ঝিনাইদহে নারায়ণগঞ্জ কারগারের জেলার মামুনুর রশিদের কোটি কোটি টাকার সম্পদ!

নারায়ণগঞ্জের জেলা কারাগারের জেলার মামুনুর রশিদ ঝিনাইদহ শহরের বাইপাস, ভুটিয়ারগাতি, হাটগোপালপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ ক্রয় করেছেন। কোথাও নিজ নামে আবার কোথায় স্বজনদের নামে এই জমি কিনেছেন। এছাড়াও সদর উপজেলার হাটগোপালপুর বাজারে দুই তলা বাড়ীসহ প্রায় আড়াই কোটি টাকার জমি কিনতে বায়নাও করেছেন তিনি।

আরও অভিযোগ রয়েছে শুধু ঝিনাইদহে না, যশোর ও ফরিদপুরেও তার নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। জেলার হয়ে কিভাবে এত সম্পত্তির মালিক হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে মানুষের মাঝে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফরিদপুর জেলায় বাড়ি মামুনুর রশিদের। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের জেলা কারাগারের জেলার হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে ঝিনাইদহ, যশোর, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, জেলার মামুনুর রশিদ যে জেলায় কর্মরত ছিলেন সেখানেই দুর্নীতি করে লাখ লাখ টাকা কামিয়েছেন। আর সেই জেলাতেই কিনেছেন নামে বেনামে সম্পত্তি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার এক স্বজন জানান, ঝিনাইদহ ২০১২ সালে ডেপুটি জেলার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই সময় সদর উপজেলার বাকড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দুর্লভ নামের এক দালালের সাথে পরিচয় হয় তার। সেই দুর্লভের মাধ্যমে ঝিনাইদহ শহরের বাইপাস, ভুটিয়ারগাতি, হাটগোপালপুরে কয়েক কোটি টাকার জমি ক্রয় করেছেন। সম্প্রতি সদর উপজেলার হাটগোপালপুর বাজারের ব্যবসায়ী মোয়াজ্জেম হোসেনের ১২ শতক জমি, মার্কেটসহ ২ তলা বাড়ী ক্রয় করার জন্য বায়না দিয়েছেন। যার আনুমানিক মূল্যে আড়াই কোটি টাকা। এছাড়াও যশোর, ফরিদপুর, কুমিল্লায় ও তার নামে বেনামে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে।

তিনি আরও জানান, জেলার মামুনুর রশিদ তার অবৈধ সম্পত্তি জমা রেখেছেন ঝিনাইদহের দেলোয়ার হোসেন দুর্লভের কাছে। কোটি কোটি টাকা রেখে সেই টাকা দিয়ে বেনামে সম্পদ কিনছেন মামুনুর রশিদ। তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রভাব খাটিয়ে নানা অপকর্মও করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সচেতন মহল বলছেন, একজন জেলারের এত টাকার সম্পদ কিভাবে হলো। তার আয়ের উৎস কী তা খুজে বের করতে হবে।

এ ব্যাপারে জেলার মামুনুর রশিদকে একাধিক বার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

তবে তার সহযোগী দেলোয়ার হোসেন দুর্লভ বলেন, ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে থাকাকালীন সময়ে আসামী দেখতে গিয়ে উনার সাথে আমার পরিচয় হয়। সেই থেকে ভালো সম্পর্ক। তার ঝিনাইদহ শহরের হামদহ বাইপাসে একটি জমি কেনা আছে। আরও কয়েকটি জমি কিনবেন বলে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অন্য কোথাও আছে কি না তা আমি জানি না।




চাকরি দিবে ওয়ার্ল্ড ভিশন

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স। প্রতিষ্ঠানটির কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগ স্টোর সহকারী পদে জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ২১ অক্টোবর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম : ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স পদের নাম : স্টোর সহকারী বিভাগ : কোয়ালিটি কন্ট্রোল পদসংখ্যা : ০১টি

শিক্ষাগত যোগ্যতা : সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা অন্যান্য যোগ্যতা : এনজিও, উন্নয়ন সংস্থায় কাজের দক্ষতা অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ২ বছর

চাকরির ধরন : ফুলটাইম কর্মক্ষেত্র : অফিসে প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) বয়সসীমা : ২৫ থেকে ৩৫ বছর

কর্মস্থল : কক্সবাজার (উখিয়া) বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে অন্যান্য সুবিধা : মোবাইল বিল, চিকিৎসা ভাতা, সাপ্তাহিক ২ দিন ছুটি, বিমা, বছরে ১টি উৎসব বোনাস।

