ঝিনাইদহে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ

ঝিনাইদহ পৌর মডেল স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক পীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে প্রতিষ্ঠানের হল রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ঝিনাইদহ পৌর মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি ও পৌর সভার প্রশাসক রথীন্দ্রনাথ রায়’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রথান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) মোঃ সেলিম রেজা (পিএএ)।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মেহেরপুর শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আক্কাস আলী, পৌর মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ শাহানাজ পারভীন ও সহকারী শিক্ষক আল-আমীনসহ অন্যান্য শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী, অভিভাবক বৃন্দ।

অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা শেষে ৩য় থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী, শতভাগ উপস্থিত থাকা শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী প্রদাণ করা হয়। বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৫’শতাধীক বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানাজ পারভীন রিপা।




নিয়োগ দিবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়টির আওতাধীন বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পে (এলডিডিপি) ১৬তম গ্রেডে ১১৫ জনকে নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে মন্ত্রণালয়টি। আবেদন করা যাবে আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীদের নির্ধারিত ফরম পূরণ করে কুরিয়ার বা ডাকযোগে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়

প্রকল্প : প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)

পদের নাম : ড্রাইভার পদসংখ্যা : ০১টি

জনবল নিয়োগ : ১১৫ জন অভিজ্ঞতা : কোনো সরকারি/বেসরকারি/ আধা সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/বৃহৎশিল্প/বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে গাড়ি চালনাসহ রক্ষণাবেক্ষণ কাজে ন্যূনতম তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে (ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির পর উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকাল অভিজ্ঞতার কর্মকাল হিসেবে গণ্য হবে)। ব্যক্তিগত গাড়িচালক হিসেবে দাখিল করা অভিজ্ঞতার সনদ গ্রহণযোগ্য নয়।

বেতন : সাকল্যে মাসিক বেতন ৩০,০০০ টাকা।

আবেদন শুরুর তারিখ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : অষ্টম শ্রেণি পাস।

অন্যান্য যোগ্যতা : সাবলীলভাবে বাংলা লিখতে ও পড়তে এবং গাড়ি পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সড়ক নির্দেশিকা, দিকনির্দেশনা ও চিহ্ন পড়তে ও বুঝতে সক্ষম হতে হবে। পূর্ণ প্রতিবেদন, সময়সূচি ও গাড়ির লগবই পূরণ করার সক্ষমতা থাকতে হবে। বিআরটিএ কর্তৃক প্রদত্ত ন্যূনতম হালকা যান চালানোর বৈধ ও হালনাগাদ লাইসেন্স থাকতে হবে।

আবেদন পাঠানোর ঠিকানা : প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব), প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (ভবন-২, ৭ম তলা), কৃষি খামার সড়ক, ফার্মগেট, ঢাকা।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

আবেদনের শেষ সময় : ১২ জানুয়ারি ২০২৫

 সূত্র: কালবেলা




কালীগঞ্জে কাজীর সীল স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ !

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সরকারি নিকাহ রেজিস্ট্রারের (কাজী) সীল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে একাধিক বিয়ে পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ উপজেলার অনুমানপুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার আব্দুল লতিফ ও মালিয়াট ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মোঃ সোলাইমান হোসেনের নামে আদালতে মামলা করেছেন প্রতারণার শিকার এক ভুক্তভোগী। মামলা নম্বর- কালীগঞ্জ সিআর-৮২৯/২৪।

