মেহেরপুরে বাণিজ্য মেলা বন্ধের দাবিতে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ

মেহেরপুরে বাণিজ্য মেলা বন্ধের দাবিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

শনিবার দুপুরে মেহেরপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মেলার প্রস্তুতি চলাকালে ব্যবসায়ীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানান।
পরে তাঁরা নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় বড়বাজারের ৪ রাস্তার মোড়ে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়। পরে মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির ক্যাপ্টেন রওশন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে বাণিজ্য মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত ছিল। তবে খেলার মাঠে মেলা আয়োজনের প্রতিবাদে খেলোয়াড়দের মানববন্ধনের পর স্থান পরিবর্তন করে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মেলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

শনিবার সকাল থেকে মাঠ প্রস্তুতের কাজ চলছিল। তখনই মেহেরপুর বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা সেখানে গিয়ে অবস্থান নিয়ে মেলা বন্ধের দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন।




মুজিবনগরের বাগোয়ানে ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় বাগোয়ান ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ভবরপাড়া আম্রকানন স্কুলপাড়ায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য আলমগীর খান সাতু, মশিউর রহমান, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনারুল ইসলাম, মোনাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাইহান কবির, মহাজনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক কালু, বিএনপি নেতা সোনা গাইন, জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান ভিকু, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক লিংকন, ওমর ফারুকসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সম্মেলনে ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নতুন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন ছমির উদ্দিন মোল্লা এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি নির্বাচিত হন রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন।




মেহেরপুর পৌরসভা কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন

মেহেরপুর পৌরসভা কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

নির্বাচনে সভাপতি পদে বাই-সাইকেল প্রতীকে ৪৪ ভোট পেয়ে খলিলুর রহমান বিজয়ী হন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ফুটবল প্রতীকে ৬১ ভোট পেয়ে সানোয়ার হাসান নির্বাচিত হন।

শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

সহ-সভাপতি হিসেবে লাভলী মন্ডল দেওয়াল ঘড়ির প্রতীকে ৫০ ভোট, সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কামরুন্নাহার আম প্রতিকে ৫০ ভোট, কোষাধ্যাক্ষ হিসেবে মেহেদী আল মামুন চাকা প্রতীকে ৪৭ ভোট, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে সাঈদ হোসেন মোরগ মার্কার প্রতীকে ৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়। এছাড়াও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রচার সম্পাদক হিসেবে সাজেদুল ইসলাম জয় লাভ করে।

নির্বাচনের প্রধান নির্বাহী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল। কমিশনার হিসেবে ছিলেন জয়নাল আবেদীন ও শফি উদ্দিন। তাঁরা উপস্থিত থেকে ফলাফল ঘোষণা করেন।

নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৭৯ জন।




কোটচাঁদপুর ঋষি পাড়ায় অভিযান, দুই মাদক কারবারি আটক

খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কোটচাঁদপুরের ঋষি পাড়ায় অভিযান চালিয়ে দুই নারী মাদক কারবারিকে আটক করেছে।

শনিবার সকালে পরিচালিত এ অভিযানে জব্দ করা হয়েছে ১ কেজি গাঁজা, ৪ লিটার চুলাই মদ ও মদ তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম।

অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল কোটচাঁদপুরের ঋষি পাড়ায় অভিযান চালায়। অভিযানে আটক হন মনা দাসের মেয়ে উমা রানী (৪২) ও সুশান্ত দাসের স্ত্রী তারা রানী (২৮)। তাদের কাছ থেকে উল্লেখিত মাদকদ্রব্যসহ চুলাই মদ তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

অধিদপ্তরের পরিদর্শক জালাল হোসেন বলেন, “গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোটচাঁদপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই) শারমিন আক্তার জানান, “খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক জালাল হোসেন দুইটি আলাদা মামলায় দুইজন আসামিকে থানায় হস্তান্তর করেছেন। একটি গাঁজা ও অন্যটি চুলাই মদের মামলা।”




শৈলকুপায় আবারো দু’পক্ষের সংঘর্ষে ২৫ জন আহত

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আবারো দু’পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিষ্ণুপুর গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য কপিল বিশ্বাসের সাথে রইচ উদ্দিন সমর্থকদের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে বৃহস্পতিবার রাতে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায় এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়।

