অবশেষে প্রেমিকা রুনাকে নিয়ে ঘর বাধলো শাহিন

বাংলা সিরিয়ালের অভিনয়কেও হার মানিয়ে এক প্রেমিককে নিয়ে দুই তরুনীর টানাটানির অবসান হয়েছে। একজন ছাড় দেওয়ায় অপর প্রেমিকাকে নিয়ে বিয়ের পিড়িতে বসেছে ঝিনাইদহের সেই প্রেমিক শাহিন।

গতকাল রোববার রাতে হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্ট্রার আজিজুর রহমান মিনুর বাড়িতে শাহিনের সাথে রুনার বিবাহ হয়।

প্রেমিক শাহিন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামের ইকরামুল হকের ছেলে শাহীন ও রুনা হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।

প্রতিবেশী ইফাজ উদ্দীন জানান , গত শনিবার বিকালে পাশের গ্রাম থেকে রুনা খাতুন বিয়ের দাবিতে শাহিনের বাড়িতে আসে। রুনার আসার কথা শুনে সাদিয়া নামে আরেক মেয়ে সেও বিয়ের দাবীতে শাহিনের বাড়িতে আসে। শাহিনের বাড়িতে দুই মেয়ে বিয়ের দাবিতে আসায় ঝামেলায় পড়ে যায় শাহীন ও তার পরিবার। কাকে রেখে কার সাথে বিবাহ দিই এই নিয়ে দ্বীধায় পড়তে হয় পরিবারকে। পরে সাদিয়ার পরিবার, শাহিন সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া পর তারা সেচ্ছায় চলে যায়। পরে রুনার পরিবারের সমর্থনে শাহিন-রুনার বিবাহের সিদ্ধান্ত হয়। রাতে পাশের উপজেলার কাজীর বাড়িতে তাদের বিবাহ হয়।

প্রেমিক শাহিন জানান, সে প্রথমে রুনাকেই বিবাহ করতে চলেছিল। পরে সাদিয়া চলে আসায় তার সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয়। পরে যখন সাদিয়া স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে চলে যায় এরপর রুনাকে বিবাহ করতে আর কোন বাঁধা থাকে না।

প্রেমিকা রুনা বলেন, আমি প্রথম থেকেই শাহিনকে ভালোবাসি। তাকেই বিবাহ করতে চলেছিলাম। পরে ওই মেয়ে এসে ঝামেলা করলে সমস্যার দেখা দেয়। ওই মেয়ে চলে যাওযায় আমাদের দুজনের বিবাহের আর কোন বাঁধা ছিলোনা।




মুজিবনগরে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযানের শুভ উদ্বোধন

“ছাত্র শিক্ষক কৃষক ভাই ইঁদুর দমনে সহযোগিতা চাই” -এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মুজিবনগরে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০২৪ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ সোমবার (৪ নভেম্ববর) সকাল ১১ টায় উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে, দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়।

র‍্যালিটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ হলরুমে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি অফিসার আব্দুল মোমিনের সভাপতিত্বে ইঁদুর দমন বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ওমর ফারুক প্রিন্স ও মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান মোস্তাফিজুর রহমান (শের খাঁন), সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ শফিউদ্দিন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রফিকুল ইসলাম।

জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং কৃষক প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদায় বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পাঁচজন আসামি গ্রেফতার

দামুড়হুদায় বিভিন্ন মামলার পাঁচজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ। গতকাল রবিবার দিন ও রাতে অভিযান পরিচালনা করে পালাতক আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হল কেশবপুর গ্রামের তেঁতুল শেখের ছেলে মনি, আমির হোসেন, চিৎলা গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে কবির হোসেন, ডুগডুগি গ্রামের শ্রী খোকন হালদারের ছেলে অশ্বীল হালদার, আরামডাঙ্গা গ্রামের রমজান ওরফে কালুর ছেলে কাশেম ( ৩২), আকন্দবাড়িয়ার মিলন হোসেনের ছেলে রাকিবুল হক(২১)

পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হুমায়ূন কবির এর নেতৃত্বে ওসি অপারেশন হিমেল এর দিকনির্দেশনায় দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত পাঁচজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি অপারেশন হিমেল বলেন, ওয়ারেন্ট ভুক্ত পাঁচজন আসামিকে গ্রেফতার করে চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।




মেহেরপুরে সাবেক এসপি, আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২৮ জনের নামে মামলা

