জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি, শুক্রবারের কমিটি

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন বলেছেন, “বাংলাদেশের অপর নাম জিয়াউর রহমান” বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে এদেশের মানুষ যে সংগ্রাম শুরু করেছিলেন সেই আন্দোলনের চুড়ান্ত রুপ জুলাই আগস্টের রক্তাক্ত গণঅভ্যুথান। ছাত্র জনতা রক্ত দিয়ে এদেশ থেকে সৈরাচার শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে।

গতকাল বুধবার বিকেলে গাংনী উপজেলা শহরের হাসপাতাল বাজার এলাকায় আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

গাংনী উপজেলা বিএনপি আয়োজিত মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ও বিশাল গণমিছিলে প্রধান অতিথির রাখছিলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ অরুন আরও বলেন, একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য গত ১৫ বছর যাবৎ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপির হাজার হাজার নেতা কর্মী মামলা হামলা জেল জুলুম, হুলিয়া মাথায় নিয়ে লড়াই, সংগ্রাম করেছে। আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম খুনের স্বীকার হয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এখন যে লড়াই শুরু হচ্ছে এলড়াই বিএনপিকে বাঁচানোর লড়াই, ধানের শীষ রক্ষা করার লড়াই। এ লড়াই দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তারেক রহমানকে এদেশে ফিরিয়ে এনে ১৮ কোটি মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার লড়াই।

তিনি বলেন, অনেকেই চাঁদাবাজির মাধ্যমে শেখ হাসিনার দোসরদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন। আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। যারা হাসিনার দোসরদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে মেহেরপুরে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের কমিটি গঠণের ষড়যন্ত্র করছেন তাদের বিরুদ্ধে গণধোলাইয়ের কর্মসূচি দোবো। কেউ রক্ষা পাবেননা, আগামি ১ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করবো যোগ করেন তিনি। ।

ইউএনও, ওসিসহ সরকারি সকল কর্মকর্তাদের উদেশ্যে মাসুদ অরুন বলেন, জুলাই আগস্টের রক্তপাতের কথা মনে রেখে ৫ তারিখের আগের সব কথা ভুলে যান। এখন থেকে জনগণের কথা শুনতে হবে। ৫ তারিখে এদেশের মানুষ যে রক্ত দিয়েছে জীবন দিয়েছে, গণঅভ্যুথানের মধ্যদিয়ে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের চেষ্টা চলছে সেই নির্মাণের চেতনা ধারণ করে জনগণের কথা শুনতে হবে। নাহলে এদেশের মানুষ আবারও একত্রিত হয়ে জনবিরোধী কর্মকান্ড রুখে দেবো।

তিনি বলেন, বিএনপিকে বাঁচানোর সংগ্রাম ও নতুন বাংলাদেশ বির্নিমানে এখন থেকে গ্রামে গ্রামে ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সমাবেশ হবে। সেখানে সকল শ্রেনীর জেলে, মুজুর, কামার, শ্রমিক সবাইকে যুক্ত করা হবে।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি সমন্ধে তিনি বলেন, কমিটি হয়েছে শুক্রবারের কমিটি। শুক্রবার আসলে ছুটি থাকে, ঢাকা থেকে আসতে পারেন রাজনীতি করতে। এখন থেকে শুক্রবারের রাজনীতি বন্ধ। শুক্রবার বলে কোনো রাজনীতি এখন আর হবেনা। সাদা কাগজের কালো অক্ষরের কোনো কমিটি মানা হবেনা।

তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, নতুন কমিটির নামে যারা চাঁদাবাজি করছেন তাদের সেটা বন্ধ করতে হবে। ১ ফেব্রুয়ারির পর আর কোনো অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ড হলে আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা বাধ্য হবো।

মাসুদ অরুন বলেন, তারেক রহমান বলেছেন, “দলকে বাঁচাতে হবে, দলকে সংগঠিত করতে হবে, মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, শ্রমজীবি মানুষের সাথে থাকতে হবে, নতুন প্রজন্মের ছাত্র যুবককের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, মেধাবীদের সামনের কাতারে আনতে হবে।”
প্রধান বক্তা, জেলা বিএনিপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেছেন, বিগত ১৭ বছরে দেখা যায়নি, পাওয়া যায়নি, ৫ তারিখের পর এক শ্রেনীর নেতার উদয় হয়েছে।

