‘এবার আইপিএল নিলামের সব রেকর্ড ভেঙে দেবেন পন্থ’

আগামী ২৪ ও ২৫ নভেম্বর সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হবে আইপিএলের মেগা নিলাম। এবারের নিলামে বড় আকর্ষণ ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার ঋঝভ পন্থ। তিনি আইপিএলের নিলামের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দেবেন বলে মনে করেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পা।

জিও সিনেমাতে উথাপ্পা বলেন, ‘আমার মনে হয় ঋষভ পান্থকে কিনতে প্রায় ২৫-২৮ কোটি রুপি ব্যয় করা হতে পারে। অবশ্যই একটি বিশাল অঙ্কের টাকা পাবেন এবং এই নিলামে সর্বোচ্চ অর্থ প্রদানকারী খেলোয়াড় হয়ে উঠবেন।’

পাঞ্জাব ও ব্যাঙ্গালুরু পন্থকে দলে টানার চেষ্টা করবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘পান্থকে এত দামে কেনা দেখতে আকর্ষণীয় হবে, কারণ আমি মনে করি পাঞ্জাব কিংস তাকে কিনতে চাইবে এবং আরসিবিও তাকে নেতৃত্বের ভূমিকায় এবং একজন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে কিনতে চাইবে।’

শুধু উথাপ্পা নন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক আকাশ চোপড়াও মনে করেন দামের রেকর্ড গড়বেন পন্থ। আকাশ বলেন, ‘আমি মনে করি ঋষভ পান্থ আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হতে চলেছেন। যদি পন্থ এবং পাঞ্জাব কিংসের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকে, তবে তারা তাকে কেনার জন্য কঠোর চেষ্টা করবে, তা না হলে ঋষভ পান্থের জন্য রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু সবচেয়ে সম্ভাব্য গন্তব্য হয়ে উঠবে। তবে আমি বিশ্বাস করি অন্যান্য দলও পান্থের জন্য বিড করবে। এই মেগা নিলামে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হতে চলেছেন ভারতীয় খেলোয়াড়রা।’

সূত্র: ইত্তেফাক




মোহিনীর মোহে সংসার ভাঙলেন এ আর রহমান?

ভারতের অস্কারজয়ী সংগীত শিল্পী-সুরকার এ আর রহমান ও সায়রা তাদের দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্যজীবনের ইতি টেনেছেন গতকাল। মানসিক দূরত্ব যে কত কীই ঘটাতে পারে সেকথাই আরও একবার প্রমাণ করে এ জুটির বিয়ে ভাঙার খবরে।

এখবরের রেশ কাটতে না কাটতেই রহমানের ব্যান্ডের বিখ্যাত বেজিস্ট ও সহকর্মী মোহিনী দে তার স্বামী মার্ক এর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন।

এনিডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিচ্ছেদের কথা জানিয়ে মোহিনী ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লেখেন, ‘আমার প্রিয় বন্ধু,পরিবার এবং অনুরাগীরা, দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে মার্ক এবং আমি পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আমরা এখনো ভালো বন্ধু, কিন্তু আমাদের জীবনের চাহিদাগুলো ভিন্ন হয়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল।” আমরা একসঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ চালিয়ে যাব, যেমন ‘মামোগি’ এবং ‘মোহিনী দে গ্রুপ’। আমাদের কাজের সম্পর্ক আগের মতোই থাকবে।’

মোহিনী ভক্তদের কাছে অনুরোধ করে বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে আমাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করুন এবং নেতিবাচক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।’

এদিকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এ আর রহমান ও মোহিনীর বিচ্ছেদের খবরে নেটিজেনরা দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাচ্ছেন। এই খবর জানার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

একজন রেডিট ব্যবহারকারী রসিকতা করে লিখেছেন, “রহমান এবং তার টিম হয়তো ডিভোর্স ল’ইয়ারের সাথে পুরো রাত কাটিয়েছেন।” মোহিনী পোস্টের কমেন্ট সেকশন বন্ধ রাখলেও, কটাক্ষ করেছেন নেটিজেনরা।

