“ভাবি ও বোনকে হত্যার দায়ে ভাইয়ের ফাঁসি দাবি করলেন ঘাতকের বোন”

গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকিউল ইলমার হত্যাকারী ওহিদুলের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টার সময় গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্তরে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি গাংনী উপজেলা শাখা।

গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উপজেলা শাখার সভাপতি পলাশীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান বকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান বকুল।

বক্তব্য রাখেন, গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাহী সভাপতি ও এবাদৎখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাওছার আলী, ধানখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন, নওদাহোগলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলাম, খড়মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুল ইসলাম, নিহত শিক্ষক জাকিউল ইসলামার মামা ফেরদৌস আহম্মেদ, ঘাতক ওহিদের বড় বোন বুলবুলি খাতুন, নিহত ইলমার ছোট ভাই ত্বোহা, বড়বামন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হাসানুজ্জামান হাসান, সহড়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও নিহত ইলমার সহকর্মী মুক্তা খাতুন, হাড়িয়াদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লাবনী আক্তার প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঘাতক মহিবুল ইসলাম ওহিদের দ্রুত বিচার ও সর্ব্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

ঘাতক মহিবুল ইসলাম ওহিদের বোন তার অপর বোন ও ভাবিকে হত্যার দায়ে আপন ভাই মহিবুল ইসলাম ওহিদের ফাঁশি দাবি করেন। শিক্ষকদের আয়োজন মানববন্ধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এদাবি করেন। তিনি বলেন, ঘাতক আমার ছোট ভাই। আমি তারপরও তার সর্ব্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

নিহত ইলমা গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টার সময় পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগাভাগি ও পুকুরে মাছ ছাড়ার প্রস্তুতিকালে মহিবুল ইসলাম ওহিদ তার বোন জোছনা খাতুন, মেঝো ভাই জাহিদ হোসেন, তার স্ত্রী জাকিউল ইলমা ও ছোট বোন শামীমা খাতুনকে রামদা দিয়ে এলাপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থলেই জাকিউল ইলমা ও জোছনা খাতুন নিহত হন। গুরুতর আহত হন ভাই জাহিদ হোসেন ও অপরা বোন শামীমা খাতুন।

ঘাতক মহিবুল ইসলাম ওহিদ সানঘাট গ্রামের দাড়ের পাড়া এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে ও স্থানীয় এসজিও সানঘাট পল্লী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক।

হত্যাকন্ড ঘটিয়ে ঘাতক মহিবুল ইসলাম ওহিদ রক্তমাখা শরীরে মাঠ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমঝুপি এলাকা থেকে ডিবি ও গাংনী থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে আটক হন। বর্তমানে সে পুলিশী প্রহারায় মেহেরপুর ২৫০ শয্য বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানা গেছে, , পৈতৃকি সম্পত্তি নিয়ে ভাই বোনদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিলো। আজ সকালে নিহত জোছনা খাতুন অপর বোন শামীমা খাতুন পিতার ১ একর ২৭ শতক জমির পুকুরে মাছ ছাড়তে এসেছিলেন। সকালে সবাই মিলে বাড়িতে মিমাংসায় বসেছিলেন। মিমাংসার এক পর্যায় বোন জোছনা খাতুন, শামীমা খাতুন, মেঝো ভাই জাহিদ ও তার স্ত্রী জাকিউল ইলমা পুকুরে মাছ ছাড়তে যান। এসময় মহিবুল ইসলাম ওহিদ ধারাল রামদা দিয়ে তাদের একের পর এক কোপাতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বোন জোছনা খাতুন ও ভাইয়ের স্ত্রী গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (বরখাস্ত) জাকিউল ইলমা। এসময় গুরুতর আহত হন অপর বোন শামীমা খাতুন ও ভাই জাহিদ হোসেন।

ঘাতক মহিবুল ইসলাম ওহিদ সানঘাট পল্লী উন্নয়ন সংস্থা নামের একটি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও সানঘাট গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।

