সূচি চূড়ান্ত হলো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৫ সালের ফাইনালের সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী বছরের ১১ জুন শুরু হবে সাদা পোশাকের শিরোপা নির্ধারণী লড়াই। আগের দুই আসরের মতন এবারও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হতে যাচ্ছে ইংল্যান্ডে। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ‘ক্রিকেটের মক্কা’ খ্যাত লর্ডসে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে ফাইনালের সময়সূচি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তারা জানিয়েছে, ১১ থেকে ১৫ জুন লর্ডসে হবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। প্রতিকূল আবহাওয়া চিন্তা করে ফাইনালে রিজার্ভ ডেও রাখা হয়েছে। কোন কারণে বৃষ্টিতে একদিন নষ্ট হলে ১৬ জুনও ফল আনতে খেলা হবে।

এই মুহূর্তে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের লড়াইয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। তাদের পরেই আছে নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে আপাতত চারে উঠে এসেছে বাংলাদেশও।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে বন্যার্তদের সহায়তায় পথ কনসার্ট

মেহেরপুর জেলা ব্যথিত সাংস্কৃতিক কর্মিদের উদ্যোগে বানভাসি মানুষের পাশে থাকতে অনুদান সংগ্রহের জন্য সপ্তাহব্যাপি পথ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে মুজিবনগরের ২০২৪ কেদারগঞ্জ বাজারে এ পথ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিল্পী, সাউন্ড ও যন্ত্রিরা বিনা পারিশ্রমিকে অংশ নিয়েছে।

এসময় এ কনসার্ট থেকে কেদারগঞ্জ বাজারে সংগ্রহ উনিশ হাজার একশত টাকা। কনসার্টে পরিবেশনা করেন চ্যানেল আই খুদে গানরাজ উদয়সহ স্থানীয় শিল্পিরা। তারা হলেন পাপিয়া, দেলোয়ার, নিলু, রজিবুল, আমজাদ, সাইফুল, শাহিন। ব্যবস্থাপনা ও সঞ্চালনা করেন নিশান সাবের।




দু’বছর কারাভোগ শেষে তরুনী ফিরলো আপন ঠিকানায় 

দর্শনা জয়নগর সীমান্তে বিজিবি- বিএসএফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যেমে প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে কলকাতার তরুনীর দু’বছর কারাভোগ শেষে ফিরলো আপন ঠিকানায়।

প্রেম করে অবৈধ পথে বাংলাদেশে ঢুকছিল কলকাতা হাওড়ার মেয়ে প্রিয়াংকা নস্কর (১৮)। এরপর সীমান্তে বিজিবি তাকে আটক করে। ঠাঁই হয় কারাগারে। সেখানে ছিল দু’বছর। কারাভোগ শেষে আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট সীমান্ত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত দেয়া হয় এই ভারতীয় তরুনীকে।

বাংলাদেশের নারায়নগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক ছেলের সাথে প্রেম হয় প্রিয়াংকার। ওই ছেলের পিসির বাড়ি হাওড়াতে প্রিয়াংকাদের বাড়ির পাশে। সেখান থেকে পরিচয়, তারপর প্রেম। বলেছিল বিয়ের পর নারায়নগঞ্জে গামের্ন্টেসে চাকুরী দেবে তাকে। এরপর ওই ছেলের সাথে বিয়ে করার জন্য বাংলাদেশে ঢুকতে ২০২২ সালের ৩ অক্টোবর ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে আসে প্রিয়াংকা। দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পার হতে গেলে ধরা পড়ে বিজিবির হাতে। তাকে পুলিশে সোপর্দ করে বিজিবি। আদালতে নেয়া হলে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে দু’বছরের জেল হয় প্রিয়াকার। এরপর ২৩ মাস ছিল ঝিনাইদহ কারাগারে।

