গাংনীতে বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণ, এলাকায় আতংক

লাল কসটেপ মোড়ানো বস্তুর গায়ে লাথি মারতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে কেউ হতাহত না হলেও এলাকায় নতুন করে তৈরী হয়েছে আতংক।

গাংনী উপজেলার কড়ুইগাছি বাজারের আদম ব্যবসায়ী রোকন আলীর মার্কেটের সামনে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার সময় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর শোনার পর পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্য গেছেন।

মার্কেটের মালিক আদম ব্যবসায়ী রোকন জানান, আমি চারদিন আগে ঢাকায় এসেছি। আজকেই বাড়ি ফেরার জন্য পথের মধ্যে আছি। কড়ুইগাছি বাজারে আমার মার্কেট সংলগ্ন দ্বোতালা বাড়ি। মার্কেটে একটি রুম আমি আদম ব্যবসার অফিস হিসেবে ব্যবহার করি। অপর দুটিতে দোকান হিসেবে ভাড়ায় দেওয়া হয়েছে। আজ সকাল ১১ টার দিকে লাল কসটেপ মোড়ানো একটি বোমা পড়ে থাকতে দেখে ভাড়াটিয়া দোকানদার ধীরেন দাশ না বুঝেই সেটিকে লাথি মারে। লাথি মারার সাথে সাথে বিকট শব্দে বোমার বিস্ফোরণ। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর সকালে কড়ুইগাছি গ্রামের শ্রমিকলীগের রাইপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুমন ইসলামের বাড়ি থেকে দুটি হাতবোমা ও লাশ দাফনের সরঞ্জামসহ প্রাণনাশের হুমকি সংবলিত চিরকুট উদ্ধার করা হয়।

পরপর বোমা উদ্ধার ও বোমার বিস্ফোরণের ঘটনায় এলাকায় নতুন করে আতংক বিরাজ করছে।




স্ক্যাম প্রতিরোধে ক্রোমে যুক্ত হচ্ছে নতুন এআই সুবিধা

সাইবার হামলা থেকে ব্যবহারকারীদের নিরাপদ রাখতে ক্রোম ব্রাউজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) নতুন সুবিধা যুক্ত করতে যাচ্ছে গুগল। এই সুবিধা চালু হলে ওয়েবসাইটে প্রবেশের আগেই সেটির কাজের ধরন ও নিরাপত্তাব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পর্যালোচনা করে ব্যবহারকারীদের জানাবে ক্রোম ব্রাউজার। এর ফলে ব্যবহারকারীরা সহজেই ম্যালওয়্যার ছড়ানো বা প্রতারণামূলক বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট সম্পর্কে আগে থেকেই জানতে পারবেন।

গুগলের তথ্যমতে, ‘ক্লায়েন্ট সাইড ডিটেকশন ব্র্যান্ড অ্যান্ড ইনটেন্ট ফর স্ক্যাম ডিটেকশন’ নামের নতুন এ সুবিধা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের কাজের ধরন ও কনটেন্ট (আধেয়) পর্যালোচনা করে ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহারকারীদের সতর্ক করবে। এরই মধ্যে ক্রোম ব্রাউজারের পরীক্ষামূলক সংস্করণে নতুন সুবিধাটির কার্যকারিতা পরখ করা হচ্ছে। সুবিধাটি মূলত লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ব্যবহার করে স্ক্যাম শনাক্তকরণে ব্রাউজারের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে। নতুন এই প্রযুক্তি ম্যাক, উইন্ডোজ ও লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করবে।

গুগল জানিয়েছে, নতুন এই সুবিধা বিপজ্জনক ওয়েবসাইট, ক্ষতিকর ডাউনলোড ও ঝুঁকিপূর্ণ এক্সটেনশন ব্যবহার করা থেকে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষিত রাখবে। সুবিধাটি বর্তমানে নির্ধারিত তথ্যের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে থাকা কনটেন্ট বিশ্লেষণ করে স্ক্যাম ও বিপজ্জনক ওয়েবসাইট শনাক্ত করছে। পরীক্ষামূলক এ সুবিধাটি আরও উন্নত করা হবে। তবে কবে নাগাদ সুবিধাটি ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।

সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার




মেহেরপুরের আমঝুপিতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও আলোচনা সভা

সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম গোলাম মোস্তফার স্মরণে মেহেরপুরের আমঝুপিতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আমঝুপি ছাত্র সমাজ ও যুব সমাজের উদ্যোগে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপির গন্ধরাজপুর পাড়ায় (বটতলা মোড়) এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে এলাকার সাধারণ মানুষদের ফ্রি মেডিকেল সেবা প্রদান করা হয়। অভিজ্ঞ ডাক্তারদের একটি দল রোগীদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ করেন।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি ওমর ফারুক লিটনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মাদ।

এসময় তারা মরহুম গোলাম মোস্তফার কর্মময় জীবন, তার সমাজ সেবামূলক কাজ এবং স্থানীয় উন্নয়নে অবদান নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এসময় সদর থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসিবুজ্জামান স্বপ্ননসহ ইউনিয়ন বিএনপি’র বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




ভারোত্তোলনে ৯০ বছর বয়সি নারীর চমক

বয়স ৯০। এই বয়সে অনেকে বার্ধক্যের যন্ত্রণা নিয়ে কেবল শেষ দিনের অপেক্ষা করেন। কিন্তু ব্যতিক্রম তাইওয়ানের চেং চেন চিন-মেই। ভারোত্তোলনের মতো একটা ইভেন্টে চমক দেখিয়েছেন এই নারী। সম্প্রতি রাজধানী তাইপের এক ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় অনায়াসে ৩৫ কেজির বার তুলেছেন তিনি। ৯০ বছর বয়সে এমন ইভেন্ট অংশ নিয়ে নজর কেড়েছিলেন চেং। এরপরে যখন তিনি ৩৫ কেজির বার হাতে তুলে নেন তখন উচ্ছাসে ফেটে পড়েছিলেন উপস্থিত জনতা।

তাইপের এই প্রতিযোগিতায় চেং চেন চিন-মেইসহ মোট ৪৫ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন। সকলের বয়স ছিল ৭০ বছরের ওপরে। সেখানে ৯২ বছর বয়সি এক প্রতিযোগীও অংশ নিয়েছিলেন। তবে সবচেয়ে বেশি চমক দেখিয়েছেন ৯০ বছরের চেং চেন। এই দৃশ্য দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন তার সন্তান, নাতী-নাতনি ও পরের প্রজন্ম। অর্থাৎ তিন প্রজন্মের সামনে তিনি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন।

এই বয়সে চেং চেনের ভারোত্তোলনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পেছনে রয়েছে ভিন্ন কারণ। পারকিনসন রোগ ধরা পড়ার পরে তার নাতনি তাকে ভারত্তোলনের বিষয়ে আগ্রহী করে তোলেন। এই প্রশিক্ষণ তার শারীরিক ভঙ্গি ও গড়নের উন্নতিতে সাহায্য করে। গেল বছরের আগস্ট থেকে এই যাত্রা শুরু করেছিলেন চেং চেন। সেখান থেকে এসে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি। তিন-রাউন্ডের এই প্রতিযোগিতায় চেং চেন একটি ষড়ভুজ-আকৃতির বার ব্যবহার করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত উত্তোলন করেছিলেন। সেই কাজে তাকে একজন লিফটার সহায়তা করেছিলেন।

প্রতিযোগিতার পরে চেং চেন বলেছেন, ‘আমি সমস্ত বয়স্ক লোকদের এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য বলছি। এজন্য খুব বেশি পরিশ্রম করতে হবে না। তবে সুস্থ থাকার জন্য এমন কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।’ ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, তাইওয়ান আগামী বছরের মধ্যে ‘বয়োজ্যেষ্ঠদের সমাজ’ হতে চলেছে। দেশটির ২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে অন্তত ২০ শতাংশেরই বয়স ৬৫ বা তার উপরে। সেজন্য সরকার বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত সরঞ্জামসহ দ্বীপ জুড়ে ফিটনেস সেন্টার স্থাপন করেছে। তাদের প্রশিক্ষণে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করে যাচ্ছে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় লোকজনের মতো এটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারাকে উৎসাহিত করবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