অভিযোগ উঠেছে, কালীগঞ্জের মালিয়াট ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মোঃ সোলাইমান হোসেনের সীল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে এলাকায় একাধিক বিয়ে পড়িয়েছেন অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ। সীল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি ছাড়াও ভুয়া নিকাহনামা সরবরাহ ও নিকাহনামায় উল্লেখ করা দেনমোহরের পরিমাণ টেম্পারিংয়ের অভিযোগ উঠেছে আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার জিয়ালা গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মিজানুরের সাথে ২০১৫ সালে কালীগঞ্জের মালিয়াট ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের আফিয়া বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে দাম্পত্য কলহের কারণে ২০১৭ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর ২০১৮ সালে মিজানুর ও আফিয়া পারিবারিক ভাবে সমঝোতা ও সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে আবারও দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। বিয়ে পড়ান কালীগঞ্জের অনুপমপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল লতিফ। ওই সময় নিকাহ রেজিস্ট্রার সোলাইমান হোসেন আব্দুল লতিফকে নিকাহ রেজিস্ট্রি করার জন্য দায়িত্ব দিয়ে বিবাহ অনুষ্ঠান থেকে বিদায় নেন। পরে আব্দুল লতিফ বিয়ে রেজিস্ট্রি’র কাজ সম্পন্ন করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, বিয়ের পর মিজানুর রহমান তার স্ত্রী আফিয়াকে ১০ লাখ টাকার যৌতুক দাবি করে চাপ দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে আফিয়া খাতুন দুই সন্তান নিয়ে পিতার বাড়িতে চলে আসেন এবং আদালতে মিজানুরের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন। মামলা দায়েরের পরে আফিয়া খাতুন নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) সোলাইমান হোসেনের সঙ্গে নিকাহনামার নকল কপি নেয়ার জন্য যোগাযোগ করেন। পরে আফিয়া খাতুন কাজী সোলাইমানের বাসায় নিকাহনামার নকল আনতে গিয়ে সেখানে আব্দুল লতিফকেও পেয়ে যান।

ওই সময় আফিয়া খাতুন তার নিকাহনামার কপি চাইলে কাজী সোলাইমান হোসেন ও আব্দুল লতিফ তাকে জানান, আফিয়া-মিজানুর দম্পতির কোনো বিয়ে তারা রেজিস্ট্রি করেননি। এমনকি ওই বিয়ে তারা যে পড়িয়েছেন, সেটিও তারা অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় নানা ভাবে সমাধানের চেষ্টা করলেও মালিয়াট ইউনিয়নের কাজী ওই গৃহবধূর বিয়ে পড়াননি মর্মে প্রত্যায়ন পত্র দেন। পরে আব্দুল লতিফের কাছে নিজের বিয়ের কাবিননামা চান ভুক্তভোগী গৃহবধূ। এসময় আব্দুল লতিফ তা না দিয়ে উল্টো ওই নারীকে হুমকি ধামকি দেন।

এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে মালিয়াট ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার সোলায়মান হোসেন বর মিজানুর রহমানের কাছে লিখিত প্রত্যয়নপত্র মারফত জানান, ‘মিজানুর-আফিয়া’ দম্পতির বিয়ে তিনি পড়াননি। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ভুক্তভোগী নারীকে আব্দুল লতিফ যে নিকাহনামা সরবরাহ করেছিলেন, তার স্বাক্ষর ও সীল অস্বীকার করছেন নিকাহ রেজিস্ট্রার মো. সোলায়মান হোসেন।

এ নিয়ে শিক্ষক আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে সীল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ করেছেন ওই নারী। একই অভিযোগে মামলার আসামি হয়েছেন কাজী মো. সোলাইমান হোসেনও। সিনিয়র জুডিশ্যল ম্যাজিস্ট্রেট কালীগঞ্জ আমলী আদালতে মামলাটি চলমান রয়েছে।

বিয়ের সাক্ষী সদর উপজেলার মধুহাটী ইউনিয়নের জিয়ালা গ্রামের লুৎফর রহমান ও চান্দুয়ালি গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, তারা বিয়ের সময় উপিস্থত ছিলেন। ছেলে মেয়ের বিয়ে পড়ান আব্দুল লতিফ। দ্বিতীয় বিয়ের দেনমোহর ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিল বলেও সাক্ষিরা দাবী করেন। মামলার পর আদালতের আদেশে ঘটনাটির তদন্ত করছেন ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিআইবি)।