মেহেরপুরে ২০১৯ সালে ক্রসফায়ারে মোঃ মোসায়েদ হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে তৎকালীন পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন নাহারের আদালতে নিহতের পিতা মোঃ মসলেম আলী বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে এজাহার নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন মেহেরপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্বিক) আঃ মতিন, ডিবি ওসি ওবাইদুর রহমান, এ.এস.আই (নিঃ) মোঃ সাইদুর রহমান, রেজাউল হক, এস.আই আব্বাস, ডিবি মেজবাহ, ওসি রবিউল ইসলাম, এস.আই (নিঃ) বিধান কুমার বিশ্বাস, এ.এস. আই (নিঃ) সাইদুর রহমান, নায়েক আব্দুর রহিম, মোঃ ইকবাল হোসেন, মোঃ তোয়াজ আলী, সাধন কুমার, মিনহাজ, নারদ কুমার, এস.আই অর্জুন, সদর থানা এস.আই জিয়া, পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, তুফান, চঞ্চল, মোঃ সেলিম রেজা, কাজী খালেদ সাইফুল্লাহ, মোঃ আঃ হাদি, আবু সুফিয়ান, সোহাগ, বারিকুল ইসলাম লিজন, নিয়ত আলী।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, মৃত মোসায়েদ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি.এন.পি এর একজন তৃনমূল পর্যায়ের কর্মী ছিল। এই মনোরাগে আসামীগণ বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনে কর্মরত থাকায় আসামীগণ আওয়ামীলীগ দলীয় নেতা কর্মী হওয়ায় তাহাদের প্ররোচনায় মৃত মোসায়েদ কে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাদক মামলায় গেফতার দেখাইয়া আদালতের মাধ্যমে মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করতো।

২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ রাতে মোসায়েদ কে রাতে বাড়ী হইতে গ্রেফতার করিয়া মেহেরপুর সদর থানায় নিয়ে যায়। পরের দিন সকাল বেলায় আমি ও ১ নং স্বাক্ষী আমার মৃত ছেলের বউ খাবার ও নৃত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিয়ে ছেলেকে থানায় দেখতে যায় এবং ছেলেকে হাজত খানায় দেখতে পাই।

৩ তারিখে আসামীরাসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে পুলিশ মেহেরপুর থানা হাজত খানা হইতে অজ্ঞাত স্থানে স্থানে নিয়ে যায় আওয়ামীলীগের তৃণমুল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের মদদে আসামীরা আমার মৃত ছেলে মোসায়েদকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করিয়া গুলি করিয়া হত্যা করিয়াছে এবং তাহা জানাস্বত্বেও প্রকৃত ঘটনাটি ভিন্নভাবে প্রভাবিত করিবার উদ্দেশ্যে আমাকে কোন সংবাদ না দিয়ে লাশ মর্গে আনিয়া তড়িঘড়ী করিয়া সুরুতহাল ও ময়না তদন্ত করিয়া আসামীদের প্ররোচনায় আমার নিকট লাশ তড়িঘড়ী করিয়া লাশ প্রদানের নির্দেশনা দেয়।

আমি আসামীদের নিকট আমার মৃত ছেলে মোসায়েদ এর সুরুত হাল ময়না তদন্তের রিপোর্ট দাবী করিলে আসামীগণ তাহা দিতে অস্বীকার করে এবং আসামীরা আমাকে ভয়ভীতি দেখাইয়া বলে যে, এই বিষয় লইয়া কোন আইন পদক্ষেপ নিলে আমার মৃত ছেলে মোসায়েদ এর মত আমাকেও খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া দিবে।

সেকারণে আমি হত্যার বিষয়ে ন্যায় বিচার পাইবার জন্য নালিশ করিতে ভীত হইয়া পড়ি। ০৫ ই আগস্ট ২০২৪ এর গণ বিপ্লবের পর দেশে ন্যায় বিচারের পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় আসামীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করিয়া বিজ্ঞ আদালতে অত্র মোকদ্দমা দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।




মুজিবনগর উপজেলা বিসিডিএসের আহবায়ক কমিটি গঠন

আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা বিসিডিএস এর ৬ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার দুপুরের দিকে বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি মেহেরপুর জেলা শাখার আয়োজনে কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় মুজিবনগর সূর্যোদয় রেস্ট হাউসে মুজিবনগর উপজেলা বিসিডিএস এর ৬ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

