দর্শনায় আলী মুনছুর বাবুসহ ৬৯ জনের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা

দামুড়হুদার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাব, কেরু এ্যান্ড কোম্পানির সিবিএ নেতা সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ ছেলে সৌমিক হাসান রুপমসহ ৬৯ জনের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধায় দর্শনা পরানপুর গ্রামের মসজিদপাড়ার জহির উদ্দীনের ছেলে রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে দর্শনা থানায় ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮০/৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

মামলাসুত্রে জানাগেছে, গত ০৭-১২-২২ সালে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দর্শনা পরানপুর মসজিদপাড়ায় আমার বাস ভবনের সামনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। আমি একজন সাধারণ নাগরিক। গত ০৭/১২/২০২২ ইং তারিখে সন্ধা আনুমানিক ৭টার দিকে আমার নিজ বাড়ী ১নং আসামীর নির্দেশে এবং হুকুমে ২নং ও ৩নং আসামী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য আমার বাড়ীতে আসামীদের হাতে থাকা আগ্নেয়াঅস্ত্র দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষন করে এবং বেশ কয়েকটি ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আমার বাড়ীতে থাকা নগদ ৭০হাজার টাকা এবং আমার স্ত্রীর ব্যবহার করা দুই ভরি পরিমাণ স্বর্ণের গলার চেইন ও হাতের বালা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং আমার স্ত্রীকে মারধর করে। সেই সময় আমার জীবন রক্ষার্থে আমার বাড়ী থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা আগ্নেয়াঅস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি, দিয়ে আমাকে ধাওয়া করে আমি কিছু দূর পালিয়ে যাওয়া অবস্থায় পড়ে যায়।

পরে সন্ত্রাসীরা আমাকে ধরে ফেলে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য ১নং আসামীর বাস ভবনে নিয়ে শারিরিকভাবে নির্যাতন করে এবং অমানুষিক ভাবে রাতভর নির্যাতন করতে থাকে। নির্যাতনের কারণে আমি অজ্ঞান হয়ে যায় এরপর আমার জ্ঞান ফেরার পর দেখি আমার ডান ‘পা’ ভেঙ্গে গেছে। এবং ১নং আসামীর বাস ভবনে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করতে গেলে আসামীরা পা ভাঙ্গা অবস্থায় আমাকে ০৮/১২/২০২২ তারিখ সকালে দর্শনা থানায় পুলিশের কাছে দেয় এবং পুলিশ আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে সোপর্দ করে। দীর্ঘদিন যাবৎ কারা ভোগ করি। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হয়রানি, নির্যাতন ও জীবন নাশের হুমকি ও আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতার কারণে আমি এজহার ও মামলা করিতে সাহস পায়নি।আজ ২৭ আগষ্ট মঙ্গলবার সন্ধায় দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করি।

