মেহেরপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে জামায়াতের আর্থিক অনুদান

মেহেরপুরে সনাতনী ধর্মালম্বীদের মাঝে জামায়াতের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১২ টার সময় মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে আমদহ গ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে অসহায় হিন্দু ধর্মালম্বী নারী পুরুষদের মাঝে এই অনুদান তুলে দেওয়া হয়।

আমদহ ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা তাজ উদ্দীন খান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর সোহেল রানা ডলার, উপজেলা নায়েবে আমির আব্দুল জব্বার, সদর উপজেলা সেক্রেটারি জাব্বারুল ইসলাম মাস্টার।

এই ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫০ জন নারী পুরুষদের মাঝে অনুদানের টাকা তুলে দেওয়া হয়।




মুজিবনগরে অনলাইন জুয়াড়ির বাগান বাড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান আটক ৪

মুজিবনগর এলাকার শীর্ষ অনলাইন জুয়াড়ির বাগান বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।

আটকরা হলেন, মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রফা গাইনের ছেলে এলাকার শীর্ষ অনলাইন জুয়াড়ি মোঃ শাহরিয়ার আজম পরাগ (৩০), রায়হান আলীর ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান (৩৫), ভবানীপুর গ্রামের উকিল শেখের ছেলে মোঃ সন্তোষ (৩২) ও শিবপুর গ্রামের আইর উদ্দিনের ছেলে রিপন (২৭)।

এসময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ৩ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল, ১০০ গ্রাম গাঁজা ও ৩ টি গাঁজা খাওয়ার কল্কি জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে যৌথবাহিনির একটি টিম শিবপুর গ্রামের কুশকরালী মাঠে অনলাইন জুয়াড়ি লিপুর বাগান বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর একটি দল ওই বাগান বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে চার ব্যক্তি আটক হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ৩ বোতল ফেনসিডিল ১০০ গ্রাম গাঁজা ও ৩ টি গাঁজা খাওয়ার কল্কি জব্দ করা হয়েছে। তবে, তাদের মোবাইল ফোন চেক করে অনলাইন জুয়ার তথ্য মেলেনি। আটকদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




দামুড়হুদার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান

দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু ‘র পক্ষে দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ পূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: আব্দুল ওয়াহেদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল হাসান তনু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাশেম, দামুড়হুদা উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহিম, সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত আনছার আলী, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আক্তার সিদ্দিকী, উপজেলা যুবদলনেতা মোমিনুল হক, আরিফুল ইসলাম আরিফ সহ বিএনপি, যুবদল সহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।




“হিন্দু মুসলিম এক সাথে সৌহার্দ্য সম্প্রীতির মধ্যে দিয়ে ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন”

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, দু’শো বছরের ইতিহাস স্বাক্ষী দেয় বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম এক সাথে সৌহার্দ্য সম্প্রীতির মধ্যে দিয়ে ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বিভিন্ন পূজা মন্ডপে পৌঁছালে মন্ডপের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ তাদের ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।

এসময় উপজেলা বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক ও রাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহিল মারুফ পলাশ, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, গাংনী পৌর বিএনপির সাংগাঠনিক সস্পাদক ইয়ামিন আলী বাবলু, পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আলম কালাম, মেহেরপুর জেলা মহিলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসমা তারা, রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সারগিদুল ইসলাম, গাংনী পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, রাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভিজা, গাংনী পৌর বিএনপির অর্থ সম্পাদ গোলাম হোসেন, গাংনী পৌর বিএনপির ৫ নং ওয়ার্ড সভাপতি গোলাম কাওছার, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক, সাহারবাটি ইউনিয়ন কৃষকদলের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মাষ্টার, ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা আহসান হাবিব, যুবদল নেতা আমজাদ হোসেন, কৃষকদল নেতা ফজলুর রহমানসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন গাংনী উপজেলা শহরের কেন্দ্রীয় পুজামন্ড, দাশপাড়া পুজামন্ডপ, চৌগাছা দাশপাড়া পুজামন্ডপ, গাঁড়াডোব পুজামন্ডপ, সাহারবাটি ইউনিয়নের ভোমরদহ দাশপাড়া পুজামন্ডপ ও হিজলবাড়িয়া দাশপাড়া পুজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।

এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুজা মন্ডপের নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

গাংনী কেন্দ্রীয় পুজা কমিটির সভাপতি সুশান্ত কুমার পাত্র, সাধারণ সম্পাদক সুকেস চন্দ্র বিশ্বাস, গাংনী দাশপাড়া পূজা কমিটির সভাপতি ধীরেন দাশ, চৌগাছা পূজা কমিটির সভাপতি তারাপদ দাশের হাতে তার ব্যক্তিগত আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।