মুজিবনগর উপজেলা বিসিডিএসের আহবায়ক কমিটির আহ্বায়ক সেলিম হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন, নির্বাহী সদস্য আসিফ আল মোনায়েম, আনোয়ার হোসেন লাল্টু, রহমানসহ গিয়াস উদ্দিন কে দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির নাম ঘোষণা করেন মেহেরপুর জেলা বিসিডিএস এর আহবায়ক রিনু।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, জেলা বিসিডিএস এর কার্যনির্বাহী সদস্য ইসমাইল হোসেন, কাজী খয়রুদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, ইমন বিশ্বাস সহ সাংবাদিকবৃন্দ।




নিয়োগ দিবে লাজ ফার্মা

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের সর্ববৃহৎ খুচরা ওষুধ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান লাজ ফার্মা লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ডাটা এনট্রি অপারেটর-আইটি এক্সপার্ট পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

গত ৩০ অক্টোবর (বুধবার) থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম : লাজ ফার্মা লিমিটেড পদের নাম : ডাটা এনট্রি অপারেটর/ আইটি এক্সপার্ট পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়

শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অন্যান্য যোগ্যতা : ডাটা এনট্রি কোর্স করা থাকলে ভালো, এমএস ওয়ার্ড ও এক্সেলে পারদর্শি হতে হবে। অভিজ্ঞতা : প্রয়োজন নেই, ফার্মাসিতে ডাটা এনট্রি অপারেটর হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার পাবেন।

চাকরির ধরন : ফুলটাইম কর্মক্ষেত্র : অফিসে প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) বয়সসীমা : উল্লেখ নেই

কর্মস্থল : ঢাকা, সিলেট বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে অন্যান্য সুবিধা : প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী

আবেদন করবেন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

সূত্র: কালবেলা




কুষ্টিয়ায় বেনাপোল এক্সপ্রেসে অভিযান চালিয়ে ১১ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার

কুষ্টিয়ার পোড়াদহ জংশনে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে ১১ কোটি টাকার এলএসডি মাদক উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান শুরু হয়। যেখানে সিটে রাখা চালের বস্তার ভেতর থেকে এই বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মাদক পাচারের একটি বড় চালান ধরা পড়ে। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন বিজিবি’র ৪৭ ব্যাটালিয়ন কুষ্টিয়ার অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মাহবুব মুর্শেদ রহমান।

তিনি জানান, তাদের কাছে তথ্য ছিল যে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে ভারতীয় এলএসডির একটি বড় চালান ঢাকায় পাচার করা হচ্ছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা পোড়াদহ রেলস্টেশনে অবস্থান নেন এবং ট্রেনটি পৌঁছানোর পর দ্রুত তল্লাশি শুরু করেন। দীর্ঘ দুই ঘণ্টার তল্লাশিতে, ট্রেনের একটি কামরায় বিশেষভাবে রাখা ২১ বোতল এলএসডি (প্রতি বোতল ৫০ এমএল) উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত এলএসডির আনুমানিক মূল্য ১০ কোটি ৯২ লাখ টাকা। অভিযানে ১৯টি ভারতীয় কম্বলও জব্দ করা হয়, যা মাদক পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হতে পারে। অভিযান চলাকালীন কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। বিজিবি জানিয়েছে, তারা এই ধরনের মাদক পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে ভবিষ্যতে আরও অভিযান পরিচালনা করবে।

এ বিষয়ে বিজিবি’র পক্ষ থেকে পোড়াদহ জিআরপি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি তদন্ত অব্যাহত রেখেছে এবং তারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে কাজ করছে।




নতুন ভাষা শিখবেন যেভাবে

দক্ষতা বাড়াতে নতুন ভাষা শেখার বিকল্প হয় না। অনেকেই বেশ আনন্দ নিয়েই নতুন ভাষা শিখে থাকেন, অনেকে পান কিছুটা ভয়। কিকরে ভয়কে জয় করে সহজেই নতুন স্কিল জীবনে যুক্ত করবেন জেনে নেওয়া যাক:

নিয়মিত অভ্যাস
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত অভ্যাস একটি নতুন ভাষা শেখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিদিন কমপক্ষে ২০-৩০ মিনিট নতুন ভাষা চর্চা করা উচিত। এটি শিখতে সহায়ক হবে এবং মস্তিষ্কে ভাষাটির ধারণা তৈরি করবে।

