মারা গেছেন সোনাজয়ী শ্যুটার সাদিয়া

পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন সোনাজয়ী শ্যুটার সাদিয়া সুলতানা। আজ চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অসুস্থ সাদিয়া বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার পর তাকে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

এর আগে ২০১৭ সালে আগুনে পুড়ে দীর্ঘদিন অসুস্থও ছিলেন তিনি।

শুটিংয়ে দারুণ এক প্রতিভা ছিলেন সাদিয়া। বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের নামও উজ্জ্বল করেছেন তিনি। ২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমসে ১০ মিটার রাইফেলে দলগত ইভেন্ট স্বর্ণ জেতেন তিনি।

তবে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ গেমসের পর থেকে তাকে আর দেখা যায়নি।

সূত্র: কালের কণ্ঠ




শৈলকুপায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী নিহত

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ছবেদ আলী (৭০) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছে।

আজ সোমবার (২ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ভান্ডারিপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ছবেদ আলী উপজেলার ভান্ডারীপাড়া গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, বৃদ্ধ ছবেদ আলী বাড়ির পাশের স্কুলে নাতিকে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বাড়ির সামনে পৌঁছালে ওই সড়কে চলা একটি দ্রুত গতির মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দিলে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।




মেহেরপুরে মাওলানা সাদ কান্ধলভী পন্থী তাবলীগের পথযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান

দুই দফা দাবিতে মেহেরপুরে মাওলানা সাদ কান্ধলভী পন্থী তাবলীগ জামাতের পথযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে। আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।

মেহেরপুর জেলা তাবলীগ জামাতের আমির ডা: আব্দুল বাকীর নেতৃত্ব হাজারো সমর্থকেরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পথযাত্রা শেষে সমবেত হয়।

স্মারকলিপিতে তাদের দাবি, কোনরূপ যৌক্তিক কারণ ছাড়াই দাওয়াত ও তাবলীগের বিশ্ব আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভী বাংলাদেশে আসতে পারছেন না। বিগত ৭ বছর ধরে কুরআন ও হাদিসের আলোকে মূল্যবান বক্তব্য শুনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। অথচ তিনি পূর্বে বিশ্ব ইজতেমার প্রধান বক্তা ছিলেন এবং আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করতেন। তিনি বাধাহীনভাবে সারাবিশ্বে তাবলীগের কাজে সফর করে চলেছেন। তাই এ বছর যাতে তাদের বিশ্ব আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভী বাংলাদেশে আসতে পারেন সেজন্য জোর দাবি জানান তারা।

অপরদিকে বিগত ৭ বছর ধরে মাওলানা জুবায়েরপন্থীগণ তাদের মূলধারার সাথীদের মসজিদে দাওয়াতের কাজ বন্ধ করার জন্য বিভিন্নভাবে কুৎসা রটনা ও অপপ্রচার করেন। যা ইসলামি শরিয়ত, বাংলাদেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠুভাবে বজায় রাখার স্বার্থে দেশের সকল মসজিদে বাধাহীনভাবে তাবলীগের কাজ পরিচালিত হওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট আদেশ জারির জন্যও দাবি করেন মেহেরপুরের মাওলানা সাদ কান্ধলভী পন্থী তাবলীগ জামাতের নেতা-কর্মীরা।




মেহেরপুরে বাংলাদেশ এনজিও ফাউণ্ডেশন দিবস পালিত

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ এনজিও ফাউণ্ডেশন (বিএনএফ)-এর সহযোগী সংস্থাসশূহের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায বাংলাদেশ এনজিও ফাউণ্ডেশন দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে।

আজ সোমবার (০২ ডিসেম্বর) দিবসটি উদ্যাপন উপলেক্ষে এক আলোচনা সভা জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মেহেরপুরে অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর জেলা এনজিও সমিতির সভাপতি মুহঃ মোশাররফ হোসেনের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরিকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের উপপরিচালক এ জে এম সিরাজুম মূনির, ব্র্যাকের জেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম।

