প্রতিটি আসরেই প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে টাইগ্রেসদের।

এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের মঞ্চে মোট ১৭টি ম্যাচ খেলে মাত্র ২টিতে জয় ও ১৫টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে হওয়া আসরে গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কাকে ৩ রানে ও নবমস্থান প্লে-অফের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ১৭ রানে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। এরপর ২০১৬, ২০১৮ ও ২০২০ সালের আসরে জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ।

এবার হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে নতুন ইতিহাস গড়ার স্বপ্নে উজ্জীবিত জ্যোতি-সালমারা। কারণ ২০২০ সালে এই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিলো বাংলাদেশের ছেলেরা। পচেফস্ট্রুমে হওয়া ঐ ফাইনালে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে হারিয়েছিলো ভারতকে।

এছাড়া গেল বছরের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিলো বাংলাদেশ জাতীয় দল। ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৯ ও জাতীয় দলের সাফল্যে উজ্জীবিত জ্যোতি-সালমারা।

বিশ্বকাপের আগে আইসিসির দু’টি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচেই অবশ্য হেরেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের কাছে ৬ উইকেটে ও ভারতের কাছে ৫২ রানে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয় দিয়ে মোমেন্টাম নিজেদের দিকে নেওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের। দেশ ছাড়ার আগে এমনটাই বলেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

জ্যোতি বলেন, ‘মোমেন্টাম পেতে হলে প্রথম ম্যাচ থেকেই আমাদের ভালো করতে হবে। আমাদের বিশ্বাস আছে, মোমেন্টাম পেলে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো। আমি মনে করি গ্রুপ পর্বে দু’টি বা তিনটি ম্যাচে জয় সম্ভব। আমাদের শুধু দরকার মোমেন্টাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর আমাদের দল খুবই ভারসাম্যপূর্ণ। তরুণ ও অভিজ্ঞদের সংমিশ্রনে গড়া আমাদের দলটি। আমরা এই দলের কাছে সেরা পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করছি।’

বাংলাদেশ স্কোয়াড : নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), মারুফা আকতার, দিলারা আকতার, ফাহিমা খাতুন, সালমা খাতুন, জাহানারা আলম, শামীমা সুলতানা, রুমানা আহমেদ, লতা মন্ডল, স্বর্ণা আকতার, নাহিদা আকতার, মুর্শিদা খাতুন, রিতু মনি, দিশা বিশ্বাস ও সোবহানা মোস্তারি।




দামুড়হুদা হাউলী ইউনিয়ন পরিষদে লোকমোর্চার উদ্যোগে ডায়ালগ ও লবি সভা

দামুড়হুদা হাউলী ইউনিয়ন পরিষদে লোকমোর্চার উদ্যোগে ডায়ালগ ও লবি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বেলা ১১টার দিকে হাউলী ইউনিয়ন পরিষদে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওয়েভ ফাউন্ডেশন এর সামাজিক সুরক্ষা কর্মসুচি প্রকল্প (এসপিপিএস) এর আওতায় হাউলী ইউনিয়ন লোকমোর্চার সদস্যগণ,হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম এর সাথে ইউনিয়ন পরিষদ প্রদত্ত বিভিন্ন ভাতা প্রদানের যাচাই-বাছাই কমিটিতে লোকমোর্চার প্রতিনিধি যুক্ত করণ ও ভাতার দাবী নিয়ে ডায়ালগ ও লবি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

লোকমোর্চার সাধারণ সম্পাদক মজিবার রহমানের সভাপতিত্বে সভার প্রধান অতিথি ছিলেন হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম। এসময় চেয়ারম্যান লোকমোর্চা প্রতিনিধিদের ভাতা প্রদান যাচাই-বাছাই কমিটিতে যুক্ত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে সঠিক তালিকা তৈরি করে ইউপি সদস্যদের কাছে প্রদানের জন্য আহ্বান জানান।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সমন্বয়কারী আনিসুর রহমান। হাউলী ইউনিয়ন লোকমোর্চার উপদেষ্টা টিপু সুলতান,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল হাসান তোতা, প্রচার সম্পাদক তানবিরুল ইসলাম রাসেল শাহ্, নির্বাহী সদস্য শমসের আলী, শারমিন সুলতানা,হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য, জাহাঙ্গীর আলম টিক্কা,রিকাত আলী, আব্দুল্লাহ সেলিম,শাহাজামাল,রশনারা, রহিমা খাতুন সহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রোগ্রাম অফিসার ফরহাদ হোসেন।




