মেহেরপুরে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের গোলা উদ্ধার

মেহেরপুরে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের অবিস্ফোরিত কামানের একটি গোলা উদ্ধার উদ্ধার করা হয়েছে। মেহেরপুর সদর উপজেলার কালাচাঁদপুর গ্রাম থেকে কামানের অবিস্ফোরিত এই গোলাটি উদ্ধার করেন পুলিশ।

আজ রবিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরের দিকে মেহেরপুর শহরের কালাচাঁদপুর গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদী তীরের মাটি খনন কালে এটি পাওয়া যায়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ গোলাটি উদ্ধার করে এসময় সেনাবাহিনীর একটি টিম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

মেহেরপুর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল আব্দুল করিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কালাচাঁদপুর গ্রামে ভৈরব নদের তীরে মাটি অপসারণের লক্ষ্যে খনন কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। মাটি খননের সময় কামানের গোলাটি মাটির ভিতর থেকে বের হয়ে যায়।। পরে শ্রমিকরা মেহেরপুর সদর থানা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে কামানের গোলাটি উদ্ধার করে সদর থানা হেফাজতে নেন পুলিশ।

তিনি জানান, যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত কামানের গোলা হিসেবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহার করা হলেও তা বিস্ফোরিত হয়নি বলে মনে করছেন পুলিশের এই কর্তাব্যক্তি। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে বোমা ডিস্পোজাল ইউনিটের মাধ্যমে নিষিক্রয় করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, ১৯৭১ সালে এই এলাকায় বেশ কিছু গোলাবারুদ বিস্ফোরিত হয়। মনে হচ্ছে ওই সময়ে এই সময় থেকে কামানের এই গোলাটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় মাটির নিচে পড়ে আছে।




মুজিবনগরে যুব সমাবেশ ও আহব্বায়ক কমিটি গঠন

মেহেরপুরের মুজিবনগরে সামাজিক উন্নয়ন, মাদক , সন্ত্রাস ও দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে যুব সমাবেশ ও আহব্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ রবিবার (২৫ আগস্ট) বেলা বারোটার দিকে মুজিবনগর কমপ্লেক্স পর্যটন মোটেলে এক যুব সমাবেশের মধ্যে দিয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়।

যুব সমাবেশে ইমরান হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জাহঙ্গীর হোসেন, মিহিদুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, আবির হোসেন, বায়োজিদ হোসেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, এই যুব সংঘ মুজিবনগরকে মাদক মুক্ত করার লক্ষে বিশেষ ভাবে ভূমিকা রাখবে।

এছাড়া সামাজিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করা,অসহায়- দরিদ্র শ্রেনীর মানুষকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজ করতে এই সংগঠনটি পরিচালিত হবে। যুব সমাবেশ শেষে ওমর ফারুককে আহব্বায়ক, হাবিবুর রহমান(বিকু) কে যুগ্ম আহব্বায়ক ও জাহাঙ্গীর হোসেনকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটি গঠন শেষে যুব সংঘের আহব্বায়ক ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে একটি র‍্যালী বের করা হয়।




ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির কার্যালয় পোড়ানোর মামলায় ৪ আসামি আটক

গত ৪ আগস্ট ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় পোড়ানোর মামলার ৪ আসামিকে আটক করেছে র‌্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের আভিযানিক দল।

আজ রবিবার (২৫ আগস্ট) সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব-৬।

আটককৃতরা হলো, গোয়ালপাড়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে মোঃ অসিম হোসেন (৩৫), পৈলানপুর গ্রামের মৃত শমসের মোল্লার ছেলে আজাদ মোল্লা(৪০), নারায়ণপুর গ্রামের লিয়াকত মোল্লার ছেলে স্বপন মোল্লা (৪২) ও চুয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আত্তাব উদ্দিনের ছেলে সাজিজুল ইসলাম সাজে (৩৪)। সাজিজুল ইসলাম সাজে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আটককৃতদের সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

এর আগে গতকাল শনিবার এই মামলায় র‌্যাব অভিযান চালিয়ে সদর উপজেরার মধুহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর আজাদ সম্রাটসহ ৬জনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে।




