চুল দাড়ি কেটেও পালিয়ে রেহাই পাইনি অপরাধীরা–তনু

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের আরামডাঙ্গা পূর্বপাড়া যুব সাংগঠনিক ক্লাবের আয়োজনে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আরামডাঙ্গা পূর্বপাড়ায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় কার্পাসডাঙ্গা ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু তালেব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর তার দলের নেতারা অপরাধের জন্য চুল দাড়ি কেটে পালাতে গিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারেনি। অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি মানিকের অবস্থা আপনারা দেখেছেন। কলার পাতায় শুয়ে থেকেও পার পাননি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাসেম, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন,সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসুল আলম মেম্বর,সিনিয়র সহ-সভাপতি করম আলী মেম্বর,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জুলফিক্কার আলী ভুট্টো, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম টুটুল, দামুড়হুদা থানা কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মতিন খসরু,২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক আতিয়ার মালিথা, সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি এ্যাড:আব্দুল্লাহ আল মামুন এরশাদ, সাবেক মেম্বর মুকুল মোল্লা, আবু ছাইদ মোড়ল, মোক্তার আলী, থানা যুবদল নেতা মাবুবুর রহমান জনি, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আবজালুর রহমান সবুজ।যুবদল নেতা দেলোয়ার, রুস্তম, কবির, আহসান, মমিন,ক্লাবের সভাপতি আল আমিন, বিপ্লব, আলামিন, ওসমান, ইয়াকুব প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো:আব্দুল কাদের।




দর্শনা-দামুড়হুদা মহাসড়কে ত্রিমুখী সংঘর্ষ নিহত ১

দর্শনা দামুড়হুদা মহাসড়কের কাঠাল তলায় মোটরসাইকেল ভ্যান মাইক্রোবাস ত্রিমুখী সংঘর্ষে আবু তাহের নামের একজন ভ্যান চালকের মর্মান্তিক মৃত্য হয়েছে।

জানাগেছে গতকাল শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে ভ্যানে করে যাত্রী নিয়ে জয়রামপুর কাঁঠালতলা নামক স্থানে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেলর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ভ্যান চালক আবু তাহের রাস্তায় ছিটকে পড়ে গেলে অন্য দিক থেকে আশা মাইক্রোবাস তার পায়ের উপরদিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মারাত্মকভাবে আহত হয়। আহত আবু তাহেরকে পথচারীরা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে বিকাল ৩ টার দিকে তার মৃত্য হয়। নিহত আবু তাহের দর্শনা পৌরসভার পরানপুর গ্রামের কাউছার আলীর ছেলে।

বাদ মাগরিব পরানপুর স্কুলমাঠে আবু তাহের জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাপন সম্পূর্ণ হয়। আবু তাহেরের আকস্মিক মৃত্যুতে ঐ গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া।




গাংনীতে বোমা ও কাফনের কাপড় উদ্ধার

মেহেরপুরের গাংনী পৌর শহরের চৌগাছার একটি বাড়ির গেট থেকে একটি বোমা ও কাফনের কাপড় উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার রাত ১০ টায় চৌগাছা গ্রামের জহিরুল ইসলাম মিঠুর বাড়ির প্রধান ফটক থেকে বোমা ও কাফনের কাপড় উদ্ধার করা হয়। জহিরুল ইসলাম মিঠু চৌগাছা ৪ নং ওয়ার্ডের হাসান সরোয়ারের ছোট ছেলে ও গাংনী বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী।

জহিরুল ইসলাম মিঠু জানান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে প্রবেশ করার সময় একটি সবুজ কালারের ব্যাগ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে গাংনী থানার এস আই কামরুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ব্যাগের মধ্যে থেকে লাল টেপ দিয়ে মড়ানো একটি বোমা ও কাফনের কাপড় উদ্ধার করে।

তিনি আরো জানান, গত ২৭ আগষ্ট মঙ্গলবার রাতে তার বাড়িতে বোমা হামলা করা হয়। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার আতংঙ্কের মধ্যে রয়েছে। দ্রত সময়ের মধ্যে দৃস্কৃতিকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি করেন তিনি।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, বোমাটি উদ্ধার করে পানি ভর্তি বালতিতে রাখা হয়েছে। ভয়ভীতি দেখানোর জন্য কেউ এটা করতে পারে। তবে দৃস্কৃতিকারীদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।




