বিনা খরচে অনলাইনে বাংলায় প্রোগ্রামিং শিখবেন যেভাবে

প্রোগ্রামিংয়ের জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশেও বাড়ছে প্রোগ্রামিং শেখার আগ্রহ। তবে প্রতিষ্ঠান থেকে শেখা অনেকটা ব্যয়বহুল। তবে অনেকের শখ অল্পতেই ঝরে যায়।

তবে এবার প্রোগ্রামিং শিখতে চাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি হয়েছে নতুন চ্যালেন ও ওয়েবসাইট। যেখানে শিক্ষার্থীরা সহজেই বিনামূল্যে বাংলায় প্রোগ্রামিং শিখতে পারবে।

চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে-

লার্ন উইথ সুমিত

বাংলাদেশি প্রোগ্রামার সুমিত সাহা এই ইউটিউব চ্যানেলটি পরিচালনা করেন। ‘লার্ন উইথ সুমিত’ চ্যানেলে মলূত JavaScript, React, Node.js এর মতো আধুনিক ওয়েব টেকনোলজি নিয়ে সহজ ভিডিও পাওয়া যায়। এখানে কাজগুলো-বাস্তব প্রজেক্টের মাধ্যমে শেখানো হয়, যা শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শেখার সুযোগ করে দেয়।

প্রোগ্রামিং হিরো

‘প্রোগ্রামিং হিরো’ একটি মোবাইল অ্যাপ। যেখানে বাংলায় প্রোগ্রামিং শেখানো হয়। অ্যাপটিতে মজার ছলে প্রোগ্রামিং শেখার কোর্স রয়েছে, যা নতুন প্রোগ্রামারদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। এখানে বিভিন্ন গেমের মাধ্যমে কোডিং শেখানো হয়, যা শেখার প্রক্রিয়াকে সহজ ও আনন্দময় করে তোলে।

তামিম শাহরিয়ার সুবিন

তামিম শাহরিয়ার সুবিন একাধারে একজন লেখক ও প্রোগ্রামার। তিনি বাংলাভাষী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রোগ্রামিং এর বই লেখেন। তার ‘কম্পিউটার প্রোগ্রামিং’ বইটি নতুনদের মধ্যে প্রোগ্রামিং শেখার আগ্রহ জাগিয়ে তোলে। পাশাপাশি, তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রোগ্রামিং বিষয়ক দিকনির্দেশনাও পাওয়া যায়। তার ইউটিউব চ্যানেলে C, Python, ML (মেশিন লার্নিং) এর উপর নানাবিধ ভিডিও রয়েছে।

শিখুন ডট নেট

‘শিখুন ডট নেট’ একটি শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট। যেখানে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ভিডিও টিউটোরিয়াল দেওয়া হয়। এখানে WordPress, Laravel, Shopify এর মতো জনপ্রিয় টেকনোলজি এখানে শেখানো হয়। এ ছাড়াও HTML, CSS, PHP ও JavaScript শেখানো হয়।

আনিসুল ইসলাম

আনিসুল ইসলাম একজন প্রোগ্রামিং শিক্ষক, যিনি বাংলায় প্রোগ্রামিং শেখান। তার চ্যানেলে C, Java ও Python এর মতো ভাষা শেখানো হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য জটিল বিষয়গুলো সহজভাবে ব্যাখ্যা করার কারণে তার চ্যানেলটি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

স্ট্যাক লার্নার

‘স্ট্যাক লার্নার’ ইউটিউব চ্যানেলটি প্রোগ্রামিং। যেখানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখানো হয়। এখানে JavaScript, React ও অন্যান্য আধুনিক টেকনোলজি শেখানো হয়। যারা নতুন প্রোগ্রামার বা ডেভেলপার, তাদের জন্য এই চ্যানেলটি বেশ কাজে আসতে পারে।

যারা প্রোগ্রামিং শিখতে চান, কিন্তু শুধু ভাষাগত কারণে পিছিয়ে রয়েছেন, তারা এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে আজই শেখা শুরু করতে পারেন।
সূত্র: কালবেলা




