মেহেরপুরের ৭ নং ওয়ার্ডে পিআরএ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

‘মেহেরপুর জেলার উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন’ প্রকল্পের আওতায় মেহেরপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে পিআরএ কর্মশালার আয়োজন করেছে মেহেরপুর স্টুডেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (MESDA)।

রবিবার (২০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল প্রাঙ্গণে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট ডিরেক্টর আহমেদ আখতারুজ্জামান, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের কনসালটেন্ট ড. গাজী রহমান, রাকিব, নাঈমা, কামরুল, নবনীতা, প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সাব্বির আহমেদ এবং প্রজেক্টের প্ল্যানার সাইফুল রহমান আরমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মেহেরপুর জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আশিক রাব্বি, সদস্য হাসনাত জামান সৈকত প্রমুখ।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেই একটি কার্যকর ও টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা সম্ভব। এই কর্মশালার মাধ্যমে এলাকাবাসীর মতামত ও চাহিদা সরাসরি উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রতিফলিত হবে।




ঝিনাইদহে হেফাজতে ইসলামের সংবাদ সম্মেলন

বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপন ও হেফাজতে ইসলামের প্রতিবাদ সমাবেশকে জঙ্গি নাটক সাজানোর প্রতিবাদে ঝিনাইদহে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

রবিবার সকালে শহরের কফি হাউজ মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলাম ঝিনাইদহ জেলা শাখা। এতে দলটির জেলা শাখার সভাপতি মুফতী আরিফ বিল্লাহ কাসেমী, সহ-সভাপতি মুফতি জাকারিয়া, মুফতী এজাজ, যুগ্ম সম্পাদক মুফতী যোবায়ের, অর্থ সম্পাদক মুফতি ইলিয়াচ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আশরাফসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে অভিযোগ করা হয়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপন করার কারণে জাতীয় সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ আসতে পারে। দেশের অভ্যন্তরীণ নীতি বিদেশিদের ইশারায় নির্ধারণ হওয়ার আশংকাও রয়েছে।

হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশকে পরিকল্পিতভাবে ‘জঙ্গি নাটক’ হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।




ঝিনাইদহে কৃষকদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে ঝিনাইদহ জেলা কৃষকদলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রবিবার সকালে শহরের চক্ষু হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ।

এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, জেলা কৃষকদলের আহবায়ক ওসমান আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক,শামসুর রহমান,যুগ্ম আহবায়ক, আব্দুর রশিদ মোহনসহ দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সেসময় বক্তারা বলেন, “শহীদদের আদর্শকে বুকে ধারণ করে দেশের পরিবেশ রক্ষায় এবং সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কৃষকদল এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে।”

অনুষ্ঠান উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা শেষে চক্ষু হাসপাতাল চত্বরে বিভিন্ন ফলদ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করা হয়।




আমঝুপিতে ইয়ুথ গ্রুপের ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচি

“তরুণরাই পারে সমাজ বদলাতে” এই স্লোগানকে সামনে রেখে মেহেরপুরের আমঝুপিতে অনুষ্ঠিত হলো ইয়ুথ গ্রুপ ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচি।

শনিবার (১৯ জুলাই) বিকাল ৩টায় গণসাক্ষরতা অভিযান ও মানব উন্নয়ন কেন্দ্রের আয়োজনে মানব উন্নয়ন কেন্দ্রের কার্যালয়ে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

কর্মসূচির উদ্বোধনী বক্তব্য দেন মউক এর নির্বাহী প্রধান আসাদুজ্জামান সেলিম।
তিনি বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনে তরুণদের দায়িত্বশীল ও সচেতন করে গড়ে তোলাই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী এবং ওয়াচ গ্রুপের নেতৃবৃন্দ।

কর্মসূচির অন্যতম আকর্ষণ ছিল দলভিত্তিক কার্যক্রম। এতে অংশগ্রহণকারীরা নিজ নিজ এলাকার বিভিন্ন সমস্যা যেমন বাল্যবিবাহ, মাদকাসক্তি, শিক্ষার প্রতি অনাগ্রহ, বেকারত্ব ইত্যাদি চিহ্নিত করে, সেগুলোর বাস্তবসম্মত সমাধান প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এসব পরিকল্পনায় তরুণদের নিজস্ব নেতৃত্ব বিকাশ ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

সমাপনী বক্তব্যে মউক এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার কাজল রেখা বলেন, তরুণরা যেন কেবল দর্শক না থেকে সমাজের সক্রিয় কর্মী হয়ে ওঠে, সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।




