ক্যাম্প শুরুর দুই দিন আগেই সিলেট যাচ্ছেন মুশফিক

জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য বাংলাদেশ তাদের প্রস্তুতি শুরু করবে আগামী ১২ এপ্রিল। দলের প্রস্তুতির ভেন্যু সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। তবে অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম সে সিরিজের প্রস্তুতির জন্য সিলেটে যাচ্ছেন দুই দিন আগেই।

দলের জন্য মুশফিকের নিবেদন নিয়ে নতুন করে কিছুই বলে দিতে হয় না। রোদ, ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনুশীলনে যাওয়া মুশফিকের যাপিত জীবনেরই অংশ। দলের আনুষ্ঠানিক অনুশীলন সেশনেও সবচেয়ে বেশি মনোযোগী দেখা যায় তাকেই।

সে তিনি এবার জিম্বাবুয়ে সিরিজের ক্যাম্প শুরুর ২ দিন আগেই যাচ্ছেন সিলেটে। এ জন্য তাকে ত্যাগও স্বীকার করতে হচ্ছে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচে খেলতে পারবেন না তিনি।

এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তিনি খেলছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে থেকেই বাজে ফর্মের সঙ্গে লড়ছিলেন তিনি। ডিপিএলেও খুব বেশি সুবিধা করতে পারছেন না। ৫ ইনিংসে ২৪.৫ গড়ে তিনি করেছেন ৯৮ রান।

তার আগে এশিয়া কাপে দুই ইনিংসে করেছিলেন ২ রান। জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে নিজের ব্যাটিংয়ের ভুলত্রুটি শুধরে নিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুশফিক।

মুশফিককে নিয়ে আগামী ২০ এপ্রিল সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এরপর আগামী ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে সিরিজের শেষ টেস্ট মাঠে গড়াবে।

সূত্র: যুগান্তর




গাংনীতে সাব-রেজিস্টার ও দলিল লেখকদের দ্বন্দে জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকদের দ্বন্দে, বন্ধ হয়ে পড়েছে দলিল লেখার কাজ ও জমি রেজিষ্ট্রি। জমি রেজিস্ট্রি করতে না পেরে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা।

চাহিদানুযায়ী জমি রেজিস্ট্রি না হওয়ায় ক্রেতা বিক্রেতাদের যেমন ভোগান্তি বেড়েছে তেমনি সরকারও হারাচ্ছে বড় পরিমাণ রাজস্ব । কবে নাগাদ এর সমাধান হবে তা নিয়ে সংশয় জনমনে। দলিল লেখকরা বলছেন, অতিরিক্ত টাকা দাবী ও নানা অজুহাতে হয়রানী করা হচ্ছে। আর সাব-রেজিস্ট্রার বলছেন, নিয়ম অনুযায়ী রেজিস্ট্রি হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলার সবচেয়ে জনবহুল উপজেলা গাংনী। এ উপজেলায় প্রতিনিয়ত দেড় থেকে দুই শতাধিক ক্রেতা-বিক্রেতা তাদের জমি কেনা বেচা করে থাকেন। প্রতিদিন দেড় থেকে দুশো জমির দলিল জমা হলেও সাব-রেজিস্ট্রার রেজিষ্ট্রেশন করে থাকেন ৩০ থেকে ৪০ টি দলিল।

উপজেলায় অন্য সাব-রেজিস্ট্রার থাকতে আগে যেখানে প্রতিবছরে ন্যূনতম ১২ থেকে ১৩ হাজার দলিল রেজিস্ট্রি হতো, এখন সেখানে রেজিস্ট্রি হচ্ছে পাঁচ থেকে ছয় হাজার। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। ফলে জন-ভোগান্তি এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেইসঙ্গে সরকারের এ খাত থেকে রাজস্ব কমেছে বছরে কয়েক কোটি টাকা। ভুক্তভোগীরা দুর দুরান্ত থেকে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে এসে জমি রেজিষ্ট্রি করতে না পেরে ঘুরে যাচ্ছেন।

এতে তারা সময় এবং অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। দলিল লেখকদের অভিযোগ সাবরেজিস্টার অনৈতিকভাবে দলিল প্রতি ৫ শ টাকা করে দাবি করছেন। এছাড়া কাগজপত্রের অজুহাত দেখিয়ে দিনের পর দিন ঘুরাচ্ছেন ক্রেতা বিক্রেতাদের। মেহেরপুরসহ সারাদেশে যেভাবে দলিল রেজিষ্ট্রেশন হয়ে থাকে সেভাবে দলিল রেজিষ্ট্রেশন করার দাবি জানান তারা।