ঝিনাইদহে স্বর্ণের দোকান ও মোটরসাইকেল শোরুমে দুঃসাহসিক চুরি

ঝিনাইদহ সদর উপজেলরা বাজার গোপালপুরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরচক্র মিন্টু মোটরসাইকেলের শোরুম থেকে নগদ ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা এবং পাশের বিকাশ কুমারের মঞ্জুশ্রী জুয়েলার্স থেকে নগদ অর্থ সোনা ও রুপার গহনাসহ প্রায় ৫’ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল শনিবার দিনগত রাতে অন্যান্য দিনের মতো কাজ শেষ করে দোকানে তালা দিয়ে বাড়িতে চলে যায়। সকালে দোকানে এসে দেখি উপরের ছাউনি ও লোহার সিলিং কেটে মালামালসহ নগদ অর্থ নিয়ে গেছে চোরচক্র। রাতে বাজার পাহারা ও পাশে পুলিশ ফাঁড়ি থাকার পরেও দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

খবর পেয়ে স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশ ও ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে যান। এদিকে অভিযোগ উঠেছে আগস্টের ৫ তারিখের পর থেকেই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতী হয়েছে। এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ভয়ে মানুষ চলাচল করতে ভয় পাচ্ছে।




পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলে পাকিস্তানকে এর আগে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৮ ম্যাচ। বাকি ছিল শুধু টেস্ট। রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে এবার সেই অপেক্ষা ফুরোনোর কাছাকাছি বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক জয় পেতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩০ রান। ৫ম দিনের শেষ সেশনে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে এসে এক প্রকার হেসে খেলে ১০ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ ঐতিহাসিক জয় লাভ করে।

২০০৩ সালে মুলতান টেস্টে জয়ের খুব কাছে গিয়েও হেরেছিল বাংলাদেশ। সেবার টাইগারদের হৃদয় ভেঙে পাকিস্তানকে রক্ষা করেছিলেন ইনজামাম উল হক। দুই দশকেরও বেশি সময় পর এবার রাওয়ালপিন্ডিতে টাইগারদের গর্জন! চতুর্থ দিনের শুরু থেকেই ড্রাইভিং সিটে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে মুলতানের সেই স্মৃতি তাড়া করেছে অনেকটা সময় ধরে। অন্তত মোহাম্মদ রিজওয়ান যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত খানিকটা প্রতিরোধ গড়লেও মুলতানের ইনজামাম হতে পারেননি এই উইকেটকিপার ব্যাটার। ফলে প্রথমবার পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের বিপক্ষে এর আগে ১৩ টেস্টের মধ্যে ১২ বারই হেরেছিল বাংলাদেশ। সেরা সাফল্য ছিল ড্র। পাকিস্তানের বিপক্ষে অধরা সেই জয় অবশেষে ধরা দিয়েছে। সেটাও আবার প্রতিপক্ষের ঘরের মাঠে, ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।

রাওয়ালপিন্ডিতে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৫৬৫ রান করে বাংলাদেশ, লিড পায় ১১৭ রানের। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ৩০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুর পৌর মেয়র রিটন, যুবলীগ নেতা পেরেশানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মেহেরপুরে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে পৌর মেয়র জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান হিরণসহ ২৮ জনের নাম  উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ রবিবার মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শারমিন নাহারের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন ইমন বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি। যার মামলা নম্বর সিআর ৯০৫/২৪। দণ্ডবিধির  ১৮৬০ এর ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৫৪/৩৮০/৩৮৩/৪২৭/৪৪৭/৫০৬(২)/১১৪/৩৪  ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