আবেদন করবেন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে  ক্লিক করুন

সূত্র: কালবেলা




ঝিনাইদহে মামলায় হেরে অন্যের জমি জোরপূর্বক দখল করলেন বিএনপি নেত্রী আঞ্জু

বিক্রি করা জমি নিয়ে ৩৭ বছর ধরে মামলা চালিয়েছেন। স্বত্ব না থাকায় নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত হেরেও গেছেন। তারপরও পিছু ছাড়ছেন না বিএনপি নেত্রী ও ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ফারহানা রেজা আঞ্জু। আদালতের রায় উপেক্ষা করে পরের জমিতে তুলছেন স্থাপনা। এক্ষেত্রে তিনি পুলিশ ও আদালতের কোন বিধি নিষেধ মানছেন না। জমি দখলের এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ শহরের ১৫৭ নং কাঞ্চননগর মৌজায় এইচ, এস, এস সড়কের দক্ষিন পাশে ৯৮/১ খতিয়ানের সাবেক ১০৪ এবং হাল ১৭৬০ ও ১৭৬১ নং দাগে। ঝিনাইদহ সদর থানায় লিখিত

অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের গীতাঞ্জলী সড়কে সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মশার স্ত্রী তৌহিদা খাতুন ও তার দেবরের স্ত্রী ফরিদা খাতুন ১৫৭ নং কাঞ্চননগর মৌজার অধীনে ১০৪ নং দাগে ১২ শতক জমি জনৈক ইউসুফের কাছ থেকে ক্রয় করেন। ১৯৭৮ সালে ইউসুফ ওই জমি কেনার জন্য মালিক দলিল উদ্দিনের সাথে বায়না করেন। দলিল উদ্দিন জমি রেজিষ্ট্রি করে না দেওয়ায় ১৯৮১ সালে ইউসুফ আদালতের মাধ্যমে উক্ত জমির সত্ত্ববান হন। এর আগে দলিলউদ্দিন একই দাগের ৬ শতক জমি ১৯৭৪ সালে জামিলা আহম্মেদ কাছে বিক্রি করে। সাবেক পৌর কাউন্সিলর ফারহানা রেজা আঞ্জুর পিতা দলিলউদ্দিন গং পরবর্তীতে জমির মালিকানা নিয়ে মামলা করেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর আদালতে মামলা চলতে থাকে। সর্বশেষ ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বিবাদীর পক্ষে চুড়ান্ত রায় প্রদান করে। রায় হওয়ার পর ঝিনাইদহ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বিবাদী তৌহিদা খাতুন ও ফরিদা খাতুনের পক্ষে উচ্ছেদের রায় দেন। ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই আদালতের নির্দেশ পেয়ে ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ এসে দখলকৃত স্থাপনা উচ্ছেদ করে জমির প্রকৃত মালিককে দখল সত্ব বুঝিয়ে দিয়ে যান। এদিকে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আদালতের রায় উপেক্ষা করে ওই জমিতে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন ওই বিএনপি নেত্রী।

তৌহিদা খাতুন সোমবার ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে লিখিত এক অভিযোগে জানান, বিএনপি করার কারণে সাবেক কমিশনার আঞ্জু শক্তি প্রয়োগ করে জমি দখল করে ঘর নির্মান অব্যাহত রেখেছেন। তিনি কোন আইন কানুনের তোয়াক্কা করছেন না। আমি এবং আমার পরিবার আনজুর পেশি শক্তির কাছে অসহায়।

জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর ফারহানা রেজা আনজু বলেন, এটা তার পৈতৃক সম্পত্তি। আদালতকে প্রভাবিত করে বিবাদীগন তঞ্চকতার মাধ্যমে তাদের পক্ষে রায় নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পায়নি।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মোঃ শাহিন উদ্দীন জানান, জমি দখলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। কারণ বিবাদীর পক্ষে সর্বোচ্চ আদালতের রায় রয়েছে এবং আদালতের নির্দেশে মামলার বাদীকে উচ্ছেদ করে বিবাদীকে জায়গা বুঝে দিয়েছে। ফলে পুলিশ উভয়পক্ষকে আদালতের রায় মেনে চলতে বলে এসেছেন। এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মানকাজ বন্ধ করে দিয়ে এলেও পরক্ষনে তা আবার শুরু করেছেন বলে তৌহিদা খাতুনের ছেলে এ্যাড মাজহার সবুজ অভিযোগ করেন।




বিপিএল ড্রাফট শেষে চূড়ান্ত হলো দলগুলোর স্কোয়াড

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ২০২৪ আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট শেষ হয়েছে। আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত এই ড্রাফটে চূড়ান্ত হয়েছে সাত দলের স্কোয়াড। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া এবারের বিপিএলকে সামনে রেখে ড্রাফটে দেশের এবং বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে দলগুলো তাদের স্কোয়াড সাজিয়েছে।