প্রতিবেশী তোহিদুল ইসলাম জানান, আব্দুল আজিজের প্রায় ৩০ বিঘা জমি। ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে। এদের মধ্যে ঘাতক মহিবুল ইসলাম সবার ছোট। বাবা মারা যাবার সময় আব্দুল আজিজ তার স্ত্রী রশিদা খাতুনকে ১১ বিঘা জমি রেজিস্ট্রি দিয়ে গেছেন। মায়ের ১১ বিঘা জমি জমি নিজ নামে নেওয়ার জন্য মহিবুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। এছাড়া বাড়ির ১ একর ২৮ শতক জমির পুকুর আওয়ামী লীগের দলীয় ক্ষমতায় জোর দখল করে মাছ চাষ করে আসছিল। এনিয়ে গ্রামের মন্ডল মাতব্বর নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কোনো সমাধান হয়নি।

এনিয়ে মহিবুল ইসলাম ওহিদ তার ভাই ও বোনদের নামে গাংনী থানা ও মেহেরপুর আদালতে একাধিক মামলা দিয়েছেন। তার মামলায় নিহত জাকিউল ইলমা এর আগে বরখাস্ত হয়েছেন।

নিহত জোছনা খাতুনের স্বামী হাফিজুল ইসলাম বলেন, মহিবুল ইসলাম গাংনী উপজেলা শহরের ১৮ শতক জমি ও বাড়ির ১ একর ২৮ শতক জমির পুকুর একাই দখল করে আছেন। এছাড়া আমার শাশুড়ির ১১ বিঘা জমি দখলে রেখেছে ছোট ভাই ওহিদ। এনিয়ে সে কয়েকটি মামলা করেছে। আজ সকালে আমি আর আমার স্ত্রী জোছনা খাতুন সানঘাট গ্রামে আসি। বাড়িতে সবাই বসে মিমাংসার চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। ওহিদ এই পুকুরটি বিগত চার বছর যাবৎ একাই মাছ চাষ করছিলেন। সবার দাবি ছিল এই চার বছর বাকি ভাই বোন চাষ করবে। এক পর্যায়ে মাছ ছাড়ার কথা বললে সে তার ব্যাগে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর এক এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হওয়ার পর সে পালিয়ে যায়।

প্রতিবেশী তহিদুল ইসলাম জানান, ভাই বোনের জমির ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার শালিস বৈঠক করেছেন। ভাই বোনরা ওহিদ ২ এক বিঘা জমি বেশী দিয়ে তাদের ফ্যাসাদ মেটানোর চেষ্টা করেছেন। তারপরেও ওহিদ সেটা মেনে নেয়নি। নিজেকে আওয়ামীলী কর্মী দাবি করে সে জোর করে একাই ভোগ করছে পিতার রেখে যাওয়া পুকুর, মাঠের জমি ও গাংনীর বাড়ি। তিনি আরও বলেন, ওহিদ ভাই বোনের নামে একাধিক মামলা দিয়ে তাদের বিভিন্ন সময়ে হয়রানি ও নির্যাতন করেছে। শুধু ভাই বোনকেই নয়, এলাকার অনেক মানুষকে সে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। সে যখন গাংনী থেকে গ্রামে আসে তার ব্যাগের মধ্যে সব সময় রামদা ও বড় সাইজের দা থাকে। ভাই বোন কিছু বললে তাদের হত্যা করবে বলে হুমকী দিয়ে আসছিল।




মমতাজের ব্যাংক হিসাব জব্দ

মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তার নামে কোন লকার সুবিধা থাকলে তার ব্যবহারও রহিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তার ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের হিসাবও স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) দেশের কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিএফআইইউথর সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যাংকের শাখায় উল্লেখিত ব্যক্তির এবং তার ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেসব হিসাবের লেনদেন ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলো। সেই সঙ্গে তার নামে কোন লকার সুবিধা থাকলে তার ব্যবহারও রহিত করার অনুরোধ করা যাচ্ছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, লেনদেন স্থগিতের পাশাপাশি উল্লেখিত ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবসংশ্লিষ্ট দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণীসহ যাবতীয় তথ্য আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠাতে হবে।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাসহ মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা আত্মগোপনে চলে যান। আত্মগোপনে থাকা সাবেক এমপিদের একজন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ। তিনি সবশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এদিকে গত দুই মাসের বেশি সময় পর রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকালে প্রকাশ্যে এসেছেন মমতাজ। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি।

মাত্র ৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে ‘আমার হাত বান্ধিবি, পা বান্ধিবি মন বান্ধিবি কেমনে? আমার চোখ বান্ধিবি, মুখ বান্ধিবি পরাণ বান্ধিবি কেমনে?’ পরিবেশন করতে দেখা যায় তাকে।