সন্ধানী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবু জাফরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলার বাংলাদেশ এনজিও ফাউণ্ডেশনের প্রতিনিধিত্বকারী সুবাহ্ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মঈন-উল-আলম।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মউকের উন্নয়ন কর্মী  মুরাদ হোসেন, পল্লি জনউন্নয়ন কল্যাণ সংস্থা নির্বাহী পরিচালক গোলাম কিবরিয়া, মোছাঃ মহিমা খাতুন, মোছাঃ ছামিয়ারা খাতুন, সুফিয়া খাতুন, হাসনাত আলী।

এর আগে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইলামিক ফাউণ্ডেশন প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।এসময় প্রধানগণ, কর্মকর্তা কর্মচারী, উপকারভোগী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ র‌্যালি ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করেন।




আকিজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড চাকরির সুযোগ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আকিজ গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান আকিজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড । প্রতিষ্ঠানটির ওরাকল ডিবিএ অ্যান্ড অ্যাপেক্স ডেভেলপার বিভাগ ম্যানেজার/ডেপুটি ম্যানেজার পদে নিয়োগ দেবে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে ।

প্রতিষ্ঠানের নাম: আকিজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড

পদের নাম: ম্যানেজার/ডেপুটি ম্যানেজার

পদসংখ্যা: ১টি

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি। ইআরপি সিস্টেম, আইটি, মাইক্রোসফট, লিনাক্স, ভার্চুয়ালাইজেশন বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে।

অভিজ্ঞতা: ১০ থেকে ১২ বছর

চাকরির ধরন: ফুলটাইম

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)

বয়সসীমা: উল্লেখ নেই

কর্মস্থল: ঢাকা (তেজগাঁও)

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

অন্যান্য সুবিধা: মোবাইল বিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, দুপুরের খাবারের সুবিধা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস, হাসপাতালে ভর্তি সুবিধা, এলএফএ।

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।

আবেদনের শেষ সময়: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

সূত্র: কালবেলা




মেহেরপুরে শহীদ আবু সাঈদ ক্লাবে দুর্বৃত্তদের হামলা-ভাঙচুর

মেহেরপুরে শহীদ আবু সাঈদ ক্লাবে দুর্বৃত্তরা হামলা-ভাঙচুর করেছে। গতকাল রবিবার (০১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে কাথুলি বাস স্ট্যান্ড সড়ক ৪ নম্বর ওয়ার্ড নতুন পাড়া অবস্থিত শহীদ আবু সাঈদ ক্লাবটি সরজমিন দেখা যায় চেয়ার, ব্যানার, ফেস্টুন সহ গেটে তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর করা হয়েছে ।

শহীদ আবু সাঈদ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজা সাংবাদিকদের জানান, শেখ হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পরে যে স্বাধীন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি তার বড় অবদান আবু সাঈদের তার নামকে স্মরণ করে আমরা এই ক্লাবটি দিয়েছি। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের সহ্য হচ্ছে না। তারা এই কাজটি করতে পারে বলে আমি ধারণা করছি এবং আমরা দ্রুত প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যারা এই নেককারজনক কাজটি করেছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আর প্রশাসন যদি কিছু না করতে পারে আমরা এর কঠোর আন্দোলন শুরু করবো।

উল্লেখ্য, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ ও পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস এ ক্লাবের উদ্বোধন করেন।




‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ ফাঁদে পড়ে প্রায় ২ লাখ টাকা হারালেন তরুণী

