মেহেরপুরে পুলিশের দায়ের করা মামলায় ২০০ জন খালাস

শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশন মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মুকুল, মেহেরপুর পৌর জামায়াতের আমির ও পৌর কাউন্সিলর সোহেল রানা ডলার, মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি খাইরুল বাশার ও গাংনী পৌর জামায়াতের সাবেক আমির আব্দুল মজিদসহ জামায়াতের দুই শ নেতা কর্মীর নামে পুলিশের দায়ের করা মিথ্যা মামলার সকল আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত।

আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিক এই মামলার জামায়াতের সকল নেতাকর্মীদের বেখসুর খালাসের এই রায় দেন।

২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মুজিবনগর উপজেলার গৌরীনগর গ্রামের খালের ধারে জামায়াত নেতাকর্মী জড়ো হয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এসময় মুজিবনগর থানা পুলিশ জামায়াত নেতাকর্মীকে ছত্রভঙ্গ করতে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশ ও জামায়াত নেতাকর্মীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে শিবির কর্মী দেলোয়ার হোসেনসহ ৬ জন গুলিবিদ্ধ হন।

গুলিবিদ্ধ দেলোয়ার হোসেনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথের মধ্যে মারা যান। এসময় গুলিবিদ্ধ হন, শিবিরকর্মী হাসিবুল ইসলাম, রাফিউল ইসলাম, জামায়াত কর্মী আক্তারুজ্জামান, আব্দুস সালাম ও মানিক হোসেন।

এসময় মুজিবনগর থানা পুলিশের তৎকালিন ওসি রবিউল ইসলাম, এসআই মান্নানসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।

পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ এনে মুজিবনগর থানার তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে জামায়াত শিবিরের ২০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা করেন। মামলার নং ৬৩২/১৩ ইং।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশন মেহেরপুরের সভাপতি ও তৎকালিন বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মুকুল।

এছাড়া মামলার উল্লেখযোগ্য নেতারা হলেন, মেহেরপুর পৌর জামায়াতের আমির সোহেল রানা ডলার, জেলা ছাএ শিবিরের সাবেক সভাপতি মো: সাইফুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি খাইরুল বাশার, গাংনী পৌর জামায়াতের আমির আব্দুল মজিদ।

মামলাটি দীর্ঘদিন চলার পরে আজ সোমবার দুপুরে নির্ধারিত দিনে জামায়াত শিবিরের ২০০ নেতাকর্মী আদালতে উপস্থিত হলে বিচারক সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।

মেহেরপুর জেলা শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল জানান, ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে পুলিশ জামায়াত ইসলামীর অসংখ্য নেতাকর্মীর নামে গত ১৬ বছরে ৮৬টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছিলো কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে। স্বেরাচার সরকারের আমলে এসব মামলায় জামায়াতের শতাধিক নারী নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। জামায়াত শিবিরের শত শত নেতাকর্মীকে রিমান্ডের নামে করা হয়েছে অমানবিক নির্যাতন।

এ মামলাসহ ১১টিতে খালাস পেয়েছেন আসামিরা। বাকী মিথ্যা মামলাগুলো থেকেও দ্রুত খালাস পাবেন এ প্রত্যাশা জামায়াতে নেতাদের।




কুষ্টিয়ায় ট্রেন আটকে বিক্ষোভ

সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে কুষ্টিয়ায় মানববন্ধন ও ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ।

আজ সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন শুরু করলে এতে যোগ দেন সর্বস্তরের মানুষ।

এ সময় বক্তব্য রাখেন স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থার সভাপতি সাদিক হাসান রহিদ, আলমগীর, এনামুল, ইলিয়াস ,তৌকির আহাম্মেদ। বক্তারা বলেন- আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস এই ট্রেন দুইটি রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে কুষ্টিয়াসহ আশপাশের কয়েকটি জেলার মানুষ রেলসেবা থেকে বঞ্চিত হবে। তাদের রাজধানী ঢাকায় যেতে পড়তে হবে চরম বিড়ম্বনায়। তাই অবিলম্বে এই রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তারা। এরপর দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে পৌঁছালে ট্রেনটি আটকে দেয় আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে স্টেশন মাস্টারের আশ্বাসে আধাঘণ্টা পর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।

কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন মাস্টার ইতিয়ারা খাতুন বলেন, ‘সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের কোনো নির্দেশনা আমাদের কাছে এখনও আসেনি। রেল মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে আমাদের এখনও পর্যন্ত লিখিত বা মৌখিক কোনো কিছু জানানো হয়নি।’

উল্লেখ্য, খুলনা থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস এই ট্রেন দুটি চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া রাজবাড়ী ও ফরিদপুর হয়ে ঢাকা রুটে চলাচল করে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস এই ট্রেন দুইটি রুট পরিবর্তন করে খুলনা, যশোর, মাগুরা হয়ে পদ্মাসেতু দিয়ে ঢাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে কুষ্টিয়াসহ আশপাশের কয়েকটি জেলার মানুষ রেলসেবা থেকে বঞ্চিত হবে।




