গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের অ্যাডহক কমিটি নিয়ে হট্টগোল, অধ্যক্ষের কক্ষে তালা

গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের বহুল আলোচিত-সমালোচিত অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীর অফিসকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

অনিময়মতান্ত্রিক উপায়ে গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির এডহক কমিটিতে বিএনপি নেতা জাফর আকবরকে সভাপতি মনোনীত করার জেরে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দেওয়া হয়। তবে, এর আগেই কলেজ থেকে পালিয়ে যান অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী।

সম্প্রতি গভর্নিং বডির এডহক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বিএনপি নেতা জাফর আকবরকে সভাপতি ও বালিয়াঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাহাব উদ্দীনকে বিদ্যুোৎসাহি সদস্য নিয়োগ দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর।

এখবর এলাকায় প্রচার হলে আজ রোববার দুপুরে বিএনপি নেতা শাহাজাহান সেলিম, গাংনী উপজেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সুলেরী আলভী, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জামাল উদ্দীন ও পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনিসহ বিএনপি নেতাকমীর্রা দুপুরের দিকে মহিলা কলেজে গিয়ে প্রতিবাদ জানান।

এ নিয়ে শিক্ষক মিলনায়তনে বিএনপি নেতারা শিক্ষকদের সাথে বসেন। এসময় তারা এই আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবী জানান।

তারা বলেন, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী অনিয়মতান্ত্রিক পন্থায় গোপনে কমিটি গঠন করার জন্য শিক্ষা বোর্ডে নাম প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। এসময় বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীকে কলেজে প্রবেশের ক্ষেত্রেও হুশিয়ারী দেন নেতাকমীর্রা।

নেতাকর্মীরা জানান, জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন ও গাংনী উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু’ র সমন্বয়ে গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের সভাপতি মনোনীত করা হবে। তাদের মনোনীত ব্যক্তিই সভাপতি হবেন।

প্রতিবাদকারীরা জানান, জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন ও উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু এই তিন জন মিলে যাকে সভাপতি মনোনীত করবেন তাকে সভাপতি করতে হবে।

তবে,কলেজের অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী জানান, কমিটির বিষয়ে আমার কোন হস্তক্ষেপ নেই। বিএনপি পন্থী শিক্ষকরা জাফর আকবর, সাহাব উদ্দীন ও গোলাম কিবরিয়ার নাম প্রস্তাব করেন। সেভাবেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফরম পূরণ করে নাম পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে আজ সন্ধ্যায় গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহার অফিস কক্ষে জরুরি বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কলেজের শিক্ষকবৃন্দ ও বিএনপ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গা বন্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা

আলমডাঙ্গা বন্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিন জাহানের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্টিত।নিজে কাঁদলেন,অন্যদের কাঁদালেন।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গা বন্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিন জাহান দীর্ঘ ৩০ বছরের অধিক কাল একই স্কুলে চাকরি শেষে আজ অবসর গ্রহন করায় তাকে স্কুলের পক্ষ থেকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়েছে। মোছাঃ শিরিন জাহান দীর্ঘ চাকরি জীবনের ৩২ বছর বন্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরি করে রেকর্ড গড়েছেন। স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক,ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বৃন্দ সকলে তাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন। বন্ডবিল গ্রামের সকলের শ্রদ্ধার পাত্র আওরঙ্গজেব মোল্লা টিপু অত্র স্কুলের সভাপতি হিসেবে বহুদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। তার দায়িত্ব কালে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত উন্নিত করা হয়েছিল।

আজ রবিবার  বন্ডবিল স্কুল কমিটি ও শিক্ষক মন্ডলি প্রধান শিক্ষক শিরিন জাহানকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করেন।

