মুস্তাফিজুর রহমানের তুহিনের পিপি নিয়োগ বাতিল

মেহেরপুরের নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিনকে নিয়োগ লাভের ১৪ দিন পর নিয়োগ বাতিল করলো  আইন ,বিচার ও সংসদ বিষয়ক্র মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বিভাগ।

গতকাল ২ ডিসেম্বর আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসলিসিটর(জিপি—পিপি) সানা মো: মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নিয়োগ বাতিল করা হয়।

আদেশে বলা হয়, মেহেরপুর জেলার নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে নিয়োগ প্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুস্তাফিজুর রহমান তুহিনের বিরুদ্ধে জিআর ৪৯২/২০২২(মেহেরপুর) মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪১৭/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ধারাসহ তৎসহ ২০১২ সালের পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১)/৮(২)/৮(৩)/৮(৪) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে। এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে তিনি জামিন আছেন। রাষ্ট্রের স্বার্থ সমুন্নত রাখাসহ বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা বজায় রাখার জন্য এ ধরণের স্পর্শকাতর মামলার আসামিকে পাবলিক প্রসিকিউটরের মত গুরত্বপূর্ণ পদে বহাল রাখা সমীচীন না হওয়ায় তাঁর নিয়োগ বাতিলপূর্বক তাঁকে পাবলিক প্রসিকিউটর পদ হতে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

উল্লেখ্য, মুস্তাফিজুর রহমানকে পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে মেহেরপুর ছাত্র—জনতা ব্যনারে আন্দোলন, মানববন্ধন, জজ কোর্ট ঘেরাও কর্মসূচী করা হয়েছিলো। সবশেষ ২৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসককে ছাত্র—জনতা ১০দিনের আল্টিমেটাম দেয়।




গাংনীতে সহকর্মীদের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় টিআই ফরিদার বিদায়

সহকর্মীদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও চোখের জলে কর্মস্থল থেকে শেষ বিদায় নিলেন গাংনী উপজেলা সমজাসেবা কার্যালয়ের টিআই ফরিদা ইয়াসমিন।

এসময় তাকে ক্রেষ্ট ও ফুল ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটান দীর্ঘদিনের সহকর্মী অফিসের সদস্যরা। দীর্ঘদিনের কর্মস্থল ত্যাগ করার সময় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন টিআই ফরিদা ইয়াসমীন। এসময় সহকর্মী ও অফিসের সদস্যের চোখে পানি চলে আসে।

একাগ্রতা, নিষ্ঠা ও সততা দিয়ে কর্মস্থলকে করেছিলেন আপন। ৩২ বছর ২ মাস সেবা দিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সহকর্মীদের কাছে আপনজন আর সেবা গ্রহীতাদের পরম বন্ধু। ভালবাসা আর চোখের জলেই তাকে বিদায় দিয়ে বর্ণনা করেন কর্মময় জীবনের নানা স্মৃতিময় অধ্যয়।

কর্মময় জীবনের শেষ অফিস ছিল গত শনিবার। চাকুরী জীবনের শেষ দিনে তার বিদায়কে কেন্দ্র করে সকাল ১০ টার সময় উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে সহকর্মীরা আয়োজন করেন অবসরজনিত বিদায়ী সংবর্ধনা। সেখানেই তৈরী হয় এক আবেগঘন পরিবেশ।

গাংনী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আরশাদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আসাদুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারি পরিচালক কাজী কাদের মোঃ ফজলে রাব্বি এবং সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামসুল আলম সোনা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা রেজিস্ট্রেশন অফিসার কাজী মুনছুর আলী। অনুষ্ঠানে জেলার সকল সমাজসেবা কার্যালয় ও সরকারি শিশু পরিবারের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

গাংনী উপজেলা সমজাসেবা কার্যালয়ের টিআই ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি গাংনী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুল আলম সোনার সহধর্মীনি। দীর্ঘ ৩২ বছর ২ মাস তিনি সমাজসেবা অধিদপ্তরে চাকুরী করেছেন। কর্মজীবনে পিছিয়ে পড়া মানুষ চিহ্নিত করে ভাতা ও ঋণ বিতরণ এবং আদায় কার্যক্রমে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তার আচার-ব্যবহার আর যথাযথ দায়িত্ব পালনে সহকর্মী আর উপকারভোগীদের কাছে প্রিয় পাত্র হয়েছিলেন। ফলে তার বিদায় অনুষ্ঠান ছিল এক বিষাদময়।
কর্মস্থলের সততা ও নিষ্ঠার জন্য এই সফল নারীকে সহকর্মীদের পক্ষ থেকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় ক্রেস্ট ও ফুলের তোড়া।




