মহেশপুরে পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু

ঝিনাইদহের মহেশপুরে পানিতে ডুবে আফিয়া খাতুন (১২) ও সাথিয়া খাতুন (৮) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তারা একে অপরের চাচাত বোন। বুধবার সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য গোসল করতে পুকুরে নেমে ওই দুই শিশু পানিতে ডুবে যায়।

এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বুধবার (২৮ মে) সকাল ৯টার দিকে মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউনিয়নের খোসালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত আফিয়া খোসালপুর গ্রামের শফিকুল ও সাথিয়া একই গ্রামের খায়রুল ইসলামের মেয়ে। তারা খোসালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতো।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও আফিয়ার মামা এনামুল হক জানান, সকালে দুই বোন স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে নামে। এক পর্যায়ে তারা পানিতে ডুবে যায়। পরিবারের লোকজন দীর্ঘক্ষণ তাদের সাড়াশব্দ না পেয়ে পুকুরে গিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। মৃত আফিয়া ও সাথিয়া সম্পর্কে আপন চাচাতো বোন। এ ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মহেশপুর থানার ওসি (তদন্ত) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছি।




ঝিনাইদহে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধে নায়েব আলী (৬২) নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত নায়েব আলী উপজেলার মালিয়াট গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার সকাল ১০টার দিকে নায়েব আলী বাড়ির পাশে বসে ছিল।

এসময় প্রতিপক্ষের ইউনুছ আলী ও তার ছেলে আল-আমিন এসে তার উপর হামলা করে। তারা বাশের লাঠি দিয়ে উপর্যপুরি পিটিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যান। এসময় প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পথে তিনি মারা যান।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, নিহত নায়েব আলীর বোনের জমি কেনে প্রতিবেশি ইউনুছ আলী। ওই জমি দখলকে কেন্দ্র করে দির্ঘদিন ধরে দুই পরিবারে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সকালে নায়েব আলীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার খালিদ হাসান জানান, নায়েব আলীকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গিয়েছিল। ধারনা করা হচ্ছে লাঠির আঘাত ও অতিরিক্ত রক্ষ ক্ষরণের কারনে মারা গেছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে, এখন ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। আসাামিদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে ওসি জানান।




বাংলাদেশিদের ‘পুশইন’ বন্ধে বিজিবির কড়া বার্তা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর মধ্যে অনুষ্ঠিত ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে ‘পুশইন’ বন্ধে কঠোর আপত্তি জানিয়েছে বিজিবি। বিজিবি বলেছে, ভারতে অবৈধভাবে অভিবাসনকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের গোপনে সীমান্ত পেরিয়ে ফেরত পাঠানো আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন।

বুধবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) অধীন দর্শনা বিওপির মেইন পিলার ৭৬ এর শূন্য রেখায় এ অনানুষ্ঠানিক পতাকা বৈঠক হয়। এতে বিজিবি পক্ষে নেতৃত্ব দেন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হাসান এবং বিএসএফ পক্ষে ৩২ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী সুজিত কুমার।

বৈঠকে বিজিবি কমান্ডার স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, সীমান্ত পেরিয়ে গোপনে কোনো বাংলাদেশি নাগরিককে পাঠিয়ে দেওয়া ‘পুশইন’ একটি গুরুতর অনিয়ম। তিনি বলেন, “এটা সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের পাশাপাশি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।”

তিনি বিএসএফ কমান্ড্যান্টকে অনুরোধ করেন, কোনো বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানোর প্রয়োজন হলে, তা যেন সঠিক প্রক্রিয়ায় বিজিবিকে অবহিত করে, তালিকা হস্তান্তর এবং পরিচয় যাচাই সাপেক্ষে তাৎক্ষণিক প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।

এ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট জানান, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে জন্য লোকাল কমান্ডারদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।

বৈঠকে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল বৃদ্ধি, গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার এবং তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে সীমান্তে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার বিষয়েও দু’পক্ষ একমত হয়।

বৈঠক শেষে দুই দেশের কমান্ডাররা মেইন পিলার ৭৬ পরিদর্শন করেন। পতাকা বৈঠকটি সম্পূর্ণ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয়।




মেহেরপুরে বিএডিসি’র বোরো ধান বীজ উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

মেহেরপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর উদ্যোগে “বোরো ধান বীজ উৎপাদনের কলাকৌশল” শীর্ষক চুক্তিবদ্ধ চাষি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল ১১টায় জেলা বীজ প্রত্যয়ন কার্যালয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল মাওলা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া বিএডিসি’র উপপরিচালক মোঃ আশরাফুল আলম, মেহেরপুর বিএডিসি’র উপপরিচালক মোঃ হাফিজুল ইসলাম, আমঝুপি বিএডিসি’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন, চিৎলা বিএডিসি’র যুগ্মপরিচালক মোহাম্মদ মোর্শেদুল আলম, জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার এ কে এম কামরুজ্জামান, আমঝুপি বিএডিসি’র উপপরিচালক (বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ, ডাল ও তৈল বীজ) মোঃ জিয়াউর রহমান, জেলা বিএডিসি’র উপপরিচালক (কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্স) মোহাম্মদ এনামুল হক প্রমুখ।




মেহেরপুর আদালত চত্বরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩, হাসপাতালে ফের হামলা

মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করার এক ঘণ্টার মধ্যেই তাদের ওপর ফের হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ।

বুধবার (২৮ মে) দুপুর দেড়টার দিকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এই চাঞ্চল্যকর হামলার ঘটনা ঘটে।

এর আগে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে আদালত প্রাঙ্গণে দক্ষিণ শালিকা ও গুচ্ছগ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হন সাইফুল হোসেন, রাজ (২৪) ও সেলিম রেজা (৫০)। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতদের ভর্তি করার পর এক ঘণ্টাও না যেতেই আনুমানিক দুপুর দেড়টার দিকে প্রতিপক্ষের কয়েকজন সদস্য হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে চিকিৎসাধীন সাইফুল ও রাজের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা বেডে থাকা অবস্থাতেই লাঠি ও ঘুষি-থাপ্পড়ে মারধরের শিকার হন।

হাসপাতালে থাকা অন্যান্য রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালের এক নার্স নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “এভাবে ভেতরে ঢুকে রোগীর ওপর হামলা সত্যিই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলায় সাইফুল হোসেনের মাথায় ফের আঘাত লাগে এবং তার অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আদালত চত্বরে সংঘর্ষের পর হাসপাতালে আবার হামলার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।




গাংনীতে ইয়াবা ও ট্যাপেন্টাডলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ও ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আটক ব্যক্তির নাম সেন্টু (৪০), তিনি গাংনীর বামন্দী চেরাকী পাড়ার মৃত ছবকুল হোসেনের ছেলে।

সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২৭ মে) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে মেহেরপুর সেনা ক্যাম্পে একটি গোপন সংবাদ আসে যে সেন্টু নামক এক ব্যক্তি ইয়াবার একটি নতুন চালান নিজ বাড়িতে মজুত রেখেছেন।

তথ্য পাওয়ার পরপরই মেহেরপুর আর্মি ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর ফজলে রাব্বির নেতৃত্বে একটি টিম রাত ৯টা ৩০ মিনিট থেকে পরদিন ভোর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বামন্দী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানকালে সেন্টুর বাড়ি থেকে ২৩০ পিস ইয়াবা, ১০২টি ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট এবং ৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে আটক সেন্টুকে গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।




দর্শনায় বারোমাসি কদবেল চাষে সফলতা পেয়েছেন তরিকুল ইসলাম

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা আনোয়ারপুর গ্রামে বারোমাসি জাতের কদবেল বাগান করে সফলতা পেয়েছেন উদ্যোক্তা তরিকুল ইসলাম এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।

মেহেরপুর প্রতিদিনকে তিনি বলেন, “আমি এক জায়গায় ঘুরতে গিয়ে বারোমাসি কদবেল গাছের কিছু ডাল সংগ্রহ করে নিজ হাতে চারা তৈরি করে এই বাগান করেছি। আমার এই কদবেল বাগান ১ বিঘা জমির উপর গড়ে তোলা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “চারা রোপণের নিয়ম খুবই সহজ। অন্যান্য সাধারণ গাছের মতো পরিমাণমতো গর্ত খুঁড়ে চারা রোপণ করতে হয়। প্রতিটি চারা ১২/১২ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে রোপণ করতে হবে। চারা রোপণের পর জৈব সার দিতে হয় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সেচ দিতে হয়।”

প্রতি বিঘায় খরচ কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “জমি চাষ, চারা কেনা, সার কেনা ইত্যাদি মিলিয়ে ৪০-৫০ হাজার টাকা মতো খরচ হয়।”

গাছের রোগ দেখা দেয় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কদবেল গাছে ছত্রাক ও জাব দেখা যায়। এক্ষেত্রে ওষুধ দিলে এর সমাধান হয়ে যায়।”

গাছের পরিচর্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, “বাগানের আগাছা পরিষ্কার করতে হবে, পানির প্রয়োজন হলে সেচ দিতে হবে। একটু দেখাশোনা করলেই এখান থেকে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব বলে আমি মনে করি। বারোমাসি কদবেল আমাদের দেশের আবহাওয়ার সাথেও মানিয়ে নিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমার কদবেল বাগান নিয়ে অনেক স্বপ্ন রয়েছে এবং মেহেরপুর প্রতিদিনকে ধন্যবাদ দিতে চাই আমাদের মতো কৃষকদের সফলতার গল্প সকলের সামনে তুলে ধরার জন্য।”




