কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নসিমন চালক নিহত

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ইজিবাইক ও নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে জুয়েল (৩৫) নামে এক শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নসিমন চালক নিহত হয়েছে।

গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটার সময় কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের বালুচর মোড় নামক স্থানে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত করিমন চালক জুয়েল চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাংগা উপজেলার দুর্লভপুর এলাকার বাবলুর ছেলে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়-কুষ্টিয়া থেকে ফিড বিক্রি করে খালি নসিমন নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরছিলো নসিমন চালক জুয়েল। এ সময় আলমডাঙ্গা থেকে কুষ্টিয়াগামী যাত্রীবাহী ইজিবাইক বালুচর মোড় এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নসিমনের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নসিমন চালক জুয়েল গুরুতর আহত হলে তাকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে ভর্তি।করলে চিকিৎসাদীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।




কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও ম্যাগজিনসহ ৩ জন আটক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পুলিশের অভিযানে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও ম্যাগজিনসহ ৩জন আটক হয়েছে।

গত শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের জয়রামপুর এলাকায় চেক পোষ্ট বসিয়ে অস্ত্র ও গুলিসহ তাদের আটক করা হয়।।

আটককৃতরা হলো কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার দুর্বাচরা এলাকার আব্দুল হাকিম ওরফে আকমলের ছেলে মো. আশিকুজ্জামান (৩২), একই এলাকার মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. আবু জাফর (৩২) ও রবিউল সরদারের ছেলে মো. রাসেল হোসেন (২৫)।

দৌলতপুর থানা পুলিশ সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া-প্রাগপুর সড়কের জয়রামপুর এলাকায় পুলিশের অস্থায়ী চেক পোষ্টে তল্লাশী অভিযান চলাকালে একটি সিএনজি থামিয়ে তাতে তল্লাশী চালানো হয়। এসময় সিএনজিতে থাকা যাত্রী বেশে মো. আশিকুজ্জামান,নমো. আবু জাফর ও মো. রাসেল হোসেনকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি ও ১টি ম্যাগজিনসহ আটক করে পুলিশ।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মো. নাজমুল হুদা বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় পুলিশি চেক পোষ্টে একটি সিএনজিতে ৩জন যাত্রীবেশে অস্ত্র পাচারকালে পুলিশের সন্দেহ হলে তাতে তল্লাশি চালানো হয়। এসময় তাদের কাছে থেকে অস্ত্র, গুলি ও ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।




মেহেরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল

মেহেরপুরে শহীদ বুদ্দিজীবী দিবস পালন করেছে বিএনপি।

শনিবার সকালে মেহেরপুর পৌর, সদর উপজেলা ও মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়েছে।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে র‌্যালিটি বিএনপির কার্যালয় থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা পরিষদের সামনে শহীদ স্মৃতিসৌধের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয় এবং সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জাসাস সভাপতি অশেষ বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাবদ্দিন, বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান, ফজলুর রহমানসহ বিএনপির সহস্রাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।




মেহেরপুরে ভাষা সংগ্রামী গোলাম কাওসার চানা আর নেই

মেহেরপুরের ভাষা সংগ্রামী গোলাম কাওসার ( চানা) ইন্তেকাল করেছেন ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।

আজ শনিবার বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটের সময় তিনি শহরের পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়াস্থ নিজ বাসভবনে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।  মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। তিনি সাংবাদিক জিএফ মামুন লাকির পিতা এবং মেহেরপুর পৌরসভার কর্মচারী ছিলেন।

আগামীকাল রবিবার সকাল ১০ টার সময় নিমতলা মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাযা শেষে পৌর কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

ভাষা সংগ্রামী গোলাম কাওসার চানার সংক্ষিপ্ত জীবনী

৫২-এর ভাষা সৈনিকদের হত্যার বিরুদ্ধে যে কয়জন মেহেরপুরে প্রতিবাদ ও মিছিল করেছিলেন তাদের মধ্যে গোলাম কাওসার চানা অন্যতম। ভাষা আন্দোলনের সময়ে মেহেরপুরে গঠিত ভাষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।

১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ সালাম বরকত জব্বারদের হত্যার কথা মেহেরপুরে পরের দিন শুনতে পাওয়া যায়। তৎক্ষণাৎ মুন্সী সাখাওয়াত হোসেন ও গোলাম কাউসার চানার নেতৃত্বে ঢাকায় হত্যার প্রতিবাদে মেহেরপুরের রাস্তায় রাস্তায় প্রতিবাদ ও মিছিল করেছিলেন। পাক সরকারের ভাষা আন্দোলনের সময়ে তিনি মেহেরপুর উচ্চ ইংরেজি মডেল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