ড্রাফটের মূল আকর্ষণ ছিল নতুন ও পুরোনো তারকাদের দল পাওয়া এবং কিছু অপ্রত্যাশিত চমক। জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড় রিশাদ হোসেনকে দীর্ঘ সময় দলবিহীন থাকতে দেখা যায়, যা বেশ অবাক করেছে সবাইকে। তবে শেষ পর্যন্ত ফরচুন বরিশাল তাকে দলে ভিড়িয়েছে। অন্যদিকে, সাব্বির রহমান, শফিউল ইসলাম, মার্শাল আইয়ুবদের মতো খেলোয়াড়রা দীর্ঘ বিরতির পর বিপিএলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন।

ফরচুন বরিশালের শক্তিশালী স্কোয়াড

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল এবারের ড্রাফটে বেশ ভালো করেছে, বিশেষ করে জাতীয় দলের চার অধিনায়ককে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করে। ড্রাফটের আগে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, তাওহীদ হৃদয়, ফাহিম আশরাফ, ডেভিড মালান, কাইল মায়ার্স এবং মোহাম্মদ নবীকে দলে নিয়েছিল বরিশাল। ড্রাফট থেকে বরিশাল দলে নিয়েছে মাহমুদউল্লাহ, ইবাদত হোসেন, রিশাদ হোসেন এবং বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে নিয়েছে পাথুম নিশাঙ্কা ও নান্দ্রে বার্গারকে।

দুর্বার রাজশাহীর সাদামাটা উপস্থিতি

নতুন করে বিপিএলে আসা দুর্বার রাজশাহী কোনো বড় চমক দেখাতে পারেনি। ড্রাফটের আগে তারা এনামুল হক বিজয়কে দলে নিয়েছিল। আর ড্রাফট থেকে তাসকিন আহমেদ, ইয়াসির আলীসহ কয়েকজন জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে অন্তর্ভুক্ত করেছে। বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে তারা সাদ নাসিম এবং লাহিরু সামারাকুনকে দলে ভিড়িয়েছে।

ঢাকা ক্যাপিটালসের চমকপ্রদ দল

ঢাকা ক্যাপিটালস দলে রয়েছে জাতীয় দলের তারকা লিটন দাস এবং তরুণ প্রতিভা সাইম আইয়ুব। এছাড়াও মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিদ হাসান তামিম, জনসন চার্লস এবং থিসারা পেরেরা ড্রাফটের আগেই দলে যোগ দিয়েছিলেন। ড্রাফটে তারা দলে নিয়েছে সাব্বির রহমান, মুকিদুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন স্থানীয় খেলোয়াড়কে।

চিটাগাং কিংসের হতাশা

চিটাগাং কিংস ড্রাফটের আগে সাকিব আল হাসান, শরিফুল ইসলাম, মইন আলি এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের মতো বড় নামগুলোকে দলে নিয়েছিল, তবে ড্রাফটে তেমন কোনো চমক দিতে পারেনি। ড্রাফট থেকে তারা গ্রাহাম ক্লার্ক এবং থমাস ও’কনেলকে বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে বেছে নিয়েছে।

রংপুর রাইডার্সের তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশ্রণ

রংপুর রাইডার্স ড্রাফটের আগে দলে নিয়েছিল নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী হাসান এবং অ্যালেক্স হেলসকে। ড্রাফট থেকে তারা তরুণ সাইফ হাসান এবং সৌম্য সরকারের পাশাপাশি বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে আকিফ জাভেদ এবং কার্টিস ক্যাম্ফারকে দলে ভিড়িয়েছে।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের অভিজ্ঞতার সমাহার

সিলেট স্ট্রাইকার্স দলে নিয়েছে অভিজ্ঞ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, রনি তালুকদার, আল আমিন হোসেন এবং আরাফাত সানিকে। বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে তারা রাহকিম কর্নওয়াল এবং ইংল্যান্ডের পেসার রিস টপলিকে দলে নিয়েছে।

খুলনা টাইগার্সের পরিকল্পিত দলগঠন

খুলনা টাইগার্স ড্রাফটের আগে নাসুম আহমেদ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজকে দলে নিয়েছিল। ড্রাফট থেকে তারা দলে নিয়েছে তরুণ খেলোয়াড় মাহমুদুল হাসান এবং অভিজ্ঞ লুইস গ্রেগরিকে। বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে মোহাম্মদ হাসনাইনও আছে খুলনার দলে।

বিপিএলের উত্তেজনার শুরু

ড্রাফটের মাধ্যমে বিপিএল ২০২৪ এর উত্তেজনা এখন পূর্ণ মাত্রায় শুরু হয়েছে। প্রতিটি দলই শক্তিশালী স্কোয়াড গঠন করেছে, যেখানে তারকা ক্রিকেটার এবং প্রতিভাবান তরুণদের মিশ্রণ রয়েছে। এবার দেখার পালা, কে ছিনিয়ে নেয় শিরোপার লড়াই।