দর্শনা সীমান্তে প্রিয়াংকা বলেন, ‘সে ভুল করেছে। প্রেম করে বাংলাদেশে যে ছেলের কাছে আসতে গিয়ে ধরা পড়ে, কারাগারে যাওয়ার পর সে কোনদিন খোঁজ নেয়নি। তাকে ভুলে গেছে। জীবন থেকে দু’বছর ঝরে গেল। তার মতো ভুল যেন কোন মেয়ে না করে।’

প্রিয়াংকার বাবা প্রতাব নস্কর ও মা তনুশ্রী নস্কর মেয়ে নিতে এসেছিলেন দর্শনা সীমান্তে। এ সময় মেয়েকে ফিরে পেয়ে বুকে নিয়ে হাউ-মাউ করে কেঁদে ওঠেন।

মা তনুশ্রী জানান, দু’বছর মেয়েকে হারিয়ে কত কষ্ট ছিলাম। রাতে ঘুমোতে পারিনি। আমার মেয়ে ভুল করেছে।

প্রিয়াংকার বাবা প্রতাব নস্কর বলেন, ‘মেয়ে হারিয়ে যাওয়ার কোন খোঁজ পায়নি। ৮ মাস আগে বাংলাদেশ থেকে একজন মোবাইল করে জানায় মেয়ে ঝিনাইদহ কারাগারে আছে। দুটি বছর বাংলাদেশের কারাগারে আমার মেয়ে ভালছিল। আজ দু’দেশের সরকারের মাধ্যমে আজ মেয়েকে ফিরে পেলাম। যারা আমার মেয়েকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিল আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’

ঝিনাইদহ কারাগারের ডেপুটি জেলার তানিয়া বলেন, ‘প্রিয়াংকা প্রায় দু’বছর আমাদের কারাগারে ছিল। সে ভদ্র মেয়ে। আমরা তাকে যতদুর পারি কারাগারে ভাল রেখেছিলাম। আজ তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিতে পেরে আমরা খুশি।’

পশ্চিমবঙ্গের এনজিও কর্মী চিত্তরঞ্জন বলেন, ‘মেয়েটির বয়স অল্প। সে ভুল করেছে। এ রকম ভুল যেন কেউ না করে। এ জন্য অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।’

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট সীমান্তে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রিয়াংকাকে হস্তান্তর করে বিজিবি ও বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন-কাস্টমস ও কারা কর্তৃপক্ষ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবির আইসিপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোঃ মোস্তফা মিয়া, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ কারাগারের ডেপুটি জেলার তানিয়া, কাস্টমস কর্মকর্তা কাবিল হোসেন, দর্শনা থানার এসআই ফাহিম। ভারতের পক্ষে ছিলেন বিএসএফ গেঁদে ক্যাম্পের এসিসট্যান্ট কমিশনার তাপস্যার, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ সঞ্জিব কুমার বোস, কাস্টমস কর্মকর্তা আরপি যাদব, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এস আই তন্ময় দাস প্রমুখ।




বন্যাদুর্গতদের সহযোগিতায় মেহেরপুর হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতি ও বার্তা মেহেরপুর

টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে প্লাবিত হয়েছে দেশের ৯ জেলা। এর মধ্যে ফেনী ও নোয়াখালীতেই বন্যাকবলিত ২২ লাখের বেশি মানুষ। এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে ছুটছেন মেহেরপুর হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতি ও নিউজ পোর্টাল বার্তা মেহেরপুর।

আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বন্যা দুর্গতদের সহযোগিতায় ফেনী নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে মেহেরপুর হোটেল বাজার ব্যাবসায়ী সমিতি ও বার্তা মেহেরপুরের প্রতিনিধিদের একটি দল।

প্রয়োজনীয় পোশাক, সাবান, পানি, স্যালাইন ঔষধসহ বিভিন্ন ত্রান সামগ্রী নিয়ে রওনা হয় দলটি। এসময় ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে রওনা হওয়া প্রতিনিধিরা সকলের কাছে নিজেদের এবং বন্যা কবলিত মানুষদোর জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।

