মেহেরপুরে যৌথবাহিনী অভিযানে গাঁজাসহ আটক ৪

মেহেরপুরে সেনাবাহিনী, বিজিব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদফতরের পৃথক দুটি যৌথ অভিযানে ২২ কেজি গাঁজাসহ ৪ জন মাদক কারবারিকে আটক করেছেন অভিযানিক দল।

এ সময় আটককৃতদের কাছ থেকে মাদক কেনাববেচার ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে তাদের পৃথক স্থান থেকে আটক করে। আটককৃত হলো- কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার ভাগজাতপুর গ্রামের ইসমাইল মন্ডলের স্ত্রী তিলোক জান (৪৫), একই উপজেলার মুন্সিগঞ্জ অক্টোর নগর গ্রামের আসমত ব্যাপারীর স্ত্রী কোহিনুর খাতুন(৫০), মেহেরপুরে গাংনী উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের নবীনপুরের মৃত ইউনুস আলীর ছেলে ইন্তাজুল হোসেন ওরফে ইন্তা(৪৮) ও একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীন(৪৬)।

মেহেরপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবুল হাসেম জানান, মাদক পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৭ আর্টিলারি রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন রওশনের নেতৃত্বে মেহেরপুর কুষ্টিয়া সড়কের জোড়পুকুরিয়া নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে ৮ কেজি গাঁজা, তিনটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৭ হাজার টাকা, মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ব্যাটারী চালিত পাখি ভ্যানসহ তিলোক জান, কোহিনূর খাতুন ও ইন্তাজুল কে আটক করে। পরে সাহারবাটি ডিসি ইকো পার্কের গুচ্ছগ্রামের জয়নাল আবেদীনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৪ কেজি গাঁজা, ১৭ বোতল ফেনসিডিল ও মাদক বিক্রয়ের নগদ ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা উদ্ধার করে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা পূর্বক গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অংশগ্রহণ করেন।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ বানী ইসরাইল বলেন, যৌথবাহিনীর অভিযানে আটককৃতদের থানায় হস্তান্তর করেছেন। আইনি প্রক্রিয়ায় মাদকচক্রদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।




মেহেরপুরে বিজ্ঞান শিক্ষা ও দুর্ভাবনা

মার্টিন কুপার সাহেব কী কাজটিই না করে গেছেন। আমাদের কালে তিনজন একসংগে থাকলেই হৈচৈ হতো আজ সেখানে তিরিশ জনের ঘরেও পিনপতন নীরবতা। হাতে মোবাইল, স্ক্রীনে চোখ, মনটা বিচরণ করছে ওয়েব দুনিয়ায়। এ দুনিয়া ভার্চুয়াল, বাস্তব থেকে অনেক দূরে। ঘোরলাগা জগতের মানুষ আজকাল ঘোরের মধ্যেই থাকে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই আজ ব্যবহার করছে স্মার্ট ফোন। একে প্রযুক্তিপ্রেমি বলা গেলেও বিজ্ঞান মনস্ক বলা যায় না। প্রযুক্তি ব্যবহার করলেই মানুষ বিজ্ঞানমনষ্ক বা বিজ্ঞান সচেতন হয় না, তাকে সুশিক্ষিত হিসেবেও গন্য করা যায় না। একুশ শতকের অসম্ভবের সম্ভাবনার এই যুগে আমি এমন শিক্ষিত মানুষও দেখেছি যিনি চাঁদে মানুষ গেছে একথাটি বিশ্বাস করেন না। যে সমাজে শিক্ষার হার কম সে সমাজের কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের মেহেরপুর এখনও কৃষিনির্ভর। প্রায় আট লক্ষ জনসংখা অধ্যুষিত মেহেরপুরে শিক্ষার হার ৬৭%। প্রকৃতপক্ষে এই হার আরও কম হবে। অর্থনৈতিক দিক থেকে অগ্রগতি হলেও শিক্ষায় বরাবরই পিছিয়ে আছি। তার মধ্যে বিজ্ঞান শিক্ষায় আরও পিছিয়ে। বাংলাদেশ শিক্ষা পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইজ) তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে মাধ্যমিকে মোট এসএসসি পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী ছিল ৪২.৮১ শতাংশ। এই হার কমতে কমতে ২০১৬ সালে ২৯.০৩ শতাংশে নেমে আসে। দু’বছর আগে দেখা গেছে, মাধ্যমিকে প্রায় ২২ শতাংশ ও উচ্চ-মাধ্যমিকে ১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান পড়ছে। ২০২৪ সালে দেখা যাচ্ছে এসএসসিতে ২১.৮ শতাংশ এবং এইচএসসিতে ১৬.৮ শতাংশ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান শাখায় পড়ছে। কারিগরী/বিএম শাখায় পড়ছে ১৮.৫ শতাংশ। স্পষ্টতই মেহেরপুরে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী দ্রুত কমছে। বিজ্ঞানের প্রতি এই অনাগ্রহ গ্রামাঞ্চলের স্কুল-কলেজগুলোতে আরও বেশি প্রকট।

