প্রথম নারী ব্যান্ড হিসেবে প্রকাশ্যে গান গাওয়ার অনুমতি পেয়েছে ‘সিরা’

আন্ডার গ্রাউন্ড ব্যান্ড থেকে সৌদি আরবে প্রথম নারী রক ব্যান্ড হিসেবে প্রকাশ্যে গান গাওয়ার অনুমতি পেয়েছে ‘সিরা’। প্রাথমিক পর্যায়ে গ্যারেজে হতো তাদের পারফর্ম। এরপর জনসম্মুখে আসার সুযোগ হতেই ঘটে বাজিমাৎ।

কঠোর ধর্মীয় বিধিনিষেধ ও পুরুষশাসিত সমাজের বাঁধার দেয়াল টপকাতে পেরেছে সিরার সুর। তারা নিজেদের মতো করে এগিয়ে গেছে। সিরার ব্যান্ড সদস্যরাও অবশ্য তাই মনে করেন। তাদের ভাষ্য, সৌদির এমন বিধির মাঝে ব্যান্ড সিরা নারী শিল্পীদের জন্য অনুপ্রেরণা।

আরবি সংস্কৃতিতে সিরা অর্থ জীবন। এই ব্যান্ডের মূল উদ্দেশ্য- সৌদি নারীদের সংগীতের প্রতি আগ্রহী করা। সদস্যরা জানান বিধিনিষেধ সত্ত্বেও পরিবারের সমর্থন পেয়েছেন তারা।

ব্যান্ডের প্রধান ভোকাল নোরা বলেন, ‘সৌদি নারীরা নিজেদের সংগীত নিয়ে উপযুক্ত বলে মনে করেন না। আমি চাই তারা তাদের প্রতিভা প্রকাশ করুক।’

ব্যান্ডটির বেজ সিঙ্গার মেস বলেন, সৌদি আরবে পারফর্ম করার মাঝে অন্যরকম একটা ব্যাপার আছে। এখানকার মানুষরা অতি উৎসাহী। যেন ওরা বিশ্বাসই করতে পারে না এভাবে গান করা সম্ভব।

আরবের ঐতিহ্যবাহী নিকাব পরেই ড্রাম বাজান ‘থিং’। জানিয়েছেন, সৌদি আরবের নারীদের সঙ্গীতের প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে চান তিনি।

ড্রামার থিং বলেন, সৌদি আরবের প্রত্যেক নারী যাদের সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা আছে তাদের বলতে চাই- এই গভীর আসক্তিকে হারাতে দিও না। গানের বিভিন্ন ধরণ আছে। অবশ্যই কিছু না কিছু করতে পারবে।

পশ্চিমা ও আরব সংস্কৃতির আদলে গড়ে ওঠে ব্যান্ড সিরা। অসাধারণ গানের লাইন আর রক-আরব সংমিশ্রণ অতীতে আগে দেখা যায়নি, ফলে তাদের গানগুলোতে রয়েছে আলাদা ভাইব; যা দিনে দিনে জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তুলছে শ্রোতাদের মাঝে।

গত ৪ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে তাদের প্রথম অ্যালবাম।

সিরাই প্রথম না, সৌদি আরবে ২০০৮ সালে ‘দা একোলেড’ নামের আরও একটি নারী রক ব্যান্ড ছিল। যদিও তাদের শুধু মাত্র আন্ডারগ্রাউন্ডেই পারফর্মের অনুমতি মিলেছিল। এবার সিরা জনসম্মুখে পারফর্মের অনুমতি পেয়েছে।

ভিশন ২০৩০ সংস্কার পরিকল্পনার মাধ্যমে বেশ কিছু সাংস্কৃতিক ও সামাজিক পরিবর্তন করছে সৌদি সরকার। কঠোর ইসলামিক শাসন ব্যবস্থাতেও এসেছে পরিবর্তন। বিশেষ করে নারীদের অধিকারের ব্যাপারে। ফলে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে সৌদি নারীরা- এমনটিই জানাচ্ছে দেশটির গণমাধ্যম।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে নানা আয়োজন

আলোচনা সভা, পিঠা উৎসব ও সম্মাননা স্মারক প্রদানের মধ্য দিয়ে মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকালে মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে ক্লাবটির ৮ম বর্ষে পদার্পণ উদযাপন করা হয়। এ সময় আলোচনা সভা ও পিঠা উৎসবের পাশাপাশি ২০২৪ সালে মেহেরপুর জেলার সাংবাদিকতায় অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ দিলরুবা খাতুন ও খান মাহমুদ আল রাফিকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

