মুজিবনগরে ব্র্যাক কর্মসূচি পরিদর্শন করলেন ইউএনও

মুজিবনগরে ব্র্যাক পরিচালিত টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের স্বাস্থ্য সেবিকাদের ওরিয়েন্টেশন ও মুজিবনগর ব্র্যাক অফিস পরিদর্শন করেছেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম।

আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের স্বাস্থ্য সেবিকাদের ওরিয়েন্টেশন ও মুজিবনগর ব্র্যাক অফিস পরিদর্শন করেন তিনি।

এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান এবং মেহেরপুর ও মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তারা ব্র্যাক মুজিবনগর কার্যালয় পরিদর্শন করে সংস্থার উন্নয়ন কার্যক্রমের বিষয়ে অবগত হন এবং সেবিকাদের ওরিয়েন্টেশনে

উপস্থিত হয়ে তাদের সাথে কথা বলেন এবং ব্যাকের মাঠ পর্যায়ে টিবি রোগ চিকিৎসায় ডটস পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন এবং জেনে কার্যক্রমের প্রসংশা করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য প্রয়োজনীয় সচেতনতা বৃদ্ধি করার ওপর নির্দেশনা প্রদান করেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা সেবিকাদের সঠিক নিয়মে ডটস প্রদান করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।

এছাড়াও এসময় ব্র্যাক জেলা সমম্বয়ক শেখ মনিরুল হুদা, টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ডিসিট্রিক্ট ম্যানেজার অচিন্ত কুমার বোস, মাইক্রোফাইনান্স (দাবি) কর্মসূচীর এরিয়া ম্যানেজার মোঃ জসিম উদ্দিন, ম্যানেজার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ম্যানেজার (বিসিইউপি) মোঃ আল আমিন বিশ্বাস,শাখা হিসাব কর্মকর্তা আব্দস সামাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন

চুয়াডাঙ্গা দর্শনায় ডি.এস ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মাও. শফি উদ্দিন মোল্লার পদত্যাগের দাবিতে প্রায় এক ঘন্টা সড়ক বন্ধ করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। পরে দর্শনা থানার ওসি শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের জন্য আশ্বস্ত করাই তারা সড়ক ছেড়ে মাদ্রাসায় ফিরেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে দর্শনা প্রেসক্লাবের সামনে এ আন্দোলন করে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।

জানাগেছে, দর্শনা ডি.এস ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মাও. শফি উদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগের দাবিতে এ আন্দোলন করে। বেলা ১১ টা ৪৫ থেকে ১২ টা ২৫ পর্যন্ত ৪০ মিনিট ধরে শিক্ষার্থীরা রাস্তা বন্ধ করে এ আন্দোলন করতে থাকে। যার ফলে দূর পাল্লার পরিবহন, ট্রাক, মাইক্রো-বাস, ইজিবাইক, ভ্যান, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল সহ এ সড়কে চলাচলকারী পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। পরে খবর পেয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর থানার অফিসার ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের জন্য আস্বস্ত করে তাদেরকে সাথে নিয়ে মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ সহ অন্যান্য শিক্ষক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতা এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করেন। বিষয়টি প্রায় সমাধানের পর্যায়ে রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ হচ্ছে- দাখিল (এসএসসি) পরিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা টেস্টে একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে পরিক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া। মাদ্রাসার ঘর ভাড়া দিয়ে ফান্ডে টাকা থাকার সত্বেও গরীব শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন করতে মাদরাসা ফান্ড থেকে সহায়তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করা। তিনি দ্বায়িত্ব নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী দিনে দিনে কমে যাওয়া। মাদ্রাসার ঘর/গোডাউন ভাড়া নেওয়া লোকজন মাদ্রাসা চলাকালীন সময়ে সেখানে শিক্ষার্থীদের সামনে সিগারেট ধরিয়ে যাওয়া-আসায় কোন বাঁধা না দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা সেখানে সিগারেট খাচ্ছে এসব বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নেওয়া সহ বেশ কিছু অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলন করে।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মাও. শফি উদ্দিন মোল্লা বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ করা হয়েছে তা পরিকল্পিত ও ভিত্তিহীন। শিক্ষার্থীদের পিছনে কোন এক ইন্দোনদাতা অপশক্তি হিসাবে কাজ করছে আমাকে হেও প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে। তবে আমি আমার জায়গা থেকে সঠিকভাবে দ্বায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছি।