পিবিআই’র ওসি নাসির উদ্দিন জানান, মিজানুর-আফিয়া দম্পতি একাধিকবার নিজেরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাদের একটি সন্তান অন্ধ। যে কারণে শেষবার তাদের বিয়েতে নাকি দেনমোহর ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু নিকাহ রেজিস্ট্রার যে নিকাহনামা দিয়েছেন, তাতে নাকি আড়াই লাখ টাকা উল্লেখ করা আছে। এটা নিয়েই ক্ষুব্ধ হয়ে মামলা দিয়েছেন আফিয়া খাতুন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করে কাজীর সহকারি আব্দুল লতিফ বলেন, মিজানুর-আফিয়ার বিয়ে আমি পড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু কাজী সাহেব ব্যস্ত থাকায় আমাকে নিকাহনামা লেখার দায়িত্ব দিয়ে ওইদিন চলে যান। আমি নিকাহনামা লিখে ছিলাম। বিয়ের কাবিননামায় দেনমোহর ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু পরে কাজী সাহেব একটি পক্ষের সাথে যোগসাজশ করে ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর দেখিয়েছে। কাজী সাহেব আমাকে ফাঁসিয়েছেন।

নিকাহ রেজিষ্ট্রার কাজী মোঃ সোলাইমান হোসেন বলেন, মিজানুর-আফিয়ার বিয়ে আমি পড়ায়নি। কোনো বিয়ে রেজিস্ট্রিও করিনি। আমার সীল-স্বাক্ষর জাল করে মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল লতিফ এই অপকর্ম করেছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।




হরিনাকুন্ডুতে যত্রতত্র অবৈধ ইটভাটা! নেই প্রশাসনের নজরদারী

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলায় পরিবেশ দূষণ করে যত্রতত্র ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। নেই বৈধ লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র । বাজার, স্কুল ও আবাসিক এলাকা ঘেষে গড়ে উঠেছে এসব ইটভাটা। প্রভাবশালী ইটভাটা মালিকদের চাপে দীর্ঘদিন আটকে আছে এসব অবৈধ ইটভাটায় অভিযান।

জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, ইট পোড়ানোর লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিসের সার্টিফিকেটসহ কোন অনুমোদন ছাড়াই ইটভাটার মালিকেরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নির্বিঘ্নে এসব ভাটায় বছরের পর বছর ইট পোড়ানো হচ্ছে। উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে সরকারি নীতিমালা অমান্য করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার ও আবাসিক এলাকায় ফসলি জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তারা। সবুজ বনায়ন কেটে ইটের ভাটায় দেদারছে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে।

ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় পথচারী, স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী এবং আবাসিক এলাকার জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, এছাড়া ফলদ বৃক্ষ, প্রাণী, জীববৈচিত্র ধ্বংস ও পরিবেশ দূষণের হুমকির মুখে পড়েছে। সরকারী বিধিমালা অনুযায়ী ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) ২০১৩ আইন অনুযায়ী, আবাসিক এলাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কৃষিজমির এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এ আইনের তোয়াক্কা না করে হরিনাকুন্ডু উপজেলায় গড়ে তোলা হয়েছে ১৭টি ইটভাটা। সড়কের পাশে ফসলি জমি ঘেঁষে শাখারীদহ বাজার এলাকায় হরিনাকুন্ডু ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান খোকনের মামা ভাগ্নে বিক্্রস, শীতলী পাড়া হাকিমপুর এলাকায় মেসার্স মিলন এন্ড জান্নাত ব্রিকস, পারমথুরাপুর মেসার্স আসাদ জাহাঙ্গীর ব্রিকস, চাঁদপুরে বাবুল হোসেন খানের আরএসবি ব্রিকস, ভায়না ইউনিয়নে ভাই ভাই ব্রিকস, আরাফ ব্রিকস, একতা ব্রিকস, সোহান ব্রিকস, রুমা ব্রিকস, এ জেড ডাবলু ব্রিকস, বিশ্বাস ব্রিকস, জামাত ব্রিকস ও দৌলতপুর ইউনিয়নে রয়েল ব্রিকস ও মাসুম পারভেজ এর বিজলী ব্রিকস নামের ইটভাটাগুলোতে ইট পোড়ানোর জন্য জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। যেগুলোর অধিকাংশরই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স। তবুও ভাটার ব্যবসা চলছে রমরমা। ফলে চুল্লি থেকে বের হওয়া কালো ধোঁয়ায় এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ইট পোড়ানোর জন্য ভাটার চারপাশে শত শত মণ আম, জাম, কাঁঠাল, রেইনট্রি, কদম, নারিকেল, বাঁশের মাথা ও খেজুর গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের কাঠ মজুদ করা হয়েছে। এছাড়াও ফসলি জমির টপসয়েল কেটে পাহাড় সমান মাটির স্তুপ করা হয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ ইটভাটা জনবসতির খুব কাছাকাছি অবস্থিত। ভাটাগুলোর ১০০ থেকে ১৫০ গজের মধ্যে রয়েছে বিপুল সংখ্যক ফলদ গাছ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শতাধিক বাড়িঘর। কাঠ পোড়ানোর বিষাক্ত ধোঁয়ায় গাছের পাতা পুড়ে যাচ্ছে। ভাটা এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন থাকায় স্থানীয় লোকজন বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ইটভাটা নির্মাণের কারণে কৃষি জমির পরিমাণও দিন দিন কমতে শুরু করেছে।

ইট ভাটার শ্রমিকরা জানান, নিম্নমানের এসব ভাটায় কয়লা ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই তাই কাঠ দিয়েই ইট পোড়াতে হয়। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, ফসলি জমির পাশে ইটভাটা গড়ে তোলার কারণে জমির উর্বরতা শক্তিহৃাসসহ ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে। এদিকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে ইটভাটার মাটি সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসকের অনুমতি নেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু কোন রকম অনুমতি ছাড়ায় এ উপজেলায় প্রতি মৌসুমে ভাটার মালিকরা এক শ্রেনীর মাটি খেকো দালালদের মাধ্যমে কৃষি জমির উপরিভাগের টপসয়েল কেটে ইটভাটায় স্তপ করে থাকেন। ফলে ফসলি জমির উর্বরতাশক্তি হ্রাস পাচ্ছে। অথচ এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা প্রশাসন। বিনিময়ে ইটভাটা থেকে বাৎসরিক আদায় করা হচ্ছে কোটি টাকার মাসোহারা। এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি ইটভাটার। বাকীগুলো চলছে প্রশাসন কে ম্যানেজ করে। তবে এসব ইটভাটা মালিকরা সরকারকে রাজস্ব দিচ্ছেন বলে জানান। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে উর্বর তিন ফসলি জমি ও লোকালয়ে যে ইটভাটাগুলো গড়ে উঠেছে সেগুলো ডিসি অফিস থেকে লাইসেন্স পাওয়ার আগে পরিবেশগত ছাড়পত্র বা অনাপত্তিপত্র পেল কিভাবে?
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভাটা মালিক বলেন, প্রতিবছর এলআর ফান্ডে মোটা টাকা দিয়ে ইটভাটা মালিকরা যে লাইসেন্সটি নিয়ে থাকে তা দেখার আগে দেখতে হবে পরিবেশ অধিদপ্তর পরিবেশগত যে ছাড়পত্রটি দিয়েছে সেটি অফিসে বসে দিয়েছে নাকি ইটভাটার অবস্থানটা সরেজমিনে পরিদর্শন করে দিয়েছে?