গাংনীতে জোড়া খুন; তিন জনকে আসামি করে অপর ভাইয়ের মামলা

গাংনীর সানঘাট গ্রামে বোন ও ভাইয়ের স্ত্রীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিহত স্কুল শিক্ষক জাকিউল ইসলাম ইলমার স্বামী জাহিদ হোসেন বাদি হয়ে গাংনী থানায় গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার নং ২৩, তারিখ ১৩/১০/২৪ ইং।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মহিবুল ইসলাম ওহিদকে। অপর আসামিরা হলেন, ওহিদের স্ত্রী স্কুল শিক্ষক মালা খাতুন ও তার পুকুরের নিরাপত্তা কর্মী একই গ্রামের বিছার উদ্দীনের ছেলে শরিফুল ইসলাম।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও মামলার বাদি জাহিদ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, মামলার প্রধান আসামি মহিবুল ইসলাম ওরফে ওহিদকে ঘটনার দিন মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে। আহতাবস্থায় আটক করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধী নিয়ে আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছেন।
মহিবুল ইসলাম ওহিদ স্থানীয় এনজিও সানঘাট পল্লী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও ওই গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।

নিহতরা হলেন, তার আপন বোন জোছনা খাতুন ও মেঝো ভাই জাহিদ হোসেনের স্ত্রী স্কুল শিক্ষিক জাকিয়া ইসলাম ইলমা।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টার সময় পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগাভাগি ও পুকুরে মাছ ছাড়ার প্রস্তুতিকালে মহিবুল ইসলাম ওহিদ তার বোন জোছনা খাতুন, মেঝো ভাই জাহিদ হোসেন, তার স্ত্রী জাকিউল ইলমা ও ছোট বোন শামীমা খাতুনকে রামদা দিয়ে এলাপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থলেই জাকিউল ইলমা ও জোছনা খাতুন নিহত হন। গুরুতর আহত হন ভাই জাহিদ হোসেন ও অপরা বোন শামীমা খাতুন।

জোড়া খুনের এই ঘটনাটি এলাকায় এখন আলোচনার শীর্ষে।




ওয়েবসাইট চালু করল ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহে হট লাইন নম্বর এবং ফাউন্ডেশন সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার সুবিধার্থে ওয়েবসাইট চালু করেছে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন।

হট লাইন নম্বর- ১৬০০০ এ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যোগাযোগ করা যাবে। তবে সরকারি ছুটির দিনগুলোতে এ নম্বরটি বন্ধ থাকবে।

অন্যদিকে ওয়েবসাইট www.jssfbd.com এর মাধ্যমে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে জনসাধারণ সহজেই অবহিত হতে পারবে। পাশাপাশি গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এই ওয়েবসাইট ব্যবহৃত হবে।

উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সহায়তা এবং আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং আন্দোলনে শহীদ মুগ্ধর জমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে সম্পাদক করে ৭ সদস্যের ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন করা হয়।
সূত্র: কালবেলা




“ভাবি ও বোনকে হত্যার দায়ে ভাইয়ের ফাঁসি দাবি করলেন ঘাতকের বোন”

গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকিউল ইলমার হত্যাকারী ওহিদুলের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টার সময় গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্তরে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি গাংনী উপজেলা শাখা।

গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উপজেলা শাখার সভাপতি পলাশীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান বকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান বকুল।

বক্তব্য রাখেন, গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাহী সভাপতি ও এবাদৎখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাওছার আলী, ধানখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন, নওদাহোগলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলাম, খড়মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুল ইসলাম, নিহত শিক্ষক জাকিউল ইসলামার মামা ফেরদৌস আহম্মেদ, ঘাতক ওহিদের বড় বোন বুলবুলি খাতুন, নিহত ইলমার ছোট ভাই ত্বোহা, বড়বামন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হাসানুজ্জামান হাসান, সহড়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও নিহত ইলমার সহকর্মী মুক্তা খাতুন, হাড়িয়াদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লাবনী আক্তার প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঘাতক মহিবুল ইসলাম ওহিদের দ্রুত বিচার ও সর্ব্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

ঘাতক মহিবুল ইসলাম ওহিদের বোন তার অপর বোন ও ভাবিকে হত্যার দায়ে আপন ভাই মহিবুল ইসলাম ওহিদের ফাঁশি দাবি করেন। শিক্ষকদের আয়োজন মানববন্ধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এদাবি করেন। তিনি বলেন, ঘাতক আমার ছোট ভাই। আমি তারপরও তার সর্ব্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