মামলার বাদির পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মারুফ আহমেদ বিজন  মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ বিচারক শারমিন নাহার সদর থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন বোসপাড়ার যুবলীগ নেতা নাহিদ, শেখ পাড়ার রিয়েল, পেরেশানের ভাই সোহানুর রহমান বাদশা, ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুবলীগ নেতা মাহাবুব খা, পেয়াদা পাড়ার লিখন,  স্কুল পাড়ার ইয়ানুস, ভুমি অফিস পাড়ার তুফান, রাধাকান্তপুরের সাজিজুর রহমান সাজু, বড়বাজারের কাজল দত্ত, হোটেল বাজারের আব্দুল হাই, থানা রোডের মেজবাহ উদ্দিন, গড়পাড়ার সাংবাদিক মিজানুর রহমান অপু, ঘাটপাড়ার রিফাতুল, পেয়াদার পাড়ার মাহাবুব ডালিম, শারাফত আলী, ফৌজদারী পাড়ার হিরক, জাহাঙ্গীর, শেখ পাড়ার ফাহাদ,  বাসস্ট্যাণ্ড পাড়ার সহিদুজ্জামান সুইট, মোনাখালীর আঙ্গুর, পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়ার রাফিউল ইসলাম, হোটেল বাজারের মিজানুর রহমান মিঠু,  বিশ্বনাথপুরের আলমগীর সহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদি বলেন, আমি মেহেরপুর পৌরসভার সরকারী বালিকা বিদ্যালয় পাড়াতে আমি বসবাস করেন। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের একজন রাজনৈতিক কর্মী। ২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ঘটনার তারিখে দেশের এবং আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষিতে আমি মোবাইলের ফেসবুক থেকে “ইমন বিশ্বাস/যুবদল মেহেরপুর” উল্লেখে একটি রাজনৈতিক পোস্ট করি। যার শিরোনাম ছিল(দক্ষিণ এশিয়ার কুখ্যাত তিন নরঘাতক : মোদী, সুচি এবং হাসিনা। প্রথমজন : গুজরাটের কসাই হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেছেন, দ্বিতীয়জন: আরাকানের ডাইনী হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেছেন আর তৃতীয়জন নিজ দেশে ৫’শত লোককে গুম করে শাপলা চত্তরে আলেমদের হত্যা করে লাশ গুম করেন মাঝে মাঝে বিরোধীদের গুম করবার কারণে গুমকুমারী হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেছেন।) মর্মে পোস্ট করলে আসামীরা আমাকে বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করতে থাকে। আমাকে না পেয়ে, আসামীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ১ম ঘটনার সময়ে ১ম ঘটনাস্থলে আমার বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে বাড়ীতে ভাংচুর ও লুটপাট করে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি করে এবং ঘরে রক্ষিত নগদ আনুমানিক  দুই লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার টাকা চুরি করে নেয়।  ৩ নং আসামী নাহিদ আমার স্ত্রীর  পরনের কাপড়চোপর ধরে টানাটানি করে শ্লীলতাহানী করে ও তার শরীরে থাকা সোনার গহনা (গলার হার ৬ আনা, কানের দুল ৩ আনা, হাতের বালা ১ ভরি) জোর করে ছিনিয়ে নেয়। পরে আমার মাতা মমতাজ বেগম ঠেকাতে আসলে আসামীরা তাকে ব্যপক মারধর ও শ্রীলতাহানী করে এবং তার শরীরে থাকা সোনার গহনা (গলার হার ১২ আনা, কানের দুল ২ আনা, হাতের চুরি ৪ আনা) জোর করে ছিনিয়ে নেয় এবং আমার মাকে আসামীরা জোরে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলে আমার মার মাথার পিছনে মারাত্মক আঘাত লেগে আহত করে(তিনি পরবর্তীতে ১ বছর চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মৃত্যুবরন করেন)।