মেহেরপুরে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষকদের বাজিমাত

মেহেরপুরে আগাম জাতের গ্রীষ্মকালীন নাসিক জাতের পেঁয়াজ চাষে সফলতা পেয়েছেন কৃষক। এবছর জেলাজুড়ে দুই হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। পেঁয়াজের জমিতে সাথি ফসল হিসেবে মুলা ও পালংশাক আবাদ করে অল্প খরচে বেশি লাভ করছেন।

নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করায় ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা কম দামে ক্রতারা পেঁয়াজ কিনতে পারছেন।

কৃষকরা বলছেন ভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হলে এবং ন্যায্য দাম পেলে লাভবান হবেন তারা। আর কৃষি বিভাগ বলছেন, গ্রীষ্মকালীন আগাম জাতের পেঁযাজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। খুব শিঘ্রই নতুন পেঁয়াজে দাম সাশ্রয় হবে। মেহেরপুর একটি সীমান্তবর্তী জেলা মেহেরপুরের মাঠ জুড়ে গ্রীষ্মকালীন নাসিক-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। এযেন সবুজের সমারোহ। গেল বছর পেঁয়াজের ভালদাম পেয়ে এবছরে আগাম জাতের গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ আবাদ করেন অধিকাংশ কৃষক। সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে পেঁয়াজ চারা রোপন করে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বাজারে উঠতে শুরু করেছে। প্রতিবিঘা জমিতে ৬০ থেকে ৬৫ মন পেঁয়াজ হবে বলে আশা কৃষকদের। বর্তমান বাজারমুল্য পেলে খরচের তিনগুণ টাকা লাভ হবে এমন প্রত্যাশা কৃষকদের।

জেলা কৃষি অফিসের ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা আশরাফুন্নেসা জানান, মেহেরপুর জেলার তিনটি উপজেলা বিভিন্ন মাঠে এবছর নাসিক ৫৩ জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে। উক্ত জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন হবে প্রায় ৪৮ হাজার ২০০ টন । এক কাঠা জমিতে সাড়ে তিন থেকে ৪ মন পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ার আশা চাষিদের। যা জেলার চাহিদার প্রায় তিনগুন। জেলার মানুষের চাহিদা পুরুন করে বাকি পেঁয়াজ যাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বৃহত্তম জেলায়।

কৃষকদের পেঁয়াজের চাষে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা করছে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন।

গাংনীর জুগিন্দা গ্রামের পেঁয়াজ চাষি সাহারুল ইসলাম, ফয়েজ উদদীন, আব্দুল কাদের বলেন, আমরা এর আগে কখনও গ্রীষ্মকালীন নাসিক- ৫৩ জাতের পেঁয়াজের আবাদ করিনি। স্থানীয় পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির কৃষি অফিসারের পরামর্শ পেয়ে এবছর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ করতে বিনামূল্যে সার,বীজ,জমি প্রস্ততকরনের জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেছিলেন। পেঁয়াজ অনেক ভাল হয়েছে। ফলনও ভাল হচ্ছে। বাজারে নতুন পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জমি থেকে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা কেজি।

আমাদের জেলায় কমবেশি বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ আবাদ হয়। গেলবছর দুএকজন কৃষক গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ করে লাভবান হয়। এবছর পেঁয়াজের আবাদে ঝুকেছেন অনেক কৃষক। একই সাথে পেঁয়াজের জমিতে সাথি ফসল হিসেবে মুলা ও পালং শাক আবাদ করেছেন চাষিরা।

মুজিবনগর গ্রামের কৃষক আক্কাস আলি ও মুক্তার মুনসি বলেন, এক বিঘা জমিতে দুই কেজি পেঁয়াজের বীজ বপন করতে হয়। প্রতি কেজি পেঁয়াজের বীজের দাম ২ হাজার টাকা। আমাদের পেঁয়াজের বীজ,সারসহ বিভিন্ন উপকরণ বিনামূল্যে প্রদান করে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে পরিচালিত পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি। পেঁয়াজের সাথে সাথি ফসল হিসেবে মুলা ও পালংশাকের বীজ বপন করেছিলাম। দুই সপ্তাহ পর মুলা ও পালংশাক বিক্রি করে ভাল টাকা আয় হয়েছে।

সদর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের কৃষক আব্দুল আলীম বলেন,গেল বছর দশ কাঠা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করে ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। এবছর দেড় বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ করেছি। একই জমিতে লালশাকের বীজ বুনে ছিলাম। লালশাক আগে বিক্রি করেছি। এখন পেঁয়াজ বিক্রি করছি। দাম ভাল পাচ্ছি। বিক্রি শেষে খরচের দেড়গুণ টাকা লাভের আশা আছে।

পিএসকেএস এর কৃষি কর্মকর্তা জুয়েল বিশ্নাস বলেন, সমন্বিত কৃষি ইউনিটের কৃষি খাতের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পিকেএসএফ এর অর্থায়নে অনেক কৃষকদের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করতে প্রদর্শনী দেয়া হয়। পেঁয়াজের আবাদ অনেক ভাল হয়েছে।

গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: ইমরান হোসেন বলেন, মেহেরপুর জেলার মাটিতে সব ধরনের আবাদ হয়। জেলার আবহাওয়া সব আবাদের উপযোগী। পেঁয়াজের আবাদের জন্য জেলার খ্যাতি রয়েছে। গ্রীষ্মকালীন নাসিক- ৫৩ জাতের পেঁয়াজ এবছে অনেক ভাল হয়েছে। বাজার নতুন এই পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় পেঁয়াজের দাম এখন ক্রেতাদের নাগালে। আমরা সব কৃষকদের সহযোগীতা অব্যাহত রেখেছি, পাশাপাশি স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা পিএসকেএস কৃষকদের চাষাবাদে নানা ধরনের সহযোগীতা করে কৃষিকে আরও সমৃদ্ধ করছে।




দর্শনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ফেনসিডিল ও মদসহ আটক ২

দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার বিভিন্ন জায়গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩৬ বোতল ফেনসিডিল ও ৮৩ বোতল মদসহ দর্শনা হঠাৎ পাড়ার আব্দুল মালেকের ছেলে জুবায়ের (৩০)ও দর্শনা আনোয়ারপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে শিপন ইসলাম (২১)কে আটক করেছে।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে চুয়াডাঙ্গার পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খানের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় ১২ জন স্টাফ, ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের লেফটেন্যান্ট আবিদ আহমেদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ১৬ জন সদস্য সহ দর্শনা থানাধীন দর্শনা হঠাৎ পাড়া এলাকায় যৌথ অভিযান করে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জুবায়ের ও শিপন ইসলামকে ভারতীয় ৩৬ বোতল ফেনসিডিল ও ৮৩ বোতল ভারতীয় ব্লাক হান্টসহ তাদের বাড়ি থেকে আটক করা হয়।

আসামীদের বিরুদ্ধে পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খান বাদী হয়ে দর্শনা থানায় একটি মাদক আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করেছে। গতকালই তাদেরকে দুজনকে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে সোপর্দ করেছে।




দর্শনায় আন্তঃনগর চিত্রা ডাউন সুন্দরবন আপ ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবীতে মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা হল্ট ষ্টেশনের চিত্রা ডাউন সুন্দরবন আপ ট্রেনের যাত্রাবিরতি দর্শনা পুরাতন আন্তজার্তিক আন্তঃ নগর ২ টি সাবেক লোকাল ট্রেনের বরাদ্দ এবং খুলনা-দর্শনা ডাবল লাইন স্থাপনা সহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ১১টায় দর্শনা আন্তজার্তিক রেল ষ্টেশন চত্তরে দর্শনার জন্য আমরা ও দর্শনা প্রেসক্লাবের আয়োজনে এই মানববন্ধনে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ২১ দিনের আল্টিমেট একটি ঘোষণা করে। দাবী না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দর্শনার জন্য আমরা সংগঠনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল ইসলাম বাবু।

বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা চলাকালীন দক্ষিন পশ্চিমা অঞ্চলের রনাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠক এ্যাডভোকেট কমরেড মোঃ শহিদুল ইসলাম, দর্শনা সরকারী কলেজের সাবেক উপধাক্ষ মোঃ মোশারফ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মজনুর রহমান, দর্শনা জামায়েতের পৌর আমির সাহিকুল আলম অপু, দর্শনা গন উন্নয়ন গ্রন্থগারের পরিচালক কবি সাহিত্যিক মোঃ আবু সুফিয়ান, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক, ওসমান আলী, দর্শনা পৌর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম ওমিও, দর্শনা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জেলা কমিটির যুগ্ন আহবায়ক তানভীর আহম্মেদ অনিক, দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা ইমরুল কায়েস, সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেন দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুল।