২০২৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মেহেরপুর জেলায় বিজ্ঞান শাখায় পরীক্ষার্থী ছিল মাত্র ৬৮৯ জন। এদের মধ্যে পাস করেছে ৪৬৩ জন। অর্থ্যৎ পাসের হার ৬৭%। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৪৯জন। এইচএসসি এর সমমান কারিগরী/বিএম শাখায় পাসের হার ৭১.৯% এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন। তাহলে দেখা যাচ্ছে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ বা গবেষক হওয়ার নিমিত্ত ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে এইচএসসি বিজ্ঞান ও কারিগরী শাখা থেকে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত মোট ৬১ জন এবং জিপিএ ৪ এর উপরে মুষ্টিমেয় আরও কয়েকজন। প্রচন্ড প্রতিযোগিতায় খুব অল্পসংখ্যকই যে টিকবে তা বলাই বাহুল্য। এই হচ্ছে আমাদের অবস্থা।

মেহেরপুর জেলায় বিজ্ঞান শিক্ষার হার নিয়ে আমি চিন্তিত। একসময় ১৪ বছর জেলা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমিটির আমি সেক্রেটারি ছিলাম। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে যা দেখেছি তা হচ্ছে-এক. শিক্ষার্থীদের অনীহা বা ভীতি; দুই. শিক্ষাদান প্রক্রিয়া; তিন. বিজ্ঞান শিক্ষার উপকরণ ও উপযোগী অবকাঠামোর অভাব; চার. উপযুক্ত যোগ্য শিক্ষকের অভাব; পাঁচ. সামাজিক সচেতনতার অভাব, ছয়. বিজ্ঞান শিক্ষাকে ব্যয়বহুল মনে করা, ইত্যাদি কারণে বিজ্ঞান শিক্ষার হার কমছে।

বিজ্ঞান মেলা আগে স্কুল-কলেজগুলোতে যেভাবে সাড়া ফেলতো এখন কিন্তু সেভাবে দেশের সর্বত্র হচ্ছে না। বছরে একবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপন করা হয় বটে তবে তা পুরোটাই আমলানির্ভর-অনুষ্ঠানসর্বস্ব। সে আয়োজনে অব্যবস্থাপনা, সৃষ্টিশীলতার অভাব এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। ব্যক্তি পর্যায়ে বা ছোট ছোট প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বিচ্ছিন্নভাবে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড বা অন্যান্য কাজ হচ্ছে কিন্তু দেশব্যাপী সরকারি পর্যায়ে বিজ্ঞান বিষয়কে সহজ, আনন্দময়, ব্যবহারিক চর্চা ও আকর্ষণীয় করার কোনো কর্মসূচি নেই । ফলে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে তরুণ প্রজন্ম।

বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য থেকে জানা যায় যে, দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ২৯ শতাংশে বিজ্ঞানাগার স্থাপন করা হয়নি। অর্থাৎ প্রায় এক তৃতীয়াংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানাগার নেই। যেগুলোতে বিজ্ঞানাগার আছে, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতিও আছে কিন্তু কেউ ব্যবহার করছে না। অনেক প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করতে করতে একেবারে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। প্র্যকটিক্যাল ক্লাস ছাড়াই যদি জিপিএ-৫ হয়ে যায় তাহলে শিক্ষার্থীরা ল্যাবরেটরিতে যাবে কেন?