নতুন গুড়ের ঘ্রাণে গাছিরা ভুলে যান তার ঘাম ঝরানো কষ্ট

গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য খেজুরের রস, গুড় আর তা দিয়ে বানানো পায়েস ও নানা ধরনের পিঠা পুলি। গাছ কেটে একফোটা রস বের করতে যে ঘাম ঝরে তার মূল্য সহজে উঠে না। কিন্তু রস জ্বালিয়ে গুড় হলেই তার ঘ্রাণে কৃষক ভুলে যায় সেই ঘামের কষ্ট। নতুন প্রজন্মের কৃষকরা কষ্টের কারণে খেজুর গাছ কাটতে চায়না ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে খেজুরের রস। তবে এলাকায় ব্যাপক চাহিদা থাকায় বয়স্ক গাছিরা এই শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছে। প্রতি বছর শীত মৌসুমেই দেখা মেলে এই খেজুর রসের পায়েস আর পিঠা- পুলির।

তাই এখন ভরা মৌসুমে খেজুরের রস পেতে গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ঝিনাইদহের গাছিরা।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চটকাবাড়িয়া গ্রামে, খেজুরের রস আহরণ শুরু করেছেন ৬৫ বছর বয়সের কৃষক মন্টু মিয়া। তিনি নিয়মিতভাবে গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার দু’পাশে সারিবদ্ধ খেজুরগাছ। জমির আইলে ও পতিত জায়গায়ও রয়েছে অসংখ্য খেজুর গাছ। বিশেষ করে উপজেলার তাহেরহুদা, বোয়ালিয়া, বিরামপুর,শীতলী, ভাতুড়িয়া, কেষ্টপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা মেলে এ দৃশ্য। গাছিরা প্রথমে গাছের মাথা থেকে ডালপালা কেটে পরিষ্কার করেন। পরে নির্দিষ্ট স্থান হালকা করে কেটে পরিষ্কার করেন। এর কিছুদিন বিরতির পর গাছের পরিস্কার করা অংশ শুকিয়ে নিয়ে আবার কয়েক দফায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছেঁটে ফেলা হয় গাছের ছাল। গাছ কাটার এ কাজে গাছিরা ধারাল অস্ত্র ব্যবহার করেন। গাছ কাটার সময় খেজুর গাছের সঙ্গে নিজেদের শক্তভাবে দড়ি দিয়ে বেঁধে নেন তারা। তাদের কোমরে থাকে বাশেঁর তৈরী ঠোঁঙ্গা (স্থানীয় ভাষায়) যার ভেতর থাকে গাছ পরিষ্কার করার দাসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি। গাছ তৈরির প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর থেকেই মূলত রস নামানোর পর্বটা শুরু হয়।

এরপর গাছের মাথার নির্দিষ্ট স্থানে পাত্রের ভেতর রস পড়ার জন্য বাঁশের তৈরী একটি নলি ও দুপাশে দু’টি চোখা বা খুঁটি পোতা হয়

সাথে রস সংগ্রহের পাত্র ঝুলিয়ে রাখা হয়। এভাবেই গাছির নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরে খেজুরের রস।

তারা আরও জানান, সপ্তাহের নির্ধারিত দিন বিকেলে গাছের মাথা হালকা ভাবে ছেঁটে নির্ধারিত স্থানে মাটির পাত্র ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন ভোরে গাছ থেকে পাত্র নামিয়ে আনা হয়। গাছভেদে দু’থেকে চার কেজি হারে রস পাওয়া যায়, যা থেকে এক থেকে দেড় কেজি গুড় হয়। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন পরপর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়। রস জ্বালিয়ে গুড় বানাতেও কৃষকদের ভোগান্তি কম নয়। কারণ খেজুর গাছের ডাল ও অন্যান্য খড়ি সংগ্রহ করে এ রস থেকে গুড় বানাতে হয়। কাঁচা রস ২কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় এবং এক কেজি গুড় বাজারে বর্তমান ২৫০ থেকে ৩০০টাকায় বিক্রি হয়। অসৎ ব্যবসায়ীরা অনেক সময় রসের মধ্যে চিনি মিশিয়ে গুড় তৈরী করে। ভাল গাছিরা এগুলো করেনা, এই দাম কম হলেও গাছিরা সন্তষ্টচিত্তে প্রতিদিন তাদের গাছ পরিচর্যা ও রস সংগ্রহে ব্যস্ত থাকেন।