পরে আসামীরা আমাকে যেখানে পাবে সেখানে হত্যা করবে মর্মে হুমকি দিয়ে আমার বাড়ী থেকে চলে আসে এবং মটরসাইকেল যোগে শহরের রাস্তায় আমাকে খোজাখুজি করতে থাকে। আমি তৎকালীন সময়ে এজটেক ঔষধ কোম্পানীর ডিস্টিবিউটর এর ব্যবসা করতাম। ঘটনার তারিখে আমি মেহেরপুর শহরের বিভিন্ন ঔষধের দোকানে ঔষধ বিক্রয়ের টাকা আদায় করে বাড়ীতে ফিরে যাচ্ছিলাম। এসময়ে নীলমনি সিনেমা হল রোডের পশ্চিম বোসপাড়া পেশকারের বাগানের সামনে দিয়ে যাবার সময়ে সামনের রাস্তা দিয়ে আসামীরা আসতে থাকে বিদ্যুতের আলোতে আসামীরা আমাকে দেখে চিনে ফেলে এবং ১-২ নং আসামীরা নির্দেশ দিয়ে বলে যে, ঐ যে ইমন ধর শালাকে, এসময়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে মটরসাইকেল যোগে পালাতে থাকে। পিছনে পিছনে আসামীরা আমাকে ধাওয়া করতে থাকে। আমি মটরসাইকেল যোগে ২য় ঘটনাস্থলে ২য় ঘটনার সময়ে উপস্থিত হলে সামনে মোড় থাকায় এবং লোকজন থাকায় আসামীরা আমাকে ধরে ঘিরে ফেলে। এসময়ে ১-২ নং আসামীর নির্দেশে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ৩ নং আসামী নাহিদ তার হাতে থাকা জিআই পাইপ দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার নাকের উপরে স্বজোরে আঘাত করে নাক ফাটিয়ে দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে, এসময়ে ৪ নং আসামী রিয়েল তার হাতে থাকা জিআই পাইপ দিয়ে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আমার উপরে মাথায় মাঝ বরাবর স্বজোরে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময়ে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ১১ নং আসামী তুফান তার হাতে থাকা জিআই পাইপ দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাম চোখের ভুরুর উপরে স্বজোরে আঘাত করে যাতে কেটে ও ফেটে রক্তাক্ত জখম করে। এতে আমি সেখানে পড়ে গেলে সকল আসামীরা আমাকে ঘিরে ধরে তাদের হাতে থাকা ভোতা অস্ত্র দ্বারা আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাত করতে থাকে এবং সমস্ত শরীর নীলা-ফুলা জখম করতে থাকে।

এসময়ে অন্যান্য আসামীরা আমার মটর সাইকেলটি ভাংচুর করে আনুমানিক বিশ হাজার টাকার ক্ষয়-ক্ষতি করে। এসময়ে আসামীরা চিৎকার করে বলতে থাকে যে, শালা আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে গুমকুমারী বলেছে তাই শালাকে আজ খুন করে ফেল। এতে আসামীরা আমাকে একই ভাবে মারতে থাকে এবং আমার শরীরের উপরে উঠে লাথি মারতে থাকে এবং ৩ নং আসামী নাহিদ আমার প্যান্টের পিছনের বাম পকেটে থাকা মানিব্যাগটি চুরি করে নেয়। উক্ত মানিব্যাগে আমার আদায়ের ছাব্বিশ হাজার টাকা ছিল। এর পর আঘাতের যন্ত্রনায় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আসামীরা আমাকে মৃত ভেবে চলে যায়। এসময়ে সাধারণ পথচারীরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে, সেখানে পুলিশ এসে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসায় আমার জীবন বেঁচে গেলে চিকিৎসকরা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেয়।

মিথ্যা হয়রানীমূলক ভাবে উক্ত ১৭ নং আসামী মিজানুর রহমান অপু আমার নামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন/২০০৬(সংশোধনী/২০১৩) এর ৫৭(২) ধারা মিথ্যা মামলা দিলে, চিকিৎসাধিন অবস্থায় পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে এবং ৩ দিন চিকিৎসা শেষে পুলিশ আমাকে উক্ত মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করে।

পরবর্তীতে আমি থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে চাইলে থানা কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক কারণে মামলা গ্রহণ করে নাই। এছাড়া আসামীদের হত্যার হুমকি থাকায় বাদী ভয়ে আদালতে মামলা করতে পারেন নাই।




মুজিবনগরে যুব সমাজের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি

মেহেরপুরের মুজিবনগরে কেদারগঞ্জ দর্শনা প্রধান সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য কেটে ফেলা গাছগুলোর শূন্যতা পূরণ করলো বল্লভপুর যুবসমাজ।

আজ রবিবার (২৫ আগস্ট) সকাল দশটার দিকে মুজিবনগর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের শিক্ষার্থী ও যুব সমাজের উদ্যোগে বল্লভপুর গুড নেইবারর্স হতে আটকবর প্রধান সড়কের দুই পাশে বৃক্ষ রোপনের উদ্বোধন করেন, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম ও মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলম।

