ঝিনাইদহে দুই টাকার খাবারে তৃপ্তির হাঁসি

ঝিনাইদহে দুই টাকায় দুপুরের খাবারে হতদরিদ্রদের মুখে তৃপ্তির হাঁসি। এখন আর দুই টাকা দিয়ে লজেন্স ছাড়া তেমন কিছুই পাওয়া যায় না। ভিখারিকে দিলেও অনেক সময় নিতে চাই না। আর সেই সামান্য দুই টাকার বিনিময়ে জেলা শহরে হতদরিদ্রদের মুখেই দুপুরের খাবার তুলে দিচ্ছেন ঝিনাইদহের প্রগতি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।

প্রগতি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে “দুই টাকায় হাসি” এ দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। “তৃপ্তির হাসি ফুটুক ভিক্ষুকদের মুখে মুখে” এই শ্লোগানে গতকাল শনিবার দুপুরে জেলা শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ পার্কে এ খাবার বিতরণ করা হয়। প্রতি মাসের নিয়মিত আয়োজনের ১০ম পর্বে আজ রোববার ঝিনাইদহ শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ পার্ক প্রাঙ্গণে ২০০ জন ভিক্ষুকদের মাত্র ২ টাকায় দুপুরের খাবার সাদা ভাত, সবজি, ডাউল ও মুরগির মাংস খাওয়ানো হয়। দুই টাকায় পেট ভরে দুপুরের খাবার যা স্বপ্নের মতো।

শহরের ভিক্ষুক আজিজ মিয়া মাত্র দুই টাকায় দুপুরের খাবার পেয়ে বললেন, এটা আমার কাছে স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে। দুই টাকায় খাবার পাবো এটা কখনও ভাবিনী। এই সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে বলেন, আরও সংগঠন যদি এভাবে এগিয়ে আসে তাহলে গরীব অসহায় মানুষগুলো দুমুঠো ভাত খেয়ে বাঁচবে।

খাবার বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রগতি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি সাজিদ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জহুরুল ইসলাম, দুই টাকায় হাঁসি পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক মোঃ মেহেদী হাসান, মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ ওসমান গনি, ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ও ইমাম পরিষদের জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ সাইদুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান চৌধুরী, স্টেডফাস্ট কুরিয়ার ঝিনাইদহ জেলা ম্যানেজার মোঃ আবু জাফর কামাল সহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল সদস্যরা।

ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান চৌধুরী বলেন, জেলা শহরের ভিক্ষুকদের এই মুখের হাঁসি যেন সদ্য ফোঁটা গোলাপের ন্যায় ফুটে উঠেছে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জহুরুল ইসলাম জানান, ভিক্ষুক, এতিম শিশু, শ্রমজীবী ও অসহায়রাও তাদের মতো করে আত্মসম্মান নিয়ে সমাজে বসবাস করতে চাই। সম্পূর্ণ ফ্রিতে খাবার দেয়া হলে তাদের আত্মসম্মানবোধে আঘাত করা হবে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিই ফ্রিতে না দিয়ে দুই টাকায় তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে।

প্রগতি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি সাজিদ মাহমুদ বলেন, প্রতিনিয়ত আমাদের কত টাকা তো এদিক-সেদিক খরচ হয়। আমাদের চারপাশে থাকা অসহায়, এতিম, শ্রমজীবি ছিন্নমূল পথশিশুদের জন্য কি আমরা এই সামান্য অর্থ ব্যয় করতে পারি না। আমরা মনে করি সমাজের পিচিয়ে পড়া এসব মানুষের সহযোগিতা করার জন্য অঢেল ধনসম্পদের চেয়ে সুন্দর মানসিকতাই বড়। এমন চিন্তা থেকে একদিন বন্ধু-বান্ধবের সাথে টোং দোকানের আড্ডা বাদ দিয়ে সেই টাকা ভিক্ষুক, অসহায় ইয়াতিম শিশুদের ও সুবিধাবঞ্চিতদের মুখে হাসি ফুটানোর প্রতিজ্ঞা করি। তারপর থেকেই আমাদের সংগঠনের পথচলা শুরু হয়।