সনাতন সম্প্রদায়ের কাছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের পক্ষে শারদীয় শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন এবং নির্বিঘ্নে শারদীয় উৎসব পালনের আহ্বান জানান।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আমজাদ হোসেন বলেন, এদেশে হিন্দু মুসলমান এক সাথে সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছেন। পুজা উৎযাপন উপলক্ষে হিন্দু মুসলিমদের বন্ধন সব সময় অটুট থাকে। শারদীয় দুর্গোৎসব পালনে কেউ কোনো বাঁধা দিলে বিএনপির সকল নেতাকর্মীরা সেটা প্রতিহত করা হবে। পুজা বিসর্জন পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃবৃন্দ পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

উল্লেখ্য, গাংনী উপজেলা ১৭টি মণ্ডপে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব চলছে। শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে পালনে পুলিশ ও আনসার-ভিডিপি সদস্যের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল রয়েছে। এছাড়া সাদা পোষাকে গোয়েন্দাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে সোনাতলার ১৭টি মন্ডপে যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের হেল্পডেক্সসহ রয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।




দামুড়হুদায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিনটি প্রতিষ্ঠানে জরিমানা

দামুড়হুদা উপজেলা সদরের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এর সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে দামুড়হুদা চৌরাস্তার মোড়ে মেসার্স সেলিম মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, টুকিটাকি ষ্টোর ও মেসার্স আলফাজ ডিম হাউজের মালিককে এ জরিমানা করা হয়।

জানাযায়,দামুড়হুদা সদরের তিনটি প্রতিষ্ঠানে পণ্য বিক্রয়ের মুল্য তালিকা প্রদর্শন না করে পণ্য বিক্রয় করার অপরাধে দোষি সাবস্ত করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭/৪৩ ধারায় চৌরাস্তার মোড়ে মেসার্স সেলিম মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক সেলিম উদ্দীনকে ৪ হাজার টাকা, ৩৮/৪৫ ধারায় মেসার্স আলফাজ ডিম হাউজের মালিক মোহাম্মদ আলিকে ৩ হাজার টাকা এবং একই আইনে মেসার্স টুকিটাকি ষ্টোরের মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন দামুড়হুদা মডেল থানা’র পুলিশ।




দর্শনায় হঠাৎ করে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, মাদকে ভাসছে দর্শনা

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। দিনে দুপুরে পিস্তল ঠেকিয়ে লুটের চেষ্টা ও বোমা রেখে আতংক সৃষ্টি করা অস্ত্রসহ গ্রেফতার চারিদিকে মাদকের ছড়াছড়ি। এ সব ঘটনায় দর্শনাসহ আশপাশের মানুষ আতংক বিরাজ করছে।

গতকাল বুধবার দিন দুপুরে ব্যুরো বাংলাদেশ অফিসে দিন দুপুরে সশস্ত্র দুর্বত্তারা এনজিওর হিসাবরক্ষকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে জিম্মি করে লুটের চেষ্টা করে। গত বুধবার দিনগত রাতে চুয়াডাঙ্গা সেনাবাহিনী অভিযান চালায় দর্শনা পৌর এলাকার শান্তিপাড়ায় অভিযান চালিয়ে বিএনপির ক্যাডার শাহারুলকে গ্রেফতার করে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে তার বাড়ির পিছনের মাটির নিচ থেকে বিদেশী নাইন এম এম পিস্তল ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।

এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যৌথ অভিযান চালিয়ে প্লাস্টিকের কন্টিনেটার ভর্তি ৭২৪ লিটার কেরুজ বাংলা মদ উদ্ধার করে। গত মঙ্গলবার ৯ আগষ্ট দুপুরে ঢাকা আশুলিয়ায় ১৮ হাজার কেরুজ মদ উদ্ধার করে।এ সময় কভারভ্যান থেকে ১৮ হাজার বোতল মদসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ৩র ডিএডি মাহযুব হোসেন। এতে করে দর্শনায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। আবার শুরু হযেছে মাদকের রমরমা ব্যাবসা।

জানা গেছে, দর্শনা থানায় সর্বমোট ৩২০ টি বিভিন্ন মামলার মধ্যে ১৬৭ টি মাদকের মামলা। সেখানে মাদকসহ অন্যান্য মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ৭৫৭ জন। গত ১ বছর ৩ মাসে দর্শনাসহ থানা এলাকায় ব্যাপক হারে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসা বেড়েছে।