এর আগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি’র ব্যানারে দেশের বায়ু দেশের মাটি, গাছ লাগিয়ে করবো খাটি এই স্লোগানে শিক্ষার্থী ও যুবসমাজ গাছ লাগিয়ে বাংলাদেশকে সবুজে ভরিয়ে দেয়ার প্রতিজ্ঞা করেন।

এ সময় বল্লভপুর মিশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক লুক হরেন্দ্র বিশ্বাস রিঠুসহ স্কুলের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বৃক্ষরোপন কর্মসূচির সার্বিক সহযোগিতায় থাকা সাইমন মন্ডল বলেন, রাস্তা বড় করার জন্য যে গাছগুলি কেটে ফেলা হয়েছে, তারপর থেকে রোদের যে তীব্রতা আমরা সেটা বুঝতে পারছি। তাই রোদের এই তীব্রতা থেকে বাঁচার জন্য এবং পরিপূর্ণ অক্সিজেন পেতে আমাদের যুব সমাজ, শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর আয়োজনে, এই উদ্যোগ। আমরা চাই আমাদের মত বাংলাদেশের সকল যুবসমাজ রাস্তার দুই পাশে বৃক্ষ রোপনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশকে সবুজে ভরিয়ে দিতে এগিয়ে আসবে।

উক্ত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে পথচারীদের মাঝে চারা বিতরণ সহ রাস্তার দু পাশে ৫৫০ টি ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপন করা হয়।




টেলিগ্রামের সিইও গ্রেপ্তার

জনপ্রিয় ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পাভেল দুরভ গ্রেপ্তার হয়েছেন। শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের একটি বিমানবন্দর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

আজ রোববার (২৫ আগস্ট) বিবিসি জানিয়েছে, ফরাসি পুলিশ টেলিগ্রামের সিইওকে প্যারিসের উত্তরে একটি বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রাইভেট জেট লে বোর্গেট বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাকে গ্রেপ্তার করে ফরাসি পুলিশ।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুরভের বিরুদ্ধে জনপ্রিয় এই মেসেজিং অ্যাপের সাথে সম্পর্কিত অপরাধের জন্য ওয়ারেন্টে রয়েছে। এজন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম তাস জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্পষ্ট করার জন্য ফ্রান্সে অবস্থিত রাশিয়ার দূতাবাস ‘তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ’ নিচ্ছে। অন্যদিকে ফ্রান্সের টিভি চ্যানেল টিএফ১ জানিয়েছে, ব্যক্তিগত জেটে ফ্রান্সে গিয়েছিলেন পাভেল দুরভ।

রাশিয়া, ইউক্রেন এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে টেলিগ্রাম ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। তবে ২০১৮ সালে ব্যবহারকারীর ডেটা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করায় রাশিয়ায় অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর ২০২১ সালে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।

সূত্র: কালবেলা




বানভাসি মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে ভ্যান চালক, শ্রমিক, দিন মজুর, ভিক্ষুক

ভ্যান চালক থেকে শুরু করে শ্রমিক, দিন মজুর, নারী ও শিশুরাও এগিয়ে এসেছেন বানভাসি মানুষের সাহায্যের জন্য। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে সকলেই যেনো শামিল হয়েছেন এক কাতারে। সতস্ফূর্ত সহযোগীতার এ দৃশ্য গাংনী উপজেলা শহরের। বানভাসি অসহায় মানুষের সাহায্যের জন্য গতকাল শনিবার দিনভার গাংনী উপজেলা শহরে তিনটি গ্রুপ হয়ে অর্থ সংগ্রহ করেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এঁর অঙ্গ সংগঠন ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার ও গাংনী বাজার কমিটির উদ্যোগে এই অর্থ সংগ্রহ করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, গাংনী শহরের বড় বাজার বাসস্ট্যান্ড, কাথুলি মোড়, থানার মোড় এলাকায় ছোট ছোট বাকস, ও ড্রামে করে টাকা সংগ্রহ করছেন। পথচারী, ব্যবসায়ী, নারী, পুরুষ, ভ্যান চালক, দিন মজুরসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ দানবাক্সে অর্থ সহায়তা দিচ্ছেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মুজাহিদ, ফরিদুল ইসলাম পান্না, আজম, জীবনসহ তাদের ত্রিশ জন সদস্য অর্থ সংগ্রহে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি সালাহউদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে মার্কেট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম, ব্যবসায়ী জিনারুল ইসলাম, হাফিজুল ইসলামসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

