কোটচাঁদপুরে ঘরের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি

প্রকাশ্য দিনের বেলা ঘরের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও স্বর্ণালোকার নিয়ে গেছে চোরেরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুর বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন আব্দুল কাদের মন্টু মিয়ার বাড়ির নিচ তলায়।

ভুক্তভোগী শিক্ষক ইসমত আরা বলেন,আমরা বাড়িতে মূলত তিন জন বসবাস করি। এর মধ্যে আমি কোটচাঁদপুর মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করি, মেয়ে বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন। আর মেয়ের আব্বা প্রায় সময় বাড়িতেই থাকেন।

তিনি বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকালে আমি ও আমার মেয়ে স্কুলে চলে যায়। আর ওনি যান কোটচাঁদপুর মেইনবাসস্টে আত্মীয়ের বাসায় আম পাঠাতে। এরপর বাড়িতে ফিরে এসে দেখত পান বাড়ির সব কাপড় চোপড় এলোমেলো, আলমারি, শোকেশ ও ঘরের দরজার তালা ভাঙ্গা। এ সব দেখে ওনি আমাকে মোবাইল করেন। তবে আমি ব্যস্ত ধাকায় মোবাইল রিসিভ না করায় আমার স্বামী মাদ্রাসা চলে যান। এরপর জানান এ ঘটনা। পরে আমি বাড়িতে এসে দেখতে পায় সব কিছু এলোমেলো।

তিনি আরো বলেন, চোরেরা ঘর থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও ৭ ভরি মত স্বর্ণালোংকার নিয়ে যান। এতে করে ১০/১২ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক এসআই মাসুম বিল্লাহ কে পাঠিয়ে ছিলাম। তিনি জানিয়েছেন ঘরের তালা চাবি দিয়ে খুলে এ চুরি সংগঠিত হয়েছে। একটা তালাও ভাঙ্গা হয়নি।

তিনি বলেন, মাসুম বিল্লাহ ঘটনাটি তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে। এ ছাড়া ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।




মুজিবনগরে সহকর্মীদের পিটুনিতে দলিল লেখক আহত

মেহেরপুরের মুজিবনগর সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র সহকর্মীদের পিটুনি ও ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলিল লেখক রাজু আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তি জয়পুর গ্রামের গোলাম হালসোনার ছেলে রাজু আহম্মেদ। তিনি সাব রেজিস্ট্রার অফিসে সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত একজন দলিল লেখক (লাইসেন্স নং-৩৫)। আহত রাজুর অভিযোগ, জমি রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণের পর তা অন্য মুহুরিরা ছিঁড়ে ফেলেন। এতে তিনি প্রতিবাদ জানিয়ে বিষয়টি মেহেরপুর জেলা সেনাবাহিনী ও তাঁর সরাসরি কর্মকর্তাকে জানান।

আজ বৃহস্পতিবার একটি প্রশিক্ষণ চলাকালীন দুপুরের খাবারের সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শহিদুল মুহুরি, জমির মুহুরি ও তাদের সহযোগীরা রাজুর ওপর অতর্কিত হামলা চালান। রাজুর দাবি, তিনি আশেপাশের মুহুরিদের কথাবার্তা ও আচরণে আগে থেকেই শঙ্কিত ছিলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে পাশের একটি স্কুলে আশ্রয় নেন। কিন্তু হামলাকারীরা বাইরে থেকে লোক ডেকে এনে স্কুলের ভেতরে ঢুকে আমাকে পিটিয়ে ও ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে এতে আমি গুরুতর আহত হয়ে অচেতন হয়ে পড়ি। পরে উপস্থিত এক ব্যক্তি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত দলিল লেখক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি এবিষয় সম্বন্ধে কিছুই জানিনা। আমি প্রশিক্ষণ শেষে আমার ঘরে বসে খাচ্ছিলাম এ সময় রাজু আমার ঘরে এসে মুহুরী হযরতকে গালিগালাজ করতে থাকে, আমি নিষেধ করলে আমার উপর উত্তেজিত হয়ে আমাকে গালিগালাজ করে এবং আমাকে আচমকা ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় এ সময় আশেপাশের মুহুরিরা প্রতিবাদ করলে সে পালিয়ে যায় পরে কি হয়েছে আমি কিছুই জানিনা। আমার বিষয়ে সে যদি কিছু বলে থাকে সব মিথ্যা কথা বলেছে।

এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনার তদন্ত এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন আহত রাজু আহম্মেদ ও তার পরিবার।

ঘটনার বিষয়ে মুজিবনগর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক কমিটির সভাপতি আফাজ উদ্দিন মুহুরীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ঘটনার সময় তিনি নামাজে ছিলেন এবং এই ঘটনার বিষয় তিনি কিছুই জানেন না।

ঘটনার বিষয়ে মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন কিন্তু এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাননি লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




কোটচাঁদপুরে স্ত্রীর দেয়া ধর্ষণ মামলায় বেকায়দায় স্বামী

প্রেম করে বিয়ে করেন সৌমিক নাজিফা (শুপ্তি) ও ওলিয়ার রহমান লিয়ন। দাম্পত্য জীবনের ১০ মাস পর এখন স্ত্রীর দেয়া ধর্ষণ মামলা কাধে নিয়ে ঘুরছেন ওই স্বামী। সে কোটচাঁদপুর বাজে বামনদহ পালপাড়ার শুকুর আলীর ছেলে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী।

ভুক্তভোগী ওলিয়ার রহমান (লিয়ন) বলেন, বিয়ের আগে আমার সঙ্গে ৬/৭ মাস সম্পর্ক ছিল সুপ্তির। সেটা ওর পিতা জানতে পেরে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল। এ সময় আমরা এক সাথে তাঁর মামার বাড়ি সলেমানপুর রবিউল ইসলামের বাড়িতে যায়। এরপর আব্দুল কাদের হুজুরকে ডেকে এনে হাতে হাত দিয়ে কবুল পড়িয়ে দেন। এরপর থেকে আমরা দীর্ঘ ১০ মাস যবাৎ দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছি।

তবে মাঝে মধ্যে আমার স্ত্রী সঙ্গে একটু ঝামেলা হতো। এটা নিয়ে তাঁর পরিবারের লোকজন খারাপ আচরণ করতো আমার ও আমার পরিবারের মানুষদের সঙ্গে। সে কারণে আমি আইন মোতাবেক তাঁর খোরপোশের টাকা দিয়ে তালাক দিই। এতে করে তারা আমাকে কোন রকম আটকাতে না পেরে, তারা আমার নামে ধর্ষন মামলা দিয়েছেন।

অন্যদিকে মেয়ের পিতা ফিরোজ হোসেন বলেন, তারা সম্পর্ক করে বিয়ে করেন। তবে আমি প্রথম থেকেই ওই বিয়ের বিরোধিতা করে আসছিলাম। তবে বিয়ের বেশ কিছু দিন পর জানতে পারলাম,ওলিয়ার মেয়েকে মারধর সহ শারিরীক ভাবে নির্যাতন করেন। আর তারা যে বিয়ে করেছেন, এর কোন কাগজপত্র এখনও দেখাতে পারেনি। এ কারণে তাঁর নামে ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে।

খোরপোষের টাকা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ওরা নিজেরা টাকা পাঠিয়ে, নিজেরাই রিসিভ করেছেন। এখন তারা মিথ্যা কথা বলছেন। আমি কোন টাকা রিসিভ করি নাই।

প্রতিবেশী শাকিল হোসেন বলেন, আগে থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে, তারা বিয়ে করেন। পরে সলেমানপুর মেয়ের মামা রবিউল ইসলামের বাড়ি থেকে মেয়ে তুলে দেন। ওইদিন কাজী দিয়ে বিয়ে হয়েছিল কিনা জানিনা। তবে হুজুর ডেকে দোয়া অনুষ্ঠান করেছিল।