দামুড়হুদায় মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদার জয়রামপুরে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত প্রদর্শনীর মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার বেলা ১২টার সময় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে জয়রামপুর শেখ পাড়ায় রুহুল আমিনের আম বাগানে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মাসুদুর রহমান সরকার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর অঞ্চলের তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার এ এইচ এম জাহাঙ্গীর আলম।

এ ছাড়াও অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষ্ণ রায়, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশ, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার জালাল উদ্দীন, খালিদ সাইফুল্লাহ, মুকুল হোসেন, হাবিবুর রহমান সহ স্থানীয় কৃষক কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।




রোবোটিক্স আরঅ্যান্ডডি ইঞ্জিনিয়ার নেবে ওয়ালটন

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটিতে রোবোটিক্স আরঅ্যান্ডডি ইঞ্জিনিয়ার পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি

পদের নাম: রোবোটিক্স আরঅ্যান্ডডি ইঞ্জিনিয়ার

পদসংখ্যা: ১টি

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি

অন্যান্য যোগ্যতা: রোবোটিক্স, কন্ট্রোল সিস্টেম এবং প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষতা

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ১ বছর

চাকরির ধরন: ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র: অফিসে

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)

বয়সসীমা: কমপক্ষে ২২ বছর

কর্মস্থল: গাজীপুর (কালিয়াকৈর)

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

অন্যান্য সুবিধা: মোবাইল বিল, লাভ শেয়ার, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স, দুপুরের খাবারের সুবিধা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী।

আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে।

আবেদনের শেষ সময়: ২২ নভেম্বর ২০২৪

সূত্র: কালবেলা




মেহেরপুরে হাসপাতালের সামনে অব্যবস্থাপনা, রোগীদের দুর্ভোগ

মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের গেটে ও ক্যাম্পাসের সামনে অবৈধ অটো রিকশা, রাস্তার পাশে নানা ধরনের খাবার ও বাচ্চাদের খেলনার দোকান গড়ে ওঠার কারণে মেলায় পরিণত হয়েছে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ। যার কারণে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।

হাসপাতালের মূল গেট থেকে শুরু করে আশপাশের রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে, যা রুগীদের হাসপাতালে পৌঁছাতে এবং চিকিৎসা সেবা নিতে সমস্যার সৃষ্টি করছে। এছাড়া, এসব দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে, যা রোগীদের জন্য বাড়তি বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বিশেষ করে জরুরি রোগী পরিবহন এবং হাসপাতালে আসা সাধারণ মানুষজনের জন্য এই অটো রিকশা ও দোকানগুলো এক ধরনের বাধার সৃষ্টি করছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি কয়েক দফা প্রশাসনের কাছে জানিয়েও কোনো সুরাহা পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন।

রোগী নিয়ে আসা মোঃ সেলিম বলেন, হাসপাতালের গেটের সামনে অটো রিকশা ও খাবারের দোকানগুলো দিনের পর দিন বাড়ছে। রোগীদের হাসপাতালে আসা-যাওয়ার সময় চরম ভোগান্তি হচ্ছে। বিশেষ করে জরুরি অবস্থায় রোগী পরিবহন করা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রশাসন যদি কিছু না করে, তাহলে রোগীরা আরও বিপদে পড়বে।

রোগীর আত্মীয় মিনু বেগম বলেন, আমার ভাইকে জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন ছিল, কিন্তু রিকশা ভাড়া নিয়ে সঠিক জায়গায় পৌঁছাতে পারছিলাম না। রাস্তার দোকানগুলোও রোগীদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার জানিয়েছেন, হাসপাতালের চারপাশে অবৈধ অটো রিকশা এবং রাস্তার খাবার ও খেলনার দোকান সরানোর জন্য তিনি একাধিক বার প্রশাসনকে অবগত করেছেন। তবে, স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

অটো রিকশাচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন এটা সত্যি যে হাসপাতালের সামনে রিকশার সংখ্যা বাড়ছে, যদি এখানে রিকশা পার্কিংয়ের জন্য নিয়মিত জায়গা থাকত, তাহলে সবাই সুবিধা পেত। তবে, আমরা চাই রোগীদের যেন কোন সমস্যা না হয়।