জেলা প্রেস ক্লাবের সদস্যদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায়, ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দুর সঞ্চালনা ও সভাপতি তোজাম্মেল আযমের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমিন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক কালু, মুজিবনগর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মাহবুবুল হক মন্টু এবং জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুলের পরিচালক আল আমিন ইসলাম বকুল।

অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, এই সংগঠনটির সাথে আমার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বর্তমান সমাজে সাংবাদিকতা খুবই চ্যালেজ্ঞিং পেশা। যে সমাজে গণতন্ত্র থাকে না,যে সমাজ দারুণভাবে অসুস্থ, সেই সমাজে আসলে মুক্ত চিন্তা ও সাংবাদিকতার চর্চা করা প্রচন্ড চ্যালেঞ্জিং। বিগত সময়ে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এই প্রেস ক্লাব নিজ অবস্থানে তৈরি করেছে। আগামীতেও সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাব তার অবস্থান ধরে রাখবে সেই প্রত্যাশা করছি।’ এ সময় তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের আরও বস্তুনিষ্ঠ ও মানসম্মত খবর পরিবেশন করার আহ্বান জানান।

অন্যান্য অতিথিরা তাদের বক্তব্যে জেলা প্রেসক্লাবের সার্বিক কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেন। বিগত সরকারের সময়ে মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাব সদস্যদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে নির্ভীক ভূমিকার কথা উল্লেখ করে অতিথিরা সংবাদ কর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

আলোচনা সভা শেষে জেলার সাংবাদিকতায় অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ কালবেলার জেলা প্রতিনিধি খান মাহমুদ আল রাফি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর জেলা প্রতিনিধি দিলরুবা খাতুন কে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অতঃপর পিঠা উৎসব উদযাপন করা হয়।




গাংনীতে জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা

জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ বলেছেন, তারুণ্যের মধ্যে রয়েছে দেশ প্রেম, কর্মস্পৃহা, কাজের প্রতি প্রতিজ্ঞা। তাই বয়স্কদের পরামর্শে আজকের তারুণরা আগামীতে দেশ গঠণে কাজ করবে। তরুণদের কাজের মধ্য দিয়ে দূর্ণীতিমুক্ত, বৈষম্যহিন একটি সুন্দর, সম্প্রীতির এক সম্ভাবনার বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

গতকাল সোমবার বিকালে ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বায়নের লক্ষ, জাতীয় নাগরিক কমিটি মেহেরপুরের “গাংনী রাইজিং”র উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি। গতকাল সোমবার বিকালে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আমির হামজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গাংনী পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, নাহিদ মাহমুদ, প্রকৌশলী সাজেদুর রহমানসহ স্থানীয় সংবাদিক, অ্যাডভোকেটসহ নানা পেশার প্রতিনিধি।

জাতীয় নাগরিক কমিটি (জানাক)’র উদ্যেশ্য ও লক্ষ তুলে ধরে অ্যাডভোকেট শাকিল আহমেদ আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের কার্যক্রমকে সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে এবং জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে সমুন্নত রাখতে জাতীয় নাগরিক কমিটির সাংগঠনিক কাঠামো গঠন করা হয়েছে। আমাদের অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী ভাই বোন বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য।