মামলার এজাহার ভুক্ত আসামীরা হলেন- দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু , ফারুক হোসেন, মোঃ মুন, আব্দুল হান্নান ছোট, মোঃ মিঠু, মোঃ রাসেল (৩৫), অপু (৩৫), জয়নাল আবেদীন নফর (৪৭), মোঃ মাসুদুর (৬০), মোঃ মোটা সাইদ (৪৫), মোঃ মিল্লাত (৩৫), শরিফুল ইসলাম (৩৫), মোঃ দাউদ (৩৫), মোঃ ডালিম (৪০), খাইরুল (৪০), পিতাঃ হাশেম, সাং- ঈশ্বরচন্দ্রপুর, ১৬। মোঃ রাশেদ (৪০), পিতাঃ আমির, সাং- ঈশ্বরচন্দ্রপুর, ১৭। লাল্টু (৪২), পিতাঃ মৃত লুৎফর রহমান, সাং ইসলাম বাজার, ১৮। মোঃ সৌমিক হাসান রুপম (৩৭), পিতাঃ মাসুদুর রহমান মাসুদ, সাং- কেরু মিল পাড়া, ১৯। মোঃ জুয়েল (৩৮), পিতাঃ দুলাল, সাং- ইসলাম বাজার, ২০। মোঃ শরীফ (৫০), পিতাঃ কালু কসাই, সাং- চটকাতলা, ২১। আব্দুল জলিল (৫৫), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং- দর্শনা, আজমপুর, ২২। মোঃ রানা (৩০), পিতাঃ আমির হোসেন, সাং- মোবারক পাড়া, ২৩। মোঃ আক্তার (৩০), পিতাঃ মৃত হানিফ, সাং- মোবারক পাড়া, ২৪। মোঃ আশিক (২৮), পিতাঃ ইমারত, সাং- মোবারক পাড়া, ২৫। মোঃ মারুফ বিল্লাল (জিসান (২৫), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং- মোবারক পাড়া, ২৬। মোঃ ইকবাল (৫৫), পিতাঃ জমির, সাং- মেমনগর, ২৭। মোঃ নোমান (৪২), পিতাঃ মৃত ডাবি, সাং- রামনগর, ২৮। মোঃ রেজাউল (৩২), পিতাঃ খেদের সাং- রামনগর, ২৯। মোঃ পিয়াস (২০),পিতা অজ্ঞাত সর্বসাং- মোবারকপাড়া, ৩০। পিকু (২০), পিতাঃ মনু সর্দার, সাং- রামনগর, ৩১। মোঃ আব্দুল মান্নান (৫০), পিতাঃ আমির হোসেন, সাং- মোবারকপাড়া, ৩২। মোঃ শেখ আসলাম তোতা (৫০), পিতাঃ মৃত করিম, সাং- মোবারকপাড়া, ৩৩। মোঃ সানি (২৮), পিতাঃ ইজা, সাং- পরানপুর, ৩৪। মোঃ জাকারিয়া আলম (৫৫), পিতাঃ আনোয়ার হোসেন, সাং- পুরাতন বাজার ‘স’ মিল পাড়া, ৩৫। মোঃ ছলেমান (৫৫), পিতাঃ আফসার আলী, সাং- বামনগর, ৩৬। মোঃ শাহ আলী (৩০), পিতাঃ আফসার। আলী, সাং- মেমনগর, ৩৭। মোঃ আব্দুল হাকিম (৫৫), পিতাঃ আবু তাহের, সাং- দর্শনা বাসষ্ট্যান্ড সিএন্ডবিপাড়া, ৩৮। মোঃ ইসমাইল হোসেন (৫৫), পিতাঃ মোঃ বদর উদ্দীন, সাং- দর্শনা বাসস্ট্যান্ডপাড়া, ৩৯। মোঃ সাধন (৪৪), পিতাঃ টিপু ডাক্তার, সাং- দর্শনা বাসষ্ট্যান্ড মাস্টারপাড়া, ৪০। মোঃ রুস্তম আলী (৬০), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং দর্শনা শ্যামপুর হিন্দু পাড়া, ৪১। ইদ্রিস আলী (৫৫), পিতাঃ মৃত সুন্নত আলী, সাং- দর্শনা ইসলাম বাজার, ৪২। মোঃ হায়দার আলী (৫৫), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং- দর্শনা বাসষ্ট্যান্ড সিএন্ডবিপাড়া, ৪৩। মোঃ শহীদুল ইসলাম (৫০), পিতাঃ মান্দার ডাক্তার, সাং- দর্শনা বাসষ্ট্যান্ড মাস্টারপাড়া, ৪৪। মোঃ হিরন (৫০), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং- দর্শনা আমতলাপাড়া, ৪৫। মোঃ আব্দুল জলিল (৪০), পিতাঃ আব্দুল কাদের, সাং- আজমপুর, ৪৬। মোহাম্মদ আলী (৪০), পিতাঃ ছোট, সাং- কলেজপাড়া, ৪৭। মোঃ ফয়সাল (৪৫), পিতাঃ রমজান আলী, সাং- মেমনগর, ৪৮। ফলেহার (৩৫), পিতাঃ রমজান আলী, সাং- মেমনগর, ৪৯। সুমন (৩০), পিতাঃ আব্দুর রাজ্জাক, সাং- কেরু হাসপাতাল পাড়া, ৫০। মোঃ তপু (৩৫), পিতাঃ ছবিল, সাং- দর্শনা দক্ষিন চাঁদপুর, ৫১। পারভেজ (৩৫), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং- কলেজপাড়া, ৫২। শাহ আলম ড্রাইভার (৬০), পিতাঃ অজ্ঞাত, সাং- কেরু স্কুল পাড়া, ৫৩। আব্দুস সালাম (৩৫), পিতাঃ আব্দুস সাত্তার, সাং- হঠাৎপাড়া, ৫৪। সুমন (৩০), পিতাঃ মোঃ ইউসুফ, সাং- বড় দুধ পাথিলা দক্ষিনপাড়া, ৫৫। রিপন (৩৫), পিতাঃ আজিজুর রহমান, সাং- কেরু প্রাইমারি স্কুল পাড়া, ৫৬। মোঃ ফরাদ হোসেন, (৪০), পিতাঃ মৃত ফজলুল করিম, সাং- দর্শনা আজমপুর, ৫৭। ফারদিন সোহেল (৪০), পিতাঃ আব্দুর রশিদ, সাং- কেরু হাসপাতালপাড়া, ৫৮। হবা জোয়াদ্দার (৫৫), পিতাঃ মৃত আপু জোয়াদ্দার, ৫৯। মামুন শাহ (৪৩), পিতাঃ মৃত কাউসার আলী, ৬০। মাসুম (৩৫), পিতাঃ হুজুর আলী, উভয়সাং- দক্ষিন চাঁদপুর, ৬১। মোঃ রবিউল হক সুমন (৫০) পিতাঃ মৃত শহর আলী মোল্লা, সাং- আজমপুর, ৬২। বিল্লাল হোসেন (৫৫) পিতাঃ রবজেল মিয়া, সাং- জুড়া বটতলা শ্যামপুর, ৬৩। মোঃ ফাহিম (২০), পিতাঃ মৃত- মনজু, সাং- দর্শনা থানা পাড়া, ৬৪। আশরাফুল ইসলাম (৪২), পিতাঃ খাদিমুল হক, সাং- কেনা প্রাইমারি স্কুল পাড়া, ৬৫। নাসির (৪৫), পিতাঃ ফৌজো, ৬৬। আজিজ ড্রাইভার (৬০), পিতাঃ অজ্ঞাত, উভয়সাং আনোয়ারপুর, ৬৭। গোলাম ফারুক আরিফ (৫৫), পিতাঃ মৃত মজিবর রহমান, সাংৎ দর্শনা ইসলাম বাজার, ৬৮। সান্টু (৫৫), পিতাঃ মৃত বাদশা, সাং- কেরু হাসপাতাল পাড়া, ৬৯। রহমান (৪৫), পিতাৎ মৃত রওশন কাসারী, সাং- ইসলাম বাজার, সর্ব থানা- দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার ওসি তদন্ত শফিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এ বিষয়ে দর্শনা থানায় একটি এজহার দাখিল হয়েছে।




