সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই গ্রেপ্তার

ব্যবসায়িক পার্টনার দেবাশীষ বাগচীর দায়ের করা একটি চেক ডিজঅনার মামলায় জামিন আদালতে হাজিরা দিতে এসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের দায়েরকৃত সন্ত্রাস বিরোধ আইনের একটি মামলায় গ্রেফতার হয়েছে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই সহিদ সরফরাজ হোসেন মৃদুল।

মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি মেহেরপুর সদর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মৃদুল কে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার করে।

বিস্তারিত আসছে..




এবার এআই বটে চলবে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পরিচালিত বট আনার পরিকল্পনা করছে মেটা, যা সাধারণ ব্যবহারকারীদের মতো আচরণ করবে। এ বটগুলো পোস্ট, শেয়ার, লাইকসহ বিভিন্ন কাজ করতে সক্ষম হবে। মেটার এ উদ্যোগের মাধ্যমে প্লাটফর্মগুলো আরও মজাদার ও আকর্ষণীয় হবে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।

মেটার জেনারেটিভ এআই পণ্য বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট কনর হেইস জানান, ‘এআই অ্যাকাউন্টগুলো সাধারণ প্রোফাইলের মতো বায়ো ও প্রোফাইল ছবি থাকবে এবং তা এআই কনটেন্ট তৈরি ও শেয়ার করতে পারবে। আমরা আশা করছি, সময়ের সঙ্গে এআই বটগুলো সাধারণ অ্যাকাউন্টের মতোই কার্যকর হবে।’

এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে মেটা ব্যবহারকারীদের এআই ক্যারেক্টার তৈরির সুযোগ দেয়। তবে সেটি আপাতত যুক্তরাষ্ট্রেই সীমাবদ্ধ এবং পাবলিক পোস্টে শেয়ারের সুযোগ নেই।

প্রতিবেদন অনুসারে, মেটা ইতোমধ্যেই এআই চ্যাটবট, ইনস্টাগ্রাম ডিএমে এআই রাইটিং টুল এবং ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্য এআই অ্যাভাটার চালু করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এআই অ্যাকাউন্ট প্লাটফর্মে মিথস্ক্রিয়া বাড়াবে। তবে এর সঙ্গে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। তাদের মতে, এআই পরিচালিত অ্যাকাউন্ট থেকে ভুল তথ্য ছড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে, যা প্লাটফর্মে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া, বর্তমান এআই মডেলের সীমাবদ্ধতার কারণে নিুমানের কনটেন্ট ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কাও রয়েছে। এতে ব্যবহারকারীরা ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন।

মেটার ভাষ্যমতে, এআই বটের ব্যবহার প্লাটফর্মের গ্রহণযোগ্যতা ও আকর্ষণীয়তা বাড়াবে। পাশাপাশি, সামাজিক অ্যাপগুলোতে মানুষের মিথস্ক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে। প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার দিনদিন বাড়ছে। তবে এর নিরাপত্তা ও নৈতিক দিক বিবেচনা করে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা মেটার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

সূত্র: যুগান্তর




কুষ্টিয়ায় অস্তিত্বহীন ও বন্ধ মিলের নামে সরকারি চাল বরাদ্দ

কুষ্টিয়ায় ২২টি চালের মিলের মধ্যে অধিকাংশ মিলেরই অস্তিত্ব নেই। মিল বন্ধ দীর্ঘদিন, তবুও বরাদ্দের তালিকায় মিলের নাম। জেলায় অস্তিত্বহীন মিলের নামে চাল বরাদ্দ আজ নতুন নয়।

বছরের পর বছর এমন অনিয়ম হয়ে এলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না ওই সমস্ত মিলের বিরুদ্ধে। আর এমন অনিয়মের ফাঁকেই সংশ্লিষ্ট খাদ্য কর্মকর্তারা লুটে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। এর সঙ্গে খাদ্য বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তার পাশাপাশি জড়িত প্রভাবশালী চালকল মালিকেরাও।