একটি অঞ্চলে মেধার বিকাশ না হলে এর পরিণতি ভয়াবহ হয়। আমরা সেদিকেই ধাবিত হচ্ছি। একসময় হয়ত আমাদের ডাক্তার, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা সৃষ্টি হবে না। অন্য জেলা বা অঞ্চলের ওপর আমাদের নির্ভর করতে হবে। তার ফল ভাল হবে না। সরকারি স্কুল-কলেজগুলোতে আমি দেখেছি বহিরাগত শিক্ষকেরা শুধুই চাকরী করেন, স্থানীয়রা চাকুরীর পাশাপাশি কিছুটা হলেও শিক্ষকতা করেন। স্কুল-কলেজে স্থানীয় শিক্ষকের সংখ্যা দিন দিন কমছে। স্বাস্থ্য বিভাগের বহিরাগত ডাক্তাররা চাকুরী করেন-পকেট স্ফীত করেন। কিন্তু আমাদের ঘরের ছেলেমেয়েরা চাকুরীর পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা দিয়ে মানুষকে সহায়তাও করেন। স্থানীয় হওয়ার কারণে তাদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিত মানুষ থাকায় মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে মানুষকে নানাভাবে সেবা, সাহায্য ও সহযোগিতা করে থাকেন। তবে তাদের সংখ্যাও দিনে দিনে কমে আসছে। এমনটি সিভিল সার্ভিসের অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

১০/১৫ বছর আগেও দেখেছি প্রতি বছরই ২০/২৫ জন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা, প্রকৌশল বা বিজ্ঞান গবেষণা বা উচ্চ শিক্ষার কোন বিষয়ে অধ্যয়নের সুযোগ পেতে। কিন্তু এখন যা অবস্থা তাতে শংকিত না হয়ে পারছি না।

প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান বিষয়ে অতি সামান্য ধারণা লাভ করে। তাদের মধ্যে বিজ্ঞানমনষ্কতা তৈরি হয় মূলত মাধ্যমিক স্তরে গিয়ে। কিন্তু এ স্তরে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানের প্রতি অনাগ্রহ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। বিজ্ঞান শিক্ষায় দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাব ও পর্যাপ্ত ভৌতকাঠামো না থাকা একটি বড় কারণ। এশিয়া মহাদেশে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশ জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও চীনে বিজ্ঞানকে গুরুত্বসহকারে শেখানো হয়।

পৃথিবীর অনেক দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে পাঠিয়ে আনন্দের সাথে বিজ্ঞান পড়ানোর কৌশল অবলম্বন করা হয় যা আমাদের দেশে বেশি বেশি প্রয়োজন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একদিকে দেশপ্রেমের চর্চা হবে, অন্যদিকে অর্থ উপার্জন এবং সর্বোপরী শিক্ষা জীবনেই দেশের সমস্যা দূর করা ও দেশগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেদের নিয়োজিত করার সুযোগ পাবে। অবহেলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান শিক্ষায় আগ্রহী হয়ে উঠবে।

বিশ্বে চাকরির বাজার আগের চেয়ে অনেক দ্রুত বদলে যাচ্ছে এবং এখনকার অনেক চাকরির অস্তিত্ত্ব শিগগিরই অদৃশ্য হয়ে যাবে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গবেষকরা বলছেন, আগামী পাঁচ বছরে বর্তমান চাকরির বাজার প্রায় এক-চতুর্থাংশ বদলে যাবে। এই পরিবর্তনের পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হল নতুন প্রযুক্তির উত্থান বা অটোমেশন ।