স্কুলের সহকারি শিক্ষক আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কুল কমিটির সভাপতি ও উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার হুমায়ন কবির। সহকারি শিক্ষক পুবন কুমার সাধুখার উপস্থাপনায় সংবর্ধিত অথিতি শিরিন জাহান বলেন আমি চাকরি জীবনের বেশির ভাগ সময় বন্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাটিয়ে দিয়েছি। শিক্ষকতা পেশা এমন একটা পেশা,যে পেশায় ছোট ছোট মানুষের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া যায়। ছোট ছোট ছেলে মেয়েকে লেখা পড়া শেখানো খুবই দুরুহ কাজ। যে কাজটি আমরা করে থাকি। আমার দীর্ঘ চাকরি জীবনে যদি কখনও কারো সাথে খারাপ আচরন থাকি তাহলে নিজ গুনে ক্ষমা করে দেবেন।

প্রধান অতিথি বলেন আপনারা সকলে মানুষ গড়ার কারিগর, এই মাহান ব্রত সকলে পালন করতে পারে না।একজন পিতা মাতা,তাদের ছোট সন্তান কে আপনাদের হাতে ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিত হয়।আপনারা কিন্ত পিতা মাতার দায়িত্ব সহ শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক নায়মা আফরোজ,ফাতেমা আক্তার,তামান্না আরেফিন,সাবিনা আক্তার,মিতা রানী সাহা,ও ইমরান হোসেন প্রমুখ।এ ছাড়াও গ্রামের প্রাক্তন শিক্ষার্থীগন সভায় উপস্থিত ছিলেন। বন্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিন জাহান তার বর্ণাঢ্য চাকুরি জীবন থেকে অবসরজনিত বিদায়ে আমরা সাবেক ছাত্র ছাত্রীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।




মেহেরপুরে প্রধানশিক্ষকের অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

মেহেরপুরে কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সানজিদা ইসলামের অনিয়ম ও দুনিতীর বিচার চেয়ে  ছয় দফা দাবীতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।

আজ রবিবার দুপুর ১ টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তাদের বিদ্যালয়ে আইসিটি রুম তাদের ব্যবহার করতে না দিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। দরিদ্র মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের অর্ধ ও বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দীর্ঘদিন যাবৎ জলবদ্ধ হয়ে থাকায়  তারা খেলা ধুলার সুযোগ পাচ্ছে না, অপরিচ্ছন্ন ক্লাসরুম ও ক্লাস রুমে পর্যপ্ত ফ্যানের অভাবে গরমে কষ্ট পাচ্ছে তারা। বিদ্যালয়ে নতুন একাডেমিক ভবনের শ্রেণি কক্ষ খালি পড়ে থাকা সত্বেও পুরাতন ভবনে ক্লাস নেয়া হয়।  যেখানে পর্যাপ্ত ফ্যানের ব্যবস্থা  না থাকায় গরমে কষ্ট করতে হয়।  বিদ্যালয়ের  ভবনের পাশে জঙ্গলের কারনে এডিশ মশার উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। মশার কামড়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। বিদ্যালয়ের ১শ ১৭ বিঘা জমি লীজের টাকার কোন হিসাব নেই।

তবে প্রধান শিক্ষক  সানজিদা ইসলাম এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।




কোটচাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত ৭ দফার দাবীতে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকালে কোটচাঁদপুর উপজেলার সভাপতি মুফতী ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে ও সাবেক জেলা সহসভাপতি মুফতী মাহমুদুল হাসানের উপস্থাপনায় এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি ডা. এইচ এম মোমতাজুল করীম। তিনি ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের দুঃশাসনের বিবরণ দেন। বিগত সরকারের খুন, গুম ও দুর্ণীতির বর্ণনা করেন। এরপর তিনি ৭ দফার দাবী করেন। দাবী গুলো হলোঃ