হরিনাকুণ্ডুতে জামায়তের জনশক্তি সম্মলন অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহের হরিনাকুণ্ডু উপজেলা জামায়াতের উদ্যেগে জনশক্তি সম্মলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকালে হরিনাকুণ্ডু উপজেলা দোয়েল চত্বর মোড়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা জামায়াতের আমীর বাবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি কুতুব উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মলনে উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ রফিকুল ইসলামের পিতা আবু বকর সিদ্দিক।

জনশক্তি সম্মলেনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়তের আমীর অধ্যাপক আলী আজম মুহাম্মদ আবু বকর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল, জেলা সাংগঠনিক সেক্রেটারি আব্দুল আলীম, জেলা ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মুহাদ্দিস রবিউল ইসলাম ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সেক্রেটারি মনিরুজ্জামান। এছাড়া সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা আমীর মাস্টার আলা উদ্দীন ও মাওঃ মওলা বক্, হরিনাকুণ্ডুর প্রথম নায়েবে আমীর মকবুল হোসেন, উপজেলা নায়েবে আমীর রেজাউল ইসলাম, দলের অন্যতম নেতা ইদ্রিস আলী, সাদেকুর রহমান, শফি উদ্দীন, শিবির নেতা রাশেদ হোসেন প্রমুখ।

উপস্থিত তৌহিদী জনতার উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি বলেন রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে যথাযথ ভাবে ভোগ করার জন্য আল্লাহর আইন এবং সৎ লোকের শাসন কায়েমের আন্দোলনে শরীক হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানান।




দর্শনায় দুর্গাপ্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে প্রতিমা তৈরিরে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে দর্শনা রামনগর কালিদাশপুর গ্রামের আদর্শ দাস পাড়া মন্দিরে। মন্দিরের সভাপতি সঞ্জয় বলেন আসছে আগামী ৯ অক্টোবর ২০২৪ রোজ বুধবার পালিত হবে মহাষষ্ঠী । মহাসপ্তমী পালিত হবে ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার। মহাষ্টমী পালিত হবে ১১ অক্টোবর শুক্রবার। মহানবমী পালিত হবে ১২ অক্টোবর শনিবার। বিজয়া দশমী পালিত হবে আগামী ১৩ অক্টোবর রবিবার। আমাদের এই অনুষ্ঠানে ৪ থেকে ৫ হাজার ভক্ত অংশগ্রহন করে থাকে।

প্রতিমা তৈরির প্রধান কারিগর বিকাশ রায় জানায় আমরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছি। কারণ সঠিক সময়ে আমার কাজ শেষ করতে হবে। প্রতিমা তৈরিতে ১০ দিন মতো সময় লাগে। আমি ৩২ বছর ধরে এই কাজ যত্ন সহকারে করে আসছি। আমার সাথে আরও ৩ জন কাজ করছে যার কারণে আমাদের কোন অসুবিধা হচ্ছে না। মন্দিরের সেক্রেটারি আশিক কুমার দাস বলেন আমাদের মন্দিরের নাম শ্রী শ্রী রাধামাধব সার্বজনীন পূজা মন্দির এটা ১৯৯০ সালে স্থাপন করা হয়। প্রতি বছরের মতো এবারও জাঁকজমক ভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা পালন করবো আমরা । আমাদের দর্শনা পৌরসভায় ৫ টি মন্দির রয়েছে, দর্শনা পুরাতন বাজার, দর্শনা আমতলা পূজামণ্ডপ, দর্শনা কেরুজ পূজা মণ্ডপ, কালিদাসপুর দাস পাড়া, কালিদাপুর বাগদীপাড়া।

মন্দিরের ক্যাশিয়ার শ্রী অপু দাস বলেন এই বছর মহাসপ্তমী বৃহস্পতিবার পড়ায় দেবীর আগমন হবে দোলা বা পালকিতে। শাস্ত্র অনুসারে দোলা বা পালকিতে দেবীর আগমন হলে সূচিত হয় ভয়ঙ্কর মহামারী যাতে বিপুল প্রাণ হানির আশঙ্কা থাকে। আবার ২০২৪ – এ বিজয়া দশমী রবিবার পড়ায় এই বছর দেবী ফিরে যাবেন গজ বা হাতিতে। গজ হল দেবীর উৎকৃষ্টতম বাহন, দেবীর আগমন বা গমন হাতিতে হলে মর্ত্যলোক ভরে ওঠে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধিতে এবং ভক্তদের মনের ইচ্ছে পূরণ হয়।