তিনি বলেন, রোদে পুড়ে পানিতে ভিজে জেল জুলুম হুলিয়া মাথায় নিয়ে রাজপথে জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। কখনো জনগণকে ফেলে যায়নি। এই জনগণও আমাদের ছেড়ে যাবেনা।

আমজাদ হোসেন আরও বলেন, দলের জন্য, জেল জুলুম হুলিয়া খেটেছেন তাদেরকে নিয়েই আগামিতে বিভিন্ন স্তরের কমিটি থেকে শুরু করে দলীয় সকল কর্মকান্ড করতে হবে। আন্দোলন সংগ্রাম ও ত্যাগ স্বীকার করে দলের জন্য যারা পরিশ্রম করেছেন, বিএনপির সেসব ত্যাগি রাজনীতিকদের বাদ দিয়ে কমিটি তৈরী করার ক্ষমতা আহবায়ক কমিটির নেই। বিএনপির ত্যাগি নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে কেউ গ্রাম গঞ্জে বিএনপির কোনো কমিটি করতে গেলে তাদের প্রতিহত করতে হবে যোগ করেন তিনি।

আমজাদ হোসেন বলেন, মেহেরপুর জেলায় নিয়মের বাইরে কোনো কমিটি হলে সেটা আমরা মানবনা। ঘরে বসে সাদ কাগজের উপর কালো কলি দিয়ে পকেট কমিটি করবেন সেটাও আমরা মানবোনা।

তিনি বলেন, ষোল বছরের দু:শাসনর অবসান ভারতের মানুষ এসে করে দিয়ে যায়নি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মানুষ করেছে। শুধু অবসান নয়, সৈরাচারকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছেন। বিতারিড়ত সৈরাচার আবারও বাংলাদেশে ফিরে এসে মাতববারী করবে করবে এটা মানুষ মেনে নেইনি, ভবিষ্যতেও নেবেনা।

তিনি বলেন, তাদের দোসর হিসেবে ষড়যন্ত্রের যে জাল বিস্তারর করার চেষ্টা করছেন। বিএনপিকে দূর্বল করে রাস্ট্রিয় ক্ষমতায় আসার যে ষড়যন্ত্র করছেন সেটা বাস্তবায়ন হবেনা।

তিনি বলেন, দিল্লীতে বসে ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়বেন, সে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হবেনা।
গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, মেহেরপুর জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মাহবুব, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শিল্পপতি সেলিম আহমেদ।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন, কাজিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মোল্লা, বামন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, বীরমুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম, সাবেক যুবদল নেতা সাজেদুরর রহমান বুলবুল, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হুসাইন,। এসময় অন্যান্যদেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিএনপি মহিলা দলের নেত্রী আসমা তারা, বিএনপি নেত্রী সামিরন নেছাসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের স্থানীয় নেত্রীবৃন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, গাংনীর বিএনপির নেতাকর্মীরা যতদিন আছেন ততদিন আমি আপনাদের মাঝে আছি। বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান তারেক রহমানন নির্দেশনা দিয়েছেন প্রতিটি ওয়ার্ড, প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিটি উপজেলায় দলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি দেওয়া হবে। সেখানে তারেক রহমানের নির্দেশনা না মেনে সৈরাচারী কায়দায় কমিটি করেছে। যারা এভাবে কমিটি করেছেন তারা বিএনপির দুশমন।

তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছর আওয়ামীলীগের দু:শাসন, নির্যাতন, হামলা ও ৩৪ টি মামলার আসামি হয়েছি। বারবার কারাবরণ করেছি। তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের যখন জেল ডাকা হয়েছিল সেইদিন আমার নেতৃত্বে গাংনীতে মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। সেই মামলায় আমি কারাবরণ করেছি। অথচ, এখন ষড়যন্ত্র করে আমাদের বাদ দিয়ে সৈরাচারী কায়দায় বিএনপির কমিটি গঠণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এই সৈরাচারীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবো।