স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান এবং হাসপাতালের আশপাশের রাস্তা পরিষ্কার করার দাবি জানাচ্ছেন সাধারণ জনগণ।




টিভি নাটকের অভিনেত্রী আফরোজা হোসেন মারা গেছেন

টিভি নাটকের পরিচিত অভিনেত্রী আফরোজা হোসেন মারা গেছেন। রোববার (১০ নভেম্বর) ভোর ৬ টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আরেক অভিনেত্রী মনিরা আক্তার মিঠু।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আফরোজা হোসেনের সঙ্গে তোলা ‍কিছু ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। অভিনেত্রী আফরোজা হোসেন আর নেই। আজ ভোর ৬ টায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।’

এরপর আবেগঘন হয়ে বলেন, ‘আপা আমি এখন তিনবেলা ফোনে কার সাথে কথা বলবো? আমাকে কে সাহস দিবে গো?
তোমার সন্তান নাঈম কে আমি কি বলে সান্ত্বনা দিব গো।’

পোস্টের শেষে লিখেছেন, ‘আমি টাঙ্গাইলে এমন হতভাগী আমি তোমাকে শেষ বিদায় জানাতে পারলাম না। তুমি যাও, আমি আসছি গো আপা।’

জানা যায়, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অনেক দিন থেকে অসুস্থ ছিলেন আফরোজা হোসেন। জরায়ুমুখ ক্যানসার ধীরে ধীরে তা মেরুদণ্ড থেকে হাড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

তিনি ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে বাংলাদেশের শোবিজ ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন। আফরোজা হোসেন তার ক্যারিয়ারের শুরুতে টেলিভিশন নাটক দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এবং পরে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন।

তার অভিনয় দক্ষতা এবং চরিত্রে নিপুণতা তাকে জনপ্রিয়তা এনে দেয়। বিশেষ করে ১৯৯০-এর দশকে তার অভিনীত সিনেমাগুলি দর্শক মহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছিল।

সূত্র: ইত্তেফাক




কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১

কুষ্টিয়ার মিরপুরে পূর্ববিরোধ, চর দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তৌহিদ সর্দার (৪৫) নামের একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় তিন জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে মোট ১০ জন।

আজ রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে উপজেলার বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের নওদা খাদিমপুর গ্রামে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত তৌহিদ সর্দার নওদা খাদিমপুর এলাকার মৃত মোজাহার সর্দারের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পূর্ববিরোধ, এলাকায় চর দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নওদা খাদিমপুর এলাকার গায়েন বংশের সাথে সর্দার বংশের বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল গায়েন বংশের কয়েকজন ছেলে স্কুলে যাওয়ার পথে সর্দার বংশের লোকজন তাদের মারধর করে। আজ সকালে সর্দার বংশের লোকজন মাঠে কাজ করতে যাওয়ার পথে আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গায়েন বংশের লোকজন তাদের ওপর গুলিবর্ষণসহ হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। হামলার ঘটনায় তৌহিদ সর্দারসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ ১১ জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তৌহিদ সর্দার মারা যায়। বাকিরা চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম তৌহিদ সর্দার নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘদিন আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নওদা খাদিমপর এলাকার গায়েন বংশের সাথে সর্দার বংশের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে আজকে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হামলাকারীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে ঐ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।




মেসির গোলের পরও মায়ামির বিদায়

প্রথম ম্যাচে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে হারের মুখ দেখে ইন্টার মায়ামি। এমএলএস কাপের প্লে-অফ পর্ব পেরোতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না দু’দলের সামনেই। এমন ম্যাচে গোলের দেখা পান মায়ামির সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসি। তবে বিফলে গেছে তার গোল। আটলান্টা ইউনাইটেডের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে মায়ামি।

রোববার (১০ নভেম্বর) ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় মায়ামি। ১৭ মিনিটে রোহাসের গোলে এগিয়ে যায় মায়ামি। ডিয়োগো গোমেজের পাস থেকে বক্সের ভেতর শট নিয়েছিলেন মেসি। সেই শট আটলান্টা গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে কাছেই থাকা রোহাস বল পাঠিয়ে দেন জালে।

