চুয়াডাঙ্গায় বাটারফ্লাই হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশনের জেলা কমিটি গঠিত

চুয়াডাঙ্গায় সমাজের নির্যাতিত, নিপীড়িত, অসহায়, অধিকারবঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তাদান সহ নানাবিধ সামাজিক উন্নয়নমুলক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ঢাকা থেকে পরিচালিত “বাটারফ্লাই হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশন” এর চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গত বৃহঃস্পতিবার বিকাল ৪ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকন্দবাড়িয়া বটতলা বাজারে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা শেষে এ জেলা কমিটি গঠন করা হয়।

এতে ফিজিওথেরাপী চিকিৎসক মোঃ শফিকুল ইসলাম জান্টুকে সভাপতি, মুন্সী শহীদুল্লাহ শহীদকে সহ-সভাপতি, মোঃ মতিয়ার রহমান মন্টুকে সাধারণ সম্পাদক, মোঃ রেজাউল হককে সহ-সাধারণ সস্পাদক, মোঃ শরিফুজ্জামানকে কোষাধ্যক্ষ, মোঃ নুরুল আলম বাকু কে সাংগাঠনিক সম্পাদক, মোঃ সায়েম হোসেনকে দপ্তর সম্পাদক, এ্যাডঃ আশরাফুল হককে আইন বিষয়ক সম্পাদক, মোঃ ইব্রাহিম আলীকে সমাজকল্যাণ সম্পাদক, আল-মামুন কে প্রচার সম্পাদক ও মাওলানা মোহাম্মদ ওসমান গনীকে কে নির্বাহী সদস্য মনোনীত করে মোট ১১ সদস্য বিশিষ্ট এক বছর মেয়াদি এ কমিটি গঠন করা হয়। ইহা একটি স্বেচ্ছসেবী বেসরকারী, অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।




দামুড়হুদায় বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল হামিদ রেজা

চুয়াডাঙ্গা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( রাজস্ব) নাজমুল হামিদ রেজা বলেন আমরা সবাই বাঙ্গালি জাতি, বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে এটাই আমাদের বড় পরিচয়। সাম্প্রদায়িক চেতনায় নয় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আমরা বাংলাদেশ গড়ব। শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব হিন্দু ধর্মালম্বী ভাই-বোনদের সবচেয়ে বড় উৎসব এবং এটা বাঙালি সংস্কৃতির একটা অংশ। সেজন্য সকলে মিলে আমরা এই উৎসব পালন করব যেখানে কোন ভেদাভেদ থাকবে না।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে দামুড়হুদা সদর ইউপির পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের চিৎলা শ্রী শ্রী সার্বজনীন পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে এসে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ মহল এ সময় তিনি বলেন, আমার উপজেলায় ২০ টি পূজা মন্ডপে জাঁকজমকপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন হচ্ছে, পূজা উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ সহযোগী বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থা কাজ করে চলেছে, এবার শারদীয় দুর্গা পূজা উৎসবে এই উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে যেভাবে হিন্দু মুসলমান ভাই সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সহযোগিতা করছে এটা দেখে আমি সত্যিই অভিভূত হয়েছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান, সহকারী কমিশনার আব্দুর রহমান, সহকারি কমিশনার আসফাকুর রহমান, সরকারি কমিশনার সামিউল আজম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তোফাজ্জল হক, এনজিও ব্র্যাকের জেলা সমন্বয়ক মানিক রুগা, দামুড়হুদা মডেল থানার অপারেশন্স ওসি (তদন্ত) হিমেল রানা, এসআই বাকি বিল্লাহ, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম বাবলু, উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাশেম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি সজিবুল ইসলাম, হাসনাত খুশবু, সৌরভ, আকাশ, চিৎলা শ্রী শ্রী সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সভাপতি মদন কুমার হালদার, সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণু কুমার হালদার, দামুড়াহুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি সামসুজ্জোহা পলাশ, সহ-সভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, বিএনপি নেতা মনজুর রহমান, যুবদল নেতা খোকন আলী, আব্দুস সালাম সহ পূজা মন্দিরে আগত অসংখ্য ভক্তবৃন্দ। আগত অতিথিবৃন্দ চিৎলা শ্রী শ্রী সার্বজনীন পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে আসলে তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন মন্দিরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকসহ ভক্তবৃন্দ।




আলমডাঙ্গায় যৌথবাহিনীর অভিযানে রিভলভারসহ মোটরসাইকেল আটক

আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে ১টি রিভলবারসহ রেজিস্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেল এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের কারিগর পাড়া এলাকা থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা আর্মি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মোহাঃ জয়নুল আবেদীন এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এতে বলা হয়, উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের কারিগর পাড়ায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। এসময় দুষ্কৃতিকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি রিভলবার উদ্ধার করে। সেই সাথে একটি অনিবন্ধিত মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানান দায়িত্বরত ওই সেনাকর্মকর্তা। উদ্ধারকৃত মালামাল সামগ্রী আলমডাঙ্গা থানায় প্রেরণ করা হয়।




পুজার ছুটিতে বাড়ি ফেরা হলো না আলমডাঙ্গার গৌরবের

পুজার ছুটিতে আর বাড়ি ফেরা হলো আলমডাঙ্গার সোনাপট্রটির গৌরব কুমার পালের। মোটর সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে রাজশাহীর হরিপুরে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে ট্রাকের সাথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান এই যুবক। নিহত যুবক গৌরব পাল (২৯) আলমডাঙ্গার সোনাপট্রির ধীরেন্দ্র নাথ পালের ছেলে।

পরিবারিক সুত্রে জানা গেছে, গৌরব কুমার পাল চাপাইনগরের কানসার্টে পল্লি বিদ্যুতের মিটার রিডারের চাকরী করেন। পুজার ছুটি পেয়ে পরিবােের সাথে উৎসব পালনের জন্য গতকাল সকালের দিকে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি রাজশাহীর হরিপুর এলাকায় পৌঁছালে দ্রুতগামী একটি ট্রাকের ধাক্কায় পিষ্ঠ হয়ে গৌরব পাল ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

সংবাদ পেয়ে তার স্বজনরা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে আলমডাঙ্গায় নিয়ে আসেন। মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার পর এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। তাঁদের পরিবারে উৎসবের আমেজ ফিকে হয়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। রাতে আলমডাঙ্গা মহাশ্মশানে তার দাহকার্য সম্পন্ন করা হয়।




চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের আলমডাঙ্গার বিভিন্ন দুর্গা মন্দির পরিদর্শন

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ জহিরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মাওলা বিপিএম (সেবা) আলমডাঙ্গার শ্রী শ্রী রথতলা দুূর্গা মন্দিরসহ বিভিন্ন পূজা মন্ডব পরিদর্শন করেন।

পূজা মন্ডব পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ, এখানে সকলে মিলে যার যার ধর্ম সেই সেই পালন করবে, এখানে কেউ যদি সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাই আমরা কঠোর হস্তে তা দমন করবো ।

পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩২ টি পুজা মন্ডপে দুর্গা পুজা হচ্ছে, প্রতিটি মন্দিরে পুলিশ আনছার ভিডিপির সদস্য বৃন্দ মন্দিরের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে, আপনারা শান্তিপুর্ণ ভাবে ধর্মীয় উৎসব পালন করবেন, কোন সমস্যা দেখলে আমাদেরকে ফোন করে জানাবেন, আমরা তাৎক্ষণিক ব্যাবস্থা নেবো।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম, জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আবু তালেব, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গনি মিয়া ও পরিদর্শক অপারেশন আসগর আলী।

কর্মকর্তাবৃন্দ রথতলা মন্দির প্রাঙ্গণে পরিদর্শনে আসলে মন্দির কমিটির সভাপতি বিদ্যুৎ কুমার সাহা, সম্পাদক আশিম কুমার সাহা তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে তারা মন্দির প্রতিমা পরিদর্শন করেন।

এ ছাড়াও কর্মকর্তাবৃন্দ আলমডাঙ্গা স্টেশন পাড়া মন্দির, বাবুপাড়া দুর্গা মন্দিরে বেশ কিছু সময় কাটান এবং মন্দিরের সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজ খবর নেন। জেলা প্রশাসন পরে ক্যানেল পাড়া মন্দির ও কালিদাসপুর দুর্গা মন্দির পরিদর্শন করেছেন।এর আগে জেলা আনছার ভিডিপির কমান্ডান্ড ফারুক হোসেন, উপজেলা আনছার ভিডিপি কর্মকর্তা আজিজুল হাকিম মন্দির পরিদর্শন করেন।




