মেহেরপুরে শতভাগ বে-সামরিক অস্ত্র জমা

মেহেরপুরে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ৯৩টির মধ্যে ৭৩টি জমা পড়েছে। বাকি ২০ টি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সামরিক ব্যক্তিদের। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাত ১২ টা পর্যন্ত এসকল অস্ত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে সদর থানায় ৩৯টি, গাংনী থানায় ২৯টি এবং মুজিবনগর থানায় ৫টি অস্ত্র জমা পড়েছে।

মেহেরপুর জেলায় বর্তমানে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে মোট ৩০২ টি। ২০০৯ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত নতুন করে বৈধ অস্ত্রধারী হয়েছেন ১১৪ জন। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে নীতিমালা পালন না করেই রাজনৈতিক বিবেচনায় দেয়া হয়েছে লাইসেন্সগুলো। জানা গেছে নতুন বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা, বিভিন্ন সময়ে মেহেরপুর জেলায় কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যাংক কর্মকর্তারা। এক্ষেত্রে বাদ যাননি বিএনপির নেতা ও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের পর মেহেরপুর বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে ৩০২ টি। গত ১৫ বছরে লাইসেন্স পেয়েছেন ১১৪টি। এর মধ্যে এক নলা বন্দুক ১৪ টি, দুই নলা বন্দুক ২৭ টি, শর্টগান ২৬ টি, এনপিবি পিস্তল ১৫, পিস্তল ৩টি, ১২ বোর রাইফেল ১ টি ও ২২ বোর রাইফেল ২ টিসহ আরো কয়েক প্রকৃতির আগ্নেয়াস্ত্র। এছাড়াও কয়েকজন লাইসেন্স নিলেও অস্ত্র কিনেননি বলে জানা গেছে।

২০০৯ সাল থেকে মেহেরপুর জেলায় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার স্টেডিয়াম পাড়ার মেজর মোঃ আসাদুজ্জামান একটি এনপিবি পিস্তল , চাদপুর গ্রামের মোঃ আশরাফুল ইসলাম একটি ২ নলা বন্দুক, তেরঘরিয়া গ্রামের মোঃ আব্দুল আউয়াল ভদ্র একটি ২ নলা বন্দুক, নৌবাহিনীতে কর্মরত কাঁসারী পাড়ার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ফয়সাল মেহেদী একটি ১২ বোরের বন্দুক, সদ্য সাবেক কাথুলি ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা একটি ২ নলা বন্দুক ও একটি শটগান, রাজাপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস একটি ২ নলা বন্দুক, মেহেরপুর ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীনের ছেলে তানভীর আহমেদ খান রানা একটি এনপিবি পিস্তল, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা গ্রামের গনি উল আজম একটি পিস্তল, মেহেরপুরের সদ্য সাবেক পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন একটি শর্টগান ও একটি এনপিবি পিস্তল , ঝাউবাড়িয়া গ্রামের বায়েজিদ বিশ্বাস একটি ২ নলা বন্দুক, সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন একটি শর্টগান ও একটি এনপিবি পিস্তল, গোপালপুর গ্রামের সামসুজ্জোহা ওরফে মোস্তফা কামাল একটি ২ নলা বন্দুক, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আব্দুস শুকুর ইমন একটি শটগান, পিরোজপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান হাবিব একটি শটগান ও একটি এনপিবি পিস্তল, ইসলামী ব্যাংক মেহেরপুর শাখার ব্যবস্থাপক অনুকূলে একটি শটগান, রাইপুরের আবু হেনা মো: মামুনুর রশিদ একটি ২ নলা বন্দুক, সুবিদপুর গ্রামের শাহানা খানম একটি ১ নলা বন্দুক , পিরোজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ভগ্নিপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস একটি পিস্তল, খোকসা গ্রামের মোঃ মোস্তাক আহমেদ একটি শটগান , ফতেপুর গ্রামের মো: ফজলুল হক একটি ১ নলা বন্দুক, আশরাফপুর গ্রামের মোঃ জহিরুল ইসলাম ফিরোজ একটি ১ নলা বন্দুক, ফতেপুর গ্রামের মোঃ কবির উদ্দিন একটি শটগান , কালীগাংনী গ্রামের মাহিরুল ইসলাম একটি ১ নলা বন্দুক, আমঝুপি গ্রামের মোঃ জিয়াউর রহমান মুকুল একটি এনপিবি পিস্তল, পূবালী ব্যাংকের মেহেরপুর শাখার ব্যবস্থাপকের একটি শটগান, আমদহ গ্রামের মোঃ বকুল হোসেন একটি শটগান , মেহেরপুর পৌর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো: সাবেদুদ্দোজা মতি একটি ১ নলা বন্দুক , শুভরাজপুর গ্রামের মো:মন্জুর রহমান বিশ্বাস একটি ১ নলা বন্দুক, উজলপুর গ্রামের বাবুল হাচান একটি শট গান, কুতুবপুর গ্রামের মোঃ ফয়সাল হোসেন একটি শট গান, কালাচাঁদপুর গ্রামের রঞ্জু আহমেদ একটি শটগান, ফতেপুর গ্রামের মোঃ মাহবুবুর রহমান একটি শট গান, সুবিদপুর গ্রামের মোঃ মাহফিজুর রহমান একটি অত্যাধুনিক ২২ বোরের রাইফেল, উজলপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান মোল্লা একটি শটগান, নতুন পোস্ট অফিস পাড়ার মো: শাহাজাহান কবির একটি শর্ট গান, উজলপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান একটি শটগান, শোলমারী গ্রামের মোহাম্মদ সেলিম রেজা (সদ্য সাবেক কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান) একটি শটগান, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস একটি ২ নলা বন্দুক , টুঙ্গী গ্রামের মো: জাহিদুল হক একটি ২ নলা বন্দুকের লাইসেন্স সহ মালিক বনেছেন। সদ্যসাবেক মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহা: আব্দুস সালাম একটি পিস্তলের লাইসেন্স পেলেও তিনি অস্ত্র কেনেননি।

