ঝিনাইদহে ক্যাবের আয়োজনে প্রতিবাদ, মানববন্ধন ও র‌্যালী

দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে আলু পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মুল্যবৃদ্ধি ও আইনে নিষিদ্ধ খোলা বাজারে ভোজ্য তেল বিক্রির প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়।

কর্মসূচীতে ক্যাবের সভাপতি আমিনুর রহমান টুকু, সাধারণ সম্পাদক শরিফা খাতুন, সদস্য এন এম শাহজালাল, কৃষিবিদ আহম্মেদ হোসেন, আব্দুল মজিদ, সাংবাদিক ও আইনজীবী আলাউদ্দিন আজাদ, চ্যানেলটোয়েন্টিফোর’র প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি শারমিন সুলতানাসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা, আলু পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের মুল্যবৃদ্ধিতে দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও সিন্ডিকেটকে দায়ী করে দ্রুতই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান। সেই সাথে খোলা বাজারে ভোজ্য তেল বিক্রি আইনে নিষিদ্ধ হলেও তা অবাধে বিক্রি হচ্ছে যা দ্রুত বন্ধ করার দাবীও জানান।

এর আগে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে একটি র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পোস্ট অফিস মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরাবর স্মারকলিপি প্রদাণ করা হয়।




ঝিনাইদহে উত্তম কৃষি চর্চা বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ

ঝিনাইদহে উত্তম কৃষি চর্চা নিয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদাণ করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষণ প্রদাণ করা হয়।

এতে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্টী চন্দ্র রায়, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার (কৃষি) মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শষ্য) আনিসুজ্জামান খান, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) সেলিম রেজা, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-এ-নবী, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মীর রাকিবুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ এন্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) প্রোগ্রামের আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ প্রশিক্ষণের আযোজন করে।

এতে সদর উপজেলার ২৫ জন কৃষক ও কৃষাণীকে মানব দেহের জন্য নিরাপদ ও গুনগত মান সম্পন্ন কৃষি ফসল উৎপাদন, বিপণনসহ পণ্যের ব্যান্ডিং নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।




চাকরি দিবে আবুল খায়ের গ্রুপ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আবুল খায়ের গ্রুপ। ডিস্ট্রিবিউশন এক্সিলেন্স অফিসার পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে প্রতিষ্ঠানটি। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মাসিক ৪৫ হাজার টাকা বেতন ছাড়াও নির্বাচিত প্রার্থীরা প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী পাবেন আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা।

প্রতিষ্ঠানের নাম : আবুল খায়ের গ্রুপ

পদের নাম : ডিস্ট্রিবিউশন এক্সিলেন্স অফিসার পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয় অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ১ বছর

বয়সসীমা : সর্বোচ্চ ৩২ বছর

কর্মস্থল : দেশের যেকোনো স্থানে

বেতন : ৪৫,০০০ টাকা (মাসিক)

আবেদন শুরুর তারিখ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

কর্মঘণ্টা : ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র : অফিসে

প্রার্থীর ধরন : শুধু পুরুষ

শিক্ষাগত যোগ্যতা : যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি

অন্যান্য যোগ্যতা : সিগারেট, বিড়ি, ম্যাচ এবং লাইটার বিক্রয় এবং মার্কেটিং কাজে দক্ষতা। অন্যান্য সুবিধা : প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

আবেদনের শেষ সময় : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সূত্র: কালবেলা




হরিণাকুণ্ডুতে ভ্রাম্যমান আদালতে তিন ব্যবসায়ীর জরিমানা

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে গত দুইদিনে এক ভূষিমাল ব্যাবসায়ী ও দুজন ঔষধ বিক্রেতার নিকট থেকে ১০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঈষিতা আক্তার।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে হরিণাকুণ্ডু বৈঠাপাড়া এলাকায় ঔষুধ বিক্রেতা হাফিজূর রহমানের ছেলে শাহ আলম কে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষুধ রাখা, ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রয় সহ আনুমতি বিহীন বিদেশি ঔষধ রাখা ও বিক্রয়ের অপরাধে “ঔষুধ ও কসমেটিক আইন”২০২৩ সালের ৪০ এর ক,খ ও গ ধারায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করছেন।