তিনি বলেন, সাদা কাগজে কালো কালি দিয়ে নাম লিখলেই নেতা হওয়া যায়না। নেতা হতে হলে কৃষক, শ্রমিক, কুলি মজুর ও পা ফাটা মানুষের পাশে থাকতে হবে। মানুষের বিপদের সময়ে পাশে থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বার বার বলেছেন, আগামীতে যে নির্বাচন হবে সেটা অত্যন্ত কঠিন নির্বাচন হবে। জামায়াত ইসলাম আমাদের শরীক দল ছিল। তারা আওয়ামীলীগকে মাফ করে দিয়েছে। তারা মনে করে আওয়ামীলীগের ভোট তাদের বাক্্রে যাবে।

পরে একটি বিশাল গণ মিছিল সমাবেশ স্থল থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এর আগে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী, ধানের শীষ, ব্যানার প্ল্যাকার্ড নিয়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসেন নেতাকর্মীরা।




বড়পর্দার অপেক্ষায় সাবিলা নূর

গত ১০০ বছরের কিছু বেশি সময় ধরে বিশ্বব্যাপী মানুষের বিনোদনের অন্যতম প্রধান উৎস চলচ্চিত্র। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার চলচ্চিত্র নির্মিত ও প্রদর্শিত হয়, যেগুলো থেকে আয় হয় বিলিয়ন ডলারের। তবে বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির বিপরীত দৃশ্য। গ্ল্যামার আর চাকচিক্যের জৌলুস হারাতে হারাতে এখন প্রায় খাদের কিনারায়।

 

নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত বাংলা সিনেমার যে কদর ছিল দর্শক হৃদয়ে, তা কমতে কমতে এখন প্রায় শেষের পথে। দেশে ভাল সিনেমা তৈরি হচ্ছে না, উল্টো মানহীন সিনেমা মুক্তি দিয়ে এ শিল্পের শেষ আশাটুকুও বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে দেশীয় নাটকের বাজারও কমতে শুরু করেছে। নেই আগের মতো দর্শক চাহিদা।

তবে ওটিটির কল্যানে এখন দুই পর্দার অভিনয়শিল্পীরা এক হয়েছেন। একসঙ্গে কাজ করছেন। ইদানিং নাটকের শিল্পীরা ঢু মারছেন সিনেমার জগতে। ধীরে ধীরে সিনেমার অঙ্গনে ব্যস্ত হতে চাইছেন অনেকেই।

এর মধ্যে বেশ জনপ্রিয় কিছু অভিনয়শিল্পী রয়েছেন যারা নাটকের পর এবার সিনেমার জগতে পা রাখতে চান। তাদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় মুখ সাবিলা নূর। ছোটপর্দার জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী অপেক্ষায় রয়েছেন বড়পর্দায় নিজেকে মেলে ধরার।
সিনেমায় কাজের ইচ্ছা প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে সাবিলা নূর বলেন, ‘বড় পর্দার প্রস্তুতি তো অনেক বড় পরিসরে নিতে হয়। এত বিশাল একটা ক্যানভাসে কাজ করব, ফলে নিজেকে আরও ভিন্নভাবে প্রেজেন্ট করতে চাব।

সে রকম গল্প, চরিত্র এবং পরিচালকের জন্য অপেক্ষা করেছি এতদিন। ওটিটির ক্ষেত্রেও আমি এমনটাই বলেছি। নাটক ও ওটিটিতে দর্শক আমাকে ভালোভাবেই গ্রহণ করেছেন। সিনেমায় আমার অভিষেকও এমনভাবেই হোক যেন, দর্শক খুব সুন্দরভাবে আমাকে গ্রহণ করে।’
কবে নাগাদ সিনেমায় কাজ করবেন জানতে চাইলে অভিনেত্রী বলেন, ‘সিনেমা নিয়ে কথাবার্তা অনেকখানি এগিয়েছে। এখন প্রযোজকের ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করছি। আশাকরি চলতি বছরেই কাজ শুরু করতে পারব।’

সামনে ভিকি জাহেদের ‘এক্সট্রা’ নামের নতুন কনটেন্টে দেখা যাবে সাবিলাকে। ওটিটি প্লাটফর্মের জন্য তৈরি এই স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায় সাবিলার সঙ্গে অভিনয় করবেন নিলয় আলমগীর। এর আগে সাবিলা ও নিলয়কে একসঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গেলেও এবারই প্রথমবার ভিকি জাহেদের পরিচালনায় দেখা যাবে তাদের।

