এক দফা দাবিতে গাংনীতে প্রাথমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নিসহ বেতন বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে সহকারি শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেড বাস্তবায়নের এক দফা দাবিতে গাংনীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টার পরে গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আক্তারুজ্জামান বকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান বকুল।

রোকনুজ্জামান পলাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধানখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন, খড়মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুল ইসলাম, করমদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম খলিল, সাহারবাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকলেছুর রহমান, এবাদৎখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাওছার আলী, হিজলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ শিরিন, বালিয়াঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম, বালিয়াঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মাসুদ ইখতিয়ার, দিঘলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুর রহিম, হাড়িয়াদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক লাবনী খাতুন, কুঞ্জনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জহুরুল ইসলাম, কাথুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আসিফ আহমেদ প্রমুখ।

শিক্ষকদের দাবি ১৩তম গ্রেড এর বেতন স্কেল তাদের জন্য চরম বৈষম্যের। এই গ্রেডে চলতে পারে না একজন শিক্ষকের সংসার। মাত্র ১৫ দিনের মতো চলার পর তাদের ধার দেনা করে চলতে হয়। যে কারণে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলমান থাকবে।

পরে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনূস এর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।




মেহেরপুরে প্রাথমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন

“শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতিসহ সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেডে বেতন নির্ধারিত করতে হবে ও প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রাণের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধনে আয়োজন করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের সামনে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও সদর উপজেলা শাখার উদ্দ্যোগে স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।

এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদান করে সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম মিন্টু, আজহার আলী, আরিফুল ইসলাম, ইনজামুল হক, বিজলী খাতুন, মীর সাদিক, মিনারুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, শাহানা ফিরদৌস, আসাদুল হক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকাশ কুমার কুন্ডু কাছে  মানববন্ধন উপস্থিত শিক্ষকরা  স্মারকলিপি প্রদান করেন।




ডা. কাজল আলীর এমডি ডিগ্রি অর্জন

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের মেডিকেল অফিসার মেহেরপুরের কৃতি সন্তান ডা. কাজল আলী কার্ডিওলজিতে এমডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

আজ বুধবার তাঁর এ ফলাফল প্রকাশিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট তিনি কোর্স করছিলেন।

ডা. কাজল আলী ৩৩  তম বিসিএস এ মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে এসএসসি, মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে ১৯৯৯ সালে এইচএসসি এবং পরবর্তিতে বরিশাল মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। তার স্ত্রীও একজন চিকিৎসক হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। তিনি মেহেরপুর ঘোষপাড়ার আকবর আলীর সন্তান।

চাকরি জীবনের শুরুতে কিছুদিন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি ন্যাশনাল হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে বদলি হন।

চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন মানবিক সংগঠনের সাথে নিজেকে জড়িত রাখেন। মানব কল্যানে তিনি নিজেকে সর্বদা বিলিয়ে দেন। সপ্তাহে দুই দিন তিনি নিজ এলাকার মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য মেহেরপুরে ছুটে আসেন।




কোটচাঁদপুরে পরিত্যক্ত ভবনে বসবাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তর

১৬ মাস হল পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়েছে কোটচাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন। এরপরও ওই পরিত্যক্ত ভবনেই বসবাস করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে। কোন দূর্ঘটনার দায় দায়িত্ব নিতে চান না উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুন্ডু।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,গেল ১৯৮০ সালে ১ লা আগষ্ট কোটচাঁদপুর উপজেলার শুভ উদ্বোধন করেন সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী ডঃ আবদুল মজিদ খান। ওই সময়ই নির্মিত হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাস ভবনটিও এমনটাই জানা গেছে। সেই থেকেই ভবনটিতে বসবাস করে আসছিলেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা। ৪৩ বছর পর জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঝিনাইদহের স্মারক নং-১৯৪; তারিখ: ১৬ মার্চ ২০২৩ ইউএনও ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার জন্য চিঠি দেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।

এরপর গেল ৩০ মে ২০২৩ সালে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। নির্দেশ দেয়া হয় সকল বিধি-বিধান পরিপত্র/সার্কুলার যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক নিলামে বিক্রয়ের। দীর্ঘ ১৬ মাস পার হয়ে গেলেও নিলাম করা হয়নি ভবনটি। এদিকে ঝুঁকিপূর্ন পরিত্যক্ত ওই ভবনেটিতে বসবাস করছেন বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুন্ডু বলেন, ভবনে বসবাস করার জন্য একটা রেজুলেশন করা আছে আমি দেখছিলাম। তবে ওই রেজুলেশনটি করা আমি আসার আগে। আর ভবনটি কনডেম করা আছে এটাও আমি জানি। বিষয়টি নিয়ে ওনার সাথে আলোচনাও হয়েছে,  কিভাবে কি করা যায়। ওনি আমাকে বলেছেন,ভবনের অবস্থা মোটামুটি ভালো আছে। কিছু সার্ভেসিং করিয়ে বসবাস করছেন বলে আমাকে বলেন।

তিনি বলেন,যেহেতু ভবনটি কনডেম ঘোষনা করা হয়েছে, সেহেতু ওনার ওই ভবনে থাকাটা  নিরাপদ নয়। তারপরও ওনি স্বেচ্ছায় ভবনটিতে থাকছেন। হঠাৎ যদি ওই ভবনে কোন দূর্ঘটনা ঘটে যায়,তাঁর দায়ভার আমার না নেয়া উচিত। এরপরও উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে আমি দায় এড়াতে পারি না।

এ অবস্থায় আপনি কোন ব্যবস্থা নিবেন কিনা,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আসলে ওনারা প্রশাসনের লোক। ওনার তো একটা নিরাপদ জায়গারও দরকার আছে। আর নতুন ভবনের বরাদ্ধ আসা না আসা নিয়ে কোন নির্দেশনা আমার কাছে নাই। এরপরও আমি বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী মহাদয়ের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন,ইউএনও ভবনটি কনডেম ঘোষনা করা হয়েছে। তবে আমি কোন ঝুঁকি মনে করছি না। আর মরে গেলে তো আমিই মারা যাব। এটাতে তো কারোর কোন সমস্যা নাই।

তিনি বলেন,কনডেম করা ভবনে কোন পে করা লাগে না। এরপরও কিছু টাকা পে করেই আমি ওই ভবনে বসবাস করে আসছি। এ ছাড়া ভবনে থাকার জন্য একটা রেজুলেশন করা আছে। তিনি আরো বলেন,ভবনটি ভাল আছে। তারপরও আগের ইউএনও কনডেম করে গেছেন। কি কারনে করেছেন  আমার জানা নাই। উছেন মে বলেন,ভবনটি কনডেম করে ওনি বাইরে বাসা নিয়ে থাকতেন। ওই ভাবে থাকাটা আমার জন্য একটা বিব্রতকর। আর নির্বাচনের কারনে নিলাম প্রক্রিয়া করা হয়নি। তবে খুব দ্রুত এ প্রক্রিয়া করা হবে।




দর্শনা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির আয়োজনে মানববন্ধন

দর্শনা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির আয়োজনে দৈনিক আমারদেশ পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশক মাহামুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলার দাবিতে দর্শনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২ অক্টোবর) বিকাল ৫ টার দিকে দর্শনা প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকরা এ মানববন্ধন করেছে।

দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ওসমান আলী, সাবেক সভাপতি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার দামুড়হুদা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান ধীরু, সাবেক সভাপতি আওয়াল হোসেন, দৈনিক সংগ্রামের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি এফ এ আলমগীর হোসেন, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজুহা পলাশ, ভোরের আকাশের চুয়ডাঙ্গা প্রতিনিধি শিরিন জামান, জীবননগর সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ফয়সাল মাহাতাব মানিক, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক আহসান হাবীব মামুন, নজরুল ইসলাম, গণ উন্নয়ন গ্রন্থকারের পরিচালক আবু সুফিয়ান, হাসমত আলী, ইমতিয়াজ আহম্মেদ রয়েল, ফরহাদ হোসেন, ওয়াসিম রয়েল, আব্দুল হান্নান, আরিফুল ইসলাম মিলন, সাব্বির আলিম প্রমুখ।

এ সময় দর্শনা, দামুড়হুদা ও জীবননগর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা বক্তব্য বলেন, আমারদেশ পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশকের ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এ মানববন্ধনটি পরিচালনা করেন দর্শনা সাংবাদিক সমিতির সাধারন সম্পাদক হানিফ মন্ডল।




মুজিবনগরে প্রাথমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’, মুজিবনগর উপজেলা শাখার উদ্দ্যোগে “শতভাগ পদোন্নতিসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেড” বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারক লিপি করেছে মুজিবনগর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

আজ বুধবার বিকালে বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববব্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ভবানীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক চাঁদ আলীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মুজিবনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ভবানীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান, মুজিবনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক ও গোপালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলমগীর হোসেন, আনন্দবাস সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন, বাগোয়ান দক্ষিনপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম, গোপালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বক্তিয়ার উদ্দীন প্রমুখ।

মানববন্ধনে মুজিবনগর উপজেলার সকল প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১ শত জন শিক্ষক-শিক্ষিকারা অংশ নেয়।
মানববন্ধন শেষে প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি সম্বলিত একটি স্মারক লিপি মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর প্রদান করা হয়।




দর্শনায় পৌরসভার উদ্দ্যেগে মশক নিধোন অভিযান শুরু

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় পৌরসভার উদ্দ্যগে মশক নিধোন অভিযান শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে দর্শনা ফুড গোডাউনের সামনে এ মশক নিধোনের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেন। দর্শনা পৌর প্রশাসক কে এইচ তাসফিকুর রহমান।তিনি ফকার মেশিন ড্রেনের ও আশেপাশের আবরজনা মশক নিধোনের কার্যক্রম শুরু করেন।

