মুজিবনগরে নারী-শিশুসহ ১৯ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

মুজিবনগরে নারী ও শিশুসহ ১৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশে ঠেলে (পুশব্যাক) দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

রবিবার ভোররাতে মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর মাঝপাড়া সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়।

তারা সীমান্ত পার হয়ে উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজার এলাকায় অবস্থান করলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুজিবনগর থানা পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে মুজিবনগর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে ৯ জন শিশু, ৫ জন নারী ও ৫ জন পুরুষ। আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার কাঠগিরি গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে মোমেনা খাতুন এবং তার তিন ছেলে মোজাম্মেল হক (২৩), মোস্তাক আহমেদ (১৯) ও কাবিল (১১)। কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার জয়মঙ্গল ১১ মাথা গ্রামের জালালউদ্দিনের ছেলে মইনুল ইসলাম, তার স্ত্রী কাঞ্চন বেগম এবং তাদের তিন সন্তান কারণ (১৪), রবিউল (৭) ও মরিয়ম (৪)। লালমনিরহাট জেলার সদর থানার চুঙ্গগাড়া গ্রামের মৃত গণেশ চন্দ্র পালের ছেলে নিতাই চন্দ্র পাল, তার স্ত্রী গীতা রানী পাল এবং তাদের তিন মেয়ে পার্বতী পাল (১৫), পূজা রানী পাল (৭) ও আরতী পাল (৩)। কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার কুঠিচন্দ্রখানা গ্রামের খলিলের ছেলে আমিনুল ইসলাম, তার স্ত্রী পারুল এবং তাদের দুই মেয়ে আমেনা (৪) ও আরফিনা (১১ মাস)।

আটককৃতরা জানান, তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। বিভিন্ন সময়ে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন এবং ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে বসবাস করছিলেন।

প্রায় ছয়-সাত দিন আগে ভারতের হরিয়ানার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর জেলে রাখা হয়। পরে রবিবার ভোরে মুজিবনগরের সোনাপুর মাঝপাড়া সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুশব্যাক করে বিএসএফ।

এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, আটককৃতরা কেদারগঞ্জ বাজারের বিআরটিসি কাউন্টারে অবস্থান করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করে থানায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।




দর্শনা মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির প্রথম বৈঠক

ঐতিহ্যবাহি দর্শনা মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০ টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

নবগঠিত এডহক কমিটির সভাপতি, দর্শনা পৌর বিএনপি’র সমন্বয়ক কমিটির অন্যতম সদস্য, শিক্ষানুরাগি আলহাজ্ব মশিউর রহমান সভার সভাপতিত্ব করেন। আলোচনা করেন, সদস্য সচিব, প্রধান শিক্ষক একরামুল হক, শিক্ষক সদস্য আবুল কাশেম মিল্টন, অভিভাবক সদস্য লুৎফর রহমান। কমিটি বৈঠক শেষে সকল শিক্ষকের সাথে মতবিনিয়ম করেন মশিউর রহমান সহ কমিটির সকলে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক সৈয়দা শামিম আরা, আক্তার জাহান, সাবিনা ইয়াসমিন, ফারজানা, আরিফা সুলতানা, শাসুন্নাহার, উম্মে হাবিবা মায়া, দেলোয়ারা আমান উল্লাহ, আব্দুল কাদের, মোস্তাফিজুর রহমান, আশরাফুল আলম, আ. খালেক, হাফিজুর রহমান, হুমায়ুন কবির, রিমন হোসাইন, নজরুল ইসলাম প্রমুখ। পরে প্রতিটি শ্রেনী কক্ষ পরিদর্শনকালে শিক্ষার্থীদের খোজ খবর নেন।

কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে প্রতি ৩ মাস পর অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক, সাপ্তাহিক ক্লাশ টেস্ট পরিক্ষা গ্রহন, স্কাউটিং, লেখাধূলা, সাহিত্য-সাংস্কৃতি জোরদার করা হবে।

এছাড়া শিক্ষার মান উন্নয়নে বার্ষিক পরিক্ষায় কোন বিষয়ে অকৃতকার্য ও অনিয়মিত শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে না রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মশিউর রহমানের ব্যাক্তি অর্থায়নে ২০ জন স্কাউটার সহ দরিদ্র এক শিক্ষার্থীকে স্কুল পোশাক দেয়া হবে।