১. গ্রহনযোগ্য তদন্ত কমিশন ও স্বতন্ত্র ট্রাইবুনাল গঠন করে জুলাই গণহত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে। একই সাথে গত ১৬ বছরে সংগঠিত সকল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হত্যাযজ্ঞ, গণহত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করতে হবে। এক্ষেত্রে যে সকল ব্যক্তি বা সংগঠন দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদেরকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
২. তদন্ত সাপেক্ষে বিগত বছরের সকল দুর্নীতিবাজ ও বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সকল সম্পত্তি ক্রোক করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে এবং বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফেরত আনবার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
বিগত বছরে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে। সকল দুর্নীতি ও টাকা পাচারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।
৩. আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ প্রজাতন্ত্রের যে সকল কর্মচারী আইন, সংবিধান, শপথ লঙ্ঘন করে অপেশাদার আচরণ করেছেন তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
৪. দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মীয় জনগোষ্ঠির চিন্তা-চেতনা ও অনুভূতির বিরুদ্ধে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।
৫. নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে এবং অবাধ, সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (চজ) পদ্ধতি চালু করতে হবে।
৬. আওয়ামী দুঃশাসনের বিগত ১৬ বছরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এদেশের সাধারণ শিক্ষাখাতের মান ও নৈতিকতা। এই ক্ষতি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ ও উলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে একটি জাতীয় শিক্ষাকমিশন গঠন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৭. গ্রাম পুলিশকে জাতীয়করণ করে তাদের সম্মানজনক বেতন ও ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়াও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক মাওলানা শিহাব উদ্দিন, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি এবং সাবেক কেন্দ্রীয় সাবেক ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মুফতী আহমাদ আব্দুল জলিল । বিশেষ অতিথি মাওলানা আমানুল্লাহ হেফাজতে ইসলাম কোটচাঁদপুর শাখা।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতী নাজির আহমেদ, কোটচাঁদপুর থানা সেক্রেটারি জনাব ফারুক হোসেন, মহেশপুর উপজেলার সভাপতি মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, সাবেক সভাপতি মাওলানা সরোয়ার হোসাইন, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুফতী ইব্রাহীম খলীল, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন।




জীবননগরে কেন্দ্রীয় গোরস্থানের নিজস্ব জমি পুনরুদ্ধরের দাবীতে মানববন্ধন

জীবননগর কেন্দ্রীয় গোরস্থানের নিজস্ব জমি পুনরুদ্ধরের দাবী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টার সময় জীবননগর চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানববন্ধন অনুষ্ঠানে জীবননগর কেন্দ্রীয় গেরাস্থান কমিটির সভাপতি সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মো: আশরাফুল হক লিখিত বক্তব্যে বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার, থানা জীবননগর অধীন ২৫ নং জীবননগর মৌজায় আর.এস ৯৬৪ নং খতিয়ানে আর.এস ২৫৭৯ নং দাগের মালিক ছিলেন কাজী মাহাবুব হোসেন, কাজী সাইফুজ্জামান (বাবলা), আসমা খাতুন ও আছিয়া খাতুন গং। তন্মধ্যে উত্ত আছিয়া খাতুন এর নিকট হইতে বিগত ২৭/০৪/১৯৮৩ ইং তারিখে ৪৫৩৬ নং রেজি: কবলায় ০.০৪০০ একর জমি মর্ঝিনা খাতুন ক্রয় করেন। উক্ত মর্জিনা খাতুন এর নিকট হইতে আমরা গোরস্থান কমিটি বিগত ইং ১৯/০২/১৯৮৫ তারিখে ১৮৯০ নং রেজি: কবলায় ০.০৪০০ একর জমি ক্রয় করি। আসমা খাতুন এর নিকট হইতে আমরা গোরস্থান কমিটি বিগত ইং ০৩/০৬/১৯৮৪ তারিখে ২০১৬ রেজিঃ কবলায় ০.০৭০০ একর জমি ক্রয় করি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিগত সরকারের আমলে সাবেক এম.পি আলী আজগর টগরের মৌখিক নির্দেশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংসদ সদস্যের মনোনিত নেত্রীবৃন্দের সহায়তায় জীবননগর কেন্দ্রীয় গোরস্থানের জমি মোঃ আরিফুজ্জামান, মোঃ স্বপন হোসেন, মোঃ মনিরুজ্জামান, মোঃ কামরুজ্জামান, মোছাঃ নাজমা খাতুন, মোছাঃ বিলকিছ খাতুন, মোছাঃ নারগিস খাতুন, মোছাঃ নাছরিন খাতুন সর্ব পিতা মৃত নুরুল ইসলাম, সর্ব সাং মাধবখালী, জীবননগর, চুয়াডাঙ্গা জোর পূবক দখল করেন। উক্ত দখল প্রতিরোধের জন্য জীবননগর গোরস্থান কমিটি বাদী হইয়া জীবননগর সহকারি জজ আদালতে দেওয়ানি ২৫২/২০১২ নং মামলা দায়ের করি। উক্ত মামলায় আদালত হইতে বিগত ২১/০২/২০১৩ ইং তারিখে বিবাদীগণের বিরুদ্ধে নালিশি সম্পত্তির উপর সর্বপ্রকার নির্মাণ কার্য করা থেকে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়াছিলেন। যাহা আদালতের আদেশ অবমাননা মামলা মিস-০৫/২০১৩ অদ্যবধি বিচারাধীন আছে। আমরা এই গোরস্থান কমিটির সদস্য সহ এলাকাবাসী উক্ত জমি পুনরুদ্ধরের জন্য মানববন্ধনের আয়োজন করিয়াছি। জমি উদ্ধারের আপনাদের সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি।