হুজুর আব্দুল কাদের বলেন, ঘটনা তো এক বছর আগের। মেয়ের মামা রবিউল ইসলামের ছেলে আমার কাছে পড়েন। হঠাৎ করে মসজিদে এসে বলেন আমার ভাগ্নির কাবিন করে বিয়ে হয়ে গেছে। আপনি ছেলেকে নিয়ে আসেন একটু দোয়া করে দিবেন। সে কথা মোতাবেক আমি গিয়েছিলাম। এরপর আমি দোয়া করে চলে আসি। তবে কাবিন কোথায় করেছে, কিভাবে করেছেন আমি জানিনা।

ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবার।




১২০ টাকা খরচে পুলিশে চাকরি পেলেন ৯ জন

মোছাঃ ফারজানা খাতুন, একজন সংগ্রামী তরুণী। দুইবার ব্যর্থতার পরও হাল ছাড়েননি। অবশেষে নিজের যোগ্যতা ও পরিশ্রমের ফলস্বরূপ তিনি এবার প্রাথমিকভাবে পুলিশের চাকরির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, আমার ফরম পূরণ করতে ১২০ টাকা লেগেছে, এর বাইরে আমার এক টাকাও খরচ হয়নি। আমি সম্পূর্ণ নিজের যোগ্যতায় এখানে এসেছি। আজ আমি খুবই খুশি, কারণ দুইবার ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে নিজের যোগ্যতায় আমি পুলিশের চাকরিতে নির্বাচিত হয়েছি। শুধু আমি নয়, আমার বাবা-মাও অনেক খুশি।

তিনি আরও জানান, তার বাবা একজন কৃষক। অনেক কষ্ট করে তাকে পড়াশোনা করিয়েছেন। আজকের এই সাফল্যে তিনি যেমন গর্বিত, তেমনি তাঁর বাবা-মাও আনন্দে আপ্লুত।

নির্বাচিত একজন বলেন, চাকরি পাওয়া অবশ্যই আনন্দের বিষয়। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা ও অধ্যবসায়ের পর নিজের যোগ্যতায় এই চাকরি পাওয়া সত্যিই গর্বের। আমার বাবা একজন কৃষক। তিনি অনেক কষ্ট করে আমাকে পড়াশোনা করিয়েছেন, যার ফল আজ আমি হাতে পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, অনেক কষ্টের পর এই সাফল্য আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত। এ অর্জন শুধু আমার একার নয়, আমার পরিবারের, বিশেষ করে আমার বাবার স্বপ্নপূরণের এক গর্বিত মুহূর্ত।

মেহেরপুরে পুলিশ কনস্টেবল (টিআরসি) পদের নিয়োগ পরীক্ষায় শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে উত্তীর্ণ হয়ে প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়েছেন ৮ জন পুরুষ এবং ১ জন নারীসহ মোট ৯ জন।

নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিয়োগ বোর্ড।

মেহেরপুর পুলিশ লাইন্সে নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপে প্রার্থীরা শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। নিজেদের মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে ৯ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন। ওয়েটিং লিস্টে আছেন ২ জন।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে সাড়ে ৫ টায় মেহেরপুর পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম।

পুলিশ সুপার বলেন, প্রাথমিকভাবে ৯ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন এবং আরও ২ জন ওয়েটিং লিস্টে রয়েছেন। তাদের কারো সাথেই কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন হয়নি। যদি কারো সঙ্গে লেনদেন হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিন, আমরা সেই টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করব। তবে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

যারা এখানে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তারা সম্পূর্ণ নিজেদের যোগ্যতার ভিত্তিতেই নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে কোনো তদবির বা সুপারিশের ভূমিকা ছিল না। অর্থাৎ, শুধুমাত্র মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন হয়েছে।

জেলা পুলিশ পুরোপুরি স্বচ্ছতা বজায় রেখেছে। সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ থাকবে আপনারা যদি কোনো লেনদেন বা অনিয়মের প্রমাণ পান, তাহলে যথাযথ ডকুমেন্টসহ আমাদের সামনে তুলে ধরুন। আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এমন কোনো অনিয়ম ঘটার সুযোগ ছিল না।

