হরিণাকুণ্ডুতে বিএনপি’র দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৮জন আহত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার দিকে উপজেলার হরিশপুর গ্রামের লালন বাজার এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

আহতরা হলেন হরিশপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে আলামিন হোসেন (৩২), আশান মন্ডলের ছেলে মন্টু মন্ডল (৪৩), জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আফাঙ্গীর বিশ্বাস (৪৬) ও পার্বতীপুর গ্রামের নুপুর মন্ডলের ছেলে বাপ্পী হোসেন (৩২)।

এদের মধ্যে আফাঙ্গীর বিশ্বাস জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এম এ মজিদের অনুসারী এবং অন্যরা সাবেক সাংসদ মসিউর রহমানের ছেলে ও জেলা বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাক বাবুর অনুসারী বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে আলামিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ওই এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য প্রয়াত মসিউর রহমানের এমপির অনুসারীদের কর্মীসভা চলছিল। সেখানে তাঁর ছেলে ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. ইব্রাহিম রহমান উপস্থিত ছিলেন। একই সময়ে পাশের জটারখালি বাজার এলাকায় সভা চলছিল জেলা বিএনপির সভাপতি ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. এম এ মজিদের সমর্থক ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের। সেখানে দলটির জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আফাঙ্গীর হোসেন এবং উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ উপস্থিত ছিলেন।

পাশাপাশি দু’পক্ষের সভাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে সেটি সংঘর্ষে রুপ নেয়। এ সময় উভয়পক্ষ লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের ৮ জন আহত হয়। এছাড়া বাবু সমর্থকদের সভাস্থলে চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।

ডা. ইব্রাহিম রহমান বাবু অভিযোগ করেন, লালন বাজার এলাকায় তাদের কর্মীসভা চলছিল। তখন সেখানে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় মজিদ সমর্থকরা। এ সময় তাদের লোকজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়। এ সময় তাদের সভাস্থলের মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আফাঙ্গীর হোসেন বলেন, ওই এলাকায় আওয়ামী লীগের লোকজনকে নিয়ে সভা করছিল প্রতিপক্ষরা। এ নিয়ে একটু উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। আমি সেটি সামাল দিতে গেলে তারা আমার ওপর আক্রমণ করে।

হরিণাকুণ্ডু হাসপাতালের চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানান, আহত ৪ জনের মধ্যে দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা রেফার করা হয়েছে। তার মাথার পিছনে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। বাকি দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এসময় কয়েকজন পুলিশও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ রউফ খান বলেন, খবর পেয়ে সেখানে আমি এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিই। তবে সেখানে বড় ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঈশিতা আক্তারকে মোবাইলে কল করা হলে তিনি সেটি রিসিভ করেননি।




মেহেরপুরে কৃষক সমাবেশ উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে ৩ মাস ব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশের অংশ হিসাবে মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাধাকান্তপুর কৃষকদলের আয়োজনে আজ শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে মেহেরপুর সদর উপজেলা বুড়িপোতা ইউনিয়নের রাধাকান্তপুরে এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বুড়িপোতা ইউনিয়ন কৃষকদের সভাপতি আবু সেলিমের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন।

মোঃ রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় মেহেরপুর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ সেন্টু, বিএনপি নেতা মুক্তা, মণি, আমিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও এসময় সভায় স্থানীয় কৃষক নেতৃবৃন্দ এবং ইউনিয়নের কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। তারা কৃষকদের অধিকার রক্ষা, কৃষি খাতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং তাদের দাবি আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন।




ঝিনাইদহে নকল নবীস দাবী আদায় পরিষদের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ

ঝিনাইদহে বৈষম্য বিরোধী নকল নবীস দাবী আদায় পরিষদের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের জোহান ড্রীম ভ্যালী পার্ক মিলনায়তনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সাব রেজিস্টি অফিসে কর্মরত নকল নবীসদের চাকুরী জাতীয়করণের দাবীতে আন্দোলন পরবর্তী করণীয় নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