সূত্র: কালের কন্ঠ




পিএসজির জাদুকরী প্রত্যাবর্তন, খাদের কিনারায় সিটি

প্রথমার্ধ গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধের ৮ মিনিটের মধ্যে দুই গোলে এগিয়ে গেল ম্যানচেস্টার সিটি। সেখান থেকে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রত্যাবর্তনের অনবদ্য এক গল্প লিখল পিএসজি। ৪-২ গোলের জয়ে শেষ ষোলোর আশা দারুণভাবে বাঁচিয়ে রাখল ফরাসি ক্লাবটি।

প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে রোমাঞ্চের ইঙ্গিতটা ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল। প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুই দল। আক্রমণ, প্রতি-আক্রমণের ধারায় ২৭তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। কর্নারের পর ফাবিয়ান রুইজের হাফ-ভলি গোললাইন থেকে ফেরান সিটি ডিফেন্ডার গাভারদিওল।

৩৯ মিনিটে আবার আক্রমণে গিয়ে সুযোগ তৈরি করে সিটি। ফিল ফোডেনের পাস ধরে দুই ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ সামলে বক্সে ঢুকে পড়েন সাভিনিয়ো। এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের প্রচেষ্টা পা দিয়ে ঠেকান পিএসজি গোলরক্ষক দোন্নারুম্মা। প্রথমার্ধের শেষ গোল আদায় করে নেয় পিএসজি।
কিন্তু নুনো মেন্দেস অফসাইডে থাকায় আশরাফ হাকিমির করা সেই গোলটি বাতিল হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫০তম মিনিটে সিটিকে এগিয়ে নেন সাভিনিয়োর বদলি নামা গ্রিলিশ। ইংলিশ তারকার গোলের ৩ মিনিট পর সিটির ব্যবধান ২-০ করেন আর্লিং হালান্ড। যখন মনে হচ্ছিল ঘরের মাঠে ম্যাচটা হারতে যাচ্ছে পিএসজি, তখন নাটকীয়ভাবেই ঘুরে দাঁড়ায় তারা। ৫৬ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে দুই গোল শোধ করে অবিশ্বাস্যভাবে সমতায় ফেরে দলটি।

প্রথম গোল করেন দেম্বেলে। দ্বিতীয় গোলটি ব্রাডলি বারকোলার। সমতা ফিরিয়েও আর গতি কমায়নি দলটি। ৭৮তম মিনিটে সমর্থকদের আরেকবার উল্লাসে ভাসিয়ে এগিয়ে যায় পিএসজি। ডান দিক থেকে ভিতিনিয়ার ফ্রি-কিকে দূরের পোস্টে চমৎকার হেডে গোলটি করেন নাভাস। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে জালের দেখা পান দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা রামোস। শুরুতে অফসাইডের পতাকা উঠলেও, ভিএআরে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি। উল্লাসে ফেটে পড়ে পার্ক দ্য প্রিন্সেস।

এ জয়ে শেষ ষোলোর আশা দারুণভাবে বাঁচিয়ে রাখল পিএসজি। পয়েন্ট তালিকায় ২৬ নম্বর থেকে ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ২২ নম্বরে আসল তারা। অন্যদিকে সিটি চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলো নিশ্চিত করার জন্য প্লে অফ খেলতে হলে শেষ ম্যাচে ক্লাব ব্রুগার বিপক্ষে জিততেই হবে তাদের। তবে ৭ ম্যাচ শেষে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ২৫ নম্বরে থাকা সিটি এই মুহূর্তে বাদ পড়াদের কাতারেই আছে।

সূত্র: কালের কন্ঠ




মেহেরপুর বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতি নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ

মেহেরপুর বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ও প্রতীক বরাদ্দ প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাতে বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে এই প্রতীক বরাদ্দ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের প্রতিটি পদের প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আব্দুস সালাম, সদস্য মাহবুবুল হক মন্টু ও মাহাবুব চান্দু এ চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ও প্রতীক বরাদ্দ করেন। তালিকায় সভাপতি পদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদের প্রার্থীদের নাম এবং তাদের বরাদ্দকৃত প্রতীক উল্লেখ করা হয়েছে।

সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা হলেন মো: মনিরুজ্জামান দিপু (প্রতীক: সাইকেল) ও আবু ইউসুফ মিরন (প্রতীক: ছাতা)। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদের মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান টোটন (গরুর গাড়ী) ও বাবলু রহমান (টেলিভিশন), সহ-সভাপতি পদে মোঃ শাহিন মল্লিক (মই) ও রায়হান কবির (দেয়াল ঘড়ি), সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ মেহেদী হাসান মিলন (চেয়ার), সোহেল আহম্মেদ (হরিণ) ও শহিদুল ইসলাম (মটর সাইকেল), সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে মোঃ ইবনে সাদাত তুষার (ফুটবল) ও তাজুল ইসলাম (মাছ), যুগ্ম সম্পাদক পদে আলমগীর বাদশা শিল্টন (গোলাপ ফুল) ও মানিক হোসেন (উড়োজাহাজ), সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ শাহিনুল ইসলাম শাহীন (তালা চাবি) ও সামসুল আযম লিল্টু (হাতপাখা), কোষাধ্যক্ষ পদে মোহাম্মদ কামাল হোসেন (খেজুর গাছ) ও সাহেদুজ্জামান রিপন (হাতপাখা), দপ্তর সম্পাদক পদে মোঃ শফিউল আলম শিল্টু (মোবাইল) ও আব্দুস সালাম (কুঁড়েঘর), প্রচার সম্পাদক পদে মোঃ সাইদুর রহমান সাঈদ (কবুতর) ও এস. এ খান শিল্টু (বাস), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ রকিবুজ্জামান জনি (প্রজাপতি) ও ইমাদুল হক (ডাব), ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে মোঃ হারুন অর রশিদ হিরা (মিনার) ও আব্দুল লতিফ (ফুলদানি), সাংস্কৃতিক ও নাট্য সম্পাদক পদে মোঃ রেমিম (কুলা) ও এমদাদুল ইসলাম (চশমা), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মোহাম্মদ সাদেকুজ্জামান খান (কাপ পিরিস) ও মাকসুদুর রহমান রুমন (বই) প্রতীক পেয়েছেন। সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ জিয়ারুল ইসলাম ও প্রহরা বিষয়ক সম্পাদক পদে মোঃ আজগর আলী সুমন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়াও সদস্য পদে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিল্টন (সিলিং ফ্যান), মোঃ রাকিব হোসেন (ট্রাক), মোঃ হামিদুল ইসলাম (ক্রিকেট ব্যাট), মোঃ ওবাইদুল ইসলাম (টিউবওয়েল), রাজন আহম্মেদ (কলস), মোঃ জয়নাল আবেদীন (হাঁস), মোঃ হামিদুল ইসলাম (বালতি), মোঃ আব্দুল জব্বার (ঘোড়া), মোঃ নাজমুল ইসলাম (আনারস) ও মোঃ রবিউল ইসলাম (পানির বোতল) প্রতীক পেয়েছেন।

নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যবসায়ী সমিতির নতুন নেতৃত্ব গঠন করা হবে, যা মেহেরপুর বড় বাজারের উন্নয়ন ও ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।




মেহেরপুরে পৌর জামায়েত ইসলামীর শীতবস্ত্র বিতরণ

মেহেরপুরে বড়বাজার কাঁচা বাজার আড়ৎ এর শ্রমিকদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। বুধবার ( ২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে মেহেরপুর পৌর শাখা জামাতের ইসলামের আয়োজনে কাঁচা বাজার আসাদ ভান্ডার বড়বাজার কাঁচা বাজার আড়ৎ এর শ্রমিকদের মাঝে শীতবস্তু বিতরণ করা হয়।

কাঁচামাল ব্যবসায়ী হাজী মোঃ আবু সালেহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন পৌর আমীর সোহেল রানা ডলার। পৌর ৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পৌর সেক্রেটারী মনিরুল ইসলাম, জেলা পেশাজীবী সংগঠনের সভাপতি মোঃ আল আমিন বকুল, সাবেক ছাত্র নেতা ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম, তহ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফি, বিশিষ্ট কাঁচামাল ব্যবসায়ী আকরাম আলী, কাথুলী রোড জামে মসজিদ ইমাম মঞ্জুরুল ইসলামসহ জামায়তের নেতাকর্মীরা।