গাংনীতে বিএনপির লাঠি মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ

গোপালগঞ্জের ঘটনায় আওয়ামী লীগের একটি ফেসবুক পেজে হরতালের ডাক দেওয়ার প্রতিবাদে মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুটি পৃথক গ্রুপের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার দুপুরে গাংনী উপজেলা শহরের বড়বাজার ও হাসপাতাল বাজারে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে হাসপাতাল বাজার এলাকায় গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে রূপ নেয়।
সাবেক যুবদল নেতা সাজেদুর রহমান বুলবুলের সঞ্চালনায় সেখানে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন।

অন্যদিকে, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে একটি লাঠি মিছিল বের করা হয়।
গাংনী হাসপাতাল বাজার এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বড়বাজার এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে পরিণত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হুসাইন। এসময় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৬ জন গ্রেফতার

মেহেরপুরের তিনটি থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ (নিষিদ্ধ ঘোষিত) ও যুবলীগের ছয়জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

শনিবার দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময়ে পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে এসব নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে।
এর মধ্যে গাংনী থানা পুলিশ ৪ জন, মুজিবনগর ও সদর থানা পুলিশ একজন করে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, একই ইউনিয়নের ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি আল মামুন, রাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আসাদুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বাশার, মেহেরপুর শহরের আওয়ামী লীগ নেতা অঙ্কুর হোসেন এবং মুজিবনগরের মোনাখালি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আবু সাঈদ।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা রয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।




কাগজে-কলমে কলেজ, বাস্তবে ফাঁকা মাঠ

মেহেরপুর সদর উপজেলার নতুন মদনাডাঙ্গা গ্রামে অবস্থিত ‘মেহেরপুর টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর ধরে কাগজে-কলমে পরিচালিত হলেও বাস্তবে প্রতিষ্ঠানটিতে নেই কোনো শিক্ষার্থী, নেই কোনো শ্রেণিকক্ষ কার্যক্রম।

অথচ শিক্ষা অফিসের তালিকায় প্রতি বছরই এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ থেকে ১৫ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। চলতি বছরও জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্যে প্রতিষ্ঠানটি থেকে ১০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে বলে উল্লেখ রয়েছে। মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে তারা পরীক্ষা দিচ্ছে। ওই কেন্দ্রের পরীক্ষা কমিটির সদস্য মো. জাহিদুল আলম জানান, কেউই প্রবেশপত্র সংগ্রহ করেনি, এমনকি কেউ পরীক্ষায়ও অংশ নেয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, ২০০৫ সাল থেকেই নিয়মিতভাবে ভুয়া পরীক্ষার্থী দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ রায়হান মুজিবের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন কলেজেই অবস্থান করছেন। আমরাও কলেজে জানালে তিনি দুখ প্রকাশ করেন। পরে তিনি স্বীকার করেন বর্তমানে কেবলমাত্র কাগজে-কলমে ২৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে এবং এবছর ১০ জন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

অভিযোগ অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৪ সালে রাজনৈতিক প্রভাবেই প্রতিষ্ঠা পায় এই কলেজ। তবে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানমুখো হওয়া বন্ধ করে দেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ভবনটি স্থানীয়দের কাছে কার্যত গুদামঘরে পরিণত হয়েছে। মাঠে কাজ করতে যাওয়া শ্রমজীবী বজলুর রহমান প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে পতাকা এনে কলেজে উত্তোলন করেন এবং কাজ শেষে আবার পতাকা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। এজন্য তাকে মাস শেষে কিছু হাতখরচ দেয়া হয়। বজলুর রহমানও বিষয়টি স্বীকার করেন। প্রতিষ্ঠানটির বারান্দা ব্যবহৃত হচ্ছে কৃষিপণ্যের অস্থায়ী সংরক্ষণাগার হিসেবে। অথচ কাগজে-কলমে এখনো সেখানে কর্মরত রয়েছে ৫ জন শিক্ষক ও ৬ জন কর্মচারী।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হযরত আলী বলেন, “বোর্ড কর্তৃক প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদন এখনো বাতিল হয়নি। ফলে এটি অফিসিয়ালি বন্ধ হিসেবে তালিকাভুক্ত নয়। তবে বাস্তবে প্রতিষ্ঠানটির কোনো কার্যক্রম নেই, বিষয়টি আমরা অবগত।” তবে তিনি স্বীকার করেন এবারও এইচএসসি পরীক্ষায় ওই প্রতিষ্ঠানের ১০ জন অংশ নেয়ার তালিকা দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।




