মেহেরপুরে কৃষক দলের মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান

কৃষি এবং কৃষকের স্বার্থে মেহেরপুর সদরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রর প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রাখার দাবীতে মিছিল ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে মেহেরপুর জেলা কৃষকদল।

আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে এগারো টার দিকে মেহেরপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এসে মানববন্ধন করেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু।

বক্তব্যে তারা বলেন কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে সার বিতরণ করতে হবে। কৃষকদের মাঝে বীজ বিতরণে যে অনিয়ম হয়েছে তা জেলা প্রশাসককে খতিয়ে দেখার জন্য আহ্বান জানান। তাছাড়াও মেহেরপুর সদরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কার্যক্রম চলমান রাখার ঘোর দাবি জানাচ্ছি। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে কৃষি উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক আজিজুল হক, গাংনী পৌর কৃষকদলের আহবায়ক আমিনুল ইসলাম, মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মিরাজ উদ্দিন প্রমুখ।




প্রাক্তন প্রেমিককে পুড়িয়ে হত্যা: নার্গিস ফাখরির বোন গ্রেপ্তার

বলিউড অভিনেত্রী নার্গিস ফাখরির বোন আলিয়া ফাখরিকে নিউইয়র্কের কুইন্সে তার প্রাক্তন প্রেমিক ও তার বন্ধুকে হত্যার তদন্তে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৪৩ বছর বয়সী আলিয়ার নামে অভিযোগ, একটি দোতলা গ্যারেজে আগুন লাগিয়েছেন। এর ফলে এডওয়ার্ড জেকবস (৩৫) ও আনাস্তাসিয়া এটিনি (৩৩)-এর মৃত্যু হয়।

জানা যায়, আলিয়ার জন্ম আমেরিকার কুইনস এলাকাতে। সেখানেই বড় হয়ে ওঠা। আলিয়ার প্রাক্তন প্রেমিকের নাম এডওয়ার্ড জেকবস। তার বান্ধবী অ্যানাস্টাশিয়া স্টার ইটেইন।

অভিযোগ, দুজন যখন একটি গ্যারেজে ছিলেন সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে ও বিষাক্ত ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়।

ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর অনেকেই আলিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে রাজি হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন, কথায় কথায় একাধিকবার প্রাক্তন প্রেমিককে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন আলিয়া। কিন্তু সেই সময় তারা বিষয়টিকে হালকাভাবে নিয়ে হাসিতে উড়িয়ে দিয়েছেন।

স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, আলিয়ার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়ে গিয়েছে।

জেকবস যে এক বছর আগেই আলিয়ার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছিলেন সেকথা তার মাও জানান। জেকবসের মায়ের দাবি, সম্পর্ক শেষ হওয়ার পরও নানা অজুহাতে জেকবের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করতেন আলিয়া। তবে স্টারের সঙ্গে যে জেকবের কোনও সম্পর্ক ছিল তা তিনি অস্বীকার করেছেন। জেকবের মায়ের দাবি, তাঁরা শুধুই বন্ধু ছিলেন।

এদিকে আলিয়ার মায়ের দাবি, তার মেয়ে নির্দোষ। আলিয়া অত্যন্ত ভালো মনের একজন মানুষ। তিনি এমন কাজ করতেই পারেন না।

‘রকস্টার’, ‘মাদ্রাজ ক্যাফে’র মতো সিনেমা দিয়ে বলিউড সফর শুরু করেছিলেন নার্গিস। অভিনয়ে তেমন নজর কাড়তে না পারলেও তার রূপমুগ্ধর সংখ্যা নেহাত কম নয়। এক সময় উদয় চোপড়ার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন নার্গিস। ২০১৭ সালে দুজনের বিচ্ছেদ হয়।

এরপর পরিচালক ম্যাট আলোনজোর প্রেমে পড়েন নার্গিস। অল্প সময়ে সেই সম্পর্কও ভেঙে যায়। ২০২৪ সালে অভিনেত্রীর একটিও সিনেমা মুক্তি পায়নি। তবে ২০২৫ সালে তাকে ‘হাউজফুল ৫’ সিনেমায় দেখা যাবে। তেলুগু সিনেমা ‘হরি হর বীরা মাল্লু’তেও অভিনয় করেছেন নার্গিস।