আলমডাঙ্গায় জার্মানি প্রবাসীর সংবাদ সম্মেলন

আলমডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে জীবন আহম্মেদ তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

লিখিত এ সংবাদ সম্মেলনে জীবন আহম্মেদ জানান, দীর্ঘ ১৩ বছর জার্মানি প্রবাস শেষে গত ৩ মাস আগে দেশে এসেছেন। তার বড় ভাই সাগর লিবিয়া প্রবাসী। তার বড় ভাইয়ের নামে ইটালি পাঠানোর নাম করে খেজুরতলা গ্রামের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম রফি এলাকার অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে লিবিয়ায় পাঠিয়েছে। তাদের দুর্দশা-দুর্ভোগ সম্পর্কে আমি অবগত নই। আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। আমি তিন মাস আগে দেশে আসলেও তারা প্রায় ৯ মাস আগে বিদেশ যাবার জন্য রফির নিকট টাকা দেয় এবং তারা লিবিয়ায় যায় । আমি এবং আমার চাচি বেদেনা খাতুন সহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। প্রকৃতি অর্থে রফি মেম্বার ওই সকল ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে সাগরের সাথে লেনদেন করেছে। এ বিষয়ে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তার কেউই এই ঘটনার সাথে জড়িত নই। বিষয়টি তদন্ত করলেই প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটিত হবে।

এমতাবস্থায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।




দামুড়হুদায় টিসিবির পণ্য বিতরণ ; কার্ড আছে পণ্য নাই

দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নে টিসিবির কার্ড আছে কিন্তু পণ্য নেয়। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে পণ্য বিতরণ শুরু হয়ে বিকাল ৪ টার আগেই পণ্য বিতরণ শেষ, কিন্তু তখনো বেশ কয়েক জনের কার্ড আছে তবে পণ্য নেই।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, আজ দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হয়েছে। ইউনিয়নে মোট ২২০৬ টি কার্ড বিতরণ করা হয়। বিকাল ৪ টার দিকে দেখা যাই পণ্যবিতরণ শেষ। কিন্তু তখনো ১৪ জনের পণ্য বিতরণ হয়নি। ১৪ জনের হাতে ১৪ টি টিসিবির কার্ড আছে কিন্তু পণ্য নেয়। তাহলে পণ্য গেলো কোথায়? এর কোন সদুত্তর পাওয়া যাইনি। হাউলী ইউনিয়নে টিসিবির ডিলার এর দায়িত্ব পালন করে দামুড়হুদার তামিম স্টোর এর স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম। টিসিবির পণ্য বিতরণ হচ্ছে কিন্তু ট্যাগ অফিসারের দেখাও পাওয়া যাইনি।

ট্যাগ অফিসার আতিকুর রহমান জানান টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হবে এবিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি, যার কারনে আজ আমি হাউলী ইউনিয়ন পরিষদে যাইনি। কার্ড আছে পণ্য নেই শুনে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, পণ্য বিতরণ করে ডিলার। কয়জনকে দেওয়া হয়েছে আর কয়জনকে দেওয়া হয়নি তা ডিলার জানে। কারন টিসিবির কার্ড ছাড়া পণ্য বিতরণের কোন সুযোগ নেই। তাহলে কার্ড থাকলে পণ্যও থাকতে হবে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৪ জনের টিসিবির পণ্য কিনে দেয় ডিলার।

এবিষয়ে হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নিজাম উদ্দিন বলেন, ১৪ জনের টিসিবির পণ্য বিতরণ বাকী থাকতেই ডিলারের পণ্য বিতরণ শেষ হয়ে যায়, পরে পণ্য নিয়ে এসে ডিলার বাকী থাকা ১৪ জনের মাঝেই পণ্য বিতরণ করা হয়।