সম্প্রতি তাঁর একটি সাক্ষাৎকার থেকে জানা গেছে, ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পালন করতে গিয়ে পুলিশের নির্যাতন এমনকি কারাবরণ করতে হয় তৎকালীন উচ্চ ইংরেজি মডেল স্কুলের সাত শিক্ষার্থীকে। স্কুলের ছাত্ররা একুশে ফেব্রুয়ারি ক্লাস থেকে বেরিয়ে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে মিছিল নিয়ে শহরে বের হয়। শিক্ষকরা প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেদিন। ভয়-ভীতি দেখানোর পরও সেই বাঁধার প্রাচীর ভেঙে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন বন্ধ করতে পারেনি। শিক্ষকদের আদেশ অমান্য করে একুশে পালনের অপরাধে ইসমাইল ও নজির হোসেন বিশ্বাসসহ সাতজন ছাত্রকে আটক করে পুলিশ। পরে জামিনে মুক্তি পেলেও স্কুল কমিটির সিদ্ধান্তে তাদের ফোর্স টিসি দেওয়া হয়। তারা সবাই এখন পরপারে।

গোলাম কাউসার চানা ১৯৩০ সাল রতনপুর মিশন হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা তিন কড়ি শেখ, মা জয়তুন নেছা। গোলাম কাউসার চানা ৭১ মুক্তিযুদ্ধ অংশগ্রহণ করেছিলেন তবে তিনি মুক্তিযুদ্ধে রাষ্ট্রের খেতাব আজও পাননি। গোলাম কাউসার চানা রাষ্ট্রীয়ভাবে সেইভাবে মূল্যায়িত না হলেও, প্রতিবছর মেহেরপুর জেলা প্রশাসক এই ভাষা আন্দোলন কারীর হাতে সম্মানসূচক ক্রেস্ট ফুল ও ফল তুলে দেন বলে জানা গেছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে তিনি মেহেরপুর পৌরসভায় কর আদায়কারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।




মুজিবনগরে নানা আয়োজনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

নানা আয়োজনে ১৪ ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছে মুজিবনগর  উপজেলা প্রশাসন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার সকালে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তীতে সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাইরুল ইসলাম মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধারা, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামান, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সী ওমর ফারুক প্রিন্স, উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক শাওন শেখ ছাত্র প্রতিনিধি তুষার প্রমুখ।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। পরে মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার হাসনাইন জাহিদের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা , উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তাসহ উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সুশীল সমাজের প্রতিরোধে উপস্থিত ছিলেন।




মুজিবনগরের জমি সংক্রান্তের জের ৩ জন আহত: আটক ২

মেহেরপুরের মুজিবনগরে জমিজমা সংক্রান্তের জের ধরে খুন করার উদ্দেশ্যে হাসুয়ার কোপে তিনজনকে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন মুজিবনগর উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের হেকমত আলীর ছেলে মিয়ানুল ইসলাম (৫০), আসাদুল ইসলাম (৫৮), হাবিবুর রহমান (৪৭) কে গুরুতর জখম। এ সময় স্থানীয় ও পরিবারের লোকেরা উদ্ধার মুজিবনগর সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে।

পরে এ ঘটনায় আহত ব্যক্তির ভাই অষ্টমুল ইসলাম বাদী হয়ে আমানুল ইসলাম আমানকে এক নম্বর আসামি করে ১৭ জনের নামে মুজিবনগর থানায় মুজিবনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।

বাকী আসামীরা হলেন, বিশ্বনাথপুর গ্রামের মৃত আজেহারের ছেলে রবি (৫০), আশা (৫১), মৃত গকুলের ছেলে মোঃ মান্নান (৪২), মোঃ আল আমিন (২৫), মোঃ আমানুল ইসলাম (আমান), মোঃ কিতাব (৫৫), মোঃ জিনারুল (৫৭), মোঃ ইজারুল (৫২), মোঃ আবুল হোসেন (৬০), আবুল হোসেনের ছেলে নাজমুল (৪০), আয়ূবের ছেলে মোঃ ফরিদুল ইসলাম (৪৮), দাউদ মালের ছেলে মোঃ ইদ্রিস (৬০), মোঃ বাদশা (৪৫), কাশেমের ছেলে মোঃ হাবিবুর (২৫), হায়াতের ছেলে মোঃ ভাষান (৩৫), মৃত; ইমান আলীর ছেলে মোঃ মহত আলী (৬০) ও মহত আলীর ছেলে মোঃ মতি (৩৮)।