উক্ত মানব বন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর কেন্দ্রীয় গোরস্থান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সামসুল আলম, জীবননগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম.আর বাবু, সাবেক কমিশনার হযরত আলী, হাজী আঃ মজিদ, মুন্সী খোকন, মিনহাজ আলী, আবু হানিফ,নাসু মিয়া, প্রমুখ।




দর্শনা পৌর বিশেষ শিক্ষা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে চুরি

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা পৌর বিশেষ শিক্ষা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে বার বার চুরি ঘটনা ঘটছে। বার বার বিদ্যালয়ে চুরি হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ছে কতৃপক্ষ। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত পৌর বিশেষ শিক্ষা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ২৫ জন কর্মকর্তা কর্মচারী এবং ১৮০ জন প্রতিবন্ধী ছাত্র ছাত্রী নিয়ে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি।

গতকাল ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে অবশেষে সাইন বোর্ডটি চোরেরা লােহার এংঙ্গেল কেটে নিয়ে গেছে। ২০২২ সাল থেকে এ বিদ্যালয়ের তিনটি টিউবওয়েল প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের থেরাপি চিকিৎসা যন্ত্রপাতি এবং তিনটি হুইল চেয়ার চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়ে গেছে বলে প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিরিনা আক্তার জানান। বার বার বিশেষ শিক্ষা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

প্রধান শিক্ষক শিরিন আক্তার জানান আমরা ১৪ জন শিক্ষক বিনা বেতনে প্রতিবন্দী ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা নিজের টাকা দিয়ে প্রতিবন্ধী স্কুলটি টিকিয়ে রেখে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। বার বার এ রকম ভাবে চুরি হলে আমাদের পক্ষে প্রতিবন্ধী স্কুলটি টিকিয়ে রাখা সম্বব হবে না। তাই প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করছে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ।




মেহেরপুরে ১ দফা দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন

১০ম গ্রেড আমাদের দাবি নয় আমাদের অধিকার ১২ তম গ্রেড প্রবাস্তবানা প্রত্যাখ্যান করে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মেহেরপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেট বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ মেহেরপুর আয়োজিত আজ রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫ টার দিকে মেহেরপুরের প্রাথমিক টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) এর সামনে এ অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেট বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ মেহেরপুরের আহ্বায়ক শেখ রাসেল, সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম মিন্টু ও মোঃ আক্তারুজ্জামান হীরা।

এসময় বক্তারা বলেন, সমযোগ্যতায় বিভিন্ন পদে দশম গ্রেড হলে আমাদের জন্য কেনো নয়?? তাই আমাদের দাবী গুলো মেনে নেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।