এদিকে বিভিন্ন সময় মাদক বিরোধী অভিযানে গ্রেফতারের পাশিপাশি উদ্ধার করা হয়েছে ভারতীয় ফেনসিডিল, ইয়াবা, বিদেশী মদ, চোলাই মদ, টেপেন্ডাল ট্যাবলেট, গাঁজা, গাঁজার গাছ, বিদেশী সিগারেটসহ আরও অনেক ধরেন মাদকদ্রব্য।
এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে বসে মাদকের আড্ডা। দর্শনা মদনা গ্রামের টাওয়ারের পাশে দোকানের পিছনে প্রতিনিয়ত চলছে মাদকের আড্ডা। পরাণপুর স্কুল মাঠে সন্ধায় চলছে গাঁজা সেবন, দর্শনা রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় প্রতিদিন বিকালে ইয়াবা ও ফেন্সিডিল বিক্রি।

এছাড়াও দর্শনার আকন্দবাড়িয়া রামনগর, জয়নগর, ঈশ্বরচন্দ্রপুর, আজমপুর ও শ্যামপুর গ্রামসহ থানাধীন বিভিন্ন স্থানে মাদক সেবন যেন ওপেন সিকরেট। দর্শনায় রয়েছে বৃহত্তম চিনিশিল্প, রয়েছে রেলওয়ে শুল্ক ষ্টেশন ও আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট। এ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত কোলঘেঁষা এলাকা দর্শনা। এই দর্শনায় হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মরন নেশা ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের নেশাজাত দ্রব্য। এসব সেবন করছে উঠতি বয়েসের যুবকরা ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলারাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে করে দর্শনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আসে মাদক সেবন করতে। পুলিশ প্রশাসন দুএকটি ছোট মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে মাদকের শীর্ষ গডফাদারা। প্রশাসন এখনই লাগাম টেনে না ধরলে ভয়াল মাদকের ছোবলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিঃশেষ হয়ে যাবে।

এ আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে এ এসপি জাকিয়া সুলতানা বলেন, দর্শনা বাসস্ট্যান্ড মাস্টপাড়া ব্যুরো বাংলাদেশ অফিসের ছিনতাই চেষ্টা ঘটনা তড়িৎ পদক্ষেপ নিয়েছি পাশাপাশি গতরাতে অস্ত্র উদ্ধার এবং মাদক উদ্ধার সহ সর্বক্ষেত্রের তাৎপর রয়েছে। আমরা যদি সুনির্দিষ্ট উপায় তথ্য থাকে আমাদেরকে জানাবেন আমরা দ্রত পদক্ষেপ নেব। আমরা সব সময় তৎপর আছি। শুনি চারদিকে মাদক আছে তার কোন নির্দিষ্ট তথ্য পায়নি যার কারনে মাদক আটক করা সম্ভব হয় না আপনাদের কাছে কোন সুনির্দিষ্ট তত্ত্ব থাকলে আপনারা জানাবেন আমরা সাথে সাথে পদক্ষেপ নেব।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার নবাগত ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। এলাকা সম্পর্কে ধারণা কম আগামীতে আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে পদক্ষেপ নেব। এছাড়া আমার প্রয়োজনীয় ফোর্স কম যার কারণে অনেক পদক্ষেপ নিতে পারছি না। এছাড়া বদলি প্রক্রিয়া চলছে এবং পূজা পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেব।




জীবননগরে নিখোঁজের স্কুল শিক্ষকের সন্ধান পেতে মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষক ৪দিন যাবৎ নিখোজ সন্ধান পেতে শিক্ষক শিক্ষাথীদের মানববন্ধন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার সময় জীবননগর পৌর কিন্ডার গার্টেন স্কুলের আয়োজনে জীবননগর বাসষ্ট্রান্ডে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

নিখোঁজ স্কুল শিক্ষক সুজন হোসেন (৩১) জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। এ ঘটনায় নিখোঁজ স্কুল শিক্ষকের বড় ভাই জীবননগর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি)করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সুজন হোসেন দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে জীবননগর শহরে থাকেন।এবং গোপালনগরে ৯ বছর ধরে বাসা ভাড়া করে থাকেন। কিন্তু কোনদিন কারো সাথে কোন ঝামেলা হয়েছে এমন কথা কখনও শুনতে পাইনি। সুজন জীবননগর পৌর কিন্ডার গার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন এর পাশাপাশি টিউশনি করান। আর ছাত্রদের নিয়ে মাঝে মাঝে খেলাধুলা করতেন। হঠাৎ শুনি তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার স্কুলের শিক্ষকরা তাকে খুজে না পেয়ে গ্রামের বাসায় আসে। তারপর জানতে পারি সুজন নিখোজ রয়েছে। পরিবারের সবাই খোজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পাচ্ছি না।

