ঝিনাইদহের মধুহাটী ইউপিতে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

ঝিনাইদহ সদরের ২নং মধুহাটী ইউনিয়ন পরিষদে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের সভাকক্ষে এ বাজেট সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের চূড়ান্ত বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন, আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মধুহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন বিশ্বাস ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকতা মো. ছাব্দার আলী, প্যানেল চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন, ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ, মিলন মিয়া, নাজমা খাতুন, ছাবিনা ইয়াসমিন, আশিক ইকবাল, জিয়াউর রহমান, আসাদুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, আলাউদ্দীনসহ এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী ও সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছাব্দার আলী বাজেট উপস্থাপনকালে জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব ও উন্নয়ন বাজেট মিলে ইউনিয়ন পরিষদের মোট আয়-ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১,৩৮,৯৫,৮০৬/= (এক কোটি আটত্রিশ লক্ষ পঁচানব্বই হাজার আটশ ছয় টাকা মাত্র)। বাজেট আইন-২০০৯ অনুযায়ী ইউনিয়নের ট্যাক্স, টোল, ট্রেড লাইসেন্স, পারমিট এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত, প্রমোদমূলক কার্যক্রম থেকে আয় বিবেচনা করা হয়েছে। তবে কোন ব্যক্তির অতিরিক্ত কর ধার্য্য করা হয়নি।

সভাপতির বক্তব্যে চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন বিশ্বাস বলেন, “আমি এবং আমার ইউপি সদস্যবৃন্দ আপনাদের সেবক হিসেবে আগামী ৫ বছরের জন্য দায়িত্ব নিয়েছি। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমে আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন এবং পাশে থাকবেন।” বক্তব্য শেষে তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।




মেহেরপুরে কিং ব্র্যান্ড সিমেন্ট ও বসুন্ধরা সিমেন্টের হালখাতা

মেহেরপুরে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের কিং ব্র্যান্ড সিমেন্ট ও বসুন্ধরা সিমেন্টের হালখাতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে মেহেরপুর শহরের মেসার্স আসিফ এন্টারপ্রাইজ ও জি.এন এন্টারপ্রাইজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জি.এন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ গোলাম শহীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের কিং ব্র্যান্ড সিমেন্ট ও বসুন্ধরা সিমেন্টের সিএসও শাহ জামাল শিকদার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করবো। আমাদের জীবনে যা কিছু ঘটে, সবই আল্লাহর পরিকল্পিত তাই আমাদের উচিত সৎভাবে ব্যবসা করা এবং ন্যায়ের পথে চলা।

তিনি আরও বলেন, বাজারে বর্তমানে যেসব সিমেন্ট রয়েছে, তার মধ্যে বসুন্ধরা সিমেন্ট গুণগত মানে শ্রেষ্ঠ। দেশের যেকোনো জায়গার যেকোনো ব্র্যান্ডের সিমেন্টের সঙ্গে তুলনা করলেও বসুন্ধরা সিমেন্টের মান সেরা প্রমাণিত হবে। আমরা গুণগত মানে আপস করি না এবং সবসময় ক্রেতাদের কাছে সেরা পণ্য পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ শাহাদাত হোসেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জোনাল ম্যানেজার জাফরুল ইসলাম, এরিয়া ম্যানেজার একে আজাদ ও মাহফুজুর রহমান, টেরিটরি সেলস ম্যানেজার মাসুদ সালাউদ্দিন এবং টি.এস.ই মোঃ রায়হানুল হক।

পরিবেশক মেসার্স আসিফ এন্টারপ্রাইজের ও জি.এন এন্টারপ্রাইজের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই হালখাতা অনুষ্ঠানে স্থানীয় রিটেইলার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং ঠিকাদারগণ অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ১০০ জন রিটেইলার ও ঠিকাদারকে পুরস্কার প্রদান করা হয় এবং সকলের জন্য মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়।




ঝিনাইদহে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, ভোগান্তিতে কর্মজীবী ও শ্রমিকরা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ঝিনাইদহে সকাল থেকেই থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হঠাৎ এমন আবহাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।

বৃষ্টির কারণে শহরের ব্যস্ত সড়কগুলো হয়ে পড়েছে ফাঁকা। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। যারা বের হয়েছেন, তারা ছাতা ও রেইনকোট ব্যবহার করে গন্তব্যে পৌঁছাতে চেষ্টা করছেন। তবে যানবাহনের সংখ্যা ছিল তুলনামূলকভাবে কম। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর, রিকশাচালক ও ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। সকালে শহরের পায়রা চত্বর এলাকায় দেখা যায়, অনেক রিকশাচালক অলস বসে সময় কাটাচ্ছেন।

রিকশাচালক মিজানুর রহমান বলেন, “সকালে বের হইছি রিকশা নিয়ে, কিন্তু যাত্রী নাই। বৃষ্টি আর ঠাণ্ডা বাতাসে কেউ রাস্তায় বের হচ্ছে না। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ঠিকমতো ভাড়া পাইনি। বৃষ্টির দিনে ঘরে বসে থাকলে তো পেট চলবে না, তাই নামছি রাস্তায়।”

কাপড় বিক্রেতা মনোয়ার হোসেন বলেন, “এই রকম আবহাওয়ায় ক্রেতা আসে না বললেই চলে। বৃষ্টির কারণে দোকান খুলেও বসে থাকতে পারছি না। সকাল থেকে বিক্রি করতে পারিনি। কষ্টের মধ্যে আছি।”

চায়ের দোকানদার মানিক মিয়া বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। দোকানে কেনা-বেচা খুবই কম। তবু দোকান খুলে বসে থাকি, যদি কিছু বেচা যায়।”

এদিকে শহরের নিচু এলাকাগুলোতে কোথাও কোথাও পানি জমে গেছে। কাদা ও ভেজা রাস্তায় চলাচলে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।




ঝিনাইদহের গান্না ইউপিতে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

ঝিনাইদহ সদও উপজেলার ৬নং গান্না ইউনিয়ন পরিষদে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের সভাকক্ষে এ বাজেট সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের চূড়ান্ত বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন, আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গান্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল হাসান মাসুম ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকতা নাসির উদ্দীন, প্যানেল চেয়ারম্যান ছাব্দার আলী, এছাড়া ইউপি নারী সদস্য ছালমা খাতুন, ফাতেমা খাতুন, নার্গিস খাতুন, ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দীন,আব্দুল মমিন, সোহাগ রহমানসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী ও সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন বাজেট উপস্থাপনকালে জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য নতুন কোন করারোপ ছাড়াই রাজস্ব ও উন্নয়ন বাজেট মিলে ইউনিয়ন পরিষদের মোট আয়-ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১,০৮,৯৬,৩২৫/=টাকা (এক কোটি আট লক্ষ ছিয়ান্নই হাজার তিনশ পঁচিশ টাকা মাত্র)। বাজেট আইন-২০০৯ অনুযায়ী ইউনিয়নের ট্যাক্স, টোল, ট্রেড লাইসেন্স, পারমিট এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত, প্রমোদমূলক কার্যক্রম থেকে আয় বিবেচনা করা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে চেয়ারম্যান আতিকুল হাসান মাসুম বলেন, “আমি এবং আমার ইউপি সদস্যবৃন্দ আপনাদের সেবক হিসেবে আগামী ৫ বছরের জন্য দায়িত্ব নিয়েছি। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমে আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন এবং পাশে থাকবেন।” বক্তব্য শেষে তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাজেট অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।




মেহেরপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্বর্ণের দোকান বন্ধ ঘোষণা

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মো. রিপুনুল হাসানকে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মেহেরপুর জেলার সকল স্বর্ণের দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলার জুয়েলার্স সমিতি।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকেই মেহেরপুর শহর ও উপজেলার সকল জুয়েলারি দোকান বন্ধ রয়েছে। এতে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

জেলা জুয়েলার্স সমিতির নেতারা জানিয়েছেন, তারা এই গ্রেপ্তারের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন এবং অবিলম্বে মো. রিপুনুল হাসানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছেন। একইসঙ্গে তারা সকল হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

মেহেরপুর জেলা জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি কিশোর পাত্র বলেন, “যাচাই-বাছাই না করেই দেশের স্বর্ণ ব্যবসার নেতৃত্বে থাকা একজন সম্মানিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ব্যবসায়িক পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”

কর্মসূচি সম্পর্কে জেলা জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মোমিন বলেন, “আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা দোকান খুলছি না। প্রয়োজনে সারা দেশে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।”

স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই ঘটনার ফলে সাধারণ ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কে রয়েছেন। ক্রেতারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, কারণ অনেকেই আগেই অর্ডার দেওয়া গহনা বুঝে পাচ্ছেন না।

এদিকে, জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন মেহেরপুর সদর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দোকান বন্ধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। তবে যদি দীর্ঘমেয়াদি বন্ধ অব্যাহত থাকে, তা হলে স্বর্ণ ব্যবসা ও সাধারণ গ্রাহকের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।




গাংনীতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সেমিনার

মেহেরপুরের গাংনীতে “বাংলাদেশের প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়)”-এর আওতায় দিনব্যাপী এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আরশাদ আলীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আসাদুল ইসলাম।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সোহেল পারভেজ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সমাজসেবা কার্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন অফিসার কাজী মুনসুর আলী, গাংনী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুল আলম সোনা, গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুনসুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল্লাহ আল মাসুম।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জুলফিকার আলী কানন ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি বদরুদ্দোজা মুকুল।

সেমিনারে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ৮০ জন নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।




চাঁদ দেখা গেছে, ৭ জুন ঈদুল আজহা

বাংলাদেশের আকাশে আজ বুধবার পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১৪৪৬ হিজরি সনের জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। জিলহজ মাসের ১০ তারিখ, অর্থাৎ ৭ জুন বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
সভায় দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসন, আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাঠ পর্যায়ের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চাঁদ দেখা যাওয়ার তথ্য জানাতে টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বর খোলা রাখা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদ দেখা যাওয়ার তথ্য আসায় দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব, চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যরাসহ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

রমজানের পরে ইবাদেতের সবচেয়ে বড় মৌসুম হলো জিলহজের প্রথম দশক। রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহর নিকট অন্য যেকোনো সময়ের আমলের চেয়ে জিলহজের প্রথম দশকের আমল অধিক প্রিয় [সহিহ বুখারি]।




হরিণাকুণ্ডুতে এমপিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের কর্মবিরতি পালন

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে উৎসব ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বেসরকারী এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা কালো ব্যাচ ধারণ এবং দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছে। জানা যায় গতকাল শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বেসরকারী শিক্ষকদের পবিত্র ঈদুল আযাহা’র উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের তা বাড়েনি সেকারেণ তারা এই কর্মবিরতি পালন করছেন।

উপজেলার হাজী আরশাদ আলী ডিগ্রি কলেজ, ভালকী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঘোড়াগাছা লাল মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জোড়াদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দখলপুর সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদ্রাসাসহ উপজেলার অধিকাংশ স্কুল কলেজ এই কর্মবিরতি পালন করেছে। এতে বেলা ১২টা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের কোন ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।

বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদ হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নায়েব আলী জানান, উৎসব ভাতা বৃদ্ধির নতুন প্রজ্ঞাপনে কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে ঝিনাইদহ জেলা সহ সারাদেশের এমপিওভূক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা বুধবার ২৮মে তারিখ থেকে কালো ব্যাচ ধারণ এবং দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন। তিনি আরো বলেন বর্তমান বৈষম্য বিরোধী ও তারুন্যের সরকার আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে শত ভাগ উৎসব ভাতার ঘোষণা দিয়ে তা বাস্তবায়ন করবেন বলে আশা করছি।

যদি আমাদের দাবি অন্তর্বর্তী সরকার পূরণ না করে তাহলে সারা দেশব্যাপী আমরা নতুন কর্মসূচী ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে যাব। এবিষয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী বলেন আমি বিষয়টি জানি, তবে ক্লাস বন্ধ রেখে কোন আন্দোলন করা যাবেনা বলে তাদের জানিযেছি। এবিষয়ে হাজী আরশাদ আলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল কাসেম বলেন কর্মচারীরা তাদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে। তবে কলেজের অন্যান্য কক্ষ খোলা ছিল। তিনি মনে করেন এটা তাদের যৌক্তিক দাবি সরকারের এটা মেনে নেওয়া উচিৎ।

এবিষয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হক টিটু বলেন, বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা কালো ব্যাচ ধারণ ও কর্মবিরতি পালন করেছে, তবে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। তিনি আরও বলেন তাদের নৈতিক দাবির পক্ষে আমরা থাকব তবে কোন ভাবেই যেন প্রতিষ্ঠানের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ করে কর্মসূচী পালন করা না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।




গাংনীর কাথুলী ইউপিতে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

গাংনীর কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের সভাকক্ষে এ বাজেট ঘোষণা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের চূড়ান্ত বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন, আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ১নং কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইফতেখার আহমেদ, সহকারী সচিব রাজিয়া সুলতানা, ১নং ওয়ার্ড সদস্য বাবুল হোসেন, ২নং ওয়ার্ড সদস্য জিনারুল ইসলাম (গাড়াবাড়ীয়া), ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আশরাফুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য ফারুক হোসেন, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য হুসাইন মোহাম্মদ (খাসমহল), ৭নং ওয়ার্ড সদস্য আজমাইন হোসেন (লক্ষীনারায়নপুর ধলা), ৮নং ওয়ার্ড সদস্য কাবের আলী (মাইলমারী), ৯নং ওয়ার্ড সদস্য আনারুল ইসলাম (নওপাড়া), মহিলা ইউপি সদস্যগণ, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা উজ্জ্বল হোসেন, কৃষি কর্মকর্তা সোহেল রানা, স্বাস্থ্য পরিদর্শক গুলছেতারা খাতুন, শিক্ষক রুহুল আমিন মাস্টার, সমাজসেবক শহিদুল ইসলাম এবং এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী ও সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইফতেখার আহমেদ বাজেট উপস্থাপনকালে জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের মোট আয়-ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১,৭৯,০৫,৪৬০ টাকা (এক কোটি উনআশি লক্ষ পাঁচ হাজার চারশ ষাট টাকা মাত্র)। বাজেটে আইন-২০০৯ অনুযায়ী ইউনিয়নের ট্যাক্স, টোল, ট্রেড লাইসেন্স, পারমিট এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত প্রমোদমূলক কার্যক্রম থেকে আয় বিবেচনা করা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা বলেন, “আমি এবং আমার ইউপি সদস্যবৃন্দ আপনাদের সেবক হিসেবে আগামী ৫ বছরের জন্য দায়িত্ব নিয়েছি। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমে সহযোগিতা করে পাশে থাকবেন।”

তিনি আরও বলেন, “আপনাদের সঠিক সেবা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব, তেমনি ইউনিয়নের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করা একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব। আসুন আমরা সকলে মিলে একটি উন্নত ও স্বনির্ভর ইউনিয়ন গড়ে তুলি।”

সভা শেষে তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।




মেহেরপুরের সাহেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ

“শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড” এই অঙ্গীকারকে সামনে রেখে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়া রোধে মেহেরপুরের সাহেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক সচেতনতামূলক “মা সমাবেশ” অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাজেদুল হক।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য ও সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার কাজল রেখা। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিনারুল ইসলাম ও জাহানারা খাতুন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের পিটিএ কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

সমাবেশে বিদ্যালয়ের সকল শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তাঁদের মায়েরা অংশগ্রহণ করেন।

সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করা, পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি এবং বিশেষ করে মায়েদের সচেতনতা ও অংশগ্রহণ বাড়ানো।

প্রোগ্রাম ম্যানেজার কাজল রেখা বলেন, “একজন শিশুর প্রথম শিক্ষক হচ্ছেন তার মা। তাই শিক্ষার ভিত্তি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মায়েদের ভূমিকা অপরিহার্য। যদি মা সচেতন হন, তাহলে তার সন্তান কখনোই ঝরে পড়বে না বরং পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে।”

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিনারুল ইসলাম বলেন, “বর্তমানে বিভিন্ন কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে অনিয়মিত হচ্ছে। এর পেছনে পারিবারিক উদাসীনতা, সচেতনতার অভাব এবং দারিদ্র্য অন্যতম কারণ। তবে যদি অভিভাবকদের—বিশেষ করে মায়েদের শিক্ষাবান্ধব করে তোলা যায়, তাহলে এই অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব।”

সভাপতির বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক মো. সাজেদুল হক বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, যেন বিদ্যালয় থেকে কোনো শিক্ষার্থী ঝরে না পড়ে। এ লক্ষ্যে অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে, আর এই সমাবেশ তারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।”

সমাবেশে অংশ নেওয়া মায়েরা তাঁদের মতামত তুলে ধরেন এবং সন্তানের পড়াশোনার প্রতি আরও যত্নবান হওয়ার অঙ্গীকার করেন। অনেকেই জানান, আগে তাঁরা বিদ্যালয়ের বিষয়ে তেমন মনোযোগী ছিলেন না, তবে এখন থেকে নিয়মিত সন্তানের খোঁজখবর রাখবেন।