দর্শনা কেরুজ চিনিকলের শ্রমিক ও কর্মচারী নিবার্চনকে ঘিরে পৃথক ভাবে কর্মী সমাবেশ

দর্শনা কেরুজ চিনিকলের শ্রমিক ও কর্মচারী নিবার্চনকে ঘিরে পৃথকভাবে নিবার্চনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। চলছে দল বদলের পালা।

আজ মঙ্গলবার সন্ধায় কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী নিবার্চনে সভাপতি পদপ্রাথী বর্তমান সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ ও তৈয়ব আলী সংগঠনের পৃথক দুইটি শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আগামী ফেব্রয়ারী মাসে নিবার্চনকে সামনে রেখে এ শ্রমিক সমাবেশ। সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বর্তমান সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ বলেন সবুজ সংগঠনকে হুমকি-ধামকি দিয়ে বিজয় ঠেকাতে পারবে না কেউ।

এছাড়া শ্রমিকদের মধ্যে আরো বক্তব্য শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম ও রেজাউল করিম, সহ-সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আবু সাঈদ, আব্দুর রাজ্জাক, মিরাজুল ইসলাম, ইউনিয়নের সদস্য কামরুল হাসান। এছাড়া লোমান, মানিক হোসেন।

কর্মী সমাবেশে কোরান তেলোয়াত ও দোয়া পাঠ করেন কেরুজ জামে মসজিদের মুয়াজ্জিম নেছার উদ্দিন। সমাবেশ পরিচালনায় ছিলেন হারিজুল ইসলাম ও সার্বিক তত্তাবধায়নে ছিলেন, রাসেল উদ্দিন টগর।

এদিকে তৈয়ব সংগঠনের তৈয়ব আলী সমাবেশে বক্তব্য রাখেতে গিয়ে শ্রমিকদের উদ্যোশে বলেন, এখানে যারা উপস্থিত আছেন আজ থেকে আমরা এক একজন তৈয়ব আলী হয়ে শ্রমিকদের মন জয় করে কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নে তৈয়ব আলীর বিজয় পতাকা উড়াতে হবে। আমারা আমাদের কাজ ও ভালবাসা দিয়ে শ্রমিকদের কাছে নেবো এবং সংগঠন শক্তিশালী করবো এ শপত নিয়ে সামনে বিজয় ছিনিয়ে আনতে কাজ করে যাবো। এসময় আরো উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, আব্বাছ আলী, জাহিদুল ইসলাম,ওমর ফারুক প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন, মনিরুল ইসলাম।




দর্শনা জনতা ব্যাংক পিএলসি শাখার এটি এম বুথের শুভ উদ্বোধন

দর্শনা জনতা ব্যাংক পি এল সি শাখার এটি এম বুথের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় দর্শনা মুজিবনগর সড়কের কেরুজ নিমার্নাধীন মার্কেটের সামনে এ এটি এম বুথের শুভ উদ্বোধন করা হয়।

জনতা ব্যাংক গ্রাহকদের আধুনিক সেবা নিশ্চিত করতে পিএলসি দর্শনা শাখায় এ ধরনের আয়োজন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এটিএম বুথের উদ্বোধন করেন খুলনা জিএম ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, খুলনা পিএলসি বিভাগীয় কার্যালয়ের ডিজিএম অভিমন্যু কুমার মন্ডল, জনতা ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা এরিয়া ইনচার্জ আশরাফুজ্জামান ও দর্শনা জনতা ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ ফুয়াদ হাসান। এছাড়া দর্শনা জনতা ব্যাংকের সকল পযার্য়ের কর্মকতার্ ও কর্মচারীগণ।




আলমডাঙ্গায় হত্যার হুমকি প্রদানের প্রতিবাদে প্রবাসীর সংবাদ সম্মেলন

আলমডাঙ্গার পোলতাডাঙ্গায় জমি দখলের জন্য এক প্রবাসীকে হত্যার হুমকি দেবার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে আবুল কাশেম নামের ওই প্রবাসী এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

