গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের অ্যাডহক কমিটি নিয়ে হট্টগোল, অধ্যক্ষের কক্ষে তালা
গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের বহুল আলোচিত-সমালোচিত অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীর অফিসকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
অনিময়মতান্ত্রিক উপায়ে গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির এডহক কমিটিতে বিএনপি নেতা জাফর আকবরকে সভাপতি মনোনীত করার জেরে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দেওয়া হয়। তবে, এর আগেই কলেজ থেকে পালিয়ে যান অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী।
সম্প্রতি গভর্নিং বডির এডহক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বিএনপি নেতা জাফর আকবরকে সভাপতি ও বালিয়াঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাহাব উদ্দীনকে বিদ্যুোৎসাহি সদস্য নিয়োগ দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর।
এখবর এলাকায় প্রচার হলে আজ রোববার দুপুরে বিএনপি নেতা শাহাজাহান সেলিম, গাংনী উপজেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সুলেরী আলভী, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জামাল উদ্দীন ও পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনিসহ বিএনপি নেতাকমীর্রা দুপুরের দিকে মহিলা কলেজে গিয়ে প্রতিবাদ জানান।
এ নিয়ে শিক্ষক মিলনায়তনে বিএনপি নেতারা শিক্ষকদের সাথে বসেন। এসময় তারা এই আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবী জানান।
তারা বলেন, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী অনিয়মতান্ত্রিক পন্থায় গোপনে কমিটি গঠন করার জন্য শিক্ষা বোর্ডে নাম প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। এসময় বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীকে কলেজে প্রবেশের ক্ষেত্রেও হুশিয়ারী দেন নেতাকমীর্রা।
নেতাকর্মীরা জানান, জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন ও গাংনী উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু’ র সমন্বয়ে গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের সভাপতি মনোনীত করা হবে। তাদের মনোনীত ব্যক্তিই সভাপতি হবেন।
প্রতিবাদকারীরা জানান, জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন ও উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু এই তিন জন মিলে যাকে সভাপতি মনোনীত করবেন তাকে সভাপতি করতে হবে।
তবে,কলেজের অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী জানান, কমিটির বিষয়ে আমার কোন হস্তক্ষেপ নেই। বিএনপি পন্থী শিক্ষকরা জাফর আকবর, সাহাব উদ্দীন ও গোলাম কিবরিয়ার নাম প্রস্তাব করেন। সেভাবেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফরম পূরণ করে নাম পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আজ সন্ধ্যায় গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহার অফিস কক্ষে জরুরি বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কলেজের শিক্ষকবৃন্দ ও বিএনপ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।