জুলাই বিপ্লবে অসংখ্য শহীদ ভাইদের বিচার নিশ্চিত, তাদের পরিবারকে পূনর্বাসন, আহতদের চিকিৎসাসেবা ও তাদের সহযোগীতা নিশ্চিত করতেই জাতীয় নাগরিক কমিটির পথ চলা শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বৈষম্যহীন এই নতুন বাংলাদেশের শ্রমিক, দিনমজুরসহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষ যেনো তাদের নিজের কথা নিজে বলতে পারেন, নিজের স্বার্থ নিজে নিশ্চিত করতে পারেন। আমরা বাংলাদেশে তরুণ জনগোষ্ঠীর কথা বলতে চাই। আমরা পঞ্চাশ অনুর্ধ্ব রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নির্মাণ করবো। যাতে এই জুলাই বিপ্লব বার বার ফিরে না আসুক। এদেশ থেকে এক ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করা হয়েছে। এদেশে ভবিষ্যতে আবারও কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম হলে জুলাই-আগষ্টের মত হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রী তরুণ মাঠে নেমে তাদের উৎখাত করবে। বাংলাদেশে যে ফ্যাসিবাদের সৃষ্টি হয়েছিল তারা পালিয়ে গেছে। তারা আর ফিরে আসতে পারবেনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে পার্শ্ববর্তি দেশ ভারতের যে আধিপত্য ছিল সেটা ইতোমধ্যে মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। গত ১৬ বছরে দিল্লীর কোনো অন্যায় কাজকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেনি। এখন তাঁদের অন্যায় কাজগুলোকে বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ করছে। তারা বাংলাদেশের কনস্যুলেটে হামলা ও পতাকা পুড়িয়েছে। তার তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে। ফলে দিল্লী বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছে। এদেশে অন্য কোনো রাষ্ট্রের আধিপত্যবাদ চলবেনা।

তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি সৎ, যোগ্য লোক খুঁজছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির মাধ্যমেই যে নতুন দল তৈরী হবে সেখানে ছাত্র, তরুণ ও বয়স্কদের অংশগ্রহণ থাকবে। সেই তারুণ্য নির্ভর দলই এগিয়ে নিয়ে যাবে এই নতুন বাংলাদেশকে। যেখানে একজন যুবক লেখাপড়া শেষ করার পর কর্মসংস্থানে জন্য রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবেনা, চাকুরীর জন্য আত্মহত্যার পথ বেচে নেবেনা। যেখানে সকল মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে।

যেখানে থাকবেনা কোনো বৈষম্য, রাজনৈতিক হানানহানি। মানুষের মত ও পথের নিশ্চিয়তা থাকবে। কেউ রাতের আঁধারে কাউকে মিথ্যা মামলায় ধরে নিয়ে যাবেনা। খুন, গুম হবেনা। এটাই নিশ্চিত করতে চাই জাতীয় নাগরিক কমিটি। এক্ষেত্রে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক সাথে কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, ৩৬ জুলাই ফ্যাসিবাদি হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ সৃষ্টির পর, দেশে অন্তবর্তি সরকার গঠিত হয়েছে। তার আগের বাংলাদেশে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, অর্থবাণিজ্য, হানাহানি, মারামারী একই গ্রপের মধ্যে মারামারি হয়ে হত্যার ঘটনাগুলো ছিল। আমরা আর সেই বাংলাদেশ দেখতে চাইনা।

এসময় তিনি জুলাই বিপ্লবের শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন, এবং আহতদের এবং তাদের পরিবারের অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।




হাসপাতালেই দিন কাটছে বৃদ্ধ ছলেমানের

এক সময়ের স্বচ্ছল গরু ব্যবসায়ী, রয়েছে দ্বোতলা বাড়ি। সংসারে রয়েছে স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠিত সন্তান সন্ততি। ছেলে ও স্ত্রীর প্রতারণার শিকার হয়ে জমিজমা বাড়িঘর সব হারিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়ানো ছলেমান অবশেষে ঠাঁই নিয়েছে হাসপাতালে। ঘরের গেটে তালা দেয়ার কারনে এক মাস ধরে হাসপাতালে কাটছে বৃদ্ধ ছলেমানের দিন। বৃদ্ধ ছলেমান(৬৫) মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের মহম্মদপুর গ্রামের মৃত খেদু বিশ্বাসের ছেলে।

বৃদ্ধ ছলেমান জানান, আমার দুই ছেলে। বড় ছেলে সুমন লেখাপড়া শেষে ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে বড় পদে চাকরি করে। ছোট ছেলে রিপন গ্রামে কৃষি কাজ করে। বড় ছেলের সাথে ঢাকায় থাকে স্ত্রী ইশারন নেছা।বছর খানেক আগে আমার ব্রেইন স্ট্রোক হয়। আমাকেও আমার বড় ছেলে ঢাকায় নিয়ে যায়। কয়েকমাস পর অপারেশন করার কথা বলে ডাক্তারখানায় নিয়ে যায়। এবং একটি ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় বড় ছেলে সুমন ও স্ত্রী ইশারন নেছা।