ফারুকীর ভাই-ব্রাদারদের ‘ছবিয়াল’ এর রজত জয়ন্তী

নব্বইয়ের দশক ও পরবর্তী সময়ে কোনো নাটক প্রচার হলে সেখানে বেশির ভাগ সময়ই মধ্যমণি থাকতেন পর্দার জনপ্রিয় তারকারা। পরিচালকদের নিয়ে তেমন আলোচনা শোনা যেত না। তবে ২৫ বছর আগে ভিন্ন ঘটনা ঘটে। সেই সময়ে নাটক নির্মাণ করে আলোচনায় এলেন এক তরুণ মুখ। শুরুতেই তাকে নিয়ে সমালোচনা। তিনি বাংলা নাটককে ছক-কষা ড্রয়িংরুমের ভাষা থেকে বের করেছেন।

শুধু ভাষাই নয়, যার কাজের পুরো চিত্রনাট্য নেই, তিনি কোনো ব্যাকরণও মানেন না। ‘নিয়ম ভাঙছেন’ বলে জোরেশোরে তার সমালোচনায় নিয়ম করে চলতে থাকে। অন্যদিকে কড়া সমালোচনা মধ্যেই মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী নামটি দর্শকদের কাছে হয়ে উঠতে থাকে তারকাদের মতোই আলোচিত। বলছি ছবিয়ালের এই প্রধান মানুষটির কথা। দেখতে দেখতে সেই ছবিয়াল পেরিয়ে গেল ২৫ বছর।

যিনি কবিতা লেখেন, তাকে যদি কবিয়াল বলা যায়, তাহলে যিনি ছবি বানান, তাকে ‘ছবিয়াল’ কেন বলা হবে না। এটাই বোধহয় ‘ছবিয়াল’ নামকরণের কারণ ছিল। নামকরণের ব্যাখ্যায় মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ‘বোধহয়’ শব্দটি ব্যবহার করলেন। কেন করলেন? তার উত্তর জানতে চাওয়া হয়নি। তবে আন্দাজ করা যায়, অনেক আগের কথা বলেই হয়তো এভাবে বললেন। তাহলে এখন জানতে চাওয়া, কত আগের? ২৫ বছর।

২৫ বছর বলতেই যেন হুড়মুড় করে স্মৃতির মুখ-বন্দি অনেকগুলো বাক্স এসে পড়লো ছবিয়াল ফারুকীর সামনে। তার হয়তো ইচ্ছে করছিল, সবগুলোর মুখ খুলে দিতে। কিন্তু তা সম্ভব না। তিলে তিলে গড়ে ওঠা ছবিয়াল, ভুল করে শিখতে শিখতে এগিয়ে যাওয়া ফারুকীর ২৫ বছরের গল্প সম্ভার এভাবে হুট করে শোনা বা বলা যায় না।

তবুও কিছু গল্প ও স্মৃতি নিজেদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ছবিয়ালের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁও-এ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যার এই আবেগঘন আয়োজনে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তো ছিলেনই, আরও ছিলেন ভাই-বেরাদররা অর্থাৎ তার সহকারী পরিচালকেরা, ছিলেন সেই সহকারী পরিচালকদের সহকারী পরিচালকরাও। এভাবে পরম্পরাকে সম্মান জানিয়ে এবং পরিবারের মানুষদের সঙ্গে নিয়ে সবাই মিলে অনন্দে কাটিয়েছেন সন্ধ্যাটি।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ব্রেইন-চাইল্ড ছবিয়াল। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যানারেই ২৫ বছর ধরে তিনি নির্মাণ করে আসছেন বিজ্ঞাপন, নাটক, সিনেমা। তারচেয়ে অধিক উল্লেখযোগ্য ঘটনা, এই প্রতিষ্ঠান জন্ম দিয়েছে অনেক ছবিয়াল। যাদের আলোয় আলোকিত এখন বাংলাদেশ।

১৯৯৮ সাল, ছবিয়াল থেকে ফারুকীর প্রথম নির্মাণ ‘ওয়েটিং রুম’, সেই সময় কোনও টিভি চ্যানেল কিনতে চায়নি ফিকশনটি। ২৫ বছরে এসে চিত্র সম্পূর্ণ বদলে গেছে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নামের আগে যুক্ত হয়েছে বিশেষণ। তিনি এখন অন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্রকার। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো সে স্বীকৃতি দিয়েছে তাকে।