এর আগে বন্যায় কবলিত মানুষদের সহযোগিতায় কথা বলেন হোটেল বাজর ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল সিমন।

এছাড়াও এসময় ব্যাবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি শেখ মোমিন, আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, বার্তা মেহেরপুরের প্রকাশক রাশেদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে এক সার ব্যবসায়ীর ৭০ হাজার টাকা জরিমানা

মেহেরপুরের বামনপাড়ার আমানুল্লাহ ট্রেডার্সে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বামনপাড়ার আমানুল্লাহ ট্রেডার্সে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আদালত পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ।

সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রি করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক দোকানে সাজিয়ে রাখার অপরাধে দোকান মালিক আমানুল্লাহকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ মাহমুদ এবং মেহেরপুর জেলা পুলিশের একটি টিম।

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, বামনপাড়ার মেসার্স আমানুল্লাহ ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে সরকার নির্ধারিত অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগ ছিল। এছাড়াও এই সারের দোকানটিতে মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক বিক্রির উদ্দেশ্যে সাজানো ছিল। দোকান মালিক আমানুল্লাহকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ও ৫১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

একই অভিযানে শহরের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বিভিন্ন দোকানেও অভিযান চালানো হয়।




দর্শনায় তারেক রহমানের ১৭ তম কারামুক্ত দিবসের আলোচনা সভা

দর্শনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৭ তম কারামুক্ত দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  আজ মঙ্গলবার ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধায় দর্শনা পুরাতন বাজার বিএনপির কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য মালেক মন্ডলের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস দর্শনা পৌর বিএনপি সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য এনামুল হক শাহ মুকুল।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,  দর্শনা পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম মেহফুজ মিল্টন, দর্শনা পৌর যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক অপু সুলতান, দর্শনা থানা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক ইসলাম লিওন, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব আল মামুন, জেলা যুবদলের সদস্য রুহিম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম মুকুল, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন তুফন,রাজ্জাক, মুজিবর,খাইরুল, রবিল,আজাদ,আলমগীর, সোনা,যুবদলের নেতা,আরিফ,সোহেল, আরিফ, কুটি,রুবেল, রানা,খলিল,চঞ্চল, বিল্লাল, ছাত্রদল নেতা ইকবাল, নাফিজ, সালাউদ্দিন, সবুজ,সজিদ,নাঈম ও সুমন প্রমুখ।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পৌর বিএনপি সমন্বয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন।




দ্বিগুণ হারে বেড়ছে চ্যাটজিপিটির ইউজার

সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট সেবা চ্যাটজিপিটির সাপ্তাহিক ইউজারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০ কোটি।জুলাইতে চ্যাটজিপিটি-৪০ মিনি চালুর পরই মূলত এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। চ্যাটজিপিটির নেপথ্যের সংস্থা ওপেনএআই জানিয়েছে গত বছর একই সময়ে ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল এর অর্ধেক।

ওপেনএআই ২০২২ সালে চ্যাটজিপিটি বাজারে আনে। এর বিশেষত্ব ছিল মানুষের মতো করে ইউজারদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতো এটি। নভেম্বরে এর সাপ্তাহিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি বলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যান জানান।

ওপেনএআই জানিয়েছে, ফরচুন ৫০০ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯২ শতাংশই তাদের পণ্য ও এপিআই ব্যবহার করছে। একটি সফটওয়্যার অন্য সফটওয়্যারকে এপিআইর মাধ্যমে নির্দেশনা দিতে পারে।

এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে মূলত জুলাইতে চ্যাটজিপিটি-৪০ মিনি চালুর পরই। জিপিটি-৪০ একটি সাশ্রয়ী এআই মডেল। চ্যাটজিপিটির মূল সংস্করণের সব সক্ষমতা না থাকলেও ছোটখাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি পর্যায়ে চাহিদা মেটাতে এটি যথেষ্ট সহায়ক।