গাংনী উপজেলার, বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মমতাজ বেগম একটি ১ নলা বন্দুক, গাংনি পৌর শহরের আনারুল ইসলাম একটি শটগান, শিশির পাড়ার মোঃ মনিরুজ্জামান একটি ১ নলা বন্দুক , মানিকদিয়া গ্রামের মোঃ একরামুল হক একটি ১ নলা বন্দুক, বামুন্দির তরিকুল ইসলাম একটি ২ নলা বন্দুক, করমদি গ্রামের আবু সাঈদ মো: দেলোয়ার হোসেন একটি ১ নলা বন্দুক, বগুড়া সেনানিবাসে কর্মরত সেনা কর্মকর্তা ষোলটাকা গ্রামের ক্যাপ্টেন মোঃ জয়নুল আবেদীন একটি ২ নলা বন্দুক, রাধাগোবিন্দপুর গ্রামের মোঃ সোহরাব হোসেন একটি ২ নলা বন্দুক, বাদিয়াপাড়া গ্রামের মোঃ সেলিম মাহমুদ একটি ২বনলা বন্দুক, রামদেবপুর গ্রামের মোঃ মতিয়ার রহমান একটি ২ নলা বন্দুক, নওয়াপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ জিয়ারুল ইসলাম মুকুল ২ নলা বন্দুক, নওদাপাড়া গ্রামের মোঃ আব্দুল মতিন একটি ২ নলা বন্দুক, তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের মোঃ শরিফুল ইসলাম একটি ২ নলা বন্দুক, বিজিবিতে সার্জেন্ট পদে কর্মরত নিশিপুর গ্রামের মোঃ আখতারুজ্জামান একটি শটগান, কামারখালী গ্রামের মোঃ রোকনুজ্জামান একটি ১ নলা বন্দুক, কাস্টদহ গ্রামের মোঃ জহুরুল ইসলাম একটি ২ নলা বন্দুক, হেমায়েতপুরের মোঃ নবিছদ্দিন একটি ১ নলা বন্দুক, গাংনী উত্তর পাড়ার মো: আশরাফুল ইসলাম একটি শটগান ও একটি এনপিবি পিস্তল, নিশিপুর গ্রামের মোছাঃ জেনিস ফারজানা তানিয়া একটি ১ নলা বন্দুক, সাহারবাটী গ্রামের মোঃ খালেদুজ্জামান একটি ২ নালা বন্দুক, চ্যাংগাড়া গ্রামের মোঃ বাহাউদ্দিন একটি ১ নলা বন্দুক, ছাতিয়ান গ্রামের মো: আমিরুল ইসলাম একটি শটগান, গাড়াবাড়িয়া গ্রামের মো: মনজুরুল ইসলাম একটি ২ নলা বন্দুক, মেহেরপুর ২ সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকনের একটি শর্টগান ও একটি পিস্তল, হেমায়েতপুর গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমান একটি ১ নলা বন্দুক, চৌগাছার মোঃ আখতারুজ্জামান একটি ২ নলা বন্দুক, গাংনী ভিটা পাড়ার মোহাঃ রাশেদুল ইসলাম একটি ১ নলা বন্দুক, করমদি গ্রামের মো: মোশারফ হোসেন একটি শটগান, হিন্দা গ্রামের আব্দুর রহমান একটি ২ নালা বন্দুক, ও বিএনপি নেতা মোঃ আমজাদ হোসেন একটি এনপিবি পিস্তলের লাইসেন্স সহ বৈধ অস্ত্রধারী হয়েছেন।