দর্শনা কেরুজ ট্রেনিং কমপ্লেক্সে আখের ফলন বৃদ্ধির লক্ষে আখচাষী সমাবেশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরুজ ট্রেনিং কমপ্লেক্সে আখের ফলন বৃদ্ধি ও উন্নত কৃষিতাত্বিকের লক্ষে আখচাষী প্রশিক্ষণ ২০২৪ অনুষ্টিত হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ১১ টার দিকে কৃষি বিভাগের আয়োজনে কেরুজ ট্রেনিং কমপ্লেক্সে আখ চাষিদের নিয়ে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্টিত হয়।

এ আখচাষী প্রশিক্ষণে কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর মহাব্যাবস্থাপক কৃষি আশরাফুল আলম ভৃইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফসিএমএ রাব্বিক হাসান।

এ সময় আখচাষীদের উদ্দ্যশে তিনি বলেন, আপনারা আখ চাষ করবেন ভালো জাতের বীজ লাগাবেন। আপনারা মাথায় রাখবেন একর প্রতি কেমন ফলন আসবে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তাহলে বুঝতে পারবেন আপনারা আখচাষে লাভবান হচ্ছেন কিনা। আপনারা এ মিলটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে আপনাদের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। তাই আপনারা হাত বাড়িয়ে দিলে আপনাদের কথা চিন্তা করে আমারা আরেক দফা আখের মৃল্য বৃদ্ধি করা যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করবো। আপনারা এ মিলটির পাশে থাকলে আগামীতে মিলটি আরও বেশিদিন চলবে। তাই আপনারা কিভাবে লাভবান হবেন সেদিকে খেয়াল রাখব সবসময়। পরিশেষে তিনি বলেন আপনারা মিলে যে আখ দিবেন অব্যশই পরিস্কার পরিছন্ন আখ দেবেন। এতে করে আপনাদের মিলটি ভালো চলবে। আপনাদের ভোগান্তি কম হবে এবং মিলটি ব্রেক ডাউন কম হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিজিএম সম্প্রসারণ মাহাবুবুর রহমান,কৃষিবিদ দেলোয়ার হোসেন,পৃর্ব সাবজোনের প্রধান মাহফুজ আলম রতন,পশ্চিম সাবজনের মোস্তাহিদুল ইসলাম, আখচাষীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শামীম আল হাসান, ফরিদ উদ্দীন, নিজাম উদ্দীন, মহাসীন আলী, ইন্তাদুল হক প্রমুখ।




মেহেরপুরে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

অতি মুনাফালোভী দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের কারণে পেঁয়াজ ও আলুর দর বৃদ্ধি এবং আইনে নিষিদ্ধ খোলা ভোজ্য তেল বিক্রির প্রতিবাদে মেহেরপুরে মানববন্ধন করেছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

আজ সোমবার দুপুরে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এই মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ক্যাব মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি রফিকুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক মানিক সহ ক্যাব নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্যাব সদস্য ও মেহেরপুর প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেন ইয়ামিন মুক্ত, ক্যাব গাংনী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম, প্রভাষক রফিকুল আলম বকুল ও ক্যাব সদস্য প্রদীপ ও দিলারা জাহান প্রমুখ।

পেঁয়াজ ও আলু এবং ভোজ্য তেল এর বিষয়ে ভোক্তা অধিকার রক্ষা করার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়। প্রতিবাদী এই কর্মসূচিতে ক্যাব সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।




কুষ্টিয়ায় ইটভাটা মালিকদের ৬ লাখ টাকা জরিমানা

কুষ্টিয়ার মিরপুরে চারটি ইটভাটা মালিককে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় একটি ইটভাটায় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলার মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের চারুলিয়া ও বারুইপাড়া ইউনিয়নের আমকাঠালিয়া ও বলিদাপাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের আমকাঠালিয়া এলাকার এমজেবি ব্রিকসের মালিক মাহবুব আলমকে দেড় লাখ টাকা, একেবি ব্রিকসের মালিক এনামুল হক কে দেড় লাখ টাকা, বলিদাপাড়া এলাকার এবি ব্রিকসের মালিক শাহীন আলীকে দেড় লাখ টাকা এবং এমআরবি ব্রিকসের মালিক শরিফুল ইসলাম মুকুলকে দেড় লাখ টাকা করে মোট ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের চারুলিয়া এলাকার, এএরএম ব্রিকসের ড্রাম চিমনি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট ও (ভারপ্রাপ্ত) উপ-পরিচালক হাবিবুল বাসার জানান, ‘ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ (সংশোধনী ২০১৮) অনুযায়ী ৪ ভাটা মালিককে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। এছাড়াও ১টি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, জেলায় ১৭০টি ইটভাটা রয়েছে। যার মধ্যে ১৫ ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে। অবৈধ এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান চলমান রাখা হবে।