আতঙ্কের প্রতীক হয়ে উঠছে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’। থাইল্যান্ড, হংকং, লাওসের মতো একাধিক দেশের মাধ্যমে এই প্রতারণা ভারতে চলছে। গত ১০ মাসে এই প্রতারণার মাধ্যমে ২,১৪০ কোটি টাকা হারিয়েছেন ভারতের সাধারণ মানুষ।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবার সামনে এলো মুম্বাইয়ের এক ২৬ বছরের তরুণীর ঘটনা। অভিযোগে জানা গেছে, ভিডিও কলে তাকে জোর করে পোশাক খুলতে বাধ্য করে প্রতারক এবং তার থেকে প্রায় ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

পুলিশের এফআইআর অনুযায়ী, গত ১৯ নভেম্বর রাতে একটি ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থায় কাজ করা ওই তরুণী একটি ফোন কল পান। প্রতারক নিজেকে দিল্লির পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে জানান যে, ওই তরুণীর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নরেশ গোয়েলের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে তাকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখানো হয়।

প্রতারকের নির্দেশে তরুণীকে একটি হোটেল রুম বুক করতে বাধ্য করা হয় এবং সেখানে একটি ‘ভার্চুয়াল শুনানি’র নাটক তৈরি করা হয়। এরপর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যাচাইয়ের নামে তার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ২ লাখ টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়। পাশাপাশি ‘বডি ভেরিফিকেশন’-এর অজুহাতে ভিডিও কলে তাকে পোশাক খুলতে বাধ্য করা হয়।

গত ২৮ নভেম্বর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তকে শনাক্ত করার কাজ চলছে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ডিজিটাল অ্যারেস্টের মতো প্রতারণার বিষয়ে জনগণকে সতর্ক করেন। তিনি জানান, কোনও সরকারি তদন্তকারী সংস্থা অনলাইনে কাউকে ভয় দেখিয়ে বা হুমকি দিয়ে কাজ করে না। এ ধরনের ফোন পেলে দ্রুত ন্যাশনাল সাইবার হেল্পলাইনে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।

সূত্র: ইত্তেফাক




প্রকৌশলী লিওনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক মাহাবুব চান্দুর ক্ষতিপূরণ মামলা

মিথ্যা মামলা করে আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতি ও সাংবাদিকতায় বাঁধাগ্রস্থ করার কারণে মামলা থেকে অব্যহতি পেয়ে প্রকৌশলী তোহিদুল ইসলামের লিওনের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করলেন সাংবাদিক মাহাবুব চান্দু।

গত ২৭ নভেম্বর মেহেরপুরের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে তিনি এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৭ জানুয়ারি আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার সমন জারি করেছেন।

মাহাবুব চান্দু আইনজীবী নজরুল ইসলাম এসকল তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, মেহেরপুর প্রতিদির পত্রিকার অনুসন্ধানী সংবাদের খোজে ২০২৩ সালের ২৪ জুলায় দুপুর ১১টা ৫৩ মিনিট থেকে ১টা ১৬ মিনিট পর্যন্ত মেহেরপুর সরকারী মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে অনুসন্ধান মূলক সাংবাদিকতার কাজে নিয়োজিত থাকেন। বাদী তথ্যাদি সংগ্রহ করে তার অফিসে ফিরে আসেন এবং মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের মেডিকেল আফিসার ডাঃ রুমানা হেলালী এর বিরুদ্ধে গ্রহনকৃত সংবাদ ও তথ্যাদি মেহেরপুর প্রতিদিন সংবাদপত্রের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন কে অবহিত করেন। দুপুর অনুমান আড়াইটার দিকে ডাঃ রুমানা হেলালীর পিতা সাবেক মেয়র মুতাছিম বিল্লাহ মতু মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদককে মোবাইল ফোনে বাদী ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ভয়ভীতি ও মামলা করার হুমকি দেন।