দামুড়হুদায় সবুজ সংঘের উদ্যোগে বর্ন্যাতদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান

দামুড়হুদার দৈউলী সবুজ সংঘের উদ্যোগে বর্ন্যাত মানুষের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে “আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে’র” মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

জানাগেছে, ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত দামুড়হুদার ” দেউলী যুব সংঘ” এর উদ্যোগে কয়েকদিনে গ্রামের বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বর্ন্যাতদের জন্য ২১ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হয়। সংগ্রহকৃত অর্থ গতকাল শুক্রবার সকালে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন মোবাইল ব্যাংকে প্রদান করা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দৈউলী যুব সংঘ’র সভাপতি আকরাম হোসেন, সহ সভাপতি আবু তালহা, সাধারন সম্পাদক তারিকুল, সদস্য বিপ্লব, তৌফিক, তানভীর, আল সাহিদ, শাফায়েত, সাব্বির, আরেফিন, জুবায়ের সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।




মাত্র ৬০০ টাকা বেতন থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক সাবেক এমপি টগর

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগর টগর, যিনি ৬০০ টাকার কর্মচারী থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। কিভাবে এই উত্থান কিভাবে সম্ভব হল এত টাকার মালিক হওয়া।তাহলে একটু পিছনে যেতেই হবে, এমপি হওয়ার পূর্বে আলী আজগর টগর ইসলাম গ্রুপে ৬০০ টাকা বেতনের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন।

পারিবারিক ভাবে জামায়াতে ইসলাম বা মুসলিম লীগ পরিবারের সন্তান তিনি। তার পিতার নাম আব্দুল ওহাব ওস্তাগার। চাচার নাম ফকির ডাক্তার, যে ফকির ডাক্তার মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী বিশাল ভূমিকা রাখেন এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ইসলাম গ্রুপের চাকুরী করা কালীন সময়ে হাতিয়ে নেন বেশ কিছু টাকা। তারপর ইচ্ছা জাগে রাজনীতি করার। তখন ওই আসনের দুজন বর্ষিয়ান নেতা রাজনীতি করতেন একজন মির্জা সুলতান রাজা ও আরেকজন মোজাম্মেল হক যিনি মোজাম্মেল কন্টাকটার নামে পরিচিত অথবা বঙ্গজ বিস্কুটের মালিক ছিলেন তিনি। সুলতান রাজা ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা, স্বাধীনতা যুদ্ধের বিশিষ্ঠ সংগঠক। আলী আজগর টগরের কুট কৌশলে এবং স্থানীয় এক লোভী নেতার সহায়তায় আওয়ামী লীগের জেলার শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক পদটির লাভ করেন তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ এই কুকর্মটি করেছেন। আজাদুল ইসলাম আজাদ সে সময়ে আলী আজগর টগরের কাছে কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে পদটি বিক্রি করেছিলেন। তারপর একে একে মির্জা সুলতান রাজা কে, আজাদুল ইসলাম আজাদকে পিছনে ফেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক প্রভাবশালী নেতার সহায়তায় তিনি চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের নমিনেশন বাগিয়ে নেন।

তারপর শুরু হয় তার আসল খেলা। একের পর এক সমস্ত জাতীয় পত্রিকায় কাহিনী ছাপা হতে থাকে আলি আজগর টগরকে নিয়ে ।