১.যোগ্যতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে দশম গ্রেড দিতে হবে ২. শতভাগ পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে ৩. টাইম স্কেল পুনর্বহাল করতে হবে ৪. পিটিআই ও ইউ আরসির ইন্সট্রাক্টর সহ বিভিন্ন পদে বিভাগীয় প্রার্থীর সুযোগ দিতে হবে ৫. সময়সূচি ১০ টা থেকে ৩:০০ টা করতে হবে (কোমলমতি শিশুদের কথা বিবেচনা করে) ৬. টিফিন ভাতা ( মাসিক মাত্র ২০০/-) বৃদ্ধি করতে হবে ৭. সরকারের প্রস্তাবিত সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ চাইনা ৮. প্রস্তাবিত ১২ তম গ্রেড ঘৃণা ভরে প্রত্যাক্ষাণ করছি।

এছাড়াও তারা বলেন, ন্যায্যতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রাথমিক এর সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য বৈষম্য বিরোধী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানউপদেষ্টার কাছে আমাদের প্রাণের দাবী বাস্তবায়নের জন্য সদয় অনুগ্রহ কামনা করছি।

এসময় সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: নাজমুল হক লিটন, সহকারী শিক্ষক আহসান হাবীব, সহকারী শিক্ষক আফরোজা আক্তার, সহকারী শিক্ষক সুমাইয়া লাবনী, সহকারী শিক্ষক মীর সাদিক ইসলাম, সহকারী শিক্ষক নাজমুল হক লিটন, সহকারী শিক্ষক আশাদুল, সহকারী শিক্ষক আজাহার, সহকারী শিক্ষক মেহেদী, সহকারী শিক্ষক রুনা লায়লা, সহকারী শিক্ষক মাহাবুব সহকারী শিক্ষক রোকিবুজ্জামান রাজন , সহকারী শিক্ষক শিফলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




চব্বিশের তুলি

চব্বিশ দেখেছে তুলি
চেনেছে কেমন গুলি,
বিঁধেছে ডান পায়!
মা বলল আন্দোলন
বাবা বলেছে দমাতে
ছুড়েছে বারান্দায়।

খেলছিল তুলি খেলা
পড়ন্ত – বিকেল বেলা
কোলে নিয়ে পুতুল,
কোত্থেকে গুলি এসে
রক্তে – দিয়েছে ভেসে
কাণ্ড কী – হুলুস্থুল!




মুজিবনগরে শতবর্ষী দম্পতির মানবেতর জীবন

বাসিপচা তরকারি আর ভাত খেয়ে বেঁচে আছি। জমিজমা যা ছিল জোর করে সব লিখে নিয়েছে ছেলে-মেয়েরা। আমরা নাকি আবর্জনা হয়ে গেছি তাই বাড়ি থেকেও বের করে দিয়েছে ছেলেরা। বড় মেয়ের ভাগের একটা বাশ বাগানে কিছু পুরোনো টিনের ছাউনিতে কোন মতে ঠাই হয়েছে। বিদ্যুতের আলো কি তা চোখে দেখেনি প্রায় দশ বছর। মাস খানেক হলো প্রতিবেশিরা একটি বৈদ্যুতিক বাল্বের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। মাঝে মধ্যে মেয়েরা এসে কিছু চাল ডাল দিয়ে যায়, সেগুলো প্রতিবেশির হাড়িতে দিয়ে আসি তারা রান্না করে দিলে খাই। যেদিন রান্নার সুযোগ হয়না সেদিন না খেয়েই দিন পার করে দিই। সর্বশেষ কবে একটু পেটপুরে ভালো কিছু খেতে পেরেছি মনে পড়েনা। গত পরশুদিনও ছেলের বউরা এসে পচা মাছ আর কচু সাথে বাসি ভাত দিয়ে গেছে সেগুলো দুজনে মিলে দুবেলা খেয়েছি। এভাবেই চোখের পানি ছেড়ে দুঃখের কথা গুলো বলছিলেন ৯৫ বছর বয়সি করিমন নেছা। কথা গুলো শুনে হু হু করে কেদে উঠলেন পাশে বসা করিমন নেছার স্বামী ১০৮ বছর বয়সি রহমতুল্লাহ শেখ।

