দেড় বছরে ভাঙ্গলো তিনবার!

কপোতাক্ষ নদের পাড় ঘেষে যাওয়া খালিশপুর-যাদবপুর ভায়া জিন্নানগর সড়কের মহেশপুর পৌরসভার সামনে ১০২ মিটারের সড়কের ভাঙ্গন ঠেকাতে মাত্র তিন মাস আগে ব্যয় করা হয়েছে ৩২ লাখ টাকা। কিন্তু কোনো কাজেই আসেনি। চলতি সপ্তাহের বৃষ্টিতে আবারো ধসে পড়েছে সড়কটি। এরও এক বছর পূর্বে প্যালাসাইটিং বসিয়ে আরেক দফা চেষ্টা করা হয়েছিল, সেটাও কোনো কাজে আসেনি। বছর যেতে না যেতেই ধস নামে সড়কের ওই অংশের।

স্থানীয়রা বলছেন, সংষ্কার কাজ হয় কিন্তু তার মান সঠিক থাকে না। যে কারনে ২/৪ মাস যেতে না যেতেই ভেঙ্গে যায় গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি। আর সড়ক বিভাগের দাবি দুই বছর পূর্বে নদী খননের সময় তলদেশ থেকে মাটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এখন তারা যেভাবেই চেষ্টা করুন না কেন কোনো কাজে আসছে না। তবে তারা এবার শক্ত ভাবে বাঁধ দিয়ে সড়ক সংষ্কার করবেন বলে আশা করছেন।

এদিকে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ব্যস্ততম সড়কটি এভাবে ভেঙ্গে পড়ে থাকায় যানবাহন চলাচল করছে মারাত্বক ঝুকি নিয়ে। বড় বড় গাড়িগুলো প্রচন্ড যানজট এড়াতে উপজেলা শহরের ভিতর দিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। আর ছোট ছোট যানবাহনগুলো ভাঙ্গনের পাশ দিয়ে ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, ঝিনাইদহ জেলার সীমান্তবর্তী একটি উপজেলা মহেশপুর। ভারত সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় এটির গুরুত্ব অনেক। এই উপজেলার মানুষের চলচলের জন্য প্রধান সড়ক হিসেবে কালীগঞ্জ-জীবননগর সড়কের খালিশপুর থেকে চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। এটি খালিশপুর থেকে কপোতাক্ষ নদ এর ধার দিয়ে মহেশপুর শহর পেরিয়ে দত্তনগর হয়ে জীন্নানগর পেরিয়ে যাদবপুর গেছে। সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন। ইতিপূর্বে সড়কটি খুবই খারাপ ছিল। চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ায় এলাকাবাসি দাবি জানিয়ে আসছিল মেরামতের। ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৩৯ কোটি টাকা ব্যায়ে ওই সড়কটির সাড়ে ৪৮ কিলোমিটার সংষ্কার কাজ করা হয়। যার মহেশপুর শহরের কিছু রয়েছে কপোতাক্ষ নদ এর ধার ঘেষে। এই সংষ্কারের পর মহেশপুরবাসি ভালোভাবে চলাচল করে আসছিলেন।

এই অবস্থায় গত ২০২৩ সালের শেষ দিকে সড়কটির মহেশপুর শহরের মহেশপুর পৌরসভা ভবনের পাশে কপোতাক্ষ নদ এর ধারে ধস দেখা দেয়। ওই স্থানের ১০২ মিটার জায়গার পিচ-পাথর বসে যেতে শুরু করে। এরপর দেখা দেয় ভাঙ্গন। অল্পদিনের মধ্যে সড়কটির উত্তর পাস ধসে কপোতাক্ষ নদ এর মধ্যে চয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, সড়কটি ভাঙ্গন অবস্থায় তারা ঝুকি নিয়ে চলাচল করছিলেন। এরপর সড়ক বিভাগ থেকে একদফা সংষ্কার করা হয়। কিন্তু সেটা বেশি দিন টেকেনি। সংষ্কার কাজের ৮ থেকে ৯ মাস পরই আবারো ধস দেখা দেয়। এই অবস্থায় চলতি বছরের জুন মাসের দিকে দ্বিতীয় দফা সংষ্কার কাজ করেন। এবার মাত্র তিন মাস যেতে না যেতেই গত দুই সপ্তাহ হলো তৃতীয় দফা ধস নেমেছে। এবার সড়কটির অর্ধেক অংশের বেশি নদ এর মধ্যে চলে গেছে। কর্তৃপক্ষ এক সপ্তাহ হলো বালি দিয়ে গর্ত ভরাটের চেষ্টা করেছেন। সেটাও হয়নি, ইতিমধ্যে বালিও বসে গেছে। অনুমান করা হচ্ছে তলদেশ দিয়ে বালি সরে নদ এর মধ্যে চলে গেছে।

ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহি বাসের চালক শমসের আলী জানান, তারা যশোর থেকে কালীগঞ্জ হয়ে জিন্নানগর পর্যন্ত চলাচল করে থাকেন। এই ধসের কারনে তাদের মহেশপুর শহর ঘুরে যেতে হচ্ছে। এতে প্রায়ই শহরের মধ্যে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আর এই ঘটনা মাঝে মধ্যেই হয়ে থাকে বলে জানান। তিনি বলেন, এই ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী পদক্ষেপ জরুরী।

আর সড়ক বিভাগে খোঁজ নিতে গেলে এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, তারাও সড়কটি নিয়ে চিন্তিত। কোনো ভাবেই এই ধস সামলাতে পারছেন না। সর্বশেষ তারা ৩২ লাখ টাকা খরচ করে রিটেনিং ওয়াল দিয়ে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করেছেন। সেটাতেও এই ধস নামায় তারা বুঝে উঠতে পারছেন না কিভাবে এই জায়গাটি রক্ষা করবেন।

বিষয়টি নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল কবীর জানান, তারাও এটি নিয়ে চিন্তিত।

তিনি বলেন, সড়কটির ৩ বছর পূর্বে যখন সংষ্কার হয়েছিল তখন কোনো সমস্য দেখা দেয়নি। পরে কপোতাক্ষ নদ খননের কাজ করা হয়। তিনি আরো বলেন, সাধারণত নদ-নদী খননের সময় ভেতরের মাটি কেটে পাড় বাঁধা হয়। এখানে সেটা করা হয়নি। নদ এর ভেতর থেকে কাটা মাটি সড়কের উপর রাখা হয়েছিল, সেই মাটি পরে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যে কারনে ভাঙ্গন স্থানের তলদেশের মাটি আলগা থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে টেকসই ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।




ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ নেতার পদত্যাগ

ঝিনাইদহ বাসীর কাছে দোয়া চেয়ে আওয়ামী লীগ থেকে চিরদিনের জন্য বিদায় দিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম আশরাফ নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি আর কোন দিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পর্ক রাখবেন না বলেও জানিয়েছেন। সেই সাথে তিনি তার অসুস্থতার কারণে সকলের কাছে দোয়াও চেয়েছেন।

তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমি এক জন হার্টের রোগী। আমার কিছুদিন আগের বাইপাস সার্জারি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন রোগে আক্রান্ত থাকার কারণে এখন আমি খুবই অসুস্থ। সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। আমি স্বেচ্ছায়, স্বইচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করলাম। এখন থেকে আওয়ামী লীগের দলের সাথে আমার আর কোন সংযোগ নেই। আমি সংগঠন থেকে চিরতরে অব্যাহতি নিলাম। রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নিলাম। আমি আর রাজনীতির সাথেই যাব না। স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চাই। আর যে কয়দিন বেঁচে আছি সবার কাছে দোয়া প্রার্থী। আমি অসুস্থ মানুষ, যেন ভালো থাকতে পারি।

উল্লেখ্য, আশরাফুল ইসলাম আশরাফ দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হয়েছিলেন।




