বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলা শাখার কাউন্সিল অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলার আয়োজনে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী।

প্রধান আলোচক বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল লতিফ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফেজ আরিফুজ্জামানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা কামাল উদ্দিন, সাবেক সভাপতি মোল্লা খালিদ সাইফুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মুফতী রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল হাকিম, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল খালেক।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা ও শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টি করতে খেলাফত প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই।




শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম এ বিষয়ে দুটি আবেদন করেন। একটি আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এ ছাড়া অপর আবেদনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়।

এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন আমলের সব হত্যা, গণহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যা, পিলখানা হত্যার বর্ণনা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর।

গত ১৫ অক্টোবর নিয়োগের পর প্রথম কর্মদিবসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী এদিন ট্রাইব্যুনালে আসেন।

এ সময় ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার ও অন্য কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনা জানান।

গত ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনাসহ পলাতক অন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। সেই ট্রাইব্যুনাল জামায়াত-বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করা হয় এবং তা কার্যকরও হয়।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার এই আন্দোলন ঠেকাতে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায় শেখ হাসিনা সরকার। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে। শেখ হাসিনার পতনের পর সরকারের দায়িত্বে আসে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দায়িত্ব গ্রহণের পরই জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত হয়।

ছাত্র আন্দোলনের সময় কয়েক শ মৃত্যুর ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের কয়েক ডজন মানুষের বিরুদ্ধে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে এরই মধ্যে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ




এখন হয়তো দেশে ফিরতে পারব না: সাকিব

খুব নাটকীয় কিছু না ঘটলে দেশের মাটিতে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলা হচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। নিরাপত্তা ইস্যু থাকায় তার ইচ্ছাটা আর পূরণ হচ্ছে না। দুবাই থেকেই তিনি হয়তো যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত যাবেন।

দেশের অনলাইন গণমাধ্যম ‘বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকম’কে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সাকিব নিজেই এই কথা জানিয়েছেন।

সাকিব আল হাসান বলেছেন, ‘দেশে ফেরার কথা ছিল… কিন্তু এখন হয়তো ফিরতে পারব না সিকিউরিটি ইস্যুর জন্য, আমার নিজের নিরাপত্তার জন্যই…।’ সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কখন আসতে পারে? জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন সিদ্ধান্ত চূড়ান্তই বলতে পারেন।’

সাকিবের ইচ্ছাপূরণে বেশ আন্তরিকতা দেখিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু গত কয়েক দিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাকিবের বিরুদ্ধে কিছু মানুষ মানববন্ধন, মিছিলসহ নানা কর্মসূচি করেছে। পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি পক্ষের আজ বিসিবিতে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা। এসব ঘটনাপ্রবাহের মাঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানোর আগপর্যন্ত সাকিবকে দুবাইয়ে অবস্থান করতে বলা হয়।

সাকিব গতকালই দুবাই পৌঁছেছেন। দুবাইয়ে তার ট্রানজিট এবার একটু লম্বা। সেখান থেকে তার ঢাকায় আসার ফ্লাইট আজ স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটায়। রাত ১১টার পর তার ঢাকায় পৌঁছার কথা ছিল। এই মুহূর্তে সাকিবের বিষয়ে বিসিবিতে একটা সভার কথাও শোনা গেছে।

তবে সাকিব নিজেই যা বলেছেন, তাতে তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আগামী ২১ অক্টোবর মিরপুরে শুরু হতে যাচ্ছে প্রথম টেস্ট। দেশে ফিরে শুক্রবার অনুশীলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল সাকিবের।
সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ২৮৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার

মেহেরপুরের মুজিবনগরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ২৮৩ বোতল নিষিদ্ধ মাদক ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে বিজিবি।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ দিকে মুজিবনগর বিজিবি ক্যাম্পের একটি টহল টিম উপজেলা সোনাপুর গ্রামের মাঝপাড়া সীমান্তের ১০৫/৩ এস পিলার থেকে ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মাঝপাড়া কবরস্থানের পাশে লিচু বাগান থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ফেনসিডিল গুলো উদ্ধার করে।