এ সময় পৌর প্রশাসক তাসফিকুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে পৌর এলাকা পরিস্কার পরিছন্ন অভিযান শুরু হয়েছে এবং পৌর এলাকায় ড্রেন পরিস্কার করা হয়েছে। এখন মশা নিধোন কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং চলমান থাকবে। আগামী ১৫ দিনসহ এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এছাড়া তিনি আরো বলেন, শুধু পৌর কতৃপক্ষ নয় পৌর এলাকার মানুষকে সচেতন হতে হবে। ডাবের খোলা প্লষ্টিকের ডপ যে সব পাত্রে পানি জমে থাকে সেগুলো পরিস্কার রাখতে হবে।

এ সময় মশক নিধোন অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা পৌর প্রকৌশলী সাজেদুল আলম, দামুড়হুদা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হুসনে জাহান, দর্শনা পৌরসভার প্রধান সহকারী রুহুল আমিন খান, পৌর করনিক সরোয়ার হোসেন, উপজেলা একাডেমী সুপারফাইজার রাফিজুল ইসলাম।এছাড়াও পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে জোরপুর্বক জমি দখলের অভিযোগ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলা কানাই ইউনিয়নের বাড়ীবাথান গ্রামে জমি জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জমি দখল করে জমিতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছও কেটে নিয়েছে শাহজাহান ও আফজাল নামের দুই ভুমিদস্যু।

আজ বুধবার সকাল ও  গতকাল মঙ্গলবার বাড়ীবাথান গ্রামের দর্গাপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ঝিনাইদহ পুলিশ লাইন্স স্কুলের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর রফিকুল আলম খালেক জানানা, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া তিনি গ্রামের ৪০ শতক জমিতে ৫০ বছর ধরে আবাদ করে আসছেন। একই মৌজার এই জমিতে ফলজ ও বনজ গাছ ছিলো। কিন্তু প্রতিবেশী ভুমিদস্যু দরবেশ মন্ডলের ছেলে শাজাহান ও প্রতিবেশী আফজাল, শাহীনসহ আরও কিছু লোকজন জমি দখল করে নেয়। জমিতে থাকা ১৫ টি মেহগনি ও ৬ টি কাঠাল গাছ কেটে নিয়েছে।

ভুক্তভোগী রফিকুল আলম খালেক বলেন, আমরা আমাদের ন্যায্য জমিতে আবাদ করছিলাম। গায়ের জোরে এই জমি দখল করে নিয়েছে। এখন আমরা জমিতে গেলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এর আগেও জমিতে মামলা করেছিলো। সেই মামলায় হেরে যাওয়ার পর এখন জোর করে জমি দখল করেছে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ থানায় একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শাহজাহানকে জমিতে যেতে নিষেধ করে দেয়। কিন্তু সেই আদেশ না মেনে দুই দিন ধরে গাছ কেটে জমি দখল করে নিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই আমি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহজাহান বলেন, জমি আমার তাই আমি গাছ কেটে নিয়েছি।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন বলেন, গাছ কাটার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। পুলিশ গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




দর্শনায় প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা মেমনগর বিপ্রদাশ মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের দৃর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীন আহমেদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাতের নিরিক্ষা ও তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে দর্শনা প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্র ছাত্রীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

শিক্ষার্থীরা এ সময় বলেন, চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের এমপি আলী আজগার টগরের যোগসাজশে স্কুলের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা আত্নসাত করেছে বলে ছাত্র ছাত্রীরা অভিযোগ করেন। এমপির দাপটে ল্যাবের ভিতরে ছাত্র ছাত্রীদের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি। প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে ছাত্র ছাত্রীরা বলেন স্কুলের বিভিন্ন বাজেট আসে সে সব টাকাও আত্নসাত করেছে বলে অভিযোগ করে।এ সব দৃর্নীতিবাজ শিক্ষককে তদন্ত পৃর্বক ও প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করে ছাত্র ছাত্রীরা। পরে ছাত্র ছাত্রীরা দর্শনা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।এ মানববন্ধন আয়োজন করে প্রক্তন ও অধ্যয়নরত ছাত্র ছাত্রীরা ।

এ বিষয়ে মেমনগর বিপ্রদাশ মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে মুঠো ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে মেমনগর স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক একরামুল হক বলেন,অর্থ আত্নসাতের বিষয় তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এছাড়া জেলা শিক্ষা অফিস ডিসি অফিস ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেছি।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা মাধ্যামিক শিক্ষা অফিসার এস এম বজলুর রশিদকে কয়েকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেনি।




হরিণাকুন্ডুতে সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে সাপের কামড়ে হাবিবুর রহমান (২৬) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৩ টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। হাবিবুর রহমান পেশায় রাজমিস্ত্রী। তিনি রায়পাড়া উপজেলার  ভাতুড়িয়া গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে।

প্রতিবেশী শামসুল ইসলাম জানান, হাবিবুর রহমান রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো। রাত দেড় টার দিকে বিষধর সাপ তাকে ছোবল দেয়। জ্বালাযন্ত্রনা শুরু হলে পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে প্রথমে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নেওয়ার চেষ্টা করে। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আনা হয়। রাত সাড়ে ৩ টার দিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

হরিণাকুন্ডু থানার ওসি মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।