একই সময়ে তিনি হরিণাকুণ্ডু পৌর এলাকার বন্দে আলীর ছেলে ঔষুধ বিক্রেতা রাশেদুল ইসলাম কে ভ্রাম্যমান আদালতে একই অপরাধে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

এসময় ঝিনাইদহ জেলা ঔষধ পরিদর্শক ইকরামূল করিম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নাজির কাম ক্যাশিয়ার সুদ্বীপ অধিকারী উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও আগের দিন পার্বতীপূর বাজারে পলিথিন ও পণ্যে প্লাস্টিক মোড়ক ব্যাবহারের অপরাধে মৃত নূর আলীর ছেলে ভূষিমাল ব্যাবসায়ী নজরুল ইসলাম কে ভ্রাম্যমান আদালতে ” পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যাবহার আইন-২০১০ এর ১৪ ধারায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন তিনি। এসময় ঝিনাইদহ জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা কে এম আব্দুল বাকী ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) এর নাজির কাম ক্যাশিয়ার সুদ্বীপ অধিকারী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালীন সময়ে সকল অপরাধীর কাছ থেকে অপরাধ করবেনা মর্মে মুচলেকা আদায় করেন এ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঈষিতা আক্তার।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কাজে হরিণাকুণ্ডু থানার পুলিশ সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।




শিশুদের জন্য সিসিমপুরের নতুন সিরিজ

দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশনে শিশুদের বিনোদন ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান সিসিমপুর প্রচার হয়ে আসছে। এবার শিশুদের জন্য নতুন আয়োজন নিয়ে এলো জনপ্রিয় এই শিশুতোষ অনুষ্ঠান। জনপ্রিয় ও প্রচলিত ৪০টি শিশুতোষ ছড়া নিয়ে সিসিমপুর তৈরি করছে ছড়ার সিরিজ। ছড়াগুলো আবৃত্তি করবে হালুম, টুকটুকি, ইকরি ও শিকু।

ইউএসএআইডি সিসিমপুর প্রকল্পের আওতায় শিশুদের জন্য শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণে মানসম্মত এই ভিডিও কনটেন্টগুলো নির্মিত হয়েছে ইউএসএআইডি/বাংলাদেশ-এর সার্বিক সহযোগিতায়।

অধিকাংশ ছড়াই নেওয়া হয়েছে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির বই থেকে। এর মাধ্যমে শিশুরা ছড়াগুলো আরও আগ্রহের সঙ্গে শিখতে পারবে। পাশাপাশি পাঠ্যবইয়ের জনপ্রিয় ও মজার ছড়াও আছে।

এ বিষয়ে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, “আমরা জানি, ছড়া এমন একটি মাধ্যম যা শিশুদের ভাষা শেখায় দারুণ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। নতুন নতুন শব্দের অভিযোজন, শব্দের উচ্চারণ, ছন্দ, দ্যোতনা, বাক্যগঠন, সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তি বিকাশে ছড়া অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে প্রথম ধাপে ৪০টি ছড়ার ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করেছি আমরা। যা আমাদের শিশুদের শিখন প্রক্রিয়াকে আরও বেশি আনন্দময় ও অর্থবহ করে তুলবে। আমরা আশাকরি বরাবরের মতো বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আমাদের এই উদ্যোগেও পাশে থাকবে।”

এছাড়াও সিসিমপুর সূত্রে জানা যায়, নির্মিত ছড়াগুলো ইতোমধ্যেই সিসিমপুরের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রচার শুরু হয়েছে। এছাড়া সিসিমপুর এপস, বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল এবং নানা ধরনের কমিউনিটি কার্যক্রমের মাধ্যমেও শিশু এবং অভিভাবকদের নিকট এই ছড়াগুলো পৌঁছানো হবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে শীতকালীন সবজি বাঁধাকপির বাম্পার ফলন