এরই জের ধরে শুক্রবার সকালে আবারো উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। ভাংচুর করা হয় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক ভাবে কাউকে আটক করা যায়নি। তবে এরই জেরে গত বৃহস্পতিবার রাতে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।




হরিনাকুণ্ডু মহিলা দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১২এপ্রিল) বেলা ১১টায় হরিনাকুন্ডু উপজেলা ও পৌর মহিলা দলের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সেসময় কর্মী সভায় হরিনাকুন্ডু উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫ শতাধিক নারী কর্মী অংশ নেন।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. এমএ মজিদ বিশেষ অতিথি হিসেবে হরিনাকুন্ডু উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক তাইজাল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সহকারী অধ্যাপক কামাল হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি জিন্নাতুল হক খান, মহিলা দলের আহ্বায়ক মোছা. সেলিনা খাতুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা, মহিলা দলের বিভিন্ন ইউনিটের ভবিষ্যৎ কর্মপদ্ধতি, সাংগঠনিক তৎপরতা ও নির্বাচন কেন্দ্রীক সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।




সালমানের মৃত্যুর পর কেন তার বন্ধুকেই বিয়ে করেন, জানালেন সামিরা

ঢালিউডের ক্ষণজন্মা জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান শাহর মৃত্যু হয়েছে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। সেই সময় এ খবরে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল সারা দেশ। যদিও তার মৃত্যুরহস্য আজও উদ্ঘাটিত হয়নি। তার ভক্ত-অনুরাগী-সমর্থকরা আবার সালমানের মৃত্যুরহস্য নতুন করে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। যদিও ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশের তদন্ত বিভাগ জানায়, সালমান শাহ আত্মহত্যাই করেছিলেন।

দীর্ঘ ২৯ বছর পর আবার সালমান শাহকে নিয়ে আলোচনা গোটা দেশ। তবে এবার এ ক্ষণজন্মা অভিনেতার স্ত্রী সামিরা ও তার বন্ধুকে নিয়ে আলোচনা। সম্প্রতি সালমান শাহর মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী সামিরা সালমানের বন্ধুকে বিয়ে করার ঘটনায় আবার সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

এমন প্রশ্নের জবাবে সালমান শাহর স্ত্রী বলেন, এটা কেমন কথা। আমি সালমান শাহ মারা যাওয়ার পর ওনি, ইফ আই এম নট রং। আপনি যদি রেডিও এফএম-এ যান, আপনি এখনো রেকর্ডটা পাবেন। ওনি বলেছেন যে, সামিরা আমাকে না বলে কেন চলে গেল। ওর বাবা কেন আমার থেকে ওকে নিয়ে গেল। ওকে তো আমি শাহরানের সাথে বিয়ে দিতে পারতাম।

সালমানপত্নী বলেন, ওনি যদি ওনার নিজের ছোট ছেলের সাথে আমাকে বিয়ে দিতে চায়, তাহলে আমি কেন তার বন্ধুকে বিয়ে করতে পারব না?

তিনি বলেন, আর বন্ধুর সাথে বিয়ে করাটা কোনটাই আমার সিদ্ধান্ত ছিল না। এটা আমার বাবা-মায়ের সিদ্ধান্তে বিয়েটা হয়েছে। এটা এরেঞ্জ ম্যারেজ ছিল— লাভ ম্যারেজ ছিল না।

সূত্র: যুগান্তর




কুষ্টিয়ায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুজন নিহত, আহত ১

কুষ্টিয়ায় যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে নয়ন ইসলাম (৩০) ও রনি ইসলাম (২৫) নামে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মিজানুর রহমান নামে আরেক ব্যক্তি।

শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল বেলায় সদর উপজেলার বটতৈল এলাকায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বটতৈল জিএসএম ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নয়ন ইসলাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দুর্বাচারা গ্রামের বাসিন্দা এবং রনি ইসলাম পার্শ্ববর্তী শালঘর-মধুয়া এলাকার বাসিন্দা। আহত মিজানুর রহমানও দুর্বাচারা গ্রামের। তারা তিনজনই কুষ্টিয়ার বিআরবি গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজে কর্মরত ছিলেন।

কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের এসআই জয়দেব জানান, সকালে একটি মোটরসাইকেলে করে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন নয়ন, রনি ও মিজানুর। বটতৈল এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা গড়াই পরিবহনের একটি দ্রুতগতির বাস তাদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই নয়ন ও রনি মারা যান এবং মিজানুর গুরুতর আহত হন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র কর্মকর্তা আরদেশ আলী জানান, তিনজন একটি মোটরসাইকেলে করে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। পথে একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে মোটরসাইকেলটি রাস্তার উল্টো পাশে চলে যায় এবং বিপরীত দিক থেকে আসা গড়াই পরিবহনের বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন।

নিহতদের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।




আবারও বিশ্বকাপ আসছে বাংলাদেশে

সেই ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সবশেষ কোনো বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল। এরপর গেল বছর নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশে। তবে শেষ মুহূর্তে তা সরে যায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে।

তবে সে আক্ষেপটা শিগগিরই ঘুচে যাচ্ছে বিসিবির। অ-১৯ নারী বিশ্বকাপের আয়োজক স্বত্ব পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

২০২৭ সালে হবে এই বিশ্বকাপের লড়াই। এটি হতে যাচ্ছে টুর্নামেন্টের তৃতীয় আসর। প্রথমটি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। দ্বিতীয় আসর হয়েছে মালয়েশিয়ায়। দুটো আসরেই জিতেছে ভারত।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ইতোমধ্যেই এই টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। যদিও তা শুধু দলকে নিয়েই। প্রথম বিভাগের ক্লাব ও বয়সভিত্তিক পর্যায়ের কোচদের সমন্বয়ে প্রতিভা খুঁজে বের করা আর তাদের পরিচর্যার দিকে নজর দিয়েছে বিসিবি।

সারা দেশেই এই প্রক্রিয়া শুরু করছে বিসিবি। ক্লাব ও কোচেরা মিলে খেলোয়াড়দের নিয়ে আসবে পাইপলাইনে, যা ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে শক্তিশালী দল হিসেবে মাঠে নামতে সাহায্য করবে বাংলাদেশকে, আশা বিসিবির। বোর্ডের বিশ্বাস, নারী ক্রিকেটের এ বৈশ্বিক আসর বাংলাদেশে হলে তা শুধু নারী ক্রিকেটকেই নয়, একটা নতুন প্রজন্মকেও ক্রিকেটে আসার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।

সূত্র: যুগান্তর




চিকিৎসকসহ নানা সঙ্কটে চলছে চিকিৎসা সেবা

চিকিৎসক, শয্যা, ঔষধসহ অন্যান্য জনবল সংকটে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। জেলার প্রায় ৮ লাখ জনবলের চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানটি নিজেই যেনো অসুস্থ। প্রতিদিনই ভীড় করছে রোগীর সংখ্যা।

তিল ধারণের ঠাই নেই এই হাসপাতালটিতে। অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার থাকলেও চিকিৎসকের অভাবে বন্ধ প্রায় সকল ধরনের অপারেশন। গর্ভবতী মায়েদের সিজার করাতে হলেও যেতে হচ্ছে বিভিন্ন ক্লিনিকে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন রোগীরা। দ্রত সিজারিয়ার অপারেশন চালু করার দাবী ভুক্তভেগীদের।

এদিকে হাসপাতালে স্বেচ্ছা সেবক হিসেবে কর্মরতদের বিরুদ্ধে রয়েছে রোগীদের জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগ। আয়াদের টাকা না দিলে দেয়া হয়না ছাড়পত্র। রান্না ঘরেও রয়েছে ময়লার গন্ধ আর মাছির উপদ্রব। রোগীদের বেডের পাশেই ময়লার স্তুুপ। ময়লার স্তুপ থেকে মশা মাছি বসছে রোগীদের শরীরে আসন সংকটে বারান্দা বা মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। জন্ডিস আক্রান্ত নবজাতক শিশূদের মশারি, কিংবা কাচের ঘরে আলাদা চিকিৎসা দেয়ার নিয়ম থাকলেও সাধারণ রোগীদের পাশেই দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা।

একদিনের সরেজমিনে দেখা গেছে এসব চিত্র। এতে শিশূদের স্বাস্থ্যঝুকি বাড়ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে সকল সমস্যা সমাধান করে হাসপাতালটিতে সর্ব সাধারনের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবেন এমন প্রত্যাশা মেহেরপুরবাসীর। কর্তৃপক্ষ বলছেন, জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশীম খাচ্ছেন তারা।

