মেহেরপুর ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক মালিক এসোসিয়েশনের কমিটি গঠণ

মেহেরপুর জেলা ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক মালিক এসোসিয়েশনের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার ১৩ই মে বিকেল ৫টায় মেহেরপুরের সেভেন সেন্স রেস্টুরেন্টে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ জেলার ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেবার মান উন্নয়নে একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সভায় নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।

নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ হলেন সভাপতি: ডা. আব্দুস সালাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা, সহ-সভাপতি (সদর)বিধান চন্দ্র নাথ, সহ-সভাপতি(মুজিবনগর) জাহিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক (সদর) শাহিনুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক (গাংনী) হাফিজ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আবু আক্তার করণ, সহ-দপ্তর সম্পাদক রাশেদ আবু জাফর, অর্থ সম্পাদক শিমুল, সহ-অর্থ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুখি, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ইমরান পারভেজ, প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান সাগর, লাইসেন্স বিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য আসিফ আহসান, জাকারিয়া, মন্টু।

উপদেষ্টা মণ্ডলী ডা. আবু তাহের সিদ্দিকী, ডা. পারভেজ হাসান রাজা, আব্দুল লতিব, ডা. মিজানুর রহমান, ডা. জেপি আগরওয়ালা

সভায় বক্তারা সংগঠনের কার্যক্রম আরও বেগবান করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং জেলার স্বাস্থ্যসেবা খাতে স্বচ্ছতা ও গুণগতমান নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।




বুড়িপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসির, সম্পাদক ফরিদ

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী দেশব্যাপী তৃণমূল পর্যায়ে পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার (১৩ই মে) বিকেল ৫টার সময় গোভীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বুড়িপোতা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপির সদস্য এম এ কে খায়রুল বাশার এর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড কামরুল হাসান ।

জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আমিরুল ইসলাম, ফয়েজ মোহাম্মদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য আলমগীর খান ছাতু, হাফিজুর রহমান হাপি, আব্দুল্লাহ , ইলিয়াস হোসেন, রোমানা আহম্মেদ, ওমর ফারুক লিটন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আঃ রহিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকাবিল্লাহ, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোশিউল আলম দ্বীপু, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রিপন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাহিদ মাহবুব সানি, জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি ছাবিহা সুলতানা,জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লব, আমদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, বিএনপি নেতা সৌরভ নাহিদ আহমেদ, মীর ফারুকসহ বুড়িপোতা ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্য শেষে নির্বাচনের মাধ্যমে বুড়িপোতা ইউনিয়ন বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি নাসির উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন নির্বাচিত হন।

সম্মেলনে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়।




দর্শনায় স্কুলছাত্র হত্যার ঘটনায় মামলা, দুই আসামি গ্রেপ্তার

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর–মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্র রিয়াদ হোসেন (১৩) হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে দর্শনা থানায় মামলা হয়েছে।

নিহত শিক্ষার্থীর বাবা জিয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার মামলাটি করেন। পুলিশ হুকুমের আসামিসহ এজাহারনামীয় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে মামলার প্রধান আসামি হযরত আলীসহ তিনজনকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

গতকাল সোমবার বিকেলে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে মা–বাবার সামনেই স্কুলছাত্র রিয়াদ হোসেনকে প্রতিপক্ষের লোকজন প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে। রিয়াদ ছয়ঘরিয়া গ্রামের ব্যাকপাড়ার জিয়ারুল ইসলামের ছেলে। সে পার্শ্ববর্তী মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত। তার মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে আজ দুপুরে গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়েছে। বাদ আসর দাফনের জন্য সেখানে প্রস্তুতি চলছে।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদ মো. তিতুমীর জানান, স্কুলছাত্র রিয়াদ খুনের ঘটনায় তার বাবা জিয়ারুল ইসলাম আজ থানায় মামলা করেছেন। মামলায় প্রতিবেশী হযরত আলী, তাঁর ভাগনে বিদ্যুৎ, মা ফাহিমা খাতুন, বোন বিউটি খাতুন ও স্ত্রী সুবর্ণা খাতুনকে আসামি করা হয়েছে। হুকুমের আসামি ফাহিমা খাতুন ও সুবর্ণা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, স্বামী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে পারিবারিক কলহের কারণে আসামি বিউটি খাতুন তিন মাস ধরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। বিউটির স্বামী আনোয়ারের সঙ্গে জিয়ারুলের বন্ধুত্ব থাকায় আসামিরা প্রায়ই তাঁকে (জিয়ারুল) গালামন্দ করতেন। ১২ মে বেলা তিনটার দিকে জিয়ারুল বাড়ি থেকে মাঠের দিকে যাওয়ার সময় তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন আসামি ফাহিমা খাতুন। গালি দিতে নিষেধ করলে জিয়ারুলের গেঞ্জির কলার ধরে কিল–ঘুষি মারতে থাকেন ফাহিমা। সেখান থেকে জিয়ারুল কৌশলে বাড়ি ফিরে আসেন। বেলা সোয়া তিনটার দিকে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাঠি, লোহার রড, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জিয়ারুলের বাড়ির সামনে আসেন। বাড়ির সামনে তাঁরা রিয়াদকে দেখতে পান। এ সময় ফাহিমা খাতুনের হুকুমে হযরত আলী রামদা দিয়ে রিয়াদকে কুপিয়ে হত্যা করেন।




হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ড মামলার আইওকে লাঞ্চিত করলো আসামি

মেহেরপুর আদালত ভবনের বারান্দায় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে চাঁদাবাজি ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামির বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আদালতের একাধিক কর্মচারী ও আইনজীবী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালতের বারান্দার সিসি ক্যামেরায় বিষয়টি স্পষ্টভাবে দেখা যাবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাটি শহরে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।

জানা গেছে, মেহেরপুরের আলোচিত আটলান্টিকা হোটেল কাণ্ড মামলায় আজ মঙ্গলবার মেহেরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য শুনানি ছিলো। যথারীতি তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেরপুর ডিবি পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা এসআই আশরাফুল ইসলাম আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে সাক্ষী দেন। সাক্ষী দিয়ে তিনি আদালত থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় মামলার ২ নম্বর আসামি ছন্দা খাতুনসহ কয়েকজন তাকে বিভিন্নভাবে গালি-গালাজ করেনে। এক পযার্যে ছন্দা খাতুন তার পায়ের জুতা খুলে তদন্তকারী কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে ছুড়ে মারেন। এসময় তদন্তকারী কর্মকর্তা তড়িঘরি করে আদালত চত্বর থেকে বের হয়ে নিরাপদে চলে যান।

একজন পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে চলমান মামলায় জামিনে থাকা আসামিদের মাধ্যমে আদালতের বারান্দাতেই আক্রমণের শিকারে পরিনত হওয়াতে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

হেনস্তার শিকার হওয়া তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ছন্দাসহ আসামিরা বিভিন্নভাবে বেশ কিছুদিন ধরে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। আজও আদালতে সাক্ষী দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় তারা আমাকে উদ্দ্যেশে করে বিভিন্ন গালাগালি করে। আমাদের তাদের কথা কানে না নিয়ে দ্রুত আদালত ত্যাগ করি।’

মেহেরপুর জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর সাইদুর রাজ্জাক টোটন বলেন, ‘বিষয়টি আমি কোর্ট ইন্সপেক্টর এর কাছ থেকে শুনেছি। আদালত চত্বরে আসামিদের এমন উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। এ বিষয়টি নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি সুপারিশ করব।




ঝিনাইদহে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার অভিযোগ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া কাজলের ওপর দূর্বৃত্তরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পর থেকে কাজল চেয়ারম্যান আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ১১ টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

গোলাম কিবরিয়া কাজল দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানাগেছে।
হামলার বিষয়ে জানতে গোলাম কিবরিয়া কাজলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তার খোঁজে পুলিশ কাজ করছে।

ঝিণাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী ঘটনা শুনেছেন বলে নিশ্চিত করে বলেন, আমি সে সময় মিটিং এ ছিলাম। পরে জানতে পারি ওই চেয়ারম্যানের ওপর কে বা কারা হামলা চালিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।




মহেশপুর সীমান্ত থেকে নারী, শিশুসহ আটক-৫৯

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে অভিযান চালিয়ে নারী ও শিশুসহ ৫৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আটকৃতদের মধ্যে ২৬ জন শিশু, ১৮ জন নারী ও ১৫ জন পুরুষ। আটকৃতরা অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছিল। এছাড়া ২৭ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাত সাড়ে আটটায় মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজিবি জানিয়েছে, মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধীন শ্যামকুড়, খোশালপুর, বেনীপুর, বাঘাডাঙ্গা ও লড়াইঘাট বিওপির পৃথক অভিযানে মোট ৫৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে বিজিবি। আটককৃতরা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। আটককৃতদের মধ্যে ২৬ জন শিশু ও ১৮ জন নারী। আটককৃত বাকি ১৫ জন প্রাপ্ত বয়স্ক বাংলাদেশি নাগরিক। তারা ঢাকা, নড়াইল, সুনামগঞ্জ, যশোর, খুলনা ও বাগেরহাট জেলার বাসিন্দা।

এছাড়া সীমান্ত বিওপির পৃথক মাদকবিরোধী অভিযানে ২৭ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করে বিজিবি। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।

মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, আটকৃত প্রাপ্ত বয়স্ক বাংলাদেশি নাগরিকদের মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এছাড়া আটক নারী ও শিশুদের যশোর জাস্টিস এন্ড কেয়ার সেন্টারে পাঠানো হবে।




দর্শনায় বন্ধুত্ব নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব, কিশোর রিয়াদকে কুপিয়ে হত্যা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ছয়ঘরিয়া এলাকায় বন্ধুত্বকে কেন্দ্র করে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে এক কিশোরকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে হযরত আলী নামের এক ব্যক্তি। নিহত কিশোরের নাম রিয়াদ (১৩), সে স্থানীয় স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র এবং একই এলাকার জিয়ারুল ইসলাম জিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া ব্যাকপাড়ার বাসিন্দা বায়তুল্লাহ’র ছেলে হযরত আলীর সঙ্গে একই পাড়ার জিয়ারুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল। এই সম্পর্ক নিয়ে হযরতের পরিবারে দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি চলছিল।

সোমবার (১২ মে) দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে গরুর গোবর রাখা নিয়ে হযরতের সঙ্গে জিয়ারুলের স্ত্রী শিল্পার কথাকাটাকাটি হয়। এ ঘটনার পর জিয়ারুল বিষয়টি জানতে হযরতের বাড়িতে গেলে, সেখানেই হযরতের স্ত্রী সুমাইয়া ও মা ফাহিমা বেগম কুকিয়া তাকে মারধর করেন।

এর কিছুক্ষণ পর হযরত ও বিদ্যুৎ (আনোয়ার হোসেনের ছেলে) বাড়িতে ফিরে এসে ধারালো হাসুয়া নিয়ে জিয়ারুলকে খুঁজতে বের হয়। জিয়ারুলকে না পেয়ে বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা তার ছেলে রিয়াদকে পেয়ে যায় তারা। তখনই হযরত রিয়াদের ঘাড়ে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কোপ দেন। ঘটনাস্থলেই মারা যায় রিয়াদ।

নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের পর গ্রামজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত গ্রামবাসী হযরতের বাড়িতে হামলা চালিয়ে একটি মোটরসাইকেল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, দামুড়হুদা-জীবননগর সার্কেলের এএসপি জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতমীরসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে হযরতের মা ফাহিমা বেগম কুকিয়া ও স্ত্রী সুমাইয়াকে আটক করেছে। তবে মূল অভিযুক্ত হযরত আলী ও বিদ্যুৎ এখনও পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ঘটনায় নিহত রিয়াদের বাবা জিয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।




দামুড়হুদায় বাংলাদেশ প্রধান শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন

দামুড়হুদায় বাংলাদেশ প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতির ২১ সদস্য বিশিষ্ট ত্রিবার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জনাব আবু হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটি গঠন সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সংগ্রামী ও বিপ্লবী নেতা মোঃ মনিরুজ্জামান মনির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সংগ্রামী নেতা মোঃ রফিকুল হাসান তনু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা প্রেস ক্লাবের সভাপতি শামসুজোহা পলাশ।

গতকাল সোমবার সকাল ১১টার দিকে দামুড়হুদা দশমী সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপজেলার সকল প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ প্রধান শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে ২১ সদস্যের দামুড়হুদা উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিতে কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন প্রধান শিক্ষক মোঃ শরিফ উদ্দীন (রামনগর স: প্রা: বি:), সাদিকুর রহমান সিনিয়র সহ-সভাপতি (ইব্রাহীমপুর সঃ প্রাঃ বিঃ), ওয়াসিমা রিংকু সহ-সভাপতি (১) (নাটুদহ সঃ প্রাঃ বিঃ), মোছাঃ শামীমা পারভীন সহ সভাপতি (০২) (জয়রামপুর সঃ প্রাঃ বিঃ), খন্দকার আফরোজ্জামান সাধারণ সম্পাদক (মাজারপোতা স: প্রা: বি:), খুরশিদা খাতুন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুড়াপাড়া সঃ প্রাঃ বিঃ), শাহানাজ পারভিন সাংগঠনিক (বাড়াদি সঃ প্রাঃ বিঃ) আশরাফুল হক কোষাধক্ষ্য (মুন্সিপুর সঃ প্রাঃ বিঃ), মোছাঃ সেলিনা পারভীন সহকারী কোষাধক্ষ্য (ফকিরপাড়া সঃ প্রাঃ বিঃ), জাহিদুল ইসলাম তথ্য সম্পাদক (জিরাট সঃ প্রাঃ বিঃ), গোলাম মর্তুজা ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক (চন্ডীপুর সঃ প্রাঃ বিঃ), ইয়াসনবী ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক (দঃ চাঁদপুর সঃ প্রাঃ বিঃ), নাজমা খাতুন আইন বিষয়ক সম্পাদক (দঃ কলাবাড়ি সঃ প্রাঃ বিঃ), লাইলুন্নাহার দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক (মজলিশপুর সঃ প্রাঃ বিঃ), মামুন আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক (হাউলী সঃ প্রাঃ বিঃ), মোঃ হযরত আলী প্রচার বিষয়ক সম্পাদক (কুনিয়া সঃ প্রাঃ বিঃ)।