কোটচাঁদপুর তারুণ্যের উৎসব পালিত

এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এ প্রতিপাদ্যে কোটচাঁদপুরে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন আয়োজন করেন ভূমি বিষয়ক সেমিনার ও কুইজ প্রতিযোগিতা।

সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন কোটচাঁদপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, একাডেমি সুপারভাইজার ফারুক হোসেন, সহকারী পাট কর্মকর্তা বাবুল হোসেন, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা শিহাব হোসেন।

এরপর বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী কুইজে অংশ গ্রহন করেন। এ সব স্কুলের মধ্যে কুইজে প্রথম হয়েছেন এলাঙ্গী মফেজ উদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র খাব্বাব বিন আব্বাস। দ্বিতীয় হয়েছেন, কোটচাঁদপুর সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র আরেফিন সিদ্দিকী ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন কোটচাঁদপুর সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় তাওফিক আহমেদ।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।




ঝিনাইদহে তারুণ্যের ভাবনা শীর্ষক মতবিনিময় সভা

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে পাপিষ্ট এক ফ্যাসিস্ট রেজিম প্রতিষ্ঠা করেছিল। আওয়ামী লীগ ১৬ বছরে দেশে লুটপাট, চাঁদাবাজি, গণহত্যা, গুম-খুনের ভয়াল রাজত্ব কায়েম করেছিল। শেখ মুজিব একবার ৭১ পরবর্তী দেশে গণহত্যা চালিয়েছিলো। জাসদসহ বিভিন্ন দলের ত্রিশ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ২৪ সালে এসে হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিতীয়বার গণহত্যা চালিয়েছে। ফ্যাসিষ্ট আ’লীগ দুই বার দেশে গনহত্যা চালিয়েছে। তাই আমরা আর তৃতীয়বার আওয়ামী লীগকে গণহত্যার সুযোগ দেব না।

তিনি আরো বলেন, দেশে আওয়ামী রেজিমের পতন ঘটেছে। দেশে আর তাদের রাজনীতি চলবে না। জুলাই বিপ্লবে সম্পৃক্ত রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্য ধরে রাখতে না পারে, তাহলে বিপ্লব ব্যর্থ হবে। আর বিপ্লব ব্যর্থ হলে আওয়ামী লীগ আবার দেশে ফিরে কাউকে রেহায় দেবে না, সবাইকে ফাঁসিতে ঝুলাবে। তাই নিজেদের মধ্যে একতা ধরে রাখুন।

ঝিনাইদহের সন্তান রাশেদ খাঁন বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের ফ্যামিলি জোন রেস্টুরেন্টে “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া এবং মাদক দুর্নীতি দুঃশাসন চাঁদাবাজ মুক্ত বৈষম্যহীন সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠনে তারুণ্যের ভাবনা” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি রকিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল রাজন, পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ব্যাংকার রাসেল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিশন আলী, ছাত্র অধিকারের আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আল সোয়াইব মেরাজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
রাশেদ খাঁন অভিযোগ করে বলেন, ঝিনাইদহে দলীয় পরিচয়ে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, টেন্ডারবাজী ও দুর্নীতি হচ্ছে। এভাবে দখলদারিত্ব চলতে থাকলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বীর শহিদদের আত্মত্যাগ নসাৎ হবে।

তিনি বলেন, দেশে এখন তারুণ্য নির্ভর পরিবর্তনের রাজনীতি শুরু হয়েছে। ঝিনাইদহে যারা রাজনীতি করেন, তাদের ভুলে গেলে চলবে না, দেশে এখন আর হাসিনার আমলের রাজনীতি নেই। সম্প্রতি ও ভালোবাসার নজীর তৈরী করে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কি জনগনের নেতা হবে নাকি জনগন কর্তৃক গণধিকৃত হবেন। তিনি কতিপয় উপদেষ্টাদের প্রতি হুসিয়ার উচ্চারণ করে বলেন, আপনারা কেউ কেউ কিংস পার্টি গঠন করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এটা যদি আপনারা করেন তবে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করবে দেশের মানুষ। কিংস পার্টিকে দেশের মানুষ গ্রহন করবে না। কারণ তারা সরকারের সুবিধাভোগী। রাশেদ খাঁন বলেন, জাতীয় সরকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, দেশ চালাতে জাতীয় সরকার লাগবে।

