১৮ বছর ধরে ‘বঞ্চনার শিকার’ মহেশপুরের শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকরা

১৮ বছর ধরে ‘এমপিও বঞ্চিত’ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকরা। শুধু নামের কারণে দেড় যুগ ধরে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন তারা। যোগ্যতার সব শর্ত পূরণ করলেও শহীদ জিয়া নামের কারণে বিগত আওয়ামী সরকার কলেজটির ডিগ্রি সেকশন এমপিওভুক্তির বাইরে রাখে।

দীর্ঘ ১৮ বছর আগে কলেজের ডিগ্রি সেকশনে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা ছাড়া মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দ্রুত কলেজটির ডিগ্রি সেকশন এমপিওভুক্ত করে নিয়োগের তারিখ থেকে সমস্ত বকেয়া পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা। একই সঙ্গে কলেজের হারানো গৌরব ফিরে পেতে জাতীয়করণের বিকল্প নেই বলেও জানান তারা।

জানা গেছে, বিএনপি সরকারের আমলে ২০০০ সালে কালিগঞ্জ-জীবননগর মহাসড়ক সংলগ্ন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুরে গড়ে ওঠে শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ। শিক্ষায় অনগ্রসর এই এলাকার মানুষের মনে শিক্ষার দ্যুতি ছড়াতে তৎকালীন বিএনপি সরকারের ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রতিষ্ঠার দুই বছর পর ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত এমপিওভুক্ত করা হয়। পরবর্তীসময়ে ডিগ্রি সেকশনের পাঠদানের অধিভুক্তি করা হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুলাই। তারপরের বছরই ক্ষমতার পালাবদল ঘটে। এরপরই কলেজের নাম পরিবর্তনের জন্য ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। কিন্তু শিক্ষকদের অনড় অবস্থানের কারণে কলেজের নাম পরিবর্তন করতে না পেরে কলেজটিকে অকার্যকর করার পাঁয়তারা শুরু করেন তারা।

আওয়ামী লীগ নেতারা ওই এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের জিয়া কলেজে ভর্তি না হতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেন। এরপরও যেসব শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতো তাদের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হেনন্তার শিকার হতে হয়। এমপিও আবেদনের জন্য বছরের পর বছর স্থানীয় আওয়ামী সংসদ সদস্যের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মেলেনি ডিও লেটার। দীর্ঘ ১৮ বছরে কলেজের জন্য কোনো প্রকার সরকারি অনুদান আসেনি।

চার একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত উপজেলার স্বনামধন্য এ প্রতিষ্ঠানটি ছিল বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। ১৮ বছর আগে যেসব শিক্ষক তাদের ভাগ্যবদলের আশায় শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের সঙ্গে নিজেদের নাম যুক্ত করেছিলেন তাদের দুর্দশা পিছু ছাড়েনি। এসব শিক্ষক দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী হয়েও আজ তারা সমাজের কাছে অসম্মানিত, পরিবারের কাছে বোঝা। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে অনাহারে-অর্ধাহারে থাকা এসব শিক্ষকের দাবি, তাদের সঙ্গে যে অন্যায় করা হয়েছে তার যথাযথ ক্ষতিপূরণ।
এ বিষয়ে কলেজের ডিগ্রি সেকশনের একজন প্রভাষক মো. ছামাদুজ্জামান বলেন, ২০০৩ সালে আমাকে শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজের ডিগ্রি সেকশনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেই থেকে ২১ বছর ধরে বেতন-ভাতা তো দূরের কথা, কলেজ থেকে কোনো প্রকার সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, বিগত দেড় যুগ ধরে আমরা বৈষম্যের চরম সীমা অতিক্রম করে আসছি। গত আওয়ামী সরকারের কাছে আমাদের একটাই অযোগ্যতা আমরা শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। অনতিবিলম্বে ডিগ্রি পর্যায়ে এমপিওভুক্ত করে নিয়োগদানের তারিখ থেকে সমস্ত বকেয়া পরিশোধের অনুরোধ করছি।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মো. শওকত আলী বলেন, উপজেলার সবচেয়ে অবহেলিত ও বঞ্চনার শিকার শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ। সব যোগ্যতা থাকার পরও শুধু নামের কারণে ডিগ্রি সেকশনের এমপিও দেওয়া হয়নি। এমপিওর কাগজপত্র জমা দিতে শত চেষ্টার পরও ডিও লেটার দেননি আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য। বরং উপজেলার শ্রেষ্ঠ এ বিদ্যাপীঠকে দুর্বল করতে সকল ঘৃণ্য অপচেষ্টা অব্যাহত রাখে।