সহজ ছিল না এ পথ, এখনও নেই। ছবিয়াল থেকে ফারুকীর সাম্প্রতিক নির্মাণ ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমাটি দেখলে তার কিছুটা আঁচ পাওয়া যায়। ফারুকী বলেন, ‘ছবিয়াল থেকে আমরা এমন সব সিনেমাই করতে চেয়েছি, যার মধ্যে বাংলাদেশর নিঃশ্বাস আছে।’

নিজস্বতা তৈরি করার এই চেষ্টাই অনন্য করে তুলেছে ছবিয়াল ও ফারুকীকে। শুরুর যাত্রায় ছবিয়াল ও ফারুকীকে অনেকেই প্রাতিষ্ঠানিক সাহায্য করেছেন। যাদের মধ্যে চ্যানেল আইয়ের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) ফরিদুর রেজা সাগর ও চ্যানেল ওয়ানের কর্ণধার গিয়াস উদ্দিন আল মামুন অন্যতম।

ছবিয়ালের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, ‘ব্যাচেলর সিনেমা নির্মাণের সময় ফারুকীর সঙ্গে আমার পরিচয়। সেই ফারুকী এখন কোন পর্যায়ে আছেন, তা দর্শকরা ভালো করেই জানেন। ফারুকী শুধু চলচ্চিত্র নির্মাতাই নন, সমাজের সব কিছু নিয়ে তার রয়েছে বিচার-বিশ্লেষণ। তাই ফারুকীর সিনেমায় আমরা আপনাকে-আমাকে দেখতে পাই।’

ছবিয়ালের শুরুর দিকে চ্যানেল ওয়ান থেকে সিরিজ চাওয়া হয়েছিল। সিরিজ না করে ‘ছবিয়াল উৎসব’ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ফারুকী। সেই সময়ের কথা উল্লেখ করে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ছিল, আমাদের দেশের তরুণরা অনেক সুন্দর এবং নতুন কিছু করতে পারে। যার জন্য চ্যালেঞ্জটা আমরা নিই এবং সফল হই।’

এর পাশাপাশি ছবিয়াল আরও একটি বিরল দৃষ্টান্ত রেখে গেছে দেশের মিডিয়াঙ্গনে। সেটি হলো ফারুকীর পাশাপাশি তরুণ নির্মাতা তৈরি করা। যারা একসময় সহকারী পরিচালক হিসেবে ছিলেন ছবিয়ালে, তারাই এখন নিজেদের নামে খ্যাতি অর্জন করেছেন। অনেকেই তাদের গুচ্ছ আকারে ‘ভাই বেরাদার’ নামে চেনেন। যাদের মধ্যে অন্যতম রেদওয়ান রনি, আশুতোষ সুজন, শরাফ আহমেদ জীবন, আশফাক নিপুণ, ইফতেখার আহমেদ ফাহমী, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, আদনান আল রাজীব প্রমুখ।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ‘ভাই-বেরাদার’ আশফাক নিপুণ বলেন, ‘আমার নির্মাণে সবসময় লেখা থাকে ‘বানিয়েছেন আশফাক নিপুণ’। আর সেই আশফাক নিপুণকে বানিয়েছে ছবিয়াল, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ যা একটু করতে পারি তা ওই দুটি নামের জন্য।’

আরেক ‘ভাই-বেরাদার’ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির সিইও রেদওয়ার রনি বলেন, ‘ছবিয়াল আমার এবং আমার মতো অনেকের আতুর ঘর। ছবিয়াল নিয়ে অল্প কথায় বলা যায় না, কারণ এটা খুব ইমোশনাল জায়গা, ইমোশনাল জার্নি। ছবিয়াল কোনও প্রতিষ্ঠান নয়, এটা আশ্রম।’

২৫ বছরের পথচলায় অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ফারুকী ও ছবিয়ালকে। যার মধ্যে অন্যতম ভাষার ব্যবহার। নাটকে কথ্য ভাষার ব্যবহার করে সমালোচনার মুখে পড়েন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একসময় বুঝলাম অভিনয় মেকি লাগার অন্যতম কারণ ভাষা। আমি যেমন, সেভাবে যদি কথা না বলি, তাহলে সেটা মেকি মনে হবেই। তাই আমি চরিত্রের ধরণ অনুযায়ী ভাষার ব্যবহার করেছি। দর্শক সেটা গ্রহণ করেছে।’