মুজিবনগর উপজেলার, নাজিরাকোনা গ্রামের এম.এম সালাউদ্দিন একটি ১ নলা বন্দুক, কোমরপুর গ্রামের মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান একটি ২ নলা বন্দুক , এনএসআই কর্মকর্তা শিবপুর গ্রামের জিএম আলীমুদ্দিন একটি পিস্তল। সোনাপুর গ্রামের মোঃ হাফিজুর রহমান একটি ২ নলা বন্দুক, সদ্য সাবেক মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু একটি পিস্তল, গৌরীনগর গ্রামের মোঃ রুমনুজ্জামান একটি ২ নলা বন্দুকের লাইসেন্স অস্ত্রধারী হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংক কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরাও মেহেরপুর জেলা থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন এবং অস্ত্র কিনেছেন। মধ্যে রয়েছেন, ব্যবস্থাপক রূপালী ব্যাংক মেহেরপুর শাখার অনুকূলে ১টি শর্টগান, নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ফয়সাল মেহেদী একটি ১২ বোর বন্দুক, বগুড়ার ১৯ মিডি রেজিমেন্ট আর্টিলারির ক্যাপ্টেন মোঃ জয়নাল আবেদীন একটি ২ নলা বন্দুক, মেহেরপুরের সাবেক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাস একটি এনপিবি পিস্তল, সাবেক পুলিশ সুপার মোঃ মোফাজ্জল হোসেন একটি শটগান, এনএসআই কর্মকর্তা জিএম আলীমুদ্দিন একটি পিস্তল, বিজিবি সদস্য সার্জেন্ট মোঃ আখতারুজ্জামান একটি শটগান, ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থাপক মেহেরপুরের অনুকূলে একটি শটগান, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এনপিবি পিস্তল, ব্যবস্থাপক পূবালী ব্যাংক মেহেরপুরে অনুকূলে একটি শটগান, সাবেক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ছানাউল্লাহ একটি এনপিবি পিস্তল, মেহেরপুরের সাবেক চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মহিদুজ্জামান একটি এনপিবি পিস্তল, গাংনী থানার সাবেক ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার একটি এনটিভি পিস্তল, ঢাকা সেনানিবাস এর সার্জেন্ট এবিএম আলাউদ্দিন একটি শটগান, স্থানীয় সরকার বিভাগ মেহেরপুরের সাবেক উপ-পরিচালক মৃধা মোঃ আলাউদ্দিন একটি ২২ বোর রাইফেল, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড গাংনী শাখার ব্যবস্থাপক অনুকূলে একটি শটগান। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ পারভেজ হক একটি শটগানের লাইসেন্স পেলেও তিনি অস্ত্র কিনেন নি।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিগত ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য প্রদত্ত সকল আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স (কর্মরত সামরিক-অসামরিক কর্মকর্তা ব্যতীত) স্থগিত করে। স্থগিতকৃত লাইসেন্সভুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ সমূহ আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাইসেন্স গ্রহীতার সংশ্লিষ্ট থানায় অথবা বর্তমান বসবাসের ঠিকানার নিকটস্থ থানায় লাইসেন্স গ্রহীতাকে নিজে বা মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে জমা প্রদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী লাইসেন্সধারীরা কেই নিজে কেই প্রতিনিধিদের মাধ্যমে স্ব স্ব থানায় জমা দেন।