লিখিত ওই সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আবুল হোসেন উল্লেখ করেন, উপজেলার পোলতাডাঙ্গা গ্রামের মৃত ওসমান গণির ছেলে আজমেদ আলী ও তার পিতা ওসমান গণির সাথে তার জায়গা জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। ওই জমি নিয়ে তাদের সাথে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও তারা কোন কর্ণপাত করেনি।

ভুক্তভোগী আবুল হোসেন দীর্ঘদিন সৌদি আরব থেকে (২৫ নভেম্বর) দেশে আসেন। ওই জমির বিরোধ মীমাংসার জন্য প্রস্তাব দেন। গত ২ ডিসেম্বর রাত ৮ টার দিকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে পোলতাডাঙ্গা গ্রামে মীমাংসার জন্য সালিশে বসেন। একপর্যায়ে অভিযুক্ত আমজেদ আলী ও তার পিতা ওসমান আলীকে কাগজপত্র দেখাতে বললে তারা কোন কাগজপত্র না দেখিয়ে তার (আবুল কাশেম) জমি দিবে না বলে হুমকি দিতে থাকে। তার (আবুল কাশেম) জমির মধ্যে তাদের জমি রয়েছে বলে দাবি করলে তিনি (আবুল কাশেম) প্রতিবাদ করেন। সে সময় আমজেদ আলী দেশীয় ধারালো অস্ত্র রামদা দিয়ে তাকে (আবুল কাশেমকে) আঘাত করতে তেড়ে যান। স্থানীয়রা তার (আমজাদ আলীর) নিকট থেকে রামদাটি কেড়ে নেয়। সে সময় আমজাদ আলী অজ্ঞাত ব্যক্তিকে মোবাইল ফোনে পিস্তল আনতে বলে এবং হত্যার হুমকি দেয়। প্রয়োজনে তাকে ( আবুল কাশেমকে) হত্যা করে জমি দখল করে নেবার হুমকি দেন। এছাড়া তার (আবুল কাশেমের) বাড়ি নির্মাণের আগে সে (আমজাদ) চাঁদা দাবি করেছিল, চাঁদা না দিলে বাড়ি নির্মাণ করতে দিবে না বলেও হুমকি দেয়।

এমতাবস্থায়, সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার দাবি জানান আবুল কাশেম।




দর্শনা সীমান্তে বিএসএফের মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকের লাশ হস্তান্তর

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় জয়নগর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে অজাত মন্ডল নামের ভারতীয় এক নাগরিকের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে দর্শনা পৌর এলাকার জয়নগর সীমান্তের ভারত-বাংলাদেশ শূন্য রেখায় ৭৬ নং মেইন পিলারের অদূরে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

নিহত অজাত মন্ডল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার পদ্মমালা গ্রামের মৃত ইমান মন্ডলের ছেলে। তার পাসপোর্ট নম্বর  R5890230।

জানাগেছে, অজাত মন্ডল তার স্ত্রী আবেদা মন্ডলকে নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশের দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হয়ে বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে আসেন। পরে গত ২৯ নভেম্বর রাত পৌনে ২ টার দিকে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর দু’দেশের প্রসেসিং করে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে দর্শনার জয়নগর সীমান্তে বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএফ ও ইমিগ্রেশন পুলিশ, থানা পুলিশ এবং কাস্টমস কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নিহত অজাত মন্ডলের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।




মেহেরপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ৬৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

মেহেরপুরে নির্ধারিত দামের চেয়ে অধিক মুল্যে সার বিক্রী করা এবং পণ্যের মোড়কে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে মেহেরপুর শহরের তিন ব্যবসায়ীর ৬৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে মেহেরপুর শহরের বড় বাজার এলাকায় জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ এই অভিযান চালান।

সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অধিক মুল্যে সার বিক্রয়, সার কেনা-বেচার ভাউচার প্রদান ও সংরক্ষণ না করা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য রাখাসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় যায়। যা কৃষকের সাথে জুলুম আইনের পরিপন্থি কাজ। এসমস্ত অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিকের নিকট থেকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিকে কেয়া স্টোর এবং নিউ কেয়া স্টোরে অভিযান চালিয়ে মোড়কে মূল্য তালিকা না থাকার অভিযোগে নিউ কেয়া ষ্টোরের এর মালিক হাফিজুর রহমানের কাছ থেকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ধারে ৮ হাজার টাকা এবং কেয়া স্টোরের মালিক আজিজুল হকের নিকট থেকে একই ধারায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে অন্যদের মধ্যে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজ মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।




আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল বিশ্বাস কারাগারে, তাঁর স্ত্রী হীরা গ্রেফতার

পতিত সরকারের সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বড়বোন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শামীম আরা হিরা (৫০) ও তার স্বামী মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস (৫৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার উপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বিকালে বাবুল বিশ্বাসেকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম, মন্ত্রীর বড়বোন মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য শামীম আরা হীরা ও মুজিবনগর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও সাবেক মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান তকলিমা খাতুনের নামের সন্ত্রাস বিরোধী আইনে নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমানুল্লাহ আল বারী সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মামলার তদন্ত অফিসার মেহেরপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলামের নেতৃত্বে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের একটি টিম রাজধানীর ভাটারা থানা পুলিশের সহযোগীতায় বসুন্ধরা এলাকায় তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের এই দুই প্রভাবশালী নেতা স্বামী স্ত্রীকে গ্রেফতার করেন।

আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস ধারা ৬(২)/৭/১০/১১/১২/১৩ এর সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর (সংশোধনী-২০১৩) ধারায় দায়ের করা মামলা যার নং ২০, জিআর মামলা নং ২৭৭ তারিখ ২৮/০৮/২৪ নং মামলায় এজাহার নামীয় আসামী। এছাড়া সদর থানায় তাঁর নামে অন্যান্য অেিভযোগে আরও ৩টি মামলা রয়েছে।

সদর থানার ওসি আমানুল্লাহ আল বারী জানান, চলতি বছরের ৫ আগষ্ট বেলা ১১ টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা মেহেরপুর শহরের বড়বাজার, হাসপাতাল এলাকা ও সরকারি কলেজ মোড় এলাকায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালাচ্ছিলেন। এসময় আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার উপর জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্যাপকভাবে শসস্ত্র হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন ছাত্র ও অভিভাবকে আহত করে। এঘটনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯, (সংশোধনী-২০১৩) একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী শামীম আরা হীরা ও ছেলে তুর্য আত্মগোপনে চলে যান।

এছাড়া সাবেক জনপ্রশসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম, বড় বোন মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য শামীম আরা হীরা ও যুব মহিলা লীগের মুজিবনগর উপজেলা শাখার সভাপতি তকলিমা খাতুনকে এজাহার নামীয় ও ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মেহেরপুর সদর থানায় “সন্ত্রাস মেহেরপুর সদর থানায় ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩০৭/৩৪/৫০৬/১১৪ এর সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর (সংশোধনী-২০১৩) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মেহেরপুর সদর থানার মামলা নং ৫, তারিখ ০৩/১২/২৪ ইং। নতুন দায়ের করা মামলায় জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বড় বোন শামীম আরা হীরাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার বিকালের দিকে মেহেরপুরের পলি খাতুন নামের এক বিএনপি নেত্রী এই মামলাটি দায়ের করেন।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি আমানুল্লাহ আল বারী জানান, বিগত ৫ আগষ্ট সকালের দিকে মেহেরপুর শহরে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলাকালিন সময়ে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম, বড় বোন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য শামীম আরা হীরার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের অনেক নেতাকর্মী আহত হন। এসময় বাদী বিএনপি নেত্রী পলি খাতুনকে হত্যার উদ্যোশ্যে মারধর করে। সেই ঘটনায় বাদী বিএনপি নেত্রী পলি খাতুন বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
আগামীকাল বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে শামীম আরা হীরাকে আদালতে নেওয়া হবে জানান ওসি আমানুল্লাহ আল বারী।