সূত্র: ইত্তেফাক




বদলির আদেশ পেয়ে তড়িঘড়ি করে ১২ জনকে ভেণ্ডার লাইসেন্স প্রদান

গত ৩০ বছরে মেহেরপুরে ভেণ্ডার লাইসেন্স (জুডিশিয়াল, নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, টিকিট বিক্রেতা) পেয়েছেন ৫২ জন। তার মধ্যে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরেই পেয়েছেন ১২ জন। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে বদলির আদেশ পেয়ে এ কাজ করেছেন সদ্য বিদায়ী ডিসি মো: শামীম হাসান।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, বিনামূল্যের ভেণ্ডার লাইসেন্স পেতে এ ১২ জনের জনপ্রতি লেগেছে লক্ষাধিক টাকা। ৩০ বছরের রেকর্ড ভেঙে একই বছরে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে ১২ জনকে ভেণ্ডার লাইসেন্স দিয়েছেন তিনি। বদলি হওয়ার আগে সুকৌশলে তিনি একাজটি করে মেহেরপুর থেকে বিদায় নিয়েছেন। অথচ বছরের পর বছর আবেদন করেও অনেকেই পাননি লাইসেন্স। এমন আবেদনকারীর সংখ্যাও রয়েছে শতাধিক। এছাড়াও ভেন্ডার লাইসেন্স নবায়ন করতেও এলআরফাণ্ডের নামে নিয়েছেন অতিরিক্ত অর্থ। প্রতি অর্থ বছরে ২ থেকে ৩ জন বা কোন অর্থ বছওে সর্বোচ্চ ৬ জন নিবন্ধন পেলে আলাদিনের চেরাগের মত ২০২৪-২৫ চলমান অর্থবছরে নিবন্ধন পেয়েছেন ১২ জন। যা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ভেণ্ডার অভিযোগ করেন সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে অনেকগুলো ভেন্ডার লাইসেন্স দিয়ে চলে গেছেন। এ ধরণের একটি খবর আসলে তা যাচাইয়ের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে স্ট্যাম্প ভেণ্ডারের নিবন্ধন তালিকা চেয়ে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন থেকে একটি তালিকা সরবরাহ করা হয়।

ভেণ্ডারদের অভিযোগ ও তালিকা বিশ্লেষণ করে চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে নবায়নকৃত ৫২ জন ভেণ্ডার রয়েছেন। ১৯৯৫-৯৬ অর্থ বছর থেকে ভেণ্ডার নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। ওই অর্থ বছরে নিবন্ধন পান মো: সামসুল ইসলাম, মো: ফুজায়েল হক, মো: শওকত আলী। ১৯৯৬-৯৭ অর্থ বছরে মো: আশরাফুল ইসলাম। তিন বছর বাদ দিয়ে ২০০০-০১ অর্থ বছওে মো: আব্দুল মান্নান। ২০০২-০৩ অর্থ বছরে মো: আয়ুব আলী, ২০০৩-০৪ অর্থ বছরে মো: আরোজ আলী, ২০০৪-০৫ অর্থ বছরে মো: লুৎফর রহমান, মো: নুর ইসলাম, মো: আফাজ উদ্দিন, মো: বরকতুল্লাহ, ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে মো: মতিউর রহমান, ২০০৬-০৭ অর্থ বছরে মো: সজিব, মো: সাজ্জাদ হোসেন, মো: হুমায়ন কবীর রতন, ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে মো: আব্দুল আজিজ, মো: জারজিস, ২০১১-১২ অর্থ বছওে মো: আরিফ শেখ, ২০১২-১৩ বছরে মো: শিহাব উদ্দীন, মো: রবিউল ইসলাম, অপূর্ব কুমার সাহা, মো: হাসানুজ্জামান, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে মো: সিরাজুল ইসলাম, মো: গিয়াস উদ্দিন, শেখ শহীদ ইকবাল, মীর ফারুকুজ্জামান, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে সনজিৎ পাল বাবু, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মো: জাব্বারুল ইসলাম, মো: আনিসুর রহমান, মো: ওছাইদ আলী, মো: ফারুক হোসেন, মো: খাইরুল ইসলাম, মোছা: মাহফুজা খাতুন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছওে মো: নাহিদ হাসান, মো: আব্দুল সবুর, ২০১৯-২০ অর্থ বছওে মো: মনিরুজ্জামান কাজল, মো: আজিজুর রহমান, মো: আবু বক্কর, মো: মাসুদ রানা, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে মো: মোস্তাফিজুর রহমান, ২০২৪-২৫ অর্থ বছওে মো: ইকবাল, সোহেল রানা, মামুনুর রশিদ, কাজী মো: বাকি বিল্লাহ, মো: ইয়ারুল ইসলাম, মো: হাসানুজ্জামান, মোহা: শাহাবুদ্দীন, মো: শামীম আজাদ, ইব্রাহিম খলিল, মো: তানজিমান আলী, মো: মাসুম রেজা, মো: হাসান রেজা।