আমঝুপিতে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত

সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে শনিবার সকাল ১০টায় আমঝুপির মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এর হলরুমে “সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ” বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) ও গণসাক্ষরতা অভিযান যৌথভাবে এই কর্মসূচির আয়োজন করে। মউক এর নির্বাহী প্রধান আশাদুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপের সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুর রহিম, এবং আমঝুপি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম।

এছাড়া সভায় কমিটির অন্যান্য সদস্য, স্থানীয় শিক্ষক, ও সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় মেহেরপুর জেলার, বিশেষ করে গ্রামীণ পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, ঝরে পড়া রোধ, এবং প্রাথমিক শিক্ষায় স্বদায়বদ্ধতার ভিত্তিতে গণঅংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপ গৃহীত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন উদ্যোগ, তাদের সার্বিক অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ, এবং এসডিজি অর্জনে ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন ও মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা তাদের পেশাগত সীমাবদ্ধতা, সরকারি সুযোগ-সুবিধায় বৈষম্য এবং বাজেট বরাদ্দের অসামঞ্জস্যতা সম্পর্কে অভিযোগ করেন। তবে এ ক্ষেত্রে মউক-এর দীর্ঘ এক যুগ ধরে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে অবদানের বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়।

সাদ আহম্মেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই ফলপ্রসূ আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন মউক-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার কাজল রেখা, সহকারী প্রোগ্রাম অফিসার আশিক বিল্লাহ ও চাঁদতারা সূর্য।




পরাজিত ফ্যাসিবাদী মাফিয়া শক্তি যেন আর মাথাচাড়া দিতে না পারে

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেছেন, পরাজিত ফ্যাসিবাদী মাফিয়া শক্তি যেন আর মাথাচাড়া দিতে না পারে। মাফিয়া তন্ত্রের ফ্যাসিবাদের পদতলে কখনো যেন আমাদের অধিকার ও জীবনকে সমর্পণ করতে না হয়, সেই লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে।

আজ শনিবার দুপুরে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে উপজেলার সমস্যা ও সম্ভাবনা শীর্ষক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, গাংনীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বানী ইসরাইল, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক সামসুল আলম সোনা, গাংনী পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, গাংনী পৌর জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি জিল্লুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেহেরপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব মোজাহিদুল ইসলাম, গাংনী টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ স্বপন, গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জুলফিকার আলী কানন, গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি সালাহ উদ্দীন শাওন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, উপনিবেশিক পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর শাসন ও শোষণ থেকে মুক্তি পাওয়াও ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য। ২৪ এর জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের চেতনাও ছিল মুক্তির চেতনা। অতএব, ৭১ এবং ২৪ এর অভ্যুত্থান নিয়ে আলাদা ভাবা, কোনটা ছোট কোনটা বড় এভাবে পার্থক্য করার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের জনগণের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘটনা। এটা কেউ চাইলেও ছোট করতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধ না হলে আমরা এই স্বাধীন ভূখণ্ড পেতাম না। সেটা মুক্তিযুদ্ধের মহিমায় সমুজ্জ্বল হয়ে থাকবে। তাই বলে ২৪ এর চেতনার কথা আমরা বলতে পারব না? প্রশ্ন করেন তিনি।

তিনি বলেন, ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং ২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থান দুটো ঘটনাই ঘটেছে মুক্তির চেতনা নিয়ে। সুতরাং আমাদের ৭১ এবং ২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থান দুটো ঘটনাই তুলে ধরতে হবে। মুক্তির চেতনার সাথে সংগতিপূর্ণ কাজগুলো আমাদের ধারণ করতে হবে।

মনির হায়দার বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ২ হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে। তাদের হত্যা করা হয়েছে। প্রায় ৩০ হাজার মানুষ অঙ্গহানির শিকার হয়েছেন, হয়েছেন গুরুতর আহত। এগুলো কি শুধুমাত্র রাজনৈতিক আন্দোলনে ঘটে? প্রশ্ন করেন তিনি। এটা রীতিমত একটা যুদ্ধাবস্থা ছিল।