তিনমাস ঢাকায় থাকার পর আমাকে আবার ছোট ছেলে রিপনের কাছে গ্রামে রেখে যায়। কিছুদিন পর আমার ছোট ছেলে জানতে পারে ১৩ শতক জমিসহ দুই তলা ঘরসহ সব কিছু লিখে নিয়েছে। পরে বিষয়টি বড় ছেলেকে জানতে চাইলে সব রেজিস্ট্রি করে নেয়ার কথা স্বীকার করে এবং ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে। আমি বাড়ি ছাড়তে না চাইলে ঢাকায় থেকে বাড়ি এসে আমাকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়। আমি নিরুপায় হয়ে বেশ কয়েকদিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছি। ভিক্ষাও করতে হয়েছে। আমি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে গাংনী আমাকে গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুর তত্ত্বাবধানে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। একমাস যাবৎ আমি গাংনী হাসপাতালের বেডে পড়ে আছি। এপর্যন্ত স্ত্রী সন্তান আমার কোনো খোঁজ নেয়নি। হাসপাতালের খাবার খায় আর বেডে শুয়ে থাকি। ডাক্তার আসে,ছুটি দেয়। আমি আবার ভর্তি হই। এভাবেই এক মাস হাসপাতালেই দিন যাপন করছি।

ছলেমানের ছোট ছেলে রিপন আলী জানান,আমি আমার বাবাকে আমার কাছে রাখতে চাই। কিন্তু তিনি আমার কাছে থাকতে চাইনা। জমি ও বাড়ি লিখে নেয়ার কারনে আমার বাবা পাগল প্রায়। আমি আমার বড় ভাই সুমনের বিচার দাবী করছি।
মহম্মদপুর গ্রামের মো: রকিবুল ইসলাম বলেন, ছলেমানের বিষয়টি বেশকিছু দিন আগে শুনেছিলাম। তবে একজন অসুস্থ ও বৃদ্ধ মানুষকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া খুবই অমানবিক।

পার্শবর্তী গ্রামের সমাজ সেবক ও সাংবাদিক জুলফিকার আলী বলেন, ছলেমান যখন অসুস্থ হয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছে, তখন তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার বিষয়টি অমানবিক। এখন সে হাসপাতালে ঠাঁই নিয়েছে। প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। যে পিতা মাতা সন্তানকে বড় করেছে,লেখাপড়া শিখিয়েছে। সেই বাবা আজ বাড়িতে আশ্রয় না পেয়ে পথে পথে ঘুরছে। ছলেমানের বড় ছেলে সুমন ও স্ত্রী ঢাকায় থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মটমুড়া ইউপি সদস্য পলিয়ারা খাতুন বলেন,ছলেমান একসময় গরু বেচা কেনা করে ভাল টাকা আয় করতো। এখন সে প্যারালাইজড রোগী। তাকে তার স্ত্রী ও বড় ছেলের যে প্রতারণা করেছে তাদের শাস্তি হওয়া দরকার।

মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ বলেন, ছলেমানের সাথে তার ছেলে ও স্ত্রী যা করেছে তা একজন মানুষ করতে পারেনা। সুমন ও তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করছি। যোগাযোগ করতে পারলে ছলেমানকে বাড়িতে তুলে দেয়ার চেস্টা করবো।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, বৃদ্ধ ছলেমান অসুস্থ হয়ে রাস্তার পার্শ্বে পড়েছিল।আমি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। এখনও আমি তাকে নিয়োমিত দেখাশোনা করছি। তার ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারছিনা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুপ্রভা রানী জানান, একমাস হলো ছলেমান নামের একব্যক্তি পুরুষ ওয়ার্ডের ৫ নম্বর বেডে ভর্তি রেখেছি। এখন সে কিছুটা সুস্থ। তবে এমুহূর্তে পরিবারের কেউ তার পাশে আসেনি।

গাংনী উপজেলা ন্র্বিাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা বলেন, আমি ছুটিতে আছি। বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। বিষয়টি খুবই অমানবিক। আমি এসে বিষয়টি দেখবো।