মেহেরপুরের রাজনগরে বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ভাংচুরের অভিযোগ

মেহেরপুর সদরের রাজনগরে বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ও টিনসেড ভাংচুরের অভিযোগ তুলেছে রাজনগর গ্রামের ভিতর পাড়ার মিয়ারুল ইসলাম (৫০) ও ভিকু(৫৫) নামের দুই সহোদর।

মিয়ারুল ইসলাম ও ভিকু মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের ভিতর পাড়ার মৃত মনোরদ্দীনের ছেলে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আনুমানিক দেড় টার দিকে রাজনগর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে হাবিব, মনিরুল ও জহিরুল রাতের আঁধারে তাদের বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে দেয় এবং বাড়ীর উঠানে থাকা একটি টিনের চালা ও টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে দেয়। এবিষয়ে মিয়ারুল ইসলাম বলেন, হাবিব আমার চাচাতো ভাই গত ০৭/০৮/২৪ ইং তারিখে হাবিব আমাদের দু’ভাইকে মারধর করে এবং বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে। এবিষয়ে থানায় আমরা এজাহার দাখিল করেছি। আবার গতরাতে তারা তিন ভাই ও ভাইয়ের ছেলে মিলে বাড়ীর পশ্চিম দিকের সীমানা প্রাচীর ও টিনসেড ভাংচুর করে।

তিনি আরও বলেন, ওরা আমার চাচাতো ভাই। এটা আমাদের বাপ-দাদার ভিটা। এখানে মোট জমির পরিমাণ ২৮ শতক। এর মধ্যে আমার দাদা মৃত সাদের আলীর অংশ ১৪ শতক এবং হাবিবের দাদা মৃত আবদুল কাদেরের ১৪ শতক। এখন তারা জোর পূর্বক আমাদের জমির ওপর দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা করতে চায়। এজন্য তারা আমাদের সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করেছে। এবিষয়ে হাবিব বলেন, ওদের জমির দক্ষিণ অংশে আমাদের যাতায়াতের জন্য ১৬ ফুট রাস্তা ছিল। ২৫ বছর আগে চল্লিশ হাজার টাকার বিনিময়ে ঐ রাস্তা কেনা হয়েছে। এই পথেই আমরা যাতায়াত করতাম। কিন্তু ২০১৪ সালে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তারা ঐ রাস্তা প্রাচীর দিয়ে অবরুদ্ধ করে দেয়। তারা আমার পরিবারের উপর অনেক নির্যাতন চালিয়েছে। এবং ২৯/০১/২০ ইং তারিখে পুর্ব শত্রুতার জেরে তারা লোহার রড, লাঠি সোঁটা নিয়ে আমাদের বাড়ীতে অনুপ্রবেশ করে আমার মা ও ছোট ভাইকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

এবিষয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান আছে। প্রতিবেশীরা বলেন, ঐদিক দিয়ে একটা রাস্তা ছিল সেটা আমরা দেখেছি। আওয়ামী শাসন আমলে তারা প্রভাব খাঁটিয়ে সেই রাস্তা বন্ধ করে প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেয়। এখন এরা তার বদলা নিচ্ছে।




মেহেরপুর জেলা বিএনপির একাংশের পূজামন্ডপ পরিদর্শন

মেহেরপুর জেলা বিএনপির একাংশের উদ্যোগে শারদীয় দুর্গা উৎসব-২০২৪ উপলক্ষে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন পূজা মন্দির পরিদর্শন করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু মেহেরপুর শহরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।

পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু সকলকে শারদীয়া শুভেচ্ছা জ্ঞাপন ও উৎসবমুখর পরিবেশে সকলকে পূজা উদযাপনের আহবান জানান।

এসময় জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক ফয়েজ মোহাম্মদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিজান মেনন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান লাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক, জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব ও জেলা যুবদলের সদস্য মনিরুল ইসলাম মনিসহ জেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




মুজিবনগরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে বল্লভপুর মুসলিমপাড়া বিএনপির আয়োজনে, যুবক্লাব প্রঙ্গনে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

