পৌর কাউন্সিলরদের পুর্ণবহালের দাবিতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন

নাগরিকদের ভোগান্তি দুর ও পৌরসভার সেবা নিশ্চিত করতে ঝিনাইদহে অপসারণকৃত পৌর কাউন্সিলরদের পুর্নবহালের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর এসোসিয়েশনের ব্যানারে এ কর্মসূচী পালিত হয়।

এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ঝিনাইদহের ৬ টি পৌরসভার কাউন্সিলর, পৌরসভার বাসিন্দাসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়।

কর্মসূচীতে বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর এসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মধু, কাউন্সিলর রুহুল আমিন মিন্টু, সামসুল আরেফীন কায়সার, ফারহানা রেজা আঞ্জু, মনিরুজ্জামান, রাকিবুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন, রকিব উদ্দিনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

সেসময় বক্তারা বলেন, পৌরসভার ভোটারদের ভোটে আমরা নির্বাচিত হয়েছি। জনগণের সেবা দেওয়ার জন্য আমাদের তারা নির্বাচিত করেছেন। কিন্তু বর্তমানে পৌরসভার বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সেবা নিতে এসে।

জন্মনিবন্ধন থেকে শুরু করে সকল সেবা পেতে দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। বক্তারা আরও বলেন, আমরা দেশ সংস্কারের পক্ষে। তাই বলে বাদ দিয়ে সংস্কার কিভাবে সম্ভব। পৌরসভার নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের পুর্ণবহালের দাবী জানান তারা।




জনবল নেবে আগোরা

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সুপার শপ আগোরা লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিতে ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগ সিনিয়র অফিসার/এক্সিকিউটিভ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম : আগোরা লিমিটেড

পদের নাম : সিনিয়র অফিসার/এক্সিকিউটিভ

বিভাগ : ইনফরমেশন টেকনোলজি

পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়

শিক্ষাগত যোগ্যতা : কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি

অন্যান্য যোগ্যতা : আইটি সিস্টেমে দক্ষতা

অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ৪ বছর

চাকরির ধরন : ফুল টাইম

কর্মক্ষেত্র : অফিসে

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

বয়সসীমা : নির্ধারিত নয়

কর্মস্থল : ঢাকা

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

অন্যান্য সুবিধা : সাপ্তাহিক ২দিন ছুটি, লাভের ভাগ, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, বীমা, চিকিৎসা ভাতা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা।

আবেদন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে  ক্লিক করুন

আবেদনের শেষ সময় : ১৫ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত।




গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে এবং ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তাতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা,কর্মচারী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বৃন্দ।

আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর)  সকাল ১১ টায় গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নের্তৃত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তব্য রাখেন, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হােসনে মােবারক, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আদিলা আজহার।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত সোমবার বেলা ১২ টায় আদালতের দায়েরকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবোনালের একটি মামলার তদন্তকালে কিছু বহিরাগত যুবক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক কে লাঞ্ছিত করে।

লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় গতকাল গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক বাদী হয়ে গাংনী থানায় এজাহান নামীয় ৮ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা করেছেন। মামলায় এজাহার নামীয় আসামিদের দ্রত গ্রেফতারের দাবি জানান মানববন্ধনে অংশ গ্রহণকারীরা।

মামলায় আসামিরা হলো- গাংনী পৌরসভার শিশির পাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে বসির (৩৫), আব্দুর রশিদের ছেলে গাফার আলী(৩৭), আব্দুল মালেকের ছেলে ঈমান আলী, আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে জনি (৩৬), নজরুল ইসলামের ছেলে সুমন (৩৫), মহাশিন আলীর ছেলে ইয়ামিন আলী(৩৭), আব্দুল ওয়াদু এর ছেলে সাইদুল ইসলাম(৩৭) ও মোরশেদ আলীর ছেলে চান্দু ( ৩৬)।

উল্লেখ্য: মেহেরপুর আদালতের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল এর ২০৮/২০২৪ নাম্বার পিটিশন মামলা তদন্তের শুনানীর জন্য উভয়পক্ষকে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে ডাকা হয়। গতকাল সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে বাদী-বিবাদী অফিসের সামনে হাজির হলে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও বাক বিতন্ডা শুরু হয়। এসময় তিনি উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহবান জানান।

এক পর্যায়ে ১০/১২ জন যুবক রাগান্বিত হয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারকের হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয় ও শার্টের কলার ধরে টানা হেচড়া করে লাঞ্ছিত করে। এর প্রতিবাদ জানালে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী তোফাজ্জেল হোসেনকেও লাঞ্ছিত করে এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেয় তারা। এঘটনায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাদী হয়ে গাংনী থানায় উল্লেখিত ব্যক্তিদের নামে একটি নিয়মিত মামলা করেন। মামলা নম্বর-৫।




সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ!

ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে পৌঁছেছেন সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। পেশাদার ক্যারিয়ার আরও দীর্ঘ। এই লম্বা সময়ে জাতীয় দলের পাশাপাশি বিশ্বের প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেছেন সাকিব। ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে প্রশ্ন উঠেছে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে।

ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে ইংল্যান্ডের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে যান সাকিব। সারের হয়ে সমারসেটের বিপক্ষে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। দুই ইনিংসে নিয়েছিলেন ৯ উইকেট। সেখানেই মূলত প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন। কাউন্টি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। শিগগিরই ইংল্যান্ডের কোনো ল্যাবে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেবেন সাকিব। দেশের একটি গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন বিসিবির এক কর্মকর্তা।

আন্তর্জাতিক বা অন্যান্য ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সঙ্গে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কোনো সম্পর্ক নেই। এটা শুধুমাত্র কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট বা কাউন্টিতে খেলতে হলে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় পাশ করতে হবে এই টাইগার অলরাউন্ডারকে।

পুরো বিষয়টি নিয়ে বিসিবির কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাছে অফিসিয়াল কিছু আসেনি। যেহেতু এটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ব্যাপার নয়, তাই আমাদের জানাটাও গুরুত্বপূর্ণ নয় এই ব্যাপারে। তবে বিসিবি পর্যন্ত এসেছে বিষয়টি। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এটা কেবলই ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সাকিব বিষয়টি জানেন, হয়তো দ্রুতই পরীক্ষা দেবেন। এটার কারণে আন্তর্জাতিক বা অন্যান্য ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে তার কোনো বাধা নেই।’

সূত্র: ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গায় রেলপথ আটকে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ও ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ নামে দুটি ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং চুয়াডাঙ্গা স্টেশন হয়ে চলাচল অব্যাহত রাখার দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে এগারোটাই চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি যশোর হয়ে চুয়াডাঙ্গায় ঢুকলে রেলস্টেশনে আটকে রেখে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন স্থানীয় লোকজন।

খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিত্রা এক্সপ্রেসটি চুয়াডাঙ্গা হয়ে ঢাকা যাচ্ছিলো। এ সময় ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছালে স্থানীয় লোকজন ট্রেনটি আটকে বিক্ষোভ ও বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। পরে বেলা বারোটার সময় অবরোধকারীরা রেলপথ থেকে সরে গেলে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।

বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ও বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেন দুটি ১৫ নভেম্বর থেকে চুয়াডাঙ্গা পরিহার করে যশোর-নড়াইল হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় যাওয়ার কথা। এমন খবর চুয়াডাঙ্গা জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেন দুটির রুট পরিবর্তন হলে চুয়াডাঙ্গাসহ আশপাশের জেলার মানুষ রেলসেবা থেকে বঞ্চিত হবেন। ফলে দুটি ট্রেনের রুট বদল না করার দাবিতে তাঁরা রেলপথ অবরোধ ও মানববন্ধন করেন।

এ সময় চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় ট্রেন যাত্রী সালমান হোসেন বলেন , ১৫ নভেম্বর থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে প্রত্যাহার করে যশোর-খুলনা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় যাবে বলে জেনেছি। এটি কোনোভাবেই আমরা হতে দেব না। এমন সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আমার চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনে মানববন্ধন করছি।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাকিব বিশ্বাস বলেন , চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে ট্রেন কেন, একটি পাথর আমরা সরাতে দেব না। ট্রেন দুটি তো থাকবেই, অনেক আগে থেকে আরও নতুন ট্রেন স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছি। সেই দাবি না মানলে আমরা কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাবো।




তিন সন্তান নিয়ে আবারও বিয়ে করলেন সানি লিওন

বলিউড অভিনেত্রী সানি লিওন আবারও বিয়ে করলেন। তাও আবার মালদ্বীপের সমুদ্র সৈকতে গিয়ে তিন সন্তানকে কোলে নিয়েই বিয়ের আসরে বরের গলায় মালা দিলেন তিনি।

তবে সানি লিওন অন্য কোন পুরুষকে নয় এতদিনের জীবনসঙ্গী ড্যানিয়েলকেই নতুন করে বিয়ে করেছেন।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবারের সঙ্গেই আবারও বিয়ের বন্ধনে নিজেকে বেঁধে নিয়েছেন সানি লিওন। এ দম্পতির সাজানো বিয়েতে পাশে ছিল তাদের তিন সন্তান নিশা, নোয়া ও আশের।

জানা যায়, সানি-ড্যানিয়েল দুজনেই চাইছিলেন তাদের সন্তানরা একটু বড় হলে, নতুন করে বিয়ে করবেন তারা। সন্তানদের বিয়ে সম্পর্কে গুরুত্ব বোঝানোর লক্ষ্যেই এমনটা করার ইচ্ছে ছিল তাদের।

সে কারণেই প্রথম বিয়ের ১৩ বছর পর ফের বিয়ে করলেন সানি-ড্যানিয়েল।

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব একটা মুখ খোলেন না এ অভিনেত্রী।

বহু বছর আগেই পর্ন দুনিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সানি। তবুও নীল ছবির ট্যাগ যেন তার শরীর থেকে সরছে না। মাঝেমধ্যেই অতীত যেন তাড়া করছে অভিনেত্রীকে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীর গলায় শোনা যায় সেই অভিমান। তিনি স্পষ্ট জানান, তার মা এখনও তাকে ঘৃণা করেন!

অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার আসল নাম করণজিৎ কউর। কিন্তু যখন পর্ন দুনিয়াতে পা রাখি তখন আমাকে একটা আকর্ষণীয় নাম রাখতে বলা হয়।

আমি আমার ভাইয়ের নাম ধার নিই। তারপরই আমার নাম হয়ে যায় সানি লিওন। এ ঘটনার পর থেকেই আমার মা আমাকে সহ্য করতে পারেন না। বলা যায়. আমাকে একপ্রকার ঘৃণা করেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ

আদালত কর্তৃক প্রেরিত মামলার তদন্তে শুনানীকালে গাংনী উপজলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক কে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার সময় গাংনী উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে অবস্থিত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় র‌্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে লাঞ্ছিতের বিষয়টি ছিল গাংনীর আলোচিত ঘটনা। র‌্যাব,পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে আসলে গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বর থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে, গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক জানান, দাপ্তরিক কার্যক্রম ছাড়াও বিভিন দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে আদালতে দায়েরকৃত মামলার অধিকতর অনুসন্ধান, প্রতিবেদন ও সুষ্ঠু সমাধান করার লক্ষ্য সালিস মিমাংসা করতে আদালতের পক্ষ থেকে আদেশ প্রদান করা হয়। সেই লক্ষ্য উপজলা পরিষদের প্রায় সকল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। জানা গেছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ (বিচারক) মো. তহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পিটিশন নং-১০৮/২০২৪ মামলার নিস্পত্তি করত আদেশ দেয়া হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ২৭ (১ক)(ক)ধারা অনুযায়ী এই আদেশ ৭ কর্মদিবসের মধ্যে একটি লিখিত অনুসন্ধান প্রতিবেদন এবং উক্ত প্রতিবদনের সমর্থন সাক্ষীদর সাক্ষ্য গ্রহনের কাগজ পত্র সহ প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রমান দাখিলের নির্দশনা দেয়া হয়।

পারিবারিক আদালত সালিস মিমাংসা করতে সে মোতাবেক গতকাল সোমবার বাদী ও বিবাদীদর শুনানীত আহবান করা হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক যথারীতি মামলার বাদী সীমা খাতুন ও বিবাদী তুহিন আলীকে নিয়ে উভয়পক্ষের স্বাক্ষীদের নিয়ে শুনানী করছিলেন। এমতাবস্থায় একদল দুর্বত্ত শিক্ষা অফিসে এসে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করে এবং বিবাদীপক্ষের লাকজনের উপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে তাদেরকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। বাইরে হট্টগাল ও গালিগালাজ শুনতে পেয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক অফিসের গেটের সামনে আসেন। একদল উছৃংখল দুর্বৃত্ত শিক্ষা অফিসারের উপর চড়াও হয় এবং তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারককে নানাভাবে অশ্রাব্যভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে তার শার্টের কলার ধরে টানাহেচড়া করে লাঞ্ছিত করে।

খবর পেয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা দ্রুত শিক্ষা অফিসে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পরবর্তীতে ঘটনার বিবরণ জানতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারকর অফিস কক্ষে আলাচনায় বসেন। এসময় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক ঘটনার বর্ণনা উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, আমি একজন কর্মকর্তা, আমার অফিসে বসে দাপ্তরিক কাজর পাশাপাশি আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলার শুনানী করছিলাম। এসময় ১৫/২০ জন যুবক আমাকে শার্টের কলার ধরে টানা হেচড়া করে, আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করে। তিনি আরও বলেন, বহিরাগত দুবর্ত্তরা আমাদের অপমান করে, লাঞ্ছিত করে, তাহলে আমি বা আমরা কিভাবে কাজ করবো। এসময় একাধিক কর্মকর্তারাও বলেন, এমন পরিস্থিতি হলে আদালতের প্ররিত কোন সালিস, তথ্য প্রমান, অনুসন্ধান রিপাের্ট দিতে পারবো না। তবে সিসি টিভির ক্যামেরায় ত্রুটি থাকায় ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাত্ব করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবহিত করি। পরবর্তীতে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কঠাের ভুমিকা রাখেন জেলা প্রশাসক স্যার। তিনি আরও বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুর্বত্তদের সনাক্ত করা হচ্ছে। তাৎক্ষনিকভাব গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল, মেহেরপুরে দায়িত্ব প্রাপ্ত সেনাবাহিনীদল, র‌্যাব-১২ এর ক্যাম্প ইনচার্জ আশরাফুল্লাহক বিষয়টি অবহিত করা হয়। ঘটনায় জড়িতদের দ্রত আটক এবং আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন বলেও উপস্থিত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

উল্লখ্য,গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের সোহরাব আলীর মেয়ে সীমা খাতুনের সাথে একই উপজলার ঝোরপাড়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে তুহিন আলীর প্রেমর সম্পর্ক নিয়ে ১ বছর আগে নিকাহ রেজিষ্টারের কার্যালয়ে বিয়ে হয়। পরবর্তীত পারিবারিক ভাবে ভুল বুঝাবুঝি হলে ছেলে তুহিন আলী বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে। স্ত্রী সীমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে সীমা খাতুন আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলা দ্রত নিষ্পত্তি করতে ইতোপূর্বে গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দশনা দেয়া হয়েছিল। মামলা নিষ্পত্তি করতে তিনি স্বামী তুহিনের ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু স্ত্রী বাদি সীমা খাতুন নারাজি দিয়ে আদালত অবমাননা করে চলে যায়। পরবর্তীত উক্ত মামলা পুনঃ প্রতিবেদন করে নিস্পত্তি করতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সেই আলোকে তিনি উভয়পক্ষর শুনানী করছিলেন।




গাংনীতে বিশেষ টাস্কফোর্সের অভিযানে জরিমানা আদায়

গাংনীর বামন্দী বাজারের বাদল ট্রেডার্সকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে মেহেরপুরের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বিশেষ টাস্কফোর্স।

আজ সোমবার বিকেলে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বামন্দী বাজারের মাছ, মুরগী, সবজিসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বিশেষ টাস্কফোর্সের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট এনডিসি মো: সাজেদুল ইসলামের নেতৃত্বে বিশেষ টাস্কফোর্স টিম বামন্দী বাজারের বাদল ট্রেডার্সে অভিযান চালায়। দোকানে দ্রব্যের মূল্য তালিকা না থাকায় অত্যাবশকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৫৬ এর ৬/১ধারায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সময়ে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মূল্য তালিকা না থাকায় তাদেরকে সতর্ক করা হয়।

অভিযানে সহায়তা করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টিম।




দামুড়হুদায় ব্যবসায়ীর ৬০লক্ষ টাকা নিয়ে তালবাহানা: থানায় অভিযোগ

দামুড়হুদার পাটাচোরা গ্রামের চুল ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলামের ব্যবসায়ীক টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েগেছে পাটনার লিটন আলী। এঘটনায় ভুক্তভোগী আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে

অভিযুক্ত লিটন আলী সহ ৫জন পাটনারের নাম উল্লেখ করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী আরিফুল ইসলাম দামুড়হুদা উপজেলার পাটাচোরা গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, দেড় বছর পূর্বে দামুড়হুদা উপজেলার পাটাচোরা গ্রামের আরিফুল ইসলামের নিকট চুল ব্যবসায়ীক পাটনার উপজেলার কোমরপুর গ্রামের হায়াত আলীর ছেলে লিটন আলী(৩০) ৩১লাখ ৩২হাজার টাকা নেন। ওই সময় ওই টাকা দিয়ে লিটন আলী চুল কিনে তা থেকে লাভ করে। আমি আমার মূল টাকা বাদে ব্যবসায়ীর লভ্যংশের অধেক টাকা চাইলে সে বলে ব্যবসা বড় হোক তারপর দেবো। এক পর্যায়ে আমার মুল টাকা সহ লভ্যংশের পরিমাণ হয়ে দাড়ায় ৬০লাখ। ওই সময় আমি জানতে পারি আমি বাদে আরো ৫জন সাইড পাটনার নিয়ে সে ব্যবসা পরিচালনা করছে। লিটন অন্যান্য বিবাদীদের প্ররোচনায় সে আমাকে টাকা ফেরত দিতে বিভিন্ন ভাবে কালক্ষেপন করতে থাকে। একপর্যায়ে আমার টাকা ফেরত দিবে না বলেও সাফ সাফ জানিয়ে দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

আমি নিরুপায় হয়ে বিবাদীগণের পরিবারের সদস্যদের কে বিষয়টি জানাতে গেলে বিবাদীগণ আমাকে গালিগালাজ সহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদান করে। গত চারদিন যাবদ অভিযুক্ত ১নং লিটন আলী, ৪নং বিবাদী কুতুবপুর গ্রামের হায়াত আলীর ছেলে হাসান আলী ও ৬নং বিবাদী দেউলী গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে নাজমুল হাসান আত্মগোপনে রয়েছে। এমন অবস্থায় আমি আমার পাওনা টাকা ফিরে পেতে দামুড়হুদা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।




মেহেরপুরে পুলিশের দায়ের করা মামলায় ২০০ জন খালাস

শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশন মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মুকুল, মেহেরপুর পৌর জামায়াতের আমির ও পৌর কাউন্সিলর সোহেল রানা ডলার, মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি খাইরুল বাশার ও গাংনী পৌর জামায়াতের সাবেক আমির আব্দুল মজিদসহ জামায়াতের দুই শ নেতা কর্মীর নামে পুলিশের দায়ের করা মিথ্যা মামলার সকল আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত।

আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিক এই মামলার জামায়াতের সকল নেতাকর্মীদের বেখসুর খালাসের এই রায় দেন।

২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মুজিবনগর উপজেলার গৌরীনগর গ্রামের খালের ধারে জামায়াত নেতাকর্মী জড়ো হয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এসময় মুজিবনগর থানা পুলিশ জামায়াত নেতাকর্মীকে ছত্রভঙ্গ করতে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশ ও জামায়াত নেতাকর্মীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে শিবির কর্মী দেলোয়ার হোসেনসহ ৬ জন গুলিবিদ্ধ হন।

গুলিবিদ্ধ দেলোয়ার হোসেনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথের মধ্যে মারা যান। এসময় গুলিবিদ্ধ হন, শিবিরকর্মী হাসিবুল ইসলাম, রাফিউল ইসলাম, জামায়াত কর্মী আক্তারুজ্জামান, আব্দুস সালাম ও মানিক হোসেন।

এসময় মুজিবনগর থানা পুলিশের তৎকালিন ওসি রবিউল ইসলাম, এসআই মান্নানসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।

পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ এনে মুজিবনগর থানার তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে জামায়াত শিবিরের ২০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা করেন। মামলার নং ৬৩২/১৩ ইং।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশন মেহেরপুরের সভাপতি ও তৎকালিন বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মুকুল।

এছাড়া মামলার উল্লেখযোগ্য নেতারা হলেন, মেহেরপুর পৌর জামায়াতের আমির সোহেল রানা ডলার, জেলা ছাএ শিবিরের সাবেক সভাপতি মো: সাইফুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি খাইরুল বাশার, গাংনী পৌর জামায়াতের আমির আব্দুল মজিদ।

মামলাটি দীর্ঘদিন চলার পরে আজ সোমবার দুপুরে নির্ধারিত দিনে জামায়াত শিবিরের ২০০ নেতাকর্মী আদালতে উপস্থিত হলে বিচারক সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।

মেহেরপুর জেলা শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল জানান, ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে পুলিশ জামায়াত ইসলামীর অসংখ্য নেতাকর্মীর নামে গত ১৬ বছরে ৮৬টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছিলো কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে। স্বেরাচার সরকারের আমলে এসব মামলায় জামায়াতের শতাধিক নারী নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। জামায়াত শিবিরের শত শত নেতাকর্মীকে রিমান্ডের নামে করা হয়েছে অমানবিক নির্যাতন।

এ মামলাসহ ১১টিতে খালাস পেয়েছেন আসামিরা। বাকী মিথ্যা মামলাগুলো থেকেও দ্রুত খালাস পাবেন এ প্রত্যাশা জামায়াতে নেতাদের।