কেরুজ চিনিকলের কৃষি খামারের জমি লিজ

বাড়তি আয়ের আশায় কেরুজ চিনিকল কর্তৃপক্ষ ৮টি কৃষি খামারের ৫৪৪ একর জমি লিজ দিয়েছেন। একর প্রতি যার গড় মূল্য দাড়িয়েছে ২২ হাজার ৬৪৫ টাকা।

গত বছর যার গড় মূল্য ছিলো ৩৪ হাজার ৯২৭ টাকা। এ বছর একর প্রতি গড় মূল্য কমেছে ১২ হাজার ২৮২ টাকা। এতে মোট টাকার পরিমাণ গত বছরের তুলনায় কম হয়েছে ৪৩ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪৫ টাকা। গত বছর যারা কুমড়ার চাষ করে আর্থীক ভাবে চরম লোকশান করেছেন তারা এ বছর কুমড়ার চাষ করতেও সাহস পাচ্ছেনা। এ ঘাটতির দায়-ভার কে বহন করবে ? কেরুজ চিনিকল কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর বাড়তি আয়ের লক্ষে ৫ মাসের জন্য কুমড়া সহ স্বল্প মেয়াদি চাষাবাদের শর্ত সাপেক্ষে জমি লিজ দিয়ে থাকেন। সে লক্ষে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে চিনিকলের আওতাধীন ৮টি কৃষি খামারের ৫৪৪ একর জমি লিজ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

যার মূল্য দাড়িয়েছে ১ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৫৫ টাকা। যার মধ্যে দেয়া হয়েছে ফুরশেদপুর ৭৫ একর জমি ১৯ লাখ ৬১ হাজার ৫০ টাকা। বেগমপুর ৮৭ একর ২৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬৮০ টাকা। আড়িয়া ১৩৩ একর ৩০ লাখ ৯৯ হাজার ৩৮০ টাকা। ঝাঝরি ৭২ একর ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৯০ টাকা। হিজলগাড়ী ৪২ একর ১০ লাখ ৫১ হাজার ২৯০ টাকা। ফুলবাড়ি ৫৪ একর ১২ লাখ ৪ হাজার ৩৯০ টাকা। ডিহিকৃষ্ণপুর ৪৮ একর ১১ লাখ ৯২ হাজার ৭৪০ টাকা ও ছয়ঘরিয়া কৃষি খামারের ৩৩ একর জমি ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৫ টাকায় লিজ দেয়া হয়েছে। একর প্রতি যার গড় মূল্য দাড়িয়েছে ২২ হাজার ৬৪৫ টাকা করে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৮টি কৃষি খামারের ৪৭৭ একর জমি কর্তৃপক্ষ লিজ দিয়েছিলো ১ কোটি ৬৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকায়। যা ছিলো একর প্রতি যার গড় মূল্য ৩৪ হাজার ৯২৭ টাকা। গত অর্থ বছরের তুলনায় এ বছর যেমন ৬৭ একর জমি লিজ বেশি দেয়া হয়েছে সে হিসাবে মূল্য পায়নি।

গত বছরের তুলনায় একর প্রতি গড় মূল্য কম হয়েছে ১২ হাজার ২৮২ টাকা। টাকার পরিমানে যার মূল্য দাড়িয়েছে ৪৩ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪৫ টাকা কম। চিনিকল সূত্রে জানাগেছে, জমি লিজের প্রথম টেন্ডারে কর্তৃপক্ষ গত বছরের ন্যায় দাম না পাওয়ায় লিজ বাতিল করে দ্বিতীয় টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তাতেও লাভ হয়নি কর্তৃপক্ষের। নিয়ম অনুযায়ি তৃতীয় টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দেয়ার কথা থাকলেও তা না করে মূল্য আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কায় ৮টি কৃষি খামারের ৫৪৪ একর জমি লিজ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে মোতাবেক লিজ প্রদানও করা হয়।