বর্তমানে প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নয়ন ও দ্রুত পরিবর্তনের সক্ষমতা বোঝাতে গিয়ে নিম্নোক্ত কথাটি স্মরণ করা যেতে পারে। “পাঁচ কোটি লোকের কাছে রেডিওর পৌঁছাতে সময় লেগেছে ৩৮ বছর, টেলিভিশনের ১৩ বছর। অথচ ইন্টারনেটের লেগেছে ৪ বছর। আইপডের জন্য সময়টা মাত্র ৩ বছর আর ফেসবুকের? মাত্র ২৪ মাস”। এরপর ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউটিউব ভিডিও প্ল্যাটফরম (YouTube) এর সময় লেগেছে ১৮ মাস এবং ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এসেছে এ আই চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) , যার ৫ কোটি লোকের কাছে পৌঁছাতে সময় লেগেছে মাত্র ১২ মাস। ‘কোডাক’ ক্যামেরা, মার্ফি রেডিও, এইচ এম টি ঘড়ি, এ্যাম্বাসেডর গাড়ি, প্রভৃতির কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। একসময় দাপটের সাথেই এরা রাজত্ব করেছে। গুনে-মানে ভাল হলেও বছর বিশেকের মধ্যে দেউলিয়া হয়ে গেছে। কারণ প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তন ঘটেছে। মানুষ এখন এক স্মার্ট ফোন দিয়েই দশ ডিভাইসের কাজ সারছে।

কারিগরি ও প্রযুক্তি জ্ঞান হল এমন এক প্রধান দক্ষতা যা নতুন চাকরির প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিঁকে থাকার জন্য অবশ্যই অর্জন করতে হবে। এর অর্থ এই নয় যে প্রত্যেকেরই প্রোগ্রামিং ভাষা জানতে হবে বা মেশিন লার্নিং এর আদ্যোপান্ত সব বুঝতে হবে। বিবিসি বলছে- ভবিষ্যতে ‘স্টেম’ হবে চাকরির বাজারে প্রধান চাহিদা । ইংরেজি বর্ণমালার চারটি অক্ষর এস, টি, ই, এম – অর্থাৎ ‘স্টেম’ (STEM) এর পূর্ণ অর্থ হল সায়েন্স বা বিজ্ঞান, টেকনোলজি বা প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রকৌশল এবং ম্যাথম্যাটিকস বা গণিত। সুতরাং আপনি যদি ভাবেন আপনার সন্তানের স্কুলে কোন বিষয়গুলোয় ফোকাস করা উচিত, তাহলে এর উত্তর হবে: গণিত, কম্পিউটার সায়েন্স, এবং ন্যাচারাল সায়েন্সেস।

আমার মনে হয় আমাদের চলমান শিক্ষা ব্যবস্থায় আমরা এমন সব গ্র্যাজুয়েট তৈরি করছি, ২০৩০ সালে সমাজে যাদের কোনো চাহিদাই থাকবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে মোকাবিলা করতে হলে আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার খোলনলচে পাল্টে ফেলতে হবে; সৃজনশীলতা এবং বিশ্লেষণী ক্ষমতার বিকাশ ঘটাতে হবে; শিক্ষাকে করতে হবে অ্যাকটিভিটিনির্ভর এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে।

বিগ ডেটা, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো নতুন নতুন প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি শ্রমবাজারে আমূল পরিবর্তন আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভাল খবর হল, নতুন প্রযুক্তি সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য করবে। এতে একদিকে যেমন অনেক কর্মসংস্থানের খাত তৈরি হবে তেমন অনেক কর্মসংস্থান ধ্বংসও হয়ে যাবে। সুতরাং একটি ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে সফল হতে প্রতিনিয়ত নতুন দক্ষতা শিখে সক্ষমতা বাড়ানোর কোনও বিকল্প নেই।

বিজ্ঞান শিক্ষাকে আকর্ষনীয়, সহজবোধ্য ও জনপ্রিয় করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। কারণ বিশ্বায়ন ও বিজ্ঞানের এই যুগে বিজ্ঞান শিক্ষাকে আমরা কোনভাবেই অবহেলা করতে পারি না। বিজ্ঞান শিক্ষাকে অবহেলা করা মানে বিশ্বায়নের গতি থেকে ছিটকে পড়া। কাজেই ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট এবং এলাকার রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃত্ব-সকলের বিষয়টি গুরত্বসহকারে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ।