বিপ্লব পরবর্তী সময়ে জাতীয় সরকার ছাড়া উপয় নেই। তিনি বলেন, জননেতা তারেক রহমান যে ৩১ দফা দিয়েছেন সেটা শুধু বিএনপি’র নয়, আমাদেরও। ৪৫টি দল মিলে এই ৩১ দফা দিয়েছেন। কাজেই জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মান করতে হবে।




সন্তানের চোখ স্মার্টফোন থেকে বইতে ফেরাবেন যেভাবে

গল্পের বই পড়ার অভ্যাস এখন আর নেই বললেই চলে। শিশু থেকে বুড়ো, সবাই এখন ডিজিটাল স্ক্রিনে আটকে গেছে। এই ডিজিটাল স্ক্রিনের নেশা যত বাড়ছে ততই পাল্লা দিয়ে কমেছে বই পড়ার আগ্রহ। এ ছাড়া শিশু সন্তানদের তো এখন জোর করেও পড়তে বসানো যায় না।

তাদের এই অভ্যাস কীভাবে দূর করবেন, কীভাবে তাদের হাতে বই ওঠাবেন, তা নিয়ে চিন্তিত অনেক অভিভাবক।
ডিজিটাল ডিভাইসের নেশার মাঝে বই পড়ার আগ্রহ হঠাৎ করে ফিরিয়ে আনা সহজ কাজ নয়। কিন্তু ছোটরা যাতে বই থেকে একেবারেই মুখ না ফেরায়, তার জন্য চেষ্টা করতে হবে অভিভাবকদেরই। কীভাবে সন্তানদের বইয়ের দিকে মুখ ফেরাবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

স্ক্রিনটাইম বেঁধে দিন

বই পড়াতে চাইলে আগে স্ক্রিনটাইম বেঁধে দিতে হবে। তবে শুরুতেই মোবাইল ফোন নিয়ে নিলে শিশু আরো বেশি জেদ করবে। তাই দিনের কিছুটা সময় বেঁধে দিন। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, সারা দিনে এক ঘণ্টার মতো সময় টিভি দেখা বা মোবাইলে গেম খেলার জন্য দিতে পারেন।

তার বেশি নয়। আর মোবাইলে শিশু কী ধরনের গেম খেলছে বা ভিডিও দেখছে, তাতেও নজর রাখতে হবে। বাকি সময়টা পড়ার বইয়ের বাইরে বিভিন্ন গল্পের বই পড়ানোর অভ্যাস করুন।

গল্প বলুন

এখনকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে গল্প শোনার ধৈর্য কম। অভিভাবকেরাও সে ভাবে সময় দিতে পারেন না।

কিন্তু শিশুর মধ্যে যদি পড়ার আগ্রহ তৈরি করতে হয়, তাহলে ছোট থেকেই গল্প শোনানোর অভ্যাস তৈরি করুন। খাওয়ানোর সময়ে হাতে মোবাইল দেবেন না, গল্প বলুন। নানা রকম গল্প শোনার অভ্যাস তৈরি হলে শিশুর পড়ার আগ্রহও তৈরি হবে।
মা-বাবাকেও পড়তে হবে

শিশু যদি দেখে মা-বাবা মোবাইল ফোনে স্ক্রল না করে সময় পেলেই বই, ম্যাগাজিন, পত্রিকার পাতা উল্টাচ্ছেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তার মধ্যেও পড়ার আগ্রহ বাড়বে। কারণ ছোটরা বড়দেরই অনুকরণ করার চেষ্টা করে। তাই আগে মা বা বাবাকে নিয়মিত পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। বাড়িতেও তেমন পরিবেশ যেন থাকে। তাহলেই শিশুর মধ্যে সেটা বুনে দেওয়া সহজ হবে।