ইবি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের নতুন ভবন উদ্বোধন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত স্কুল ও কলেজ কম্পাউন্ডে এই ভবনের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম এয়াকুব আলী এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. এমতাজ হোসেন, লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, ইউট্যাব ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি প্রফেসর ড. মো. তোজাম্মেল হোসেন, জিয়া পরিষদ শাখার সভাপতি প্রফেসর ড. মো. ফারুকুজ্জামান খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. শাহিনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. ওবাইদুল ইসলাম, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. আলীমুজ্জামান টুটুল, প্রকল্প পরিচালক ড. নওয়াব আলী খান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোয়াজ্জেম হোসেন, এবং প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. শরিফ উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকবৃন্দ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।




কোটচাঁদপুরে মৎস্যজীবীদের উপদেষ্টা বরাবর খোলা চিঠি

ইজারা পদ্ধতি বাতিল করে বাঁওড়সহ দেশব্যাপী সকল জলমহালে মৎস্যজীবী জেলেদের সমাজভিত্তিক সমবায় মালিকানা প্রতিষ্ঠার ৪ দফা দাবিতে বাংলাদেশ বাঁওড় মৎস্যজীবী আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যেগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর বলুহর বাসস্ট্যান্ডে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মৎস্যজীবী জেলে জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা শত শত নারী পুরুষ এই বিক্ষোভে অংশগ্রহন করে। মিছিলে অংশগ্রহনকারীরা দাবি-দাওয়াসহকারে ফেস্টুন হাতে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। উপজেলার বলুহর বাসস্ট্যান্ডে সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নির্মল হালদারের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব সুজন বিপ্লবের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আন্দোলনের উপদেষ্টা বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. ফজলুর রহমান, ক্ষেতমজুর সমিতির ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি কাজী ফারুক, বাঁওড় আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক বাসুদেব বিশ্বাস, বাঁওড় আন্দোলন সংগঠক এসএম চন্দন প্রমুখ।




“জল যার, জলা তার” এই নীতি বাস্তবায়নের জন্য আমরা কাজ করব

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর বাওড় পরিদর্শন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। এ সময় তিনি বাওড়পাড়ের হালদার সম্প্রদায়ের মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং তাঁদের দুঃখ–দুর্দশার কথা শোনেন।

মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল ১০টার দিকে তিনি বলুহর বাওড় পরিদর্শনে যান। এরপর সাড়ে ১১টার দিকে কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। এতে আরও বক্তব্য দেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল, জেলা ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান এবং মৎস্য অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ মৎস্য কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন কোটচাঁদপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা জামায়াতের আমির তাজুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি এস.কে.এম. সালাউদ্দিন বুলবুল সিডল, প্রগতিশীল নাগরিক সমাজের সভাপতি শরিফুজ্জামান আগা খান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সংগঠক হৃদয় হাসান।

সভায় হালদার সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, শত বছরের বেশি সময় ধরে তাঁরা এই বাওড়ে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। কিন্তু বর্তমান জলমহাল নীতিতে পরিবর্তন এনে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের বাদ দিয়ে প্রভাবশালী অমৎস্যজীবীদের হাতে ইজারা প্রদান করা হয়েছে। তাঁরা জানান, এসব ইজারাদার বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বাওড়ে কৃত্রিম খাবার ও রাসায়নিক ব্যবহার করছেন, যা পরিবেশ ও মাছের স্বাভাবিক প্রজননব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ।

মৎস্যজীবী নির্মল হালদার বলেন, “বাওড় এখন আমাদের জন্য নিষিদ্ধ। জীবিকা নেই, কর্ম নেই, পরিবার নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে।”

বক্তারা বলেন, “জাল যার, জল তার” এই প্রবাদ শুধু মুখের কথা নয়; এর বাস্তবায়ন জরুরি। তাঁরা দেশের সব বাওড়ের বর্তমান ইজারা বাতিল করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের মধ্যে বণ্টনের দাবি জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদা আখতার বলেন, “জল যার, জলা তার এই নীতি বাস্তবায়নের জন্য আমরা কাজ করব। তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। এই প্রজন্মই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়বে।”

তিনি আরও বলেন, “প্রকৃত মৎস্যজীবীদের বাওড়ের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে আমি ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে কথা বলব। পরিবেশ রক্ষা ও মৎস্যজীবীদের জীবনধারা টিকিয়ে রাখতে একটি সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।”