২০২৪-২৫ অর্থ বছরে নিবন্ধন না পাওয়া ওলিয়ার রহমানের সাথে কথা বলে কালের কণ্ঠর প্রতিবেদক । ওলিয়ার জানান, ইউএনও অফিস থেকে আমার ভেরিফিকেশন হওয়ার পরও আমি লাইসেন্স পাইনি। মুজিবনগর থেকে একজন লাইসেন্স পেয়েছেন ৮০ হাজার টাকা দিয়ে। আমি কারো সাথে যোগাযোগ করিনি বলে আমার লাইসেন্স হয়নি। তিনি আরও বলেন, একশ’র বেশি আবেদন জমা পড়ে রয়েছে এখনও।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক পুরাতন একজন ভেণ্ডার প্রতিবেদককে বলেন, একেকজনের প্রায় লক্ষাধিক টাকা লেগেছে লাইসেন্স পেতে। তাকে নতুন লাইসেন্স পাওয়া একজন জানিয়েছেন। তার কথা মত এ অর্থবছরে নিবন্ধন পাওয়া একজনের সাথে বসেছিলেন এ প্রতিবেদক কিছুটা গোপনিয়তা রক্ষা করেন। সাংবাদিক পরিচয় দিলে কথা বলতে না চাওয়ায় কৌশলে নতুন লাইসেন্স পাওয়া ওই ব্যক্তির সাথে বসা হয় লাইসেন্স কিভাবে পেতে হয় তা জানতে। কথোপকথনের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, আবেদন করে যোগাযোগ করলে লাইসেন্স পাওয়া যায়। ডিসির এল আর ফান্ডে বেশ কিছু টাকা জমা দিতে হয়। তিনিও সেখানে টাকা জমা দিয়েছেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর তারিখ দিয়ে জেলা প্রশাসকের সাক্ষর করা লাইসেন্স তিনি পেয়েছেন ১৭ সেপ্টেম্বর। তবে কত দিয়েছেন এ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন ভালোই দিয়েছি। প্রশ্ন করা হয় বিভিন্ন জনের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে ৮০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা লেগেছে, আপনারও কি এই পরিমান লেগেছে , জবাবে তিনি বলেন, আমার একটু কম লেগেছে।

মেহেরপুর জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী আল মামুন অনল বলেন, ভেণ্ডার লাইসেন্স ডিসিরা তাদের ক্ষমতায় দেন। তবে একই অর্থবছরে এর আগে এতজন লাইসেন্স পাননি। এবছর এতজনকে লাইসেন্স দেওয়ার পেছনে অনৈতিক দূরভিসন্ধি রয়েছে এটা ধরে নেওয়ায় যায়। সরকার পরবর্তিনের পর সাবেক জেলা প্রশাসক বদলি হওয়ার আগে অতি গোপনে এতজনকে লাইসেন্স দিয়ে গেছেন। এর সুষ্ঠ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

এ বিষয়ে সাবেক জেলা প্রশাসন মো: শামীম হাসানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে কথা না বলে কেটে দেন। পরে আবার ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।




মেহেরপুরে তামাক চাষিদের কার্ড বাতিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

মেহেরপুরে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) এর রিজিউনাল লিফ ম্যানেজার হাসিবুর রহমান, এরিয়া লিফ ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম, সহকারী লিফ ম্যানেজার কামরুজ্জামান তুহিন, এফটি মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে আবারও মানববন্ধন করেছেন মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে কাংলীগাংনী গ্রামের কার্ড বঞ্চিত তামাক চাষিরা।

গতকাল রবিবার বিকেলে কালিগাংনী তিন রাস্তা মোড়ে ভুক্তভোগী তামাক চাষিরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