তবে সাব-রেজিস্টার বলছেন সঠিকভাবে কাগজপত্র দেখেই জমি রেজিষ্ট্রি করা হচ্ছে। যাতে ক্রেতা বিক্রেতারা ভবিষ্যতে কোনো ধরণের দুর্ভোগে না পড়েন। তবে মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, দলিল লেখকরা কর্মবিরতি করে তাদের টেবিলে হাত গুঠিয়ে বসে আছেন। আর জমি ক্রেতা বিক্রেতারা দুর-দুরান্ত থেকে এসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন চিন্তা আর হতাশা নিয়ে। এদিকে সাব রেজিস্ট্রার তার অফিস কক্ষে বসে আছেন স্টাফদের নিয়ে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কোন দলিল রেজিষ্ট্রি হয়নি।

ভুক্তভোগীরা জানান, জরুরী টাকার প্রয়োজনে জমি বিক্রি করছিলাম। এখানে এসে শুনছি রেজিষ্ট্রি হচ্ছে না। ফিরে যাচ্ছি। জমি বিক্রি করতে আসা মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, সকালে অনেক লোকজন সাথে নিয়ে জমি রেজিষ্ট্রি করতে এসেছিলাম। এসে দেখি দলিল লেখার কাজ বন্ধ। ফিরে যাচ্ছি। আমাদের ভোগান্তি দেখার কেউ নেই।

গাংনী দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোঃ ফাকের আলী জানান, সাব-রেজিস্ট্রার যোগদানের পর থেকে দলিল রেজিস্ট্রি কমিয়ে দিয়েছেন। নানা অজুহাতে হয়রানি ও দলিল প্রতি ৫ শ টাকা করে উৎকোচ দাবি করাই দলিল লেখা বন্ধ রেখেছি।
দলিল লেখক রাশেদুল ইসলাম বলেন, দলিল রেজিষ্ট্রেশন অর্ধেকে নেমে এসেছে। সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে সাথে ক্রেতা বিক্রেতারা হয়রানি হাচ্ছে।

দলিল লেখক শওকত আলী বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার যেসব শর্ত দিচ্ছেন সেটা তার মনগড়া নিয়ম। বাংলাদেশে কোথাও এভাবে জমি রেজিষ্ট্রি হয়না।

সাব-রেজিস্ট্রার নাইমা ইসলাম বলেন, আমি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দলিল রেজিষ্ট্রেশন করাই দলিল লেখকরা আমার উপর অসন্তোষ। অতিরিক্ত টাকা নেওয়া ও হয়রানির অভিযোগ মিথ্যা বলেও দাবী করেন তিনি।




মেহেরপুরের পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র কর্মী সমাবেশ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ঘোষিত প্রক্রিয়ায় দলের পূর্ণগঠন জাতীয় ও স্থায়ীয় পর্যায়ে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দলকে সক্ষমতা অর্জনের প্রত্যয়ে পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল ) বিকেল পাঁচটার দিকে সদর উপজেলা পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র আয়োজনে পিরোজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্মী সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে।

জেলা বিএনপি’র সদস্য আলমগীর খান সাতুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. কামরুল হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম ও ফয়েজ মোহাম্মদ।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সদস্য হাফিজুর রহমান হাপি, ওমর ফারুক লিটন, মোছাঃ রোমানা আহম্মদ, মশিউর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন প্রমুখ।

এছাড়াও এসময় জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকা বিল্লাহ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু, সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি এস এ খান শিল্ট, সদর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রিপন, জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি ছাবিহা সুলতানা, জেলা বিএনপির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নাজমিন নাহার রিনা, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের দলের সদস্য সচিব আনোরুল ইসলাম, মোশিউল আলম দিপু আব্দুল লতিফ, ইলিয়াস হোসেন, মাহাবুল হাসান মিলন, যুবদল নেতা মিন্টু, সৌরভ জনিসহ ফিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




চুয়াডাঙ্গায় অস্ত্র মামলায় এক ব্যক্তির ১৭ বছরের কারাদণ্ড

চুয়াডাঙ্গায় অস্ত্র মামলায় আবুল কাশেম (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আল-আমিন মাতুব্বর এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কাশেম দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সিপুর গ্রামের মোহাম্মদ সরদারের ছেলে।

একই মামলার অপর আসামি, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খেজুরা গ্রামের মৃত মহর আলীর ছেলে জয়নাল (৪৫) কে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৫ মে রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা র‌্যাব ক্যাম্পের ডিএডি আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টহল টিম সদর উপজেলার আলুকদিয়া এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন, চুয়াডাঙ্গা থেকে আলমসাধুতে করে দুজন ব্যক্তি অস্ত্র নিয়ে মেহেরপুরের দিকে যাচ্ছে।