কুষ্টিয়ায় হাস্কিং এবং অটো মিলিয়ে সর্বমোট রাইস মিলের সংখ্যা প্রায় পাঁচ শতাধিক। এসব মিলারের কাছ থেকেই সংগ্রহ করা হয় সরকারের আপদকালীন চাল। চাল সরবরাহে চালকল মালিকদের যে পরিমাণ বরাদ্দ আসে, তাতে বিপুল অর্থ পকেটে যায় মিলার অর্থাৎ চালকল মালিকদের। তবে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চাল সরবরাহ লাভজনক হওয়ায় অস্তিত্বহীন মিলের নামেও দেওয়া হয় চালের বরাদ্দ। যার সংখ্যাও কম নয়।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের বড়ইটুপি গ্রামের ‘ভাই ভাই’ রাইস মিল। ওই মিলের কোনো অস্তিত্ব নেই প্রায় এক যুগেরও বেশি সময়। অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়ায় মালিক সামসুল আলম মিলটি বন্ধ করে দিয়েছেন। বছরের পর বছর এই মিলের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাতে জন্মেছে আগাছা। বয়লারেরও অস্তিত্ব নেই। সাইনবোর্ড না থাকায় চেনারও উপায় নেই অথচ বন্ধ এই মিলের নামে বছরের পর বছর আসে চালের বরাদ্দ। এবারের বিভাজনেও দেওয়া হয়েছে ১৩ দশমিক ২৯০ মেট্রিক টন চালের বরাদ্দ।

মিলটির মালিক সামসুল আলম জানান, হাস্কিং মিলের ব্যবসা এখন আর নেই। অটো মিলের দাপটে মিলটি বন্ধ করা হয়েছে। তবে তার মিলের নামে বরাদ্দের বিষয়ে তিনি জানান, আমার মিলের নামে কে গুদামে চাল দেন, তা আমি জানি না। স্থানীয় বাসিন্দা শফিউল্লাহ জানান, একসময় মিলটি বেশ জাঁকজমকপূর্ণ ছিল। কিন্তু অর্থাভাবে মিলটি আর চালাতে পারেন না। চাতাল, বয়লার বন্ধ প্রায় ১৫ বছর।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আরেকটি মিল ‘রহমত’ রাইস মিল। এই মিলটিও বন্ধ হয়েছে প্রায় বছর তিনেক আগে। চালাতে না পারায় বিক্রি করে দিয়েছেন মালিক রেজাউল করিম। খাদ্য বিভাগের হিস‍াব বলছে, রেজাউল করিম নিজেই সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করেন। তবে রেজাউল করিম জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।

সদরের চেয়ে আরো ভয়াবহ অবস্থা কুমারখালীর। ২২টি মিলের মধ্যে অধিকাংশ মিলেরই অস্তিত্ব নেই। ধানের চাতাল আছে, কার্যক্রম নেই। বছরের পর বছর ধরে বয়লারে আগুন জ্বলে না। চালের মিলে ডাল, চিড়া-মুড়ি উৎপাদনে ব্যস্ত।

কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়ায় শরিফ রাইস মিল। প্রায় ১৫ বছর আগে চালের কারবার বন্ধ রয়েছে। সেই থেকে ওই মিল হয়ে গেছে ডাল মিল। মিলের মালিক আবু ওয়ালী নোমান ডাল ব্যবসায়ে প্রতিষ্ঠিত অথচ তার মিলের নামে বছরের পর বছর চালের বরাদ্দ দেওয়া হয়। এবারো পেয়েছেন ১৩ দশমিক ৬৮০ মেট্রিক টন বরাদ্দ।

তিনি জানান, হাস্কিং মিলের ব্যবসা নেই। তাই বাধ্য হয়েই ডালের ব্যবসায়ে ঝুঁকেছেন তিনি। তবে খাদ্যগুদামে তিনি চাল সরবরাহ করেন না বলে জানান।

কুমারখালীর কাঞ্চনপুর ও নগর সাঁওতা এলাকার মোতালেব ও ওয়াসেল রাইস মিলের অবস্থাও অনেকটা একই রকম। মিল বন্ধ দীর্ঘদিন। তবুও বরাদ্দের তালিকায় তাদের মিলের নাম।

কীভাবে এবং কেনই বা অস্তিত্বহীন মিলের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয় চালের? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনো মিলের নামে চালের বরাদ্দ দেওয়ার আগে ওই সমস্ত মিল বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য কিনা সে বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা। ওই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে দেওয়া হয় বরাদ্দ। কিন্তু খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা দায়সারা প্রতিবেদনে বন্ধ এবং অস্তিত্বহীন মিলের নামেও বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। বিনিময়ে এসব মিলারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে কমিশন পান। যার পরিমাণও কম নয়। কয়েক কোটি টাকা।