দামুড়হুদা হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০ টায় ডুগডুগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আক্তার সিদ্দিকী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মালেক রুস্তম, দামুড়হুদা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রকিবুল হাসান তোতা, উপজেলা যুবদলের সদস্য হুমায়ূন কবির ডাবলু, মমিনুল ইসলাম, হাউলী ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি আব্দুল মমিন, সাধারণ সম্পাদক শমসের আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল জোয়ার্দার, হাউলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক, হাউলী ইউনিয়ন যুবদলের অন্যতম নেতা আরিফুল ইসলাম আরিফ, হাউলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ফারুক হোসাইন বাবু, হাউলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক মল্লিকসহ হাউলী ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান।

অনুষ্ঠান শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারা বাংলাদেশের সকল শহীদ ও আহতদের উদ্দেশ্যে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে উপস্থিত সকলে দুহাত তুলে দোয়া মোনাজাত করেন। দোয়ার অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আক্তার সিদ্দিকী।




মেহেরপুরে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে জেলা জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ 

মেহেরপুরে জেলা প্রশাসক, জেলা সিভিল সার্জন, জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও বিএডিসির ডিডি সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমীরসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ।

আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) মেহেরপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জেলা আমীরের নেতৃত্বে জেলা নেতৃবৃন্দ এ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সৌজন্য সাক্ষাতে জেলা জামায়াতের আমীর  বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সাধারণ জনগণের সরকারি সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যেন কোন বিশেষ মহলের চাপ ছাড়ায় জনগনকে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সেবা দিতে পারে সে ব্যাপারে আলোচনা করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মাহবুব উল আলম , জেলা সেক্রেটারি মোঃ ইকবাল হোসাইন, জেলা সমাজকল্যাণ সেক্রেটারি মোঃ জারজিস হোসাইন, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি কাজী রুহুল আমিন, জেলা শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল, জেলা যুব বিভাগের সভাপতি কাউন্সিলর সোহেল রানা ডলার, জেলা শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি আল-আমিন ইসলাম বকুল ও জেলা ব্যবসায়ী বিভাগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।




ঝিনাইদহে জ্বীনের বাদশা পরিচয়ে প্রতারণার সময় আটক ৩

ঝিনাইদহে জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল।

আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের ধোপাঘাটা ব্রীজ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সমসপাড়া গ্রামের নুর আলম, মামুন হোসেন ও সাইফুল ইসলাম। পুলিশ জানায়, গত ১ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে মোবাইলে জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে একটি চক্র প্রতারণা শুরু করে। স্বামী ও সন্তানের ক্ষতির ভয় দেখিয়ে ওই নারীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। সর্বশেষ বুধবার ওই ভুক্তভোগীর কাছে স্বর্ণের গহনা চাইলে ওই নারী পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে। ওই নারীর স্বর্ণালংকার নিতে গাইবান্ধা থেকে ঝিনাইদহ এলে পুলিশ তাদের অবস্থান শনাক্ত করে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সমসপাড়া গ্রামের নুর আলম, মামুন হোসেন ও সাইফুল ইসলামকে আটক করে। চক্রটি দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন প্রতারণা করে আসছিলো বলে জানিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।




মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে বাস চলাচল বন্ধ

সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এক বাসচালককে মারধর করে অটোরিকশাচালকরা ।

বাসচালকরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আমাদের এক বাসচালককে মারধর করে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকরা সেই কারণে আজ বুধবার সকালে কয়েকটি যাত্রীবাহী বাস কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলেও বিভিন্ন জায়গায় বাধা দেয় সিএনজিচালকরা। বিশেষ করে কুষ্টিয়ার মধ্যে খলিশাকুন্ডি পাড় হলে বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করেছেন সিএনজিচালকরা। নিরাপত্তা না থাকায় বাস চলাচল বন্ধ। রুট পারমিট ছাড়াই সিএনজিচালকরা সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। অথচ বাস চলাচল করতে পারছে না। সড়কে নিরাপত্তা পেলেই বাস চলাচল শুরু হবে।