পরে আলুকদিয়া বাজারের ইউনুছ আলী মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর সন্দেহভাজন আলমসাধুটিকে থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। ওই সময় আটক করা হয় দুজনকে। দেহ তল্লাশির সময় আবুল কাশেমের কোমর থেকে একটি দেশীয় তৈরি শুটারগান এবং একটি লোড করা .৩০৩ রাইফেলের গুলি জব্দ করা হয়। এছাড়াও একটি হাতুড়ি ও ১৪ ইঞ্চি লম্বা লোহার সাবল সদৃশ পাইপ উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার সময় তার সঙ্গে থাকা জয়নালকে সহযোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়। ওই ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা র‌্যাব ক্যাম্পের তৎকালীন ডিএডি আফজাল হোসেন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় আবুল কাশেমকে প্রধান আসামি এবং জয়নালকে সহযোগী আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি বিচারাধীন থাকার পর সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আবুল কাশেমকে অস্ত্র আইনের ১৯ ধারায় ৭ বছর এবং ১৯(এ) ধারায় ১০ বছর, সর্বমোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। অন্যদিকে, অপর আসামি জয়নালকে খালাস দেওয়া হয়।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি অ্যাডভোকেট মানজারুল হক জোয়ার্দ্দার হেলাল এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী সাগর ও অ্যাডভোকেট এনামুল কবীর যুক্ত ছিলেন।




দামুড়হুদায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ২২

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার উত্তর চাঁদপুর জোড়াতলা মাঠে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারীও রয়েছেন। আহতদের দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন: শাখাওয়াত হোসেন (৩৫), মিলন হোসেন (৩০), রকিবুল রহমান (৩৮), মাহাবুবুর রহমান (৪০), তানভির (২৫), আব্দুল আলিম (৩৫), ইউনুস আলী (৫০), রশিদা খাতুন (৪০), আছিয়া খাতুন (৩০), হায়দার আলী (৫০), হাসিবুর রহমান (১৯), শহিদ (১৮), ইনামুল (২২), শরিফুল ইসলাম (৩৫), রফিকুল ইসলাম (৫০), বাবলু (৪০), জুবায়ের হোসেনসহ আরও কয়েকজন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তর চাঁদপুর গ্রামের জোড়াতলা মাঠে ২৪ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের সামসুল হকের ছেলে হায়দার আলী ও মৃত আফসার আলীর ছেলে আব্দুল হালিমের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আজ সকাল ১০টার দিকে হালিম গং ওই জমিতে পাট বুনতে গেলে প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ২০-২২ জন আহত হন।

খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাহামিদা আক্তার রুনা বলেন, “সকাল থেকেই আহত রোগীরা আসছেন। এখন পর্যন্ত ১৫-১৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত কয়েকজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”




সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল জিবলি সৃজনশীলতা না পাইরেসি?

ওপেনএআইয়ের নতুন ইমেজ জেনারেশন টুল বাজারে আসার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জিবলি স্টাইলে তৈরি ছবি ভাইরাল হতে শুরু করেছে। স্টুডিও জিবলি, যা স্পিরিটেড এওয়ে, মাই নেইবর টটোরো, মুভিং ক্যাসেলের মতো কালজয়ী অ্যানিমেশন নির্মাণের জন্য পরিচিত, তাদের স্বতন্ত্র শিল্পশৈলী নিয়েই এখন বিতর্কের কেন্দ্রে।

ব্যবহারকারীরা ইলন মাস্ক, ডোনাল্ড ট্রাম্প, এমনকি ৯/১১-এর সন্ত্রাসী হামলার মতো সংবেদনশীল বিষয়েও এই শৈলীতে ছবি তৈরি করে পোস্ট করেছেন। প্রযুক্তিটি যেমন বিস্ময় তৈরি করেছে, তেমনি এর কপিরাইট ও নৈতিক দিক নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠেছে।

ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগে একাধিক মামলা চলছে। অনুমতি ছাড়াই কপিরাইটেড কাজ ব্যবহার করে এআই প্রশিক্ষণের অভিযোগ উঠেছে, যা শিল্পীদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।

এ প্রসঙ্গেই ২০১৬ সালের একটি পুরোনো ভিডিও নতুন করে আলোচনায় এসেছে, যেখানে স্টুডিও জিবলির কিংবদন্তি পরিচালক হায়াও মিয়াজাকি এআই-জেনারেটেড আর্ট দেখে বিরক্তি প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘এটি জীবনের প্রতি অসম্মান।’