সূত্র: ইত্তেফাক




ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে মেহেরপুরে স্মরণসভা

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা আয়োজন করা হয়েছে‌।

আজ মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) সকাল দশটার সময় জেলা প্রশাসকের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শামীম হোসেন, জেলা সিভিল সার্জন মোঃ ডাঃ মহী উদ্দীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ রনি আলম নুর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অর্থ ও প্রশাসন ) কামরুল আহসান, সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাদির হোসেন শামীম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) গাজী মূয়ীদুর রহমান, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম,  সহকারী কমিশনার মোঃ আবীর হোসেন, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা জামায়াতের আমীর তাজ উদ্দিন খান, জেলা সেক্রেটারি ইকবাল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা (অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন) আব্দুল মালেক, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজান মেনন, জেলা শিক্ষা অফিসার আব্বাস উদ্দিন, জেলা সমাজসেবা অফিসার আশাদুল ইসলাম, জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল আল মামুন, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ জেএম সিরাজুল মূনীর।

সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানজিনা শারমিন দৃষ্টির সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ) খন্দকার মুইজ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেহেরপুর জেলা আহবায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ, যুগ্ন আহবায়ক মোঃ তামিম ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল আলম, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, বাসসের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক দিলরুবা খাতুনসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী ও বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের অন্যান্য প্রতিনিধিরাও ।




তেরাইল-জোড়পুকুরিয়া কলেজে শিক্ষক নিয়োগের কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেরাইলে ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় তেরাইল-জোড়পুকুরিয়া কলেজ (বর্তমান বঙ্গবন্ধু কলেজ) নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাজনৈতিক পালাবদলের সাথে সাথে কলেজ ব্যবস্থাপনা পরিষদেও পরিবর্তন হয়েছে। শিক্ষার মান বৃদ্ধির থেকে ব্যক্তি মতাদর্শের মান বাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ। ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ পড়ুন ১ম পর্ব।

সরেজমিন ও বিভিন্ন অভিযোগের মাধ্যমে জানা গেছে, ২০২১ সালে কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার মৃত্যুও পর থেকে অনিয়ম আর দুর্নীতি ভরে গেছে কলেজটিতে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতির মন মত চালানো হয়েছে কলেজটিকে। গোলাম মোস্তফার মৃত্যুর পর আওয়ামী দলীয় প্রভাষক মাসুম উল হক মিন্টুকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেন তৎকালীন সভাপতি বামন্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম। ৫ জন সিনিয়র শিক্ষককে বাদ দিয়ে ৬ নম্বর সিনিয়র শিক্ষক মাসুম উল হককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর পর থেকে শুরু হয় নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম।

কলেজের উন্নয়নের নামে গভর্ণিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষক ও বিভিন্ন স্টাফদের নিয়োগ দিয়ে ৮১ লাখ ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। এর মধ্যে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুম উল হক ৪৯ লাখ ৩০ হাজার, প্রয়াত অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা ৩ লাখ ৫০ হাজার, সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম ৫লাখ এবং সাবেক এমপি সাহিদুজ্জামান ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন। সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুম উল হকের কাছে থাকা ৪৯ লাখ ৩০ হাজারের মধ্যে সাবেক এমপি সাহিদুজ্জামান ১৬ লাখ, সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম ১২ লাখ টাকা নিয়েছে। এছাড়া ২০ লাখ টাকা দিয়ে ৪৫ শতক জমি কিনেছেন।

৫ আগষ্ট সরকার পালাবদলের পর কলেজটিতেও পালাবদল শুরু হয়। সাবেক অধ্যক্ষ মাসুম উল হককে সরিয়ে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয় জিনারুল ইসলামকে। তিনিও ৭ নম্বর সিনিয়র শিক্ষক। এ নিয়েও সিনিয়র ৫ শিক্ষকের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে।
মাসুম উল হক অপসারণ হওয়ার পর কলেজের দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন খবর ছড়াতে থাকে। শিক্ষক ও স্টাফদের নিয়োগ বাণিজ্য, শিক্ষকদের টিউশন ফিস আত্মসাৎ, সঞ্চয় আত্মসাৎ, অন্যদের জমি দখল নিয়ে কলেজের গেট ও প্রাচির নির্মাণ, কলেজের টাকা দিয়ে সাবেক এমপির স্ত্রীর নামে জমি কিনে দেওয়া, এবং জৌষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ নেওয়া নিয়ে কলেজটিতে চলছে নানা গুঞ্জন।

