মারা গেলেন অভিনেতা জামালউদ্দিন হোসেন

একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত নাট্যজন, নির্দেশক, অভিনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জামালউদ্দিন হোসেন মারা গেছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬ টায় কানাডার ক্যালগেরির রকিভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যা দেখা দিলে তাকে তড়িঘড়ি রকিভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে নেন চিকিৎসকরা। কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক মুহাম্মদ খান ও সাস্কাটুন প্রবাসী রাজনীতিবিদ বজলুর রহমান তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় ছেলের কাছে বেড়াতে যান জামাল হোসেন। সেখানে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে জামালউদ্দিন হোসেনকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তার ছেলে তাসফিন হোসেন তপু ক্যালগেরির মাউন্ট রয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।

সত্তরের দশকের মাঝামাঝি থেকে মঞ্চ নাটকে অভিনয় শুরু করেন জামালউদ্দিন হোসেন। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের এই সদস্য পরে টেলিভিশন নাটক এবং চলচ্চিত্রেও কাজ করেন। গত ১৫ বছর ধরে অভিনয়ে একেবারে অনিয়মিত তিনি। গত ৭ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




কবে শেষ হবে শান্তদের ‘শিক্ষা সফর’

প্রতিটি সিরিজে কিংবা টুর্নামেন্টে ব্যর্থতার পরে বাংলাদেশ দলের পক্ষ থেকে শিক্ষা গ্রহণের বিষয়টি তুলে আনা হয়। ভক্তরা সেটিকে শিক্ষা সফর অভিধা দিয়েছেন। কিন্তু এই শিক্ষা গ্রহণের পর তার বাস্তবায়ন আর দেখা যায় না। ব্যাটিং ব্যর্থতার পরে সফলতার শিক্ষাটাই টাইগার বাহিনী নিয়ে আসছে বারবার। তবু সফল হতে পারছেন না নাজমুল হোসেন শান্তরা।

প্রতিটি ম্যাচেই বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার চিত্র এখন স্বাভাবিক প্রেক্ষাপটে পরিণত হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে বাজে ফিল্ডিংয়ের অভিজ্ঞতা। তবে সবকিছু থেকে শিক্ষা গ্রহণকেও আসল ও প্রকৃত কাজ মনে করা হয় দলের পক্ষ থেকে। আজ বাংলাদেশ-ভারত সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হায়দরবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ কী জেতার উদ্দেশ্যে নামবে, নাকি শিক্ষা গ্রহণের জন্য, সেটি অনেকটাই পরিষ্কার ফিল্ডিং কোচ নিক পোথাসের কথায়।

গতকাল নিক পোথাস বলেছেন, ‘বিশ্বের সেরা দলের বিপক্ষে খেলতে গেলে অবশ্যই শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিনই শিক্ষা নিতে হবে। যখনই শিক্ষা নেওয়া বন্ধ করে দেবেন, তখনই সমস্যায় পড়তে হবে। সুতরাং এটা কোনো ইস্যু হতে পারে না।’ বাংলাদেশকে নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আপনারা খুব সহজেই নির্ধারণ করে ফেলেন, ভালো ব্যাটিংয়ের পরে জয়-পরাজয়ের হিসাব। কিন্তু আমরা বিষয়টিকে এত সহজে দেখি না। আমরা সেই ভারতের বিপক্ষে খেলছি যারা বিশ্বের সেরা দল। আমরা প্রকৃতপক্ষে কী পাচ্ছি দলটির বিপক্ষে খেলে, সেটি যদি ভাবি তাহলে বলতে হবে, অনেক দেশ ভারতে এসে খেলে এটা তাদের বাজে পছন্দ। এখানে শিক্ষণীয় ব্যাপরটি দিয়ে পরিমাপ করতে হবে। আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছি, কীভাবে আমরা এগিয়ে আসতে পারি।’

পোথাস বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফি রয়েছে, অন্যান্য টি-টোয়েন্টি ম্যাচ রয়েছে সেগুলো নিয়ে চিন্তা করছি। বাংলাদেশের কয়েক জন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছে, তাদের শেষ সময়কে কীভাবে কাজে লাগাতে পারি সেটি নিয়ে ভাবছি। আমরা সবসময় জয়ের লক্ষ্য নিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে নামি। কিন্তু বাস্তবতা বুঝতে হবে। আমরা খুবই ভাগ্যবান যে, আমরা ভারতে সফর করতে পেরেছি। এখান থেকে অনেক কিছুই শিখতে পেরেছি। আর সেই শিক্ষাটা প্রকৃত শিক্ষা, এখান থেকে অনুশীলনে আমরা অনেক কিছু কাজে লাগাতে পারব।’