ছবিয়ালের উল্লেখযোগ্য ফিকশন ও ধারাবাহিক নাটকের মধ্যে রয়েছ ‘আয়শা মঙ্গল’, ‘প্রত্যাবর্তন’, ‘কানামাছি, ‘চড়ুইভাতি’, ‘৬৯’, ‘৫১বর্তী’ ও ‘৪২০’। সিনেমার মধ্যে রয়ছে ‘ব্যাচেলর’, ‘টেলিভিশন’, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’, ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’, ‘ডুব’ ও পিঁপড়াবিদ্যা’।

ছবিয়ালের ২৫ বছর পূর্তিতে দর্শকদের উদ্দেশে ফারুকী বলেন, ‘২৫ বছর দর্শকদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে বড় হওয়া। আমি তো মনে করি, আমার সিনেমাগুলো সময়ের সঙ্গে যেমন কথা বলে, তেমন দর্শকের সঙ্গেও কথা বলে এবং এই কথা বলার মধ্যে দিয়েই আমরা বড় হচ্ছি, বুড়ো হচ্ছি। দর্শকরা আমাদের না ভালোবাসলে প্রথম সিনেমার পরই ছিটকে যেতাম। তারা যেভাবে আমাদের পথটাকে সমর্থন করেছেন, সেজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

উল্লেখ করা দরকার, ‘ডুব’ (নো বেড অব রোজেস) সিনেমাটি যে বছর বাংলাদেশ থেকে অস্কার প্রতিযোগিতায় গিয়েছিল, অর্থাৎ ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ম্যাগাজিন ভ্যারাইটির রিভিউয়ার ম্যাগি লি এমন এক বাক্য লেখেন যা বাংলাদেশর জন্য গর্বের। সিনেমাটিতে সুখ, একাকীত্ব ও মনস্তত্ত্বের প্রসঙ্গ টেনে তিনি মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়ে বলেন, ‘ফারুকী প্রমাণ করেছেন তিনি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের অনন্য কণ্ঠস্বর।’

যদিও সেই কণ্ঠস্বর বেশ ক’বার রোধের চেষ্টা ছিলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সুবাদে। যার শেষ চিহ্নটি এখনও পড়ে রয়েছে, বোর্ডের হিমঘরে, ‘শনিবার বিকেল’ নামে! পরিকল্পিত নয়, তবুও কী দারুণ মিলে যায়, সেই ২৬ অক্টোবর শনিবারের বিকাল গড়ানো সন্ধ্যায় ২৫ বছরের হিসাব নিয়ে যেন বসেছিলো ছবিয়াল আসর!

সূত্র: ইত্তেফাক




ভুটানকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

বড় জয়ে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে ভুটানকে গোল বন্যায় ভাসিয়েছে বাংলার মেয়েরা। তহুরার হ্যাটট্রিকে ভুটানকে ৭-১ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

আজ রোববার (২৭ অক্টোবর) নেপালের দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্নক ফুটবল খেলতে থাকে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৭ মিনিটেই গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। ডি বক্সের বাইরে থেকে জোড়ালো শটে বল জালে জড়ান ঋতুপর্ণা চাকমা।

ম্যাচের এগিয়ে গিয়েও আক্রমণ অব্যাহত রাখে বাংলার মেয়েরা। ম্যাচের ১৫ মিনিটে ফের গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। চমৎকার ড্রিবলিংয়ে বল নিজের কন্ট্রোলে নেন তহুরা। এরপর ডি বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ শটে বল জালে জড়ান তিনি।

এরপর স্কোরশিটে নাম লেখান অধিনায়ক সাবিনা। ম্যাচের ২৬ মিনিটে ডান দিক থেকে বাড়ানো বলে পা ছুঁয়ে জালে জড়ান তিনি। এরপর ম্যাচের ৩৬ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান তহুরা। আবারও ডি বক্সের বাইরে থেকে গোল করেন তিনি।

এরপর ম্যাচের ৩৭ মিনিটে ফের গোল করে সাবিনা। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে টেনে গোলরক্ষককে কাঁটিয়ে বল জালে জড়ান তিনি। ম্যাচের ৪১ মিনিটে এক গোল শোধ করে ভুটান। ৫-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৫৮ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তহুরা। এরপর ৭২ মিনিটে ফের গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। সানজিদার নেওয়ার কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বলে হেড করে বল জালে জড়ান ডিফেন্ডার মাসুরা পারভীন। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে ৭-১ গোলের বড় জয়ে ফাইনালে পা রাখে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে নানা আয়োজনে যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