নকল নবীস দাবী আদায় পরিষদের খুলনা বিভাগীয় প্রধান উপদেষ্টা আকবর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রফিকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরকার, সহ-সভাপতি আজিজুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ঝিনাইদহ জেলা শাখার সমন্বয়ক জাকির হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন খুলনা ও বরিশাল বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক রুবেল পারভেজসহ অন্যান্যরা।

সেসময় বক্তারা বলেন, আন্দোলনের প্রথম ধাপ তারা পার করেছে। দাবী বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকার আহবান জানান তারা। সমাবেশে খুলনা বিভাগের ১০ টি জেলার ৫ শতাধিক নকল নবীস উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে বিদ্যালয় পরিদর্শন ও অভিভাবক সমাবেশ

“গুরুতে সুযন্ত পেলে, বাড়বে শিশু বৃদ্ধি বলে”এই প্রতিপ্রাদ্যে মেহেরপুরে বিদ্যালয় পরিদর্শন ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল দশটার টার সময় মেহেরপুর বড়বাজার টি এন্ড টি রোড মন্ডল পাড়া সিটি মডেল পি ক্যাডেট স্কুল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মেহেরপুরে সিটি মডেল পি-ক্যাডেট স্কুল সভাপতি মোঃ রুস্তম আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুরে ছহিউদ্দিন ডিগ্রী কলেজ সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ একরামুল আযীম।

প্রধান আলোচক ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ সাবেক সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মজিদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মোসলেম আলী, সমাজ সেবক মোঃ ইকবাল হুসাইন ।

মেহেরপুরে সিটি মডেল পি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষক মোঃ শাহী আযম শামীমের সঞ্চালনা আরো বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুরে সিটি মডেল পি-ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক মোঃ সৈয়দ মুনজুরুল হাসান টুটুল, কুলবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন।




মেহেরপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি: মিল্টন আহবায়ক, কামরুল সদস্য সচিব

জাভেদ মাসুদ মিল্টনকে আহবায়ক ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে মেহেরপুর জেলা বিএনপির ৭ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।

আজ  শুক্রবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- যুগ্ম আহবায়ক পদে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, ছহিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ এবং সদস্য পদে জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন, সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেনের নাম অনুমোদন করা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি আরও জানা গেছে, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সঙ্গে মাগুরা জেলা বিএনপি ও খুলনা জেলা বিএনপির নতুন কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।




টাকার সংকট মেটাতে ভ্যান ছিনতাই করে চালককে হত্যা তিন আসামী

চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুর গ্রামের ভ্যানচালক আলমগীর হোসেন আলম (৪১) হত্যা মামলার মূল রহস্য উন্মোচন ও হত্যার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর্থিক সংকটে থাকায় হত্যা করে ভ্যান ছিনতাই করে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে আসামিরা। হত্যার পর ছিনতাই হওয়া ভ্যানটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আলমডাঙ্গা শিবপুর গ্রামের সবেদ আলীর ছেলে জিনারুল হক, আলমডাঙ্গা আইন্দিপুর গ্রামের মৃত হাফিজুলের ছেলে ইমরান (২৪), আলমডাঙ্গা আইন্দিপুর গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে মাসুম (২০)।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায়, আলমডাঙ্গা ভালাইপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে আলমগীর হোসেন পেশায় ভ্যানচালক ছিলেন। গত ২ অক্টোবর রাতে মোটরচালিত পাখিভ্যান নিয়ে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। ফিরে না আসায় আলমগীরের মোবাইল ফোনে কল দিলেও মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে গত ৪ অক্টোবর সকালে আইন্দিপুর গ্রামের ছাতিয়ানতলা মাঠে ভাইমারা খালে কচুড়িপানার নিচে আলমগীরের মরদেহ দেখতে পায় আলমগীরের পরিবার।

এঘটনায় আলমগীরের মা জহুরা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর, পুলিশের একাধিক টিম ঘটনার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটনে মাঠে নামে। গত ২০ অক্টোবর সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার বড়দল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইমরান ও মাসুম নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর গতকাল ১১ ডিসেম্বর ঘটনার সাথে জড়িত মূলহোতা জিনারুল হককে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করলে আসামীরা বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে।

আসামীরা জানায়, আসামীরা তিনজন আর্থিক সংকটে থাকায় ভ্যান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ভালাইপুর থেকে ৩হাত নাইলনের রশি কিনে আলমগীরের ভ্যান ভাড়া নিয়ে বড়গাংণীর উদ্দেশ্য রওনা হয়। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ভ্যান থামাতে মাসুম ইচ্ছাকৃতভাবে তার পায়ের স্যান্ডেল ফেলে দেয়। ভ্যান থামালে জিনারুল চালকের জামার কলার ধরে নিচে নামিয়ে ধস্তাধস্তি করে গর্তে ফেলে দেয়।

একপর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে পড়লে তার গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা নিশ্চিত করে। এরপর মরদেহ রাস্তা পার করে খালের কচুড়িপানার নিচে লুকিয়ে রাখে। ছিনতাই করা পাখিভ্যানটি ৪৮ হাজার টাকায় বিক্রয় করে তিনজন প্রত্যেকে ১৬ হাজার টাকা করে সমান ভাগ করে নেয়।




আলমডাঙ্গায় ৩৭ পরিবারের সাংবাদিক সম্মেলন

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার ৩৭ জন বেকার উন্নত জীবনের আশায় ইতালি যাওয়ার পথে দালালদের হাতে বন্দি মুক্তিপণ দিতে গিয়ে নিঃস্ব পরিবারগুলো পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, আলমডাঙ্গায় ইতালি নেয়ার পথে লিবিয়ায় দালালদের হাতে বন্দি হয়ে আছেন আলমডাঙ্গার ৩৭ জন যুবক। তাদের ওপর চালানো হচ্ছে মধ্যযুগীয় নির্যাতন। ভিডিও কলের মাধ্যমে সেই অমানবিক নির্যাতনের চিত্র দেখিয়ে পরিবারের কাছে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করছে চক্রটি। অভিযোগ উঠেছে, আলমডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামের জীবন আহম্মেদ ৩৭ জন নিরীহ যুবককে ইতালি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে না পাঠিয়ে প্রতারণা করছে। এ চক্রের সাথে রয়েছে জীবনের ভাই লিবিয়া প্রবাসী বেলগাছি গ্রামের সাগর। নির্মম এ নির্যাতনের ভিডিও দেখে স্বজনরা হয়ে পড়েছেন উদ্বিগ্ন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামের জান্টু মেম্বরের ছেলে জীবন আহম্মেদ নিরীহ যুবকদের প্রলোভন দেখিয়ে বলেন- তার ভাই সাগরের মাধ্যমে ইতালি গেলে পাওয়া যাবে মোটা অংকের বেতনের চাকরি। বিনিময়ে প্রত্যেককে ১৩ লাখ টাকা দিতে হবে। এই টাকার বিনিময়ে তাদের দুবাই থেকে ইতালি পাঠানো হবে। তার প্রলোভনে পড়ে ওই গ্রামের ঠান্ডুর ছেলে জীম ও ঠান্ডুর স্ত্রী বেদানা খাতুন, বজলুর রহমানের ছেলে সবুজের মাধ্যমে হাউসপুর গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে মামুনুর রশিদ, খেজুরতলা গ্রামের তামসের আলীর ছেলে মিঠুন, একই গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে তুহিন হক, আব্দুল মজিদের ছেলে তিতাস, আজগর আলীর ছেলে জুয়েল রানা, সাজাহান আলীর ছেলে হাসিবুল ইসলাম, তমেজ আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম, হাসান মন্ডলের ছেলে বকুল হোসেন, শওকত আলীর ছেলে নয়ন হক, ফারুক হোসেনের ছেলে আবু সাঈদ, জমসেদ আলীর জুনায়েদ হাসান প্লাবন, আল মামুনের ছেলে আবু জাফর, মহাবুল হোসেনের ছেলে সাগর আলী, মনির উদ্দিন মন্ডলেল ছেলে মিল্টন আলী, অহিদুল ইসলামের ছেলে মোশারফ আলী, নজরুল ইসলামের ছেলে বিপুল হোসেন, নাসির উদ্দিনের ছেলে নিশান মিয়া, আনিছ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ জাহিদ, আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সজিব হোসেন, ফজলুর রহমানের ছেলে হৃদয় আহমেদ টিটন, জহুরুল নগরের লাল্টু রহমানের ছেলে সবুজ আলী, কাবিলনগর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে বিপ্লব হোসেন, ঘোলদাড়ি গ্রামের শ্রী চিত্তরঞ্জনের ছেলে শ্রী সনজিত কুমার, কেশবপুর গ্রামের মাহাবুল ইসলামের ছেলে মামুন আলী, চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার মোমিনপুর গ্রামের সমীর আলীর ছেলে তরিকুল ইসলামসহ ৩৭ জন বিদেশের উদ্দেশে পাড়ি জমায়।