২৯/০২/২০০৯ দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় পৃষ্ঠা নাম্বার এক কলম নাম্বার তিন শিরোনাম করে আলী আজগর টগর ও তার দুই ভাইয়ের রাজত্বে দুই উপজেলার মানুষ অতিষ্ঠ। এক ভাইয়ের নাম আলী মনসুর বাবু তাকে মনসুর বাবু বলে ডাকে না তাকে বলতে হয় গোল্ডেন বাবু। কারণ তিনি গোল্ড চোরাকারবারীর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। আরেক ভাই আরিফ সে জীবননগর কন্ট্রোল করেন। এদের মূল ব্যবসা সোনা যাবে ইন্ডিয়ায় আসবে ফেনসিডিল। এই ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা টগর পরিবার রোজগার করেছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আলী আজগার টগর তার ভাই বাবুকে উপজেলা চেয়ারম্যান বানিয়েছেন, ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে। জীবননগর ও দামুড়দা উপজেলার যতগুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছে প্রত্যেকে আলী আজগর টগরের নিজস্ব লোক বলে খ্যাত। কারণ এদের মাধ্যমেই আলী আজগার টগর ও তার ভাই বাবু ওরফে গোল্ডেন বাবু ও আরিফ কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ব্যবসা একটাই যাবে সোনা আসবে ফেনসিডিল।এদের সহযোগী নফর আলী দর্শনা পৌর কাউন্সিলর,সৌরভ হোসেন খাঁন ওরফে (সৌরদ্দী) চেয়ারম্যান, আব্দুল হান্নান চেয়ারম্যান, দামুরহুদার হযরত আলী চেয়ারম্যান, মুক্তার আলী চেয়ারম্যান আরো অনেকে। ঢাকা থেকে ক্রসফায়ারের তালিকা হয় সেই তালিকায় দুই ভাই তালিকাভুক্ত হয়ে পালিয়ে যায় ইন্ডিয়াতে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মোটা অংকের অর্থ দিয়ে ক্রসফায়ার থেকে নাম বাদ দেয়।

আলী আজগর টগর এমপি এমন কোন অপরাধ নেই যা তিনি করেন নাই। হাট বাণিজ্য, ঘাট বাণিজ্য, রাস্তা বাণিজ্য, খাল বাণিজ্য, সবকিছু নায়ক আলী আজগর টগর।

আলী আজগর টগরের মূল ব্যবসা হলো সোনা পাচার বিনিময়ে ফেন্সিডিল আমদানি। এত অপকর্ম করেও বারবার নমিনেশন পেয়েছে শেখ পরিবারের আশীর্বাদ এবং বিপুল অর্থের বিনিময়ে।

শুধু চোরাকারবারী, চাঁদাবাজি করেই সে ক্ষান্ত হয় নাই। জীবন নগর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে সৌর বিদ্যুতের নামে ১৮০ একর জমি দখলের মূল হোতা আলী আজগার টগর। সহযোগী ছিল যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম। যদিও ভাগ বাটারা নিয়ে জাহাঙ্গীরের সাথে তার বিভেদ সৃষ্টি হয়। সিঙ্গাপুর ভিত্তিক একটি কোম্পানির কাছে কয়েকশো কোটি টাকা নিয়ে ১৮০ একর জমি যাহা তিন ফসলি জমি, সাইক্লেষ্ট এনার্জি পিপিআই লিমিটেড, সিঙ্গাপুরের কাছে হস্তান্তর করেন। জমি দখল করতে গিয়েই গন্ডগোল শুরু হয়। দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে এই খবর ছাপা হয়েছিলো। বাংলাদেশ প্রতিদিন ও ডিবিসি নিউজ স্পেশাল এ ছাপা হয় প্রতিদিন এভারেজ ৬০ কেজি সোনা ভারতে যাচ্ছে বদলে আসছে ফেনসিডিল, দৈনিক মাথাভাঙ্গা খবর ছাপায় জীবননগরের খয়েরহুদা গ্রামে বাড়িঘর ভাংচুর করে দখল করার অভিযোগ আলী আজগার টগরের নামে।

খয়েরহুদা গ্রামের মোল্লাপাড়ার মৃত ফজর আলী মোল্লার ছেলে জহির মোল্লা অভিযোগ করেন ২২ বছর পূর্বে তিনি বসতবাড়ি ক্রয় করেন যাহা চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের এমপি আলী আজগর টগর তার লোকজন সহ স্থানীয় গোন্ডা বাহিনী দিয়ে দখল করে নিয়েছিলেন।

বিগত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে চুয়াডাঙ্গা ২ আসনে দামুড়হদাতে দুইটি বড় সোনার চালান ধরা পড়ে যার মূল্য প্রায় ১৪ কোটি টাকা।