সুজনের ভাগ্নে রানা বলেন, গত রবিবার (৬ অক্টোবর) বিকালে স্কুল থেকে তিনি বাসায় ফেরেন, খাবারের জন্য রাইস কুকারে ভাত রান্নায় বসিয়ে ছিলেন। ঘরের ভিতরে তার একটি নষ্ট ও সচল মোবাইল চার্জে পাওয়া যায় তবে মোবাইল দুটোর একটাও সিম ছিলোনা। পরিচিত সকলের মাধ্যমে খোঁজাখুঁজির পর কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। গত বুধবার সকালে একজন মোবাইলে কল করে জানান, তাকে ঢাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। আমরা গাড়ি নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর মধ্যে তিনি আবার ফোন দিয়ে রক্তের গ্রুপ জেনে নিলেন, কিছুক্ষন পর জুরুরি চিকিৎসা বাবদ টাকা দাবি করেন বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পর থেকে তাদের মোবাইল বন্ধ পাচ্ছি।

জীবননগর পৌর কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, গত সোমবার সকালে তিনি স্কুলে যায়নি, মঙ্গলবারও না গেলে তখন স্কুলের শিক্ষকরা তার মোবাইলে যোগাযোগ করেন কিন্তু বন্ধ পাই। শিক্ষকরা তখন সুজনের গ্রামের বাসায় যেয়ে বিষয়টা জানান। ৪দিন পার হয়ে গেলেও এখনও পযন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি ।
এদিকে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জীবননগর উপজেলা কিন্ডার গার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ আঃ মোতালেব, প্রাইড প্রি ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাসুদ পারভেজ রানা প্রমুখ।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচাজ (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, এই ঘটনায় নিখোঁজের বড় ভাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। আমরা সকল থানায় বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি। আশা করি খুবই দ্রুত তার সন্ধান পাওয়া যাবে।




কোটচাঁদপুরে প্রতিবন্ধী জহুরাকে হুইল চেয়ার ও চেক প্রদান

প্রতিবন্ধী জহুরাকে হুইল চেয়ার ও চেক তুলে দিলেন কোটচাঁদপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে এ সব দেয়া হয়।

সম্প্রতি প্রতিবন্ধী জহুরাকে নিয়ে বেশ কিছু পত্রিকা ও অনলাইন পোটালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তুলে ধরা হয় তাঁর জীবন জীবিকা ও তাঁর বাস্তব ছবি।

সংবাদটি দৃষ্টি গোচর হয় কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মের ওই সময় তিনি জহুরার সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এরপেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে জহুরাকে হুইল চেয়ার ও তাঁর বাসস্থান তৈরিতে চেক দেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল মাওয়া, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম, শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালাম।




মেহেরপুর পুলিশ সুপারের পূজামন্ডপ পরিদর্শন

মেহেরপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে শারদীয় দুর্গা উৎসব-২০২৪ উপলক্ষে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন পূজা মন্দির পরিদর্শন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলের দিকে পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম, পিপিএম জেলার বিভিন্ন পূজা মন্দিরের শারদীয় দুর্গা উৎসব পরিদর্শন করেন।

পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম সকলকে শারদীয়া শুভেচ্ছা জ্ঞাপন ও উৎসবমুখর পরিবেশে সকলকে পূজা উদযাপনের জন্য আহবান জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আব্দুল করিম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমানুল্লাহ আল বারীসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।




শৈলকুপায় চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা আটক

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে মারধর করে চাঁদাদাবির অভিযোগে বাবলু নামের এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

গতকাল বুধবার রাতে শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত বাবলু ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সে উপজেলার ভগবাননগর গ্রামের মনছের আলীর ছেলে।

শৈলকুপা আর্মি ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন শাকিব জানান, বুধবার রাতে ভাটই বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নারায়ণকে আটকে মারধর করে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে বাবলু। সেনাবাহিনীর টহল দল সেখানে উপস্থিত হয়ে জিম্মি অবস্থায় ব্যবসায়ী নারায়ণকে উদ্ধার করে এবং বাবলুকে আটক করে। পরে নারায়ণকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে ও বাবলুকে শৈলকুপা থানায় সোপর্দ করে।

শৈলকুপা থানার ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় আহত নারায়ণের ভাই জয় ঘোষ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।