একজন লেখেন, এবার রহমান আর মোহিনী একসঙ্গে নতুন বিয়ের ঘোষণা করলেও আমি অবাক হবোনা।

বলা হচ্ছে মোহিনী ও এ আর রহমান পরকীয়ায় সম্পৃক্ত ছিলেন। সেই সম্পর্ককে বৈধতা দিতেই তারা নিজেদের চলমান সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছেন।

২৯ বছরের মোহিনী দে, ভারতের একজন প্রতিভাবান বেজিস্ট এছাড়াও তিনি জেসন রিচার্ডসন, জাকির হুসেন, উইলো স্মিথ, শিবামনি, জর্ডান রুডেস, এবং স্টিভ ভাই-এর মতো বিখ্যাত শিল্পীদের সঙ্গেও কাজ করেছেন।

রহমানের সঙ্গে ‘গানবাংলা উইন্ড অব চেঞ্জ এবং ‘কোক স্টুডিও’ ছাড়াও দেশে-বিদেশে প্রায় ৪০ টি শো-তে পারফর্ম করেছেন তিনি। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে নিজের এ্যালবাম প্রকাশ করেছেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে পিপির নিয়োগ প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন

হোটেল আটলান্টিকার নারী কেলেঙ্কারির অভিযুক্ত আসামীকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর ও মেহেরপুর ছহিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদ থেকে মোস্তাফিজুর রহমান তুহিনকে অপসারণের দাবীতে মেহেরপুরে মানবন্ধন করেছে বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশন মেহেরপুর জেলা শাখা।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসকের কাযার্লয় চত্তরে এ কর্মসূচী পালন করে তারা। তাকে প্রত্যাহার না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষনা দেন তারা।

মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশন মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক রফিক উল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মোছাঃ দিলারা পারভীন।

এ সময় তারা বলেন, সামাজিক অবক্ষয় দিন দিন বেড়ে চলেছে। এমন এক ব্যক্তি, যিনি সামাজিক অবক্ষয় ও নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে সরাসরি জড়িত এবং সেই মামলার এক নম্বর আসামি, তাকে কীভাবে একই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো? এটি সত্যিই বিস্ময়কর ও প্রশ্নবিদ্ধ। একজন ব্যক্তি, যিনি নারী কেলেঙ্কারির মামলায় অভিযুক্ত এবং বিচারাধীন, তাকে এমন দায়িত্ব দেওয়া কীভাবে সম্ভব? সাধারণ জনগণ এ ধরনের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছে না এবং এতে ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থা আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে।

উল্লেখ্য, মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন ওরফে তুহিন আরন্য একটি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে পর্নগ্রাফি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দুটি মামলা চলমান। এ মামলায় তিনি এক সপ্তাহ হাজত বাসও করেছেন। এনিয়ে বিভিণ্ণ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় ওই সময়ে।




মুজিবনগর উপজেলা কৃষক দলের প্রস্তুতি সভা

আগামী ২২ শে নভেম্বর জেলা কৃষকদলের বর্ধিত সভা উপলক্ষে মুজিবনগর উপজেলা কৃষকদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকালে মুজিবনগর কমপ্লেক্স পর্যটন মোটেলে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় মেহেরপুর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, গাংনী উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মোতালেব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোখলেচুর রহমান মুকুল।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আরমান আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি রমজান আলী মেম্বার, সহ-সভাপতি সাব্দার আলী, সাধারন সম্পাদক কুন্নুত আলী, মোনাখালী ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি আশা, দারিয়াপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি রিপন আলী, সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

এ সময় মুজিবনগর উপজেলা ও ইউনিয়ন কৃষকদলের সকল নেতাকর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদা সাংবাদিক সমিতির কমিটি গঠন: সভাপতি কাজল, সম্পাদক বাবু