তারপর ২৬ জুলা মোতিাছিম বিল্লাহ মতুর ছেলে মুত্তাকি বিল্লাহ শাফিন তাহার ফেসবুক আইডি আইডি দিয়ে মেহেরপুর সদর থানা বরাবর বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা চাদাবাজীর লিখিত অভিযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার করেন এবং কমেন্ট করেন যে “তুই যে ক্লিনিকে চাঁদা চাইতে এসে গনধোলাই এর ভয়ে তাড়া খেয়ে পালায় গেছিস সেটা বল, আসল সত্যতা মানুষ জানুক ” । সহ বিভিন্ন মান হানিকর মন্তব্য ও কমেন্ট করে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে ভাইরাল করে।

মোতাছিম বিল্লাহ মতু তার ফেসবুক আইডি দিয়ে অনিবন্ধিত অনলাইন পত্রিককা মেহেরপুর নিউজ.কম এর ফেসবুক পেজের মাধমে মাধ্যমে গত ইং ৩১/০৭/২০২৩ তারিখে লাইভে এসে বাদীকে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি লাইভ প্রোগ্রাম করে। মায়ের হাসি ক্লিনিকের ম্যানেজার সাইফুল বাহার স্বাধীন তার মায়ের হাসি ক্লিনিকের ম্যানেজার হিসাবে উক্ত ক্লিনিকের ফেসবুক আইডি দিয়ে মোত্তাকি বিল্লাহ শাফিন এর পোষ্টকৃত বাদীর মিথ্যা চাঁদা দাবির লিখিত অভিযোগ গত ইং ২৬/০৭/২০২৩ তারিখে প্রচার করে ভাইরাল করে। বিবাদী তৌহিদুল ইসলাম লিওন তাহার ফেসবুক আইডি থেকে মোত্তাকি বিল্লাহ শাফিন এর ফেসবুক পেজে কমেন্ট কওে বিবাদীর সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেন।

বিবাদী বাদীর বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য অপপ্রচার কওে থেমে না থেকে সাংবাদিকতার পেশাকে কলুষিত ও মানহানি করিবার জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে ও পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাদী ও বিবাদীর বাড়ী মেহেরপুরে হওয়া সত্বেও শুধুমাত্র হয়রানী করার উদ্দেশ্যে বাদীর বিরুদ্ধে ঢাকাতে মামলা দায়ের করেন। যাতে প্রায় এক বৎসরেরও অধীক সময় বাদী ঢাকাতে যাতায়াত ও মামলা পরিচালনায় আর্থিক, মানষিক ও শারিরীক ক্ষতির সম্মুখিন হন। বাদি আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সুসাংবাদিকতা যাতে কেউ আঘাত করতে না পারে সে কারণে আদালতের শরনাপন্ন হয়ে আসামি বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করেন।




অভিনেত্রীর রহস্যমৃত্যু, বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত মরদেহ

ভারতের বিনোদন জগতে ফের শোকের ছায়া। হায়দরাবাদে নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কন্নড় সিনেমা ও টেলিভিশন অভিনেত্রী শোভিতা শিবন্নার মরদেহ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৩০ বছর।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার ( ১ ডিসেম্বর) এ ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ জানায়, শোবিতা শিবন্না মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে এই মৃত্যুর ঘটনা আত্মহত্যা বলেই অনুমান করা হচ্ছে।

তবে কী কারণে এমন পথ বেছে নিলেন অভিনেত্রী তা এখনও জানা যায়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খরব অনুযায়ী, শোভিতার মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য গান্ধী হাসপাতালে পাঠানো হয়।

গাছিবাউলি থানার পুলিশ কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে অভিনেত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য গান্ধী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই অভিনেত্রীর আকস্মিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করা বয়েছে।

শোভিতাকে ‘ইরাডোন্ডলা মুরু’, ‘ওন্ধ কাথে হেলা’র মতো ছবিতে দেখা গেছে। এছাড়াও তিনি ‘গালিপাতা’, ‘মঙ্গলা গৌরী’, ‘কৃষ্ণা রুক্মিণী’র মতো ধারাবাহিকেও নিয়মিত অভিনয় করছিলেন। তার মৃত্যুর পিছনে অবসাদ না প্রেম ঘটিত কারণ? এখন এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে অভিনেত্রীর ভক্তদের।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে ফসল ও গাছ কেটে জমি দখলের অভিযোগ

জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানের পর খাল-বিল জমিসহ নানধরনের দখলদারিত্বের কবলে সাধারণ মানুষ। তারই ধারাবাহিকতায় মেহেরপুর সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ খসরু ইসলামকে হুমকি প্রদান, তার নিজ জমির গাছ-খড় ও ফসল কেটে জমি দখল করেছে কিছু দূর্বৃত্ত ভূমিদস্যু। এ বিষয়ে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সেনা কমান্ডার যৌথ বাহিনী মেহেরপুর ব্যাটেলিয়নে।

অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে ২৬ নম্বর মৌজায় ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত আমার ছয় ভাই বোনসহ অপর আরো কয়েকজনের তপশীলভুক্ত জমিতে প্রায় এক লক্ষ টাকার খড় এবং এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার বনজ গাছ কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এখন তারা আমাদের উক্ত জমিতে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার শারীরিক হুমকিও দিচ্ছে। গত ১৪-১১-২০২৪ তারিখে তারা নালিশী জমিতে জোর করে লাঙ্গল দিয়েছে। ইতিপূর্বে থানা পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অঙ্গীকার দিয়েছিল তারা আমাদের জমিতে কখনো যাবে না। আমাদের বাড়ি থেকে জমির দুরত্ব প্রায় বিশ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় আমাদেরকে অসহায় ও দুর্বল ভেবে জমিটা গ্রাস করার জন্য তারা উঠেপড়ে লেগেছে। জমির সাথে এই সমস্ত দখলদার দুর্বৃত্তদের কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই বা পূর্বেও ছিল না। তাদের সাথে কোন প্রকার মামলাও নেই। অথচ তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জোর পূর্বক জমি দখল করতে চাই। জমির তপশীল ও পরিমাণ উল্লেখ করেন – মৌজা ২৬ নং রামনগর, খতিয়ান নম্বর আরএস ১৭২,১৭৩,৩৫২,১২৮৩, দাগ নম্বর ২৯৫৬,৩২৭১,২৯৫৮,২৯৫৬,৩১৫৮ এবং জমির পরিমাণ যথাক্রমে ৪.৫৯ একর, ০.০৮ একর, ০.৩৬ একর, ০. ১৮ একর।

জমিগুলো আসামিদের কবল থেকে মুক্ত করে দিতে সেনা কমান্ডার বরাবর আবেদন করেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. খসরু ইসলাম।

জমির মালিক মো. হারেজ উদ্দিন পিতা মৃত হুজুর আলী সাং গাড়াডোব, থানা গাংনী, জেলা মেহেরপুর। জমির পরিমাণ ০৯.১৪ একর। হারেজ উদ্দিন ২০১৮ সলে মৃত্যুবরণ করলে ছেলে খসরু ইসলামসহ হারেজ উদ্দিনের ছয় সন্তান জমির উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক হন।

জমির কাগজপত্র ও দলিলাদি বিশ্লেষণ করে দেখা যায় – এটি ছিল মূলত বিনিময় সম্পত্তি। গাংনী থানার বামুন্দী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে মৃত আব্দুর রহমান এবং ওনার প্রতিপক্ষ মৃত আবু বকর কারিকর নিজেদের স্বত্ব দাবী করে আলাদা আলাদাভাবে তৎকালীন কুষ্টিয়ার ডিসি’র কাছে বিনিময় দলিল পেশ করেন। দুটি দলিল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডিসি সরজমিনে তদন্ত করে আবু বকর কারিকরের দলিল বাতিল করে দেন এবং আব্দুর রহমানের দলিল গ্রহণ করেন ও এর সত্যতার সার্টিফিকেট প্রদান করেন। ১৮,০৩,১৯৭৭ তারিখে জেলা প্রশাসক কর্তৃক বিনিময় নিশ্চিতকরণ ও সত্যতার সার্টিফিকেট প্রদান করেন। ০৮,০৪ ১৯৭৭ তারিখে কুষ্টিয়া ডিসি আব্দুর রহমানের অনুকুলে রেজিস্ট্রি দলিল করে দেন। দলিল নম্বর ৩৯১১। তৎকালীন কুষ্টিয়া ডিসি কর্তৃক দলিল রেজিস্ট্রি দেন যার বিনিময় মিস কেস নম্বও ১০৫(সিএল)৬৬-৬৭।