ঝিনাইদহে ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন ও সক্রিয়করণ সভা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন ও সক্রিয়করণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দি ইউএসএআইডি আইন সহায়তা অ্যাক্টিভিটির আর্থিক সহযোগিতায়, ডেমোক্রসি ইন্টারন্যাশনাল বাস্তবায়নে এবং রাইটস যশোর সংস্থার অয়োজনে, আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির সভাপতি মো:মোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন ও সক্রিয়করণ সভায় উপস্থতি ছিলেন,ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মো: ইউনুছ আলী সরদার, জেলা র্কমর্কতা, মাহমুদুল হাসান, উপজেলা সহকারী শৈলকুপা , বিষ্ণু পদ ঘোষ, উপজেলা সহকারী, কোটচাঁদপুর, আখি রানী পাল, উপজলো সহকারী, ঝিনাইদহ সদর, রাইটস যশোর।

সভায় বক্তারা সরকারি আইনী সহায়তা কার্যক্রমের মাধ্যমে গরিব, অসচ্ছল ও নির্যাতিত মানুষের আইনি অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির সক্রিয়করণ এবং প্রচার-প্রচারণার উপর গুরুত্ব এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে যার যার প্রথা, রীতি মেনে চলার আহবান জানান। এছাড়া নিজেদের অবস্থান থেকে ইউনিয়নের তৃণমূল পর্যায়ে বসবাসরত জনসাধারণকে গরিব, অসহায়, লিগ্যাল এইড কার্যক্রম এবং সরকারের সহযোগিতা করার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হয় ।




চাকুরি দিবে পপুলার ফার্মা

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির আইটি বিভাগ এক্সিকিউটিভ পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

আবেদন করা যাবে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম : পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি পদের নাম : এক্সিকিউটিভ বিভাগ : আইটি পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়

শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অন্যান্য যোগ্যতা : ফার্মাসিউটিক্যাল প্ল্যান্ট আইটি অপারেশনের ভালো দক্ষতা অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ২ থেকে ৫ বছর

চাকরির ধরন : ফুলটাইম কর্মক্ষেত্র : অফিসে প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) বয়সসীমা : সর্বোচ্চ ৩০ বছর

কর্মস্থল : গাজীপুর (টঙ্গী) বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে অন্যান্য সুবিধা : প্রভিডেন্ট ফান্ড, সাপ্তাহিক ২ দিন ছুটি, গ্র্যাচুইটি, বছরে ৩টি উৎসব বোনাস, গ্রুপ জীবন বিমা, দুপুরের খাবার সুবিধা, পিক অ্যান্ড ড্রপ সুবিধা।

আবেদন করবেন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

সূত্র: কালবেলা




গাংনীতে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

পুকুরের পানিতে ডুবে হুসাইন আহমেদ (৩) নামের এক শিশু মারা গেছে। নিহত তালহা হুসাইন গাংনী উপজেলার আমতৈল গ্রামের উজ্জ্বল হােসেনের ছেলে। বাবা মায়ের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায় সে মায়ের সাথে নানা বাড়ি এলাঙ্গী গ্রামে থাকতো।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে গাংনী উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামে তার নানা বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

গাংনী থানার তদন্ত অফিসার মেজবাহ উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত হুসাইনের মা নুপুর খাতুন জানান, আমি রান্না করছিলাম। এক এসময় হুসাইন খেলতে খেলতে বাড়ির বাইরে চলে যায়। বাড়ির পাশেই পুকুরে পড়ে মারা যায় সে। আমি তাঁকে খুঁজতে গিয়ে দেখি,পুকুরে ভাসছে। তাঁকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘােষণা করেন।




মারা গেলেন ‘টারজান’ অভিনেতা রন এলি

‘টারজান’ খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেতা রন এলি মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। গতকাল বুধবার (২৩ অক্টোবর) তার মেয়ে ক্রিশ্চেন কাসালে এলি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের মাধ্যমে তার বাবার মৃত্যুর খবর জানান।