দামুড়হুদা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক সমিতির দ্বিবার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে দামুড়হুদা সাংবাদিক সমিতির ৯সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।

এতে সভাপতি মনোনীত হয়েছে হাফিজুর রহমান কাজল, সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল বাবু।

দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশের সভাপতিত্বে দামুড়হুদা সাংবাদিক সমিতির কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে সর্বসম্মতিক্রমে অন্যান্য পদে মনোনীত হয়েছেন সহ-সভাপতি মোজাম্মেল শিশির , সহ-সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিলন, অর্থ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, কার্যকরী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান মনি , শামসুজ্জোহা পলাশ ও তানজির ফয়সাল ।




পুলিশের নতুন আইজিপি বাহারুল আলম

পুলিশের ৩৩তম মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হয়েছেন বাহারুল আলম। তিনি একসময় পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান ছিলেন।

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নতুন কমিশনার হয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরি হারানো অতিরিক্ত আইজিপি শেখ মো. সাজ্জাদ আলী।

আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশে বড় রদবদল হয়। তখন পুলিশের ৩২তম মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে নিয়োগ পান ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুলের কমান্ড্যান্ট মো. ময়নুল ইসলাম। আর ৩৭তম ডিএমপি কমিশনার হন মো. মাইনুল হাসান।

জানা গেছে, পুলিশপ্রধান হিসেবে নতুন দায়িত্ব পাওয়া বাহারুল আলম একসময় এসবির প্রধান ছিলেন। দুই দফা পদোন্নতিবঞ্চিত এই কর্মকর্তা ২০২০ সালে অবসরে যান। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ সদরদপ্তরের শান্তিরক্ষা বিভাগে পুলিশ লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সিনিয়র পুলিশ অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করেন। এর আগে ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া, কসোভো ও সিয়েরা লিওনে দায়িত্ব পালন করেন।

অন্যদিকে সাজ্জাদ আলী বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে ১৯৮৪ সালে পুলিশে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি একসময় ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ছিলেন। তা ছাড়া সাজ্জাত আলী লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ছিলেন। চাকরি জীবনে তিনি চট্টগ্রাম ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন। এ ছাড়া হাইওয়ে পুলিশ গঠন হলে সেখানেও ডিআইজির দায়িত্ব পান। পরবর্তীতে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পুলিশ সদরদপ্তরে কর্মরত ছিলেন। মেধাবী, কর্মঠ ও সৎ পুলিশ অফিসার হিসেবে বাহিনীতে সুনাম আছে সাজ্জাত আলীর। পুলিশের এই কর্মকর্তার বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকূপায়।

গত সোমবার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর চাকরি পুনর্বহাল করে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল-১-এর মামলা নম্বর ৩৩/২০১৭-এর ৩ সেপ্টেম্বরের রায় অনুযায়ী পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্ব) শেখ মো. সাজ্জাত আলীকে ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ভূতাপেক্ষভাবে চাকরিতে পুনর্বহাল হিসেবে গণ্য করা হলো। তিনি আদালতের আদেশানুযায়ী সব প্রাপ্য বেতন-ভাতাদি এবং অবসরজনিত আর্থিক সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।

সূত্র: কালবেলা




কুষ্টিয়ায় মা-শিশু হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মা ও শিশু হত্যা মামলায় তিন জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামীদের প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থ দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক সোহানী পূষণ আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

সাজার আদেশ প্রাপ্তরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার জোয়াদ্দার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সেকেন্দার মোল্লার ছেলে মো. হানিফ মোল্লা (৩২) সোনাইকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন মন্ডলের ছেলে আলী আকবর (৩২) একই গ্রামের মৃত শহিদুল মন্ডলের ছেলে লালচাঁদ মন্ডল (৩২)। এরা সবাই পেশাদার চোর চক্রের সদস্য বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর রাতে বাড়িতে চুরি হওয়ার সময় গৃহবধূ ছানোয়ারা বেগমের ঘুম ভেঙ্গে যায়। এসময় চোররা গলায় মাফলার পেচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে গৃহবধূকে হত্যা করে। মায়ের হত্যার দৃশ্য দেখে ফেলায় শিশু রাজকে (৮) গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