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের মাঠে উর্বর মাটি । এ মাটিতে যে ফসলই রোপণ করা হোকনা কেনো তার সর্বোচ্চ ফলন পান কৃষক। তাইতো শীতকালে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম বাঁধাকপির বাম্পার ফলনের আশায় প্রহর গুনছেন কৃষকরা। অধিক ফলন ও লাভের আশায় দিনরাত ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রতনপুর গ্রামের মাঠে কৃষকরা বাঁধাকপি ক্ষেত নিড়ানি ও পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে কৃষকরা টপিকসান প্লাস ও অটোম কুইন জাতের বাঁধাকপি চাষ করছেন। এদিকে চাষিরা বলছেন, কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি, জমি চাষ, বীজ, সার, সেচ, শ্রমিক খরচসহ এবার প্রতি বিঘা জমিতে বাঁধাকপি চাষে খরচ হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। তবে চারা রোপনের প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ দিনেই বাঁধাকপি বাজারজাত করা যায়। প্রতি পিস বাঁধাকপি ১৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

জানা গেছে, বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন প্রকার শীতকালীন সবজির দাম বেশি হওয়াই বাঁধাকপির কদর বেড়েছে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় বিক্রি করতেও বেগ পোহাতে হচ্ছেনা চাষিদের। পাইকারী দামে জমি থেকেই এসব সবজি ক্রয় করে তা স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করছেন।

সদর উপজেলার রতনপুর গ্রামের চাষি কামাল হোসেন বলেন, আগাম বাঁধাকপি চাষ লাভজনক হওয়ায় তিনি দুই বিঘা জমিতে বাঁধাকপি চাষ করছেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে দেরীতে হলেও অল্প দিনের মধ্যেই বাজারে বাঁধাকপি তুলতে পারবেন বলে জানান। তিনি আরও বলেন, স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলা মাগুরা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করা হয়।

গোলজার হোসেন নামের একজন সফল চাষী বলেন, অধিক ফলন ও লাভের আশায় তিনি প্রতি বছরই জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেন। কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বাঁধাকপি চাষে ঝুঁকেছেন। তবে বিগত বছরের তুলনায় এবার কীটনাশকের ডোজ দ্বিগুণ দিতে হয়েছে বলে জানান।

সবজি চাষী নয়ন মিয়া বলেন, শীতকালীন আবাদ আগাম চাষে বাজারে চাহিদা বেশী থাকায় দাম বেশি পাওয়া যায়। যে কারণে স্বল্প সময়ে সীমিত খরচে অধিক মুনাফা লাভের আশায় তিনি এবার ৪৫ শতক জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছেন। তবে এ বছর অত্যাধিক বৃষ্টিপাতের কারণে খরচের পরিমাণ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যায়।

এ ব্যপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নূর-এ-নবী বলেন, বাঁধাকপি একটি উচ্চ ফলনশীল জাতের সবজি হওয়ায় কৃষকেরা আগাম চাষাবাদে ঝুঁকেছেন। এতে তারা হয়ত ভালো লাভবান হবেন। তাছাড়া কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণে সার্বক্ষণিক ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি কীটনাশকের দাম বৃদ্ধির বিবেচনায় কৃষকদের জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের জন্য পরামর্শ ও দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও তিনি ক্ষতিকর পোকামাকড়দের আক্রমণ রোধে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করেন।




দৃষ্টিহীনদের বিশ্বকাপে রানার্সআপ বাংলাদেশ

দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারদের নিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে এবারের বিশ্বকাপ আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশ রানার্সআপ হয়েছে।

গতকাল মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচটিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ করে ৭ উইকেটে ১৩৯ রান। জবাবে স্বাগতিক পাকিস্তান কোনো উইকেট না হারিয়েই মাত্র ১১.২ ওভারেই জয় তুলে নেয়।