মেহেরপুরে আ.লীগ নেতা মোমিনসহ ৫১ জনের নামে ২টি মামলা

মেহেরপুরে বিএনপি কর্মী মোঃ আশরাফুজ্জামানের বাড়িতে হামলা, লুটপাট, সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডের অপরাধে সদর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলামসহ ৫১ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক ২ টি মামলা দায়ের হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) দুপুরে মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-১ শারমিন নাহারের আদালতে মামলা ২টি দায়ের করা হয়। আদালত মামলা আমলে নিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এফআইআর ভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামীরা হলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী জেলহার হোসেন, কাওছার আলী, মিলন শেখ, ওমর আলী, মামুন শেখ, সিরাজ মিয়া, হিয়া শেখ, শফিকুল ইসলাম, ইন্তু মিয়া, রিন্টু মিয়া, মামুন কারিকর, শামিম রেজা, আবু রাসেলসহ অন্যান্যারা।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা রাতের বেলায় হঠাৎ বাড়িতে আক্রমন করে। বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে আমি, আমার স্ত্রী সন্তান, বাবা মাকে নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এসময় তারা বাড়িতে লোহার ফটকটি ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে আসবাব পত্র সব নিয়ে যায়। ঘরের দরজা জানালার লোহার গ্রিল ভেঙ্গে নিয়ে যায়। আলমারি ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ মুল্যবান স্বর্নের গহনা নিয়ে যায়। তৎকালিন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে থানা এ ব্যাপারে কোন মামলা নেয়নি। দির্ঘদিন থেকে তারা নানা অজুহাতে হয়রানি, মামলা করে আসছে। তাদের সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডের জন্য নিজের বাড়িতে অবস্থান করা সম্ভব হয়নি। এমনকি বাড়ির গরু ছাগল, হাস মুরগিও ছাড় পাইনি। যাওয়ার সময় লেপ তোশক, আসবাব পত্র, পোশাক আশাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেই।

মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী মারুফ আহমেদ বিজন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালত মামলা আমলে নিয়ে সদর থানার ওসিকে এফআইআর নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।




মেহেরপুরের ফতেপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ভ্যানচালকের প্রাণহানি

মেহেরপুর সদর উপজেলার ফতেপুরে ইটভাটার কাছে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় সানোয়ার হোসেন (৫০) নামের এক ভ্যান চালকের মৃত্যু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সানোয়ার হোসেন মেহেরপুর শহরের শিশুবাগান পাড়ার মৃত আইনুদ্দীনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, ভ্যানচালক সানোয়ার হোসেন মেহেরপুর থেকে শোলমারীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ফতেপুর ইয়াসিন আলীর ভাটার কাছে পৌছালে অপরদিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ভ্যানচালক সানোয়ার গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যে হাসপাতালেই তিনি মারা যান।




জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে বন্দিদের মাঝে মিষ্টান্ন বিতরণ

ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে সনাতন (হিন্দু) ধর্মালম্বী কারাবন্দিদের মাঝে মিষ্টান্ন বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল (২৬ আগস্ট) দুপুরে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে জেলা কারাগারের আয়োজনে সনাতন ধর্মাম্বলী কারা বন্দি ও স্টাফদের মাঝে এ মিষ্টান্নবিতরণ করা হয়।

জেলা কারাগারের জেলার শেখ মোঃ মহি উদ্দিন হায়দার বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক নতুন উচ্চতায় এই প্রার্থনা সবার। এসময় তাদের মাঝে লুচি ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এ খাবার পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তারা। তাদের এই ব্যতিক্রমী আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল।




মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির হাতে তিন মাদক ব্যবসায়ী আটক

ভয়ংকর মাদক LSD সহ ঝিনাইদহ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিজিবি’র হাতে আটক তিন মাদক ব্যবসায়ী।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাদের আটক করে। বিজিবি মহেশপুর (৫৮) ব্যাটালিয়ানের পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানা যায় ২৭ আগস্ট আনুমানিক ১২টার সময় সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৬১/৭-এস এর নিকট দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার হবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে কুসুমপুর বিওপির নায়েব সুবেদার আব্দুস ছালাম এর নেতৃত্বে বিজিবি’র একটি চৌকষ আভিযানিক দল বিত্তিপাড়া গ্রামের মোঃ আজাদ এর আম বাগানের মধ্যে মাদক চোরাকারবারীদের ধরার জন্য সাড়ে টা হতে কৌশলে অবস্থান গ্রহণ করে অপেক্ষ করতে থাকে।

একপর্যায়ে রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে কয়েকজন চোরাকারবারী মাথায় বস্তা নিয়ে ভারত হতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। চোরাকারবারীরা টহল দলের নিকটবর্তী হলে টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা প্রথমে বস্তাসহ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। টহল সদস্যরা তাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেললে তারা বস্তা ফেলে পালানোর চেষ্টা করে। টহল সদস্যরা অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে ৩ জন চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃরিয়াজ (২২), পিতা-শফিকুল ইসলাম, গ্রাম-পিপুলবাড়িয়া, মহেশপুর, ঝিনাইদহ, মোহাম্মদ ইমাম হোসেন (৩৯), পিতা-জাফর শেখ, গ্রাম-কালাচাঁদপুর, লোহাগাড়া, নড়াইল ও মোবারক আলী (২৬), পিতা-শের আলী, মহেশখালী, কক্সবাজার।

এছাড়া আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে তল্লাশী চালিয়ে ভারত হতে অবৈধভাবে বাংলাদেশ আনা ৭ বোতল এলএসডি (প্রতি বোতল ১০০ এমএল), মোবাইল, জর্জেট শাড়ী, বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক্স, ঔষধ ও বিবিধ মালামাল জব্দ করে। জব্দকৃত মালামালের সর্বমোট সিজার মূল্য ৭,৩৪,৬৯,৪০৪/-(৭ কোটি ৩৪ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪০৪) টাকা।

গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মালামাল আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঝিনাইদহের মহেশপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।




দামুড়হুদায় জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ৪৮ তম প্রয়াণ দিবস পালন

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাডাঙ্গায় ২৭ শে আগষ্ট মঙ্গলবার (১২ ই ভাদ্র বাংলা) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮ তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে স্মৃতি বিজড়িত আটচালা ঘর চত্বরে কবীর স্মৃতি স্তম্ভে সকাল সাড়ে ১০ টায় পুষ্প মাল্য অর্পণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা। আটচালা ঘর মালিক প্রকৃতি বিশ্বাস বকুল,মধু বিশ্বাস, আপেল হোসেন, উসমান গনি প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন মাও: নুরুল আমিন।

নজরুল স্মৃতি বিজরিত আটচালা ঘর মালিক প্রকৃতি বিশ্বাস বকুল তিনি কবি নজরুল ইসলামের কার্পাসডাঙ্গায় আগমনের ইতিহাস বর্ণনা করে বলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তরুণ বয়সে অনেকবার এসেছেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী জনপদ কার্পাসডাঙ্গায়। তার স্মৃতিবিজড়িত খড়ের আটচালা ঘরটি এখনো সাক্ষী হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু ঘরটি বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে। কবি যে এ ঘরেই অনেক দিন-রজনি কাটিয়েছেন, সে ব্যাপারে কারও দ্বিমত বা বিতর্ক নেই। তৎকালীন দামুড়হুদা উপজেলার ভৈরব নদের তীরবর্তী কার্পাসডাঙ্গা মিশনপাড়ার সরকার পরিবার ছিল জ্ঞান-গরিমায় বেশ সম্ভ্রান্ত। এ পরিবারের সন্তান শ্রী মহিম সরকার চাকরির সুবাদে থাকতেন কলকাতায়। কলকতা আমহার্স্ট স্ট্রিটে তিনি সপরিবারে বসবাস করতেন। মহিম সরকারের সঙ্গে কবি কাজী নজরুল ইসলামের খুবই সখ্য ছিল। তার বাড়িতে কবির আসা-যাওয়া ছিল আপনজনের মতো। তার দুই মেয়ে আভা রানি সরকার ও শিউলী রানি সরকার নজরুলগীতি চর্চা করতেন। তাদের গানের তালিম দিতেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম নিজে। পরবর্তীতে আভা রানি সরকারের গানের রেকর্ডও বের হয়। প্রখ্যাত লেখক ড. আশরাফ সিদ্দিকী অনুসন্ধান করে নজরুলের কথা ও সুরে আভা রানি সরকারের ছয়টি গানের রেকর্ড-তথ্য পান।

একাধিক তথ্যসূত্রে জানা যায়, মহিম সরকারের পারিবারিক আমন্ত্রণে একাধিকবার কবি নজরুল কার্পাসডাঙ্গায় এসেছেন। তবে ১৯২৬ সালে ২৭ বছর বয়সে কবি সপরিবারে এখানে বেড়াতে আসেন। এ সময় প্রায় দুই মাস কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থান করেন। তার সঙ্গে এসেছিলেন শাশুড়ি গিরিবালা, স্ত্রী প্রমীলা ও বড় ছেলে বুলবুল। তারা কলকাতা থেকে ট্রেনযোগে দর্শনায় নেমে ছয় মাইল পথ পাড়ি দিয়ে গরুর গাড়িতে করে কার্পাসডাঙ্গায় আসেন।




গাংনীর কাথুলী ইউপিতে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিলেন হোসাইন মোহাম্মদ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য হোসাইন মোহাম্মদ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ইউপি সদস্যদের উপস্থিতে তিনি এ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান রানা ছুটি নেওয়ায় এখন থেকে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসাবে সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান হোসাইন মোহাম্মদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুল হক, কাথুলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিফ, সাধারণ সম্পাদক বাদল হোসেন, ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন,জিনারুল ইসলাম,আশরাফুল হোসেন,কাবের আলী ও বিভিন্ন পর্যায়ের বিএনপি নেতা কর্মীসহ সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্যানেল চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ দায়িত্ব পালন কালে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।




সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত আটক

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত আটক হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) তিনি রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকা থেকে আটক হন।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তিনি কোথায় আছেন, সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

 মোহাম্মদ আলী আরাফাত ঢাকার একটি আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।সম্প্রতি সাবেক এই তথ্য প্রতিমন্ত্রী ঢাকার ফরাসি দূতাবাসে লুকিয়ে রয়েছেন বলে গত ১৪ আগস্ট এমন তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় ঢাকার ফরাসি দূতাবাস।