মুজিবনগর বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবুল বাশার জানান, ভারত থেকে সোনাপুর মাঝপাড়া সীমান্ত দিয়ে একটি ফেনসিডিলের চালান আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির টহল টিম অভিযান পরিচালনা করে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা কবরস্থানে পাশে লিচু বাগানের মধ্যে ফেনসিডিল গুলো ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি সেখানে গিয়ে ২৮৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।

তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত ফেনসিডিলের উদ্ধারের বিষয়ে মুজিবনগর থানায় একটি জিডি করা হবে এবং ফেনসিডিল গুলো বিজিবি সেক্টরে জমা দেওয়া হবে।




“তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বিচারপতি মোতাহার হোসেনকে ফিরিয়ে আানার দাবি”

তারেক রহমানের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, বিচারপতি মোতাহার হোসেনকে যথাযোগ্য সম্মান দিয়ে বিচারপতির আসনে বসানো, খুনি হাসিনার বিচার দাবি ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গাংনীতে বিরাট গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কাজিপুর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের পিরতলা সরকারি বিদ্যালয় মাঠে এই গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

কাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান মোল্লার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু।

গণ সমাবেশের প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা কৃষকদলের আহবায়ক মাহাবুবুর রহমান মাহবুব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক নুরুজ্জামান হকা, প্রধান অতিথির সহধর্মিনী তাজমিরা খাতুন, গাংনী উপজেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী পৌর বিএনপির ২ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সুলেরী আলভী, গাংনী উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আমিরুল বারী মোতালেব।

এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হুসাইন, কাজীপুর মাথাভাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় বিএনপি নেতা কামাল হোসেন (বিএসসি), যুবদলের সাবেক সেক্রেটারী হাবিবুর রহমান, সাহেবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশীদ, যুবদল নেতা শাহিবুল ইসলাম, ঢাকা বাংলা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশেদ, মহিলা দল নেত্রী ও সাবেক মেম্বর সাবিনা ইয়াসমিন, ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম, রেজানুল হক ইমন, রিমন হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ওয়াসিম আকরাম, বিএনপি নেতা জামশেদ আলী, জহুরুল ইসলাম, মজনুর রহমান, আক্তারুজ্জামান মাস্টার, ইলিয়াস হোসেন মাস্টার, বকুল হোসেন, কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর শাহিন আলী, বিএনপি নেত্রী শুকিলা খাতুন, বকুল আহমেদ, ছাত্রনেতা রেজানুল হক রিমন, শামীম আহমেদ, অ্যাডভােকেট পাভেল, আনারুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, এদেশ থেকে স্বৈরাচার হাসিনা ও আওয়ামীলীগের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। অন্তবর্তিকালীন সরকারের কাছে এই আহবান জানান তিনি। স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার বিএনপির হাজার হাজার নেতাকমীর্র নামে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপর জুলুম, অন্যায় অত্যাচার করেছে। অন্তবতীর্কালীন সরকারের প্রতি অনুরোধ তাদের কমপক্ষে ১০ বছর যাবত এদেশে রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, ভারত খুনি হাসিনাকে নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এদেশের মানুষ খুনি হাসিনার সেই ষড়যন্ত্র নস্যাত করবে।

তিনি বলেন, ডক্টর ইউনুসের নামে ষড়যন্ত্রমুলক সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার হয়ে গেছে। অথচ, এখনো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দায়ের করা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক সব মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি। আমরা দাবি জানাচ্ছি অতিবিলম্বে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দেশে ফিরে আসার সুযোগ করে দেওয়া হোক। এছাড়া তারেক রহমানের নামের মিথ্যা মামলার রায়ে সাজা দিতে না চাওয়া সেই সৎ ও যোগ্য বিচারপতি মোতাহার হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে এনে তাকে যথাযথ সম্মান দিয়ে তার পদ ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

তিনি বলেন, বিএনপি একটি সুশৃঙ্খল। গাংনীর কোথাও কোন চাঁদাবাজি ও নাশকতা হবে না। গণ-সমাবেশের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে সমবেত কন্ঠে গণসঙ্গীত পরিবেশিত হয়।

স্বৈরাচারী সরকারের হাতে নিহত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদদের বিদেহী আত্মার ও কাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রয়াত নেতৃবৃন্দের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। গণ-সমাবেশে এলাকার হাজার হাজার নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনায় শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শ্রমিক সমাবেশে জেলা আমীর রুহুল আমিন