মুজিবনগরে উপজেলা প্রশাসনের মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ১১ টার সময় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মাসিক সাধারন সভায় উপস্থিত নিজ নিজ দপ্তরের কার্যকম তুলে ধরেন মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল মোমিন, মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার সুরাইয়া শারমিন পুষ্প, উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার খালিদ হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাহমুদুল হাসান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিম রেজা, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা শাহজাহান আলী, আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: হারেছুল আবেদ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সী ওমর ফারুক প্রিন্স, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার। এ সময় উপজেলার সকল অধিদপ্তরের অফিসারবৃন্দ তাদের নিজ নিজ বিভাগের কাজের রিপোর্ট পেশ করেন।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম বলেন যে উপজেলা পরিষদের সমস্ত সেবা গুলি আমরা দিচ্ছি তা যেন স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ হয়। যারা সমাজে কাজ করছে তাদের সমন্বয়ে কাজগুলো করার জন্য বিভিন্ন কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন।




মুজিবনগরে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা

গ্রাম আদালতের কার্যক্রম বৃদ্ধি করার লক্ষে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গ্রাম আদালত সক্রিয়করনের তৃতীয় পর্যায় প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ শাকিলুজ্জামানের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল মোমিন, মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সুরাইয়া শারমিন পুষ্প, উপজেলা জনস্বাস্থ পৌকশলী জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাহমুদুল হাসান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিম রেজা, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সী ওমর ফারুক প্রিন্স।

এ সময় উপজেলার সকল অধিদপ্তরের অফিসারবৃন্দ ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, প্যানেল চেয়ারম্যান অংশ নেন।

সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার গ্রাম আদালত কার্যক্রম সক্রিয় করতে ইউপি চেয়ারম্যান গনদের গ্রাম আদালতের কার্যক্রম কে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে বলেন। যাতে করে ন্যায় ও সুষ্ঠু বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং উচ্চ আদালতে মামলার জট কমে। কমিটির সদস্যগণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে গ্রাম আদালতের প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ জানান।




মেহেরপুরের শোলমারীতে মাঠ দিবস অনুষ্টিত

মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারী গ্রামে এসিআই সীডসের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ফুলকপি ” হোয়াইট মাস্টার ” এর উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার  বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় শোলমারী উত্তরপাড়া মাঠে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় রিটেলার ময়েজ উদ্দীনের সভাপতিত্বে উক্ত মাঠ দিবসে উপস্থিত ছিলেন ডিলার মোঃ নাহারুল ইসলাম ও মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান।

আগামী সিজেনে হোয়াইট মাস্টার ফুলকপি চাষ করার ইচ্ছে পোষণ করেছে স্থানীয় চাষীরা। উক্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এসিআই সীডসের মার্কেটিং অফিসার মোঃ পারভেজ আলী।

এ সময় মাঠ দিবসে আরো উপস্থিত ছিলেন শোলমারী গ্রামের ৮০/৮৫ জন চাষী।




আশরাফপুরে মরহুম ফারুক হুসাইন চেয়ারম্যান ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

মেহেরপুরের আশরাফপুরে মরহুম ফারুক হুসাইন চেয়ারম্যান ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ সোমবার বিকেল তিনটার সময় মেহেরপুর সদর উপজেলা আমদহ ইউনিয়নের আশরাফপুর ক্রিকেট টিমের আয়োজনে আশরাফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করা হয়।

মরহুম ফারুক হুসাইন চেয়ারম্যান স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন নাজাত আলী।

মেহেরপুর সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোল্লা নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাবুদ্দিন মোল্লা।

আশরাফপুর ক্রিকেট টিম অধিনায়ক ইমতিয়াজ আহমেদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইয়াসনবী মাস্টার, আমদহ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর বায়তুল মাল সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুল হক, মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মোঃ মিরাজউদ্দিন, আমদহ ইউনিয়নের যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ তুষার আলী, যুবদলের ওয়ার্ড সেক্রেটারি মিলন আহমেদ, রিপন আলী প্রমুখ।

উদ্বোধনী খেলায় বন্দর একাদশ এবং কুড়োলগাছি একাদশ অংশগ্রহণ করেন।




ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে হিরো উমেন স্কলারশীপ প্রদান

ঝিনাইদহরে কালীগঞ্জে হিরো উমেন স্কলারশীপ প্রদান করা হয়েছে। বিকশিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও বিকশিত নারী ও শিশু কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সেমিনার কক্ষে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম।