৫২ টি মোটরসাইকেল চালককে ১ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা

মেহেরপুরে সেনাবাহিনী ও ট্রাফিক পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে দিকে মহিলা কলেজ মোড় সড়কে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে অর্ধশতাধিক মামলার মধ্যে ২ টি লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে এবং ১২টি মোটরসাইকেলের চালককে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এসময় মেহেরপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী বিভিন্ন যানবাহনে কাগজপত্র তল্লাশি করে। অভিযানে প্রায় ১২টি গাড়ির মালিককে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে মেহেরপুরে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ট্রাফিক অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৭ আর্টিলারি রেজিমেন্টের ওয়ারেন্ট অফিসার জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে একটি সেনাবাহিনীর টিম ও ট্রাফিক পুলিশের টিম উপস্থিত ছিলেন। পরে মেহেরপুর সদর থানার ওসি আমানুল্লাহ আল বারীর নেতৃতে পুলিশের একটি টিম হেলমেট বিহীন যারা রাস্তায় মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছিল তাদেরকে সতর্ক করেন এবং সড়ক দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে হেলমেট পরিধান করে ও বৈধ কাগজপত্র সাথে রেখে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য আহ্বান জানান।

এছাড়াও বিকেল ৫টার সময় কলেজ মোড়ে ৪০ টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স হেলমেট ও রেজিস্ট্রেশন বিহীন চালকদের ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সর্বমোট এক লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।




সারা দেশে জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দিচ্ছে বিটিভি

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রীয় চ্যানেল বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। সারা দেশে জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেবে প্রতিষ্ঠানটি। আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে উপ-মহাপরিচালক (বার্তা) বাংলাদেশ টেলিভিশন, সদর দপ্তর, রামপুরা, ঢাকা এর বরাবর আবেদন পাঠাতে হবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম : বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)

পদের নাম : জেলা প্রতিনিধি

বয়সসীমা : কমপক্ষে ৩০ বছর

সারা দেশে জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দিচ্ছে বিটিভি
অ্যাপেক্সে চাকরির সুযোগ, পাবেন ফ্যামিলি ডিসকাউন্ট
কর্মস্থল : সারা দেশে

আবেদন শুরুর তারিখ : ০৩ নভেম্বর ২০২৪

আবেদনের শেষ সময় : ১০ নভেম্বর ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রি

অন্যান্য যোগ্যতা : সাংবাদিকতা বিষয়ে ডিগ্রি বা প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। মাইক্রোফোন উপযোগী কণ্ঠস্বর, আকর্ষণীয় বাচনভঙ্গি ও প্রমিত বাংলা উচ্চারণ। ক্যামেরার সামনে নিঃসংকোচ ও সাবলীলভাবে কথা বলার যোগ্যতা থাকতে হবে। ক্যামেরা, এডিটিং ও ইন্টারনেট বিষয়ে কারিগরী জ্ঞান। নির্দেশনা : মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি, সরকারি যে কোনো খাত হতে বেতনভুক্ত কর্মচারী ও নির্বাচিত কোনো জনপ্রতিনিধির আবেদন গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে উপ-মহাপরিচালক (বার্তা) বাংলাদেশ টেলিভিশন, সদর দপ্তর, রামপুরা, ঢাকা এর বরাবর আবেদন পাঠাতে হবে। বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

সূত্র: কালবেলা




জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে মেহেরপুর জেলার প্রথম স্থান অর্জন

সারা দেশে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন মনিটরিং সেল কার্যক্রমে অক্টোবর মাসে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে সারা দেশের মধ্যে মেহেরপুর জেলা প্রথম স্থান অর্জন করায় জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজকে অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।

আজ বুধবার (৬ নভেম্বর ) সকালে ১০ টার সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে জেলা প্রশাসককে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

শুভেচ্ছা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রনি আলম নুর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ ,সরকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবির হোসেন, মেহেরপুর জেলা ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আসিফ ইকবাল সজীব, মোঃ  সানোয়ার হোসেন প্রমুখ।