মেহেরপুরে নানা আয়োজনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল এবং দুস্থ ও পথচারীদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

জেলা যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. এহান উদ্দিন মনার খাবার বিতরণ

আজ রবিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর ৩ টার দিকে জেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দের আয়োজনে এবং জেলা যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. এহান উদ্দিন মনা ও সদস্য মেহেদী হাসান রোলেক্সের তত্বাবধানে মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়া দবিরের মোড়ে এ আলোচনা সভা ও খাবার বিতরণ করা হয়।

জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও যুবদল নেতা ফিরোজুর রহমান ফিরোজের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় যুবদল নেতা রাকিবুল ইসলাম সজল, রেমিন শেখ, বখতিয়ার হোসেন, কাবরান শেখ, জেলা যুবদলের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান জনিসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনার পরে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও ৫ আগস্টের শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভা শেষে প্রায় সাড়ে ৭শ দুস্থ ও পথচারীদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।




স্কয়ার গ্রুপে চাকরির সুযোগ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্কয়ার গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান এজেস সার্ভিস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির অপারেশন বিভাগ জুনিয়র অফিসার পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে। থাকছে আবাসন সুবিধা। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগামী ০২ নভেম্বর পর্যন্ত।

প্রতিষ্ঠানের নাম : এজেস সার্ভিস লিমিটেড

পদের নাম : জুনিয়র অফিসার পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয় অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ১ থেকে ২ বছর, তবে অভিজ্ঞতা না থাকলেও আবেদন করতে পারবেন আগ্রহীরা।

বয়সসীমা : সর্বোচ্চ ৩২ বছর

কর্মস্থল : ঢাকা (আশুলিয়া)

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

আবেদন শুরুর তারিখ : ২৪ অক্টোবর ২০২৪

কর্মঘণ্টা : ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র : অফিসে

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

আবেদনের শেষ সময় : ০২ নভেম্বর ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : যে কোনো বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি

অন্যান্য যোগ্যতা : কর্মী ব্যবস্থাপনা ও ভালো নেতৃত্বের দক্ষতা এবং কঠোর পরিশ্রমী অন্যান্য সুবিধা : প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী, সাভারে (আশুলিয়া) কোম্পানিতে আবাসন সুবিধা।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
সূত্র: কালবেলা




মেহেরপুর সদর উপজেলা বিসিডিএসের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে মেহেরপুর সদর উপজেলা বিসিডিএসের ৫ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ রবিবার (২৭ শে অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি মেহেরপুর জেলা শাখার আয়োজনে কার্যনির্বাহী ও সদস্য সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় ওভারট্রাম রেস্টুরেন্টে সদর উপজেলা বিসিডিএসের ৫ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

এ সময় মেহেরপুর জেলা বিসিডিএসের আহ্বায়ক রিনু, ইলিয়াস হোসেনকে আহ্বায়ক,  বাবর আলীকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও নির্বাহী সদস্য হিসেবে জাহাঙ্গীর আলম বাবলু, শামীম হাসান এবং মাহফুজুর রহমানের নাম ঘোষণা করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে ।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপি’র সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা বিসিডিএসের কার্যনির্বাহী সদস্য ইসমাইল হোসেন, কাজী খয়রুদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, ইমন বিশ্বাস, বেনজির আহমেদ, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মতিউর রহমান প্রমুখ।




আজ ফাইনালের হাতছানি মেয়েদের

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, নেপালের কাঠমান্ডুতে দশরথের এই মাঠেই সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ৮-০ গোলে ভুটানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল। আজ (রোববার) আবার সেই মাঠ, একই প্রতিপক্ষ, সেমিফাইনালে ভুটানের মুখোমুখি বাংলাদেশ। খেলা শুরু হবে বেলা পৌনে ২টায়। সবকিছু একই হলেও বর্তমান দলের সিনিয়র ফুটবলার মারিয়া মান্ডা আগের হিসেব নিয়ে বসতে রাজি না। ‘আগের ভুটান আর এখনকার ভুটানের মধ্যে অনেক ফারাক। এবার ভুটান শক্ত প্রতিপক্ষ হয়ে এসেছে। ওরা নেপালের বিপক্ষে ড্র করেছে। আগে ৮-০ গোলে জিতেছি সেটা ভুলে যেতে চাই। আমরা মনে করবে এখন নতুন করে গোল করতে হবে, ম্যাচ জিততে হবে-বললেন মারিয়া মান্ডা।