এই ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যান তার এক্স (পূর্বে টুইটার) প্রোফাইল ছবিও জিবলি স্টাইলে পরিবর্তন করেছেন। এমনকি হোয়াইট হাউজও এক্সে একটি বিতর্কিত জিবলি স্টাইলের ছবি পোস্ট করেছে, যেখানে এক বিদেশিকে নির্বাসনের আগে হাতকড়া পরিয়ে দিচ্ছেন মার্কিন ইমিগ্রেশন কর্মী।

প্রথমে এটি ফ্রি থাকলেও জনপ্রিয়তা বাড়ায় ওপেনএআই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এখন থেকে শুধু পেইড ইউজাররাই এই ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন। এদিকে, কপিরাইট ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ও হোয়াইট হাউজের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছে ওপেনএআই। তারা চাইছে, কপিরাইটকৃত কনটেন্ট ব্যবহারে ‘ফেয়ার ইউজ’ নীতিকে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।

অন্যদিকে, ব্যবসায়িক দিক থেকেও ওপেনএআই এক বিশাল লাফ দিতে চলেছে। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের সফটব্যাংক গ্রুপের নেতৃত্বে কোম্পানিটি ৪০ বিলিয়ন ডলারের ফান্ডিং সম্পন্ন করার পথে রয়েছে, যা কোনো স্টার্টআপের জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ফান্ডিং রাউন্ড হতে পারে।

২০২৪ সালে ওপেনএআইয়ের রাজস্ব ৩.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে, আর ২০২৫ সালে তা ২.৭ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এআই-নির্ভর সৃজনশীলতার এই নতুন যুগ কল্পনাশক্তিকে প্রসারিত করলেও, এর নৈতিকতা ও আইনগত দিক নিয়ে বিতর্ক যে শুধু শুরু হয়েছে, তা-ই নয়, বরং আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

সূত্র: যুগান্তর




গাংনী পৌর বিএনপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কমিটি গঠন

সাবেক কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদকে সভাপতি এবং মিঠুন আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে গাংনী পৌর বিএনপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল, সহ-সভাপতি শরিফুদ্দিন, মহিবুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম (বিডিআর), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রতন বাদশা ও শরিফুল ইসলাম; সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আরিফ হোসেন এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল লতিফ।

গতকাল বিকেলে গাংনী উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে এ কমিটির নাম ঘোষণা করেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মদ।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও গাংনী পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ইনসারুল হক ইনসু, সদস্য মকবুল হোসেন মেঘলা এবং গাংনী পৌর বিএনপির পুনর্গঠন কমিটির সদস্য আখেরুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে ফয়েজ মোহাম্মদ বলেন, “বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য প্রত্যেক নেতাকর্মীকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। সকল ভেদাভেদ ভুলে জনগণের কল্যাণে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।”




৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল জুনের মধ্যে

৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আগামী ৩০ জুনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) পিএসসির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পিএসসি চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম এ তথ্য জানান।

মোবাশ্বের মোনেম বলেন, আমরা ৪৪তম বিসিএস দ্রুত শেষ করার জন্য সবচেয়ে গুরত্ব দিয়ে কাজ করছি। ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা ১৭ জুনের মধ্যে শেষ করা হবে। ভাইভা শেষে ৩০ জুনের মধ্যে ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।

৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।

৪৪তম বিসিএসে মোট আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন।

সূত্র: যুগান্তর




গাংনীতে লাভেলো আইসক্রিমের মালিকের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন

গাংনী উপজেলার মানিকদিয়া এগারপাড়া আলিম মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ও লাভেলো আইসক্রিমের মালিক প্রকৌশলী একরামুল হক তাজুর বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় এ সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগপত্র পাঠ করেন স্থানীয় যুবক মো. সোহেল রানা।

তিনি বলেন, “ঐতিহ্যবাহী মানিকদিয়া এগারপাড়া আলিম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই এলাকার মানুষ জমি দানসহ নানা আর্থিক সহযোগিতা করে আসছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রয়াত শওকত আলী মুন্সি, খোদাবক্স মিয়া, মোজাম্মেল হক, মোবারক হোসেন, মাওলানা নজরুল ইসলাম ও আবু বকরসহ অনেকেই।”

তিনি আরও বলেন, “মানিকদিয়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে, লাভেলো গ্রুপের চেয়ারম্যান একরামুল হক তাজু বিগত সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে একটানা ১২ বছর মাদ্রাসার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এই সময় তিনি মাদ্রাসাটিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করেন। ২০০৯ সালে তিনি নিজের ক্ষমতাবলে তাঁর পিতা মোজাম্মেল হককে মাদ্রাসার একক প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে দেখান এবং ম্যানেজিং কমিটিতে আজীবন একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রাখার রেজুলেশন অনুমোদন করেন। তাঁর ভাই মো. জাহিদুল হক সাজুকে দাতা সদস্য হিসেবে ১২ বছর ধরে কমিটিতে রাখেন।”