এ দিকে ভোগান্তিতে পড়া সাধারণ মানুষরা বলে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে বাস চলাচল না করাতে আমরা জরুরি কাজ ও চিকিৎসার জন্য অনেকেই কুষ্টিয়া পৌঁছাতে পারছি না। এ ছাড়াও মেহেরপুর থেকে গাংনী, বামুন্দীতে অটো করে যেতে সময় লাগছে বেশি কারণ মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের চলমান কাজ শেষ না হওয়াতে।




ঘর থেকেই হোক ‘গুড টাচ-ব্যাড টাচ’র শিক্ষা

শিশুদের আদর করা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। একটি শিশুর জন্মের পর থেকে তার মা-বাবাসহ তার পরিমণ্ডলের সবাই স্নেহের স্পর্শে রাখে। তারা সবাই স্নেহের চাদরে শিশুটিকে আগলে আগলে বড় করে তুলতে চায়।

তবে একথাও সত্য যে স্পর্শ কখনো কখনো শুধুই স্পর্শ নয়। অনেক সময় সেই স্পর্শেও থাকে বিকৃতি কিংবা দুরভিসন্ধি। তাই তো শিশুদের ছোটবেলা থেকেই কোন স্পর্শ ভালো কোন স্পর্শ খারাপ (গুড টাচ-ব্যাড টাচ) তা বোঝা জরুরি।

হবু মায়ের পোশাকহবু মায়ের পোশাক
প্রতিটা কোমলমতি শিশুর অধিকার নিরাপদে হেসে-খেলে বেড়ে ওঠা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি, যৌন নির্যাতন কিংবা যৌন হয়রানির মত ঘটনার শিকার অনেক শিশুর ক্ষেত্রে হয়। আর এটি যে কেবল কন্যা-শিশুর ক্ষেত্রে ঘটতে পারে, তা কিন্তু নয়। ছেলে শিশুটিও নিরাপদ নয় এমন বিকৃত অভিজ্ঞতা থেকে।

ভয় এবং শঙ্কার বিষয় হচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুরা এ ধরনের হয়রানির শিকার হন ‘কাছের মানুষ’ বা পরিচিত কারও দ্বারা। অথচ শিশুরা বিষয়টি বুঝতেও পারে না যে তাদের সঙ্গে কী ঘটছে। আর সে যখন বুঝতে শেখে তখন এ ধরনের ঘটনা তার উপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করে। তাই শিশুকে অবশ্যই গুড টাচ ও ব্যাড টাচের পার্থক্য শেখাতে হবে। এ সম্পর্কে ধারণা থাকলেই শিশু নিজে থেকে সতর্ক হতে পারবে।

শিশুদের গুড টাচ ব্যাড টাচ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসার নাসরিন জাহান।

তিনি বলেন, শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন বর্তমান সমাজে যেন ব্যাধির আকার নিয়েছে। প্রায়ই শিরোনামে চলে আসে এ ধরনের ঘটনা। শুধুমাত্র কন্যা সন্তান নয়। পুত্রসন্তানও হতে পারে নির্যাতনের শিকার। অবশ্যই মানসিকতার বদল প্রয়োজন। একই সঙ্গে শিশুকেও প্রথম থেকেই শিক্ষিত করে তোলা প্রয়োজন। আর এই দায়িত্ব প্রাথমিক ভাবে মা হিসেবে আপনাকেই নিতে হবে। ছোট থেকেই গুড টাচ-ব্যাড টাচের পার্থক্য শিশুকে বুঝিয়ে দিন। শিক্ষাটা শুরু হোক বাড়ি থেকেই।

শিশুর আস্থা তৈরি করুন
সবার আগে শিশুর আস্থা অর্জন করুন। আপনি হয়ে উঠুন তার ভরসার জায়গা। যাতে সে যেকোনো ভালোলাগা বা মন্দলাগার কথা আপনার কাছে নির্ভয়ে বলতে পারে। শিশুকে বোঝান, তার বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করুন। তাকে গুড টাচ বা ব্যাড টাচ বোঝানোর আগে তার আস্থা অর্জন করা জরুরি।