নিহত ইলমা গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টার সময় পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগাভাগি ও পুকুরে মাছ ছাড়ার প্রস্তুতিকালে মহিবুল ইসলাম ওহিদ তার বোন জোছনা খাতুন, মেঝো ভাই জাহিদ হোসেন, তার স্ত্রী জাকিউল ইলমা ও ছোট বোন শামীমা খাতুনকে রামদা দিয়ে এলাপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থলেই জাকিউল ইলমা ও জোছনা খাতুন নিহত হন। গুরুতর আহত হন ভাই জাহিদ হোসেন ও অপরা বোন শামীমা খাতুন।

ঘাতক মহিবুল ইসলাম ওহিদ সানঘাট গ্রামের দাড়ের পাড়া এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে ও স্থানীয় এসজিও সানঘাট পল্লী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক।

হত্যাকন্ড ঘটিয়ে ঘাতক মহিবুল ইসলাম ওহিদ রক্তমাখা শরীরে মাঠ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমঝুপি এলাকা থেকে ডিবি ও গাংনী থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে আটক হন। বর্তমানে সে পুলিশী প্রহারায় মেহেরপুর ২৫০ শয্য বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানা গেছে, , পৈতৃকি সম্পত্তি নিয়ে ভাই বোনদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিলো। আজ সকালে নিহত জোছনা খাতুন অপর বোন শামীমা খাতুন পিতার ১ একর ২৭ শতক জমির পুকুরে মাছ ছাড়তে এসেছিলেন। সকালে সবাই মিলে বাড়িতে মিমাংসায় বসেছিলেন। মিমাংসার এক পর্যায় বোন জোছনা খাতুন, শামীমা খাতুন, মেঝো ভাই জাহিদ ও তার স্ত্রী জাকিউল ইলমা পুকুরে মাছ ছাড়তে যান। এসময় মহিবুল ইসলাম ওহিদ ধারাল রামদা দিয়ে তাদের একের পর এক কোপাতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বোন জোছনা খাতুন ও ভাইয়ের স্ত্রী গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (বরখাস্ত) জাকিউল ইলমা। এসময় গুরুতর আহত হন অপর বোন শামীমা খাতুন ও ভাই জাহিদ হোসেন।

ঘাতক মহিবুল ইসলাম ওহিদ সানঘাট পল্লী উন্নয়ন সংস্থা নামের একটি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও সানঘাট গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।

প্রতিবেশী তোহিদুল ইসলাম জানান, আব্দুল আজিজের প্রায় ৩০ বিঘা জমি। ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে। এদের মধ্যে ঘাতক মহিবুল ইসলাম সবার ছোট। বাবা মারা যাবার সময় আব্দুল আজিজ তার স্ত্রী রশিদা খাতুনকে ১১ বিঘা জমি রেজিস্ট্রি দিয়ে গেছেন। মায়ের ১১ বিঘা জমি জমি নিজ নামে নেওয়ার জন্য মহিবুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। এছাড়া বাড়ির ১ একর ২৮ শতক জমির পুকুর আওয়ামী লীগের দলীয় ক্ষমতায় জোর দখল করে মাছ চাষ করে আসছিল। এনিয়ে গ্রামের মন্ডল মাতব্বর নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কোনো সমাধান হয়নি।

এনিয়ে মহিবুল ইসলাম ওহিদ তার ভাই ও বোনদের নামে গাংনী থানা ও মেহেরপুর আদালতে একাধিক মামলা দিয়েছেন। তার মামলায় নিহত জাকিউল ইলমা এর আগে বরখাস্ত হয়েছেন।

নিহত জোছনা খাতুনের স্বামী হাফিজুল ইসলাম বলেন, মহিবুল ইসলাম গাংনী উপজেলা শহরের ১৮ শতক জমি ও বাড়ির ১ একর ২৮ শতক জমির পুকুর একাই দখল করে আছেন। এছাড়া আমার শাশুড়ির ১১ বিঘা জমি দখলে রেখেছে ছোট ভাই ওহিদ। এনিয়ে সে কয়েকটি মামলা করেছে। আজ সকালে আমি আর আমার স্ত্রী জোছনা খাতুন সানঘাট গ্রামে আসি। বাড়িতে সবাই বসে মিমাংসার চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। ওহিদ এই পুকুরটি বিগত চার বছর যাবৎ একাই মাছ চাষ করছিলেন। সবার দাবি ছিল এই চার বছর বাকি ভাই বোন চাষ করবে। এক পর্যায়ে মাছ ছাড়ার কথা বললে সে তার ব্যাগে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর এক এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হওয়ার পর সে পালিয়ে যায়।