 এ সময় অন্যদের মধ্যে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাদিম হোসেন শামীম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আজিম উদ্দিনসহ ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।




রাস্তার বেহাল দশা! নাগরিক সেবা বঞ্চিত ঝিনাইদহ পৌরবাসী

মাসের পর মাস সুয়ারেজ লাইনের ময়লা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে ঝিনাইদহ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের উপশহর পাড়া এলাকার রাস্তা ঘাট। আশপাশের বাড়িঘর ও টয়লেটের ময়লা পানি এসে ড্রেনেজের মুখ উথলে উপচে পড়ছে সড়কে। ড্রেন ছুঁয়ে পানি রাস্তায় বের হচ্ছে অনবরত। সেই পানি সড়কে জমেছে প্রায় হাঁটু সমান। ভাঙাচোরা রাস্তা আর কাঁদাঁ পানির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না পৌর কর্তৃপক্ষ।

আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) উপশহর পাড়া এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহল্লার অলিগলি ও সড়কগুলোতে পানি থৈ থৈ করছে। কোথাও কোথাও পানি হাঁটু সমান। পানি বের হওয়ার ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে গিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ময়লা পানির ভ্যাপসা দুর্গন্ধসহ ডেঙ্গু ও পোকামাকড় সৃষ্টি হচ্ছে, বাড়ছে স্বাস্থ্য-ঝুঁকিও। পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ড্রেনের ঢাকনা ভাঙা ও ঢাকনা না থাকায় মানুষের যাতায়াত এবং যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া ড্রেন পরিচর্যা না করার ফলে ময়লা-আবর্জনা আটকে স্তুপ হয়ে আছে, যার ফলে ড্রেনের পানি বা ময়লাগুলো স্থানান্তরিত হয় না। এতে সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তার অলিগলিতে পানি জমে থাকে যা বাসিন্দাদের চলাচলে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি করে।

পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রেশমা খাতুন বলেন, নামেই পৌরসভায় বাস করি আমরা। রাস্তা-ঘাটের বেহালদশা। নেই সড়কে বাতির ব্যবস্থাও। সন্ধ্যা নামলেই যেন তৈরি হয় ভুতুড়ে পরিবেশ। মাসের পর মাস সুয়ারেজের পানি রাস্তায় উপচে পড়লেও দেখার যেন কেউ নেই!

অভিযোগ করে সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবক বলেন, পৌরসভার উপশহর পাড়ার এলাকাবাসী যেন অভিভাবকহীন বাসিন্দা। পৌরসভার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত তারা।

আরেক বাসিন্দা জিকু হাসান জানান, এ এলাকায় কোন সুস্থ মানুষের বসবাসের মতো অবস্থা নেই। বৃষ্টি ও বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়। সুয়ারেজের ময়লা পানিতে বংশবিস্তার করছে মশা মাছি। ময়লা-পানির কারণে মশা-মাছির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ডায়রিয়া, ডেঙ্গু জ্বরসহ বিভিন্ন রোগ।

পৌর শহরে চলাচলকারী একাধিক অটোরিকশা চালক জানান, উপশহর পাড়ায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাজুক থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এছাড়াও সড়কের বেহাল দশার কারণে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হয় তাদের। মাঝেমধ্যেই রিকশার চাকা ভেঙ্গে যায়। যাত্রীরাও অনেক সময় রিকসায় উঠতে ভয় পান।

ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা আজিজুর রহমান জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে যায় কিন্তু পানি সরানোর কোন ব্যবস্থা নেই। ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ার ফলে ড্রেনের ময়লা আবর্জনা উপচে পড়ে সড়কে উঠে যাওয়ায় বারোমাস সড়কে জলাবদ্ধতা থাকে। এতে করে রাস্তায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ড্রেনটি অকেজো হওয়ায় পানি বের হবার কোনো পথ নেই। ময়লা আবর্জনা প্রতিনিয়ত ড্রেনে ফেলার কারণে পানি নিষ্কাশনে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে জনদুর্ভোগ কমাতে দ্রুত টেকসই ড্রেন নির্মাণ ও সড়ক সংস্কার করা হবে।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কামাল উদ্দীন বলেন, ওখানে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে আছে। শুনেছি জলাবদ্ধতা আর খানাখন্দে সড়কটি এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। নতুন করে টেন্ডার করা হচ্ছে প্রকল্প আসলে দ্রুত কাজ বাস্তবায়নের জন্য জরুরীভাবে উদ্যোগ নেয়া হবে।




ছেলের হয়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন তাপসের মা

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘গান বাংলা’র চেয়ারম্যান ও গায়ক-সুরকার-সংগীত পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপসের হয়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তার মা মেহের নিগার চঞ্চল।

তিনি বলেন, যে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাপস এতে জড়িত না। যদি বিপথগামী হয়েই থাকে এর জন্য শেখ হাসিনা দায়ী।

বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তাপসের মা বলেন, ২০১২ সালে ঢাকা স্টেডিয়ামে একটি গানের অনুষ্ঠান থেকে তাপসকে তুলে নেওয়া হয়। তারপর থেকে এই ১২ বছরে বারো বারও তার দেখা পাইনি। তখন থেকে শেখ হাসিনা সরকার আমাকে একা করে দিয়েছে। ওই সময় তাকে তুলে নেওয়ার এক বছর পর যেখানে পেয়েছি, তা আর বলতে চাই না।

মেহের নিগার বলেন, অপরাজনীতির কারণে ১৯৭৪ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে আমি নেই।

তিনি বলেন, আমি ব্যথিত, দুঃখিত। তার বিরুদ্ধে যে মামলা দিয়েছে তা ঘৃণ্যতম কাজ, রাষ্ট্রবিরোধী কাজ। আমার সন্তান কখনোই এই মামলার জড়িত হতে পারে না। তার দ্বারা এ কাজ হতে পারে না।

আমরা তাকে সেই শিক্ষা দেইনি। সে এ কাজ করবে না। সেই গ্যারান্টি আমি দিয়ে যাচ্ছি। এই বয়সের তার জন্য সাহায্য চাচ্ছি।

ইশতিয়াক মাহমুদ নামে একজন ব্যবসায়ী হত্যাচেষ্টার একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে থেকে গান বাজনার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী ক্যাডারদের উৎসাহ ও ছাত্র জনতার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করে গান বাংলার তাপস।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্র করে জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় দায়েরকৃত একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গান বাংলার প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপসকে।

গত সোমবার উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান তাপসকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে ক্ষুদ্রঋণ অর্থায়নের গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

ঝিনাইদহে উপজেলা পর্যায়ে বাস্তবায়িত ক্ষুদ্রঋণ অর্থায়নের গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা সমাজসেবা অফিসের আয়োজনে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরী।

সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুল হাই সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের, মানবাধিকার কর্মী আমিনুর রহমান টুকুসহ অন্যান্যরা। প্রশিক্ষণ শেষে সদর উপজেলার ৩০ জন ক্ষুদ্রঋণ গ্রহিতার মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।




বসুন্ধরা কিংসকে ডোবানো ফুটবলাররা জাতীয় দলে

ভুটানে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে খেলতে গিয়ে বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলাররা সব ম্যাচ হেরে শনিবার ঢাকায় ফিরেছেন। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচের মধ্যে তিনটাতেই শোচনীয় হার বসুন্ধরা কিংসের। দলের ফুটবলারদের খেলা দেখে হতাশ হয়েছেন দর্শক। তথাকথিত বাজপাখি গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো, শেখ মোরসালিন, রাব্বি হোসেন রাহুল, মজিবর রহমান জনি, সোহেল রানা, সাদ উদ্দিন, রাকিব হোসেন, মেহেদী হাসান শ্রাবণ, তপু বর্মনরা জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন গতকাল।