শিরোপা-নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন আরিফ হুসেইন। এছাড়া সালমান করেন ৩১ রান ও আশিকুর করেন ২২ রান। পাকিস্তানের হয়ে ওপেনার নিসার আলী ৭২ ও মোহাম্মদ সফদার ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন। এ দিকে দ্বিতীয়বারের মতো হাতছোঁয়া দূরত্ব থেকে ফিরতে হলো বাংলাদেশকে। ২০২২ সালের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে হেরেছিলেন লাল- সবুজের প্রতিনিধিরা।

রানার্সআপ বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সূত্র: ইত্তেফাক




একটা বয়স্ক ভাতা হতে পারে জীবনের চলার পথে বড় সম্বল

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পীরপুরকুল্লা গ্রামের মখোলাপাড়ার মৃত রমজানের স্ত্রী ৭০ বছরের বৃদ্ধা অসহায় বিধবা আকলিমা খাতুনের একটি বয়স্ক ভাতা হতে পারে তার জীবনের বেঁচে থাকার বাকি বছর গুলোর শেষ সম্বল।

জানা গেছে, পীরপুরকুল্লা গ্রামের আকলিমা খাতুনের স্বামী ৪৫ বছর পূর্বে মারা গেছেন। তখন তার এক মেয়ে ও কোলে এক শিশু ছেলে ছিলো। অনেক কষ্ট করে ছেলে মেয়ে মানুষ করে বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে এখন নাতি নাতনির নানা দাদা হয়ে গেছে। আকলিমা আক্ষেপের সুরে বলেন আমার শিশু সন্তান যখন কোলে তখন আমার স্বামী মারা যায়। সেই থেকে আজ অবধি একটা বিধবা ভাতা ও বয়স্কভাতার কার্ড কপালে জুটলো না। ছেলের ছেলে মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। তারা কষ্ট করে আমার ছেলের বউ বাপের বাড়ি থেকে জমি বিক্রি করে এনে তাদের ঘর করে দিয়েছে। মানুষ আসলে আমার ছেলের ঘর দেখে। বলে পাকা বাড়ি। আমার তো প্রতিমাসে তিন চার হাজার টাকার ওষুধ লাগে।ছেলের বাড়ি তিনবেলা ভাত খাই। মেয়ের বাড়ি গিয়ে থাকি। তারা ভাত কাপড় দিলেও আমার ওষুধ খরচ তো তারা দিতে পারেনা। সে সামর্থ তাদের নেই।তাদের যা আয় তাই দিয়ে সংসার চলে। এ বয়সে যদি একটা বিধবা বা বয়স্ক ভাতা কার্ড হতো তবুও তা দিয়ে যা পেতাম। কোনরকম বাকি জীবনটা ওষুধ কিনে খেয়ে চলতে পারতাম।

স্থানীয় অনেকে নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন বৃদ্ধা আকলিমা খুব কষ্ট করে জীবন পার করেছেন। এখনো করছেন। তার একটি বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতা কার্ড হলে সে খুবই উপকৃত হতো। বৃদ্ধা আকলিমার একটি বয়স্ক ভাতা কার্ডের ব্যাবস্থা করতে দামুড়হুদা উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সহ দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।




পুষ্পা ২: দ্য রুল মুক্তির একদিন বাকি, তবে কি পুষ্পা ৩ আসছে?

পুষ্পা ২: দ্য রুল মুক্তির আর মাত্র একদিন বাকি। ৫ ডিসেম্বর বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে এই সিনেমা, যার জন্য সারা বিশ্বের ভক্তরা শ্বাসরুদ্ধকর অপেক্ষায় রয়েছেন। ছবিটির বিশাল বাজেট ইতোমধ্যেই প্রায় উঠে গেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১,২০০ কোটির মধ্যে ১,০৮৫ কোটি ইতোমধ্যে আয় করা হয়েছে (থিয়েট্রিকাল রাইটস বিক্রি থেকে ৬৪০ কোটি এবং ডিজিটাল রাইটস বিক্রি থেকে ২৭৫ কোটি)। এমন পরিস্থিতিতে, আল্লু অর্জুন ও রাশমিকা মান্দান্না অভিনীত এই ছবির জন্য বাকিটা আয় করা কোনো কঠিন কাজ হবে না।

 