তিনি বলেন, আমরা ২০২৪ সালের যে ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে এসেছি, সেটা রীতিমত একটা যুদ্ধাবস্থা ছিল। যেখানে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে একটি পক্ষ পরাজিত হয়েছে। যেই পক্ষকে আমরা বলি মাফিয়া তান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট। সেই মাফিয়া তান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট শক্তি পরাজিত হয়েছে জনগণের কাছে। তারা এই দেশের সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। সেই সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে নিরস্ত্র জনগণের প্রতিরোধ বিজয়ী হয়েছে। সেই বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমরা আজকে এই মুক্ত পরিবেশ পেয়েছি। অধিকাংশ জনগণের জন্য যেটা মুক্ত পরিবেশ, পরাজিত শক্তির জন্য সেটা পরাধীন পরিবেশ। তাদের জন্য এটা স্বাধীন পরিবেশ নয়। জুলাই ২৪ এ তরুণ তাজা প্রাণের বিনিময়ে আমরা একটা ভয়ংকর মাফিয়া তন্ত্রের হাত থেকে এদেশকে মুক্ত করেছি।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে আমরা বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাই, যেখানে সোহহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সকলে সহাবস্থান করবেন। যেখানে সকলের ন্যায্য অধিকার থাকবে, কেউ বঞ্চিত হবেন না। এই তত্ত্বে এবং এই কর্মে বিশ্বাসী।

তিনি বলেন, এই বাংলাদেশে গত ১৬ বছরে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অধিকার জিম্মি হয়ে পড়েছিল। আমরা যতটুকু অধিকার পেতাম, যতটুকু দয়া করে দেওয়া হতো। আমার যতটুকু অধিকার, সেটা আমার মতো আরেকজন নির্ধারণ করে দিতো। এই পদ্ধতিতে গোটা দেশের মানুষ জিম্মি দশায় পতিত ছিল। আমরা যেটাকে বলি ফ্যাসিবাদ ও মাফিয়া তান্ত্রিক শাসন। এমন এক শাসকগোষ্ঠী আমাদের বুকের উপর চেপে বসেছিল, যারা শুধু আমাদের অধিকারগুলোই কেড়ে নেয়নি, আমাদের নানা রকম নিপীড়ন-নির্যাতনের নিস্পেষণের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। আমরা নিজেদের নিয়মিত নাগরিক ভাবতে ভুলে যাচ্ছিলাম। সেই মাফিয়া চক্র এমন এক পদ্ধতি প্রবর্তন করেছিল, তারা পাঁচ বছর পর পর ভুয়া নির্বাচনী খেলা দেখিয়ে জনগণকে ঘোষণা করতো আমরা নির্বাচনে জয়লাভ করেছি, আগামী পাঁচ বছর আমরা ক্ষমতায় থাকবো, আমাদের আর কেউ কিছু বলতে পারবে না। আমরাও প্রায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। চেষ্টা ছিল, আকাঙ্ক্ষাও ছিল, কিন্তু এক পর্যায়ে ভাবতাম মনে হতো বোধহয় এই অবস্থার আর পরিবর্তন হবে না। প্রচণ্ড হতাশাজনক, এক অন্ধকারময় জীবন গোটা দেশ জুড়ে সবার জন্য নেমে এসেছিল।

তিনি বলেন, প্রশাসনে যারা আছেন, তারা পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতা নিয়ে কাজ করছেন তাদের ব্যাপারে আমাদের কোনো প্রশ্ন নেই, কোনো বিতর্ক নেই। কিন্তু একটি পক্ষ এতদিন খেয়ে পরে মোটা-তাজা হয়ে মাঠে নামবে আর অপর পক্ষটি এতোদিন না খেয়ে নির্যাতিত নিপীড়িত হয়ে মাঠে নামবে তাদের মাঝে নিরপেক্ষতা দেখাবেন এই নিরপেক্ষতা এখন প্রযোজ্য হবে না।

তিনি প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যারা ২৪ এর গণহত্যার সাথে জড়িত ছিল, গণহত্যাকে নানাভাবে মদদ দিয়েছে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করাটাই নিরপেক্ষতা। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে নিরপেক্ষতা দেখানো মানে আত্মঘাতী। এটা এক সময় আপনার জন্যও বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে। সুতরাং যেকোনো পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মানুষের ভবিষ্যৎ, গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিরাপদ করার জন্য, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাজের নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এই গুরুতর অপরাধের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারা জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, পরাজিত শক্তির অর্থনৈতিক নেটওয়ার্ক এখনো পুরোদমে সক্রিয়। অর্থনৈতিক নেটওয়ার্ক মানে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন ধরণের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আছে। তাদের এখনো বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা-বাণিজ্য, ডিলারশিপ রয়েছে। এগুলো পরাজিত ফ্যাসিবাদীদের হাতে থাকবে আর আপনি মনে করবেন সমাজে নিরপেক্ষতা থাকবে এটা হবে না। আপনি যদি মনে করেন, পরাজিত ফ্যাসিবাদ আছে, আমরা নিরপেক্ষ আচরণ করবো এটা আপনার জন্য আত্মঘাতী হবে।