তিনি বলেন, ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করতেও পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ভর্তি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের হতে হয়েছে লাঞ্ছিত। কলেজটির ডিগ্রি সেকশনের শিক্ষদের প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছে তা অকল্পনীয়। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে তারা বিনা বেতনে পাঠদান করছেন এটা অমানবিক। আমি তাদের সমস্ত বকেয়া পরিশোধের দাবি জানাই। একই সঙ্গে কলেজটি জাতীয়করণের মাধ্যমে হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।




ঝিনাইদহের শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ আটক ২

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দেশীয় তৈরী ওয়ান শ্যুটারগান ও গুলিসহ ২ জনকে আটক করেছে র‌্যাব-৬। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- যশোরের কোতয়ালী থানার শালীআট গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে ইমলাত হোসেন (২৮) ও ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী মন্ডলের ছেলে হানিফ মন্ডল (৪৮)।

র‌্যাব-৬, সিপিসি-২, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর নাঈম আহমেদ জানান, শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর গ্রামের অস্ত্র কেনাবেচা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় র‌্যাব। সেসময় ইমলাত হোসেন ও হানিফ মন্ডলকে আটক করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২ টি ওয়ান শ্যুটারগান ও ২ রাউন্ড গুলি।

সেসময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে একটি মোটর সাইকেল। এ ঘটনায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে আসামীদের শৈলকুপা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।




নিয়োগ দিচ্ছে সেভ দ্য চিলড্রেন

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট পদে ঢাকায় জনবল নিয়োগ দেবে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানের নাম : সেভ দ্য চিলড্রেন

পদের নাম : টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট পদসংখ্যা : ০১টি অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ৫ বছর

বয়সসীমা : উল্লেখ নেই

কর্মস্থল : ঢাকা

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক

আবেদন শুরুর তারিখ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কর্মক্ষেত্র : অফিসে

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

আবেদনের শেষ সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতকোত্তর ডিগ্রি

অন্যান্য যোগ্যতা : আর্থিক/বাজেট ব্যবস্থাপনা দক্ষতা। ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডশীট, ই-মেইল, ইন্টারনেটসহ কম্পিউটার দক্ষতা। অন্যান্য সুবিধা : সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।




শৈলকুপায় নিখোজের ৩ দিন পর মাদরাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

ঝিনাইদহের শৈলকুপার দুধসর গ্রামে নিখোঁজের ৩ দিন পর আইরিন আক্তার তিথি (১৭) নামের এক মাদরাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। সে ওই গ্রামের আশরাফ হোসেন এর মেয়ে এবং রাবেয়া খাতুন মডেল মাদ্রসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলো।

শৈলকুপা থানার ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে একটি ফোনে কথা বলে ঘর থেকে বের হয় আইরিন আক্তার তিথি। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের একটি বাগানে তার মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহের গলায় ওড়না পেচানো দেখে মনে হচ্ছে হত্যা করা হয়েছে। মুখ বিকৃত হয়ে গেছে।

নিহতের পিতা আশরাফ হোসেন জানান, আমার মেয়েকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।




কালীগঞ্জে মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের পিরোজপুর এলাকা থেকে অজ্ঞাত নামা পঞ্চাশোর্ধ ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে স্থানীয় কৃষকরা মাঠে কাজ করতে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে বারবাজার হাইওয়ে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের মাথায় ও বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রাতের কোন এক সময় গাড়ির ধাক্কায় সে নিহত হয়েছে। তবে মানসিক ভারসাম্যহীন হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে পুলিশ।




ভাইরাল বিএমডব্লিউ ট্যাগ

সম্প্রতি ফেসবুক ফিড স্ক্রল করতে গেলে ‘Ten unknown facts about #BMW’ শিরোনামের পোস্ট অনেকেরই চোখে পড়ার কথা। আচমকা ফিড ভরে গেছে এই পোস্টগুলোতে। বিএমডব্লিউর সঙ্গে সম্পর্ক নেই তাও এমন পোস্ট কেন? এগুলো হুটহাট করে দেওয়া পোস্ট?