যে কারণে, এটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোতে কম সময়ের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের দিক দিয়েও এটি এগিয়ে আছে। সার্বিকভাবে ‘এআই’ বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে চ্যাটজিপিটি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এটি সানফ্রানসিসকো ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটির মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে।

ওপেন এআই ও অ্যানথ্রোপিক আলাদা করে মার্কিন সরকারের সঙ্গে এআই মডেলের গবেষণা, নিরীক্ষা ও মূল্যায়ন নিয়ে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওপেনএআইতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে অ্যাপল ও এনভিডিয়া। এই বিনিয়োগ রাউন্ডের পর ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে চ্যাটজিপিটির মূল প্রতিষ্ঠান ওপেন এআই’র মূল্যমান।

এই প্রতিষ্ঠানে মাইক্রোসফটও বিনিয়োগ করতে পারে বলে জানা গেছে।

সূত্র: কালবেলা




ঢাকায় নিয়োগ দিচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির কার হাট (অপারেশন) বিভাগ ম্যানেজার পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম : বসুন্ধরা গ্রুপ

পদের নাম : ম্যানেজার পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয় অভিজ্ঞতা : ৫ থেকে ১০ বছর

বয়সসীমা : কমপক্ষে ৩০ বছর

কর্মস্থল : ঢাকা

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

আবেদন শুরুর তারিখ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কর্মঘণ্টা : ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র : অফিসে

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

আবেদনের শেষ সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : মার্কেটিং/বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (বিবিএ), বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (এমবিএ)

অন্যান্য যোগ্যতা : গ্রুপ অব কোম্পানি, অটোমোবাইল, দোকান/শোরুমে কাজের দক্ষতা অন্যান্য সুবিধা : মোবাইল বিল, দুপুরের খাবারের সুবিধা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাসসহ আরো অন্যান্য সুবিধা কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।




পাটকাঠি বিক্রি করে লোকসান তুলতে হচ্ছে মেহেরপুরের পাট চাষিদের

মেহেরপুরে কয়েক বছর যাবৎ বৈরী আবহাওয়ার কারনে সেচের পানি ব্যবস্থা করে পাট আবাদ করেছিলেন চাষিরা। ভাল লাভের আশায় পাট চাষ করলেও কাংখিত ফলন বিপর্যয় ও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ চাষিরা। চাষিরা বলছেন এবছর পাটের আঁশ কম এবং দামও কম। খরচের টাকায় উঠছেনা। পাটের মূল্যবৃদ্ধি না হলে আগামীতে পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

পাট চাষরিা বলছেন, কয়েক বছর ধরে মেহেরপুর জেলায় অনাবৃষ্টি ও প্রচন্ড তাপদাহের কারনে পাটের আবাদে উৎপাদন খরচ হয়েছে দ্বিগুণ। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন বিপর্যয় ঘটেছে। পাটের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে অনেক চাষি পাটের আবাদ ছেড়ে দিয়েছেন। এবছরেও অনেক চাষি পাটের আবাদ করেছেন বুকভরা আশা নিয়ে। কিন্তু সে ‘গুড়ে বালি’ এবছরেও পাটের ফলন হচ্ছেনা,আবার দামও কম। পাট উৎপাদনে যে টাকা খরচ হয়েছে তা উঠছেনা। এমনটা চলতে থাকলে আগামিতে আর পাট চাষ করবেননা চাষিরা।

জেলা কৃষি বিভাগর তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে মেহেরপুরের গাংনী,মুজিবনগর, সদরসহ মোট তিনটি উপজেলায় ১৬ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। জেলায় এবছর ২ লাখ ৪০ হাজার ৬৩৬ বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। রোপনকৃত সব পাটই প্রায় মেচিওউর হয়ে গেছে । জমি থেকে পাট কেটে পুকুর ডোবা কিংবা জমিতেই স্যালোমেশিন দিয়ে পানির ব্যবস্থা করে পাট পচানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় পাটের রং হচ্ছে কালো। এতে দাম কম পাচ্ছেন পাট চাষিরা। বিশেষ করে দক্ষিণ পশ্চিমাংশের পাটের আঁশ তুলনামূলক কম ও রংয়ের পার্থক্য থাকায় সরকার নির্ধারিত মুল্য থেকে বঙ্চিত হচ্ছেন। পাট ব্যবসায়ীরা জানান, এবছর শুকনা পাট বিকিকিনি চলছে ১৯০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা।