দামুড়হুদায় তাড়ি বাগানের ছড়াছড়ি: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা এলাকাবাসীর

দামুড়হুদায় তাড়ি বাগানের ছড়াছড়ি ফলে এলাকায় মাতালের উৎপাত বেড়েছে। এতে এলাকায় সামাজিক পরিবেশের পাশাপাশি মাঠের ফসলের ক্ষতি সাধন হচ্ছে। মাতালরা তাড়ি খেয়ে ভুট্টা সহ নানান ফসল নষ্ট করছে। শুধু তাইনা নেশার টাকা জোগাড় করতে করছে চুরি ছিনতাই। ফলে এলাকায় আশঙ্কা জনক হারে বেড়েছে চুরি। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের লোকনাথপুর মাঠ, কাদিপুর মাঠ, দুধপাতিলার মাঠ, বাস্তপুর মাঠ, জয়রামপুর মাঠ সহ একাধিক মাঠের বেশ কয়েকটি স্পটে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে নেশাদ্রব্য তাড়ি। যা খেয়ে বিগড়ে যাচ্ছে তাড়ি খোররা। তাড়ি খাওয়ার এমনই নেশা একদিন না খেলে মাথায় কাজ করেনা খাদকদের। ফলে সকাল সন্ধ্যায় তাড়ি খোররা ভিড় জমায় তাড়ি বাগানে। নেশার টাকা জোগাড় করতে করছে চুরি ছিনতাই এর মতো জঘন্যতম কাজ।

শীতের সময় খেজুরের বাগানে তৈরি হয় তারি। বাগানে তাড়ি খেতে গিয়ে মানুষ মাতাল হয়ে আসার সময় মাঠের ফসল নষ্ট করছে। এমনভাবে নষ্ট করছে যে চারা গাছটি মরে যাচ্ছে। মাতাল অবস্থায় তারা কি করছে তার কোন বোধগম্য থাকে না। ফলে নষ্ট হচ্ছে বিস্তীর্ণ কৃষি খেত। কৃষকের ঘাম ঝরানো ফসল যদি এভাবে নষ্ট করে তাহলে তা খুবই দুঃখজনক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, তাড়ি খেয়ে মাতাল হয়ে ফসলের ক্ষতি করছে। তাড়ির মধ্যে এমন কিছু মেশানো হচ্ছে, যে তাড়ি খায় সেই মাতাল হয়ে বিগড়ে যাই। মাতালরা বাড়িতে গিয়ে উল্টা পাল্টা করে সংসারে ঝামেলা বাঁধায়, অশান্তির সৃষ্টি করছে। পরিবারের লোকজনকে মারধর করেছে, প্রতিবেশীর সাথে বিবাদে লিপ্ত হচ্ছে। তাড়ি খেয়ে স্ত্রী’কে বেদম প্রহারের ফলে থানায় অভিযোগ হতেও দেখা গেছে। খেজুরের সময় গাছিরা খেজুরের রস দিয়ে গুড় তৈরী করবে, কিন্তু তা না করে কতিপয় গাছিরা খেজুরের তাড়ি তৈরী করে সমাজকে কলুষিত করছে। এর থেকে পরিত্রাণে স্থানীয় এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।




ঝিনাইদহে পণ্যের মুল্য নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ক মতবিনিময় সভা

ঝিনাইদহে নিত্যপণ্যের মুল্য নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সোমবার সকালে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ক্যাব সভাপতি আমিনুর রহমান টুকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল।

বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বকুল চন্দ্র কবিরাজ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্টি চন্দ্র রায়, ক্যাব সদস্য এন এম শাহজালাল, সনাক সভাপতি সাইফুল মাবুদ, ক্যাব সদস্য হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, শিক্ষক আব্দুস সালাম, ক্যাব’র সমন্বয়কারী শরিফা খাতুন। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা, মাঠ থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত সবজি পৌছাতে দাম বৃদ্ধির পেছনে নানা চক্র ও সিন্ডিকেটের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রনে তদারকি বৃদ্ধির পরামর্শ দেন। এরই প্রেক্ষিতে সাধারন ভোক্তাদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে সে বিষয়ে বাজার নিয়ন্ত্রনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ^াস দেয় প্রশাসন।