প্রথমেই বলে নিতে হয়, এই পোস্টগুলো ‘লিস্টিকল’ ফরম্যাটে লেখা। সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ জনপ্রিয়। লিস্টগুলো ছোট, ঝটপট পড়া যায়, আর এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের দীর্ঘ লেখা পড়ার ধৈর্য তেমন নেই।

BMW-এর মতো বড় ব্র্যান্ড নিয়ে কিছু অজানা তথ্যের তালিকা পড়তে সবারই ভালো লাগে, আর এসব ছোট পোস্টের মধ্যেই থাকে বেশ খানিকটা মজা।

তাহলে এবার ফেসবুকের অ্যালগরিদমের কথায় আসা যাক। ফেসবুক সবসময় এমন পোস্টগুলোকে বেশি গুরুত্ব দেয়, যেগুলোতে প্রচুর লাইক, কমেন্ট বা শেয়ার হয়। ‘অজানা তথ্য’ টাইপের পোস্ট দেখে মানুষ, বিশেষ করে যারা BMW বা গাড়ির ভক্ত, সহজেই লাইক বা শেয়ার করে। আর যত বেশি মানুষ রিঅ্যাক্ট করে, ফেসবুক আরও বেশি মানুষকে সেই পোস্ট দেখাতে থাকে। এভাবেই পোস্টটা ছড়িয়ে পড়ে।

#BMW হ্যাশট্যাগও এই পোস্টগুলোর জনপ্রিয়তার আরেকটা কারণ। হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে BMW প্রেমীরা সহজেই এই ধরনের পোস্ট খুঁজে পায়। BMW বিশ্বব্যাপী এতটাই জনপ্রিয় যে, এই ধরনের পোস্ট সহজেই ভাইরাল হয়ে যায়। আর যখন একবার একটা BMW বিষয়ক পোস্ট ভাইরাল হয়, অন্য পেইজ বা ব্যবহারকারীরা সেই পোস্টের সফলতা দেখে নিজেদের পোস্ট বানাতে শুরু করে।

এখন আপনি এই Ten unknown facts about #BMW ট্যাগ দিলে আপনার পোস্টের রিচ বেড়ে যাবে। অ্যালগরিদমের এই কৌশল যে শুধু সাধারণ ফেইসবুক ব্যবহারকারীরা করছেন তা নয়। বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠানও এই তরিকা ব্যবহার করছে। বিশেষ করে বিপণন বা মার্কেটিংয়ের কাজে। এই ট্রেন্ডিং ট্যাগ ব্যবহার করে প্রচার বাড়ানো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের অন্যতম টুল।

এক কথায় আপনার ফিডে BMW এর এসব পোস্টে হরদম আসার পেছনে মূল কারণ হলো ফেসবুকের অ্যালগরিদম আর BMW-এর ভক্তদের বিশাল সংখ্যা। সব মিলিয়ে, কন্টেন্ট অথবা পোস্টের রিচ বাড়ানোর জন্য বা ভাইরাল করার জন্য এটা একটা আদর্শ রেসিপি।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা

মেহেরপুরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মেহেরপুর জেলা ইসলামী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসনকে সম্মেলন কক্ষ অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।

জেলা ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ. জে.এম. সিরাজুম মূনিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক) এবং অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মু: তানভীর হাসান রুমান, অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (রাজস্ব) এবং বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রনি আলম নূর, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি ও হোটেল বাজার জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা রোকনুজ্জামান, সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের ইমাম মাওলানা মোঃ শাহ জালাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি মেহেরপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব ড.অশোক চন্দ্র বিশ্বাস, এডভোকেট বিমল বিশ্বাস, জেলা মডেল মসজিদের ইমাম সাদিকুর রহমান, গাংনী মডেল মসজিদের ইমাম জাহিদ হাসান, কোট মসজিদের ইমাম জুবায়ের হোসেন প্রমুখ।




মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৪-এর মুকট জিতলেন রিয়াহ সিংহ

মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৪-এর মুকট জিতলেন গুজরাটের সুন্দরী রিয়াহ সিংহ। রবিবার রাজস্থানের জয়পুরে মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৪-এর ফাইনালেরে আসর বসে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযাযী, মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৪ প্রতিযোগিতায় সবাইকে পিছনে ফেলে বাজিমাত করেছেন ১৯ বছর বয়সী রিয়াহ সিংহ। তিনি পেলেন মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৪ এর খেতাব। এবার তিনি ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন মিস ইউনিভার্স ২০২৪ প্রতিযোগিতায়।

গতকাল রবিবার রাতে মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৪-এর শিরোপা জিতে রিয়া বলেন ‘আজ আমি মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৪ এর খেতাব জিতে খুবই খুশি এবং কৃতজ্ঞ’

এদিন মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়ার ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলাও। বিচারকের আসনে ছিলেন তিনি। অভিনেত্রী তথা ২০১৫ মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়ার বিজয়ী ঊর্বশী রাউতেলা এদিন তার হাত দিয়েই রিয়া সিংহের মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন।

মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৪-এ প্রথম রানার আপ হয়েছেন প্রাঞ্জল প্রিয়া এবং প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছেন ছাভি ভার্জ। সুস্মিতা রায় তৃতীয় রানার আপ রূপফুজানো হুইসো চতুর্থ রানার-আপ স্থান অধিকার করেছেন। বছরের শেষের দিকে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মিস ইউনিভার্স ২০২৪, সেখানে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন রিয়া।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) আয়োজন মেহেরপুরে “নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে মেহেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) অধ্যক্ষ মোঃ আরিফ হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ-আল-মানুন ও জেলা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন।

ইন্সট্রাক্টর (ইলেকট্রিক্যাল) মোঃ সোহেল রানার সঞ্চালনায় এসময় ইন্সট্রাক্টর (কম্পিউটার ট্রেড) মোঃ আল আমিন হোসেন, ইন্সট্রাক্টর (ইলেকট্রনিক্স) মাসুদ পারভেজ, ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর (ব্যবহারিক) মোঃ ফারুক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, মসজিদের ইমামসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংগ্রহণ করেন।




নিউইয়র্কের পথে ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টা ৫ মিনিটে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সফরসঙ্গীদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ড. ইউনূসের এটাই প্রথম বিদেশ সফর। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে তিনি ২৭ সেপ্টেম্বর বক্তৃতা করবেন।

এর আগে জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে দায়িত্ব পালন করা নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ এবার নতুন রূপে হাজির হচ্ছেন। বাংলাদেশের সরকারপ্রধান হিসেবে সেখানে গণতন্ত্র ও শান্তির বার্তা নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দ্বিতীয় বিজয়ের নতুন যাত্রায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুশাসন এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যেসব সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, ড. ইউনূসের বক্তব্যে সেসব তুলে ধরা হবে। বিশ্ববরেণ্য এই গুণী ব্যাক্তিকে বরণে অনেক দেশের সরকারপ্রধান ও উন্নয়ন সংস্থার শীর্ষ ব্যক্তিরাও অধীর আগ্রহে রয়েছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা ৭৯তম অধিবেশনের ভাষণে তুলে ধরবেন ড. ইউনূস। একই সঙ্গে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাষ্ট্র মেরামতের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার কার্যক্রম বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করবেন প্রধান উপদেষ্টা। তার আগে অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে যাচ্ছেন। গত তিন দশকে বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের সঙ্গে এমন বৈঠক এবারই প্রথম। সবকিছু ঠিক থাকলে নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতারা এ বৈঠকে বসবেন।

জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের সঙ্গে বৈঠক করবেন ড. ইউনূস। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, একসময় শিক্ষকতা পেশায় থাকা ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ওই ব্যাংককে সঙ্গে নিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করে বিশ্বব্যাপী দ্যুতি ছড়িয়েছেন অনেক আগেই। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে ড. ইউনূসের নাম। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাস্কিয়া ব্রুইস্টেন, সোফি আইজেনম্যান এবং হ্যান্স রাইটজের সঙ্গে একত্রে সামাজিক ব্যবসা—গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভস প্রতিষ্ঠা করেন। ড. ইউনূসের নতুন, মানবিক পুঁজিবাদের দৃষ্টিভঙ্গির আন্তর্জাতিক বাস্তবায়ন শাখা হিসেবে এই সামাজিক ব্যবসা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সামাজিক ব্যবসার জন্য ইনকিউবেটর তহবিল পরিচালনা করে এবং কোম্পানি, সরকার, ফাউন্ডেশন এবং এনজিওদের পরামর্শ সেবা দেয়। ২০১২ সালে তিনি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হন এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ড. ইউনূস জাতীয় ও আন্তর্জাতিকসহ প্রায় ১৪৫টি পুরস্কারে ভূষিত হন। এর মধ্যে ১৯৮৪ সালে র্যামন ম্যাগসেসে, ১৯৮৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার, ১৯৯৮ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার পান তিনি। ২০০৪ সালে ফিলাডেলফিয়ার হোয়ার্টন স্কুল অব দ্য ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া তাকে গত ২৫ বছরে ২৫ জন সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়িক ব্যক্তির মধ্যে একজন হিসেবে নির্বাচন করে। ২০০৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। একই বছর টাইম ম্যাগাজিন তাকে শীর্ষ ১২ জন ব্যবসায়িক নেতার মধ্যে স্থান দেয় এবং ‘এশিয়ার ৬০ বছরের নায়ক’দের মধ্যেও অন্তর্ভুক্ত করে। ২০০৮ সালে যুক্তরাজ্যের ‘প্রসপেক্ট ম্যাগাজিন’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফরেন পলিসি’ পরিচালিত একটি উন্মুক্ত অনলাইন জরিপে শীর্ষ ১০০ জন পাবলিক ইন্টেলেকচুয়ালের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দেওয়া হয় তাকে। ২০০৯ সালে ড. ইউনূস স্লোভাকিয়ার ইনফরমাল ইকোনমিক ফোরাম ইকোনমিক ক্লাবের দেওয়া সর্বোচ্চ পুরস্কার গোল্ডেন বিয়াটেক অ্যাওয়ার্ড পান। ২০২১ সালে ক্রীড়া উন্নয়নে তার বিস্তৃত কাজের জন্য অলিম্পিক লরেল পুরস্কার পান তিনি। ২০২১ সালে ড. ইউনূসকে ইউনাইটেড নেশনস ফাউন্ডেশনের চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ পুরস্কার দেওয়া হয়। মানব মর্যাদা, সমতা এবং ন্যায়বিচার বৃদ্ধির জন্য তার আলোকিত নেতৃত্ব এবং উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের মানবহিতৈষণা পুরস্কার, শ্রীলঙ্কার মুহাম্মদ সাহেবুদ্দিন বিজ্ঞান (সামাজিক অর্থনীতি) পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব খাদ্য ও শান্তি পুরস্কার, সুইজারল্যান্ডর ম্যাক্স সছমিধেইনি ফাউন্ডেশন ফ্রিডম পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যানডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় বিশিষ্ট অ্যালামনাই পুরস্কার ও আন্তর্জাতিক অ্যাকটিভিটিস্ট পুরস্কার, জার্মানির প্লানেটরি কনশিয়াশনেস বিজনেস ইনোভেশন পুরস্কার, নরওয়ের হেল্প ফর সেলফ হেল্প পুরস্কার, ইতালির ম্যান ফর পিস অ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব ফোরাম পুরস্কারসহ যুক্তরাজ্য, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ফ্রান্স, জর্ডান, ভিয়েতনাম, সুইডেন, কলম্বিয়া, ব্রাজিল, অস্ট্রিয়া, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অসংখ্য পুরস্কার জমা হয় ড. ইউনূসের থলেতে। তিনিই মাত্র সাতজন ব্যক্তির একজন, যিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল পেয়েছেন। ড. ইউনূস ১৯৯৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের কার্যক্রমকে সমর্থনকারী জনহিতকর সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদেও দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে চষে বেড়িয়েছেন তিনি।

সুত্রঃ কালবেলা