ফ্রান্স দূতাবাস জানায়, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ফরাসি দূতাবাসে লুকিয়ে আছেন, এমন গুজব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

তবে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।এদিকে গত ১২ আগস্ট মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তার স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করার আদেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকর আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ। সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগের হয়ে নানা বুদ্ধিবৃত্তিক কাজে যুক্ত ছিলেন।

টক শোতে আওয়ামী লীগ ও সরকারের পক্ষে কথা বলেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্রথমবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য হন তিনি। গত বছরের জুলাইয়ে ঢাকা–১৭ আসনের উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। পরে জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।




মেহেরপুরে পাবলিক প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে মামলা, সহযোগী আসামি ১৮১

অস্ত্রবাজ ও সন্ত্রাসী বাহিনী গঠণ করে নীরিহ মানুষদের মামলা, খুন ও গুমের ভয় দেখিয়ে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পল্লব ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শারমিন নাহারের আদালতে হাজির হয়ে কামাল হোসেন নামের এক ভুক্তভোগী এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় পিপির সহযোগী হিসেবে ১৮১ জনের নাম উল্লেখ করে তাদেরও বিচারের আওতায় আনার আবেদন করেছেন বাদি।

 

মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী মারুফ আহমেদ বিজন এসকল তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শারমিন নাহ্রা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা ১৮১ সহযোগী আসামির মধ্যে অন্যতম কয়েকজন হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ভগ্নিপতি আব্দুস সামাদ বাবুল বিশ্বাস, বুড়িপোতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহ জামান চৌধুরী, বারাদি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম, কুতুবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী মাস্টার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফুয়ান আহমেদ রুপক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজন, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান হিরণ, ছাত্রলীগ নেতা কুতুব উদ্দিন।

 

মামলার এজাহারে বাদি বলেন, মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের পিপি পল্লব ভট্টাচার্য প্রভাব খাটিয়ে সরকারের গুরত্বপূর্ণ পদ দখলে নিয়ে সন্ত্রাসী ও অস্ত্রবাজ বাহিনী তৈরি করে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেন এবং নিরীহ লোকদের মামলা, খুন ও গুম এর ভয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বিগত ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৫৯টি মামলার আসামিদের কাছে থেকে সহযোগী আসামিদের দিয়ে নিরীহ লোকদের তাহার বাড়ীতে বা তাহার চেম্বারে ডেকে নিয়ে এসে টাকা আদায় করেছেন। যেসব লোকজন আসামীকে টাকা দিতে ব্যর্থ হইয়াছে তাহাদের উপরে উল্লেখিত মামলায় আসামী করিয়াছে এবং উল্লেখিত মামলায় আসামীর সংখ্যা অনুমান দেড় থেকে দুই হাজার হইবে এই আসামীদের সহিত জামিনের মুক্তি বা চার্জ হইতে খালাস বা খালাস প্রদানের নামে আসামীকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো ও সাজা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তিন কোটি টাকা আদায় করেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১২ জুন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাদী তাহার দলীয় সংগঠনের পক্ষ হইতে মামলা মোকদ্দমা পরিচালনা করিবার দায়িত্ব থাকায় আসামী তাহাকে তাহার নিজস্ব বাড়ীর ‘ল’ চেম্বারে ডেকে নেন। এবং সাক্ষীগণদের উপস্থিতিতে ১১ জন আসামীর জামিনের জন্য ৪ লাখ টাকা চাঁদা গ্রহণ করেন।

 

উল্লেখ্য, পল্লব ভট্টাচার্য ২০১৪ সাল থেকে মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি দুই মাসের ছুটিতে জাপানে অবস্থান করছেন।




ঝিনাইদহে জামায়াত কর্মী হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা

ঝিনাইদহে ২০১৩ সালে জামায়াত কর্মী আব্দুস ছালাম হত্যার ঘটনায় ৭২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার নিহতের শ্বশুর আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করে। মামলা নাম্বার ৩০।ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপু, তাহজীব আলম সিদ্দিকি সমী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জে এম রশিদুল আলম রশিদ, ডিএসবির সাবেক ওয়াচার মুরাদসহ ৭২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাত দেড়’শ দুইশ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগারের কটুক্তি ও সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে ওলামা মাশায়েখের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে তাদের উপর হামলা করা হয়। হামলা চালিয়ে জামায়াত কর্মী ও মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুস ছালামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।