কলেজের শিক্ষকদের নিয়োগ বাণিজ্যের একটি তালিকা ইতোমধ্যে বর্তমান কমিটি ও গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পৌছে দেওয়া হয়েছে। তালিকায় দেখা গেছে, মাসুম উল হক সহ কলেজের সাবেক দুই সভাপতি ও প্রয়াত অধ্যক্ষ ৮১ লাখ ৩০ হাজার টাকার লেনদেন করেছেন। এর পুরো টাকা তারা তছরুপ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এতে দেখা গেছে, সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলামের কাছে ভুগোল বিভাগের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম ২ লাখ টাকা, পদার্থবিজ্ঞানের প্রভাষক রবিউল ইসলাম ৩ লাখ টাকা, সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি সাহিদুজ্জামানের কাছে বাংলার প্রভাষক অপর্ণা হক সাড়ে ৬ লাখ টাকা, পরিসংখ্যানের প্রভাষক সুজা উদ্দৌলা ১৫ লাখ টাকা, ল্যাব সহকারী শিমুল হোসেন ২ লাখ টাকা, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুম উল হকের কাছে ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক শুকচাঁদ আলী ৪ লাখ টাকা, ইংরেজির প্রভাষক মোকছেদুর রহমান ১২ লাখ টাকা, প্রধান লাইব্রেরিয়ান হোসনেয়ারা খাতুন ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, কম্পিউটার অপারেটর পিংকি আখতার ১০ লাখ, ল্যাব সহকারী জান্নাতুল নাইম ১০ লাখ টাকা, আবু সাইদ ৮ লাখ টাকা, পরিচ্ছন্নতাকর্মী শ্রী পারু ৮০ হাজার টাকা, প্রয়াত অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফাকে সাচিবিক বিদ্যার প্রভাষক মিজানুর রহমান ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, হিসাববিজ্ঞানের প্রভাষক নাজমুল হুদা ২ লাখ টাকা দিয়ে নিয়োগ নিয়েছেন।

শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুম উল হক ২০২১ সালে থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রাপ্ত ৬লাখ ৯৬ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। এই অর্থ শিক্ষকদের প্রাপ্য হলেও কোন শিক্ষককে এ অর্থ দেওয়া হয়নি। এছাড়া মেহেরপুর রুপালী ব্যাংক শাখায় কলেজের নামে একটি এফডিআর ছিলো ২ লাখ টাকার। যেটি সুদে আসলে ৫লাখ ৩৭ হাজার টাকা হয়েছিলো। গত জুন মাসে সেই টাকা উত্তোলন করে সাবেক সভাপতি শদিুল ইসলাম ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুম উল হক সুদের ৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বাকি দুই লাখ টাকা দিয়ে পুনরায় কলেজের নামে এফডিআর করেছেন। শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবসহ দুটি কম্পিউটার ল্যাবে ৬৪টি ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটার বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু বরাদ্দ পাওয়ার সময় অনেকগুলো ল্যাপটপ সরিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিনারুল ইসলাম বলেন, সাবেক অধ্যক্ষ তার ভাগ্নের বেতন করে দেওয়ায় জাহিদুজ্জামানের টা করেননি। জাহিদুজ্জামানের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। আমরা জাহিদুজ্জামানের বেতনের ব্যবস্থা করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
কলেজের বর্তমান গভর্ণিং বডির সভাপতি জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, ৮১ লাখ টাকার লিখিত দুর্নীতির কথা আমরা জানতে পেরেছি। এছাড়াও কলেজের টাকা দিয়ে সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি সাহিদুজ্জামানের স্ত্রী লাইলা আরজুমান বানুর নামে ৪২ শতক জমি কিনে দেওয়া হয়েছে বলেও জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একটি লিখিত হিসাব দিয়েছেন। আমরা এলাকার গণ্যমান্য মানুষদেও নিয়ে এসব দুর্নীতি হিসাব চাইবো। হিসাব না দিতে পারলে ইউএনও মহোদয়ের পরামশ নিয়ে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুম উল হক বলেন, সরকার পালাবদলে পর গত ১৪ আগষ্ট দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি। চাপ দিয়ে ৪৯ লাখ টাকার একটি হিসাব করে তারা আমার স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে। সারা বাংলাদেশের বেসরকারি কলেজে যেভাবে চলে আমিও সেভাবেই চালিয়েছি। কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি ছিলে সাবেক এমপির স্ত্রী লাইলা আরজুমান বানু। তবে সাবেক এমপিই চালাতেন। তিনি যেভাবে চালিয়েছেন সেভাবেই চলতে হয়েছে। কলেজের টাকা দিয়ে এমপির স্ত্রীর নামে জমি কিনে দেওয়ার বিষয়ে তিনি কিছূ জানেন না।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কলেজ গভর্ণিং বডির সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, কোন ধরণের দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে আমার সম্পৃক্ততা নেই। যারা বলেছে তারা ঠিক বলেনি। আমি ২০১২ সালে একবার এবং কিছু দিন আগে আরেকবার সভাপতি হয়েছিলাম।