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য কর্মকর্তা আল ওয়াজিউর রহমান নিজেদের পক্ষে সাফাই গেয়ে জানান, অস্তিত্বহীন মিলের নাম বরাদ্দের তালিকায় নেই। যেসব মিল বন্ধ রয়েছে, সেসব মিলের সঙ্গে চুক্তি করা হয়নি। তবে এর বাইরেও কোনো মিলের অসঙ্গতি থাকলে ওসব মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরমধ্যে বেশকিছু মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন এই খাদ্য কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় নেতা ও কুষ্টিয়া দেশ অ্যাগ্রো ফুডের স্বত্বাধিকারী এমএ খালেক জানান, সরকার কোনো মিলের সঙ্গে চুক্তি করার আগে মিলগুলো চাল সরবরাহের যোগ্য কিনা তা যাচাই-বাছাই করে থাকে। যদি সঠিকভাবে তদন্ত করা হয়, সেক্ষেত্রে এমন অনিয়ম হওয়ার কথা নয়।

কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রধান জানান, চাল বরাদ্দের সঙ্গে আমাদের সংগঠন জড়িত নয়। তবে কেউ যদি এমন অনিয়মে জড়িত থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

সচেতন নাগরিক কমিটি কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি রফিকুল আলম টুকু জানান, বছরের পর বছর অস্তিত্বহীন মিলের নামে চালের বরাদ্দের অভিযোগ শুনে আসছি কুষ্টিয়া খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট মিল মালিক এবং খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

চলতি আমন মৌসুমে জেলার প্রায় দুই শতাধিক মিলারের কাছে ৪৭ টাকা কেজি দরে প্রায় ১৯ হাজার মেট্রিক টন চাল কেনার চুক্তিবদ্ধ হয়েছে কুষ্টিয়া খাদ্য বিভাগ।




দামুড়হুদায় তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি মূলক সভা

দামুড়হুদায় তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১ টায় “এসো দেশ বদলায় পৃথিবী বদলায়” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের সভাকক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ মহলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তারা তারুণ্যের সম্ভবনাকে এগিয়ে নিতে স্কুল- কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য দেশীয় ঐতিহ্যবাহী প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন খেলাধূলাসহ, ফুটবল, ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা, মাদক মুক্ত সমাজ গঠনের জন্য সভা সেমিনারের আয়োজন করা,যুবকদের নিয়ে বিভিন্ন পেশা ভিত্তিক উদ্যাক্তা মূলক সভা সেমিনার আয়োজন করা, মোবাইল আসক্তি দূর করার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে কীভাবে আয় করতে পারি টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ ও প্রচার করা , সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য উম্মুক্ত কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা, নিরাপদ খাবার উৎপাদনের জন্য নিরাপদ উপকরণ ব্যবহারের উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রচার করা, ছাত্র ছাত্রীদের জন্য প্রতিযোগিতা মূলক দেশাত্মবোধক গান, হামদ-নাত গজলের আয়োজন করাসহ তারুণ্যের সম্ভবনাকে এগিয়ে নিতে নানা প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান, কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, সমাজ সেবা কর্মকর্তা তোফাজ্জল হক, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা লীলিমা আক্তার হ্যাপি, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর, দামুড়হুদা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজোহা পলাশ, দর্শনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি একরামুল হক পিপুল, শিক্ষা কর্মকর্তা আবু হাসান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম বজলুর রশীদ, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক মহলদার, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজিদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের আব্দুল করিম বিশ্বাস, হাউলি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, দামুড়হুদা মডেল মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মামুনুর রশীদসহ শিক্ষক প্রতিনিধি, সুধীজন প্রতিনিধি, সাহিত্য সংস্কৃতি প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি,স্বাস্থ্য প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধিসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দরা।




শরীরের গড় তাপমাত্রা নিয়ে নতুন তথ্য হাজির করলেন বিজ্ঞানীরা

মানবদেহের স্বাভাবিক গড় তাপমাত্রা ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনটাই আমরা জেনে এসেছি। কেননা, সেই ছোটবেলায় স্কুলে থেকেই এই তথ্যটা আমাদের শেখানো হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা পুরোনো এই বিশ্বাসকে উল্টে দিয়েছে।

মার্কিন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায় যে, মানবদেহের গড় তাপমাত্রা আর ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস নয়।

গবেষকরা দেখিয়েছেন, মানুষের শরীরের গড় তাপমাত্রা কমে গেছে। মানবদেহের গড় তাপমাত্রা কম হওয়ার প্রধান কারণ হলো আমাদের শরীরের বিপাকীয় হারের পরিবর্তন। গত ২০০ বছরে উন্নত স্বাস্থ্য সুবিধা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ভাল খাদ্য সামগ্রী এবং জীবনযাত্রার উন্নতির কারণে আমাদের শরীরে প্রদাহ কমেছে, যার ফলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রাও কমেছে।