এদিকে, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর গাংনী এরিয়া অফিসের সমন্বয়ক হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গারের সদস্য ফিরোজ আহম্মেদ পলাশ, রাকিবুল ইসলাম রকি, নাসিম আহমেদ, সুমন রেজা, হুসাইন বাদশা, সম্রাট, সিনিয়র সাংবাদিক জুলফিকার আলী কানন, গাংনী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম, গাংনী সাইন্স এন্ড টেকনলোজিত কলেজের পরিচালক নাজমুল হুসাইন, কলেজ শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বকুল স্বেচ্ছায় হিসেবে অর্থ সংগ্রহ অভিযানে অংশ নেন।

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর গাংনী এরিয়া অফিসের সমন্বয়ক হেলাল উদ্দিন জানান, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর সহযোগী সংগঠন ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গারের স্বেচ্ছাসেবীরা একদিনে প্রায় লক্ষাধিক টাকা সংগ্রহ করেছেন।

এদিকে গাংনী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাজার কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারাও একদিনে কয়েক লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছেন।

কয়েকদিনের মধ্যেই এসব টাকা পয়সা দূর্গত এলাকার বানভাসি অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।




বানভাসি মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে ভ্যান চালক, শ্রমিক, দিন মজুর, ভিক্ষুক

ভ্যান চালক থেকে শুরু করে শ্রমিক, দিন মজুর, নারী ও শিশুরাও এগিয়ে এসেছেন বানভাসি মানুষের সাহায্যের জন্য। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে সকলেই যেনো শামিল হয়েছেন এক কাতারে। সতস্ফূর্ত সহযোগীতার এ দৃশ্য গাংনী উপজেলা শহরের। বানভাসি অসহায় মানুষের সাহায্যের জন্য গতকাল শনিবার দিনভার গাংনী উপজেলা শহরে তিনটি গ্রুপ হয়ে অর্থ সংগ্রহ করেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এঁর অঙ্গ সংগঠন ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার ও গাংনী বাজার কমিটির উদ্যোগে এই অর্থ সংগ্রহ করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, গাংনী শহরের বড় বাজার বাসস্ট্যান্ড, কাথুলি মোড়, থানার মোড় এলাকায় ছোট ছোট বাকস, ও ড্রামে করে টাকা সংগ্রহ করছেন। পথচারী, ব্যবসায়ী, নারী, পুরুষ, ভ্যান চালক, দিন মজুরসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ দানবাক্সে অর্থ সহায়তা দিচ্ছেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মুজাহিদ, ফরিদুল ইসলাম পান্না, আজম, জীবনসহ তাদের ত্রিশ জন সদস্য অর্থ সংগ্রহে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি সালাহউদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে মার্কেট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম, ব্যবসায়ী জিনারুল ইসলাম, হাফিজুল ইসলামসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

এদিকে, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর গাংনী এরিয়া অফিসের সমন্বয়ক হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গারের সদস্য ফিরোজ আহম্মেদ পলাশ, রাকিবুল ইসলাম রকি, নাসিম আহমেদ, সুমন রেজা, হুসাইন বাদশা, সম্রাট, সিনিয়র সাংবাদিক জুলফিকার আলী কানন, গাংনী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম, গাংনী সাইন্স এন্ড টেকনলোজিত কলেজের পরিচালক নাজমুল হুসাইন, কলেজ শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বকুল স্বেচ্ছায় হিসেবে অর্থ সংগ্রহ অভিযানে অংশ নেন।

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর গাংনী এরিয়া অফিসের সমন্বয়ক হেলাল উদ্দিন জানান, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর সহযোগী সংগঠন ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গারের স্বেচ্ছাসেবীরা একদিনে প্রায় লক্ষাধিক টাকা সংগ্রহ করেছেন।

এদিকে গাংনী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাজার কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারাও একদিনে কয়েক লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছেন।

কয়েকদিনের মধ্যেই এসব টাকা পয়সা দূর্গত এলাকার বানভাসি অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।