সাফে এখন পর্যন্ত ভুটান-বাংলাদেশের মুখোমুখি ম্যাচের সংখ্যা ৪টি। এর মধ্যে সবকয়টি জিতেছে বাংলাদেশ। প্রথম সাফে বর্তমান অধিনায়ক সাবিনা খাতুন খেলেছিলেন, জোড়া গোলও করেছিলেন তিনি। এখন পর্যন্ত সবগুলো সাফ খেলেছেন সাবিনা। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ফুটবলার সাবিনা আজ ভুটানকে খাটো করে দেখছেন না। কারণ সাবিনা মারিয়ারা কিছুদিন আগে ভুটানের ক্লাব লিগে খেলে এসেছেন। তারা দেখেছেন ভুটান উন্নতি করছে। এখন সেমিফাইনালে ভুটান জীবন বাজি রেখে লড়াই করবে বলে মনে করছেন সাবিনা-মারিয়ারা। ফাইনালের হাতছানি মনে করছেন না।

দলের ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার কাল অনুশীলনে নেমে নেপালে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তারা ভুটানকে শ্রদ্ধা করছেন। সেমিফাইনালে উঠেছে বলে সব শেষ হয়ে গেছে, তা নয়। আমাদের পা মাটিতে রাখতে হবে। ভুটানকে সেমিফাইনালে ওঠার সম্মান দিতে হবে। আমরাও উন্নতি করেছি। ভারতকে হারানোর পর আমার মেয়েদেরকে বলেছি তারা যেন খেলায় মনোযোগ ধরে রাখে।’

নিজ দলের কথা বলতে গিয়ে সাবিনাদের সাবেক কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের প্রসঙ্গ উঠে আসে পিটার বাটলারের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘দলের মধ্যে মনযোগ ধরে রাখাটা এখন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কারণ সাবেক কোচরা আমার দলকে বিরক্ত করছে। নানা ভাবে প্ররোচিত করছে। এটা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’

আজ একই দিনে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত-নেপাল। এই দলও গত সাফে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। সেই খেলায় নেপাল ১-০ গোলে হারিয়েছিল ভারতকে। এবার তাদের সামনে কঠিন লড়াই। নারী সাফের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। তারা গত শিরোপা হারিয়েছিল। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়। নেপাল ৫ বার ফাইনাল খেলেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। আরও একবার ঘরের মাঠে সুযোগ এসেছে স্বপ্ন করার।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু

দামুড়হুদা বাসট্যান্ড সংলগ্ন হাঁটের সামনে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে। মৃত্যু বরণকারী হলো দামুড়হুদা চিৎলা গোবিন্দহুদা গ্রামের মিলনের ছেলে রাকিব (১৮)।

জানাগেছে দামুড়হুদা উপজেলার সদর বাসট্যান্ড সংলগ্ন হাট চালির সামনে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত রাকিব মোটরসাইকেল যোগে কলেজে পরিক্ষা দিতে এসেছিলো। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস কলেজে ঢুকার আগেই হাঁটচালির সামনে একটি পাখি ভ্যানের এক্সেলে বেঁধে ছিটকে পিচ রাস্তার উপর পড়ে যায় অপর দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি ট্রাকের পেছনের চাকার নিচে পরে। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা রাকিব মৃত্যু বরণ করে। মোটরসাইকেল অপর দুই আরোহী গুরুতর আহত হলে তাদেরকে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় ট্রাকটি উদ্ধার করে দামুড়হুদা মডেল থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। ট্রাকের নাম্বার হলো ঢাকা মেট্রো ট ২২- ৫৮২৩। নাবিল কোম্পানীর ট্রাকটি মাছের ফিড নিয়ে রাজশাহী থেকে দর্শনার উদ্দেশ্যে আসছিলো। পতিমধ্যে এ দূর্ঘটনার কবলে পড়ে।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে একজন কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছেন ময়না তদন্তের জন্য লাশ চুয়াডাঙ্গা মর্গে পাঠানো হয়েছে ঘাতক ট্রাকটি থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