ভোকাবুলারি বাড়ানো
নতুন শব্দ শিখতে, প্রতিদিন কিছু নতুন শব্দ লিখুন এবং সেগুলি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। বিশেষজ্ঞরা সুপারিশ করেন একটি ডায়েরি রাখা, যেখানে আপনি নতুন শব্দ এবং তাদের অর্থ লিখবেন।

স্পিকিং প্র্যাকটিস
ভাষা শেখার সময় সবচেয়ে বড় বাধা হল কথা বলার অভ্যাস। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করুন বা ভাষা শেখার গ্রুপে যোগ দিন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কথোপকথন ও রোল প্লে খুব কার্যকরী।

বিভিন্ন রিসোর্স ব্যবহার করা
বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শেখা খুবই কার্যকরী। বই, অনলাইন কোর্স, অ্যাপস, পডকাস্ট ও ইউটিউব ভিডিও ব্যবহার করুন। বিভিন্ন উৎস আপনাকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও শিক্ষণ পদ্ধতি প্রদান করবে।

সংস্কৃতি বোঝা
নতুন ভাষার সঙ্গে তার সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। সিনেমা দেখা, গান শোনা এবং বই পড়া আপনাকে ভাষার ব্যবহার ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা দেবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটি ভাষা শেখার একটি মজাদার অংশ।

ভুল থেকে শেখা
ভুল করা শেখার একটি অপরিহার্য অংশ। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, ভুলগুলিকে চাপ না নিয়ে শেখার অভিজ্ঞতা হিসেবে গ্রহণ করতে। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে এবং ভাষাটি আরও ভালোভাবে শিখবেন।

সময় দিন
নতুন ভাষা শিখতে সময় লাগে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ধৈর্য্য এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। কিছুদিন পর ফলাফল দেখতে পাবেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




আলমডাঙ্গায় বোরো মৌমুমে উৎপাদন খরচ বেড়েছে ধানে, আবাদ বাড়ছে ভুট্টা-সরিষার

আলমডাঙ্গা উপজেলায় বোরো মৌসুমে ধানের পরিবর্তে ভুট্টা ও সরিষা আবাদে ঝুঁকছেন কৃষকেরা। কম খরচে অধিক ফলন ও সরকারি প্রণোদনার বীজ ও কীটনাশক সার পাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবছর ভুট্টা ১’শত ১০ হেক্টর ও সরিষা ৩’শত ৩০ হেক্টর জমিতে আবাদ বেড়েছে। পাশাপাশি কিছুটা বেড়েছে আলু ও গম চাষ।

কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে ধানের দাম কম এবং সেচ, সার ও কীটনাশকে খরচ বেশি হওয়ায় বোরো ধানের আবাদে তেমন একটা লাভ হয় না। অন্যদিকে কম খরচে ভুট্টা চাষে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকেরা বোরোর আবাদ কমিয়ে দিচ্ছেন। এছাড়াও আলু ও গম চাষেও ঝুঁকছে কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ২৯ হাজার ২৭৫ হেক্টর। গত ২০২২-২৩ মৌসুমে ১৩ হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ করা হয়। এছাড়া সরিষা ২ হাজার ১৫০ হেক্টর, আলু ১’শত ৪৮ হেক্টর, গম ৩’শত ৬০ হেক্টর। (রোপা আমন) এছাড়া ধান চাষ করা হয়েছিল ১৬ হাজার ৫২৪ হেক্টর জমিতে।

এক বছরের ব্যবধানে ভুট্রা ও সরিষা চাষ বেড়েছে ৪ শত ৪০ হেক্টর জমিতে। চলতি ২০২৪-২৫ মৌসুমে ভুট্রা চাষ হচ্ছে ১৩ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে। এছাড়া সরিষা ২ হাজার ৪৮০ হেক্টর, আলু ২ শত ৬৩ হেক্টর, গম ৩ শত ৯৯ হেক্টর। এদিকে গত মৌসুমের তুলনায় এবছর ১৬ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে।

আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের সাহেবপুর গ্রামের কৃষক আবদুল জব্বার বলেন, গত বছর তিনি এক বিঘা জমিতে ভুট্টা এবং দুই বিঘায় বোরো আবাদ করেছিলেন। তবে এবার তিনি তিন বিঘায় ভুট্টার আবাদ করেছেন এবং তিনি আরও ১২ শতক জমি লিজ নিয়েছেন, ওই জমিতে বোরো ধান আবাদ করবেন।