পরে আজ শনিবার সকালে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামিদের মধ্যে আবুল হোসেন ও হাবিবুর রহমানকে আটক করে মুজিবনগর থানা পুলিশ।

বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, আমাদের সাথে আসামী পক্ষের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় শনিবার ভোর রাতে আমরা কয় ভাই ফজরের নামাজ পড়তে গেলে আমাদের খুন করার উদ্দেশ্যে বিশ্বনাথপুর কদম তলায় লাঠি, দা, হাসুয়া নিয়ে আসামীরা অবস্থান করেন। এমন সময় মসজিদ থেকে বের হওয়ার পরে তারা আমার ভাই হাবিবুর রহমানকে দেখতে পেলে আমানুল ইসলাম (আমান) আমার ভাইকে হাসোয়া দিয়ে কোপ মারতে গেলে হাত দিয়ে হাসোয়া ঠেকানোর সময় তার হাতে কোপ লাগে। এ সময় তার বাকি সঙ্গীরা আমার ভাইদের উপর লাঠি দিয়ে এলোপাতরি মারপিট শুরু করে। এতে করে আমার তিন ভাই গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে নিয়ে আসি।

এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, মারপিটের ঘটনায় ১৭ জনের নামে মুজিবনগর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা দুজনকে আটক করেছি। বাকি আসামীদের ও দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।




ঝিনাইদহে পিপিএল’র পর্দা উঠছে আগামী ১৬ ডিসেম্বর

ঝিনাইদহে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো শুরু হচ্ছে পবহাটি প্রিমিয়ার লীগ (পিপিএল)’র চতুর্থ আসর। আগামী সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে এই লীগ শুরু হচ্ছে।

এ উপলক্ষ্যে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলেেনর মাধ্যমে লীগের গ্রুপ নির্ধারণ ও ট্রফি উন্মোচন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পিপিএল’র আহবায়ক মোস্তাক আহম্মেদ। এ সময় ক্রীড়াবিদ শাহ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, জজ আদালতের এপিপি সরদার মনিরুল ইসলাম মিল্টন, সাংস্কৃতিক কর্মী নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস, প্রিমিয়ার লীগের সদস্য সচিব এ্যাড. আনোয়ার হোসেন চাঁদ, রোকনুজ্জামান, এমদাদুল ইসলাম, আব্দুর রাকিব, রাসেল রানা ও সানজিদ শুভ্রসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা জানায়, আগামী ১৬ ডিসেম্বর শহরের পবহাটি বলফিল্ডে জমকালো ও বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ প্রিমিয়ার লীগের উদ্বোধন করা হবে। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড এম এম মজিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ২৪ টি দল ৮ টি গ্রুপে অংশ গ্রহন করছে। ২৭ ডিসেম্বর রাতে ফাইনাল খেলার মাধ্যমে পবহাটি প্রিমিয়ার লীগ শেষ হবে। লীগের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিও বাংলাদেশ, রাবেয়া হাসপাতাল, শান্দা এগ্রো, জাপানিজ ল্যাংগুয়েজ, ইউনাইটেড ডায়াগোনেস্টিক সেন্টার, রায়হান মটরস ও কার ট্রেড স্পন্সর করছে।




ঝিনাইদহে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

ঝিনাইদহ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আওয়াল। বিশেষ অতিথি হিসেবে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদ বিপিএম-সেবা বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এম এম শাহজালাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ঝিনাইদহ ল কলেজের প্রিন্সিপাল এবং পিপি মশিয়ার রহমান, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায়, ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার ইউনিটির সভাপতি এম এ কবীর, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবু হুরাইরা প্রমূখ। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক বকুল চন্দ্র কবিরাজ এর পরিচালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তারা ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরে সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বিনম্র শ্রদ্ধাভারে স্মরণ করেন ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

সভায় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ,স্কাউটস ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনায় সাদা ৫ জাতের পেয়ারায় স্বপ্ন দেখছেন ওমর ফারুক