কালিগাংনী গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত তামাক চাষি মানিক মিয়ার নেতৃত্বে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, গত মৌসুমে মেহেরপুর জেলার প্রকৃত কৃষকদের তামাক না নিয়ে ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে তামাক ক্রয় করেছেন। দালালদের মাধ্যমে অন্য জেলার বড় বড় তামাক ব্যবসায়ীদেও নিকট থেকে কেজিপ্রতি কমিশন নিয়ে নিম্নমানের তামাক ক্রয় করায় প্রকৃত চাষিরা ন্যয্যমুল্য থেকে বঞ্চিত হয় এবং চাষীরা প্রতিবাদ করেন। মুল্য বঞ্চিত তামাক চাষিরা প্রতিবাদ করার এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ( বিএটি)র দেয়া কালিগাংনী নওপাড়ার গ্রামের লিফ রিজনের প্রায় ৪৫ জন তামাক চাষীর তামাক বিক্রির কার্ড বাতিল করেন। প্রকৃত কৃষকের কার্ড বাতিল করার অভিযোগ তোলেন মানববন্ধনকারীরা।

বাতিলকৃত কার্ড পুনরায় ফেরত দেয়ার দাবী তুলে তামাক চাষি জাকির হোসেন বনেল, আমি প্রায় ১৫ বছর ধরে তামাক চাষ করি। প্রথমে আমি কোম্পানীর সব শর্ত পুরুন করায় আমাকে ২ একরের কার্ড দেন বিএটি। পরে আমি আরও আবাদ বৃদ্ধি করলে ৩ একরের কার্ড দেয়। গেল বছর কোম্পানি আমাকে উন্নতমানের তামাত পুড়ানোর ঘর নির্মাণ করতে বল্লে দেড় লক্ষ টাকা খরচ করে ঘর নির্মান করেছি। অথচ আমাকে কিছু না জানিয়ে আমার কার্ড বাতিল করেছে। আমার সব টাকা লোকসান। কার্ড ফেরত না দিলে আদালতে মামলা করবেন বলেও জানান এই তামাক চাষি।

তামাক চাষি রমজান আলী জানান, আমি কোম্পানির সব নিয়ম মেনে আবাদ করেছি। কিন্তু এবার আমার কার্ড বাতিল করেছে। আমি এর প্রতিবাদে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি।

সেই সাথে ব্রিটিশ টোব্যাকো কোম্পানির ডিভিশনাল কর্মকর্তা আসিফ সাহেবের কাছে বিচার দাবী করেছেন ।
ব্রিটিশ টোব্যাকো কোম্পানির রিজনের প্রবীণ তামাক চাষী মানিক বলেন, তামাক বিক্রয়ের কার্ড প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে বাতিল করার প্রতিবাদে আমাদের এই মানববন্ধন কর্মসৃচি। উপরোক্ত কর্মকর্তার দ্বারা আমরা কৃষকরা লাঞ্ছিত হয়েছি।

কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা উপরোক্ত কর্মকর্তাদের সাথে জড়িত থাকায় আমরা কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
প্রকৃত কৃষকদের কার্ড কেটে দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি। একই সাথে আমাদের কার্ড তালিকাভুক্ত করার দাবী জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, কালি গাংনী গ্রামের লিফ রিজনের তামাক চাষী রমজান আলী,আখের আলী, সাকের আলী, ইমারুল ইসলাম, সোহেল হোসেন, রিপন আলী, জিয়ারুল ইসলাম, পিকলু, আশরাফুল ইসলাম, আলামিন হোসেনসহ অনেকে।

এ ব্যাপারে মেহেরপুর ব্রিটিশ টোব্যাকো কোম্পানির (আর এম) হাসিবুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য লেখা সম্ভব হয়নি।




দর্শনায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ৬ টি মন্দিরের প্রতিমা বিসর্জন

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হল সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। প্রতি বছরের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় মাথাভাঙ্গা নদীতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছে।