মেহেরপুরে শিক্ষকের নেতৃত্বে বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ

মেহেরপুরে পৌর বিএনপির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনার বাড়িতে দুই দফা হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আহমদ আলী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক রিপনের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ মনিরুল ইসলাম মনার পরিবারের সদস্যদের। বিএনপির দলীয় কোন্দলের কারণেই এ হামলা বলে দাবি করেছেন মনার পিতা শফিকুল ইসলাম।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টা ও রাত ৯ টার দিকে দুই দফায় মেহেরপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড মূখার্জী পাড়ায় অবস্থিত পৌর বিএনপি নেতা মনার বাড়ীতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

সরজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে ভীত সন্ত্রস্ত মনার মা ও স্ত্রী বলেন, ‘প্রথম দফায় সাত আট জন লোক এসে এটা বিএনপি নেতা মনার বাড়ি কি না জিজ্ঞাসা করে বাড়ির গেটে তালা লাগিয়ে দিতে যাই। এ সময় তারা মনার পিতা শফির সাথে ধাক্কাধাক্কি করে চলে গেছিলো। পরে রাত ৯ টার দিকে দ্বিতীয় দফা হামলার সময় অর্ধশতাধিক লোক এসে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ছিল। এসেই তারা মনার মায়ের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। হামলাকালে তারা স্বর্ণের চেইন ও নগদ ৫৫ হাজার টাকা ঘর থেকে নিয়ে গেছে। হামলাকারীদের অনেকেরই মুখ বাধা ছিল। তবে আমরা এডভোকেট কামরুল হাসানের ভাই আহমদ আলী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক রিপন (৫০) কে চিনতে পেরেছি। অন্যদের মুখ বাধা ছিল বলে সকলের পরিচয় নিশ্চিত হতে পারিনি। এ ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানায় আমরা লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।’

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নবগঠিত আহবায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ অরুন বলেন, ‘আমি হামলাস্থল পরিদর্শন করেছি, থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’

এ বিষয়ে কথা বলতে মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জেলা আহবায়ক কমিটির যুগ্ন আহবায়ক-৩ ফয়েজ আহমেদের মোবাইলে কল দিলে ফোন ধরেন তার স্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন ফয়েজ আহমেদ ঘুমিয়ে পড়েছেন। গভীর রাতে ফোন দেয়াতে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হতে মেহেরপুর সদর থানায় গেলে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার এস আই মোমিন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমাদের টিম গেছে, তারা এখনো ফিরে আসেনি। এছাড়াও এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’

মেহেরপুর সদর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, ‘আমাদের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, ভুক্তভোগী পরিবারকে লিখিত অভিযোগ দিতে পরামর্শ দিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। হয়তো রাতের কোন এক সময় ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ জমা দিতে পারে।




মেহেরপুরের বারাদীতে সাংবাদিক সম্মেলন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে মেহেরপুর সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি লিয়াকত আলী মেম্বার ।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে বারাদী ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জানা যায়, বেশ কয়েক মাস যাবত একটি কুচক্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি লিয়াকত আলী সহ বারাদী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবদল নেতা আঃ হালিম ও রিপন আহমেদ এর নামে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বিভিন্ন ধরনের ছবি পোস্ট করে। গত কয়েকদিন আগে ফেসবুকে রুকাইয়া আফরিন নামের একটি আইডি থেকে বিএনপি’র এই সকল নেতাদের নামে চাঁদাবাজি নির্মাণ শ্রমিককে মারধর বারাদী খামারে শ্রমিক নিয়োগের বাণিজ্য দখলবাজি নকল সিগারেট বিক্রি ও মাদক ব্যবসা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে একটি পোস্ট করা হয় । এরই প্রতিবাদে সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি লিয়াকত আলী সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কতিপয় কুচক্রী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর পোস্ট করে আমার ইমেজ ক্ষুন্ন করার মিথ্যা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এবং বারাদী ইউনিয়নবাসীর সামনে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে যে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন যা আমার জন্য বিব্রত কর। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে তার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। একজন নির্মাণ শ্রমিককে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাকে ইঞ্জিনিয়ার সাজিয়ে জোরপূর্বক মিথ্যা স্বীকারোক্তি মূলক অডিও ক্লিপ বানিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছে। আমাকে সমাজের চোখে অপরাধী বানানোর জন্য আমার মান-সম্মান নষ্ট করার জন্য আমাকে মাদক ব্যবসায়ী বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি কোন ধরনের নেশা মাদকদ্রব্যের সাথে সম্পৃক্ত নয় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাকাণ্ড ছড়ানো হয়েছে।