আবু বকর কারিকর এই দলিলকে চ্যালেঞ্জ করে মেহেরপুর সাব- জজ কোর্টে মামলা করেন ১৯৯৪ সালে। এ মামলায় পরাজিত হয়ে ৯৬ সালে মেহেরপুর জজকোর্টে আপীল করেন। আপীল নম্বর ১৯/১৯৯৬। ২৬/১/২০০৬ তারিখে জেলা জজ, মেহেরপুর কর্তৃক আপীলের চুড়ান্ত রায়ে আবু বকর কারিকর পরাজিত হন। পরবর্তিতে এই জমি নিয়ে আর কোন মামলা মোকদ্দমা হয়নি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মেহেরপুরের অফিসে জমির কাগজপত্র সাবমিট করলে তিনি ২৬/৭/২০১১ তারিখে খাজনা প্রদানের আদেশ দেন। এরপর ১৯৬২ সাল থেকে খাজনা আপ-টু-ডেট করা হয়। বর্তমানে ওয়ারিশগণ খারিজের জন্য অনলাইনে আবেদন খরেছেন এবং তা প্রক্রিয়াধীন আছে।

জমির মালিকের বসবাসের বাড়ি থেকে জমিটি বিশ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় বারবার দখলকারীদের রোষানলে পড়তে হয় মালিকদের। দখলকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট গাংনী থানায় নালিশ করলে ওসি বিষয়টি আমলে নিয়ে তাদের থানাতে হাজির হতে বলে। গত ১০/১০/২০১৮ তারিখে দখলকারী ১৭ জন থানায় হাজির হয়। উভয়ের উপস্থিতিতে আলোচনা শেষে ১৭ জন দখলকারী এই মর্মে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করে যে, ভবিষ্যতে আর কখনো জমির উপর যাবে না। তিন’শ টাকার স্ট্যাম্পে এই সমঝোতা স্বাক্ষর হয়। এছাড়াও কোন এক সময় এই দখলকারীরা ইউএনও গাংনী বরাবর একটি আবেদন করেছিল এই জমিটি সরকারি খাসজমি তাই আমরা লিজ নিতে চাই বোলে। কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ইউএনও গাংনী জমির মালিকানা নিশ্চিত করে এবং তাদের দাবী অগ্রাহ্য করে পত্র প্রেরণ করেন। যার স্মারক নং- ০৫.৪৪.৫৭৪৭.০০০.০৪.০১৭.১৯-৮৮৫, তারিখ- ১১/০৭/২০১৯।

কাগজ-পত্র পর্যালোচনায় আরো দেখা যায় দখলদারদের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারায় মামলা করেন জমির মালিক হারেজ উদ্দিন। সেই মামলাতেও ০৬/০৪/২০১৬ তারিখে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরপুর হারেজ উদ্দিনের পক্ষে রায় ঘোষণা করে। যার মামলা নম্বর- ১৯৬/১৫ (৫২/১২)। উল্লেখ্য রামনগর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে এই জমি থেকে হারেজ উদ্দিন ০৭ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেন।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, যাদের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ আনা হচ্ছে, মামলা করা হচ্ছে তাদের সাথে এই জমির কোনোই সংশ্লিষ্টতা নেই। এদের সাথে জমি নিয়ে কোনোদিন মামলা ছিল না। এরা সম্পুর্নভাবে তৃতীয় পক্ষ যারা রাজনৈতিক শক্তি দিয়ে জমিগুলো জোর দখল করতে চায়। সাম্প্রতিক সময়ে জোর করে এই জমির উপরে একটি মসজিদও নির্মাণ করে তারা।