বাংলাদেশ দল নিয়ে ফিল্ডিং কোচ বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত দক্ষতায় নজর দিতে হবে। একটি ব্যাপার মানতেই হবে, ফিল্ডিংয়ের দিক থেকে আমরা দারুণ ছিলাম। কারণটা হচ্ছে, ফিল্ডিংয়ে প্রতিপক্ষের কোনো প্রভাব নেই, পুরোটাই আমাদের নিয়ন্ত্রণে। ফলে এখানে খেলোয়াড়দের অনেক কৃতিত্ব দিতে হবে ফিল্ডিংয়ের ব্যাপারে। এর এসেছি, যেটাও আগে কখনো ঘটেনি। গতদিন কী ঘটেছে এবং আজকে কী ঘটেছে, তা দেখার ব্যাপারে অনেকেই পারদর্শী। কিন্তু গত ১২ মাসে কী ঘটেছে তা মনে করতে পারছি না। গত ১২ মাসে অনেক উন্নতি হয়েছে। এখানে কোনো ম্যাজিক বুলেট নেই। আমরা যা দেখতে পারছি তা হচ্ছে এখানে গত ১২ মাসে অনেক উন্নতি হয়েছে। ফলে সেটা মেনে নিয়ে কৃতিত্ব দেওয়া উচিত।’

বাউন্ডারি তুলে নেওয়ার সক্ষমতা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘একটি কঠিন বাস্তবতা নিয়ে বলি, একজন খেলোয়াড় যদি ৯৫-১০০ কেজি ওজনের হয় আর আরেকজন যদি হয় ৬৫ কেজি হয়, তাহলে একজন তো বেশি দূরে বল পাঠাবেই। অবশ্যই এখানে কৌশল রয়েছে টাইমিং রয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত এটি নিয়ে কাজও করে যাচ্ছি। আইপিএলের দিকেও তাকাতে হবে। আইপিএল পৃথিবীর সেরা টুর্নামেন্ট। খেলোয়াড়দের দক্ষতা মিলিয়ে দেখলে দারুণ টুর্নামেন্ট। আইপিএল খেলোয়াড়দের তৈরি করে দেয় আন্তর্জাতিক মঞ্চের জন্য। ফলে এখানে আপনি পুরো ভিন্ন দুটি জিনিসের তুলনা করছেন যে ভারতের কয়টি ছক্কা এবং আমাদের কয়টি ছক্কা। এটা অনেকটা এমন হয়ে গেল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কয়টি ছক্কা মেরেছে আর আমরা কয়টি মেরেছি। তারা অনেক শক্তিশালী ক্রিকেটার। আমরা অন্য বিষয় নিয়ে উন্নতি করছি। কিন্তু জেনেটিকস নিয়ে তো আর লড়াই করতে পারব না।’

বাইরে ব্যাটিং-বোলিংয়ে যদি তাকান, একটি কাজ ভারত সব সময় করবেই, তা হচ্ছে তারা অনেক চাপে ফেলবে। কারণটা হচ্ছে তাদের দক্ষতা। শিক্ষাটা হচ্ছে, কীভাবে লম্বা সময় ধরে চাপটা সামাল দেওয়া যায়। কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে পরিবর্তন আসতে থাকবে। ভারতে খেলতে পারাটা সম্মানের ব্যাপার। যখন বিশ্বের সেরা দলের বিপক্ষে খেলা হয়, তখন বুঝতে সাহায্য করে কোথায় উন্নতি প্রয়োজন।’ সফলতার প্রসঙ্গ নিক পোথাস বলেছেন, ‘আমার মনে হয় আমরা দ্রুত ভুলে যাচ্ছি। পাকিস্তান থেকে মাত্রই সিরিজ জিতে আসলাম, যেটা আগে আমরা কখনো করে দেখাতে পারিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সেরা আটে খেলেছে, যেটা আগে কখনো ঘটেনি। নিউজিল্যান্ড সফর থেকে আমরা এসেছি সেখানে ১টি করে ম্যাচ জিতে।