মেহেরপুর সদরের বারাদী বিএডিসি ফার্মে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে অর্থ বাণিজ্য নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। সুপ্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ আপনারা বিএডিসিতে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের কাছে সরেজমিনে পরিদর্শন করে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন । আমি এইগুলোর সাথে জড়িত কি না? যারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে তারা পরাজিত শক্তি, তারা অপরাজনীতি শুরু করেছে। অতীতে আওয়ামী প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আমি মামলা হামলার শিকার হয়েছি। এখনো আমাকে সেই স্বৈরাচারের দোসররা বিভিন্নভাবে পরাজিত করতে বিএনপি’র ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আমাকে যেন দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সেজন্য আমার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এর আগেও আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার ছড়ানো হয়েছিল। আমি মেহেরপুর সদর থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। তারপরেও তারা একের পর এক মানহানিকর মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে মেহেরপুর জেলা বাসীর নিকট আবেদন জানায়, আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের গুজব মিথ্যা প্রোপাগান্ডা মূলক কোনো ফেসবুক পোস্ট আপনারা বিশ্বাস করবেন না। এগুলোর সাথে আমি জড়িত নই বা এই ধরনের কাজের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নাই। তিনি আরো বলেন, আমি ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করেছি। আমার জনপ্রিয়তায় তারা ঈর্ষান্বিত হয়ে সামাজিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি সেই সাথে এই কুচক্রীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির আবেদন জানাচ্ছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ বিএনপি নেতা মীর আবুল হাশেম, বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন মেম্বার, কামরুজ্জামান মুকুল মেম্বার, আফারুল ইসলাম ডাবলু, আশরাফুজ্জামান আলিহিম মেম্বার, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি লাল মোহাম্মদ, যুবদল নেতা দেওয়ান শফিকুল ইসলাম শফি, শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা শফিকুল আজম সহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।




কুষ্টিয়ায় পিএসটিসি মডেল ক্লিনিকের উদ্বোধন

কুষ্টিয়ায় পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিসি) মডেল ক্লিনিকের উদ্বোধন করা হয়েছে।

এটি বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য পিএসটিসি-এর চলমান প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বিশেষভাবে প্রজনন স্বাস্থ্যসহ (SRH) জনস্বাস্থ্য সেবায় ব্যাপক সেবা প্রদান করার লক্ষ্যে কাজ করবে এটি।

মঙ্গলবার সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো: তৌফিকুর রহমান।

এসময় তিনি তার বক্তব্যে সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। পিএসটিসির জনগণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে অব্যাহত প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-কুষ্টিয়া পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক মো. আবদুস সালাম, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, উপজেলা হেলথ অফিসের ইউ এইচ অ্যান্ড এফপিও মো. সাজ্জাদ হোসেন।

অতিথিরা তাদের মতামতে এই উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানান। সরকার, এনজিও ও স্থানীয়দের মধ্যে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নতির ওপর জোর দেন তারা।

অনুষ্ঠানে পিএসটিসি ফোকাস প্রকল্পের ওপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ও ভিডিও ডকুমেন্টরি প্রদর্শিত হয়। এরপর ক্লিনিকটি পরিদর্শন করা হয়। এই ক্লিনিকটি একটি মডেল হিসেবে সেবা প্রদানের লক্ষ্য রাখছে, যেখানে পরিবার পরিকল্পনা, মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুসাস্থ্য, কাউন্সেলিং এবং স্বাস্থ্য শিক্ষাসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদান করা হবে।