উল্লেখ্য, “৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মেহেরপুর থানায় তিনটি এবং ঢাকার আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। মামলার পর থেকেই জনপ্রশাসন মন্ত্রীর পরিবারের সকলেই আত্মগোপনে চলে যান।

১৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানার নিউ ইস্কাটন এলাকার ৩৯৮ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র জনতার ওপর গুলিবর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় নিহত হন পোশাককর্মী রুবেল।

ওই ঘটনায় গত ২২ আগস্ট রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৪৮ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। দায়ের করা সেই মামলায় সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

ফরহাদ হোসেন সাবেক সরকারের আমলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে তিনি একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মেহেরপুর-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে তার বড় বোনের জামায় মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস ও তার পরিবারের লোকজন বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ফরহাদ হোসেনের পরিবারের ১২ জন সদস্য আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন কমিটিতে স্থান পাই। মন্ত্রী পতিœ সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম ও বোন জামাই আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ^াস হয়ে ওঠেন মেহেরপুরের মূর্তিমান আতংক। সঘোষিত আইন দিয়ে শাসন করেন মেহেরপুর জেলার সকল স্তরের মানুষকে। দূর্দান্ত প্রতাপশালী আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ^াস মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দফতরে সারাদিনই অবস্থান করতেন। জেলার এই দুটি দফতরে বসেই নিয়ন্ত্রণ করতেন পুরো জেলা। ঠিকাদারী ব্যবসা থেকে শুরু করে সকল দফতরের কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণসহ সবখানেই চালাতেন অধিপত্য। সরকারি দফতরের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় মানুষজনকে কথায় কথায় অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন। বিভিন্ন মিটিং মিছিলে প্রকাশ্যে তার অস্ত্র, টাকা ও বাহিনীর ভয় দেখাতেন। তার ছেলে তুর্য শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে ঘুরতে দেখা যেতো।

এদিকে আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতারের খবরে শহরে বইছে আনন্দের বন্যা। সোস্যাল মিডিয়াতে চলছে কড়া সমালোচনা। প্রকাশ্যে টাকা ও অস্ত্রের খোঁজ খবর নেওয়া ও তাঁর ছেলে তুর্যকে গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন। এছাড়া গোয়েন্দা বিভাগ ও দুদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার কারীরা।




চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত

“অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ, বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে প্রতিবন্ধী জনগণ” প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ২৬তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল এগারোটার সময় দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি বাহির হয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এসে শেষ হয়।

র‍্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনার সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন চুয়াডাঙ্গার সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আব্দুল করিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম। প্রতিবন্ধীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মিম্মা সুলতানা ও প্রত্যাশা সমাজিক উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়কারী মোহাম্মদ ইউনুস আলী।

এ সময় সভাপতির বক্তব্য চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন আমাদের মানসিক পরিচর্যা দরকার। দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিবন্ধকতা দূর করতে না পারলে উন্নয়নকে অর্থবহ করে তুলতে পারবো না। কাউকে পিছনে রেখে সামনে এগোনো যাবে না

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বিপিএম-সেবা, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মিজানুর রহমান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশিদ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের কনসালটেন্ট ও বিভাগীয় প্রধান ডা.নূর আলম আকাশ। আলোচনা সভা শেষ চুয়াডাঙ্গা প্রতিবন্ধী সেবা সাহায্য কেন্দ্রের মাধ্যমে ১৬ জন প্রতিবন্ধীকে বিনামূল্যে ১৬ টি হুইলচেয়ার প্রদান করা হয় ও একজনকে কর্ণার চেয়ার উপহার দেওয়া হয়। জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে স্ট্রোক, কিডনি ও জন্মগত হৃদরোগ রোগীদের মধ্যে ২০ জনকে ৫০ হাজার টাকা করে চিকিৎসার জন্য অনুদানের চেক প্রদান করা হয়। উক্ত আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও জেলা সমাজসেবার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে মৎস্য সেবা ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত 