লিজ গ্রহীতারা জমি লিজ নিয়ে অনেকেই চাষাবাদ করা শুরু করেছেন। এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে গত বছর যারাই কুমড়ার চাষ করেছেন প্রত্যেকে মোটা অংকের টাকার লোকশান গুনেছেন। কারণ কুমড়ার চাষটি সম্পূর্ণ প্রকৃতির আবহাওয়ার উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে যে তাপমাত্রা বিরাজ করছে তা কুমড়া চাষের একেবারেই অনুকূলে না। জমি লিজ, চাষাবাদ, কুমড়ার বীজের মূল্য, সার, কিটনাশক এবং সেচ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করার পরই তার পর ফলন্ত কুমড়া। এরপর রয়েছে বাজার দর। কোন কারণে এদিক সেদিক হলে সর্বনাশ হবে লিজ গ্রহীতাদের। গত বারের মত এবারো পথে বসতে হতেও পারে চাষিদের। তাই ঝুকিপূর্ণ কুমড়ার এ চাষে খুব হিসাব নিকাশ করে করতে হয় চাষিদের। আর ভাগ্য ভালো হলে তো লোকসানের পরিবর্তে লাভের মুখ দেখবে। কুমড়ার চাষটি সম্পূর্ণটায় প্রাকৃতিক নির্ভরশীল। লাভ যেমন আছে লোকশানের ঝুকিও অনেক বেশি। এদিকে লিজের সমুদয় টাকা কর্তৃপক্ষ পেয়েছে কি না তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। তবে টাকা পরিশোধ না পেয়ে চাষাবাদ এবং লোকশান হলে অনাদায়ি টাকা আদায় করা কর্তৃপক্ষের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য হবে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।

এ বিষয়ে কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন গতবারের তুলনায় এবার ৪৩ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪৫ টাকা নয়, তবে কম হয়েছে ১৫/১৬ লাখ টাকা। যা সময়ের পরিস্থিতির কারণেই লিজ দিতে হয়েছে আমাদের। যেহেতু দিন পেরিয়ে যাচ্ছিলো। বেশী সময় পেরিয়ে গেলো জমি লিজ দেয়াটা সম্ভবকর ছিলোনা।




মেহেরপুরে ল্যাব ও ক্লিনিক মালিক এসোসিয়েশনের নবগঠিত কমিটির মতবিনিময় সভা

মেহেরপুর জেলা ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক মালিক এসোসিয়েশনের নবগঠিত কমিটির ১ম মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় শহরের হাসপাতাল বাজারে মাইক্রোপ্যাথ ল্যাবে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, নবগঠিত কমিটির সভাপতি ডা: আব্দুস সালাম। বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা, সহ-সভাপতি (সদর) বিধান চন্দ্র নাথ, সহ-সাধারণ সম্পাদক (সদর) শাহিনুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক (গাংনী) হাফিজ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আবু আক্তার করণ, সহ-দপ্তর সম্পাদক রাশেদ আবু জাফর, অর্থ সম্পাদক শিমুল, সহ-অর্থ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ইমরান পারভেজ, প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান সাগর, লাইসেন্স বিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম।

সভায় বক্তারা সংগঠনের কার্যক্রম আরও বেগবান করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং জেলার স্বাস্থ্যসেবা খাতে স্বচ্ছতা ও গুণগতমান নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।




দামুড়হুদায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা

দামুড়হুদায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রস্ততি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১১ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের সভাকক্ষে এই প্রস্ততিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়!

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্রের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কে এইচ তাসফিকুর রহমান, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা লীলিমা আক্তার হ্যাপী, অতিরিক্ত কৃর্ষি কর্মকর্তা অভিজিৎ কুমার বিশ্বাস, পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন্স হিমেল রানা, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা জামাতের আমীর নায়েব আলী, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, জেলা যুব দলের সহ-সভাপতি আনিসুজ্জামান বিশ্বাস, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজোহা পলাশ, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল বাবুসহ উপজেলার বিভিন্ন ঈদগা কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ।

প্রস্তুতি সভায় বক্তারা এলাকা ভিত্তিক উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা, একই এলাকায় ছোট ছোট নামাজের জামাত না করে বড় আকারের জামাতের ব্যবস্থা করে নামাজ আদায় করা, সুস্থ ও সবল পশু কোরবানির জন্য নির্বাচন করা।

চামড়া সিন্ডিকেট বন্ধ করে সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া ক্রয়ে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা করা, যথাযথভাবে পশুর চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা, কোরবানির পশু হাটে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা,হাটে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, সীমানান্তে অবৈধ কোরবানি পশুর অনুপ্রেবশে বন্ধে বিজিবি টহল বাড়ানো।