পিছিয়ে পড়ে দ্রুতই ম্যাচে ফিরে আটালান্টা। ম্যাচের ১৯ ও ২১ মিনিটে জোড়া গোল করে দলকে এগিয়ে দেন চিয়াহ। এতে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আটালান্টা।

বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৬৫ মিনিটে মায়ামিকে সমতায় ফেরান মেসি। তবে ৭৫ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় আটালান্টা। স্লিশের গোলে ফের এগিয়ে যায় মায়ামি। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে হেরে এমএলএস কাপের প্লে-অফ পর্ব থেকে বিদায় নেয় মায়ামি।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীর পৃথক তিনটি স্থানে পথ নাটক “আহবান” মঞ্চস্থ

রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং অধিকার বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে গাংনীর পৃথক তিনটি স্থানে পথ নাটক “আহবান” মঞ্চস্থ করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাংনী উপজেলার কাথুলি ইউনিয়নের গাঁড়াবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, কাজিপুর ইউনিয়নের কাজিপুর খন্দকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ ও ষোলটাকা ইউনিয়নের বানিয়াপুকুর গ্রামে এই পথ নাটক মঞ্চস্থ করা হয়।

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের সহযোগীতায় পিস ফ্যাসিলেলেটর গ্রুপ (পিএফজি) স্থানীয় কমিটি এই পথ নাটকের আয়োজন করে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য দল “সুন্দরবন থিয়েটারের” পরিবেশনায় নাট্য নির্দেশক রাহুল প্রসাদ দাশের নির্দেশনায় পথ নাটক আহবানে অভিনয় করেন, মেরাজুল ইসলাম হৃদয়, ফারজানা উর্মি, সুশান্ত বৈরাগী, হিরা বিশ্বাস, শিউলি মন্ডল ও মাসুম খান শুভ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর গাংনী এরিয়া সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দীন, কাথুলি ইউনিয়ন সমন্বয়কারী আবুল বাশার, কাজিপুর ইউনিয়ন সমন্বয়কারী রোকনুজ্জামান, ষোলটাকা ইউনিয়ন সমন্বয়কারী আসাদুজ্জামান আসাদ। পথ নাটক শেষে দর্শকদের জন্য কুইজ প্রতিযোগীতার আয়োজন ছিল। এদের মধ্যে থেকে প্রতিটি স্থানে তিনজনকে পুরুস্কার প্রদান করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পিএফজি সদস্য সাংবাদিক জুলফিকার আলী কানন, কাথুলি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক ফোরামের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক নারী সদস্য ভাবিরন নেছা, কাজিপুর পিএফজির সদস্য আফরোজা আক্তার বানু, কাজিপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক ফোরামের সভাপতি শাহআলম শাহাব, স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাদী, কাজিপুর মাথাভাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক তানজুমান হক, ষোলটাকার বানিয়াপুকুরে অনুষ্ঠিত মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, এফজি সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম বকুল, গাংনী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ষোলটাকা ইউনিয়ন ভিডিটির সভাপতি নারী নেত্রী আম্বিয়া খাতুন। পথ নাটকে এলাকার শত শত নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।




জামায়াত ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই

মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা তাজউদ্দীন খান বলেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী চাই, ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে। বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গড়তে ও এদেশের পরিবর্তনের জন্য আরও ত্যাগ করার প্রয়োজন হলেও জামায়াত সেই ত্যাগ করবো। এদেশের পরিবর্তন আনতে জামায়াতের সকল নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে হবে।

গতকাল শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাংনী উপজেলা বামুন্দী ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বামন্দী ইউনিয়ন জামায়তের আমীর মাওলানা মোঃ আবুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শিক্ষক ফেডারেশনের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক রবিউল ইসলাম।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ ইকবাল হোসেন, গাংনী উপজেলা জামায়াতের আমীর ডাঃ মোঃ রবিউল ইসলাম, জেলা জামাায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা, জেলা মসজিদ মিশনের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মজিদ, গাংনী উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মফিজুর রহমান, গাংনী পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, মটমুড়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান সংগ্রাম, জেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম জিহাদি প্রমুখ