দোয়া মাহফিলে বাগোয়ান ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি গোলাম জিলানী খান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা বাবলা মল্লিক, উপজেলা কৃষকদলের নেতা রমজান আলী, বিএনপি নেতা রহিত মোড়ল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজীর, কেদারগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুস সবুর, জেলা যুবদলের সহসভাপতি আব্দুল হামিদ, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি, শফিকুল ইসলাম, তরুন উদিয়মান যুবনেতা আরবাজ খাঁন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুর রশিদ বলেন, আওয়ামীফ্যাসীবাদী সরকারের দীর্ঘদিনের জুলুম নির্যাতন, হামলা মামলা সহ্য করে জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে ধীরে ধীরে লৌহ ইস্পাত কঠিন হয়েছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি। জুলাই আগস্ট এ ছাত্র-জনতার মহা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মুক্তি পেয়েছে নির্যাতিত জাতি অজস্র বিএনপি ছাত্রদল যুবদল নেতা কর্মীদের রক্তঝরানো সংগ্রাম এবং পরিশেষে জুলাই আগস্ট এর ছাত্র জনতার মহা সংগ্রাম এবং বুকের তাজা রক্ত ফেলে দিয়ে এই দেশকে ফাঁসিবাদ মুক্ত করেছে। ওই হায়েনা শেখ হাসিনার হাত থেকে মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ মানুষ এখন মুক্ত বাসার বাতাসে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। আজ এই মুসলিম পাড়া বিএনপির আয়োজিত এই সভায় আমরা প্রাণ ভরে দোয়া করি সেই মহান আল্লাহর কাছে বাংলাদেশের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেন।

১৬ বছর ধরে নির্যাতিত সকল বিএনপি নেতা কর্মীদের একত্রিত হয়ে আগামীতে বিএনপির হাতকে শক্তিশালী করে বিএনপিকে ক্ষমতায় এনে সারা বাংলাদেশের মানুষকে একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে হবে। এজন্য সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে সকল বিএনপির নেতা কর্মীরা এক হয়ে কাজ করে যেতে হবে।

এ সময় তিনি জুলাই আগস্টে নিহত সকল ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত রোগ মুক্তি কামনা করেন।




মেহেরপুরে বজ্রপাতে দুই জনের মৃত্যু

মেহেরপুর সদর উপজেলার দফরপুর ও সোনাপুর গ্রামে পৃথক দুটি স্থানে বজ্রপাতের ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যার আগে আকষ্মিক বজ্রপাতের ঘটনায় তাদের দুজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও একজন। নিহতরা হলেন দফরপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে রাফিজ (২৩) এবং সোনাপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ। আহত হয়েছেন সোনাপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান। তিনি মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার আগে আকষ্মিক বৃষ্টি শুরু হয় মেহেরপুরের কিছু গ্রামে। এসময় বৃষ্টির সাথে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। সদর উপজেলার দফরপুর গ্রামের রাফিজ কবুতর পোষেন। মাঠে যান কবুতরের খোজে। সন্ধ্যার পর তার দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

অপরদিকে, একই উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মাঠে কৃষিকাজ করছিলেন আব্দুর রশিদ ও আব্দুল মান্নান। এসময় আকষ্মিক বৃষ্টি ও বজ্রপাতের আঘাতে আব্দুর রশিদের মৃত্যু হয় এবং আব্দুল মান্নান আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি মো: আমানুল্লাহ আল বারী বজ্রপাতে পৃথক দুটি স্থানে দুজন নিহত এবং একজন আহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।




মুজিবনগরে অস্ত্রসহ সাবেক ইউপি সদস্য আটক

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় তৈরি একটি ওয়ান শুটার গানসহ সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মিজারকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।

শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচ থেকে শুরু করে তিন ঘন্টা ব্যাপী মিজার বাড়িতে এ অভিযান পরিচালনা করে যৌথবাহিনী। আটককৃত মিজানুর রহমান মিজার উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। তিনি একই গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে।

মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, মিজানুর রহমান মিজারের বাড়িতে অস্ত্র আছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকালে যৌথ বাহিনীর একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করে। পরে তাকে  জিগাসাবাদের একপর্যায়ে তার বাড়িতে অস্ত্র আছে বলে সে নিজের মুখে স্বীকারক্তি দেয় । তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বাড়ির ঘরের পূর্বপাশে একটি গোয়াল ঘরের পাশে গর্ত খুড়ে মাটির নিচে থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরও জানান, এ বিষয়ে মিজারের নামে অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে।