দর্শনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার উপলক্ষে মানববন্ধন

আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষের গুম খুন বিচার বহির্ভূত হত্যা বিচারের দাবিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে দর্শনা সরকারি কলেজ শহীদ মিনারের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, দর্শনা থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন, দর্শনা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান, সদস্য সচিব পলাশ আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আসিফ হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু আহমেদ, ১ নং সদস্য হাসান আলী, দর্শনা পৌর ছাত্রদল নেতা শেখর শাওন ও আরিফ হোসেন, ডিপার্টমেন্ট নেতৃবৃন্দ অমিন হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান সাইফ, ইমন, লিখন, আবিদ, সজীব, মেহেদী হাসান সহ সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।




শীতের আগমণী বার্তায় কুষ্টিয়ায় কুমড়ার বড়ি তৈরীর ধুম

শীতের আগমণী বার্তা দেখা যাওয়া মাত্রই গ্রামাঞ্চলে শুরু হয়ে যায় শীতের সকালে কুমড়ো বড়ি তৈরীর ধুম। গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় এ দৃশ্য চোখে পড়ার মতো।

কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় কুমড়ার বড়ি তৈরীতে ব্যস্ত গৃহিণীরা। শীতকালীন রসনা বিলাসের অন্যতম সুস্বাদু খাদ্য কুমড়ার বড়ি। এখন শুধু গ্রাম অঞ্চলেই নয়, শহরেও কুষ্টিয়ার তৈরি কুমড়ার বড়ির চাহিদা বেশি।

এই কুমড়া বড়ির চাহিদা থাকায় জেলার বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবেও বড়ি তৈরি হচ্ছে। দেশব্যাপী কুমড়া বড়ির চাহিদা থাকায় কুষ্টিয়ায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কুমড়ার আবাদ হয়ে থাকে। এ কুমড়ো দিয়েই তৈরি করা হয় বড়ি।

প্রায় ২ যুগ ধরে এ বড়ি তৈরি করে কুষ্টিয়ার ৫ শতাধিক পরিবার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সারাবছর ছাড়াও শীত মৌসুমে চাহিদা বেশি থাকায় কুমড়া বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে কুষ্টিয়ার জগতি ও লাহিনীর ‘কুমড়া বড়ি পল্লীর’ সকলে। সেখানে শুরু হয়েছে শীতকালীন রসনা বিলাসের জন্য অন্যতম সুস্বাদু খাদ্য ‘কুমড়া বড়ি’ বানানোর ধুম।

শীতকালীন সব ধরনের তরকারিতে বাড়তি স্বাদ আনয়নের জন্য কুমড়া বড়ির কদর এখন গ্রাম ছাড়িয়ে শহরেও সমাদৃত হয়ে সমভাবে। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব শ্রেণীর মানুষেরই নিত্যদিনের খাবারে তরকারীর অতি প্রিয় অনুষঙ্গ এ কুমড়া বড়ি।

মিরপুর উপজেলার মশান গ্রামের আয়েশা খাতুন বলেন, পাকা ও পরিণত চালকুমড়া কুঁরে তার সাথে মাস কালাই কিংবা কালাই বেঁটে পাঁচফড়ং ও কালোজিরা দিয়ে বিশেষ কায়দায় তৈরি করা হয় এই কুমড়া বড়ি।

কুমড়া বড়ি তৈরিতে বেশ পরিশ্রম ও ঝক্কি ঝামেলাও পোহাতে হয় বাড়ির বৌ-ঝিদের। আবার বড়ি তৈরির পর যদি তীব্র রোদ কিংবা তাপ না থাকে তাহলে হাড়ভাঙা খাটুনি আর দীর্ঘ সময়ের পরিশ্রম সবই বৃথা যায়। কেননা বড়ি বানানোর পর যত দ্রুত তা রোদের তাপে শুকানো যায় ততই সুস্বাদু হয় এই কুমড়া বড়ি।

দেখতে যেমন সুন্দর, খেতে তার চেয়ে বেশি সুস্বাদু। খুব সহজেই গ্রামের নারীরা তৈরি করে থাকেন।

প্রায় প্রতিটি সবজি বা মাছ রান্নায় দিলে বেড়ে যায় স্বাদ। বলা হচ্ছে কুমড়ো বড়ির কথা। শীতের শুরুতেই এ বড়ি তৈরি শুরু করেন কুষ্টিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের নারীরা। বাণিজ্যিকভাবে বড়ি বিক্রি করেও অনেকে সংসারে আনেন স্বচ্ছলতা।

একই এলাকার মালেকা খাতুন জানান, বছরে একবার এই কুমড়া বড়ি তৈরি করে থাকি। নিজেদের খাওয়া এবং মেয়ে জামাইর বাড়িতেতে পাঠানো লাগে। এবারও বাড়ীর আঙ্গিনায় লাগানো চালকুমড়া সংগ্রহ করে মাসকলাই মিশিয়ে এ কুমড়া বড়ি তৈরি করেছি।

অতি যত্নের সাথে গ্রামের নারীরা কুমড়া বড়ি তৈরি করে। জগতি এলাকার আনোয়ারা বলেন, এ ব্যবসায় সারাবছর চললেও ৬ মাস ভালো চলে। তবে পরিশ্রমের তুলনায় তারা তেমন মূল্য পান না।

মৌসুমি কুমড়ো বড়ি ব্যবসায়ী জহগতি এলাকার সামু জানান, শীতকালে এ কুমড়ো বড়ি বিক্রি বেশি হয়। তাই বাড়িতে এসব বড়ি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করি। এখন প্রতিদিন আমি ১৫-২০ কেজি কুমড়ো বড়ি বিক্রি করি। সাদা বড়ির চাহিদা বেশি। ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি দরে এসব বড়ি বিক্রি করি। এভাবে পুরো শীত মৌসুম চলে বড়ি বিক্রি।

নুর মোহাম্মদ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বাজারের সাদা বড়িগুলো বেশিরভাগই ভালো হয় না। বিক্রেতারা কুমড়ার পরিবর্তে পেঁপে আর আটা মিশিয়ে থাকে। এজন্য আমি প্রতিবছর ডাল আর কুমড়া কিনে বাড়িতে বড়ি তৈরি করি। এ বছর আমি কুমড়া কিনেছি পাঁচটা, ৩০০ টাকায় আর কলাইয়ের ডাল কিনেছি ৬০০ টাকার। এতে কয়েক কেজি কুমড়ো বড়ি পাব। তা দিয়ে যা বড়ি হবে, পুরো শীতকাল খেতে পারব। তাছাড়া আত্মীয়-স্বজনদেরও দিতে হয়। বাড়িতে বানানো বড়ি বাজারের গুলোর চাইতে অধিক স্বাদের

কুষ্টিয়ার তৈরি কুমড়ার বড়ি এখন গ্রামের বাড়ির আঙিনা ছেড়ে শহরে এমনকি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোর কাঁচা বাজারেও স্থান করে নিয়েছে।

কুষ্টিয়ার তৈরি বড়ি জেলার চাহিদা পূরণ করে প্রতিদিনই বাইরে পাঠানো হচ্ছে। এখানকার তৈরি বড়ি অত্যান্ত ভালো ও সুস্বাদু হওয়ায় দিনদিন বেড়েই চলেছে কুষ্টিয়ার কুমড়া বড়ির চাহিদা।

কৃষকের বন্ধু এসএম জামাল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে কুমড়ো বড়ি অনলাইনে বাজারজাত করে থাকেন। তিনি বলেন, গ্রামীণ পরিবেশে এই কুমড়ো বড়ি তৈরিতে সাড়ে ৫শ টাকার উপরে খরচ পড়ে যায়। এতে করে অন্তত কিছু নারীদের কর্মসংস্থান হয়ে যায়। এসব বড়ি ৬০০ টাকা কেজি হিসেবে অনলাইনে বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়।

মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তরকারীতে আমরা সবজী হিসেবে যে চালকুমড়া খাই সেটিই আবার বড় এবং পাকা হলে পরিপূর্ণতা পেয়ে যায়। তাই এই কুমড়োবড়ি বানাতে চাল কুমড়ার বিকল্প নাই। গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাল কুমড়ার চাষ হচ্ছে। বসতবাড়ির অঙ্গিনায়, অনাবাদি পতিত জমি এবং সাথী ফসল হিসেবে জমিতে চাল কুমড়োর চাষ বাড়ছে। প্রায় তিনমাসে এ কুমড়ো চাষের পর তা তরকারীতে খেতে পারে। এবং বড়ির জন্য আবার সংরক্ষণ করে পাকিয়ে আবার তা দিয়ে কুমড়োবড়ি তৈরী করা হয়।




মিরাজদের সিরিজে সমতায় ফেরার লড়াই আজ

আত্মবিশ্বাসী ছিল বাংলাদেশ সেন্ট কিটসে তিন ম্যাচেরও ওয়ানডে সিরিজের আগে। কেননা ২০১৮ সালের পর উইন্ডিজ সফরে গিয়ে এই ফরম্যাটে হারেনি তারা। দীর্ঘ ছয় বছরে সেখানে পাঁচ ম্যাচ খেললেও হারেনি একটিতেও। এছাড়া সব মিলিয়ে দলটির বিপক্ষে টানা ১১ জয় তো সঙ্গী হিসেবে ছিলই। তবে রবিবার সিরিজের প্রথম ম্যাচ দিয়ে টানা হারের বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে এসেছে স্বাগতিকরা।

আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। এই ম্যাচে বাংলাদেশের লড়াই সিরিজে ফেরার। আর তা না পারলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই স্বাদ নিতে হবে সিরিজ হারের। তাই জয়ের বিকল্প নেই মিরাজ বাহিনীর সামনে।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে হেরেছে। ঐ ম্যাচে টস দিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রান করে সফরকারীরা। ঐ রান ১৪ বল আগেই তাড়া করেছে ক্যারিবীয়রা। পাশাপাশি হয়েছে একটি রেকর্ডও। ওয়ার্নার পার্কে এটাই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়।

এর আগে ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৬৫ রান তাড়া করে জিতেছিল স্বাগতিকরা। এমন জয়ের পর এবার স্বাভাবিকভাবেই তাদের নজর থাকবে সিরিজ জেতার দিকেই কেননা লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজ জিতেছিল ২০১৪ সালে। এবার যেহেতু সুযোগ হয়েছে তা লুফে নিতেই চাইবে সেটাই অনুমেয়। তবে কাজটা যে সহজ হবে না। কেননা এবারের উইন্ডিজ সফরটা শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। অ্যান্টিগাতে হেরেছিল প্রথম টেস্ট। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে ফিরে এসেছিল সমতায়। ওয়ানডেতেও দলের প্রতি সমর্থকদের তেমনি প্রত্যাশা করছে।

এদিকে প্রথম ম্যাচ ব্যাটিংবান্ধব উইকেটেও সফরকারী ব্যাটাররা ছিল নিষ্প্রাণ। খেলেছে টেস্ট মেজাজে তাতে দলীয় সংগ্রহ হয়েছে কম। নিজেদের গোটা ইনিংসে ৩০০ বলের বলে ১৫৫টি ‘ডটবল’ খেলেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মিরাজ নিজে চারে নেমে ৭৪ রান করতে খেলে ফেলেছেন ১০১ বল। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলিও আরেকটু সক্রিয় হয়ে আরেকটু চালিয়ে খেলতে পারতেন। তাহলে ৩২০-৩৩০ হতে পারত স্কোর।

তারপরও ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের অধিনায়ক মিরাজ হারের দায় চাপিয়েছেন বোলারদের ওপর। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা সন্তুষ্টই ছিলাম (নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসে রান নিয়ে)। এই ধরনের উইকেটে ২৯৫ খুব ভালো স্কোর। তাদেরকে কৃতিত্ব দিতেই হবে, তারা অনেক ভালো খেলেছে। বিশেষ করে শেই হোপ ও রাদারফোর্ড, ভালো জুটি গড়েছে তারা। মাঝের সময়টায় আমরা উইকেট নিতে পারিনি। আমাদের বোলারদের জন্য দিনটি কঠিন ছিল।’

উইন্ডিজদের ইনিংসে ভালো শুরু এনে দিয়েছিল বাংলাদেশের পেসাররা। দলীয় ২৭ রানেই দুই ওপেনার ব্রান্ডন কিং ও এভিন লুইসকে সাজ ঘরে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব ও নাহিদ রানা। সেসময় খানিকটা চাপে পড়লেও ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিক ব্যাটাররা। এ নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘শুরুটা (বোলিংয়ে) খুব ভালো করেছিলাম আমরা, বিশেষ করে নাহিদ রানা, তাসকিন ও তানজিম ভালো বল করেছে। কিন্তু মাঝে ওভারগুলোয় আমরা উইকেট বের করতে পারিনি। তবে এই ধরনের উইকেটে এমন কিছু হতেই পারে। উইকেট খুব ভালো এবং অবশ্যই ওদেরকে কৃতিত্ব দিতেই হবে।’

তবে বরাবরের মতোই ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা জানিয়ে পরের ম্যাচে ভালো কিছু করার আশারবাণী শোনান মিরাজ। বলেন, ‘অনেক কিছুই শিখতে পারি আমরা। আজকে বেশ কিছু ভুল করেছি। পরের ম্যাচে আরো ভালো করায় মনযোগ দিতে হবে আমাদের। এখনো দুই ম্যাচ বাকি আছে। জয়ের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে আমাদের। আমি এখনো মনে করি, আমাদের ভালো সুযোগ আছে (সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর)।’

সূত্র: ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গায় শুরু হলো অর্থনৈতিক শুমারি-২০২৪

‘অর্থনৈতিক শুমারিতে তথ্য দিন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশ নিন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে অর্থনৈতিক শুমারি।

আজ মঙ্গলবার থেকে আগামি ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫ দিন চলবে এই অর্থনৈতিক শুমারি। অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৩ প্রকল্পের আওতায় এই জেলায় তিন ধাপে এই শুমারি কার্যক্রম চলবে সরকারি বে-সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে। শুমারিতে দেশে অবস্থিত সকল ধরনের প্রতিষ্ঠান, কৃষি বহির্ভূত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্বলিত সকল খানা ও সকল প্রাতিষ্ঠানিক কৃষি খামার এই শুমারি আওতাই পড়বে। সময়ের বিবর্তনে একটি দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোগত পরিবর্তন সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রণয়নে এই শুমারির লক্ষ্য। অর্থনৈতিক শুমারির উদ্দেশ্য হয়ে কাজ করবে, খানা ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কাঠামো নির্ধারণ। শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত সকল অর্থনৈতিক ইউনিট সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করা। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত জনবলের হিসাব নিরূপণের পাশাপাশি তাদের ধরন সম্পর্কে ধারণা লাভ করা। শিল্প বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান মৌলিক সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ধারণা লাভ করা। ইউনিটের স্থায়ী সম্পদ ও জনবল কাঠামো অনুযায়ী শ্রেণিবিন্যাসকরণ এবং শ্রেণিভিত্তিক সংখ্যা নির্ধারণ। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নীতিনির্ধারক, পরিকল্পনাবিদ, গবেষকসহ বিভিন্ন অংশীজনদের হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করা হবে এই শুমারি চলাকালিন।

এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘শুরু হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অর্থনৈতিক শুমারি। সবাইকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগীতার আহ্বান এই শুমারি কার্যক্রমে। আর এই শুমরির উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারি বেসরকারি অফিস ও বিভিন্ন খামার ভিত্তিক এবং কৃষি ভিত্তিক অফিস গুলোতে যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় তা সবাই তথ্যদিয়ে সহযোগিতা করবেন। এতে দেশ ও দেশের অর্থনৈতিক ভুমিকায় কাজ করবে। এই তথ্য সংগ্রহ করার পর এই জেলার প্রতিটা প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনায় কাজে আসবে’।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ে সুত্রে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গায় জেলায় অর্থনৈতিক শুমারিতে তথ্য সংগ্রহে কাজ করছে ৭৭৩ জন নারী পুরুষ। এই কার্যক্রম সফল করতে সুপার ভাইজার নিয়োজিত করা হয়েছে ১৫০ জন। জোনাল অফিসার আছে ২১ জন ও জেলা শুমারি সমন্বয় ১ জন।




সেভ দ্য চিলড্রেনে চাকরির সুযোগ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। সংস্থাটির কক্সবাজার এরিয়া অফিসের জন্য পরিচালক নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

গত ০৫ ডিসেম্বর থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম : সেভ দ্য চিলড্রেন পদের নাম : পরিচালক পদসংখ্যা : ০১টি

শিক্ষাগত যোগ্যতা : এমবিএ/ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অন্যান্য যোগ্যতা : আর্থিক, প্রশাসনিক এবং মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা অভিজ্ঞতা : ১০ বছর

চাকরির ধরন : ফুলটাইম কর্মক্ষেত্র : অফিসে প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) বয়সসীমা : উল্লেখ নেই

কর্মস্থল : কক্সবাজার বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে অন্যান্য সুবিধা : সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী

আবেদন করবেন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
সূত্র: কালবেলা




দর্শনা বাড়দী সীমান্তে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ৬ বিজিবি চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ১০ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বিজিবি।

আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবির) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, পিএসসির নেতৃত্বে অভিযান চালায় বাড়াদী সীমান্তের নাস্তিপুর আমবাগানে। সে সময় বাড়াদী বিওপি ক্যাম্পের হাবিলদার খন্দকার ওবায়দুর রহমান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালায় সীমান্ত পিলারের ৮০ হতে আনুমানিক ১শ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাস্তিপুর আমবাগানের মধ্যে এ্যাম্বুশ করে।

এ সময় বিজিবি টহলদল সন্দেহভাজন একজন ব্যক্তিকে এলাকা দিয়ে অতিক্রম করতে দেখে বিজিবি স্বশস্ত্র টহলদল তাকে চ্যালেঞ্জ করলে তার কাছে থাকা একটি প্যাকেট ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি প্যাকেট খুলে দেখতে পায় খাকী রংয়ের স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ২টি ব্যাগে আনুমানিক ০১ কেজি ১৬৪ গ্রাম (৯৯.৭৯ ভরি) ওজনের ১০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। তবে এ ঘটনায় চোরাচালানীকে আটক করতে পারেনী। এ সব স্বর্নের আনুমানিক মৃল্যে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় বাড়াদী ক্যাম্পের হাবিলদার খন্দকার ওবায়দুর রহমান বাদী হয়ে দর্শনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। জব্দকৃত স্বর্ণের বারগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




মেসেজের রিপ্লাই দিতে ভুলে গেলে নোটিফিকেশন পাঠাবে হোয়াটসঅ্যাপ

মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক। তবে মজার খবর হলো, এবার থেকে কেউ যদি মেসেজের রিপ্লাই দিতে ভুলে যান সেক্ষেত্রে নোটিশ পাঠাবে মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ।

সম্প্রতি এই ফিচার নিয়ে পরীক্ষা শুরু করছে প্রতিষ্ঠানটি।

জানা গেছে, এই মুহূর্তে ফিচারটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড বিটা ২.২৪.০.২৫.২৯ ভার্সনে পরীক্ষা করা হচ্ছে। দ্রুতই অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপে চালু হবে ফিচারটি। শুধু মেসেজ নয়, স্ট্যাটাস মিস করে গেলেও নোটিফাই করবে হোয়াটসঅ্যাপ।

যেভাবে কাজ করবে ফিচারটি
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা যার সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠ সেটি মনিটরিং করবে একটি অভ্যন্তরীণ অ্যালগরিদম। এর উপর ভিত্তি করে আপনি যদি ওই সমস্ত চ্যাটের মেসেজে রিপ্লাই দিতে ভুলে যান, তাহলে আপনাকে নোটিফিকেশন পাঠাবে হোয়াটসঅ্যাপ। এটি সেইসব চ্যাটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যাদের সাথে ব্যবহারকারীরা বেশি কথা বলেন।