হারেজ উদ্দিনের ০৯.১৪ একর জমির মধ্যে থেকে কিছু জমি ক্রয় করে রামনগর গ্রামের ছবদুলের ছেলে ছাদিমান, আনোয়ার, আলতাব এবং ছহিরুদ্দিনের ছেলে শওকত। এরাও কেউ তাদের ক্রয়কৃত জমি ভোগদখল করতে পারে না।
সম্পুর্ন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দুর্বৃত্তরা হারেজ উদ্দিন ও তার উত্তরাধিকারদের নিজ নামিও জমি থেকে ফসল কাটে নেয়া গাছ কেটে নেয়া খড় কেটে নেয়া এবং অবৈধ ভাবে মসজিদ নির্মাণ করে দখলের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে।
৫ আগস্টের পূর্বে দুর্বৃত্তদের নেতৃত্বে ছিলো আওয়ামী লীগের নেতারা। পালাবদলের সাথে সাথে নেতৃত্বে এসেছে বিএনপির নেতারা। কাগজ যার জমি তার আইনে থাকলেও বার-বার সেই জমি থেকে উৎখাত করা হচ্ছে জমির মালিকদের।
রামনগর গ্রামের রহমান আলির ছেলে খলিল জমি দখলকারীদের একজন। তাকে জমি দখলের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। তার কাছে জমির বৈধ কোনো কাগজপত্র নাই বলেও জানান।

রামনগর গ্রামের সাধারণ মানুষ স্বীকার করেন জমির বৈধ মালিক হারেজ উদ্দিন। গ্রামের কিছু লোক অবৈধভাবে দখল করেছে। হারেজ উদ্দিনের সন্তানরা অত্যন্ত ভদ্র মানুষ। তাদের বারবার এই জমি নিয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। তারা তাদের জমি ফেরত পাক এটাই গ্রামবাসীর চাওয়া।

শুরু থেকেই চিহ্নিত ২১ জন দুর্বৃত্ত এই দখলের সাথে জড়িত।

তারা হলেন – রামনগর গ্রামের মরজেত কামারের ছেলে মান্নান, আব্দুল কাদেরের ছেলে স্বপন, আব্দুর রহমানের ছেলে খলিল, গোলাম রসুলের ছেলে আলছাব, মকলেছ আলির ছেলে আশাফুল, মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে ছালাম, আফফানের ছেলে ইন্তাজ, আফফানের ছেলে শরিফুল, মৃত আফেল কামারের ছেলে রমজান আলী, আনসার আলী আরোর ছেলে সাজেদুল ইসলাম, নাদের কামারের ছেলে সবকুল, শামছুল হকের ছেলে শিপন আলি, বক্কর আলির ছেলে সুজন আলি, মৃত মরজেত আলীর ছেলে ময়নাল, ময়নাল আলীর ছেলে ইজুল, ছব্দুল শাহর ছেলে কুরবান শাহ, মৃত চমৎকারের ছেলে মহিবুল, মৃত মল্লিক এর ছেলে আফফান, আফফানের ছেলে কুদরত আলী, আফফানের ছেলে সাইদ আলী, আফছারের ছেলে নজিমসহ আরো অনেকে।

এরা সকলেই হারেজ উদ্দিনের জমিতে আর কখনো যাবেনা বলে গাংনী থানায় মুচলেকা দেয়। হারেজ উদ্দিনকে তার জমির দখল থেকে কোনোরূপ উচ্ছেদের চেষ্টা, জুলুম, খবরদারী না করার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করে। সূত্র : ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৫ ধারার নোটিশ নম্বর ১৮০/১৬।