নিহত ছানোয়ারা বেগম দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামের মানিক মিয়ার স্ত্রী। নিহত শিশু রাজ (৮) মানিক মিয়ার ছেলে।

হত্যার ঘটনায় নিহতের মেয়ে উপজেলার শীতলাইপাড়া গ্রামের তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. পারভীনা খাতুন বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত করে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক নিশিকান্ত সরকার ৩ জনের বিরুদ্ধে চুরি সংগঠন ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

কুষ্টিয়া জজ কোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট আবু সাইদ মোহাম্মদ ইলিয়াস রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামীরা আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে ভিকটিমের বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে দেখে ফেলায় মা ও ছেলেকে হত্যা করেছে বলে জবানবন্দি দেয়। রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের উপস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়।




ঝিনাইদহে পেঁয়াজ চাষ ও সংরক্ষণে কৃষক প্রশিক্ষণ

আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ চাষ ও তা সংরক্ষণ করতে ঝিনাইদহে কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদাণ করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে শহরের এইড কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে আশা’র এসএমএপি প্রকল্প। আশার জেলা ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আশার কুষ্টিয়া সি-এডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আনিচুজ্জামান।

প্রশিক্ষক ছিলেন শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান, আশা’র সিআরএম গোলজার হোসেন, সদর বিএম আবু সামা, টেকনিক্যাল অফিসার শাহিন শেখ, কিলোন চন্দ্র রায়।

দিনভর জেলার বিভিন্ন এলাকার ৩০ জন কৃষককে পেঁয়াজ চাষ ও তা সংরক্ষণের উপর প্রশিক্ষণ প্রদাণ করা হয়।




দামুড়হুদায় শিশু সুরক্ষা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদায় সমাজ সেবা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত শিশু সুরক্ষা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১০ টার সময় উপজেলা সমাজসেবা অফিসের আয়োজনে পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তোফাজ্জল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মমতাজ মহল।

বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু হাসান, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দরা।




দামুড়হুদা উপজেলা শুমারি স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

অর্থনৈতিক শুমারি বাস্তবায়ন উপলক্ষে দামুড়হুদা উপজেলা শুমারি স্থায়ী কমিটির অবহিতকরণ সভা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ মহলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক বাস্তবায়িত অর্থনৈতিক শুমারি-২০২৪ উপলক্ষে মাঠ পর্যায়ে মূল তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম সম্পর্কে উপজেলা শুমারি সংক্রান্ত বিষয়ক সার্বিক দিক নিয়ে সভায় অবহিত করেন উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয় অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো:শরিফুল ইসলাম।

আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে উল্লেখ করে তিনি বলেন,সারাদেশের ন্যায় আমাদের দামুড়হুদা উপজেলাতেও অর্থনৈতিক শুমারি সম্পূর্ণ ডিজিটাল পরিচালিত করা হবে।এতে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান সহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও খানা(পরিবার) এর তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এবারে আমাদের উপজেলাতে জন তথ্য সংগ্রহকারী, সুপারভাইজার, জোনাল অফিসার সহ একজন উপজেলা শুমারি সমন্বয় দায়িত্ব পালন করবেন। এজন্য উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কে এইচ তাসফিকুর রহমান, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ূন কবির, দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রকিবুল হাসান তোতা, সমাজসেবা অফিসার তোফাজ্জল হক, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছাঃ হুসনে জাহান, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোছাঃ লিলিমা আক্তার হ্যাপি, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন,কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস,নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী,নাটুদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভারপ্রাপ্ত নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।