জীবননগরে কচুরিপনার মধ্যে থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সীমান্তের বিল থেকে অজ্ঞাতনামা একটি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জীবননগর উপজেলার মেদেনীপুর গ্রামের ঘাড়কাটি বিলের কচুরিপানার ভেতর থেকে ওই কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস।

স্থানীয়ারা জানান, মেদেনীপুর গ্রামের শহিদুল বিশ্বাস বলেন, গতকাল শনিবার দুপুরে মাছ ধরতে ঘাড়কাটি বিলে জাল পাততে যান। এসময় বিলের কচুরিপানার ভেতরে একজনের কঙ্কাল দেখতে পান। তিনি বিষয়টি মাঠে কর্মরত কৃষকদের জানান। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় বিজিবির সদস্যরা ও জীবননগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ ওই কঙ্কাল উদ্ধারের কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

সীমান্ত ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুস সবুর বলেন, সুজন আলী আমার আপন ছোট ভাই। আমার ভাই জীবননগর পৌর কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। আমার ভাই গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় জীবননগর পৌর এলাকার গোপালনগরের ভাড়া বাসা থেকে নিখোঁজ হয়। লাশটির বেশির ভাগ অংশ পচে গলে যাওয়ায় সহজে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। লাশটি পচেগলে কঙ্কালে পরিনত হয়েছে। তবে আমার ভাই অনেক আগে ফুটবল খেলতে যেয়ে হাতে আঘাত লাগে হাতের মধ্যে রড দেওয়া ছিল ।বিল থেকে যে লাশটি উদ্ধার হয়েছে তার শরীরে থাকা সার্জিক্যাল রড দেখে আমাদের মনে হচ্ছে লাশটি আমার ভাই সুজন আলীর হবে ।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, গতকাল শনিবার দুপুরে মেদেনীপুরের ঘাড়কাটি বিলের মাঠে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিচয় সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত নয়। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। সিআইডি ও পিবিআই পুলিশকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে এসে কঙ্কালের পরিচয় ও ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করবে।




চুয়াডাঙ্গায় অঞ্জলী রাণী হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ওয়াদুদ গ্রেফতার

৫দিনের মাথায় চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর অঞ্জলী রানী হত্যাকান্ডের মূলরহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার হয়েছে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা।

চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার গণেশ প্রামানিকের স্ত্রী অঞ্জলী রানী (৫০) কে রবিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৮ হতে বেলা ১১টার মধ্যে যেকোন সময় আসামী ধারালো অস্ত্রদিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে।

এরপর তার বসতঘরের সাব-বাক্স এ রক্ষিত স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার প্রেক্ষিতে অঞ্জলী রানীর ভাই অশোক কুমার বিশ্বাসের অভিযোগের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়।

ঘটনার পর সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার, খন্দকার গোলাম মওলা ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার মূলরহস্য উদঘাটনসহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামানের নেতৃত্বে সদর থানা, সাইবার ক্রাইম, গোয়েন্দা শাখা ও সিআইডির একাধিক টিম ঘটনার মূলরহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামীকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে মাঠে নামে।

অবশেষে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল (জেলা গোয়েন্দা শাখা), চুয়াডাঙ্গার চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানার শিংগা গ্রাম থেকে আসামীর শ্বশুর মুস্তাক মন্ডল এর বাড়ী হতে আসমামী ওয়াদুদ ওরফে ওদু মন্ডল (৩০) গ্রেপ্তার করে।

এ সময় স্বর্ণের একটি নেকলেস, ৩টি স্বর্ণের পলা, স্বর্ণের কানের দুল ৪টি, স্বর্ণের রিং কানের দুল ১টি, রুপার নুপুর ২টি এবং নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। ওদু মন্ডল দৌলতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার মৃত সুবাদ মন্ডলের ছেলে।

অঞ্জলী রানীকে হত্যাকান্ডের বিষয়ে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আসামী অকপটে হত্যার বর্ণনা প্রদান করে। আসামীর হেফাজতে থাকা অঞ্জলী রানীর ব্যবহৃত স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা বের করে দেয়। ঘটনার বিষয়ে আসামী স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।