প্রতিবেশী তহিদুল ইসলাম জানান, ভাই বোনের জমির ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার শালিস বৈঠক করেছেন। ভাই বোনরা ওহিদ ২ এক বিঘা জমি বেশী দিয়ে তাদের ফ্যাসাদ মেটানোর চেষ্টা করেছেন। তারপরেও ওহিদ সেটা মেনে নেয়নি। নিজেকে আওয়ামীলী কর্মী দাবি করে সে জোর করে একাই ভোগ করছে পিতার রেখে যাওয়া পুকুর, মাঠের জমি ও গাংনীর বাড়ি। তিনি আরও বলেন, ওহিদ ভাই বোনের নামে একাধিক মামলা দিয়ে তাদের বিভিন্ন সময়ে হয়রানি ও নির্যাতন করেছে। শুধু ভাই বোনকেই নয়, এলাকার অনেক মানুষকে সে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। সে যখন গাংনী থেকে গ্রামে আসে তার ব্যাগের মধ্যে সব সময় রামদা ও বড় সাইজের দা থাকে। ভাই বোন কিছু বললে তাদের হত্যা করবে বলে হুমকী দিয়ে আসছিল।




মমতাজের ব্যাংক হিসাব জব্দ

মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তার নামে কোন লকার সুবিধা থাকলে তার ব্যবহারও রহিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তার ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের হিসাবও স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) দেশের কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিএফআইইউথর সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যাংকের শাখায় উল্লেখিত ব্যক্তির এবং তার ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেসব হিসাবের লেনদেন ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলো। সেই সঙ্গে তার নামে কোন লকার সুবিধা থাকলে তার ব্যবহারও রহিত করার অনুরোধ করা যাচ্ছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, লেনদেন স্থগিতের পাশাপাশি উল্লেখিত ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবসংশ্লিষ্ট দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণীসহ যাবতীয় তথ্য আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠাতে হবে।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাসহ মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা আত্মগোপনে চলে যান। আত্মগোপনে থাকা সাবেক এমপিদের একজন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ। তিনি সবশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এদিকে গত দুই মাসের বেশি সময় পর রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকালে প্রকাশ্যে এসেছেন মমতাজ। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি।

মাত্র ৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে ‘আমার হাত বান্ধিবি, পা বান্ধিবি মন বান্ধিবি কেমনে? আমার চোখ বান্ধিবি, মুখ বান্ধিবি পরাণ বান্ধিবি কেমনে?’ পরিবেশন করতে দেখা যায় তাকে।

সূত্র: ইত্তেফাক




বদলির আদেশ পেয়ে তড়িঘড়ি করে ১২ জনকে ভেণ্ডার লাইসেন্স প্রদান

গত ৩০ বছরে মেহেরপুরে ভেণ্ডার লাইসেন্স (জুডিশিয়াল, নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, টিকিট বিক্রেতা) পেয়েছেন ৫২ জন। তার মধ্যে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরেই পেয়েছেন ১২ জন। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে বদলির আদেশ পেয়ে এ কাজ করেছেন সদ্য বিদায়ী ডিসি মো: শামীম হাসান।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, বিনামূল্যের ভেণ্ডার লাইসেন্স পেতে এ ১২ জনের জনপ্রতি লেগেছে লক্ষাধিক টাকা। ৩০ বছরের রেকর্ড ভেঙে একই বছরে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে ১২ জনকে ভেণ্ডার লাইসেন্স দিয়েছেন তিনি। বদলি হওয়ার আগে সুকৌশলে তিনি একাজটি করে মেহেরপুর থেকে বিদায় নিয়েছেন। অথচ বছরের পর বছর আবেদন করেও অনেকেই পাননি লাইসেন্স। এমন আবেদনকারীর সংখ্যাও রয়েছে শতাধিক। এছাড়াও ভেন্ডার লাইসেন্স নবায়ন করতেও এলআরফাণ্ডের নামে নিয়েছেন অতিরিক্ত অর্থ। প্রতি অর্থ বছরে ২ থেকে ৩ জন বা কোন অর্থ বছওে সর্বোচ্চ ৬ জন নিবন্ধন পেলে আলাদিনের চেরাগের মত ২০২৪-২৫ চলমান অর্থবছরে নিবন্ধন পেয়েছেন ১২ জন। যা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ভেণ্ডার অভিযোগ করেন সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে অনেকগুলো ভেন্ডার লাইসেন্স দিয়ে চলে গেছেন। এ ধরণের একটি খবর আসলে তা যাচাইয়ের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে স্ট্যাম্প ভেণ্ডারের নিবন্ধন তালিকা চেয়ে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন থেকে একটি তালিকা সরবরাহ করা হয়।