লাইব্রেরির সঙ্গে পরিচয়

ছুটির দিনে সন্তানকে নিয়ে শপিং মল বা রেস্তোরাঁয় যাওয়ার পাশাপাশি সময় করে লাইব্রেরিতেও নিয়ে যান। কাছাকাছি লাইব্রেরি না থাকলে বইয়ের দোকানেও নিয়ে যেতে পারেন। নিজে হাতে করে বই নেড়েচেড়ে দেখলে, সেখানেই বসে কিছুটা পড়তে পারলে বই পড়ার নেশা নিজ থেকেই তৈরি হবে।

বই বেছে দিন

ঠিক বয়সে ঠিক বই বেছে না দিলে পড়ার অভ্যাস তৈরি তো হবেই না, বরং বিরক্তি আসতে পারে। কেবল রূপকথা বা ছবি দেওয়া বই নয়, বরং ছোট থেকেই বাস্তব জগতের সঙ্গে একটু একটু করে পরিচয় করান। গদ্য, পদ্য, ছোটদের গল্পসমগ্রের মতো বিভিন্ন সাহিত্যিকের বই একটু একটু করে পড়ানোর অভ্যাস তৈরি করুন। শুরুর দিকে নিজেকেও ওর সঙ্গে পড়তে হবে।

যে সময়টায় সন্তান নিজে পড়তে পারবে না, তখন মা-বাবাকেই গল্পগুলো পড়ে শোনাতে হবে। শুধু পড়ে যাওয়া নয়, বলার মধ্যে খানিকটা অভিনয়ও থাকতে হবে। গল্পের চরিত্রগুলো বাস্তবসম্মতভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। তবেই গল্প শোনার ও নিজে পড়ার আগ্রহ তৈরি হবে।

সূত্র: কালবেলা




মুজিবনগরে বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার

মুজিবনগরে বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট ভুক্ত ৬ আসামিকে গ্রেফতার করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।

বুধবার রাত ১টা হতে ভোর ৫ টা মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান এর নের্তৃত্বে এসআই উত্তম কুমার, এসআই প্রকাশ ঘোষ, এসআই সাইফুল ইসলাম, এএসআই সোহেল রানা, এএসআই সাখাওয়াত হোসেনসহ সংগীয় ফোর্স নিয়ে মুজিবনগর থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এজাহারভুক্ত আসামী ভবের পাড়া গ্রামের মৃত জামাত দফাদারের ছেলে হেকমত দফাদার (৫০), জিআর নং-৭৩২/১১, পি-৬৫/২৫ এর সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী দারিয়াপুর গ্রামের কাশেম এর ছেলে হাফিজুল(৫০) জিআর নং-৭৩২/১১, পি-৬৬/২৫ এর সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী দারিয়াপুর গ্রামে মৃত বশিরের ছেলে কাসেম (৫৫), জিআর-০৬/২০ সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী দারিয়াপুর গ্রামের তাহের আলীর ছেলে হালিম এবং জিআর নং-৭৫/১৯ এর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী জয়পুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে রবিউল (৩৫), জিআর নং-৪৩/২৩ এর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী বাগওয়ান গ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে সাইফুল শেখ (৩৫) কে নিজ নিজ এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।

মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান মেহেরপুর পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম (পিপিএম) সার্বিক দিক নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিনুর রহমান খান (প্রশাসন ও অর্থ) এর তত্ত্বাবধানে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম (সার্কেল) স্যার এর সহযোগিতায় মুমিন মুজিবনগর থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে
আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সে সাথে মুজিবনগর থানা এলাকায় ওয়ারেন্ট মূলে আসামী গ্রেফতার ও মাদক উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।




দর্শনায় ফেনসিডিল ভর্তি পিকাপসহ গ্রেফতার ১

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিল ভর্তি পিকাপসহ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত ফেনসিডিল ব্যাবসায়ী দর্শনা পৌরসভার আজমপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে সজিবকে ৮০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করেছে।

জানাগেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে অভিযান চালায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের নেহালপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মাঠে।

এ সময় দর্শনা থানার হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশের এএসআই সগীর হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে নেহালপুর পশ্চিম পাড়ার ফাঁকা মাঠের পাকা রাস্তার উপর।সে সময় পুলিশ মাদক বহন কাজে ব্যাবহৃিত পিকআফ তল্লাশি করে ৮০ ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ১ জনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলাসহ ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।