গাংনী উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের পাটচাষি ইদ্রিস আলী জানান, তিনি চৈত্র মাসের শেষের দিকে দুই বিঘা জমিতে পাট বীজ রোপন করেছিলেন। অতিখরার কারনে দুদিন পরপর সেচ দিতে হতো। নিড়ানি,সার,বিষসহ প্রতিবিঘা জমিতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। কিন্তু এখন পাট কেটে পঁচানো থেকে শুরু করে আঁশ ছাড়ানো পর্যন্ত যে খরচ হচ্ছে তা উঠছেনা।

মাইলমারি গ্রামের পাটচাষি হবিবর রহমান বলেন, এক বিঘা জমির পাট কাটতে এবং বহন করে পুকুরে পঁচানো পর্যন্ত খরচ হচ্ছে ৫ হাজার টাকা। সেই পাট আঁশ ছাড়াতে শ্রমিক খরচ হচ্ছে ৩ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে পাট হচ্ছে ১২ থেকে ১৩মণ। প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে ১৯০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা। কাঁচা পাট বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা। এতে আমাদের খরচের টাকায় উঠছেনা। পাটকাঠি বিক্রি করে খরচের টাকা তুলতে হচ্ছে।

ষোলমারি গ্রামের পাট চাষি ছহিরুদ্দিন বলেন, তিনবছর যাবৎ পাটের আবদ করে লোকসান গুনতে হয়েছে। এবছরেও লোকসান হচ্ছে। আগমীতে আর পাটের আবাদ করবোনা। অন্য আবাদে ফিরে যাব।

ভাটপাড়া গ্রামের পাটচাষি আব্দুল আলিম বলেন, ভারতের মহারাষ্ট্র জাতের পাট লম্বা হয় ৭ থেকে ৮ ফুট। কিন্তু এবছর অনাবৃষ্টির কারনে পাট বাড়তে পারেনি। ৪থেকে৫ ফুট লম্বা হয়েই পাট জমিতে শুকিয়ে গেছে। যার ফলে পাটে ফলন কম। এবং আঁশ হয়েছে পাতলা। যদি পাটের ন্যায্যমূল্য থাকতো তাহলে এতেই পুষিয়ে যেত।

পাটের আঁশ ছাড়ানো শ্রমিক লোকমান হোসেন জানান, সকাল ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত পাটের আঁশ ছাড়ানোর মজুরি ৬০০ টাকা। প্রায় ১মাস ধরে পাট সংগ্রহের ভরা মৌসুম। চাষিরা দাম পেলে আমাদেরও ভাল লাগে। বৈরী আবহাওয়ার কারনে পাটের ফলন কম এবং ওজন হচ্ছেনা। পাট মোটা না হওয়ায় আঁশ ছাড়ানোর শ্রমিক লাগছে বেশি।

নওয়াপাড়া গ্রামের পাট ব্যাবসায়ী আফিরুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, কালিগাংনীর শহিদুল ইসলাম, গোপালনগর গ্রামের ব্যবসায়ী আজমাইন হোসেন জানান, শুকনা পাটের বর্তমান বাজার মুল্য ১৯৫০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা। কাঁচা পাট বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা বেল। মেহেরপুরের পাট বড় না হওয়ায় পাটের চাহিদা কম। এখন পর্যন্ত পাট কিনছি। কিন্তু বিক্রি করতে পারছিনা। পাট শুকিয়ে গোডাউনে রেখে দিচ্ছি। আগামীতে দাম পেলে বিক্রি করবো। আর যদি দাম আরও কমে যায় তবে লোকসান হবে।