বিভিন্ন তারিখে নগদ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩ লাখ টাকা করে পরিশোধ করে। টাকা পেয়ে জীবন গং ভুক্তভোগীদের দুবাই নিয়ে যায়। দুবাই থেকে ইতালি নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তারা প্রতারণা করে দুবাই থেকে লিবিয়া নিয়ে যায়। লিবিয়ায় নিয়ে গিয়ে একটি গোপন কক্ষে আটকিয়ে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় শারীরিক নির্যাতন করে। লিবিয়ায় অমানবিক নির্যাতনের ভিডিও মোবাইলের মাধ্যেমে দেশে এসব যুবকদের স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে। টাকা নেওয়ার পরও তারা ওইসব যুবকদের সেখানে আটকিয়ে রেখে জন প্রতি আরও ২২ লাখ টাকা দাবী করছে। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী যুবকদের স্বজনরা মোবাইলে এ দৃশ্য দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তারা না পারছেন টাকা পাঠাতে না পারছেন সেখান থেকে তাদের মুক্ত করতে। কোন উপায় না পেয়ে সঠিক পথ খুঁজে পেতে ও বিচারের আশায় যাদবপুর গ্রামের আব্দুস সুবহানের স্ত্রী ছাবিনা খাতুন, খেজুরতলা গ্রামের নাসির উদ্দিনের স্ত্রী সাবানা খাতুন ও জুয়েল আলীর স্ত্রী পলি খাতুন হাউসপুর গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে মাসুদ রানা, খেজুর তলা গ্রামের ওহিদুল ইসলামের স্ত্রী কল্পনা খাতুন থানা পুলিশের নিকট অভিযোগ দিয়েছেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতারকদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ৩৭ জনের পরিবারের সদস্যরা।  সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী জুয়েল রানার স্ত্রী পলি খাতুন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান লালন বলেন, আমরা ভুক্তভোগী পরিবারের নিকট থেকে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা দালালদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করছি। একইসাথে এটা নিয়ে সিআইডির সাথে কথা হয়েছে। তারাও প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনসহ অপরাধী সনাক্ত ও আটকে কাজ করবে।




মেহেরপুরের তুলা চাষ সম্প্রসারণ ও চাষী উদ্বুদ্ধকরণে কৃষক মাঠ দিবস

মেহেরপুর সদর উপজেলার পাটকেলপোতা গ্রামে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের “তুলার গবেষণা উন্নয়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্পে’র অর্থায়নে তুলা চাষ সম্প্রসারণ ও চাষী উদ্বুদ্ধকরণে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় তুলা উন্নয়ন বোর্ড চুয়াডাঙ্গা জোনের আয়োজনে পাটকেলপোতা গ্রামে দিবসটি পালিত হয়।