তিনি বলেন, জনগণের সহায়তায় প্রশাসন এমন ব্যবস্থা নেবেন যাতে, পরাজিত অপরাধী চক্রের অর্থনৈতিক অপরাধচক্র ভেঙে পড়বে। এরপর সেখানে নিরপেক্ষতার চর্চা হবে। সেখানে স্বাভাবিক আইনের চর্চা হবে। এর আগে প্রশাসন কোনো নিরপেক্ষতা দেখাতে গেলে জনগণ এবং প্রশাসনের জন্য বুমেরাং হবে।

মুজিবনগর প্রসঙ্গে মনির হায়দার বলেন, জায়গাটার পূর্ব নাম বৈদ্যনাথতলা ভবেরপাড়া। বৈদ্যনাথতলা ভবেরপাড়া এই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল সেখানে বিপ্লবী সরকার শপথ গ্রহণ করেন। ‘ডিক্লারেশন অফ ইন্ডিপেন্ডেন্স’ সেখান থেকেই প্রকাশিত হয়, যেটা এখন সংবিধানে যুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচার ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। ‘ডিক্লারেশন অফ ইন্ডিপেন্ডেন্স’ মুজিবনগর থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ৭২ সালের সংবিধানে এই মূলনীতিগুলো যুক্ত করা হয়নি।

জুলাই অভ্যুত্থানের পর বর্তমান সংস্কার কমিশন, বর্তমান রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগে এই মুক্তিযুদ্ধের তিনটি ঘোষণাকে সংবিধানে সংযুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, যে বৈদ্যনাথতলায় এই ঐতিহাসিক ঘটনাটি ঘটেছিল, যেখানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেই জায়গাটির নাম মুজিবনগর হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি সংগ্রামের স্বাধিকার আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অস্বীকার বা উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই।

কিন্তু যেখানে শেখ মুজিব কোনোদিন আসেননি, তার সাথে মুজিবনগরের কোনো সম্পর্ক নেই তার নামে মুজিবনগর কেন হবে? প্রশ্ন করেন তিনি। তিনি বলেন, এই জায়গাটির নাম মুক্তিনগর, মুক্তিপুর বা অন্য কোনো নাম দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রশাসন এবং আমাদের সকলের উচিত জুলাই অভ্যুত্থানের নায়কদের চেহারা মনে রাখা। তাহলে নিরপেক্ষতার মানদণ্ডটা বুঝতে সহজ হবে। জীবন হাতে নিয়ে, নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও যারা বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছে সেই জুলাই যোদ্ধাদের কথা মনে হলে নিরপেক্ষতার মানদণ্ড সম্পর্কে বোঝা যাবে।




মেহেরপুরে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন

মেহেরপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ প্রাঙ্গনে চিত্রাঙ্কন ও গ্রাফিতি অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

দিনব্যাপী এ আয়োজনে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

জেলা শিক্ষা অফিসা মো: হযরত আলী বলেন, ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশব্যাপী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এই আয়োজন চলছে। এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের কাছে গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য ও আত্মত্যাগের ইতিহাস তুলে ধরা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ খায়রুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ১ জুলাই শুরু হয়ে ৫ আগস্ট চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হওয়া এই গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। সেই সাহসী আন্দোলনকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে এর চেতনা ছড়িয়ে দিতেই এই চিত্রাঙ্কন ও গ্রাফিতি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়াও এসময় মেহেরপুর সরকার মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মুহা. আবদুল্লাহ আল-আমিন (ধুমকেতু), সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ তৌহিদুল কবীর, টিটিসি’র অধ্যক্ষ ড. শামীম হোসেন, মেহেরপুর সরকারি কলেজের প্রভাষক হাসানুল হক, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় ‘খ’ গ্রুপে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে মেহেরপুর সরকারি কলেজ এবং প্রথম স্থান অর্জন করেছে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ।

অন্যদিকে, ‘ক’ গ্রুপে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং প্রথম স্থান অর্জন করেছে জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

জেলা পর্যায়ে প্রথম পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার সাত হাজার টাকা এবং তৃতীয় পুরস্কার পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হবে।