তবে, সম্প্রতি একটি তথ্য ফাঁস হওয়ার পর ইন্টারনেটে শুরু হয়েছে নতুন গুঞ্জন। #Pushpa3TheRampage ট্রেন্ডিংয়ে উঠে এসেছে এবং তার পেছনে রয়েছে একটি বিশেষ কারণ। ফ্র্যাঞ্চাইজির সাউন্ড ডিজাইনার রেসুল পুকুট্টি একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন, যেখানে সাউন্ড টিমের সদস্যরা একটি মিক্সিং বোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে দেখা গেছে একটি পোস্টার, যেখানে লেখা ছিল Pushpa 3: The Rampage। এটি বুঝতে পেরে তিনি পোস্টটি দ্রুত মুছে ফেলেন, তবে এর মধ্যেই এটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।

 

অনেকে এটিকে পুষ্পা ২: দ্য রুল-এর প্রচারের একটি কৌশল বলে মনে করলেও, ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে পুষ্পা ৩ নিশ্চিত। এর পেছনে যুক্তি হলো, ২০২২ সালে বিজয় দেবরাকোন্ডার করা একটি টুইট। তিনি পরিচালক সুকুমারকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছিলেন, “জন্মদিনের শুভেচ্ছা @aryasukku স্যার – আপনার সুস্বাস্থ্য ও সুখ কামনা করি! আপনার সাথে সিনেমা শুরু করার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না 🙂 ২০২১ – দ্য রাইজ। ২০২২ – দ্য রুল। ২০২৩ – দ্য র‍্যাম্পেজ।”

 

এই টুইট শুধু দ্য র‍্যাম্পেজ-এর সত্যতা প্রমাণ করে না, বরং আরেকটি প্রশ্নও তোলে – তবে কি পুষ্পা ৩-এ খল চরিত্রে থাকবেন বিজয় দেবরাকোন্ডা?




তেরাইল-জোড়পুকুরিয়া কলেজে অন্যের জমি দখল করে গেইট ও প্রাচীর নির্মাণ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেরাইল-জোড়পুকুরিয়া কলেজের কোটি টাকা লুটপাটের খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাখে নানা অনিয়মের খবরও উঠে আসছে। গতকাল মেহেরপুর প্রতিদিনে “শিক্ষক নিয়োগের কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় পর এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। চায়ের দোকান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মেহেরপুর প্রতিদিন পড়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন উৎসুক জনতা। অতিরিক্ত পত্রিকা এলাকায় বিক্রির খবর জানিয়েছেন আমাদের স্থানীয় এজেন্ট।

সরেজমিন ও বিভিন্ন অভিযোগের মাধ্যমে জানা গেছে, ২০২১ সালে কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার মৃত্যুর পর থেকে অনিয়ম আর দুর্নীতি ভরে গেছে কলেজটিতে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতির মন মত চালানো হয়েছে কলেজটিকে। গোলাম মোস্তফার মৃত্যুর পর আওয়ামী দলীয় প্রভাষক মাসুম উল হক মিন্টুকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেন তৎকালীন সভাপতি বামন্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম। ৫ জন সিনিয়র শিক্ষককে বাদ দিয়ে ৬ নম্বর সিনিয়র শিক্ষক মাসুম উল হককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর পর থেকে শুরু হয় নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম।

আর্থিক দুনীতি নিয়ে থেমে থাকেনি প্রতিষ্ঠানের গভর্ণিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষরা। ক্ষমতার বলয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করে নিজের মত অন্যের জমি দখল করে নিমার্ণ করেছেন গেইট ও প্রাচির। তাদের ক্ষমতার কাছে নস্যি হয়ে বিচারের আশায় বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। এনিয়ে আদালতে একটি মামলাও চলমান রয়েছে।