সাহাবুদ্দিন চুপ্পুই হচ্ছেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদের সমর্থিত প্রার্থীই হবেন রাষ্ট্রপতি। সে হিসেবে চুপ্পুই হচ্ছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থী হিসেবে তার নাম চূড়ান্ত করেছেন।

রোববার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে তার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাই ১৩ ফেব্রুয়ারি। প্রত্যাহার ১৪ ফেব্রুয়ারি। সংসদ ভবনে ভোটগ্রহণ হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। অবশ্য রাষ্ট্রপতি পদে একক প্রার্থী হলে ভোটের প্রয়োজন হবে না। সে ক্ষেত্রে ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিনেই একক প্রার্থীকে রাষ্ট্রপতি পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টি প্রার্থী না দেওয়ার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে। তাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থীই হচ্ছেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি।

পাবনার সন্তান মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর জন্ম ১৯৪৯ সালে। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর পরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা হয়। যাতে হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ওসব ঘটনার তদন্তে কমিশন’ গঠন করেন, যার প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সূত্র: যুগান্তর




তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়ালো

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ছাড়ালো নিহতের সংখ্যা। এর মধ্যে তুরস্কেই ২৪ হাজার ৬১৭ জন এবং সিরিয়ায় ৩ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিবিসি ও আল-জাজিরার খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় ৬ দিন পর উদ্ধারকারীরা তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ধ্বংসস্তূপ থেকে সাত মাস বয়সী এক শিশু এবং এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে। এখনও অনেকেই জীবিত উদ্ধার হচ্ছেন।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে, গাজিয়ানটেপ শহরের একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৩ বছর বয়সী এসমা সুলতানকে টেনে বের করা হয়।

এদিকে, দুই দেশ মিলিয়ে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের ত্রাণ প্রধান মার্টিন গ্রিফিথ। তিনি বলেন, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে বর্তমান মৃতের সংখ্যা থেকে ‘দ্বিগুণ বা তার বেশি’ হতে পারে।

মার্টিন গ্রিফিথ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে বলেছেন, আমি মনে করি নিহতের সংখ্যা সঠিকভাবে অনুমান করা কঠিন। আমাদের ধ্বংসস্তূপের নিচে নামতে হবে। আমি নিশ্চিত যে মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বা তার বেশি হবে।

অপরদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান সানলিউরফা শহর পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন, শুধু তুরস্কেই এখন পর্যন্ত ৮০ হাজার ১০৪ জন আহত হয়েছেন। সড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক স্থান ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ায় প্রথমিকভাবে উদ্ধারকাজের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তুরস্কের এক কোটি ৩৫ লাখ মানুষ বসবাস করেন।




‘বিএনপির নীতিই হলো দুর্নীতি, শুধু লুটপাট করতে জানে’ -প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি

সারাদেশে বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নির্দেশনা অনুযায়ী মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বিকাল ৩ টার দিকে মেহেরপুর শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন এমপি ।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নীতিই হলো দুর্নীতি। বিএনপি ক্ষমতাই থাকলে শুধূ লুটপাট করতে জানে। তারা এতিমের টাকা আত্মসাত করে, হাওয়া ভবন ও খাওয়া ভবন তৈরি করে। বিএনপি ক্ষমতাই থাকা অবস্থায় দেশে যে হাহাকার হয়েছে সেটি মানুষ দেখেছে।

জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড ইব্রাহিম শাহিন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, সাবেক দপ্তর সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম মোমিন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড আ খ ম হারুন ইমতিয়াজ বিন জুয়েল, মুজিবনগর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মহাজনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি এনাম হোসেন বকুল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসেম আলী, কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা, তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা, বুড়িপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, শ্যামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, আমদাহ ইউপি চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন, সাবেক সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন, পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম হোসেন, সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আদিব হাসান আসিফ, সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, ছহিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ও বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ সভাপতি এস এম আল রাতুল, আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।