ব্যাড টাচ সহজভাবে বোঝান
শিশুরা সরল। তারা গম্ভীর আলোচনা বুঝতে পারে না। তাই শিশুকে ব্যাড টাচ সম্পর্কে বলতে গিয়ে গম্ভীরভাবে আলোচনা করার দরকার নেই। তাহলে সে ভয় পেয়ে যেতে পারে। এটি নিয়ে আলাদা আলোচনায় বসারও দরকার নেই। প্রতিদিনের ছোট ছোট আলাপের মাঝেই বুঝিয়ে বলতে পারেন।

শরীরের সব অঙ্গ পরিচিত করুন
শিশুকে অবশ্যই তার প্রাইভেট পার্ট সম্পর্কে সচেতন করা প্রয়োজন। অভিভাবক হিসেবে কাজটি করতে হবে আপনাকে। তার প্রাইভেট পার্টে স্পর্শ করে কখনো আদর করবেন না। তাকে যে কেউ প্রাইভেট পার্টে হাত দিতে পারবে না শিশুর বয়স পাঁচ বছর হলে সেকথাও বুঝিয়ে বলুন।

অনুমতি নিন
সে শিশু হলেও তার থেকে অনুমতি নেওয়ার অভ্যাস করুন। এতে সে অনুমতির গুরুত্ব শিখবে। গোসল কিংবা পোশাক পরিবর্তন করানোর সময় অবশ্যই তাকে স্পর্শ করার আগে অবশ্যই তার অনুমতি নিন। এতে সে অনুমতি ছাড়া যে প্রাইভেট পার্টে হাত দেওয়া যায় না এটি বুঝতে শিখবে।

চিৎকার করতে শেখান
যেকোনো নেতিবাচক বা খারাপ আচরণ পেলে তাকে চিৎকার করতে শেখান। কারও স্পর্শ ভালো না লাগলে যেন সে সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার শুরু করে। হতে পারে তা যে কারও স্পর্শ। যেকোনো পরিস্থিতিতে তাকে নিজেকে রক্ষা করার বুদ্ধি শেখাতে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন, এসব শেখাতে গিয়ে যেন শিশুর মনের ওপর বাড়তি চাপ না পড়ে।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে শ্রীশ্রী লোকনাথ বাবার ২৯৪ আবির্ভাব দিবস পালন

ত্রিকালদর্শী শ্রী শ্রী লোকনাথ বাবা ব্রহ্মচারী জন্ম অষ্টমী তিথিতে ১৭৩০ সালের জন্মাষ্টমীর দিনই পৃথিবীর বুকে আবির্ভাব হয়েছে।

আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর ) শ্রী শ্রী লোকনাথ বাবার ২৯৪ তম আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে, ঝিনাইদহ পুরাতন হাটখোলা শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দিরে পূজার আয়োজন করা হয়।

স্থানীয়রা বিপদের সময় একমাত্র ভরসা হিসাবে তাঁকে মানেন। কথিত আছে জীবদ্দশায় তিনি অনেক রোগ ভালো করে দিতে পারতেন। তিনি জাতিস্মর অন‍্যের মনের ভাব অবলীলায় জানতে পারতেন তিনি এমনই বিশ্বাস তাঁর ভক্তদের।

শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী এই পূজায় রাখা হয় মিছিরি ও অমৃতি। এছাড়াও থাকে ফূল, ধূপ, চন্দন সহ পূজার অন‍্যান‍্য উপকরণ।কথিত আছে বাবা লোকনাথ মহাদেবের এক অবতার। এই সমাজের বহু মানুষ তাদের জীবনের চলার পথে লোকনাথ বাবাকেই আদর্শ করে নিয়েছেন। বাবা লোকনাথের অগনিত ভক্তরা আজও বয়ে নিয়ে চলেছে তার বাণী।

শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দিরে সভাপতি রনি সাহা ও সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত দত্ত দেবু মেহেরপুর প্রতিদিন কে জানান আমরা
এভাবেই ভক্তি ও শ্রদ্ধার সাথে প্রতিবছর পালিত হয় শ্রীশ্রী লোকনাথ বাবার আবির্ভাব দিবস। বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার ভক্তরা আসেন সেখানে।পূজা শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।