ফলাফল ঘোষণাকালে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জামিনুর রহমান খান, মাগুরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ.এস.এম মুক্তারুজ্জামান, কুষ্টিয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার সরকার।

নতুন চাকরি পাওয়া তরুণ-তরুণীরা তাদের মেধা ও যোগ্যতায় বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্য হতে পেরে উচ্ছ্বসিত এবং আনন্দিত।




শৈলকুপায় ট্রাক চাপায় স্কুল ছাত্র নিহত

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ট্রাক চাপায় জিসান (১৭) নামের মোটরসাইকেল আরোহী স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার বড়দাহ এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত স্কুল ছাত্র জিসান উপজেলার বড়দাহ গ্রামের মান্নান হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে জিসান গাড়াগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতা জমা দিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলো। পথে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের বড়দাহ মাদ্রাসা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।

এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় জিসান। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। জিসান গাড়াগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

ঝিনাইদহের আরাপপুর হাইওয়ে থানার ওসি মৃত্যুঞ্জন শিকারী বলেন, মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকলে তাদের কাছে বুঝে দেওয়া হবে।




মহেশপুর সীমান্ত যেন মাদক ও মানব পাচারের ‘নিরাপদ রুট’

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত এখন মাদক ও মানব পাচারের জন্য একটি ‘নিরাপদ রুটে’ পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ এই সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে ভারতে। একইসঙ্গে ভারত থেকে শত শত মানুষ অবৈধভাবে প্রবেশ করছে বাংলাদেশে। যা প্রতিদিন বিজিবির হাতে ধরাও পড়ছে। পাশাপাশি সীমান্ত পেরিয়ে আসছে কোটি কোটি টাকার মাদকদ্রব্য, যা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে জানা গেছে, মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে সক্রিয় একাধিক পাচারকারী চক্র দীর্ঘদিন ধরে নির্বিঘ্নে মাদক ও মানব পাচারের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এসব কর্মকাণ্ডে সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষ চরমভাবে উদ্বিগ্ন। স্থানীয়দের অভিযোগ, সীমান্তে মাঝে মধ্যেই মাদকসহ কিছু পাচারকারী ধরা পড়লেও, বড় ধরনের চক্রগুলো থেকে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

আজ বৃহস্পতিবার ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের মহেশপুর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গত ১৫ মাসে (২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত) মহেশপুর ও জীবননগর সীমান্ত থেকে প্রায় ১১৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এতো বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ হলেও মামলায় আসামি থাকে না বললেই চলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাদক ‘পরিত্যক্ত অবস্থায়’ উদ্ধারের কথা বলা হয়। এতে নানা ধরণের প্রশ্নের সৃষ্টি হয়।

অন্যদিকে, সম্প্রতি মাসগুলোতে কয়েক হাজার মানুষকে এই সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পারাপারের অভিযোগ উঠেছে। সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত হয়েছেন দুই বাংলাদেশি নাগরিক, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।

মহেশপুর সীমান্ত এলাকায় বিজিবির পক্ষ থেকে নিয়মিত টহল ও অভিযান চালানো হলেও, পাচার থেমে নেই। স্থানীয়দের বক্তব্য “যদি সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা ও নজরদারি থাকে, তাহলে প্রতিদিনই কীভাবে এই পরিমাণ মাদক প্রবেশ করে? মানুষ পাচার হয় কীভাবে?”

সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি রয়েছে। এত কড়াকড়ির মাঝেও মাদক ও মানুষ পাচার হয় কীভাবে? এমন প্রশ্ন অভিজ্ঞ মহলের।
এ ব্যাপারে মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম পিএসসির বক্তব্য জানতে তার সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।




মুজিবনগরে ‘তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা

তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য নিয়ে মুজিবনগরে অনুষ্ঠিত হয়েছে “তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণ” শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা।

বৃহস্পতিবার সকালে জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে মুজিবনগর সরকারি ডিগ্রি কলেজে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক জনাব সিফাত মেহনাজ।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব পলাশ মন্ডল। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা তথ্য অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ হেলাল ওসমান।




মেহেরপুরে বিভিন্ন দাবিতে ঔষধ ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

ঔষধ বিক্রির উপর কমিশন বাড়ানো, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দ্রুত ফেরত নেওয়া ও প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসিতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ এবং সকল ওষুধের মূল্য নির্ধারণে সরকারের হস্তক্ষেপের দাবিতে মেহেরপুরে মানববন্ধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

সংগঠনের জেলা সভাপতি আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে মানববন্ধনে সংগঠনের সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান রন, মতিউর রহমান, আমিনুল ইসলাম সেন্টু, বাবর আলী, কাজী খয়রুদ্দিন আহমেদ, আসিফ আল মোনায়েম, জালাল উদ্দিন, মোঃ সেলিম খানসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বক্তারা বলেন “ফার্মেসিগুলো ন্যায্য কমিশন পাচ্ছে না, অথচ খরচ ও ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। তাই কমিশন বাড়ানো এখন সময়ের দাবি। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের কারণে সাধারণ মানুষ যেমন ক্ষতির শিকার হয়, তেমনি ব্যবসায়ীরাও সমস্যায় পড়েন। তাই দ্রুত ফেরত ও প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।




মেহেরপুরে গ্রাম আদালত ব্যবস্থা সক্রিয়করণ বিষয়ক মতবিনিময় সভা

মেহেরপুরে গ্রাম আদালত ব্যবস্থা সক্রিয়করণ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার বিকেলে সাড়ে ৪ টার দিকে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আয়োজন আদালত ভবনের সম্মেলনের কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এস এম নাসিম রেজা।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা মূলত জনগণের উপকারের জন্যই কাজ করি, সে যেভাবেই হোক না কেন। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো জনগণের কল্যাণ সাধন। এজন্য কেউ চেয়ারম্যান হোক বা ওসি, আমাদের উদ্দেশ্য একটাই জনগণের উপকার। পদ্ধতিগতভাবে ভিন্নতা থাকতে পারে, তবে লক্ষ্য একই।

গ্রাম নিয়েই আমাদের বাংলাদেশ। আমাদের মেহেরপুর জেলায় ২৫৯টি গ্রাম রয়েছে। এই গ্রামগুলোতে যদি আমরা গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সক্রিয়ভাবে চালাতে পারি, তাহলে দেখবেন এখানকার মামলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ তহিদুল ইসলাম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাজাহান আলী, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ নূর নবী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জামিনুর রহমান খান, সিনিয়র সহকারী জজ মোঃ মাসুদ রানা, ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট, ইউএনডিপি, বাংলাদেশ এবং এ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট তাজুল ইসলাম, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২য় সত্যব্রত শিকদার, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাহিদুর রহমান প্রমুখ।




মেহেরপুরের শ‍্যামপুরে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন

মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২১ মে) সকাল ১১টায় শ্যামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য ইলিয়াস হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম ও ফয়েজ মোহাম্মদ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য আলমগীর খান ছাতু, আব্দুল্লাহ, এম এ খায়রুল বাশার, হাফিজুর রহমান হাফি, ওমর ফারুক লিটন, মকবুল হোসেন মেঘলা।

সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জাসাসের সদস্য সচিব এ. বাকাবিল্লাহ, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন তপু, এস. এ. খান শিল্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজুর রহমান ফিরোজ, আমদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন, পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মশিউল আলম দ্বীপু, যুবদলের সদস্য মেহেদী হাসান রোলেক্স, সুইট, জনি, নাহিদসহ ইউনিয়নের নেতাকর্মীবৃন্দ।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটের মাধ্যমে শ্যামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হিসেবে তোফাজ্জেল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাহিদুল ইসলাম নির্বাচিত হন।