এছাড়া নির্বাহী সদস্য পদে মমতাজ খাতুন, লতিফা, মোছাঃ আনজুমান আরা, মোছাঃ সাবিনা ইয়াসমিন, মোছাঃ শাহানাজ পারভীন নির্বাচিত হয়েছেন।

সভা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে এই ২১ সদস্যের কমিটির নাম ঘোষণা করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল হাসান তনু।




মহেশপুর সীমান্ত থেকে নারী-শিশুসহ ২২ বাংলাদেশি আটক

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২২ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। আটকৃতরা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। এছাড়া পৃথক মাদক বিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (১১ মে) মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজিবি জানিয়েছে, মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধীন কুমিল্লাপাড়া, খোশালপুর ও জীবননগর বিওপির অভিযানে ২২ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে বিজিবি।

আটকদের মধ্যে ৪ জন নারী ও ৩ জন শিশু। বাকি ১৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ। আটক ব্যক্তিরা নড়াইল, যশোর, রাজবাড়ী, কুমিল্লা, বাগেরহাট, নোয়াখালী ও খাগড়াছড়ি জেলার বাসিন্দা।

এছাড়া বেনীপুর, উথলী ও রাজাপুর বিওপির পৃথক মাদকবিরোধী অভিযানে ৪২ বোতল ভারতীয় মদ, ৩ কেজি গাঁজা ও ৯৫২ পিস নিষিদ্ধ উত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, আটকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। আটক নারী ও শিশুদের যশোরের জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।




শৈলকুপায় জমি দখলের অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতায় হিন্দু পরিবার

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সাধুখালী গ্রামে সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করা জায়গা থেকে উচ্ছেদের শঙ্কায় রয়েছেন গ্রামের একমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের অরুণ বিশ্বাসের পরিবার।

অরুণ বিশ্বাস বলেন, “এখনো বাপ-দাদার ভিটেমাটি আঁকড়ে ধরে আছি। গ্রামের অন্য হিন্দু পরিবারগুলো চলে গেলেও মায়ার টানে আমরা এখনও পড়ে আছি এখানে। কিন্তু এখন যে নির্যাতন শুরু হয়েছে, তাতে আর বেশিদিন টিকতে পারবো বলে মনে হয় না।”

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাধুখালী গ্রামের বাসিন্দা অরুণ বিশ্বাস তার পৈতৃক ২৭ শতক জমিতে বহু প্রজন্ম ধরে বসবাস করছেন। তবে ওই জমি নিয়ে ১৯৮৫ সালে তার প্রতিবেশী আব্দুস সাত্তার মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর ১৯৯০ সালে আদালত আব্দুস সাত্তারের দলিল বাতিল ঘোষণা করেন। এরপর ২০১১ সালে অরুণ বিশ্বাস আদালতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন, যার রায়ে ২০২১ সালে আদালত আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

তবে অভিযোগ রয়েছে, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও গত শুক্রবার সকালে আব্দুস সাত্তার ও তার লোকজন ওই জমিতে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করতে গেলে বাধা দেয় অরুণ বিশ্বাসের চার ছেলে। এ সময় সাত্তার গং তাদের হুমকি-ধমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং এক পর্যায়ে একটি ছোট ঘর নির্মাণ করে চলে যায়।

প্রবীণ প্রতিবেশী আব্দুল কাদের বলেন, “আমি গত ৭০ বছর ধরে দেখছি, এই জমিতে অরুণ বিশ্বাস ও তার পূর্বপুরুষেরা বসবাস করে আসছেন। জোর করে দখলের চেষ্টা করা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

এ বিষয়ে অরুণ বিশ্বাসের ছেলে পল্লী চিকিৎসক অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, “আমরা নিজের জায়গায় ঘর তুলতে পারছি না। আদালতের রায় থাকার পরও তারা আমাদের নির্যাতন করছে। বাধ্য হয়ে বাবা-মা এখন গোয়ালঘরে থাকছেন।”

এদিকে অভিযুক্ত আব্দুস সাত্তারের ছেলে রেজাউল ইসলাম দাবি করেন, “এই জমির বৈধ কাগজপত্র আমাদের কাছে রয়েছে এবং আমরা এই জমির মালিক।” তবে এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি।

শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুম খান বলেন, “এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি” লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।