২০১৩ সালে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালটি ১০০ শয্য থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নিত করা হলেও বাড়ানো হয়নি জনবল। প্রায় এক দশকেও বাড়েনি এই হাসপাতালটির কোনো সুযোগ সুবিধা। ২০১৯ সালে ৭২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যায়ে পাশেই ৬ তলা একটি ভবন তৈরীর কাজ শুরু হয়। পরে ভবনটি আরও ২ তালা বৃদ্ধি করা হয়। ভবনটি পুরো ৮ তলা প্রস্তুত হলেও এখন রয়েছে হস্তান্তর জটিলতা। অথচ, ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর হাসপাতালের ৮ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনটির উদ্বোধন করা হয়েছে। পুরাতন ভবনেই জায়গা সংকটে রোগীদের মেঝে কিম্বা বারন্দায় নিতে হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।

এতে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে অবস্থার অবনতি হচ্ছে অনেকের। হাসপাতালটিতে আছে জনবল সংকট। হাসপালটিতে সার্জারি, এনেসথেটিস্ট, চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য মোট পদ রয়েছে ২৯৩ টি। এর মধ্যে শুন্য রয়েছে ৭৮ টি পদ। হাসপাতালটির সিনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন, শিশু, সার্জারি, কার্ডিওলজি, জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনি, প্যাথলজি, চর্ম ও যৌণ চিকিৎসক, ডেন্টাল সার্জন, ৩ জন এনেসথেটিষ্ট, নার্সিং সুপারিনটেন্ডেন্ট, ২ জন হেলথ এডুকেটর, ২ জন অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক, ২ জন ওয়ার্ড মাস্টার, ১ জন মেডিকেল স্টোর কিপার, পদগুলি শুণ্য রয়েছে দীর্ঘদিন যাবৎ। এছাড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ৭ মেডিকেল অফিসারের মধ্যে ৬ জন, ১১ জন মেডিকেল অফিসারের মধ্যে ১ জন, ২ জন আরএমও’র মধ্যে একজন, ২ জন জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসারের মধ্যে ১ জন, ১১ জন স্টাফ নার্সের মধ্যে ৪ জন, ১ জন মেডিকেল রেকর্ড কিপার, ৫ জন সহকারি নার্সের মধ্যে ৪জন, ৩ জন গাড়ি চালকের মধ্যে ২ জন, ২৬ জন অফিস সহায়কের মধ্যে ২২ জন, ৪ জন ওয়ার্ড বয় এর মধ্যে ৩ জন, ৬ জন কুক এর মধ্যে ৫ জন, ৪ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর মধ্যে ১ জন ও ২ টি মালির পদ দীর্ঘদিন যাবৎ শুণ্য।

এদিকে হাসপাতালটিতে পর্যাপ্ত শয্যা সংখ্যা না থাকায় রোগীদের ঠাই মিলেছে বারান্দা। কেউ কেউ মেঝেতে বা শিঁড়ির নিছেই নিচ্ছেন চিকিৎসা। নিম্নমানের খাবারসহ ঔষধ না পাওয়ারও অভিযোগ রোগীদের। প্রায় ৪ মাস যাবৎ হাসপাতালটিতে বন্ধ রয়েছে নরমাল বা সিজারিয়ান ডেলিভারি। হাসপাতালটির অভ্যন্তওে রয়েছে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব। দুর্ঘন্ধময় থাকে পরিবেশ আর মশা মাছির সাথেই পড়ে থাকতে হয় রোগীদের। সেই সাথে রয়েছে হাসপাতালের আয়া নামক যন্ত্রণা। রোগীদের হাতের ক্যানোলা খুলতে ও ছাড়পত্র নেওয়ার সময় জোর করে ২ থেকে ৩ শ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রোগীদের। তাদের দাবীকৃত টাকা না দিতে পারলেও দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা বা অসাদাচারণ করা নিত্যনৈমত্যিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।

মেহেরপুর ২৫০ শয্য বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সার্জন মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, চিকিৎসক সঙ্কট, জনবল সঙ্কটসহ নানা সমস্যায় চলছে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল। যে কয়েকজন চিকিৎসক রয়েছে তা দিয়ে কোন রকমে চিকিৎসা দেযা হচ্ছে। সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ থাকায় গর্ভবতী মায়েদের সিজার করা বন্ধ রয়েছে।

ফলে ওই সকল গর্ভববী মায়েরা বিভিন্ন ক্লিনিকে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ কওে অপারেশন করাচ্ছেন। তবে চিকিসক ও জনবল চেয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্ত।