দর্শনায় শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের দর্শনা শাখার উদ্যোগে শ্রমিক অধিকার ও কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার বিকাল ৩ টায় দর্শনা রেল বাজার মুক্তমঞ্চে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।

এ শ্রমনীতি সমাবেশে বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের দর্শনা থানা শাখার সভাপতি বিল্লাল হুসাইনের সভাপতিত্বে এ শ্রমিকনীতি সভা অনুষ্টিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মজলিসের সুরা সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আমীর মোঃ রুহুল আমীন।

এ সময় তিনি বলেন,ইসলামী আইনে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনবো। যারা দিনরাত পরিশ্রম করে ন্যায্য মূল্য পায়না তাদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।আমাদের বাংলাদেশ কৃষি দেশ আমাদের পা ফটা মানুষের কথা চিন্তা করে শ্রমিকদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই। বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী পা ফাটা শ্রমিকদের নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা ১৭ বছর কথা বলতে পারেনী জেল জুলুম খেটেই আমাদের দিন গিয়েছে।তাই সারাবাংলাদেশে জামাত ইসলামী শ্রমজীবী ফেডারেশন তৈরি করে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই।

এ সময় বিশেষ অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল কাদের, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার জেলা সভাপতি ইসরাইল হোসাইন, জেলা শাখার সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার নায়েবী আমির ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজুর রহমান , দর্শনা থানা আমির রেজাউল করিম, জেলা অর্থ সেক্রেটারি আব্দুস সালাম,মাওলানা আবু জার গিফারী প্রমুখ।

এ সমাবেশে প্রায় দুই হাজার কর্মী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন,সাবেক শিবির নেতা তানজিল হােসেন।




কুষ্টিয়ায় সার ও ডিম ব্যবসায়ীকে ভোক্তা অধিকারের জরিমানা

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পাটিকাবাড়ি বাজারে ডিমের আড়তে নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে ডিম বিক্রি ও বিক্রয় ভাউচার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার দায়ে একটি প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া সরকার নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে সার বিক্রয়ের অপরাধে হালসা বাজারে মেসার্স সুমন ট্রেডার্স কে ১০ হাজার টাকা এবং মেসার্স সামাদ এন্ড ব্রাদার্স কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

গতকাল বুধবার দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল এ অভিযান পরিচালনা করে।

তিনি জানান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নিয়মিত বাজার তদারকির অংশ হিসেবে আজ সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি বাজার এবং হালসা বাজারে অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানকালে দেড় টাকা বেশি দামে ডিম বিক্রির অপরাধে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি বাজারে লিটন ডিমের আড়ত কে ১০ হাজার টাকা, সরকার নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে সার বিক্রয়ের অপরাধে হালসা বাজারে মেসার্স সুমন ট্রেডার্স কে ১০ হাজার টাকা এবং মেসার্স সামাদ এন্ড ব্রাদার্স কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। পাশাপাশি পাইকারি ব্যবসায়ীদের ক্রয় ও বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে এবং যৌক্তিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

অভিযানে উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো: আব্দুর রশিদ, জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো: আরাফাত আলী এবং ছাত্র প্রতিনিধি জনাব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।




সাংবাদিক মনির হায়দারের মাতার ইন্তিকাল

দেশের অন্যতম টক শো উপস্থাপক ও আলোচক, বাংলাভিশনের নিউইয়র্ক প্রতিনিধি মনির হায়দারের মাতা সামছুন নাহার বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহী ওয়া ইন্না এলাহী রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি ৬ পুত্র ও ৩ কন্যা সন্তানের জননী।

আজ বুধকার (১৬ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে চার টার সময় মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মরহুমার ছেলে গাংনী আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা সাইফুল ইসলাম জানান, আগামিকাল বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯ টার সময় ইসলামনগর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে জানাযা নামাজ শেষে স্থানীয় করবস্থানে দাফন করা হবে।

তিনি জানান, ভাই সাংবাদিক মনির হায়দার মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে নিউইয়র্ক থেকে আজকেই রওনা দিয়েছেন।