পরিবেশ সম্মতভাবে কোরবানির পশু জবাই করে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা। ঈদুল আযহা উপলক্ষে পাড়া মহল্লায় পটকা ফোটানো, উচ্চস্বরে গান বাজনা না করা, আঞ্চলিক সড়ক গুলোতে ফিটনেস লাইসেন্সবিহীন যানবাহন ও দ্রুত গতি সম্পন্ন মোটরসাইকেল চালানো থেকে বিরত থাকাসহ আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহার উৎসব চলাকালীন সময় পর্যন্ত সার্বিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখার উপর গুরুত্বরোপ করে আলোচনা করা হয়।




কোটচাঁদপুরে প্রবল স্রোতে ভেঙে পড়েছে বাঁশের সাঁকো

বৃষ্টির পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে পড়েছে কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার গ্রামের বাজার ঘাটে চিত্রা নদীর উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো। এতে নদীর দুই পাড়ের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এখন পারাপারের কোনো উপায় না থাকায় এলাকাবাসী স্থায়ী সমাধান চেয়েছেন।

জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর ও কোটচাঁদপুর উপজেলার অন্তত সাতটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের প্রধান ভরসা ছিল এই বাঁশের সাঁকোটি। ২০০৭ সালের দিকে গোপালপুর, হাজিডাঙ্গা, সুতি, মধুহাটি (ঝিনাইদহ সদর) এবং তালসার, ঘাগা, কুশনা (কোটচাঁদপুর) গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছাশ্রম ও আর্থিক সহায়তায় সাঁকোটি নির্মাণ করেন।

সাঁকোটি ভেঙে পড়ায় প্রায় ১০ হাজার মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। বিশেষ করে অর্ধশতাধিক স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কৃষকরাও তাদের উৎপাদিত পণ্য তালসার বাজারে নিয়ে আসতে পারছেন না, ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

চিত্রা নদীর অপর পাড়ের সুতী গ্রামের বাসিন্দা স্বপন পুন্ডুরি বলেন, “আমাদের এপার থেকে শিক্ষার্থীরা সাঁকো পার হয়ে ওপারের স্কুল-কলেজে যায়। কৃষকরাও পণ্য নিয়ে যান। গত এক সপ্তাহ ধরে আমরা চরম ভোগান্তিতে আছি। প্রতি বছরই এ সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এর একটি স্থায়ী সমাধান জরুরি।”

তালসার গ্রামের মুদি দোকানি আসাদুল ইসলাম জানান, “টানা বৃষ্টিতে গত এক সপ্তাহ ধরে সাঁকোতে ওঠার রাস্তা ডুবে গেছে। সাঁকোটি জেগে থাকলেও রাস্তাটি ডুবে থাকায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না, কৃষকরাও বাজারে আসতে পারছে না।”

তিনি আরও বলেন, “সাঁকোটি আগেও কয়েকবার ভেঙে পড়েছে। তখন দুই পাড়ের মানুষ মিলে তা মেরামত করেছে। কিন্তু প্রতিবছর একই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এখনই একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।”

স্থানীয় বাসিন্দা আকিমুল ইসলাম সাজু বলেন, “গত বছরও প্রবল স্রোতে সাঁকোটি ভেঙে পড়েছিল। মাসখানেক পড়ে থেকেছিল। দুই পাড়ের জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধরনা দিয়েও কাজ হয়নি। শেষমেশ এলাকাবাসীর সহায়তায় তা মেরামত করা হয়। এবারও স্থায়ী সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।”

এ বিষয়ে কুশনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুজ্জামান সবুজ বলেন, “বৃষ্টির সময় এলেই সাঁকোটি ভেঙে পড়ে। এটা চিত্রা নদীপাড়ের মানুষের প্রতি বছরের সমস্যা। বিষয়টি নিয়ে আমরা আগেও একাধিকবার আলোচনা করেছি, কিন্তু কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবার আবারও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবো, যাতে স্থায়ী সমাধান হয়।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী আনিসুল ইসলামের সঙ্গে এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।




কোটচাঁদপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন কোটচাঁদপুরের কলেজ ছাত্র রিয়াল হোসেন (২০) ও এনজিও কর্মী মামুন হোসেন (৩৫)। শনিবার সকালে যশোর সড়কের চুরামনকাঠি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে কলেজ ছাত্র রিয়াল হোসেন মারা যান এবং এনজিও কর্মী মামুন হোসেন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উভয়ের বাড়ি কোটচাঁদপুর পৌরসভার কাশিপুর গ্রামে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রিয়াল হোসেন কাশিপুর গ্রামের ঈমান উদ্দিনের একমাত্র ছেলে। তিনি যশোর এম.এম কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মামুন হোসেন ওই গ্রামের শামসুল মণ্ডলের ছেলে এবং যশোরে শিশু ফাউন্ডেশনে চাকরি করেন। সম্পর্কে তারা শ্যালক ও বোনাই।