জানা গেছে, কলেজের দক্ষিণপাশে ফিদাহ হাসান নামের এক ব্যক্তির ৯ শতক জমি দখল করে নতুন গেইট নির্মাণ ও রাজিব নামে এক ব্যক্তির সাড়ে ১০ শতক জমি দখল করে প্রাচির নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে । সাবেক এমপি সাহিদুজ্জামান, সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুম উল হক জমি ক্রয় না করেই এসকল নির্মাণ কাজ করে অর্থ তছরুপাত করেছেন।
ফিদাহ হাসান গাংনী বাশবাড়িয়া টেকনিক্যাল ও বিএম কলেজের প্রভাষক। তাঁর বাড়ি তেরাইলের পার্শ্ববর্তি গ্রাম জোড়পুকুরিয়াতে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া মহাসড়কের পাশে কলেজ সংলগ্ন তার ৯ শতক জমি রয়েছে। সেই জমি দখল করে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুম উল হক, সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপির সাহিদুজ্জামানের ক্ষমতা ব্যবহার করে তার জমি দখল করে সেখানে বড় একটি গেইট নির্মাণ করেছেন। ওই জমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৯০ লাখ টাকা হবে। গেইট নির্মাণের সময় বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করা হলে সাবেক এমপির ক্ষমতার কারণে আমরা কথা বলতে পারিনি। ফলে তারা জবরদখল করে আমার জমির উপর গেইট নির্মাণ করেন। তিনি জমিটি ফেরত পাওয়ার দাবি করেন।

এছাড়া, ২০২২ সালে তেরাইল মৌজার ৪৮২৫, ৪৮০০, ৬০০৮ দাগে খাস কাবলা দলিল মূলে তেরাইল গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে রাজিব হোসেন, তার মা মিনারা খাতুন, ভাই রাজু আহমেদ ও নিজ নামে ১০.২৫ শতক জমি কিনেন আজগর আলীর সাথে। এবং জমির নামজারিও ও খাজন প্রদান করেন। জমিটি রাজিবদের দখলে থাকলেও চলতি বছরের ৯ মার্চ তারা পাকা প্রাচির দিতে গেলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুম উল হক ও কলেজ গভর্নিং কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম তাদের কাজে বাঁধা দেন এবং তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন। পরে তারা কলেজের পক্ষ থেকে জমির মাঝ দিয়ে প্রাচির নির্মাণ করেন। এনিয়ে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে রাজিব একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য জেলা লিগ্যাল এ্ইড কর্মকর্তার দেওয়া প্রতিবেদনে জমিটি রাজিবদের বলে উল্লেখ করা হয় এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ কোন কাগজপত্র দাখিল করতে পারেননি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিনারুল ইসলাম বলেন, আগের অধ্যক্ষ সাবেক সভাপতিকে নিয়ে অন্যদের জমি দখল করে কলেজের গেইট ও প্রাচির নির্মাণ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে নতুন গভর্নিং বডির সভাপতিকে জানানো হয়েছে। এবারের মিটিংয়ে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।

অন্যের জমিতে গেইট ও প্রাচির নির্মাণ প্রসঙ্গে বর্তমান গভর্ণিং বডির সভাপতি জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, দুইজনের জমিতে এসকল পার্কা নির্মাণ করা হয়েছে বলে জেনেছি। আগের কমিটির উচিত ছিলো তাদের সাথে মিমাংসা করার পর পাকা নির্মাণ করার। তবে আমরা চেষ্টা করছি তাদের জমিগুলো নিয়ে মালিক পক্ষের সাথে একটা মিমাংসার প্রক্রিয়া চালানোর।

অন্যের জমিতে গেইট ও প্রাচির নির্মাণের বিষয়ে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুম উল হক বলেন, কলেজের পাশে দুই জনের জমি আছে, তবে যেখানে গেইট ও প্রাচির করা হয়েছে ওটা তাদের জমি না। তিনি আরও বলেন, সাবেক এমপির নির্দেশে গেইট করা হয়েছে এবং সভাপতি শহিদুল ইসলাম এলাকার লোকজনকে নিয়ে প্রাচির করিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম গেইট ও প্রাচির নির্মাণের বিষয়ে বলেন, কলেজের যায়গা না হলে কলেজ ছেড়ে দেবে বলে ফোন কেটে দেন।