গতকাল বিকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত দর্শনা পৌর এলাকার ৫টি পূজা মন্দির ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ১টি পূজা মন্দির মোট ৬টি পূজা মন্দিরের প্রতিমা বিসর্জন সমাপ্তি হয়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল বেশ কঠোর।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার ওসি তিতুমীর বলেন, আমরা সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। আমাদের সঙ্গে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরাও যুক্ত আছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছে।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ দামুড়হুদা উপজেলা শাখার সভাপতি উত্তম রঞ্জন দেবনাথ বলেন, আমরা সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে আমাদের প্রতিমা বিসর্জন দিতে পেরে খুব আনন্দিত। আমরা প্রতিবছর চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় মাথাভাঙ্গা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে থাকি। এবারও আমরা একই জায়গায় প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছি। অন্যন্য বছরের তুলনায় এ বছর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল বেশ কঠোর। আমি বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই দর্শনা থানার পুলিশ সদস্য, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস এবং আনসার বাহিনীদেরকে। অনেক সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে। আমরা আমাদের অনুষ্ঠানটি খুব সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এসময় প্রতিমা বিসর্জনের স্থানে হাজার হাজার মানুষের জনসমাগম ছিলো।




দামুড়হুদা উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে ২০টি প্রতিমা বিসর্জন

দামুড়হুদা উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছে। শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিন আজ রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকাল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।

দামুড়হুদা উপজেলায় ২০টি মণ্ডপে সকাল থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি। আরতি, শোভাযাত্রাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। কোথায়ও কোন অপ্রিতীকর ঘটনার তথ্য পাওয়া যায়নি।

বিসর্জন উৎসবমুখর ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে, প্রস্তুত ছিল পুলিশ, সেনাবাহিনী, আনসার, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা, এবার দামুড়হুদা উপজেলায় ২২ টির মধ্যে ২০টি মন্ডপে দুর্গাৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চিৎলা শ্রী শ্রী সার্বজনীন পূজা মন্ডপের সভাপতি মদন কুমার হালদার বলেন আমরা গত ৯ অক্টোবর থেকে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করেছি। কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়নি।

দামুড়হুদা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক বাসুদেব হালদার বলেন এবার উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে দুর্গাৎসব সম্পন্ন করতে পেরেছি। কৃতজ্ঞতা জানাই প্রশাসনসহ সকল শুভানুধ্যায়ীর প্রতি।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর বলেন, প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মধ্য দিয়ে সুশৃংখল উৎসবমুখর পরিবেশে এবার শারদীয় দুর্গাৎসব উৎসব সম্পন্ন হয়েছে।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ মহল বলেন জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত সকল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কঠোর নজরদারির মধ্য দিয়ে আমার উপজেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দুর্গাৎসব সম্পন্ন করতে পেরেছি। কোথায় ও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

হিন্দুধর্ম মতে, মহালয়ার দিন ‘কন্যারূপে’ ধরায় আসেন দশভুজা দেবী দুর্গা, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তাকে এক বছরের জন্য বিদায় জানানো হয়। তার এই ‘আগমন ও প্রস্থানের’ মধ্যে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গোৎসব। দোলায় বা পালকিতে আগমনের পর এবার দেবী দুর্গার গমন হচ্ছে ঘোটক বা ঘোড়ায় চড়ে।




গাংনীতে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

২ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-১২) সিপিসি-৩ গাংনী ক্যাম্পোর সদস্যরা।

আটকরা হলেন, গাংনী উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের মতৃ আজিম বকসের ছেলে ইন্তাজুল ইসলাম (৪৬) ও সাহারবাটী গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৭)।

আজ রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে গাংনী পৌর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন র‍্যাব সদস্যরা।

র‍্যাব-১২ সিপিসি গাংনী ক্যাম্পের কমান্ডার সহকারি পুলিশ সুপার এনামুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মাদক ব্যবসায়ীরা গাঁজা নিয়ে গাংনী পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের আরাফ এন্টারপ্রাইজের সামনে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান চালান। সে সময় র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় র‍্যাব সদস্যরা দুই কেজি গাঁজাসহ ইন্তাজুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেনকে আটক করেন।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা একটি নিয়মিত মামলা দিয়ে গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।