কুষ্টিয়ায় সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের বৈঠক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমানের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গতকাল সোমবার বিকেলে বিজিবির উদয়নগর বিওপি ও প্রতিপক্ষ জলঙ্গী বিএসএফ ক্যাম্পের ভারতের অভ্যন্তরে মাঠে অনুষ্ঠিত উক্ত বৈঠকে বিজিবির পক্ষে কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান ও বিএসএফের পক্ষে ভারতের রওশনবাগ বিএসএফের ১৪৬ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মনহর লাল নেতৃত্ব দেন।

এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে সীমান্তে বাংলাদেশি জনসাধারণের ওপর কোনো অবস্থাতেই প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বা ফায়ারিং না করা, ভারত থেকে মাদকদ্রব্যসহ নিষিদ্ধ পণ্য এবং অবৈধ অস্ত্র যাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ না করতে পারে ও সীমান্ত সুরক্ষা জোরদার করার লক্ষ্যে চোরাকারবারী বা দুষ্কৃতকারীদের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধের বিষয়ে আলোচনা হয়। এসব বিষয়ে সীমান্তে বিএসএফের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেওয়া হয় বলেও ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

উভয় দেশের শান্তি ও সহযোগিতা কামনা করে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সাক্ষাত শেষ হয়।




গাংনীতে সার সংকট সমাধানে কৃষকদের মানববন্ধন

মেহেরপুরের গাংনীতে সার সংকটের সমাধানে মানববন্ধন করেছেন কৃষকরা। আজ মঙ্গলবার সকালে গাংনী উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন ষোলটাকা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কৃষক ও জেলা যুব দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দাল হক, ষোলটাকা গ্রামের কৃষক সামছুল হক, বক্তব্যে বলেন, গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন যোগদান করার পর থেকে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অফিস পরিচালনা করে আসছেন। তিনি গাংনী কৃষি অফিসে ২০২৩ বিসিআইসি ডিলারদের সাথে সুবিধা নিয়ে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ করেন। ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে রাসায়নিক সার, পারিবারিক পুষ্টি বাগানের অর্থ, কৃষি খামার যন্ত্রপাতি (মেশিনারীজ) বিক্রয়, বিভিন্ন কৃষি প্রনোদনাসহ প্রদর্শনী প্লটের কেলেংকারী ও নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে কৃষি কর্মকর্তার দূর্নীতি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন মানববন্ধনকারীরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৬ বছর এক টানা আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকার কারনে তাদের অনুগত বিসিআইসি ডিলাররা সারের কৃত্রিম সংকট তৈরী করে কালো বাজারে বেশি দামে সার বিক্রয় করছেন। স্বৈরাচার সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অনুগত ডিলারগণ সারের কৃত্রিম সংকট করছে বলেও বক্তব্য দেন তারা।

এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস ইমরান হোসেন জানান, সারের কোন সংকট নেই। বিসিআইসি ডিলাররা সার উত্তোলন করে বিএডিসি ও সাব ডিলারাদের মাঝে সরবরাহ করছেন, সার চাষীরা হুচুগে পড়ে একই কৃষক তাদের পরিবারের আইডি কার্ড নিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার কিনে রাখছেন বলে আমাদের কাছে তথ্য এসেছে। এমনটা হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, সরকারী ভাবে সারের কোন সংকট নেই। যদি কোন ডিলার বেশি দামে সার বিক্রয় করে তাহলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




ঝিনাইদহে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত

“আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যত এখনই” এ শ্লোগানে ঝিনাইদহে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১০ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (সিডিপি) ও জেলা মানবাধিকার ফোরামের আয়োজনে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পায়রা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ঘন্টা ব্যপি চলে মানববন্ধন।