মুজিবনগর উপজেলার গোপালনগর গ্রামের দক্ষিনপাড়ার একটি পরিত্যক্ত বাশ বাগানে বসবাস করে শতবর্ষী এই দম্পতি। দাম্পতিক জীবনে তিন ছেলে ও দুই মেয়ের জন্ম দিলেও ঠাই হয়নি তাদের কাছে। বয়সের ভারে নুয়েপড়া, চলাচলে অক্ষম এই দম্পতির শরীরে বাসা বেধেছে নানা রোগ বালাই। ওষুধপত্র তো দুরের কথা খোজ নেওয়ারও যেন কেউ নেই।

রহমতুল্লাহ দম্পতির বাসস্থানে গিয়ে দেখা যায় মাটির মেঝেতে পাটি পেড়ে করিমন নেছা টিনের দেয়ালে হেলান দিয়ে আর রহমুল্লাহ শেখ একটি পুরোনো বালিশ মাথায় দিয়ে শুয়ে আছে। পরে এই প্রতিবেদক সহ কয়েকজন মিলে বাইরে এনে চেয়ারে বসানো হলো রহমতুল্লাকে। জানতে চাওয়া হলো তাদের এই হাল কেন। প্রথমে ভাবছিলেন তাদের ছেলেরা হয়তো এসেছে, তাই তিনি কিছু বলতে চাচ্ছিলেন না ভয়ে। চোখে কম দেখতে পাওয়া রহমতুল্লাহ বার বার জিজ্ঞেস করছিলেন ছেলেরা নেই তো। তারা থাকলে তো আমাদের মেরেই ফেলবে। মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে অনেক আগেই জমিজমা সব লিখে নিয়ে আমাদের এখানে ফেলে গেছে। তাদের নামে কিছু বললে হয়তো তারা এবার আমাদের মেরেই ফেলেবে। কাদো কাদো সুরে অস্পষ্ট ভাষায় রহমতুল্লাহ আরও বলেন, আমাদের আর কোন আশা ভরসা নেই। এখন শুধু মরার অপেক্ষা করছি বাপ। আমাদের জন্য দুয়া করো।

প্রতিবেশিরা জানান, তাদের এই জীবনে ছেলে-মেয়ে থেকেও নেই। আমরা যত টুকু পারি তাদের দেখি। আমাদের কাছে মাঝে মাঝে রান্নার জন্য চাল দেয়। তা রান্না করে দিই। পাশাপাশি আমরা নিজেরাও খাবার দাবার দিই।

এব্যাপারে ছেলেদের সাথে যোগযোগ করা হলে কেউ কিছু বলতে রাজি হয়নি। তবে বড় ছেলে আজিল শেখের স্ত্রী বলেন, আমরাই তো দেখাশুনা করি। তাছাড়া আবার কে করে।

শতবর্ষী এই দম্পতির মানবেতর জীবন-যাপন করার ব্যাপারে জানেত চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ডালিম হোসেন জানান, রহমতুল্লার বয়ষ্ক ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সেটা দিয়ে কোন মতে চলে। তাছাড়া পাড়া প্রতিবেশি ও আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের ওষুধপত্র কেনার ব্যবস্থা করি। এছাড়াতো আমারও কিছু করার নেই।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম জানান, এরকম দম্পতির ব্যাপারে আমাদের কাছে কোন তথ্য ছিলনা। আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। উপজেলা প্রশাসন থেকে যতটুকু সম্ভব আমি তাদের জন্য ভালো কিছু ব্যবস্থা করব।




স্কয়ার গ্রুপে চাকরির সুযোগ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্কয়ার গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির ভেটেরিনারি সার্ভিসেস, এগ্রোভেট বিভাগ এক্সিকিউটিভ পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানের নাম : স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি

পদের নাম : এক্সিকিউটিভ পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয় অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ২ থেকে ৪ বছর

বয়সসীমা : উল্লেখ নেই

কর্মস্থল : দেশের যে কোনো স্থানে

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

আবেদন শুরুর তারিখ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কর্মঘণ্টা : ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র : অফিসে

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

আবেদনের শেষ সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : ভেটেরিনারি মেডিসিনের ডাক্তার

অন্যান্য যোগ্যতা : কম্পিউটারে এমএস অফিসে ভালো দক্ষতা। অন্যান্য সুবিধা : প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।