অভিযোগ রয়েছে বছরে দু-একবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দায় সারছে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ উপজেলা প্রশাসন। ভাটা মালিকদের বক্তব্য, তারা বৈধভাবেই ব্যবসা করতে চান কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাচ্ছেন না। তাই নিরুপায় হয়ে চাঁদা দিয়ে চালাতে হচ্ছে এসব ইটভাটা। বৈধতা না থাকলেও প্রতি বছর ইট পোড়ানোর মৌসুমে পাঁচ লাখ টাকা রাজস্ব দিতে হচ্ছে সরকারকে। ভাটা মালিকেরা জানিয়েছেন, কৃষিজমি ও আবাসিক এলাকার ১ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা করা যাবে না। একই সাথে ইট পরিবহনের জন্য সরকারি পাকা সড়কও ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু এই আইন মানা আমাদের জন্য খুবই কঠিন। তাই আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না পেলেও ভাটা স্থাপন করেছি। তারা আরও জানান, ভাটাগুলোর বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে প্রশাসনের উৎপাতও বেশি। প্রশাসন ঝামেলা করছে অনবরত। তাদের অনেককেই টাকা দিয়ে ম্যানেজ করতে হচ্ছে। হরিনাকুন্ডুতে অধিকাংশ ইটভাটার কোনো লাইসেন্স ও অনুমোদন নেই। কীভাবে চলে এমন প্রশ্ন করা হলে ইটভাটার মালিকরা জানান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন, বন বিভাগ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরসহ প্রতিটি সেক্টর ম্যানেজ করেই ভাটা পরিচালনা করা হচ্ছে। আর এসব ম্যানেজ করছেন উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি জিয়াউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান খোকন।

এদিকে ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের অভিযোগ, সবকিছু জেনেও নীরব পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন। তাদের দাবি, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কঠোর অভিযান চালাতে হবে।

তবে হরিণাকুন্ডু ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় ইট পোড়াতে জ্বালানী হিসেবে ও কয়লার দাম বৃদ্ধির কারণে ভাটাগুলোতে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। বেশির ভাগ ইটভাটার ২০১৫ সালের পর থেকে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও নবায়ন নেই। কেনো নবায়ন নেই এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রতি বছর

ইটভাটাগুলোর মালিকেরা এলআর ভান্ডসহ আয়কর ও ভ্যাট দিচ্ছেন কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স নবায়ন করা সম্ভব হচ্ছেনা। আগের সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের নেতাদের হস্তক্ষেপ ও প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় চলতো এসব অবৈধ ইটভাটা। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে এখন তো কোনো রাজনৈতিক সরকার নেই, তবে ভাটাগুলো কাদের নিয়ন্ত্রণে চলছে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুন্তাছির রহমান বলেন, অবৈধ ও পরিবেশ সম্মত নয় এমন সব ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কাছে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা ও এলআর ফান্ডে টাকা নেওয়ার ব্যাপারে
জানতে চাইলে তিনি জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়া ইটভাটা গুলো পরিবেশ সম্মত ও বৈধ নয়। তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি এবং স্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছি এলআর ফান্ডে কোন টাকা নেয়া যাবেনা।




বছরের শুরুতে দলছুটের সলো কনসার্ট

ব্যান্ড দলছুট। এ দেশের তরুণদের বড় একটি অংশ তাদের গানের নিয়মিত শ্রোতা। যাদের জন্য দলটি নিয়মিত নতুন গান ও স্টেজ শো করে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় বছরের প্রথম সপ্তাহেই নিজেদের সলো কনসার্ট করবে বাপ্পা-ডানো শেখরা। এই সলো কনসার্টের মধ্য দিয়ে ২০২৫ সাল শুরু করবে দলছুট। এ নিয়ে বাপ্পা মজুমদার জানান, নিজেদের শ্রোতাদের জন্য বছরটি খুব সুন্দরভাবে শুরু করতে যাচ্ছে দলছুট। সলো কনসার্টে গান করা তাদের জন্য সবসময়ই আনন্দের। সেই জায়গা থেকে জানুয়ারির ৩ তারিখের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে তারা। কারণ এদিন শুধু দলছুট ভক্তরাই গান শুনতে আসবে। তাদের নিজেদের জনপ্রিয় গানগুলো পরিবেশন করা হবে।

দলছুটের সলো এই কনসার্টটি আয়োজন করেছে ইয়ামাহা অন ট্রু সাউন্ড। এটি অনুষ্ঠিত হবে ইয়ামাহা ফ্ল্যাগশিপ সেন্টারে।

কনসার্টে প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০০ হাজার টাকা। এদিকে একযুগ পর এ বছর প্রকাশ পায় ‘সঞ্জীব’ শিরোনামে নতুন অ্যালবাম। এটি ব্যান্ডের প্রাক্তন সদস্য সঞ্জীব চৌধুরীকে উৎসর্গ করা হয়।

দলছুট ব্যান্ডের বর্তমান লাইনআপ: বাপ্পা মজুমদার (ভোকাল), মাসুম ওয়াহিদুর রহমান (গিটার), জন শার্টন (বেজ গিটার), ডানো শেখ (ড্রামস), সোহেল আজিজ (কি-বোর্ড), শাহান কবন্ধ (ব্যান্ড ম্যানেজার)।

সূত্র: কালবেলা




মেহেরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের র‍্যালি ও মানববন্ধন

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে যে অপমান করা হয়েছে, তা ইতিহাসে বিরল এবং কল্পনারও অতীত। এ ধরনের ঘটনা আমাদের জাতীয় মানসিকতা ও অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। যারা এ ধরণের অপকর্ম করছে, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা অতীতে ভুল করেছেন এবং এখনও ভুল করছেন। কিন্তু সংশোধন হওয়ার জন্য এখনো সময় আছে।

আজ রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনার প্রতিবাদে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আব্দুল মালেক এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আপনারা বিভিন্ন সময়ে বিপ্লবের কথা বলেন, পরিবর্তনের কথা বলেন, যা ভালো। আমরাও চাই দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আসুক। কিন্তু আপনাদের সাহস কোথা থেকে আসে, যে আপনারা আমাদের দেশের নাম পরিবর্তন করবেন? আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মানবেন না, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করবেন, বিজয় দিবস ও জাতীয় পতাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন? সংবিধান ছুড়ে ফেলে দেবেন? এই ধৃষ্টতা আপনাদের কোথা থেকে হলো, তা আমাদের বোধগম্য নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছনা বন্ধ করুন। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের সম্মান নষ্ট করার অধিকার কারও নেই।

একটি বিশেষ দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই দেশে নাকি মাত্র দুটি সংস্থা দেশপ্রেমি সেনাবাহিনী এবং তারাই। আর বাকি কেউ দেশপ্রেমিক নয়! এই দুঃসাহসের উৎস কী? এমন চিন্তাধারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আঘাত করে এবং জাতিকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা চালায়।

আমাদের আহ্বান, মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান করতে শিখুন। আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস, বিজয়ের গৌরব, এবং সংবিধান রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এটি শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের নয়, সমগ্র জাতির মর্যাদার বিষয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ পাতানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওউমেদীন মাষ্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আমজাদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা গুরুদাস হালদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান টুটুল এবং কিতাব আলী।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম বলেন, আজ যারা কানু ভাইকে জুতার মালা পরিয়েছেন, তাদের পিতাদেরও মুক্তিযোদ্ধা হওয়া উচিত ছিল। আমার বিশ্বাস, যারা আজ এমন কাজ করতে সক্ষম, তাদের পিতারা যদি মুক্তিযোদ্ধা হতেন, তবে তারা হয়তো তাদের পিতাদের গলাতেও জুতার মালা পরাত। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা কানু ভাইকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে, তা আমাদের স্বাধীনতার ওপর আঘাত এবং স্বাধীনতাকে অপমান করার শামিল।

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি এমন আচরণের প্রেক্ষিতে আমাদের কেবল প্রতিবাদ, শোক এবং নিন্দা জানানোর ক্ষমতাই অবশিষ্ট রয়েছে। আমরা কি সেই বাংলাদেশে বসবাস করছি, যে বাংলাদেশের জন্য আমরা যুদ্ধ করেছিলাম?

মানবন্ধন কর্মসূচির আগে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে একটি র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসন কার্যালয় প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র‍্যালিতে জেলার মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।




অবশেষে বিপিএলের টিকিটমূল্য প্রকাশ, কিনবেন যেভাবে

বিপিএল শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগেও টিকিট না পেয়ে বিসিবির গেইটে বিক্ষোভ শুরু করেন দর্শকরা। এরপরই টিকিটের মূল্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। একইসঙ্গে টিকিট কেনার উপায় এবং স্থানও জানানো হয়েছে।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় এক বিবৃতিতে বিপিএলের টিকিট কেনার বিষয়ে তথ্য জানিয়েছে বিসিবি। সরাসরি ও অনলাইন দুই মাধ্যমেই বিপিএলের টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। সরাসরি টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে আজ বিকেল ৪টা থেকে। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টিকিট কেনার সুযোগ পাবেন সমর্থকরা।

এ ছাড়া বিপিএলের উদ্বোধনী দিন অর্থাৎ, আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সরাসরি টিকিট কেনা যাবে। মধুমতি ব্যাংকের সাতটি শাখা থেকে সরাসরি টিকিট কেনা যাবে। এছাড়া অনলাইনে টিকিট পাওয়া যাবে এই ঠিকানায়, www.gobcbticket.com.bd

এবারের বিপিএলের সর্বনিম্ন টিকিটের দাম ২০০ টাকা। সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা। ইস্টার্ন গ্যালারির টিকিট পাওয়া যাবে ২০০ টাকায়। নর্দার্ন ও সাউদার্ন গ্যালারির টিকিটের দাম ৩০০ টাকা করে। শহীদ মুশতাক ও শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ডের টিকিটের মূল্য ৫০০ টাকা।

ইন্টারন্যাশনাল গ্যালারির মিডিয়া ব্লক ও করপোরেট ব্লকের টিকিটের মূল্য ১০০০ টাকা। এছাড়া সাউথ করপোরেট ব্লকের টিকিটের মূল্য ৮০০ টাকা। গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড আপার ও লোয়ারের টিকিটের মূল্য রাখা হয়েছে ২০০০ টাকা করে। একটি বিশেষ গ্যালারির ব্যবস্থা করেছে আয়োজকরা। শহীদ মুশতাক স্ট্যান্ডের পাশেই রয়েছে জিরো ওয়েস্ট জোন। যেখানে আসন সংখ্যা ৩০০ জন। ৬০০ টাকায় পাওয়া যাবে সেই গ্যালারির টিকিট।

মধুমতি ব্যাংকের যে ৭টি শাখায় বিপিএলের টিকিট পাওয়া যাবে:

১) মিরপুর শাখা (মিরপুর ১১)
২) মতিঝিল শাখা (ঢাকা চেম্বার বিল্ডিং)
৩) গুলশান শাখা (গুলশান ১ ও ২ এবর মাঝে)
৪) ধানমন্ডি শাখা (পুরোনো ২৭)
৫) উত্তরা শাখা (জসীম উদ্দিন রোড)
৬) কামরাঙ্গীচর শাখা
৭) ভিআইপি রোড শাখা (পল্টন স্কাউট বিল্ডিং)।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে তসলিাম হত্যা মামলায় ২ জন আটক

মেহেরপুরে চাঞ্চল্যকর তাসলিমা খাতুন হত্যা মামলায় আসামি সন্দেহে নিহতের দুলাভাই (বোন জামায়) তার পুত্রকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) সিপিসি মেহেরপুর ক্যাম্প।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন-মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামের মৃত খোদা বকসের ছেলে শরিফ উদ্দীন (৬৫) ও তার ছেলে সবুজ হোসেন (২৯)। তারা সম্পর্কে নিহত তসলিমার বোন জামায় ও ভাগ্নে হয়।