বিকশিত নারী ও শিশ কল্যাণ সংস্থার সভানেত্রী মোছা: মনোয়ারা খাতুনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাসলিমা বেগম ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের প্রোগ্রাম অফিসার শাহজাহান আলী বিপাশ, মাকসুদ রানা, বিএনএসকেএস এর কোষাধ্যক্ষ সুফিয়া খাতুন, ইয়ুথ এগেইনস্ট হাঙ্গারের সভাপতি ফাওজুর রহমান সাবিত প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে হিরো উমেন স্কলারশীপের আওতায় (অক্টোবর-ডিসেম্বর) সেশনে স্কুল পর্যায়ে ১০জন মেয়েকে মাসিক ৪’শ টাকা হারে ১২০০ টাকা এবং কলেজ পর্যায়ে ২৬ জন শিক্ষার্থীকে মাসিক ৫০০ টাকা হারে ১৫০০ টাকা প্রদান করা হয়।




ক্রোমের গতি বাড়াতে যে ৫ কৌশল মানতে হবে

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার গুগল ক্রোম। কম্পিউটার থেকে শুরু করে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে এ ব্রাউজারের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর তাই বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রায় ৬৫ শতাংশই ব্রাউজারটি নিয়মিত ব্যবহার করেন। তবে অনেক সময় ক্রোম ব্রাউজার ধীরগতিতে কাজ করে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বেশ কিছু কৌশল কাজে লাগিয়ে ক্রোম ব্রাউজারের গতি বাড়ানো সম্ভব। কৌশলগুলো দেখে নেওয়া যাক।

১. নিয়মিত ব্রাউজার হালনাগাদ করা:
নিরাপত্তার ত্রুটি দূর করার পাশাপাশি বিভিন্ন সুবিধা যুক্ত করতে গুগল নিয়মিত ক্রোম ব্রাউজার হালনাগাদ সংস্করণ উন্মুক্ত করে থাকে। প্রতিটি সংস্করণেই ব্রাউজারের কার্যকারিতা বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন নিরাপত্তার সুবিধা যোগ করা হয়। এর ফলে দ্রুতগতিতে ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করা যায়। আর তাই সব সময় ক্রোম ব্রাউজারের হালনাগাদ সংস্করণ ব্যবহার করতে হবে।

২. কুকিজ ও ক্যাশ ফাইল মুছে ফেলা:
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেই ক্রোম ব্রাউজারে বিভিন্ন অস্থায়ী ফাইল জমা হয়। এই ফাইলগুলোকে কুকিজ ও ক্যাশ বলা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ফাইলগুলো জমা হয়ে ব্রাউজারের গতি কমিয়ে দেয়। আর তাই নিয়মিত কুকিজ ও ক্যাশ মুছে ফেলে ক্রোম ব্রাউজারের গতি বাড়াতে হবে।

৩. প্রিলোড পেজেস সুবিধা চালু:
ক্রোম ব্রাউজারে প্রিলোড পেজেস নামের বিশেষ একটি সুবিধা রয়েছে, যা কাজে লাগিয়ে সহজেই বিভিন্ন ওয়েবসাইট দ্রুত চালু করা সম্ভব। সেটিংসে প্রবেশ করে ‘পারফরম্যান্স’ বা ‘স্পিড’ অপশন থেকে সহজেই ‘প্রিলোড পেজেস’ সুবিধা চালু করা যায়। নিয়মিত এ সুবিধা ব্যবহার করলে দ্রুতগতিতে ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করা যাবে।

৪. অপ্রয়োজনীয় ট্যাব বন্ধ:
অনেকেই একসঙ্গে একাধিক ওয়েব পেজের ট্যাব খুলে রাখেন, যা ব্রাউজারের কাজের গতি কমিয়ে দেয়। আর তাই ক্রোম ব্রাউজারের গতি বাড়ানোর জন্য অপ্রয়োজনীয় ট্যাবগুলো বন্ধ রাখতে হবে।

৫. বিজ্ঞাপন বন্ধ:
বেশির ভাগ ওয়েবসাইটেই এখন বিজ্ঞাপনের আধিক্য দেখা যায়। এই বিজ্ঞাপনগুলো ব্রাউজারের গতি কমিয়ে দেয় এবং ওয়েব পেজ লোড হতে বেশি সময় লাগে। এ সমস্যা সমাধানে অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে।

সূত্র: টেকলুসিভ