কর্মী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আহসানুল হক, উপজেলা জামায়াতের বাইতুল মাল সম্পাদক মোহাম্মদ সামসুল হুদা, বামন্দি ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুস সালাম, তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন আমীর মাওলানা মতিউর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা তাজ উদ্দীন খান আরও বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর একটা দু:শাসনের মধ্যে থেকে এদেশের মানুষের তাদের জীবন অতিবাহিত করতে হয়েছে।

ছোট এই জেলায় স্বাধীনতার পর থেকে রাজনীতির মাঠে থেকে জীবন দিতে হয়েছে এমন ইতিহাস নেই। অথচ, বিগত ১৭ বছরে রাজনীতির করার কারনে জামায়াত, শিবিরের ৫ জনকে জীবন দিতে হয়েছে। বিগত স্বৈরচারী সরকার এই জেলায় জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৮৬ টি মামলা দিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ১ হাজার নেতাকর্মীকে। জামায়াতের নারী কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৪ টি মামলা দেওয়া হয়েছে। ১০০ জন নারী সদস্যকে গ্রেফতার করে কারাগারে দিয়েছে, রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ডে নিয়ে তাদের সেলে পর্যন্ত রাখা হয়েছে। ১৭ টি বছর আমাদের জন্য একটা দু:শাসন ছিল।

তিনি বলেন, দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর পরে ভারত চিন্তা করছে বাংলাদেশে আমাদের আধিপত্য বিস্তার করতে হলে, দেশ প্রেমিক একটা দল জামায়াত ইসলামীকে ক্ষতম করতে হবে। সেই কারণেই তাদের চক্রান্ত বাস্তবায়ন করেছে স্বৈরাচার হাসিনা।

মাওলানা তাজ উদ্দীন বলেন, বিগত ৪৫ বছর আওয়াজ শুনলাম না আমরা রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী, নারী ধর্ষণকারী ছিলাম। আমরা ঘরবাড়ি জ্বাঁলাও পোঁড়াও করেছি। তারা ১৭ বছর যাবৎ জামায়াতের বিরুদ্ধে অপবাদ চালিয়েছে। তাঁরা এই অপবাদ চাপাতে রেডিও, টেলিভিশন, প্রিন্ট মিডিয়াকে ব্যবহার করেছে, ব্যবহার করেছে প্রশাসনকে। তাঁদের সেই মিথ্যাচার এদেশের মানুষ যদি একভাগও বিশ্বাস করতো তাহলে আমরা (জামায়াত) এই দেশে থাকতে পারতাম না।

তিনি উল্লেখ করেন, গাংনীর এক লেখক মেহেরপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি বই লিখেছে। সেখানে ৩২০ জন রাজাকারের লিষ্ট দিয়েছে। সেই বই নিয়ে আমরা মাঠে খোঁজ নিয়ে দেখেছি রাজাকারদের ৮০ ভাগ লোক আওয়ামীলীগ দলের নেতাকর্মী। বাকীরা অন্যদল করে আর জামায়াত ইসলাম দল করে মাত্র দুইটি পরিবার। এই অপবাদ ছিল জামায়াতের জন্য। ২০২৪ সালের ছাত্র জনতা এই কথাটা গর্বের সাথে গ্রহণ করেছে। রাজাকর শব্দটি যদি দিতে হয় এদেশের ১৮ কোটি জনতার সাথে আমরা নিজেদের রাজাকার দাবী করছি। এতদিন যে অপবাদ জামায়াতের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালে সেটাই মানুষের কাছে গর্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল।




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৫

গত ২৪ ঘন্টার পুলিশী অভিযানে নিয়মিত মামলা ও আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ৫ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।

মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের অভিযানে নিয়মিত মামলায় ১ ও আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ২ আসামি এবং মুজিবনগর থানা পুলিশের অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ১ ও নিয়মিত মামলার ১ আসামি রয়েছে।

শনিবার সকাল থেকে আজ রবিবার (১০ নভেম্বর) ভোররাত পর্যন্ত সদর ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমানুল্লাহ আল বারী এবং মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আসামি গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

তারা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করেছে।

আজ রবিবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে নেওয়া হবে।