পরে পদ্মা সমাজ কল্যাণ সংস্থার সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (সিডিপি)’র এরিয়া কোঅডিনেটর হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সভাপতি আমিনুর রহমান টুকু।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ মানবাধিকার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও উই’র নির্বাহী পরিচালক শরিফা খাতুন, সনাকের সিনিয়র সদস্য এন এম শাহজালাল, মানবাধিকার কর্মী শাহিনুর রহমান, জিহান লেমন, রিতা খাতুন, নাছির উদ্দিন, মামুনুর রশিদ, জান্নাতুল ফেরদৌস, চন্দন বসু মুক্ত, রুহুল আমিন ও গাওসি গোর্কি।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঝিনাইদহ সিডিপির রিসোর্স মোবালাইজেশন এন্ড পার্টনারশিপ অফিসার পারভিন নাহার।

বক্তারা বলেন, মানবাধিকার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তুলে ধরা, বিশেষ করে নারী ও দূর্বল জনগোষ্ঠীর উপর এর অসম প্রভাব নির্দেশ করা। জলবায়ু কর্মসূচিতে মানবাধিকার নীতিমালা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সুপারিশ করা এবং সমস্ত জলবায়ু-সম্পর্কিত নীতিমালা ও কর্মসূচিতে জেন্ডার-সংবেদনশীল এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক পন্থা অবলম্বনের জন্য আহবান জানানো হয়।




বিডিআর হত্যাসহ ছাত্রজনতা গণহত্যার আসামিদের আইন অনুযায়ী বিচার হবে-আমান উল্লাহ আমান

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, ‘যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করেছে তাদের বিএনপিতেও জায়গা হবে না।’

আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া শহরের দিশা টাওয়ারে আয়োজিত কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সকল ইউনিটের কাউন্সিল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে দেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। দেশপ্রেমী বাংলাদেশী হিসেবে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। দলকে চাঙ্গা করতে কমিটিতে নতুনদের সুযোগ করে দিতে হবে। নতুনদের সুযোগ দিলে দল আরো চাঙ্গা হওয়ার পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসাহ তৈরি হবে।’

আমান উল্লাহ আমান আরও বলেন, বিডিআর হত্যাসহ ছাত্রজনতা গণহত্যার আসামি শেখ হাসিনা, আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। আর বিচারের মাধ্যমে আদালতই তাকে দেশে আনবে। সম্প্রতি ভারত ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশে জাতীয় ঐক্য গঠিত হয়েছে। ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে বলে যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে ঐক্যবদ্ধভাবেই আমরা তা মোকাবিলা করব।

আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘শহীদ জিয়ার স্বপ্নের বাংলাদেশে আগামী দিনে নেতৃত্ব দিবে বিএনপি। তাই আমরা আশা করছি, অবিলম্বে তারেক রহমান দেশে আসবেন। কুষ্টিয়া বিএনপির কাউন্সিলে উপস্থিত থাকবেন।’

তিনি বলেন, ‘বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির ঘাটি। শহীদ জিয়াউর রহমান এই জেলাকে যেভাবে ভালোবাসতেন তেমনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দরদ রয়েছে। অদৃশ্য শক্তি দেশকে অরজাকতার দিকে ঠেলে দিতে ষড়যন্ত্র করছে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাবউদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি ও সাবেক এমপি অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, সাবেক এমপি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ফরিদা রহমান প্রমুখ।




দর্শনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার উপলক্ষে মানববন্ধন

আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষের গুম খুন বিচার বহির্ভূত হত্যা বিচারের দাবিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে দর্শনা সরকারি কলেজ শহীদ মিনারের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, দর্শনা থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন, দর্শনা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান, সদস্য সচিব পলাশ আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আসিফ হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু আহমেদ, ১ নং সদস্য হাসান আলী, দর্শনা পৌর ছাত্রদল নেতা শেখর শাওন ও আরিফ হোসেন, ডিপার্টমেন্ট নেতৃবৃন্দ অমিন হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান সাইফ, ইমন, লিখন, আবিদ, সজীব, মেহেদী হাসান সহ সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।