গবেষক দলে অন্যতম সদস্য ডা. পার্সনেট আমাদের শরীরের পরিবর্তনও ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, আমরা যেভাবে জীবনযাপন করি এবং আমাদের চারপাশের পরিবেশ, এই দু’টি উপাদানই আমাদের শরীরে পরিবর্তন আনছে।

তিনি বলছেন, আমাদের ঘরের তাপমাত্রা এখন নিয়ন্ত্রিত, আগের চেয়ে কম ক্ষেত্রে আমরা অণুজীবের সংস্পর্শে আসি এবং আমরা একটি ভাল এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারও খেতে পারি।

ড. পারসননেট আরও বলেছেন, আমরা মনে করি মানুষ সবসময় একই রকম থাকে, কিন্তু এটা সত্য নয়। তাই এটা বিশ্বাস করা বন্ধ করা উচিত যে প্রতিটি মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসলে, প্রতিটি মানুষের স্বাভাবিক তাপমাত্রা আলাদা এবং এটি অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে।

প্রসঙ্গত, এই গবেষণায়, স্ট্যানফোর্ড হেলথ কেয়ারে ২০০৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ৬,১৮,৩০৬ জনের মৌখিক তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছিল।

এছাড়া প্রত্যেকের বয়স, লিঙ্গ, ওজন, উচ্চতা, বিএমআই, ওষুধ খাওয়া এবং স্বাস্থ্যের অবস্থার মতো তথ্যও সংগ্রহ করে স্ট্যানফোর্ডের এই গবেষণাটি কেবল আমাদের দেহ সম্পর্কে আমাদের বোধগম্যতাই বাড়ায় না, তবে এটিও প্রকাশ করে যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ কীভাবে পরিবর্তিত হয়ে চলেছে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস




মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত

মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার গোপনীয় শাখার সহকারী এ এস এম আসাদুল ইসলাম জিকো (৪০) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

আসাদুল ইসলাম জিকো মেহেরপুর সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াদুদ হোসেনের ছেলে। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় মুজিবনগর থেকে মোটরসাইকেলে সহকর্মীর সঙ্গে মেহেরপুর ফেরার পথে কেদারগঞ্জ মোড়ে একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার রাত সাড়ে ১২টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। দুর্ঘটনার পরপরই মুজিবনগর থানা পুলিশ ঘাতক পিকআপ ভ্যান ও এর চালককে আটক করে। এ ঘটনায় মুজিবনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার বাদ জোহর গাঁড়াডোব কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তার নামাজে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হবে।

গাঁড়াডোব ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আখেরুজ্জামান জানান, বাবা-মা মারা যাওয়ার পর জিকো তার শ্বশুর নজরুল ইসলামের গাঁড়াডোবের বাড়িতে বসবাস করতেন।

জিকোর মৃত্যুতে সহকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগঘন পোস্ট করছেন। তারা লিখেছেন, “চাকরিজীবনে জিকো অত্যন্ত ভালো ব্যবহারের অধিকারী ছিলেন। তিনি সবসময় হাসিমুখে সকলের সঙ্গে ভালো আচরণ করতেন। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন জিকোকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।




বুয়েটে নবমসহ বিভিন্ন গ্রেডে চাকরির সুযোগ, আবেদন করুন আজই

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১১টি বিভাগে শিক্ষক নেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে।

১. পুরকৌশল বিভাগ

সহকারী অধ্যাপকের ৪টি পদ (৩টি স্থায়ী ও সহযোগী অধ্যাপকের বিপরীতে ১টি অস্থায়ী পদ)

বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা

২. তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ

সহকারী অধ্যাপকের ৬টি স্থায়ী পদ।

বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা

৩. কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ

সহকারী অধ্যাপকের ২টি স্থায়ী পদ।

বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা

৪. যন্ত্রকৌশল বিভাগ

সহকারী অধ্যাপকের ১টি স্থায়ী পদ।

বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা

৫. কেমিকৌশল বিভাগ

সহকারী অধ্যাপকের ৪টি স্থায়ী পদ।

বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা

৬. ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ

সহকারী অধ্যাপকের ১টি স্থায়ী পদ।

বেতন স্কেল : ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা

৭. ন্যানোম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ

সহকারী অধ্যাপকের ১টি স্থায়ী পদ।

বেতন স্কেল : ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা

৮. পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ

ক) সহকারী অধ্যাপকের ১টি স্থায়ী পদ। বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা

খ) লেকচারারের ২টি অস্থায়ী পদ। বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা

৯. ইনস্টিটিউট অব এপ্রোপ্রিয়েট টেকনোলজি

গবেষণা সহকারী অধ্যাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং)-এর ১টি অস্থায়ী পদ (গবেষণা অধ্যাপক পদের বিপরীতে)

বেতন স্কেল : ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা

১০. ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং

সহকারী অধ্যাপকের ১টি অস্থায়ী পদ (অধ্যাপক পদের বিপরীতে)

বেতন স্কেল : ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা

১১. মানবিক বিভাগ

লেকচারার (ইংরেজি)-এর ১টি অস্থায়ী পদ

বেতন স্কেল : ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফরমে সব অতীত ও বর্তমান চাকরির পদমর্যাদা, বেতন স্কেল ও তারিখ উল্লেখ করে ১৭ সেট আবেদনপত্র রেজিস্ট্রার বরাবর জমা দিতে হবে। এর মধ্যে এক সেটের সঙ্গে ৩ কপি সত্যায়িত ছবি এবং প্রতি সেটের সঙ্গে আবেদনপত্র, সব সনদ, প্রশংসাপত্র, নম্বরপত্র, অভিজ্ঞতার সনদ এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি সংযুক্ত করতে হবে। অসম্পূর্ণ, ভুল ও ত্রুটিপূর্ণ আবেদনপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিস্তারিত জানা যাবে এই লিংকে।

আবেদন ফি

কম্পট্রোলার বুয়েটের অনুকূলে আবেদন ফি বাবদ ৬০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার অথবা কম্পট্রোলার অফিসের নির্ধারিত জমা রসিদের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক বুয়েট শাখায় নগদ টাকা জমা করে টাকার রসিদ সংযুক্ত করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়

২৬ জানুয়ারি, ২০২৫

সূত্র: যুগান্তর




মুজিবনগরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

মেহেরপুরের মুজিবনগরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফকে দাফন করা হয়েছে। উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের প্রয়াত কাজী রওশন আলীর ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুর রউফ (৭০) বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। তিনি গতকাল রবিবার রাত ১০টায় নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মণ্ডল, মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান আলী খান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মরহুমের মরদেহ জাতীয় পতাকায় আচ্ছাদিত করে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করেন।

এ সময় পুলিশের একটি চৌকস দল মরহুমকে গার্ড অফ অনার প্রদান করে। বিউগলের করুন সুরে সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন পরিবেশ। পরিবারের সদস্য, এলাকাবাসী ও সহযোদ্ধারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মরহুমকে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়




মেহেরপুরে সীমানা পুনঃনির্ধারণের দাবিতে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান

মেহেরপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটারদের মধ্যে আমদহ ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হওয়া ভোটারদের নিজ এলাকায় ফেরত আনা ও সীমানা পুনঃনির্ধারণের দাবিতে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ বরাবর একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন আন্দোলনকারীরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মেহেরপুর পৌরসভা, যা ঐতিহাসিকভাবে স্বাধীনতার সূতিকাগার হিসেবে খ্যাত, একটি গুরুত্বপূর্ণ পৌরসভা। ৯টি ওয়ার্ডের সমন্বয়ে গঠিত এই পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯৩৫ জন। তবে গত সরকারের আমলে, অর্থাৎ ২০১৫ সালে, একটি কুচক্রি মহল নিজেদের সুবিধার জন্য মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে। উক্ত রিট পিটিশন নম্বর (১) ৩৪৪১/২০১৫ ও ৩৪৪৪/২০১৫, (২) ১০৮২৯/২০১৫।

এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট ২০১৫ সালের ২ নভেম্বর একটি আদেশ প্রদান করেন, যার ফলে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। একইসঙ্গে, পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ৮০০ ভোটারকে আমদহ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এতে দেখা যায়, একই পরিবারের কিছু সদস্য পৌরসভার ভোটার থেকে যান, আর বাকি সদস্যরা আমদহ ইউনিয়নের ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। অথচ এই পরিবারগুলো দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার সেবা যেমন পৌর কর, বিদ্যুৎ, পানি, এবং অন্যান্য সুবিধা ভোগ করে আসছে এবং এখনো করছে। এ ধরনের বিভাজন একটি গুরুতর বৈষম্য এবং নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বড় বাধা।