মেহেরপুর ডিকেআইবি নির্বাচনে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, ডি.কে.আই.বি নির্বাচনে মেহেরপুর জেলা শাখার নির্বাচিত সকল সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার বিকালে মুজিবনগর উপজেলা কৃষি অফিস হলরুমে, ডি.কে.আই.বি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সাবেক কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা খাইরুল ইসলামের আয়োজনে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন, নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মেহেরপুর সদর কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি অফিসার জাকারিয়া পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক গাংনী কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি অফিসার সেলিম রেজা নবী সহ কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিকেআইবি এর সাবেক সভাপতি রুহুল কুদ্দুস।




দর্শনা থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৩

দর্শনা থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৩ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

জানাযায় আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) ভোরের দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে, দর্শনা থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে সি আর মামলার দীর্ঘদিনের ৩ পলাতক আসামীকে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামি তিতুদহ ইউনিয়নের বড়সলুয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রাজন মিয়া (৩০) দর্শনা পৌরসভার পরানপুর গ্রামের মোজাম্মেল মন্ডলের ছেলে নূর আলম (৩৪) ও দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর মাঝপাড়ার হারন অর রশিদের ছেলে হাবিবুরকে (৩০)গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত ৩ জন সিআর ও জিআর মামলার দীর্ঘদিনের পলাতক আসামি। আজ তাদেরকে ৩ জনকে চুয়াডাঙ্গা কোট হাজতে সোপর্দ করেছে।




মেহেরপুরে চিকিৎসক ভাতিজার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন চাচার

বন্টনকরা মিমাংসিত জমি দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ তুলে চিকিৎসক মেহেদী হাসান লিটনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার দুই চাচা আব্দুল হালিম ও মনিরুল ইসলাম।

 আজ সোমবার (০৪ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবে তারা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হালিম বলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি মৌজায় আমার পৈত্রিক সম্পত্তি ২৯ শতকের মধ্যে ১২ শতক জমি ২০০৪ সালের ১৪ মে বণ্টননামা মূলে পেয়ে আমি ভোগ দখল করি এবং আমার অংশের ডোবা শ্রেণীর জমি আমি অনেক অর্থ ব্যয়ে মাটি ভরাট করে পাকা একতলা বসত বাড়ী নির্মাণ করি। আমার ভাই মোঃ আব্দুল লতিব তার ছেলে মেহেরপুর জেলা কারাগারের ডাক্তার মেহেদী হাসান লিটন, ছোট ছেলে আমির হাসান হিমেল (মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক) আমাদের পৈত্রিক বাড়ীতে বসবাস করে এবং আমাদের পিতার মৃত্যুর পর আমার অংশের মূল্য অনুমান ২০ বৎসর পূর্বে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নির্ধারণ করে আমাকে নগদ অর্থ পরিশোধ করার কথা থাকলেও পরবর্তীতে আমাকে কোন অর্থ প্রদান করে নি, টাকা চাইতে গেলে খুন জখমের হুমকী দেয়।

আমার দীর্ঘদিনের ভোগ দখলকৃত মেইন রাস্তা সংলগ্ন বাড়ির সামনে ০৩ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করিতেছে। এমতাবস্থায়, আমার লতিব ও তার দুই ছেলে আমার অসহায়ত্বের সুযোগে গত ১২ অক্টোবর সকাল অনুমান ১০ টার দিকে অন্যায়ভাবে বিভিন্ন লোক মারফত হুমকী প্রদান করে এবং পরের দিন জায়গার উপর গাছ কেটে ফেলে আমাকেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে জমিটি জবরদখল করে নেয়। পরবর্তীতে আমরা আদালতের স্মরাণাপন্ন হয়। মামলা দায়ের করলে আদালত দখলকৃত জমির উপর ১৪৫ ধারা জারি করে স্থিতি অবস্থানে থাকার জন্য উভয়পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেন।

আদালতের আদেশ অমান্য করে গত ২০ অক্টোবর আব্দুল লতিব, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আমির হাসান হিমেল ও মেহেরপুর জেলা কারাগারের ডাক্তার মেহেদী হাসান লিটন সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে দখলকৃত জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করে। তাদের বাধা দিতে গেলে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মেহেরপুর জেলা কারাগারের ডাক্তার মেহেদী হাসান লিটন নিজে সহ তার নির্দেশে মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আমির হাসান হিমেল আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারে এবং মাথার চুল ধরে মাটিতে টানাহেচড়া করে। এসময় আব্দুল হালিমের স্ত্রী রজিনার দেবর মনিরুল ইসলাম চঞ্চল তাকে বাঁচাতে ছুটে এলে তাকেও মারধর করে গুরুত্বর আহত করে।




ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় আলমসাধু চালকের মৃত্যু

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নগর বাথান ঘোষপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় শের আলী (৫৫) নামের এক আলমসাধু চালকের মৃত্যু হয়েছে।

আজ সোমবার ভোরে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের নগরবাথান এলাকার ঘোষপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শের আলী শহরের কাঞ্চনপুর গ্রামের মধ্যপাড়ার মৃত বাবর আলী জোয়ার্দ্দারের ছেলে।

নিহতের ভাতিজা ঠান্ডু জোয়ার্দ্দার জানান, ভোরে শের আলী তার আলমসাধু নিয়ে নগরবাথান বাজারের দিকে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের নগরবাথান ঘোষপাড়া এলাকায় পৌঁছালে অপর একটি আলমসাধুর সাথে তার সংঘর্ষ হয়। এতে রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা: তাপস বিশ্বাস বলেন, শের আলীকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। দুর্ঘটনার কারণে মাথায় আঘাত পেয়েছে। ইন্টারনাল রক্তক্ষরনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ঝিনাইদহ হাইওয়ে থানার এস আই আব্দুর রহমান বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ না থাকায় মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।




অবশেষে প্রেমিকা রুনাকে নিয়ে ঘর বাধলো শাহিন

বাংলা সিরিয়ালের অভিনয়কেও হার মানিয়ে এক প্রেমিককে নিয়ে দুই তরুনীর টানাটানির অবসান হয়েছে। একজন ছাড় দেওয়ায় অপর প্রেমিকাকে নিয়ে বিয়ের পিড়িতে বসেছে ঝিনাইদহের সেই প্রেমিক শাহিন।

গতকাল রোববার রাতে হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্ট্রার আজিজুর রহমান মিনুর বাড়িতে শাহিনের সাথে রুনার বিবাহ হয়।

প্রেমিক শাহিন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামের ইকরামুল হকের ছেলে শাহীন ও রুনা হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।

প্রতিবেশী ইফাজ উদ্দীন জানান , গত শনিবার বিকালে পাশের গ্রাম থেকে রুনা খাতুন বিয়ের দাবিতে শাহিনের বাড়িতে আসে। রুনার আসার কথা শুনে সাদিয়া নামে আরেক মেয়ে সেও বিয়ের দাবীতে শাহিনের বাড়িতে আসে। শাহিনের বাড়িতে দুই মেয়ে বিয়ের দাবিতে আসায় ঝামেলায় পড়ে যায় শাহীন ও তার পরিবার। কাকে রেখে কার সাথে বিবাহ দিই এই নিয়ে দ্বীধায় পড়তে হয় পরিবারকে। পরে সাদিয়ার পরিবার, শাহিন সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া পর তারা সেচ্ছায় চলে যায়। পরে রুনার পরিবারের সমর্থনে শাহিন-রুনার বিবাহের সিদ্ধান্ত হয়। রাতে পাশের উপজেলার কাজীর বাড়িতে তাদের বিবাহ হয়।

প্রেমিক শাহিন জানান, সে প্রথমে রুনাকেই বিবাহ করতে চলেছিল। পরে সাদিয়া চলে আসায় তার সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয়। পরে যখন সাদিয়া স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে চলে যায় এরপর রুনাকে বিবাহ করতে আর কোন বাঁধা থাকে না।

প্রেমিকা রুনা বলেন, আমি প্রথম থেকেই শাহিনকে ভালোবাসি। তাকেই বিবাহ করতে চলেছিলাম। পরে ওই মেয়ে এসে ঝামেলা করলে সমস্যার দেখা দেয়। ওই মেয়ে চলে যাওযায় আমাদের দুজনের বিবাহের আর কোন বাঁধা ছিলোনা।




মুজিবনগরে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযানের শুভ উদ্বোধন

“ছাত্র শিক্ষক কৃষক ভাই ইঁদুর দমনে সহযোগিতা চাই” -এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মুজিবনগরে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০২৪ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ সোমবার (৪ নভেম্ববর) সকাল ১১ টায় উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে, দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়।

র‍্যালিটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ হলরুমে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি অফিসার আব্দুল মোমিনের সভাপতিত্বে ইঁদুর দমন বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ওমর ফারুক প্রিন্স ও মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান মোস্তাফিজুর রহমান (শের খাঁন), সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ শফিউদ্দিন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রফিকুল ইসলাম।

জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং কৃষক প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদায় বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পাঁচজন আসামি গ্রেফতার