শীতের আগমণী বার্তায় কুষ্টিয়ায় কুমড়ার বড়ি তৈরীর ধুম

শীতের আগমণী বার্তা দেখা যাওয়া মাত্রই গ্রামাঞ্চলে শুরু হয়ে যায় শীতের সকালে কুমড়ো বড়ি তৈরীর ধুম। গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় এ দৃশ্য চোখে পড়ার মতো।

কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় কুমড়ার বড়ি তৈরীতে ব্যস্ত গৃহিণীরা। শীতকালীন রসনা বিলাসের অন্যতম সুস্বাদু খাদ্য কুমড়ার বড়ি। এখন শুধু গ্রাম অঞ্চলেই নয়, শহরেও কুষ্টিয়ার তৈরি কুমড়ার বড়ির চাহিদা বেশি।

এই কুমড়া বড়ির চাহিদা থাকায় জেলার বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবেও বড়ি তৈরি হচ্ছে। দেশব্যাপী কুমড়া বড়ির চাহিদা থাকায় কুষ্টিয়ায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কুমড়ার আবাদ হয়ে থাকে। এ কুমড়ো দিয়েই তৈরি করা হয় বড়ি।

প্রায় ২ যুগ ধরে এ বড়ি তৈরি করে কুষ্টিয়ার ৫ শতাধিক পরিবার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সারাবছর ছাড়াও শীত মৌসুমে চাহিদা বেশি থাকায় কুমড়া বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে কুষ্টিয়ার জগতি ও লাহিনীর ‘কুমড়া বড়ি পল্লীর’ সকলে। সেখানে শুরু হয়েছে শীতকালীন রসনা বিলাসের জন্য অন্যতম সুস্বাদু খাদ্য ‘কুমড়া বড়ি’ বানানোর ধুম।

শীতকালীন সব ধরনের তরকারিতে বাড়তি স্বাদ আনয়নের জন্য কুমড়া বড়ির কদর এখন গ্রাম ছাড়িয়ে শহরেও সমাদৃত হয়ে সমভাবে। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব শ্রেণীর মানুষেরই নিত্যদিনের খাবারে তরকারীর অতি প্রিয় অনুষঙ্গ এ কুমড়া বড়ি।

মিরপুর উপজেলার মশান গ্রামের আয়েশা খাতুন বলেন, পাকা ও পরিণত চালকুমড়া কুঁরে তার সাথে মাস কালাই কিংবা কালাই বেঁটে পাঁচফড়ং ও কালোজিরা দিয়ে বিশেষ কায়দায় তৈরি করা হয় এই কুমড়া বড়ি।

কুমড়া বড়ি তৈরিতে বেশ পরিশ্রম ও ঝক্কি ঝামেলাও পোহাতে হয় বাড়ির বৌ-ঝিদের। আবার বড়ি তৈরির পর যদি তীব্র রোদ কিংবা তাপ না থাকে তাহলে হাড়ভাঙা খাটুনি আর দীর্ঘ সময়ের পরিশ্রম সবই বৃথা যায়। কেননা বড়ি বানানোর পর যত দ্রুত তা রোদের তাপে শুকানো যায় ততই সুস্বাদু হয় এই কুমড়া বড়ি।

দেখতে যেমন সুন্দর, খেতে তার চেয়ে বেশি সুস্বাদু। খুব সহজেই গ্রামের নারীরা তৈরি করে থাকেন।

প্রায় প্রতিটি সবজি বা মাছ রান্নায় দিলে বেড়ে যায় স্বাদ। বলা হচ্ছে কুমড়ো বড়ির কথা। শীতের শুরুতেই এ বড়ি তৈরি শুরু করেন কুষ্টিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের নারীরা। বাণিজ্যিকভাবে বড়ি বিক্রি করেও অনেকে সংসারে আনেন স্বচ্ছলতা।