এসব ব্যর্থ ফুটবলাররা এএফসির টুর্নামেন্টে গিয়ে ভুটানের মতো ক্লাব দলের কাছেও হেরেছেন। নিজ ক্লাবকে কিছু দিতে পারেননি। বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগের ১ নম্বর দল বসুন্ধরা কিংস। হেরেছেন ভারতের লিগের তলানীতে থাকা ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের বিপক্ষে। ৪ গোলে। ৩৩ মিনিটে ৩ গোল, ৪৪ মিনিটে ৪ গোল। ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের কোচ ছিলেন অস্কার ব্রুজন, কিংসের সাবেক কোচ।

অস্কারের কাছে কিংস কর্তাদের মাথা হেট করে দিয়েছেন রাকিব, জিকো, তপু, সোহেল রানারা। চ্যালেঞ্জ লিগে ৩ ম্যাচে ৭ গোল হজমের বিপরীতে কিংসের প্রাপ্তি ১ গোল। লজ্জার হার মাথায় নিয়ে গতকাল তারা হাসি মুখে টিম হোটেলে উঠেছে। এখন তাদেরকে নিয়েই জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরাকে মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলাবেন। পুরুষ ফুটবলারদের জবাবদিহিতা নেই। তারা পারিশ্রমিকটাকেই বড় করে দেখেন।

বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল জীবনবাজি রেখে মাঠে লড়াই করেন। কিন্তু লড়াইয়ের তুলনায় পারিশ্রমিক কিছুই না। আর পুরুষ ফুটবলাররা পারিশ্রমিক পান দুই হাত ভরে। ফ্ল্যাট, জমি, গাড়ি কেনেন। কিন্তু দেশ কী পাচ্ছে, ভেবে দেখেন না। তা নিয়ে মাথাব্যথাও নেই জাতীয় দলের ফুটবলারদের। ঢাকায় বসুন্ধরা কিংসের মাঠে মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ ১৩ ও ১৬ নভেম্বর। ১১ নভেম্বর ঢাকায় আসবে মালদ্বীপ।
সূত্র: ইত্তেফাক




যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সব ভোট গণনা শেষের আগেই প্রাথমিক ফলাফল বিশ্লেষণে এ তথ্য জানিয়েছে ফক্স নিউজ। তাদের হিসাব-নিকাশ মতে, আর কোনোভাবেই কমলা হ্যারিসের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

সর্বশেষ খবরে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের প্রাপ্ত ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা ২৭৭। অপরদিকে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৬টি ভোট। দেশটিতে মোট ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। জিততে হলে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হবে। তা ইতিমধ্যে ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন এবং আরও কিছু রাজ্যের ইলেকটোরাল কলেজ ভোট তার দখলে যাওয়ার খুব সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

ট্রাম্পের জয়ের খবরে বিভিন্ন রাজ্যে উৎসবে মেতেছেন তার সমর্থকরা। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের প্রধান কার্যালয় থেকে বিবিসি জানিয়েছে, ফক্স নিউজ যখন প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের অনুমান ঘোষণা করছিল তখন হলরুমে উপস্থিত সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। তাদের কান ফাটানো জয়ধ্বনিতে এক অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় অনেক সমর্থক আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ট্রাম্পের নামে স্লোগান দিতে থাকেন।

অপরদিকে কমলা এখনও হাল ছাড়ছেন না। তার প্রচারশিবিরের সহসভাপতি সেড্রিক রিচমন্ড বলেন, ‘আমাদের এখনও ভোট গণনা করা বাকি আছে। আমাদের এমন রাজ্য রয়েছে যেগুলোর ফল এখনও নিশ্চিত নয়। আমরা রাতেও লড়াই চালিয়ে যাব। যাতে প্রতিটি ভোট গণনা হয়। প্রতিটি কণ্ঠস্বর যাতে নিশ্চিত করা হয়। সুতরাং আপনি (সমর্থক) আজ রাতে ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে ভাষণ শুনতে পাবেন না। তবে আগামীকাল তিনি ভাষণ দেবেন।’

এদিকে নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রাখতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিছু রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে স্নাইপার ইউনিট। রয়েছে কয়েক স্তরের গোয়েন্দা সতর্কতা। ভোট শেষেও বেশ কয়েক দিন এ ধরনের নজরদারি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সূত্র: কালবেলা