সরকার পরিবর্তনের পর সাবেক সংসদ সদস্য ও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: সাহিদুজ্জামান আত্মগোপনে থাকায় তাঁর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।




মুস্তাফিজুর রহমানের তুহিনের পিপি নিয়োগ বাতিল

মেহেরপুরের নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিনকে নিয়োগ লাভের ১৪ দিন পর নিয়োগ বাতিল করলো  আইন ,বিচার ও সংসদ বিষয়ক্র মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বিভাগ।

গতকাল ২ ডিসেম্বর আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসলিসিটর(জিপি—পিপি) সানা মো: মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নিয়োগ বাতিল করা হয়।

আদেশে বলা হয়, মেহেরপুর জেলার নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে নিয়োগ প্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুস্তাফিজুর রহমান তুহিনের বিরুদ্ধে জিআর ৪৯২/২০২২(মেহেরপুর) মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪১৭/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ধারাসহ তৎসহ ২০১২ সালের পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১)/৮(২)/৮(৩)/৮(৪) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে। এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে তিনি জামিন আছেন। রাষ্ট্রের স্বার্থ সমুন্নত রাখাসহ বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা বজায় রাখার জন্য এ ধরণের স্পর্শকাতর মামলার আসামিকে পাবলিক প্রসিকিউটরের মত গুরত্বপূর্ণ পদে বহাল রাখা সমীচীন না হওয়ায় তাঁর নিয়োগ বাতিলপূর্বক তাঁকে পাবলিক প্রসিকিউটর পদ হতে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

উল্লেখ্য, মুস্তাফিজুর রহমানকে পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে মেহেরপুর ছাত্র—জনতা ব্যনারে আন্দোলন, মানববন্ধন, জজ কোর্ট ঘেরাও কর্মসূচী করা হয়েছিলো। সবশেষ ২৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসককে ছাত্র—জনতা ১০দিনের আল্টিমেটাম দেয়।




গাংনীতে সহকর্মীদের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় টিআই ফরিদার বিদায়

সহকর্মীদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও চোখের জলে কর্মস্থল থেকে শেষ বিদায় নিলেন গাংনী উপজেলা সমজাসেবা কার্যালয়ের টিআই ফরিদা ইয়াসমিন।

এসময় তাকে ক্রেষ্ট ও ফুল ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটান দীর্ঘদিনের সহকর্মী অফিসের সদস্যরা। দীর্ঘদিনের কর্মস্থল ত্যাগ করার সময় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন টিআই ফরিদা ইয়াসমীন। এসময় সহকর্মী ও অফিসের সদস্যের চোখে পানি চলে আসে।

একাগ্রতা, নিষ্ঠা ও সততা দিয়ে কর্মস্থলকে করেছিলেন আপন। ৩২ বছর ২ মাস সেবা দিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সহকর্মীদের কাছে আপনজন আর সেবা গ্রহীতাদের পরম বন্ধু। ভালবাসা আর চোখের জলেই তাকে বিদায় দিয়ে বর্ণনা করেন কর্মময় জীবনের নানা স্মৃতিময় অধ্যয়।