রনের মেয়ে ক্রিশ্চেন কাসালে এলি ইনস্টাগ্রামে এই অভিনেতার মৃত্যুর ঘোষণা দিয়ে লেখেন, আমার বাবা ছিলেন এমন একজন, যাকে মানুষ হিরো বলত। তিনি ছিলেন একাধারে অভিনেতা, লেখক, প্রশিক্ষক, মেন্টর, পরিবার অন্তঃপ্রাণ মানুষ এবং নেতা।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গেল ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারায় লস আলামোসে নিজ বাড়িতে মারা যান রন এলি। তার মৃত্যুর প্রায় একমাস পর পরিবারের পক্ষ থেকে খবরটি নিশ্চিত করা হলো।

বিশ শতকের বেশ কিছু জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ও সিনেমায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা রন এলি। তবে টারজান চরিত্রটি তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে।

রন এলির জন্ম ১৯৩৮ সালে, টেক্সাসে। ১৯৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে সিটকম ‘ফাদার নোজ বেস্ট’, ‘হাউ টু ম্যারি আ মিলিয়নেয়ার’ ও ‘দ্য মেনি লাভস অব ডোবি গিলিস’-এর মতো জনপ্রিয় টিভি শোগুলোতে অভিনয় করেন রন। এরপর ১৯৬৬ সালে ‘টারজান’-এ প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান এই অভিনেতা।

দর্শকের কাছে রন মূলত টারজান নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত এনবিসি টেলিভিশনে দুই সিজনের টারজানের ৫৭টি এপিসোড সম্প্রচারিত হয়। এতে আধুনিক দর্শকদের জন্য এক নতুন টারজান চরিত্রকে তুলে ধরা হয়। সে সময় রন এলি তার প্রায় সব স্টান্ট নিজেই করতেন।

তা করতে গিয়ে দুবার তার কাঁধের হাড় ভেঙেছে, পিঠের পেশি ছিঁড়েছে, এবং দুবার সিংহের কামড় খেয়েছেন। আর এইসব তার জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে দেয়।

টারজান সিরিজটি জনপ্রিয়তার জন্যই পরে বিভিন্ন ভাষায় ডাবিং করে বিশ্বের নানা দেশে সিরিজটি প্রচারিত হয়েছিল।

টারজান এলিকে বিশ্বের সবার কাছে নিয়ে গিয়েছিল। রন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এই চরিত্রটি এমন একটি ফাঁদ, যেখান থেকে কেউই মুক্তি পায় না। এই চরিত্রের সঙ্গে তিনি এতটাই মিশে গিয়েছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্রে তার অন্য চরিত্রে কাজ পেতে সমস্যা হয়ে যায়। এ কারণে তিনি কাজের জন্য ইউরোপে চলে যান।

১৯৭৫ সালে এলি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আরেকটি জনপ্রিয় চরিত্র ‘ডক স্যাভেজ: দ্য ম্যান অব ব্রোঞ্জ’-এ নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন। এরপর তিনি আবার টেলিভিশনে ফিরে যান। দীর্ঘবছর এই অভিনেতা টেলিভিশনের একাধিক জনপ্রিয় সিরিজে অভিনয় করেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন

মুজিবনগরে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার সময় মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হল রুমে এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার হাসনাইন জাহিদ, মুজিবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইজারুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা: আহসান হাবিব, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: খন্দকার সানজিদা আক্তারসহ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।

এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা, কারিগরি, কিন্ডারগার্ডেনসহ ৭৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৪,৭৩০ জন শিক্ষার্থীকে এই টিকা প্রদান করা হবে।




মূল পর্বে খেলার স্বপ্ন টিকে রইলো বাংলাদেশের

২০২৫ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ফিলিপাইনের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক কম্বোডিয়ার বিপক্ষে হারের পর ফিলিপাইনের বিপক্ষে এই ম্যাচটি ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।

এ দিন ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে শফিক রহমানের পা থেকে। এই জয়ে এশিয়ান কাপের মূল পর্বের খেলার স্বপ্ন টিকে থাকল বাংলাদেশের। ‘বি’ গ্রুপে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে এক জয় এবং এক হারে তিন পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে অবস্থান করছে বাংলার যুবারা।