ঝিনাইদহে ৩ কৃষকের ২ বিঘা জমির পান বরজ কেটে দিয়েছে দুর্বত্তরা

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের বারইখালী গ্রামে ৩ কৃষকের ২ বিঘা জমির পান বরজ কেটে দিয়েছে দুর্বত্তরা। গতকাল শনিবার (১২ আক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার বারইখালী গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ওই গ্রামের আরাফাত শাহ জানান, তিনি ও তার দুই ভাই আলহাজ শাহ ও আয়াতুল্লাহ শাহ গ্রামের মাঠে পানের আবাদ করেছিলেন। কিছু কিছু জমি থেকে পান সংগ্রহ করেছেন। কোন জমিতে সারও দিয়েছেন। এখন জমি থেকে পান সংগ্রহ করবেন তারা। কিন্তু গেলো রাতে কে বা কারা ৩ ভাইয়ের ২ বিঘা জমির পানবরজ কেটে দিয়েছে। সকালে পান বরজে এসে দেখেন সকল গাছ কেনে দিয়েছে ও ভেঙ্গে দিয়েছে। এতে সর্বশান্ত হয়ে গেছেন তারা। তাদের প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ আয়াতুল্লাহ শাহ বলেন, ‘আমরা জীবিকা নির্বাহের জন্য পান বরজের ওপর নির্ভর করি। এমন ঘটনার ফলে আমাদের পরিবার বড় ধরনের বিপদে পড়েছে। আমারা তো কারে সাথে শত্রুতা করিনা। তাহলে আমাদের এত বড় ক্ষতি কেন করলো। আল্লাহ’র কাছে বিচার দিলাম।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন বলেন, পানবরজ কেটে দেওয়ার ঘটনাটি শুনেছি। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।




ঝিনাইদহে ‘দৈনিক যশোর বার্তা’র প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা

যশোর থেকে প্রকাশিত বহুল প্রচলিত ‘দৈনিক যশোর বার্তা’ প্রত্রিকার (ঝিনাইদহ-মাগুরা) প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভাপতি অনুষ্ঠত হয়েছে।

আজ রবিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ঝিনাইদহের মর্ডান মোড়ে দৈানক কালবেলা অফিসের সেমিনার কক্ষে ঝিনাইদহ ও মাগুরার জেলা-উপজেলা প্রতিনিধিদের নিয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দৈনিক যশোর বার্তার ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি মোঃ শাহানুর আলম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক যশোর বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক শিহাব উদ্দীন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা প্রতিনিধি মোঃ নওয়াব আলী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাগুরার ষ্টাফ রিপোর্টার আনোয়ার হোসেন, কালীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম, ষ্টাফ রিপোর্টার আব্দুল্লাহ বাশার, মহেশপুর উপজেলা প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন, কোটচাদপুর প্রতিনিধি রেজাউল করিম, ষ্টাফ রিপোর্টার জীবন রহমান, মাগুরা (মহাম্মদপুর ) উপজেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন নাজমুল, হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রতিনিধি মাহামুদুর রহমান মিল্টন এবং যশোর অফিসের ফটো সাংবাদিক তানভীর হোসেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ঝিনাইদহের প্রতিনিধিগণ।

সভা শেষে মধ্যাহ্নভোজের মধ্যদিয়ে সভার পরিসমাপ্তি ঘোষণা করেণ ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি মোঃ শাহানুর আলম।

মতবিনিময় সভায় প্রতিনিধিগণ পত্রিকার সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বলেন নানা চড়াই-উতরায় পেরিয়ে আমরা যশোর বার্তাকে মানুষের দোর গুড়াই পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করছি, আপনাদের সকলের সহযোগীতায় এই পত্রিকাকে আমরা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। দৈনিক যশোর বার্তা আমরা একটি পরিবার, সকলকে আন্তরিকতার সাথে পত্রিকায় কাজ জরার আহবান জানন। আগামী ১১ নভেম্বর পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিক বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালনের জন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।




এইচএসসি পাসে বিমানবাহিনীতে নিয়োগ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ৯২ বিএএফএ কোর্সে অফিসার ক্যাডেট পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগামী ৫ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত।

প্রতিষ্ঠানের নাম : বাংলাদেশ বিমানবাহিনী

পদের নাম : অফিসার ক্যাডেট

জনবল নিয়োগ : ৯২ বিএএফএ কোর্সের ৪টি শাখা

শাখাসমূহ : জিডি (পি) লজিস্টিক/ এটিসি/ এডিডব্লিউসি/ মিটিওরলজি অ্যাডমিন ফিন্যান্স যোগ্যতা জিডি (পি) শাখার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি (বিজ্ঞান) উভয় পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৫০ এবং পদার্থ ও গণিতে ন্যূনতম লেটার গ্রেড এ। ও লেভেলে পদার্থ, গণিতসহ কমপক্ষে পাঁচটি বিষয়ে লেটার গ্রেড বি এবং এ লেভেলে পদার্থ ও গণিতে কমপক্ষে লেটার গ্রেড বিল।