কর্মময় জীবনের শেষ অফিস ছিল গত শনিবার। চাকুরী জীবনের শেষ দিনে তার বিদায়কে কেন্দ্র করে সকাল ১০ টার সময় উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে সহকর্মীরা আয়োজন করেন অবসরজনিত বিদায়ী সংবর্ধনা। সেখানেই তৈরী হয় এক আবেগঘন পরিবেশ।

গাংনী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আরশাদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আসাদুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারি পরিচালক কাজী কাদের মোঃ ফজলে রাব্বি এবং সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামসুল আলম সোনা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা রেজিস্ট্রেশন অফিসার কাজী মুনছুর আলী। অনুষ্ঠানে জেলার সকল সমাজসেবা কার্যালয় ও সরকারি শিশু পরিবারের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

গাংনী উপজেলা সমজাসেবা কার্যালয়ের টিআই ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি গাংনী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুল আলম সোনার সহধর্মীনি। দীর্ঘ ৩২ বছর ২ মাস তিনি সমাজসেবা অধিদপ্তরে চাকুরী করেছেন। কর্মজীবনে পিছিয়ে পড়া মানুষ চিহ্নিত করে ভাতা ও ঋণ বিতরণ এবং আদায় কার্যক্রমে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তার আচার-ব্যবহার আর যথাযথ দায়িত্ব পালনে সহকর্মী আর উপকারভোগীদের কাছে প্রিয় পাত্র হয়েছিলেন। ফলে তার বিদায় অনুষ্ঠান ছিল এক বিষাদময়।
কর্মস্থলের সততা ও নিষ্ঠার জন্য এই সফল নারীকে সহকর্মীদের পক্ষ থেকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় ক্রেস্ট ও ফুলের তোড়া।




মেহেরপুরে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষকদের বাজিমাত

মেহেরপুরে আগাম জাতের গ্রীষ্মকালীন নাসিক জাতের পেঁয়াজ চাষে সফলতা পেয়েছেন কৃষক। এবছর জেলাজুড়ে দুই হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। পেঁয়াজের জমিতে সাথি ফসল হিসেবে মুলা ও পালংশাক আবাদ করে অল্প খরচে বেশি লাভ করছেন।

নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করায় ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা কম দামে ক্রতারা পেঁয়াজ কিনতে পারছেন।

কৃষকরা বলছেন ভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হলে এবং ন্যায্য দাম পেলে লাভবান হবেন তারা। আর কৃষি বিভাগ বলছেন, গ্রীষ্মকালীন আগাম জাতের পেঁযাজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। খুব শিঘ্রই নতুন পেঁয়াজে দাম সাশ্রয় হবে। মেহেরপুর একটি সীমান্তবর্তী জেলা মেহেরপুরের মাঠ জুড়ে গ্রীষ্মকালীন নাসিক-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। এযেন সবুজের সমারোহ। গেল বছর পেঁয়াজের ভালদাম পেয়ে এবছরে আগাম জাতের গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ আবাদ করেন অধিকাংশ কৃষক। সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে পেঁয়াজ চারা রোপন করে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বাজারে উঠতে শুরু করেছে। প্রতিবিঘা জমিতে ৬০ থেকে ৬৫ মন পেঁয়াজ হবে বলে আশা কৃষকদের। বর্তমান বাজারমুল্য পেলে খরচের তিনগুণ টাকা লাভ হবে এমন প্রত্যাশা কৃষকদের।

জেলা কৃষি অফিসের ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা আশরাফুন্নেসা জানান, মেহেরপুর জেলার তিনটি উপজেলা বিভিন্ন মাঠে এবছর নাসিক ৫৩ জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে। উক্ত জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন হবে প্রায় ৪৮ হাজার ২০০ টন । এক কাঠা জমিতে সাড়ে তিন থেকে ৪ মন পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ার আশা চাষিদের। যা জেলার চাহিদার প্রায় তিনগুন। জেলার মানুষের চাহিদা পুরুন করে বাকি পেঁয়াজ যাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বৃহত্তম জেলায়।

কৃষকদের পেঁয়াজের চাষে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা করছে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন।

গাংনীর জুগিন্দা গ্রামের পেঁয়াজ চাষি সাহারুল ইসলাম, ফয়েজ উদদীন, আব্দুল কাদের বলেন, আমরা এর আগে কখনও গ্রীষ্মকালীন নাসিক- ৫৩ জাতের পেঁয়াজের আবাদ করিনি। স্থানীয় পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির কৃষি অফিসারের পরামর্শ পেয়ে এবছর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ করতে বিনামূল্যে সার,বীজ,জমি প্রস্ততকরনের জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেছিলেন। পেঁয়াজ অনেক ভাল হয়েছে। ফলনও ভাল হচ্ছে। বাজারে নতুন পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জমি থেকে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা কেজি।

আমাদের জেলায় কমবেশি বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ আবাদ হয়। গেলবছর দুএকজন কৃষক গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ করে লাভবান হয়। এবছর পেঁয়াজের আবাদে ঝুকেছেন অনেক কৃষক। একই সাথে পেঁয়াজের জমিতে সাথি ফসল হিসেবে মুলা ও পালং শাক আবাদ করেছেন চাষিরা।

মুজিবনগর গ্রামের কৃষক আক্কাস আলি ও মুক্তার মুনসি বলেন, এক বিঘা জমিতে দুই কেজি পেঁয়াজের বীজ বপন করতে হয়। প্রতি কেজি পেঁয়াজের বীজের দাম ২ হাজার টাকা। আমাদের পেঁয়াজের বীজ,সারসহ বিভিন্ন উপকরণ বিনামূল্যে প্রদান করে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে পরিচালিত পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি। পেঁয়াজের সাথে সাথি ফসল হিসেবে মুলা ও পালংশাকের বীজ বপন করেছিলাম। দুই সপ্তাহ পর মুলা ও পালংশাক বিক্রি করে ভাল টাকা আয় হয়েছে।

সদর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের কৃষক আব্দুল আলীম বলেন,গেল বছর দশ কাঠা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করে ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। এবছর দেড় বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ করেছি। একই জমিতে লালশাকের বীজ বুনে ছিলাম। লালশাক আগে বিক্রি করেছি। এখন পেঁয়াজ বিক্রি করছি। দাম ভাল পাচ্ছি। বিক্রি শেষে খরচের দেড়গুণ টাকা লাভের আশা আছে।

পিএসকেএস এর কৃষি কর্মকর্তা জুয়েল বিশ্নাস বলেন, সমন্বিত কৃষি ইউনিটের কৃষি খাতের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পিকেএসএফ এর অর্থায়নে অনেক কৃষকদের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করতে প্রদর্শনী দেয়া হয়। পেঁয়াজের আবাদ অনেক ভাল হয়েছে।

গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: ইমরান হোসেন বলেন, মেহেরপুর জেলার মাটিতে সব ধরনের আবাদ হয়। জেলার আবহাওয়া সব আবাদের উপযোগী। পেঁয়াজের আবাদের জন্য জেলার খ্যাতি রয়েছে। গ্রীষ্মকালীন নাসিক- ৫৩ জাতের পেঁয়াজ এবছে অনেক ভাল হয়েছে। বাজার নতুন এই পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় পেঁয়াজের দাম এখন ক্রেতাদের নাগালে। আমরা সব কৃষকদের সহযোগীতা অব্যাহত রেখেছি, পাশাপাশি স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা পিএসকেএস কৃষকদের চাষাবাদে নানা ধরনের সহযোগীতা করে কৃষিকে আরও সমৃদ্ধ করছে।




দর্শনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ফেনসিডিল ও মদসহ আটক ২

দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার বিভিন্ন জায়গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩৬ বোতল ফেনসিডিল ও ৮৩ বোতল মদসহ দর্শনা হঠাৎ পাড়ার আব্দুল মালেকের ছেলে জুবায়ের (৩০)ও দর্শনা আনোয়ারপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে শিপন ইসলাম (২১)কে আটক করেছে।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে চুয়াডাঙ্গার পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খানের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় ১২ জন স্টাফ, ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের লেফটেন্যান্ট আবিদ আহমেদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ১৬ জন সদস্য সহ দর্শনা থানাধীন দর্শনা হঠাৎ পাড়া এলাকায় যৌথ অভিযান করে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জুবায়ের ও শিপন ইসলামকে ভারতীয় ৩৬ বোতল ফেনসিডিল ও ৮৩ বোতল ভারতীয় ব্লাক হান্টসহ তাদের বাড়ি থেকে আটক করা হয়।

আসামীদের বিরুদ্ধে পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খান বাদী হয়ে দর্শনা থানায় একটি মাদক আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করেছে। গতকালই তাদেরকে দুজনকে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে সোপর্দ করেছে।