মেহেরপুর সদরের পাটকেলপোতা গ্রামের ৪০ জন কৃষক নিয়ে তুলা চাষে উদ্বুদ্ধকরণ ও এর সম্প্রসারণ, তোলার বীজ বপন গাছের পরিচর্যা রোগ বালাই ও পোকামাকড় দমনে সার ও কীটনাশকের ব্যবহার এর মাত্রা নির্ণয় তুলার ফল এর বল আকৃতি থাকা কালীন সময়ে রোগ মুক্ত করণ পদ্ধতি তোলা সংগ্রহ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা সেন দেবাশীষ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম এজাজুল ইসলাম, বারাদী ইউনিটের কটন ইউনিট অফিসার জাকারিয়া ইকবাল।




দর্শনায় সাবেক ইউপি সদস্য আবু সালেসহ গ্রেফতার ৪

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দোস্ত গ্রামে দর্শনা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিয়মিত মামলার সাবেক ইউপি সদস্য আবুসালেসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।

জানাগেছে, আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে অভিযান চালায় দোস্ত গ্রামে। এ সময় দর্শনা থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত হলো দর্শনা থানার দোস্ত গ্রামের বসতি পাড়ার বাবু ছেলে ইমন (২৮) সাবেক বেগমপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য অজিত কাজীর ছেলে আবু সালেহ (৫০) আবু সালের ছেলে তুষার (২৫) ও তুহিন (২৭) কে গ্রেফতার করেছে। আজ তাদের ৪ জনকে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে সোপর্দ করেছে।




মুজিবনগরের গড়তে ইয়ুথ পিস এ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠনের সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলায় শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুব সমাজকে সম্প্রীতির পথে এগিয়ে নিতে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশের মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ইনিশিয়েটিভ (MIPS) প্রকল্পের অধীনে ইয়ুথ পিস এম্বাসেডর গ্রুপ (ওয়াই.পি.এ.জি) গঠনের জন্য একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর ) সকালে মুজিবনগরের পর্যটন মোটেলের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মুজিবনগরের পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের সমন্বয়কারী মো: ওয়াজেদ আলী খানের সভাপতিত্বে এবং তারই সঞ্চালনায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রকল্পের লক্ষ্য ও গঠনতন্ত্র নিয়ে আলোচনা করেন এমআইপিএস প্রকল্পের এরিয়া কো-অর্ডিনেটর এস.এম. রাজু জবেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন সভার সভাপতি মো: ওয়াজেদ আলী খান, এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মো: আশরাফুজ্জামান।

সভায় পিস এম্বাসেডর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবুল হাসান , শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন প্রতিনিধি মো. খাইরুল বাশার , শিক্ষিকা ঝরনা খাতুন, মুজিবনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুন্সি ওমর ফারুক, সাংবাদিক মো হাসান মোস্তাফিজুর রহমান।

এছাড়া ছাত্রদল ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ছাত্র প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীরাও অংশগ্রহণ করেন। সকলের মতামতের ভিত্তিতে ছাত্রদলের যুগ্ন সম্পাদক মো রিয়াজ সেখকে ওয়াই.পি.এ.জি কো-অর্ডিনেটর এবং সহ-সমন্বয়কারী হিসেবে মুজিবনগর ব্লাড গ্রুপের ও পলাশি পাড়া সংগঠনের সভাপতি মোছা: মুক্তা খাতুনকে এবং নাদিম আনজুম বিন রেজাকে নির্বাচিত করা হয়।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ২০ সদস্যের ইয়ুথ পিস এম্বাসেডর গ্রুপ (ওয়াই.পি.এ.জি) কমিটি গঠন করা হয়। উপস্থিত সবাই শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সহিংসতা প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন এবং শপথ গ্রহণ করেন। রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও নৃগোষ্ঠীগত সহিংসতা নিরসনে ওয়াই.পি.এ.জি পিএফজির সাথে একযোগে কাজ করবে, মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার সকল জনগণকে সম্প্রীতির পথে এগিয়ে নেবে এই প্রতিজ্ঞায় সভা শেষ হয়।