বিশেষ এক সূত্র থেকে জানা যায় এই চালানের মালিক ছিলেন আলী আজগার টগর এবং সহযোগী ছিলেন তৎকালীন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের এসপি। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের ভোট বিহিন কথিত সাবেক এমপি আলী আজগার টগর সম্প্রতি তিনি ৪০ লক্ষ ডলার পাচারের ঘটনায় জড়িত রয়েছেন, যার তদন্ত চলমান রয়েছে ।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগরের সহযোগী দর্শনার মানি এক্সচেঞ্জের মালিক আরিফ এর মাধ্যমে ৪০ লক্ষ ডলার ভারতে পাচার করেছেন। টগরের এই সমস্ত অপকর্মের টাকা দিয়ে তার দুই ভাইয়ের নামে কলকাতার সল্ট লেকে দুটি বিলাশ বহুল ফ্লাট ক্রয় করেছেন।




গাংনীর অশোক চন্দ্র বিশ্বাসের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন

পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র টেকনিক্যাল অফিসার ডাঃ অশোক চন্দ্র বিশ্বাস। কলকাতার অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ইমিরেটার্স প্রফেসর ডক্টর রুবি সাইনের তত্ত্বাবধানে তিনি এ ডিগ্রি অর্জন করেন।

তার গবেষণার বিষয় ছিল “Health Services in Bangladesh: Role of NGOÕS in the policy implementation field “

গত ২রা আগস্ট তার ভাইবা সম্পন্ন হয় এবং ২৮শে আগষ্ট ভিসি মহোদয় ডিগ্রী অনুমোদন প্রদান করেন।
ডাঃ অশোক চন্দ্র বিশ্বাস মেহেরপুর জেলার গাংনী পৌর সভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মৃত- শচীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও রেখা রানী বিশ্বাসের তৃতীয় সন্তান।

চাকুরির পাশাপাশি তিনি সামাজিক উন্নয়ন, শিশু সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, ন্যায়বিচার, পরিবেশ আন্দোলন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।

তিনি দেশের পিছিয়ে পড়া দলিত -হরিজন ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবন যাত্রার মানোন্নয়নে শচীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মেহেরপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব এবং কেন্দ্র কমিটির দাতা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।




মেহেরপুরে আর কোডের শুভ উদ্বোধন

মেহেরপুর কাসাঁরী বাজারের প্রধান সড়ক লড মার্কেটের সামনে মেহেরপুর আর কোড এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার সময় প্রধান সড়ক লড মার্কেটের সামনে মেহেরপুর আর কোড এর শুভ উদ্বোধন করা হয়।

মেহেরপুর আর কোড এর শুভ উদ্বোধন স্বত্বাধিকারী মোঃ রাজু গাফফারী উপস্থিতিতে আর কোড উদ্বোধন করেন হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়ার সহ-সভাপতি শেখ মোমিন, হোটেল বাজার ব্যবসায়ীর সমিতির নির্বাহী সদস্য রাশেদ খান।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী সদস্য পলাশ আনন্দ টিভি সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজান পলাশ আর কোড এর ম্যানেজার কামরুল হাসান লিজন প্রমুখ।

শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের দোয়া পরিচারনা করেন ডাঃ কাজী সাজেদুর রহমান।




গাংনীতে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে নেতাকর্মীদের নিয়ে যোগদান

গাংনীতে বিএনপি’র প্রতিবাদ সভায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের নিয়ে যোগদান করলেন কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও সাবেক মেহেরপুর জেলা ছাত্র দলের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক হোসাইন মোহাম্মদ ও মেহেরপুর জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টার সময় এ অনুষ্ঠানে যোগদান করে।

যোগদানের সময় কাথুলী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড খাসমহল গ্রামের নেতাকর্মী সহ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের নেতাকর্মীদের মটর সাইকেল বহর নিয়ে যাত্রা শুরু করেন।

কাথুলী মোড় থেকে পা হেটে মিছিলে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদকের প্রতিবাদ সমাবেশ কে সাফল্য করার লক্ষ্যে সভায় যোগ দেন।

এ বিষয়ে কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা ছাত্র দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুছাইন মাহমুদ বলেন, সন্ত্রাসীবাদী আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ও ভারত অগ্রাসনের প্রতিবাদে গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জন নেতা বাবলু ভাইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে প্রতিবাদ সভাকে সাফল্য করার জন্য আমরা কাথুলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মটর সাইকেল বহর নিয়ে যোগদান করবো এবং আজকের সভাকে সাফল্য মন্ডিত করবো।