দর্শনায় আন্তঃনগর চিত্রা ডাউন সুন্দরবন আপ ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবীতে মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা হল্ট ষ্টেশনের চিত্রা ডাউন সুন্দরবন আপ ট্রেনের যাত্রাবিরতি দর্শনা পুরাতন আন্তজার্তিক আন্তঃ নগর ২ টি সাবেক লোকাল ট্রেনের বরাদ্দ এবং খুলনা-দর্শনা ডাবল লাইন স্থাপনা সহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ১১টায় দর্শনা আন্তজার্তিক রেল ষ্টেশন চত্তরে দর্শনার জন্য আমরা ও দর্শনা প্রেসক্লাবের আয়োজনে এই মানববন্ধনে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ২১ দিনের আল্টিমেট একটি ঘোষণা করে। দাবী না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দর্শনার জন্য আমরা সংগঠনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল ইসলাম বাবু।

বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা চলাকালীন দক্ষিন পশ্চিমা অঞ্চলের রনাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠক এ্যাডভোকেট কমরেড মোঃ শহিদুল ইসলাম, দর্শনা সরকারী কলেজের সাবেক উপধাক্ষ মোঃ মোশারফ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মজনুর রহমান, দর্শনা জামায়েতের পৌর আমির সাহিকুল আলম অপু, দর্শনা গন উন্নয়ন গ্রন্থগারের পরিচালক কবি সাহিত্যিক মোঃ আবু সুফিয়ান, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক, ওসমান আলী, দর্শনা পৌর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম ওমিও, দর্শনা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জেলা কমিটির যুগ্ন আহবায়ক তানভীর আহম্মেদ অনিক, দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা ইমরুল কায়েস, সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেন দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুল।




দর্শনা কেরুজ ট্রেনিং কমপ্লেক্সে আখের ফলন বৃদ্ধির লক্ষে আখচাষী সমাবেশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরুজ ট্রেনিং কমপ্লেক্সে আখের ফলন বৃদ্ধি ও উন্নত কৃষিতাত্বিকের লক্ষে আখচাষী প্রশিক্ষণ ২০২৪ অনুষ্টিত হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ১১ টার দিকে কৃষি বিভাগের আয়োজনে কেরুজ ট্রেনিং কমপ্লেক্সে আখ চাষিদের নিয়ে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্টিত হয়।

এ আখচাষী প্রশিক্ষণে কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর মহাব্যাবস্থাপক কৃষি আশরাফুল আলম ভৃইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফসিএমএ রাব্বিক হাসান।

এ সময় আখচাষীদের উদ্দ্যশে তিনি বলেন, আপনারা আখ চাষ করবেন ভালো জাতের বীজ লাগাবেন। আপনারা মাথায় রাখবেন একর প্রতি কেমন ফলন আসবে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তাহলে বুঝতে পারবেন আপনারা আখচাষে লাভবান হচ্ছেন কিনা। আপনারা এ মিলটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে আপনাদের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। তাই আপনারা হাত বাড়িয়ে দিলে আপনাদের কথা চিন্তা করে আমারা আরেক দফা আখের মৃল্য বৃদ্ধি করা যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করবো। আপনারা এ মিলটির পাশে থাকলে আগামীতে মিলটি আরও বেশিদিন চলবে। তাই আপনারা কিভাবে লাভবান হবেন সেদিকে খেয়াল রাখব সবসময়। পরিশেষে তিনি বলেন আপনারা মিলে যে আখ দিবেন অব্যশই পরিস্কার পরিছন্ন আখ দেবেন। এতে করে আপনাদের মিলটি ভালো চলবে। আপনাদের ভোগান্তি কম হবে এবং মিলটি ব্রেক ডাউন কম হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিজিএম সম্প্রসারণ মাহাবুবুর রহমান,কৃষিবিদ দেলোয়ার হোসেন,পৃর্ব সাবজোনের প্রধান মাহফুজ আলম রতন,পশ্চিম সাবজনের মোস্তাহিদুল ইসলাম, আখচাষীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শামীম আল হাসান, ফরিদ উদ্দীন, নিজাম উদ্দীন, মহাসীন আলী, ইন্তাদুল হক প্রমুখ।