এই পদ্ধতিতে যে ডাটা থাকবে তা লোকাল স্টোরেজে সংরক্ষণ করবে হোয়াটসঅ্যাপ। চাইলে এখনই বিটা প্রোগ্রামে সাইনআপ করে এই ফিচারটি পরীক্ষা করতে পারেন।

আগামী স্টেবল আপডেটের মাধ্যমে ফিচারটি সবার জন্য উন্মুক্ত হবে। যদি ফিচারটি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হোন তাহলে অবশ্যই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপের ভার্সন আপডেট করতে হবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত

“এসো সবাই ঐক্য গড়ি, সবার অধিকার রক্ষা করি” এই প্রতিপাদ্যে মেহেরপুরে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশন মেহেরপুর জেলা শাথার আয়োজনে আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে শহরের কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলের হল রুমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনার আগে কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল প্রাঙ্গণ থেকে একটি র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আলোচনার স্থানে এসে শেষ হয়।

বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশন মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক রফিক উল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড. গাজী রহমান।

এসময় তারা মানবাধিকার রক্ষায় একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দেন।

ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোছাঃ দিলারা পারভীনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মেহেরপুর জেলা শাখার আহবায়ক ইমতিয়াজ আহমেদসহ
বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশন মেহেরপুর জেলা শাখার সদস্য, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সমাজকর্মীরা‌ উপস্থিত ছিলেন।




রাহাত ফতেহ আলীর কনসার্টের টিকিট বিক্রি শুরু

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে সহায়তার জন্য আগামী ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হচ্ছে ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ কনসার্ট। এই চ্যারিটি কনসার্টে বিনা পারিশ্রমিকে গান গাইবেন জনপ্রিয় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান।

এবার আলোচিত এই কনসার্টের টিকিট অনলাইনে শ্রোতাদের জন্য উন্মুক্ত করেছে আয়োজক প্ল্যাটফর্ম ‘স্পিরিটস অব জুলাই’। অনলাইন টিকিট প্ল্যাটফর্ম গেট সেট রকে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাত থেকে টিকিট বিক্রি শুরু করেছে।

ওয়েবসাইটটি ঘুরে দেখা যায়, এই কনসার্টের ভিআইপি টিকিটের মূল্য ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও দুটি ক্যাটাগরির টিকিট ছাড়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম সারিতে ৪৫০০ টাকা এবং সাধারণ টিকিট ২৫০০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

ওই দিনের কনসার্টের ফাইনাল লাইন আপও ঘোষণা করা হয়েছে। রাহাত ফাতেহ আলী ছাড়াও কনসার্টে দেশীয় ব্যান্ড আর্টসেল, চিরকুট, অ্যাশেজ, আফটারম্যাথ, র‌্যাপ সংগীতশিল্পী সেজান, হান্নান ও সিলসিলিা গান পরিবেশন করবেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি প্রদর্শনী ও মঞ্চনাটক আয়োজন করা হবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে ফেনসিডিলসহ দুই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

৭০ বোতল ফেনসিডিলসহ এলাকার দুই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গতকাল সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১ টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি টিম গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া বাজার ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের পাশে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গাংনী উপজেলার পলাশীপাড়া গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে সেন্টু হোসেন (২৯) ও একই গ্রামের গোলাম জাকারিয়ার ছেলে সেলিম হোসেন (৩০)।

ডিবি পুলিশের এসআই আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে তেঁতুলবাড়িয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন।

এসআই আশরাফ জানান, ভারত সীমান্ত থেকে ফেনসিডিলের একটি চালান আসছে এমন খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের খবর টের পেয়ে ওই মাদক ব্যবসায়ীরা পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। পরে তাদের তেঁড়ে ধরা হয়।

উপপরিদর্শক আশরাফ আরও জানান, গ্রেফতারকৃত সেন্টুর বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪ টি ও সেলিম রেজার বিরুদ্ধে একটি মামলা আদালত বিচারাধীন রয়েছে। তাঁরা এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পুলিশের তালিকাভুক্ত।

ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা দিয়ে রাতেই গাংনী থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।