একই এলাকার মালেকা খাতুন জানান, বছরে একবার এই কুমড়া বড়ি তৈরি করে থাকি। নিজেদের খাওয়া এবং মেয়ে জামাইর বাড়িতেতে পাঠানো লাগে। এবারও বাড়ীর আঙ্গিনায় লাগানো চালকুমড়া সংগ্রহ করে মাসকলাই মিশিয়ে এ কুমড়া বড়ি তৈরি করেছি।

অতি যত্নের সাথে গ্রামের নারীরা কুমড়া বড়ি তৈরি করে। জগতি এলাকার আনোয়ারা বলেন, এ ব্যবসায় সারাবছর চললেও ৬ মাস ভালো চলে। তবে পরিশ্রমের তুলনায় তারা তেমন মূল্য পান না।

মৌসুমি কুমড়ো বড়ি ব্যবসায়ী জহগতি এলাকার সামু জানান, শীতকালে এ কুমড়ো বড়ি বিক্রি বেশি হয়। তাই বাড়িতে এসব বড়ি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করি। এখন প্রতিদিন আমি ১৫-২০ কেজি কুমড়ো বড়ি বিক্রি করি। সাদা বড়ির চাহিদা বেশি। ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি দরে এসব বড়ি বিক্রি করি। এভাবে পুরো শীত মৌসুম চলে বড়ি বিক্রি।

নুর মোহাম্মদ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বাজারের সাদা বড়িগুলো বেশিরভাগই ভালো হয় না। বিক্রেতারা কুমড়ার পরিবর্তে পেঁপে আর আটা মিশিয়ে থাকে। এজন্য আমি প্রতিবছর ডাল আর কুমড়া কিনে বাড়িতে বড়ি তৈরি করি। এ বছর আমি কুমড়া কিনেছি পাঁচটা, ৩০০ টাকায় আর কলাইয়ের ডাল কিনেছি ৬০০ টাকার। এতে কয়েক কেজি কুমড়ো বড়ি পাব। তা দিয়ে যা বড়ি হবে, পুরো শীতকাল খেতে পারব। তাছাড়া আত্মীয়-স্বজনদেরও দিতে হয়। বাড়িতে বানানো বড়ি বাজারের গুলোর চাইতে অধিক স্বাদের

কুষ্টিয়ার তৈরি কুমড়ার বড়ি এখন গ্রামের বাড়ির আঙিনা ছেড়ে শহরে এমনকি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোর কাঁচা বাজারেও স্থান করে নিয়েছে।

কুষ্টিয়ার তৈরি বড়ি জেলার চাহিদা পূরণ করে প্রতিদিনই বাইরে পাঠানো হচ্ছে। এখানকার তৈরি বড়ি অত্যান্ত ভালো ও সুস্বাদু হওয়ায় দিনদিন বেড়েই চলেছে কুষ্টিয়ার কুমড়া বড়ির চাহিদা।

কৃষকের বন্ধু এসএম জামাল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে কুমড়ো বড়ি অনলাইনে বাজারজাত করে থাকেন। তিনি বলেন, গ্রামীণ পরিবেশে এই কুমড়ো বড়ি তৈরিতে সাড়ে ৫শ টাকার উপরে খরচ পড়ে যায়। এতে করে অন্তত কিছু নারীদের কর্মসংস্থান হয়ে যায়। এসব বড়ি ৬০০ টাকা কেজি হিসেবে অনলাইনে বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়।

মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তরকারীতে আমরা সবজী হিসেবে যে চালকুমড়া খাই সেটিই আবার বড় এবং পাকা হলে পরিপূর্ণতা পেয়ে যায়। তাই এই কুমড়োবড়ি বানাতে চাল কুমড়ার বিকল্প নাই। গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাল কুমড়ার চাষ হচ্ছে। বসতবাড়ির অঙ্গিনায়, অনাবাদি পতিত জমি এবং সাথী ফসল হিসেবে জমিতে চাল কুমড়োর চাষ বাড়ছে। প্রায় তিনমাসে এ কুমড়ো চাষের পর তা তরকারীতে খেতে পারে। এবং বড়ির জন্য আবার সংরক্ষণ করে পাকিয়ে আবার তা দিয়ে কুমড়োবড়ি তৈরী করা হয়।