লজিস্টিক/ এটিসি/ এডিডব্লিউসি/ মিটিওরলজি শাখার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি (বিজ্ঞান) উভয় পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৫০ এবং পদার্থ ও গণিতে ন্যূনতম লেটার গ্রেড এ। ও লেভেলে পদার্থ, গণিতসহ কমপক্ষে পাঁচটি বিষয়ে লেটার গ্রেড বি এবং এ লেভেলে পদার্থ ও গণিতে কমপক্ষে লেটার গ্রেড বি।

অ্যাডমিন শাখার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় যেকোনো শাখায় ন্যূনতম জিপিএ-৪.৫০। ও লেভেলে কমপক্ষে পাঁচটি বিষয়ে লেটার গ্রেড বি এবং এ লেভেলে দুটি বিষয়ে লেটার গ্রেড বি।

ফিন্যান্স শাখার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি (ব্যবসায় শিক্ষা শাখা) উভয় পরীক্ষায় যেকোনো শাখায় ন্যূনতম জিপিএ-৪.৫০। উভয় পরীক্ষায় হিসাববিজ্ঞানে ন্যূনতম লেটার গ্রেড এ থাকতে হবে। ও লেভেলে হিসাব বিজ্ঞানসহ কমপক্ষে পাঁচটি বিষয়ে লেটার গ্রেড বি এবং এ লেভেলে হিসাব বিজ্ঞানসহ দুটি বিষয়ে লেটার গ্রেড বি।

বৈবাহিক অবস্থা : প্রার্থীকে অবিবাহিত হতে হবে।

আবেদনের বয়সসীমা : ২০২৫ সালের ২৩ জুন তারিখে বয়স ১৬ বছর ৬ মাস থেকে ২২ বছরের মধ্যে হতে হবে।

উচ্চতা : পুরুষ : উচ্চতা কমপক্ষে ৬৪ ইঞ্চি, বুকের মাপ কমপক্ষে ৩২ ইঞ্চি, প্রসারণ ২ ইঞ্চি। নারী : উচ্চতা জিডি (পি) শাখার জন্য ৬৪ ইঞ্চি, অন্যান্য শাখার জন্য ৬২ ইঞ্চি, বুকের মাপ কমপক্ষে ২৮ ইঞ্চি, প্রসারণ ২ ইঞ্চি।

ওজন : উভয় প্রার্থীদের ওজন বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী হতে হবে।

দৃষ্টিশক্তি : জিডি (পি) শাখার প্রার্থীদের জন্য দৃষ্টিশক্তি ৬/৬ এবং এটিসি/ এডিডব্লিউসি শাখার প্রার্থীদের জন্য ৬/১২ এবং লজিস্টিকস, অ্যাডমিন, ফিন্যান্স ও মিটিওরলজি শাখার জন্য ৬/৬০ পর্যন্ত।

প্রশিক্ষণ ও কমিশন : বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে ১০ সপ্তাহসহ বাংলাদেশ বিমানবাহিনী একাডেমিতে তিন বছরমেয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে ফ্লাইং অফিসার পদবিতে নিয়মিত কমিশন প্রদান করা হবে। কমিশনপ্রাপ্তির পরবর্তী এক বছরসহ মোট চার বছরমেয়াদি স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা : প্রশিক্ষণকালীন অফিসার ক্যাডেটদের মাসিক বেতন ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং প্রশিক্ষণ শেষে পদবি অনুসারে আকর্ষণীয় বেতন ও ভাতা দেওয়া হবে।

যেভাবে আবেদন করবেন : অনলাইনে আবেদনের জন্য বিমানবাহিনীর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ‘অ্যাপ্লাই নাউ’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। সেখানকার নির্দেশনা অনুযায়ী নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন ফি বাবদ ১০০০ টাকা পাঠাতে হবে। এরপর ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড পেলে লগইন করে অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করে প্রিন্ট করতে হবে। প্রাথমিক লিখিত পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখে সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, অন্য সনদের সত্যায়িত ফটোকপিসহ বিমানবাহিনী তথ্য ও নির্বাচনী কেন্দ্রে জমা দিতে হবে। বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

আবেদনের শেষ সময় : ০৫ এপ্রিল, ২০২৫

সূত্র: কালবেলা