ব্যাটিং ব্যর্থতা বিষয়ে নিক পোথাস মনে করেন, ‘আমরা দারুণ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তাদেরই মাঠে খেলছি। দুই দলের পার্থক্য দেখলে বোঝা যাবে। টপ অর্ডারে ইমন ২ ম্যাচ খেলেছে। হ্যাঁ, দলে অভিজ্ঞরাও রয়েছে। ব্যাটিংয়ের কথা ধরলে আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যাটিং করতে পারিনি। অবশ্যই ১৭০-১৮০ রান করতে পারতাম। তারা ২২০-২৩০ করুক বা যাই করুক, সেটা বোলিংয়ের ব্যাপার। সেটা আমি মেনে নিচ্ছি। আমাদের আরও বেশি রান করা দরকার ছিল। দারুণ উইকেট ছিল। ভারতও অনেক ভালো বল করেছে। আমরাও ম্যাচের অনেক সময়ে অনেক সুযোগ নিতে পারিনি।’




গাংনীতে জমি বিরোধ সংঘর্ষে ননদ-ভাবি খুন, ঘাতক ওহিদ আটক

পৈতৃক সম্পত্তি ভাগাভাগি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইয়ের হাতে বোন জোসনা খাতুন ও ভাবি স্কুল শিক্ষিকা জাকিউল ইলমা নামের দুই নারীকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১১ টার সময় গাংনী উপজেলার সানঘাট গ্রামের দাড়েরপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সানঘাট গ্রামের জাহিদ হোসেনের স্ত্রী ও গাংনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি  শিক্ষিকা  জাকিউল ইলমা (৪৫) ও চুয়াডাঙ্গার বোয়ালিয়া গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী জোছনা খাতুন (৫৫)।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহত জাকিউল ইলমার স্বামী জাহিদ হোসেন ও অন্য বোন শামীমা আক্তার। আহতরা কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহত জাকিউল ইলমা ঘাতক অহিদ ইসলাম ওরফে মহিবুল ইসলাম ওহিদের মেজ ভাইয়ের স্ত্রী ও জোছনা খাতুন তার বড় বোন।

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বড় ভাই মহিবুল ইসলাম অহিদ রামদা দিয়ে কুপিয়ে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যাবার সময় মেহেরপুর সদরের আমঝুপি বাজার থেকে গাংনী থানা ও মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবির) একটি টিম তাকে আটক করেছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম হত্যা ও আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত জোসনার চাচাত ভাই টোকন জানান,  পৈতৃকি সম্পত্তি নিয়ে ভাই বোনদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিলো। আজ সকালে নিহত জোছনা খাতুন অপর বোন শামীমা খাতুন পিতার ১ একর ২৭ শতক জমির পুকুরে মাছ ছাড়তে এসেছিলেন। সকালে সবাই মিলে বাড়িতে মিমাংসায় বসেছিলেন। মিমাংসার এক পর্যায় বোন জোছনা খাতুন, শামীমা খাতুন, মেঝো ভাই জাহিদ ও তার স্ত্রী জাকিউল ইলমা পুকুরে মাছ ছাড়তে যান। এসময় মহিবুল ইসলাম ওহিদ ধারাল রামদা দিয়ে তাদের একের পর এক কোপাতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বোন জোছনা খাতুন ও ভাইয়ের স্ত্রী গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (বরখাস্ত)  জাকিউল ইলমা। এসময় গুরুতর আহত হন অপর বোন শামীমা খাতুন ও ভাই জাহিদ হোসেন।

ঘাতক মহিবুল ইসলাম ওহিদ সানঘাট পল্লী উন্নয়ন সংস্থা নামের একটি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও সানঘাট গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।

প্রতিবেশী তোহিদুল ইসলাম জানান, আব্দুল আজিজের প্রায় ৩০ বিঘা জমি। ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে। এদের মধ্যে ঘাতক মহিবুল ইসলাম সবার ছোট। বাবা মারা যাবার সময় আব্দুল আজিজ তার স্ত্রী রশিদা খাতুনকে ১১ বিঘা জমি রেজিস্ট্রি দিয়ে গেছেন। মায়ের ১১ বিঘা জমি নিজ নামে নেওয়ার জন্য মহিবুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। এছাড়া বাড়ির ১ একর ২৮ শতক জমির পুকুর আওয়ামী লীগের দলীয় ক্ষমতায় জোর দখল করে মাছ চাষ করে আসছিল। এনিয়ে গ্রামের মন্ডল মাতব্বর নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কোনো সমাধান হয়নি।