ঢাকায় নিয়োগ দেবে যমুনা গ্রুপ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে যমুনা গ্রুপ। ডেপুটি ম্যানেজার/ম্যানেজার (ব্র্যান্ড) পদে জনবল নিয়োগ দেবে প্রতিষ্ঠানটি। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

প্রতিষ্ঠানের নাম : যমুনা গ্রুপ

পদের নাম : ডেপুটি ম্যানেজার/ম্যানেজার (ব্র্যান্ড) পদসংখ্যা : ২টি অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ৫ বছর

বয়সসীমা : কমপক্ষে ২৮ বছর

কর্মস্থল : ঢাকা

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

আবেদন শুরুর তারিখ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কর্মঘণ্টা : ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র : অফিসে

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

আবেদনের শেষ সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : মার্কেটিং, কমিউনিকেশনস, বিজনেসে স্নাতক ডিগ্রি

অন্যান্য যোগ্যতা : ইলেকট্রনিক্স শিল্পে কাজের দক্ষতা অন্যান্য সুবিধা : কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।




মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনমূলক অনুষ্ঠান

মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিআরটিএ লাইসেন্স পরীক্ষায় এই সচেতনমূলক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় মেহেরপুর সদর ট্রাফিক টিআই ইসমাইল হোসেন বলেন আপনারা হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো যাবে না, দুজন ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো যাবে না, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল না চালানো, নসিমন,করিমন,লাটা হাম্বা,আলমসাধু দ্রুত গতিতে না চালানো বিষয়ে ছাত্রদের সচেতনমূলক বার্তা পৌছে দেন।

এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর বিআরটিএ ইন্সপেক্টর জিয়ারুল ইসলাম।




কিশোর হত্যার রহস্য সন্ধানে কারিনা

বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খানের ক্রাইম থ্রিলার ‘বাকিংহাম মার্ডারস’ মুক্তি পেতে চলেছে খুব শিঘ্রই। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে হনসল মেহতা পরিচালিত সাসপেন্স এ থ্রিলারটির ট্রেলার। এর আগে টিজার দেখেই সিনেমাটির গল্প সম্পর্কে কিছুটা আভাস মিলেছিল।

হিন্দুস্তান টাইমস অনুযায়ী, ১০ বছরের এক শিখ শিশু হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার এক মুসলিম কিশোর! আর তাতেই সাম্প্রদায়িক আগুনে উত্তাল বাকিংহামশায়ার। এদিকে ঘটনার তদন্তভার পান প্রবাসী জসমিত ভামরার ওরফে।

যিনি কিনা একজন গোয়েন্দা, আবার ব্যক্তিগত জীবনে তিনিও একজন মা। এমনই এক গল্প নিয়ে মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য বাকিংহাম মার্ডার্স’-এর ট্রেলার। এ সিনেমায় জসমিত ভামরার চরিত্রে দেখা যাবে কারিনা।

শোভা কাপুর ও একতা কাপুরের বালাজি টেলিফিল্মস এবং টিবিএম ফিল্মসের পাশাপাশি এই ছবির হাত ধরে প্রযোজক হিসাবে অভিষেক করছেন কারিনা।

এর আগে কারিনা বেশকিছু সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘মেরে অফ ইস্টটাউন আমার পছন্দের। আর তাই যখন হনসল আমার কাছে এসেছিলেন, তখন আমি বলেছিলাম, এটাই হয়ত সেই চরিত্র যা আমি সত্যিই করতে চেয়েছি। সুতরাং আমরা চরিত্রটা ওই চরিত্রের ছাঁচে ফেলা হয়েছে খানিকটা।’ ২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিনেমা হলে মুক্তি পাবে ‘দ্য বাকিংহাম মার্ডার্স’।

দ্য বাকিংহাম মার্ডারস ছবিতে কারিনা ছাড়াও অভিনয় করেছেন অ্যাশ ট্যান্ডন, রণবীর ব্রার এবং কিথ অ্যালেন। গল্প লিখেছেন অসীম অরোরা, কাশ্যপ কাপুর এবং রাঘব রাজ কক্কর।