অন্যদিকে ছয় পয়েন্ট ‘বি’ গ্রুপে টেবিলের সবার ওপরে অবস্থান করছে আফগানিস্তান। দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই জয় আফগানদের। এছাড়াও আফগানদের সমান দুই ম্যাচ খেলে দুই জয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে টেবিলের দুই নম্বরে অবস্থান করছে স্বাগতিক কম্বোডিয়া। আগামীকাল শুক্রবার বাংলাদেশের তৃতীয় ম্যাচ ম্যাকাওর বিপক্ষে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সন্ধ্যা ৬টায়।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন

জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৪ শুভ উদ্বোধন এক ডোজ এইচপিভি জরায়ুমুখ ক্যান্সার রুখে দিন আয়োজন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৯ টার সময় মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৪ শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডাঃ মহী উদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তারিকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক বজলুর রহমান, সহকারী কমিশনার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবির হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার আব্বাস উদ্দিন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন, তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইনজামুল হক, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ জি এম সিরাজুম মূনীর, মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক প্রমুখ।




স্বামী নিগমানন্দ পরমহংসদেব আশ্রমের সেবায়েত মহারাজের পরলোকগমন

মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুরের স্বামী নিগমানন্দ পরমহংসদেব আশ্রমের সেবায়েত মহারাজের পরলোকগমন করেছেন।

আজ বিকেল চারটার (৪টা) সময়, ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেহত্যাগ করেছেন, শ্রী শ্রী অখন্ডনন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ (৭৫)।

তিনি মেহেরপুর জেলার কুতুবপুর গ্রামের শ্রীমৎ স্বামী নিগমানন্দ পরমহংস দেবের পিতৃভূমি খ্যাত সারস্বত আশ্রমের সেবায়েত, দীক্ষাগুরু মহারাজ ছিলেন।

শ্রী শ্রী অখন্ডনন্দ ব্রহ্মচারী তাঁর বড় দাদা অচ্যুতানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজের নিকট দীক্ষা নিয়ে শ্রী শ্রী নিগমানন্দ, সদগুরু প্রবর্তিত “শংকের মত গৌরাঙ্গের পথ ” দর্শনের বিশ্বাসী হয়ে গৃহত্যাগী হয়ে সন্ন্যাসব্রর্তী হন। কালে কালে তাঁর ভক্তি, মেধা ও একনিষ্ঠতা দিয়ে হয়ে উঠেন আশ্রমের একজন প্রধান ভক্ত।

পরবর্তীতে তাঁর দাদা শ্রী শ্রী আখন্ডনন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ লোকায়িত হওয়ার পর গুরুধাম খ্যাত কুতুবপুর আশ্রম পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করেন। তাঁর সময় কালে কুতুবপুর আশ্রমের প্রায় ধ্বংস প্রাপ্ত ঘরগুলি অপসারিত করে অধুনিক ভবন নির্মান করে আশ্রমের আমূল পরিবর্তন সাধন করেন। সেই সাথে বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বে “শংকরের মত গৌরাঙ্গের পথ” দর্শন কে আরো জনপ্রিয় করে তোলেন। তাঁর আমলেই শ্রী শ্রী নিগমানন্দ দর্শন দেশীয় পাঠ্যপুস্তকে স্থান পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এই দর্শনের উপর গবেষণা চালু হয়।

শ্রী শ্রী অখন্ডনন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজের দেহত্যাগের খবরে মেহেরপুর সহ বাংলাদেশ ও ভারতের সহস্র ভক্তের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর মৃত্যুতে এই অস্থির বিশ্ব একজন সৎ, নির্লোভ অধ্যাত্মিক নমস্য ব্যাক্তিত্বকে হারাল, বলে মনে করেন স্থানীয় সুধীজনেরা।

তবে গুরুধামের ১৫০ জাল হয়ে যাওয়া জমি নিয়ে দীর্ঘ মামলা করেও নেয্য হিস্যা আশ্রমের কাছে ফিরিয়ে দিতে না পারার ব্যার্থতা ছিল তাঁর প্রাণ জুড়ে।