ভেণ্ডারদের অভিযোগ ও তালিকা বিশ্লেষণ করে চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে নবায়নকৃত ৫২ জন ভেণ্ডার রয়েছেন। ১৯৯৫-৯৬ অর্থ বছর থেকে ভেণ্ডার নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। ওই অর্থ বছরে নিবন্ধন পান মো: সামসুল ইসলাম, মো: ফুজায়েল হক, মো: শওকত আলী। ১৯৯৬-৯৭ অর্থ বছরে মো: আশরাফুল ইসলাম। তিন বছর বাদ দিয়ে ২০০০-০১ অর্থ বছওে মো: আব্দুল মান্নান। ২০০২-০৩ অর্থ বছরে মো: আয়ুব আলী, ২০০৩-০৪ অর্থ বছরে মো: আরোজ আলী, ২০০৪-০৫ অর্থ বছরে মো: লুৎফর রহমান, মো: নুর ইসলাম, মো: আফাজ উদ্দিন, মো: বরকতুল্লাহ, ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে মো: মতিউর রহমান, ২০০৬-০৭ অর্থ বছরে মো: সজিব, মো: সাজ্জাদ হোসেন, মো: হুমায়ন কবীর রতন, ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে মো: আব্দুল আজিজ, মো: জারজিস, ২০১১-১২ অর্থ বছওে মো: আরিফ শেখ, ২০১২-১৩ বছরে মো: শিহাব উদ্দীন, মো: রবিউল ইসলাম, অপূর্ব কুমার সাহা, মো: হাসানুজ্জামান, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে মো: সিরাজুল ইসলাম, মো: গিয়াস উদ্দিন, শেখ শহীদ ইকবাল, মীর ফারুকুজ্জামান, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে সনজিৎ পাল বাবু, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মো: জাব্বারুল ইসলাম, মো: আনিসুর রহমান, মো: ওছাইদ আলী, মো: ফারুক হোসেন, মো: খাইরুল ইসলাম, মোছা: মাহফুজা খাতুন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছওে মো: নাহিদ হাসান, মো: আব্দুল সবুর, ২০১৯-২০ অর্থ বছওে মো: মনিরুজ্জামান কাজল, মো: আজিজুর রহমান, মো: আবু বক্কর, মো: মাসুদ রানা, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে মো: মোস্তাফিজুর রহমান, ২০২৪-২৫ অর্থ বছওে মো: ইকবাল, সোহেল রানা, মামুনুর রশিদ, কাজী মো: বাকি বিল্লাহ, মো: ইয়ারুল ইসলাম, মো: হাসানুজ্জামান, মোহা: শাহাবুদ্দীন, মো: শামীম আজাদ, ইব্রাহিম খলিল, মো: তানজিমান আলী, মো: মাসুম রেজা, মো: হাসান রেজা।

২০২৪-২৫ অর্থ বছরে নিবন্ধন না পাওয়া ওলিয়ার রহমানের সাথে কথা বলে কালের কণ্ঠর প্রতিবেদক । ওলিয়ার জানান, ইউএনও অফিস থেকে আমার ভেরিফিকেশন হওয়ার পরও আমি লাইসেন্স পাইনি। মুজিবনগর থেকে একজন লাইসেন্স পেয়েছেন ৮০ হাজার টাকা দিয়ে। আমি কারো সাথে যোগাযোগ করিনি বলে আমার লাইসেন্স হয়নি। তিনি আরও বলেন, একশ’র বেশি আবেদন জমা পড়ে রয়েছে এখনও।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক পুরাতন একজন ভেণ্ডার প্রতিবেদককে বলেন, একেকজনের প্রায় লক্ষাধিক টাকা লেগেছে লাইসেন্স পেতে। তাকে নতুন লাইসেন্স পাওয়া একজন জানিয়েছেন। তার কথা মত এ অর্থবছরে নিবন্ধন পাওয়া একজনের সাথে বসেছিলেন এ প্রতিবেদক কিছুটা গোপনিয়তা রক্ষা করেন। সাংবাদিক পরিচয় দিলে কথা বলতে না চাওয়ায় কৌশলে নতুন লাইসেন্স পাওয়া ওই ব্যক্তির সাথে বসা হয় লাইসেন্স কিভাবে পেতে হয় তা জানতে। কথোপকথনের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, আবেদন করে যোগাযোগ করলে লাইসেন্স পাওয়া যায়। ডিসির এল আর ফান্ডে বেশ কিছু টাকা জমা দিতে হয়। তিনিও সেখানে টাকা জমা দিয়েছেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর তারিখ দিয়ে জেলা প্রশাসকের সাক্ষর করা লাইসেন্স তিনি পেয়েছেন ১৭ সেপ্টেম্বর। তবে কত দিয়েছেন এ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন ভালোই দিয়েছি। প্রশ্ন করা হয় বিভিন্ন জনের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে ৮০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা লেগেছে, আপনারও কি এই পরিমান লেগেছে , জবাবে তিনি বলেন, আমার একটু কম লেগেছে।

মেহেরপুর জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী আল মামুন অনল বলেন, ভেণ্ডার লাইসেন্স ডিসিরা তাদের ক্ষমতায় দেন। তবে একই অর্থবছরে এর আগে এতজন লাইসেন্স পাননি। এবছর এতজনকে লাইসেন্স দেওয়ার পেছনে অনৈতিক দূরভিসন্ধি রয়েছে এটা ধরে নেওয়ায় যায়। সরকার পরবর্তিনের পর সাবেক জেলা প্রশাসক বদলি হওয়ার আগে অতি গোপনে এতজনকে লাইসেন্স দিয়ে গেছেন। এর সুষ্ঠ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