পাট ব্যবসায়ী ইন্দাদুল হক বলেন,নদী এলকার পাটের দাম ভাল । কিন্তু মেহেরপুর জেলায় খাল বিল বা পুকুরে পানি না থাকায় পাটের রং সোনালী হওয়ার পরিবর্তে কাদাযুক্ত কালো হচ্ছে। যার ফলে এখানকার পাটের চাহিদা একেবারেই কম। পাট প্রক্রিয়াজাতকরন কোন কোম্পানি পাট কিনতে চাচ্ছেনা।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, আমাদের মেহেরপুর জেলায় অনাবৃষ্টির কারনে পাট বাড়তে পারেনি। আঁশ হয়েছে পাতলা। ওজনও কম হচ্ছে। খালে বিলে পাট পচানোর জন্য পানি না পেয়ে কৃষকরা গর্ত করে সেচ দিয়ে পাট পঁচানোর ব্যবস্থাকরছেন। এতে পাটের যে প্রকৃত রং তা হচ্ছেনা। ফলে নদী এলাকার পাটের তুলনায় দাম কম পাচ্ছেন। তারপরেও সনাতন পদ্ধতি বাদ দিয়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পাট পঁচানো এবং আঁশ সংগ্রহে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।




কুষ্টিয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার তদন্তে পিবিআই

কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহতর ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শহীদ মো. সরোয়ার এবং মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামানসহ সঙ্গীয় ফোর্স।

এসময় ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করেন বলে নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট আটজন নিহতের ঘটনায় ১০ আগস্ট থেকে অদ্যাবধি কুষ্টিয়া মডেল থানা ও আদালতে ডজনাধিক হত্যা ও হত্যাচেষ্টা অভিযোগে মামলা হয়েছে।

এসব মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ রাজনৈতিক নেতাদের নাম রয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা ফেরিওয়ালা বাবলু হত্যার অভিযোগে নিহতের ছেলে বাদি হয়ে ১৯ আগস্ট আদালতে করা মামলার এজাহারে কুষ্টিয়া পুলিশের সাত কর্মকতার নাম রয়েছে।

যদিও কুষ্টিয়া মডেল থানায় পৃথকভাবে নিহত ও আহতের ঘটনায় পরিবার এবং থানায় হামলা ভাঙচুর অস্ত্র লুটসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশের করা মামলা হয়েছে।

পুলিশের গুলিতে নিহত ফেরিওয়ালা বাবলু হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে আদালতে করা মামলার এজাহারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম হানিফসহ জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ও সাত পুলিশ কর্মকর্তার নামসহ ১২৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি কুষ্টিয়া অতিরিক্ত চিফ জুডিশিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহমুদা সুলতানা আমলে নিয়ে এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।

এজাহার নামীয় সাত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ, মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুল হক চৌধুরী, পুলিশ পরিদর্শক দীপেন্দ্রনাথ সিংহ, উপপুলিশ পরিদর্শক সাহেব আলী ও মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান ও উজ্জল হোসেন।

মামলার বাদী সুজনের অভিযোগ, ঘটনাস্থলের সুনির্দিষ্ট বিবরণসহ হুকুমদাতা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাহবুবুল আলম হানিফসহ রাজনৈতিক নেতারা, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাত পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১২৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৪০/৫০ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে মডেল থানায় এজাহার দিলে পুলিশ তা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক মাহমুদা সুলতানার আদালতে মামলাটি আমলে নেন।

এ বিষয়ে পিবিআই কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার শহীদ মো. সারোয়ার জানান, কুষ্টিয়া পিবিআইয়ের চৌকস ও দক্ষ পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান তদন্ত শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে বেশকিছু প্রাসঙ্গিক আলামত ও ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আদালতের দেওয়া সময়ের মধ্যেই পিবিআই একটা প্রতিবেদন দাখিল করতে সক্ষম হবেন। তারপর আদালতের যা আদেশ হয় সে মোতাবেক আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।