চাকরির পিছনে না ছুটে কৃষি কাজকে ভালোবেসে লেখাপড়ার পাশাপাশি বারোমাসি সাদা ৫ জাতের পেয়ারায় স্বপ্ন দেখছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা নাস্তিপুর গ্রামের তরুণ উদ্যেক্তা ওমর ফারুক। শখের বসে ১০ কাটা জমিতে দুইশত পেয়ারার চারা রোপণ করে সফলতা পাওয়ার পাশাপাশি নিজেকে সাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলেছেন তরুণ এই উদ্যোক্তা।

ওমর ফারুক বলেন পেয়ারার অন্যান্য অনেক জাত থাকলেও সাদা ৫ জাতের পেয়ারায় ফলন বেশি পাওয়া যায় এবং স্বাদও বেশি। বারোমাস গাছে পেয়ারা থাকায় এর চাহিদা বেশি, পাশাপাশি বাজার মূল্য ভালো পাওয়া যায়। আমার পেয়ারা বাগানের বয়স এখন দুই বছর। শুরুতে বাগান তৈরিতে চারা কেনা, জমি প্রস্তুত করা, সার, ঔষধ ইত্যাদি কিনতে আমার প্রায় ১ লক্ষ টাকা মতো খরচ হয়েছিল। বাগান শুরুর ৭ মাস পর থেকে আমি পেয়ারা বিক্রি করি। সাদা ৫ জাতের পেয়ারায় রোগ বালাই কম দেখা যায়। রোগ বালাই বলতে ছত্রাক দেখা যায় এবং গাছের ডাল পঁচা রোগ দেখা যায় এক্ষেত্রে ওষুধ দিলেই এর সমাধান করা যায়। পেয়ারার একটু পরিচর্যা করলেই অধিক ফলন ও মুনাফা পাওয়া যায়।

উদ্যেক্তা ওমর ফারুক আরও বলেন আমার বাবা কৃষি কাজ করে, আমি কৃষক পরিবারের সন্তান। ছোটবেলা থেকেই কৃষি কাজ ভালো লাগে। আমি পড়াশোনা করেছি কৃষি বিষয় নিয়ে, এতে করে আমার অনেক সুবিধা হচ্ছে চাষ করতে। চাকরির প্রতি আমার কোন আগ্রহ নেই আমি কৃষি কাজ নিয়েই থাকবো। আমি মেহেরপুর প্রতিদিন কে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই আমার গল্প তুলে ধরার জন্য। কারন আমার এই বাগান দেখে অনেক তরুণ কৃষি কাজে আগ্রহ দেখাবে।




কুষ্টিয়ার হালসা আদর্শ ডিগ্রি কলেজে শিক্ষার মান উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মিরপুর উপজেলার হালসা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ব্যারিষ্টার রাগীব রউফ চৌধুরী বলেছেন, দেশ, জাতি ও সমাজের সার্বিক উন্নয়নে, শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা জরুরি। তবে শিক্ষার গুণগত মানের উন্নয়ন হঠাৎ করে নিশ্চিত করা যাবে না, মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ তৈরির জন্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই আমরা এগিয়ে যেতে পারব ও শতভাগ শিক্ষার মান নিশ্চিত হবে।

আজ শনিবার সকালে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার হালসা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের উদ্যোগে শিক্ষার মান উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষার গুণগতমান যদি ঠিক থাকে, তাহলে সেই শিক্ষাকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী নিজেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে নিতে পারবে। তাই শিক্ষিত হয়ে এ সমাজ তথা দেশের উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি দান করে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যাদের অবদান ছিল তাদের নাম হয়তোবা বর্তমানে অনেকেই জানে না এমনকি সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও কতৃপক্ষও মনে করেন না। এটা শুধু এই মিরপুরে নয় গোটা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও ঘটনা। সেক্ষেত্রে কোন আয়োজন বা অনুষ্ঠান করলেই জমিদাতাদের ডাকা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান উন্নয়ন না ঘটিয়ে নিয়োগ বানিজ্য মেতে ওঠে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অর্থের বিনিময়ে অযোগ্যদের নিয়োগ দিলে শিক্ষা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাই
আমি মনে করি এসব নিয়োগ বানিজ্য বন্ধ হওয়া উচিত।

হালসা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল মজিদের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক আব্দুল আজিজের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন, শিক্ষক প্রতিনিধি অধ্যাপক জোমারত আলী, স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বকুল আলী, অভিভাবক সদস্য ও বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ।

এসময় কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।