এদিকে সাংবাদিক মনির হায়দারের মাতার মৃত্যুতে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মেহেরপুরের সকল সাংবাদিকবৃন্দ।

মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, বার্তা সম্পাদক জুলফিকার আলী কাননসহ মেহেরপুর প্রতিদিন পরিবার শোক জানিয়েছেন।




গাংনীতে “শহীদ আবু সাঈদ স্টেডিয়াম” স্থাপন

এবার আড়ম্বর পরিবেশে গাংনী উপজেলার খড়মপুর গ্রামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ আবু সাঈদের নামে প্রতিষ্ঠিত হলো “শহীদ আবু সাঈদ স্টেডিয়াম”।

আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে শহীদ আবু সাঈদ স্টেডিয়াম উদ্বোধন উপলক্ষে গ্রামবাসি আয়োজন করে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল শেষে দুপুরের ভোজ।

ধানখালো ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামানের সভাপতিত্ব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি স্টেডিয়ামেরও স্টেডিয়ামের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান কাজলের সঞ্চালনায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধানখালো ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফিরোজ আলী, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী, স্থানীয় বিএনপি নেতা ও সমাজসেবক নুরুল ইসলাম মিয়া, খড়মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুল ইসলাম, ভাটপাড়া (কসবা) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামান লুডু, গাংনী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আব্দুল মালেক চপল বিশ্বাস, ধানখোলা ইউনিয়ন বিএনপির (ক ইউনিট) এর সভাপতি মোস্তাক হোসেন, বিএনপি নেতা বুলবুল আহমেদ, লুৎফুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক লাল্টু মিয়া, যুবদল নেতা এনামুল হক, টোকন আলী প্রমুখ। আলোচনার আগে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্থানীয় দুটি টিমের মধ্যে ফুটবল, জার্সি বিতরণ ও প্রিতী ম্যাচের আয়োজন করা হয়।

প্রিতী ম্যাচের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী, গাংনী উপজেলা যুবদলের সভাপতি চপল হোসেন, স্থানীয় সমাজ সেবক ও বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম।

এসময় বিএনপি নেতা সমাজসেবক নুরুল ইসলাম শহীদ আবু সাঈদ স্টেডিয়ামের প্রাথমিক কার্যক্রমের জন্য নগদ ৫ হাজার টাকা অনুদান দেন ও পরে আরও ১০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন।

উল্লেখ্য, খড়মপুর মাঠের মধ্যে প্রায় দুই একর সরকারি খাঁস জমি স্থানীয় কিছু ব্যক্তি সরকারের কাছ থেকে নামমাত্র লিজ নিয়ে এতদিন দখলে রেখেছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে এলাকার লোকজন জমিটি উদ্ধার করে খেলার মাঠ তৈরীর ঘোষণা দেন। মাঠটিকে সকলের মতামত নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ আবু সাঈদের নামে এই মাঠটির নামকরন করা হয়।




আগামীকাল শুরু হচ্ছে ছেউড়িয়ায় লালন স্মরণোৎসব

আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ৩ দিন ব্যাপী শুরু হচ্ছে বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ-এর ১৩৪তম তিরোধান স্মরণে তিন দিনের স্মরণোৎসব।

কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার ছেঁউড়িয়ায় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ এর তিরোধান দিবস উপলক্ষে ইতোমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লালন একাডেমির আয়োজনে এই আয়োজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।

তিন দিনের এই স্মরণোৎসবকে ঘিরে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে মাজার প্রাঙ্গণ। কালী নদীর পাড়ের বিশাল মাঠ জুড়ে চলছে মূল মঞ্চসহ গ্রামীণ মেলার স্টল তৈরির কাজও শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে থেকেই হাজারো ভক্ত-অনুসারীরা দূর দূরান্ত থেকে আসতে শুরু করেছেন। লালন মেলা উপলক্ষ্যে আখড়াবাড়িতে হাজারো ভক্ত-অনুসারীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। একাডেমির নিচে এবং আশেপাশের এলাকাসহ লালন আঁখড়াবাড়িতে সমবেত হচ্ছেন সাধু ভক্ত-অনুসারীরা।