এ বিষয়ে সাবেক জেলা প্রশাসন মো: শামীম হাসানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে কথা না বলে কেটে দেন। পরে আবার ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।




মেহেরপুরে তামাক চাষিদের কার্ড বাতিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

মেহেরপুরে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) এর রিজিউনাল লিফ ম্যানেজার হাসিবুর রহমান, এরিয়া লিফ ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম, সহকারী লিফ ম্যানেজার কামরুজ্জামান তুহিন, এফটি মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে আবারও মানববন্ধন করেছেন মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে কাংলীগাংনী গ্রামের কার্ড বঞ্চিত তামাক চাষিরা।

গতকাল রবিবার বিকেলে কালিগাংনী তিন রাস্তা মোড়ে ভুক্তভোগী তামাক চাষিরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

কালিগাংনী গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত তামাক চাষি মানিক মিয়ার নেতৃত্বে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, গত মৌসুমে মেহেরপুর জেলার প্রকৃত কৃষকদের তামাক না নিয়ে ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে তামাক ক্রয় করেছেন। দালালদের মাধ্যমে অন্য জেলার বড় বড় তামাক ব্যবসায়ীদেও নিকট থেকে কেজিপ্রতি কমিশন নিয়ে নিম্নমানের তামাক ক্রয় করায় প্রকৃত চাষিরা ন্যয্যমুল্য থেকে বঞ্চিত হয় এবং চাষীরা প্রতিবাদ করেন। মুল্য বঞ্চিত তামাক চাষিরা প্রতিবাদ করার এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ( বিএটি)র দেয়া কালিগাংনী নওপাড়ার গ্রামের লিফ রিজনের প্রায় ৪৫ জন তামাক চাষীর তামাক বিক্রির কার্ড বাতিল করেন। প্রকৃত কৃষকের কার্ড বাতিল করার অভিযোগ তোলেন মানববন্ধনকারীরা।

বাতিলকৃত কার্ড পুনরায় ফেরত দেয়ার দাবী তুলে তামাক চাষি জাকির হোসেন বনেল, আমি প্রায় ১৫ বছর ধরে তামাক চাষ করি। প্রথমে আমি কোম্পানীর সব শর্ত পুরুন করায় আমাকে ২ একরের কার্ড দেন বিএটি। পরে আমি আরও আবাদ বৃদ্ধি করলে ৩ একরের কার্ড দেয়। গেল বছর কোম্পানি আমাকে উন্নতমানের তামাত পুড়ানোর ঘর নির্মাণ করতে বল্লে দেড় লক্ষ টাকা খরচ করে ঘর নির্মান করেছি। অথচ আমাকে কিছু না জানিয়ে আমার কার্ড বাতিল করেছে। আমার সব টাকা লোকসান। কার্ড ফেরত না দিলে আদালতে মামলা করবেন বলেও জানান এই তামাক চাষি।

তামাক চাষি রমজান আলী জানান, আমি কোম্পানির সব নিয়ম মেনে আবাদ করেছি। কিন্তু এবার আমার কার্ড বাতিল করেছে। আমি এর প্রতিবাদে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি।

সেই সাথে ব্রিটিশ টোব্যাকো কোম্পানির ডিভিশনাল কর্মকর্তা আসিফ সাহেবের কাছে বিচার দাবী করেছেন ।
ব্রিটিশ টোব্যাকো কোম্পানির রিজনের প্রবীণ তামাক চাষী মানিক বলেন, তামাক বিক্রয়ের কার্ড প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে বাতিল করার প্রতিবাদে আমাদের এই মানববন্ধন কর্মসৃচি। উপরোক্ত কর্মকর্তার দ্বারা আমরা কৃষকরা লাঞ্ছিত হয়েছি।

কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা উপরোক্ত কর্মকর্তাদের সাথে জড়িত থাকায় আমরা কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
প্রকৃত কৃষকদের কার্ড কেটে দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি। একই সাথে আমাদের কার্ড তালিকাভুক্ত করার দাবী জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, কালি গাংনী গ্রামের লিফ রিজনের তামাক চাষী রমজান আলী,আখের আলী, সাকের আলী, ইমারুল ইসলাম, সোহেল হোসেন, রিপন আলী, জিয়ারুল ইসলাম, পিকলু, আশরাফুল ইসলাম, আলামিন হোসেনসহ অনেকে।

এ ব্যাপারে মেহেরপুর ব্রিটিশ টোব্যাকো কোম্পানির (আর এম) হাসিবুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য লেখা সম্ভব হয়নি।