পিএসটিসির নির্বাহী পরিচালক, ড. নূর মোহাম্মদ তার বক্তব্যে দেশজুড়ে সবার জন্য সমান স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

পিএসটিসি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, যার ৪৬ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। স্বাস্থ্য এবং সেবামূলক উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এটি।




মুজিবনগরে জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে, অভ্যুত্থানের শক্তি নাগরিক, আহত ও শহীদ পরিবারের সাথে তরুণ নাগরিকদের সমন্বয়ে গঠিত-জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা (মুজিবনগর রাইজিং) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে মেহেরপুর জেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজনে, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আশিক রাব্বির সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির মাহমুদুল হাসান।

অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক নাঈম আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাসনাত জামান সৈকত, সমাপনী বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটি কেন্দ্রীয় সদস্য শাকিল আহমেদ।

এ ছাড়াও  উপস্থিত ছিলেন তামিম ইকবাল, আরিফ খান, তুষার, আমির হামজা, শাওন শেখ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি।




কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়লো কুমির

কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীতে পদ্মায় মাছ ধরার সময় শরিফুল ইসলাম নামে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে একটি বিশালাকৃতির কুমির।

আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের পদ্মা নদী বালির ঘাট থেকে একটি বিশাল আকৃতির কুমির ধরা পড়ে। ১১ ফুট লম্বা আনুমানিক ২৫০ কেজি ওজনের এই কুমিরটি একনজর দেখতে ভিড় করেন উৎসুক এলাকাবাসী।

জেলে শরিফুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবারও তিনি নদীতে মাছ ধরতে যান। এ সময় একটি কুমির জালে আটকা পড়লে সঙ্গে থাকা আবজাল ও নুর হোসেনের সহযোগিতায় সেটিকে পদ্মার ডাঙায় তোলা হয়। পরে তারা বন বিভাগে এবং মিরপুর থানায় খবর দেন। কুমিরটির দৈর্ঘ্য ছিল আনুমানিক ১১ ফুট এবং ওজন প্রায় ২৫০ কেজির মতো। এলাকার লোকজন সেটি দেখতে ভিড় করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মিরপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদ জানান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তার মাধ্যমে আমরা মঙ্গলবার বিকেলে খবর পেয়ে গড়াই নদীতে যায়। সেখানে স্থানীয় এক জেলে মাছ ধরতে গিয়ে তার জালে একটি কুমির ধরা পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয় জনতা ভীড় জমায়। পরে কুমিরটি আমরা উদ্ধার করে রশি দিয়ে বেঁধে রাখি। যাতে কুমিরটির কোন ক্ষতি না হয়।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পদ্মা নদীর গভীরে অবমুক্ত করতে কুমিরটিকে নিয়ে সামাজিক বন বিভাগ কুষ্টিয়ার কর্মকর্তারা রওয়ানা হয়েছে।

এর আগে কুষ্টিয়া শহর সংলগ্ন পদ্মা নদীর শাখা গড়াই নদী কয়েক দিন ধরে একাধিক কুমির দেখা যায়। কুমির দেখতে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের জুগিয়া ভাটাপাড়া গোরস্তান এলাকায় গড়াই নদীর পাড়ে ভিড় করে স্থানীয় বাসিন্দারা। নদীতে কম পানিতে কুমিরের দেখা পাওয়ায় জেলেরা মাছ ধরতে পানিতে কম নামে।

এদিকে কুমিরদের খাবার দিতে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ) কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি ও পাখিপ্রেমী শাহাব উদ্দিন নদের চরে ছাগল ও হাঁস-মুরগি দেন। শাহাব উদ্দিন মিলন বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে নদের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। হয়তো কোনোভাবে কুমির এখানে এসেছে। কিন্তু সে কোনো খাবার পাচ্ছে না। এ জন্য হাঁস, মুরগি ও ছাগল আনা হয়। কুমির সংরক্ষণ করতে হবে।

কুষ্টিয়া বন বিভাগের কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান জানান, কুমিরটি উদ্ধার করা হয়েছে। বিকেলে বন বিভাগের পিকআপভ্যানে করে কুমিরটিকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া বন বিভাগ অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কুমিরটিকে পদ্মা নদীতে অবমুক্ত করা হবে।