একদিকে, বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সাধু-গুরুরা তাদের শিষ্যের সঙ্গে ভাব বিনিময়ে মত্ত থাকছেন। অন্যদিকে, ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে একতারা আর ঢোল বাজিয়ে সাঁইজীর মরমী সংগিত পরিবেশন করছেন। দিনরাত গান ছাড়াও তারা লালন ফকিরের বাণী নিয়ে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করছেন। অনেকে আবার লালনের মত ও পথের দীক্ষা নিচ্ছেন। আর এ মেলা দেখতে আসছেন হাজারো মানুষ।

এক কথায় উৎসব শুরুর আগেই নদীর পাড়ঘেঁষে গুরুশিষ্য, ভক্ত-অনুসারী আর দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে প্রাঙ্গণ।

লালন ভক্ত ও অনুসারীরা জানান, প্রতিবারই লালন মেলায় লাখ লাখ মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়। এবার মেলা শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই দূরদূরান্ত থেকে হাজারো ভক্তরা এসেছেন। যতই সময় পার হচ্ছে ততই ভিড় বাড়ছে।

লালন মেলায় আসা আসিফ ইকবাল নামের এক দর্শনার্থী বলেন, লালন মেলা উপলক্ষে আখড়াবাড়িতে দূর দূরান্ত থেকে ভক্ত অনুসারীরা এসেছেন। এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে। লালন ভক্ত ও অনুসারীদের আস্তানাগুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। তাদের গাওয়া গান শুনতে ভালো লাগে। জায়গায় জায়গায় তারা গান গাচ্ছেন। লালন সাঁইজির গানে ও বাণীতে এই এলাকা মুখরিত হয়ে উঠেছে।

চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা লালন ভক্ত শান্ত ফকির বলেন, লালন স্মরণ উৎসব হল দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাজারো ভক্ত অনুসারীদের মিলন মেলা। বছরের দুটো অনুষ্ঠানের জন্য আমরা অপেক্ষায় থাকি। এখানে আমরা ছুটে আসি আবার আত্মশুদ্ধির মধ্য দিয়ে তৃপ্তি নিয়ে যে যার গন্তব্যে ফিরে যায়।

লালন একাডেমির কয়েকজন সদস্য ও স্থানীয়রা বলেন, লালন ফকির দীর্ঘ সময় ধরে তার নিজস্ব আত্মদর্শনের আলোকে ভক্ত আশেকান ও শিষ্যদের নিয়ে যেসব উৎসবমুখর কর্মকাণ্ড করতেন, তারই ধারাবাহিকতায় পহেলা কার্তিক সাঁইজির তিরোধান দিবস পালন করতে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভক্তশিষ্য-অনুসারীরা ছেঁউড়িয়ার আঁখড়াবাড়িতে মিলিত হন।

শিল্পী সাব্বির কোরাইশি বলেন, ফকির লালনের অজানা কথা ও তথ্য জানার পাশাপাশি মানুষের মিলন-মেলায় মুখর হয়ে উঠবে। লালনের বাণীর মর্ম দেশ-দেশান্তরে পৌঁছে দিতেই তাঁরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

এবারের লালন স্মরণোৎসবকে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। এর পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। তিনদিনের এই আয়োজন নির্বিঘ্নে শেষ করতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির এডহক কমিটির সভাপতি শারমিন আখতার বলেন, বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১৩৪তম তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে তিনদিন ব্যাপী লালন মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিদিনই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে আলোচনা সভা শুরু হবে, আলোচনা শেষে শুরু হবে লালন সঙ্গীত। মেলার সার্বিক প্রস্তুতি চলছে। মাজার প্রাঙ্গণ ও তার আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করবে।

উল্লেখ্য, মরমী সাধক ফকির লালন শাহ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া গ্রামে ১৮৯০ সালের ১ কার্তিক মারা যান। পরবর্তী সময়ে লালন স্মরণোৎসবের আয়োজন করা হয়। সেই থেকে প্রতি বছরই নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাদের কাঙ্খিত এ উৎসব পালন করা হয়। সাঁইজির স্মরণে দিবসটি ঘিরে তিন দিনের অনুষ্ঠান হয় আখড়াবাড়িতে।