দামুড়হুদায় বিভিন্ন মামলার পাঁচজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ। গতকাল রবিবার দিন ও রাতে অভিযান পরিচালনা করে পালাতক আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হল কেশবপুর গ্রামের তেঁতুল শেখের ছেলে মনি, আমির হোসেন, চিৎলা গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে কবির হোসেন, ডুগডুগি গ্রামের শ্রী খোকন হালদারের ছেলে অশ্বীল হালদার, আরামডাঙ্গা গ্রামের রমজান ওরফে কালুর ছেলে কাশেম ( ৩২), আকন্দবাড়িয়ার মিলন হোসেনের ছেলে রাকিবুল হক(২১)

পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হুমায়ূন কবির এর নেতৃত্বে ওসি অপারেশন হিমেল এর দিকনির্দেশনায় দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত পাঁচজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি অপারেশন হিমেল বলেন, ওয়ারেন্ট ভুক্ত পাঁচজন আসামিকে গ্রেফতার করে চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।




মেহেরপুরে সাবেক এসপি, আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২৮ জনের নামে মামলা

মেহেরপুরে ২০১৯ সালে ক্রসফায়ারে মোঃ মোসায়েদ হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে তৎকালীন পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন নাহারের আদালতে নিহতের পিতা মোঃ মসলেম আলী বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে এজাহার নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন মেহেরপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্বিক) আঃ মতিন, ডিবি ওসি ওবাইদুর রহমান, এ.এস.আই (নিঃ) মোঃ সাইদুর রহমান, রেজাউল হক, এস.আই আব্বাস, ডিবি মেজবাহ, ওসি রবিউল ইসলাম, এস.আই (নিঃ) বিধান কুমার বিশ্বাস, এ.এস. আই (নিঃ) সাইদুর রহমান, নায়েক আব্দুর রহিম, মোঃ ইকবাল হোসেন, মোঃ তোয়াজ আলী, সাধন কুমার, মিনহাজ, নারদ কুমার, এস.আই অর্জুন, সদর থানা এস.আই জিয়া, পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, তুফান, চঞ্চল, মোঃ সেলিম রেজা, কাজী খালেদ সাইফুল্লাহ, মোঃ আঃ হাদি, আবু সুফিয়ান, সোহাগ, বারিকুল ইসলাম লিজন, নিয়ত আলী।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, মৃত মোসায়েদ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি.এন.পি এর একজন তৃনমূল পর্যায়ের কর্মী ছিল। এই মনোরাগে আসামীগণ বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনে কর্মরত থাকায় আসামীগণ আওয়ামীলীগ দলীয় নেতা কর্মী হওয়ায় তাহাদের প্ররোচনায় মৃত মোসায়েদ কে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাদক মামলায় গেফতার দেখাইয়া আদালতের মাধ্যমে মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করতো।

২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ রাতে মোসায়েদ কে রাতে বাড়ী হইতে গ্রেফতার করিয়া মেহেরপুর সদর থানায় নিয়ে যায়। পরের দিন সকাল বেলায় আমি ও ১ নং স্বাক্ষী আমার মৃত ছেলের বউ খাবার ও নৃত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিয়ে ছেলেকে থানায় দেখতে যায় এবং ছেলেকে হাজত খানায় দেখতে পাই।

৩ তারিখে আসামীরাসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে পুলিশ মেহেরপুর থানা হাজত খানা হইতে অজ্ঞাত স্থানে স্থানে নিয়ে যায় আওয়ামীলীগের তৃণমুল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের মদদে আসামীরা আমার মৃত ছেলে মোসায়েদকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করিয়া গুলি করিয়া হত্যা করিয়াছে এবং তাহা জানাস্বত্বেও প্রকৃত ঘটনাটি ভিন্নভাবে প্রভাবিত করিবার উদ্দেশ্যে আমাকে কোন সংবাদ না দিয়ে লাশ মর্গে আনিয়া তড়িঘড়ী করিয়া সুরুতহাল ও ময়না তদন্ত করিয়া আসামীদের প্ররোচনায় আমার নিকট লাশ তড়িঘড়ী করিয়া লাশ প্রদানের নির্দেশনা দেয়।

আমি আসামীদের নিকট আমার মৃত ছেলে মোসায়েদ এর সুরুত হাল ময়না তদন্তের রিপোর্ট দাবী করিলে আসামীগণ তাহা দিতে অস্বীকার করে এবং আসামীরা আমাকে ভয়ভীতি দেখাইয়া বলে যে, এই বিষয় লইয়া কোন আইন পদক্ষেপ নিলে আমার মৃত ছেলে মোসায়েদ এর মত আমাকেও খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া দিবে।

সেকারণে আমি হত্যার বিষয়ে ন্যায় বিচার পাইবার জন্য নালিশ করিতে ভীত হইয়া পড়ি। ০৫ ই আগস্ট ২০২৪ এর গণ বিপ্লবের পর দেশে ন্যায় বিচারের পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় আসামীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করিয়া বিজ্ঞ আদালতে অত্র মোকদ্দমা দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।