শনিবার সকালে দুইজন মিলে মোটরসাইকেলে করে যশোর যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চুরামনকাঠি এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে মামুনকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং রিয়ালকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

খুলনা নেওয়ার পথে রিয়াল মারা গেলে তাকে কোটচাঁদপুরে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। অপরদিকে মামুন যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রিয়াল ছিলেন পরিবারের একমাত্র পুত্রসন্তান। তার আরও দুটি বোন রয়েছে। ছেলের মৃত্যুর খবরে বাবা-মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সহপাঠী, স্বজন ও প্রতিবেশীরা শোক প্রকাশ করতে কাশিপুর গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসেন।

কোটচাঁদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ কোটচাঁদপুর হাসপাতালে যায় এবং মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে




মেহেরপুরের বারাদীতে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন

মেহেরপুরের বারাদী ইউনিয়নে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপির সদস্য ওমর ফারুক লিটনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন।

জাতীয় সংগীতের তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, দলীয় সংগীত পরিবেশন, শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো এবং পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আফারুল ইসলাম ডাবলু ও সেলিম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কামরুজ্জামান মুকুল ও আবু হাসনাত সানি। পরে সভাপতি পদ থেকে সেলিম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে আবু হাসনাত সানি তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আফারুল ইসলাম ডাবলু সভাপতি ও কামরুজ্জামান মুকুল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, “নতুনভাবে দেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। মেহেরপুর জেলা বিএনপিকে নিয়েও ষড়যন্ত্র চলছে। মেহেরপুর জেলা বিএনপি মনে করে, গতকাল (আমঝুপিতে) হামলা ঐ ষড়যন্ত্রেরই অংশ। আপনারা বিএনপিকে দুর্বল করতে চান, কিন্তু আপনাদের অভিলাষ বাংলাদেশের মাটিতে আর পূরণ হবে না।”

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির  সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম, সদস্য হাফিজুর রহমান হাফি, সাবেক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রোমানা আহমেদ প্রমুখ। এ সময় বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে ছাত্রশিবিরের কুরআন পাঠ প্রতিযোগিতা

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঝিনাইদহ শাখার উদ্যোগে কুরআন পাঠ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৪ মে) সকালে শহরের হামদহ বাইপাস এলাকায় জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে সংগঠনটির জেলা শাখার আয়োজনে আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

শিবিরের জেলা শাখার সভাপতি মো. আরিফ হোসেনের সভাপতিত্বে, সেক্রেটারি মো. ওবাইদুর রহমান খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় স্পোর্টস সম্পাদক এস. এম. ইঞ্জিনিয়ার তানভীর উদ্দিন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ শহর শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান রাজু। এছাড়াও ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা শেষে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রথম ৩০ জন বিজয়ীকে নগদ অর্থ ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পাশাপাশি বাছাইকৃত আরও ৭০ জনসহ মোট ১০০ জন অংশগ্রহণকারীকে উপহার হিসেবে পবিত্র কুরআন শরীফ প্রদান করা হয়। ১১ মে পবিত্র কুরআন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় অনলাইনের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

আয়োজকরা জানান, নতুন প্রজন্মের মাঝে কুরআন চর্চার ধারা বজায় রাখা এবং তাদের হৃদয়ে আল-কুরআনের শিক্ষাকে জাগ্রত করতেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা কুরআনের আলোকে সুন্দর চরিত্র গঠনের আহ্বান জানান।




ঝিনাইদহে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা

টেইসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসারে ঝিনাইদহে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৪ মে) দিনব্যাপী সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করে হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ৬ষ্ট পর্যায় প্রকল্প।

সকালে কর্মশালার উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্না বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ৬ষ্ট পর্যায়ের ঝিনাইদহের প্রকল্প সহকারী পরিচালক মৌসুমি সুলতানা।

সেসময় বক্তারা বলেন, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তি, নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রতকরণ ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষার মূলধারায় যুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে এমন প্রকল্পসমূহ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রান্তিক অঞ্চলে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম একটি কার্যকর মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রকল্প শিক্ষক, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় প্রকল্পের বর্তমান কার্যক্রম, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।