অভিযোগে আরও বলা হয়, “সভাপতি থাকাকালীন সময়ে তিনি ও তাঁর স্ত্রী নারগিছ আরা মাদ্রাসার উন্নয়নের নামে মাদ্রাসার জমিতে মোজাম্মেল হক ফাউন্ডেশন স্থাপন করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন পদে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে মাদ্রাসার দক্ষিণ পাশে একতলা ভবনের উপর নির্মাণ করেন দোতলা ভবন। উন্নয়নের কথা বলে আত্মরক্ষা করার চেষ্টা করেন তিনি।”

তিনি আরও বলেন, “নৈশ প্রহরী, আয়া ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন একরামুল হক তাজু। একসময় তিনি একজন আদম ব্যবসায়ী ছিলেন, পরে আইসক্রিম ফ্যাক্টরি দিয়ে শিল্পপতি হন। বিগত সরকারের আমলে তিনি ও তাঁর স্ত্রী অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী নারগিছ আরা বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন। গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ সরকার পরিবর্তনের পর কয়েক মাস একরামুল হক তাজু বিদেশে পালিয়ে ছিলেন।”

তিনি বলেন, “মাদ্রাসায় তাঁর সীমাহীন দুর্নীতির কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর নিয়ন্ত্রিত কিছু লোক প্রতিবাদী সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। তাঁর এই অপকর্মগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”

লিখিত বক্তব্যে আরও অভিযোগ করা হয়, “নৈশ প্রহরীর নিয়োগে বয়স জালিয়াতি করে উৎকোচ গ্রহণ করে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।”

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শামীম আহমেদ সাপ্পার, স্কুলশিক্ষক কামরুজ্জামান, যুবদল নেতা তুহিন হোসেন, আব্বাস আলী, সেলিম রেজা, জহিরুল ইসলাম, ও সোহেল রানা প্রমুখ।




৩ দিনে দূর হবে ত্বকের দাগ

ধুলো-ময়লা, প্রখর রোদ আর দূষণের সময় চলছে দেশে। বাইরে বের হলে সবার আগে ধুলো আক্রমণ করবে, রোদ আর দূষণ তো আছেই। এসব কারণে ব্রন, এলার্জিসহ নানা সমস্যা বাড়ে। ত্বকের এসব দাগ সহজে যেতে চায় না। ত্বকের এইসব দাগ দূর করার জন্য একটি জাদুকরী মিশ্রন তৈরি করা যায়।

অধিকাংশ সময় ব্রণ চলে গেলেও তার দাগ থেকে যায়। সঠিক সময় ব্যবস্থা না নিলে দাগ স্থায়ী হয়ে যেতে পরে। এ ধরনের দাগছোপ যতটা না ক্ষতির তারচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তার। তবে ছোট্ট একটি মিশ্রণ নিয়মিত তিন দিন ব্যবহার করলেই দাগ দূর হবে। ত্বকও উজ্জ্বল হবে বলে আশা করা যায়।

মিশ্রন বানাতে যা যা লাগবে—

আলু ১টি

বেদানা ১/২ বাটি

লেবু ১/২ টি

আইস ট্রে

যেভাবে বানাবেন টোটকা

আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে গ্রেটারের সাহায্যে গ্রেট করে নিতে হবে। এরপর গ্রেট করা আলু, বেদানা আর ১ টেবিলচামচ পানি যোগ করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিয়ে তাতে লেবুর রস যোগ করতে হবে।
ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি একটি আইস কিউবের ট্রেতে ঢালতে হবে। পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা বা যতক্ষন না জমে ততক্ষণ ফ্রিজে রাখুন।
জমে বরফ হয়ে যাওয়া মিশ্রণ নিয়ে দাগযুক্ত জায়গায় ঘষতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
সবচেয়ে ভালো ফল পেতে দিনে দুটো করে বরফের টুকরোও ব্যবহার করা যাবে।
আলুতে ক্যাটেকোলেজ নামক একধরনের উপাদান আছে, যা ত্বক উজ্জ্বল করতে এবং রোদে পোড়াভাব দূর করতে সাহায্য করে। কখনো কখনো মেছতার কঠিন দাগও দূর করতে পারে আলু। মিশ্রনটি তাই তিনদিন টানা ব্যবহার করুন। দেখবেন জাদুকরী উপায়ে চলে যাবে সব দাগ।

সূত্র: যুগান্তর