গতকাল শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রেস রিলিজ দিয়ে র‌্যাব-১২ গাংনী ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফ উল্লাহ (পিপিএম) এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

গাংনী ক্যাম্প কমান্ডার আশরাফ উল্লাহের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটিদল গতকাল শনিবার বিকল সাড়ে ৫টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামে তাদের এক আত্মীয় বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের দুজনকে আটক করে।

ক্যাম্প কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফ উল্লাহ (পিপিএম) জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামের তাসলিমা খাতুনের ক্ষতবিক্ষত লাশ বাড়ির পাশের একটি বিলের কচুরিপানার ভিতর থেকে উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। আগের দিন তাসলিমা নিজ বাড়ি থেকে পুকুর দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল। এ ঘটনায় তাসলিমার ভাই লাল্টু মহাম্মদ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মেহেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২৪, তারিখ ২৭/১২/২৪ ইং। গ্রেপ্তারকৃতরা ওই মামলার আসামি।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের নিমিত্তে মেহেরপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত ১ টা পর্যন্ত মামলা তদন্তকারী অফিসার মেহেরপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম শিশু জানান, মামলার সন্দিগ্ধ আসামি উদ্দীন ও তার ছেলে সবুজ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।




মেহেরপুরে জেলা বিএনপি’র প্রবীণ নেতাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে পথসভা ও লিফলেট বিতরণের সময় মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র প্রবীণ নেতাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান ।

আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে দিকে মেহেরপুর পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রবীণ বিএনপির নেতাদের সাথে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সে সময় বিএনপির সাবেক নেতা আব্দুর রশিদ, তকবির হোসেন, আসাদুল, আজিম উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, নুরুলনবী বাবু উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি আনিসুর রহমান লাভলু, মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মিন্টু,  জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মশিউর আলম দিপু, বিএনপি’র নেতা নাহিদ আহমেদ, পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনি, পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের যুবদল নেতা ইমন বিশ্বাস সহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।




ঝিনাইদহে কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে উন্নত পদ্ধতিতে খেজুর গাছের পরিচর্যা, নিরাপদ রস সংগ্রহ ও গুড় উৎপাদন বিষয়ক কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে জেলার ১০০ জন উদ্দোক্তা ও খেজুর গাছীকে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষণা ইন্সটিটিউট পাবনা’র আয়োজনে প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন।

গেস্ট অব অনার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হেরিটেজ বাংলাদেশের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ সুপ্রিমকোটের সিনিয়র আইনজীবী এ্যাডভোকেট শাহিদা খান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডিএই হর্টিকালচার উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ এস এম সোহরাব উদ্দিন, ডিএই যশোর অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোশাররফ হোসেন , অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক সাইফুর রহমান, কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক ষষ্টি চন্দ্র রায়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসআরআই এর মহাপরিচালক ড. কবির উদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন বলেন, খেজুরের গুড় ও রসের জন্য ঝিনাইদহ জেলার সুনাম সারা দেশে। মানসম্মত গুড় তৈরীতে উন্নত পদ্ধতিতে খেজুর গাছের পরিচর্যা, নিরাপদ রস সংগ্রহ ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালা।

তিনি আরো বলেন, নিরাপদ গুড়ের জন্য নিরাপদ রসের প্রয়োজন। খেজুর গাছের মিষ্টি রসের কারনে বিভিন্ন সময় দিনে-রাতে পাখ-পাকালি ও সরীসৃপ জাতীয় প্রানীর আনাগোনা থাকে। এসকল প্রানীর জীবানু থেকে নিরাপদ রস ও গুড় উৎপাদন করতে উন্নত ও নিরাপদ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

অনুষ্ঠান শেষে জেলার সর্বোচ্চ খেজুর গাছ রোপনকারী গাছী ও উদ্দোক্তাদের মাঝে ক্রেস্ট ও মেডেল প্রদান করা হয়।