এনিয়ে মহিবুল ইসলাম ওহিদ তার ভাই ও বোনদের নামে গাংনী থানা ও মেহেরপুর আদালতে একাধিক মামলা দিয়েছেন। তার মামলায় নিহত জাকিউল ইলমা এর আগে বরখাস্ত হয়েছেন।

নিহত জোছনা খাতুনের স্বামী হাফিজুল ইসলাম বলেন, মহিবুল ইসলাম গাংনী উপজেলা শহরের ১৮ শতক জমি ও বাড়ির ১ একর ২৮ শতক জমির পুকুর একাই দখল করে আছেন। এছাড়া আমার শাশুড়ির ১১ বিঘা জমি দখলে রেখেছে ছোট ভাই ওহিদ। এনিয়ে সে কয়েকটি মামলা করেছে। আজ সকালে আমি আর আমার স্ত্রী জোছনা খাতুন সানঘাট গ্রামে আসি। বাড়িতে সবাই বসে মিমাংসার চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। ওহিদ এই পুকুরটি বিগত চার বছর যাবৎ একাই মাছ চাষ করছিলেন। সবার দাবি ছিল এই চার বছর বাকি ভাই বোন চাষ করবে। এক পর্যায়ে মাছ ছাড়ার কথা বললে সে তার ব্যাগে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর এক এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হওয়ার পর সে পালিয়ে যায়।

প্রতিবেশী তহিদুল ইসলাম জানান, ভাই বোনের জমির ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার শালিস বৈঠক করেছেন। ভাই বোনরা ওহিদ ২ এক বিঘা জমি বেশী দিয়ে তাদের ফ্যাসাদ মেটানোর চেষ্টা করেছেন। তারপরেও ওহিদ সেটা মেনে নেয়নি। নিজেকে আওয়ামীলী কর্মী দাবি করে সে জোর করে একাই ভোগ করছে পিতার রেখে যাওয়া পুকুর, মাঠের জমি ও গাংনীর বাড়ি। তিনি আরও বলেন, ওহিদ ভাই বোনের নামে একাধিক মামলা দিয়ে তাদের বিভিন্ন সময়ে হয়রানি ও নির্যাতন করেছে। শুধু ভাই বোনকেই নয়, এলাকার অনেক মানুষকে সে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। সে যখন গাংনী থেকে গ্রামে আসে তার ব্যাগের মধ্যে সব সময় রামদা ও বড় সাইজের দা থাকে। ভাই বোন কিছু বললে তাদের হত্যা করবে বলে হুমকী দিয়ে আসছিল।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম, গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা, সেনবাহিনীর ক্যাপ্টেন রওশন ও র‌্যাব—১২ গাংনী ক্যাম্পের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে নেয়া হয়।

হত্যার ঘটনা ঘটানোর পর ঘাতক মহিবুল ইসলাম ওহিদ পালিয়ে যাচ্ছিল। গাংনী থানা পুলিশ ও মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ টিম সদর উপজেলার আমঝুপি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন। মহিবুল ইসলাম ওহিদ আহত হওয়ায় তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম বলেন, দুই নারীকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পৈত্তিক সম্পত্তি ভাগবন্টন নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি।




পূজামণ্ডপে গীতা পাঠ করে ভাইরাল জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা

পূজা মন্ডপে গীতা পাঠ করে ফেসবুকে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক মাও: মতিয়ার রহমান।

গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বাজে বামনদহ হরিতলা পালপাড়া পূজামণ্ডপে বক্তব্যের সময় তিনি গীতার শ্লোক পাঠ করেন। তার সেই গীতা পাঠের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অধ্যাপক মতিয়ার রহমান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরার সদস্য।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মাও: মতিয়ার রহমানের ভিডিওতে দেখা যায়, বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি গীতা পাঠ করেন। সে সময় সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীরা উলুধ্বনি দেন ও শঙ্খ বাজান। গীতা পাঠ শেষে আগামীতে নির্বাচিত হলে হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব পালনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আমি একা আসি নাই আমার সাথে বিএনপির নেতারাও আছেন।

বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন, এই কোটচাঁদপুরে আলো বাতাস, মাটি ও মায়া মমতাই আমি বেড়ে ওঠেছি। ইসলামী আদর্শের ব্যক্তি হলেও আমার ভেতর বাস করে একজন ভালো সনাতনী হিন্দু ব্রাহ্মণ, আমার ভেতরে বাস করেন একজন ভালো খ্রিষ্টান এবং একজন ভালো মুসলিমও।

তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্য বলেন, বিশ্বাস করুন হিন্দু ধর্মের আবির্ভাব হয়েছে মুসলমানদের কোরআন পাওয়ার সাড়ে ৪ হাজার বছর পূর্বে। এই জাতিটা বাস করতো ভারতের কালীকোটের মালমল সিন্দুর হ্রদের অববাহিকায়। আড়াই হাজার বছর পর্যন্ত ওরা সেখানে বাস করেছে।

গত বৃহস্পতিবার দুর্গাপূজার সপ্তমির রাত ১০টার দিকে বাজেবামনদাহ হরিতলা পালপাড়া পূজাম-প পরিদর্শনে যান কোটচাঁদপুর উপজেলা জামায়াতের নেতাকর্মীরা। অন্যান্যদের বক্তব্যের পর প্রধান অতিথি অধ্যাপক মতিয়ার রহমান কথা বলেন। বক্তব্যে ইসলাম ও সনাতন ধর্ম সম্পর্কে নানা বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। হরিতলা পালপাড়া পূজাম-পের আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি গুরুদাস বিশ্বাস জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর জামায়াতের নেতা মতিয়ার রহমানসহ আরও কয়েকজন ম-পে এসেছিলেন। অধ্যাপক মতিয়ার রহমান তার বক্তব্যে তিনি আমাদের ধর্ম সম্পর্কে অনেক জ্ঞান দেন। পরে গীতা থেকে একটি শ্লোক পাঠ করেন।

এ ব্যাপারে অধ্যাপক মতিয়ার রহমানের সাথে সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।




গাংনীতে ৬ টি পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, সনাতনী ধর্মালম্বীদের শারদীয় দূর্গোৎসব নির্বিঘ্নে, নিরাপত্তা, শান্তি শৃংখলা ও সামাজিক বন্ধনের মধ্যে দিয়ে পালন করতে বিএনপির নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ দিয়েছেন দেশ নায়ক তারেক রহমান।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপ পরিদর্শন কালে এসব কথা বলেন তিনি।

সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন গাংনী উপজেলার রায়পুর দাশপাড়া কালি মন্দির পূজা মন্ডপ, চাঁদপুর দাশপাড়া কালি মন্দির পূজা মন্ডপ, আমতৈল কাল মন্দির পূজা মন্ডপ, ভোলাডাঙ্গা কালি মন্দির পূজা মন্ডপ, মানিকদিয়া কালি মন্দির পূজা মন্ডপ, শিমুলতলা কালি মন্দির পূজা মন্ডপ, ষোলটাকা কালি মন্দির পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।

এসময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুজা মন্ডপের নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পুজা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকদের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন।
এসময় রাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক ও রাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল্লাহিল মারুফ পলাশ, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, ষোলটাকা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আল হেলাল, সাংগাঠনিক সম্পাদক ফরমান আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গাফ্ফার, গাংনী পৌর বিএনপির সাংগাঠনিক সস্পাদক ইয়ামিন আলী বাবলু, পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আলম কালাম, রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সারগিদুল ইসলাম, গাংনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র নাসির উদ্দিন, রাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ভিজা, গাংনী পৌর বিএনপির সহসভাপতি ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক, পৌর কৃষকদলের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ৯ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আমজাদ হোসেন, রাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোকন, ষোলটাকা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরমান আলী, আমতৈল গ্রাম বিএনপির সভাপতি কুরবান আলী, গাংনী পৌর বিএনপি নেতা আনিছুর রহমান লেবু, সহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পুজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন রাইপুর কালি মন্দির সভাপতি শ্রী শ্যামল দাশ, সাধারণ সম্পাদক রবিন দাশ, চাঁদপুর কালি মন্দির পূজা মন্ডপের সভাপতি সুশান্ত দাশ, আমতৈল কালি মন্দির পূজা মন্ডপের সভাপতি শ্রী শিপন কুমার দাশ, সস্পাদক বিনোদ কুমার দাশ, ভোলাডাঙ্গা দাশপাড়া কালি মন্দির পূজা মন্ডপের সভাপতি নৃত্য কুমার দাশ, সম্পাদক প্রভাস দাশ, শিমুল তলা দাশপাড়া কালি মন্দির পুজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি সাধন কুমার দাশ, পুজা কমিটির সভাপতি বিকাশ কুমার দাশ, সম্পাদক সন্দিপ কুমার দাশ, ষোলটাকার পুজা মন্ডপ কমিটির সভাপতির হাতে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান তুলে দেন।