প্রান্তিক কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বোরো আবাদে খরচ বেশি হলেও ধানের দাম কম। এক বিঘা জমিতে ১৬ থেকে ২০ মণ ধান হয়। প্রতি মণ ধানের দাম ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। আর এক বিঘা জমিতে ভুট্টা হয় ৩০ থেকে ৩৫ মণ। প্রতি মণ ভুট্টার দাম ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। ভুট্টায় সেচ খরচও কম। এক মণ ধানে উৎপাদন ব্যয় প্রায় ৮০০ টাকা এবং ভুট্টায় প্রায় সাড়ে ৬০০ টাকা। উৎপাদন ব্যয় কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় তাঁরা ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন।

আলমডাঙ্গা উপজেলা জেলা কৃষি কর্মকর্তা রেহানা পারভিন বলেন,‘ কীটনাশক সার ও বীজের পাশাপাশি বোরো চাষের খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। তবে আমন আবাদ স্থিতি রয়েছে। এ কারণে ধান উৎপাদনে তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। তিনি আরও বলেন, প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সরকারি প্রণোদনা সার বীজ বিতরণ করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে সকল কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছেন।




বড় পর্দায় আবার ফিরছে গডজিলা

জাপানি মনস্টার গডজিলাকে রূপালি পর্দায় প্রথম দেখা যায় ১৯৫৪ সালে। ওই বছরের ৩ নভেম্বর হলে মুক্তি পায় ‘গজিরা’, যাতে প্রধান চরিত্র হয়ে দেখা দেয় গডজিলা। সে হিসাবে এ মনস্টারের পর্দায় অভিষেকের ৭০ বছর পূর্ণ হলো আজ। এটিই সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলা ফ্র্যাঞ্চাইজি।

৭০ পূর্তি উপলক্ষে গডজিলাকে নিয়ে নতুন ঘোষণা দিল জাপানি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টোহো স্টুডিওজ। তারা জানিয়েছে, বড় পর্দায় আবার ফিরছে গডজিলা।

গত বছর জাপানি সিনেমা ‘গডজিলা মাইনাস ওয়ান’ বক্স অফিসে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করে। ৯৬তম অস্কারে সেরা ভিজুয়াল ইফেক্টের পুরস্কারও পায়। সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন তাকাশি ইয়ামাজাকি। ভিএফএক্সের দায়িত্বও তিনি সামলেছেন। তার হাতেই নির্মিত হবে গডজিলার পরবর্তী পর্ব।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) এক্সে টোহো একটি ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছে এ খবর। ভিডিওতে তাকাশি ইয়ামাজাকিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার কাছে একটা দারুণ খবর আছে। গডজিলা সিরিজের নতুন সিনেমাটি পরিচালনা করব। আমাদের সঙ্গেই থাকুন।’

নিউজউইক জানিয়েছে, নতুন সিনেমাটি গডজিলা মাইনাস ওয়ানের সিকুয়েল হবে, নাকি স্বতন্ত্র সিনেমা হিসেবেই নির্মিত হবে, তা এখনো জানা যায়নি। ওই সিনেমার বাজেট ছিল ১৫ মিলিয়ন ডলার, আয় করেছিল ১১৬ মিলিয়ন। নতুন সিনেমাটি নির্মিত হবে এর চেয়েও বড় আয়োজনে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত জাপানিদের জন্য গডজিলা চরিত্রটি ছিল পারমাণবিক গণহত্যার প্রতিবাদের প্রতীক। এরপর অনেক দশক কেটেছে। এই দীর্ঘ সময়ে গডজিলার জনপ্রিয়তা এতটুকুও কমেনি, বরং দিনে দিনে বেড়েছে। এ পর্যন্ত ৩৭টি সিকুয়েল তৈরি হয়েছে এ সিনেমার। এ ছাড়া টিভি সিরিজ, ভিডিও গেমস ও কমিকসেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে গডজিলা।

শুরুর দিকে গডজিলাকে মানবজাতির ক্ষতি করা দানব হিসেবে দেখানো হলেও পরবর্তী সময়ে মানুষের বন্ধু হিসেবে বারবার হাজির হয়েছে এ মনস্টার। সাগরের তলদেশ থেকে উঠে আসা পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন এই দানব অনেক সিনেমায় পৃথিবীকে অন্যান্য দানবের হাত থেকেও রক্ষা করেছে।

সূত্র: ইত্তেফাক