গাংনীর পলাশীপাড়া সমাজ কল্যান সমিতির অধীনে সংগঠিত সংস্থার সমন্বিত কৃষি ইউনিটের মৎস্য খাতের আওতায় মৎস্য সেবা ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের মৎস্য সেবা ও পরামর্শ সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ রোকনুজ্জামান, পিএসকেএসের উপ-পরিচালক মোঃ কামরুল আলম, পিএসকেএসের মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ইকরামুল হাসান ও সহকরী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ খালেদ কবির সহ সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সদস্যবৃন্দ।

উক্ত অনুষ্ঠান হতে মৎস্য চাষীদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। মাছ চাষ এবং শীতকালে মাছ সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের প্রতিকার সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়।




দামুড়হুদায় কারিতাসের উদ্যোগে ৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালিত

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে কারি তাস বাংলাদেশ SDDB প্রকল্পের আয়োজনে ২০২৪ পালিত হয়েছে।

অন্তর্ভূক্তিমূলক টেকসই ভবিষ্যৎ বির্নিমান বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে প্রতিবন্ধী জনগন এ স্লোগানকে সামনে রেখে ৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ২৬ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস -২০২৪ পালিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরন, ছাগল ও গাড়লভেড়া বিতরন, শিক্ষা উপকরন প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আ:করিম বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান।

প্রধান অতিথি বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নই। তারা আমাদের আপনজন। এ সমাজে তাদের সমান অধিকার। যে কোন প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হক, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম টুটুল, প্যানেল চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই সাইদুর রহমান, এসডিডি প্রকল্পের কার্পাসডাঙ্গা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি সুদিন সরকার, আলাউদ্দীন মাস্টার, আনসার আলী, আহসান, কিতাব।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এসডিডি প্রকল্পের ফিল্ড সুপারভাইজার বাপ্পা মন্ডল।




মেহেরপুরে বিষ প্রয়ােগে মাছ নিধন, চার লক্ষ টাকা ক্ষতি

প্রতিপক্ষের হুমকির একদিন পর সাড়ে তিন বিঘা জমির (জলকর) পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠলো। এতে পুকুর মালিকের প্রায় চার লক্ষ টাকা ক্ষতির আশংকা করছে।

মেহেরপুর সদর উপজেলার সুবিদপুর গ্রামে বাবরপাড়ার মাঠ এলাকায় এই বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের ঘটনাটি ঘটেছে।

গতকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতের কোন এক সময় বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সুবিদপুর গ্রামের বাবরপাড়া এলাকার গোরচাঁদের ছেলে সোহরাব হোসেন গ্রামের মাঠে প্রায় সাড়ে তিন বিঘা জমির পুকুরে মাছ চাষ করেছেন। চলতি মৌসুমে প্রায় সাড়ে সাত মণ মাছের পোনা অবমুক্ত করেন তিনি। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় দুর্বৃত্তরা পুকুরে বিষ প্রয়োগ করলে সমস্ত মাছ মরে ভেসে ওঠে।

আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে পুকুর মালিক পুকুর দেখতে গিয়ে মাছ মরে ভেসে থাকতে দেখেন।

সোহরাব হোসেন বলেন, সুবিদপুর জোলপাড়া এলাকার উজ্জল হোসেন নামের এক ব্যক্তি আমাকে হুমকি দেওয়ার পরদিন পুকুরে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটলো। এতে চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।

মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমানুল্লাহ আল বারী জানান, এ বিষয়ে এখনও কেউ অভিযােগ করেনি। অভিযােগ পেলে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।