আমরা বঞ্চিত এলাকাবাসী নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাই, যেন এই বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটারদের আবার তাদের নিজ এলাকায় ফেরত আনা হয়। পাশাপাশি, সীমানা পুনঃনির্ধারণের মাধ্যমে সঠিক নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাই।

মেহেরপুর পৌরসভা ৯ নং নম্বর ওয়ার্ড জামাতে ইসলামীর সেক্রেটারী সোহেল রানার নেতৃত্বে মানববন্ধনে সাবেক কাউন্সিল সোহেল রানা ডলার, পৌরসভা পেশাজীবী সম্পাদক নুর রহমান, ইমারত শ্রমিকের সদস্য জিন্নাতুল ইসলাম, জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মোঃ আব্দুস সামাদ, জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য হোসেন আলী বাবু, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ভুক্তভোগী মোছাঃ রবিয়াস সানি, রানা ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গোরস্থান পাড়া, শিশু বাগানপাড়া, ইসলামপাড়া ও সার্কিট হাউস পাড়ার এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ভোটার ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা তাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।




রোহিতকে সমর্থন দেওয়ায় সমালোচনার শিকার বিদ্যা

বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে জঘন্য পারফরম্যান্সের পর অস্ট্রেলিয়ার সিডনি টেস্ট থেকে নিজেই সরতে ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের ওপেনার রোহিত শর্মাকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট করেছেন বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা বালান। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে যারপরনাই কটাক্ষের মুখে পড়তে হচ্ছে। অনেকেই বলতে থাকেন অভিনেত্রীকে দিয়ে নাকি রোহিত নিজের প্রচার করাতে এটি লিখিয়েছেন। এবার তার জবাব দিল বিদ্যা বালানের টিম।

গতকাল রোববার (৫ জানুয়ারি) অভিনেত্রীর পিআর টিমের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে এ দাবিকে নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে বিদ্যা বালানের টুইট নিয়ে সম্প্রতি কিছু ধারণা তৈরি হয়েছিল মানুষের মধ্যে। সেখানে তিনি রোহিত শর্মার প্রতি তার মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন। খেলোয়াড় ও অধিনায়ক হিসেবে শেষ টেস্ট ম্যাচ থেকে সরার জন্যই তিনি সেই মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।

এই পোস্টে আরও জানানো হয়েছে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে দেওয়া উচিত। এই পোস্টটি বিদ্যা বালান রোহিতের নিঃস্বার্থ পদক্ষেপ দেখে মুগ্ধ হয়ে নিজেই লিখেছেন। রোহিতের পিআর টিমের অনুরোধে নয়। বিদ্যা বালান খেলার খুব ভক্ত নন, কিন্তু যারা মাথা উঁচু করে চলেন নিজের ক্লাস বজায় রেখে কঠিন পরিস্থিতিতে, তিনি তাদের অনুরাগী। উনি যেটি করেছেন, সেটি স্রেফ তার মুগ্ধতা থেকে করেছেন তা ছাড়া অন্য কিছু নয়।

সম্প্রতি বিদ্যা বালান রোহিতকে নিয়ে একটি টুইট করেছিলেন খেলা থেকে বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেখে। সেখানে তিনি লিখেছিলেন রোহিত শর্মা, কী দারুণ একজন সুপারস্টার। বিরতি নিতে সাহস লাগে। আরও অনেক সাহস, মনের জোর বাড়ুক। শ্রদ্ধা।

উল্লেখ্য, ভুল ভুলাইয়া-৩খ্যাত অভিনেত্রী এই পোস্ট করতেই অনেকে কমেন্ট সেকশনে এসে তাকে কটাক্ষ করতে শুরু করেন। বলতে থাকেন যে, এই টুইট নাকি প্রচারের অংশ। রেডইটে তো আরও একটি পোস্ট ঘুরতে থাকে, যেখানে দেখা যাচ্ছে বিদ্যা সেই পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন, যেটি তাকে দেওয়া হয়েছিল। যদিও তিনি নাকি সেটি সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট করে দেন।

অন্যদিকে রোহিত শর্মা কি খেলা থেকে অবসর নিচ্ছেন? এ বিষয়ে তিনি স্টার স্পোর্টসকে জানিয়েছেন আপাতত তিনি ফর্মে নেই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, পাঁচ মাস পরও একই রকম থাকবে ব্যাপারটি। ফলে তিনি যে এটি সাময়িক একটি বিরতি নিলেন, সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না।

সূত্র: ইত্তেফাক