আমজাদ হোসেন আরো বলেন, সনতানী ধর্মের মানুষ সবাই সমান। এখানে উচু নিচু জাত বলে কিছু নেই। দাশ সম্প্রদায়ের মানুষকে ছোটো ভাবার অবকাশ নেই। তিনি বলেন, দেশ নায়ক তারেখ রহমান বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে মন্দিরে মন্দিরে গিয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার নির্দেশ ও সব ধরনের সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, কোনো দু:স্কৃতিকারি হুমকি ধামকি দিলে বিএনপির নেতাকর্মীদের জানানোর আহবান জানান তিনি।

এছাড়া পিজা বিসর্জন পর্যন্ত হিন্দু সস্প্রদায়ের মানুষকে জাগ্রত থাকারও আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, এদেশে হিন্দু মুসলমান এক সাথে সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছেন।

শারদীয় দুর্গোৎসব পালনে কেউ কোনো বাঁধা দিলে বিএনপির সকল নেতাকর্মীরা সেটা প্রতিহত করবে। পুজা বিসর্জন পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃবৃন্দ পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

আমজাদ হোসেন আরো বলেন, মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধের যায়গা থেকে হাজারো দু:খ কষ্টের মধ্যে থেকেও তারা শারদীয় দূর্গোৎসবের আয়োজন করে থাকেন সনাতনীরা।

তারেক রহমানের নির্দেশ দিয়েছেন কোথাও যেনো কোনো দু:স্কৃতিকারি দুর্ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন।




মেহেরপুর হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক কমিটি গঠন

মেহেরপুর হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে এক বর্ধিত সভায় ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এ কমিটি গঠন করা হয়।

ব্যবসায়ী মোঃ শামীমুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং মোঃ তৌফিকুর রহমানকে যুগ্ন-আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন মোঃ হাসেম আলী, মোঃ সালাউদ্দিন (ভোলা) এবং মোঃ মামুনুর রশিদ। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে বাজারের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় ও ব্যবসায়ীদের নির্বিঘ্নে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনায় সহযোগিতা প্রদানের লক্ষে বর্ধিত সভা অনুষ্টিত হয়।

বর্ধিত সভার সভাপতিত্ব করেন হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মোঃ আব্দুল হান্নান। এছাড়াও এসময়, হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদ ইকবাল সিমন, ব্যবসায়ী মোঃ মমিনুল ইসলাম, মোঃ আলী আকবর, মোঃ হাসান রসুল, আবু হোসেন কাকন, মোঃ রাশেদ খান, মোঃ বিল্লাল হোসেন মিঠু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে ঝিনাইদহে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে ঝিনাইদহে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে জেলা প্রানি সম্পদ কার্যলয় হতে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহর প্রদক্ষিন করে একই স্থানে শেষ হয়।

পরে জেলা প্রানি সম্পদ কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় ঝিনাইদহ জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এএসএম আতিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রানি সম্পদ ও ডেইরি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডাঃ মোঃ জসীম উদ্দিন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রেজাউল করিম, শৈলকুপা উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মামুন খান, দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দীন আজাদ, মহেশপুর উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির, কোটচাঁদপুর উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ নোমান আলী। এছাড়া উপজেলা থেকে আগত খামারীবৃন্দ ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে বিশ্ব ডিম দিবস পালিত

“ডিমে পুষ্টি ডিমে শক্তি, ডিমে আছে রোগ মুক্তি এ প্রতিপাদ্যকে ধারন করে মেহেরপুরে বিশ্ব ডিম দিবস পালিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ টাই মেহেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের উদ্যোগে বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‌্যালি আয়োজন করা হয়।

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত), ডাঃ সৈয়দ ছাকিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আবু বক্কর, আরিফুল আলম রফিকুল ইসলাম প্রমূখ। পরে সেখানে ডিম খাওয়ানোর উদ্বোধন করা হয়।




ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলন ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার  সকাল ৯টায় ঝিনাইদহ আল-হেরা স্কুল মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঝিনাইদহ জেলা শাখার আয়োজনে এই সম্মেলন ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মাওলানা আলী আজম মোঃ আবুবক্কারের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল আউয়ালের সঞ্চালনায় রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল টিমের সদস্য ড.আলমগীর হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল টিমের সদস্য অধ্যক্ষ খন্দকার আলী মহসিন।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড.আলমগীর হোসেন বলেন, যারা জামায়াত শিবিরের আদর্শিক রাজনীতিকে পছন্দ করতো না, যারা জামায়াত শিবিরের রাজনীতিকে সর্বদা জনগণের সামনে খারাপ বলতো, যারা জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল, তারাই আজ জনগণের ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন দেশ ও জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করলে তাদেরকে এভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হতো না। তিনি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্য হলে এদেশের জনগণের সত্যিকারের কল্যাণ হবে বলে উল্লেখ করেণ এবং জামায়াত শিবিরকে কালের মুয়াজ্জিনের ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।

প্রায় ১৫ বছর আওয়ামী সরকারের জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতনের শিকার জামায়াতে ইসলামী জুলাই আগস্টের ছাত্র জনতার অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রকাশ্যে রুকন সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যায়।

রোকন সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামী জেলার কর্মপরিষদ সদস্য, জেলা শুরা সদস্যবৃন্দ, উপজেলা আমির ও সেক্রেটারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের মানুষ জামায়াতকে চাচ্ছে তাই আমাদেরকে ইলম, আমল ও নেতৃতের¡ যোগ্যতার পরিচয় দিতে হবে এবং পাড়া, মহল্লায়, গ্রাম ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গণ দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার আহবান জানান।

পরে জেলার কর্মপরিষদ সদস্য, জেলা শুরা সদস্যবৃন্দ, উপজেলা আমির ও সেক্রেটারিবৃন্দ, রুকন, মহিলা রুকনসহ সকলের উপস্থিতিতে গোপন ভোটে এ সম্মেলনে জেলা ইমারতের আমির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় যৌথভাবে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেন যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল টিমের সদস্য অধ্যক্ষ খন্দকার আলী মহসিন ও ড.আলমগীর হোসেন।




মেহেরপুর পৌর বিএনপির উদ্যোগে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও পুরোহিতদের উপহার প্রদান

মেহেরপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজার বিভিন্ন মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন মেহেরপুর পৌর বিএনপি নেতারা।

গতকাল শুক্রবার রাতে মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিএনপির নেতৃবৃন্দরা পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সহসভাপতি হাবিব ইকবাল, আব্দুস ছামাদ, বিএনপি নেতা ও সাবেক কমিশনার মনি, মেহেরপুর জেলা জাসাসের সভাপতি মাহফুজুর রহমান অশেষ, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক, যুবদল নেতা ঈমন বিশ্বাস প্রমূখ।

এ সময় মন্দিরের পুরোহিতদের হাতে দূর্গা উৎসব উপলক্ষে উপহার তুলে দেন মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস।

এ বিষয়ে হরিসভা মন্দিরের পুরোহিত শ্রী শ্যামল ভট্টাচার্য বলেন, পূজা উপলক্ষে জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের এ উপহার আমাকে গর্বিত করেছে। আমি তার সফলতা সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু প্রার্থনা করছি। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্যের মেহেরপুর জেলা শাখার আহবায়ক শ্রী মাধব ভাস্কর বলেন, মেহেরপুর জেলার ৩৮ টি পূজামণ্ডপে দুর্গা উৎসব সুন্দর ও সাবলীলভাবে পালিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় সকল জাতিধর্মের মানুষ আমাদের সহযোগিতা করছে। হরিসভা মন্দিরের সভাপতি শ্রী রণজিৎ দাস বলেন, পূজা অর্চনা ভালো হচ্ছে। সমাজের সকল শ্রেণীপেশার মানুষ মন্দিরে এসে সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছেন।