আলমডাঙ্গায় ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

আলমডাঙ্গা উপজেলা খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।

আজ বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা মডেল মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে আলতায়েবা মোড়ে সমাবেশ অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মওঃ আনিসুর রহমান।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজল কুষ্টিয়া জোনের পরিচালক মোঃ সিরাজুল ইসলাম।তিনি বলেন

দীর্ঘ ১৬ বছর দেশে গণতন্ত্র গনতন্ত্র ছিল না,আমরা স্বাধীন ভাবে সমাবেশ করতে পারিনি,কথা বলতে পারিনি,দেশে ছাত্রসমাজের ছেলেরা বৈসম্যবিরোধী আন্দোলন করে সৈরাচরি হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে নতুন করে দেশ স্বাধীন করেছে।গত ৫ই আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনের ফলে স্বৈরশাসনের পতনের মাধ্যমে দেশে বিপ্লবী ছাত্রসমাজ দেশে নির্যাতিত জনগন ও মুক্তিকামি মানুষের স্বাধীনতার স্বাদ এনে দিয়েছে। কিন্ত সৈরাচারি সরকারের প্রধান খুনি শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়ে নতুন করে স্বড়যন্ত্র শুরু করেছে। ভারতের মোদি সরকার শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় বসানোর স্বড়যন্ত্র হিসেবে তাদের বাধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশে ভয়ঙ্কর বন্যার সৃষ্টি করেছে,লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ পানি বন্দি। ঐসব অসহায় পানি বন্দি মানুষের সহায়তায় আমরা সর্বপ্রকার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেব।আপনারা যে যতটুকু পারের বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন।তিনি আরও বলেন ভারত যত স্বড়যন্ত্রই করুক আমাদের জীবন থাকতে আমরা তাদের কাছে মাথা নত করব না।বাংলাদেশের সকল তৌহিদি জনতাকে ঐক্যগড়ে তুলতে হবে।

আমরা ডিবি অফিসের ভয়ংকর চিত্র আয়নাঘরের লোমহর্ষক ঘটনা, সাদা পোশাক বাহিনীর দুরন্ত দাপট অসহনীয় আচরণ, নির্যাচিতদের দীর্ঘশ্বাসে ৫ই আগস্ট আসতে সাহায্য করেছে।

আমরা চাই আইন বর্হিভূত হত্যার বিচার হোক, সকল দুর্নীতির বিচার হোক, সরকারের সকল কর্মচারী, পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারী সকল দপ্তর রাজনীতি মুক্ত হোক।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খেলাফত মজলিস জেলা সভাপতি মনিরুজ্জামান,পৌর সভাপতি মওঃ জাকারিয়া হাবিবু, সহ-সভাপতি মওঃ হারিস মোহাম্মদ, খেলাফত মজলিস নেতা মওঃ মুক্তারুজ্জামান, মোঃ ইসাহাক আলী, উপজেলা সহ-সেক্রেটারি মওঃ আব্দুল হামিদ,শ্রমিক মজলিসের জেলা সদস্য শরিফুল ইসলাম, উপজেলা বাইতুল মাল সম্পাদক আব্দুল্লাহিল কাফি, পৌর সহ-সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।




দর্শনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি

“দেশের বায়ু দেশের মাটি গাছ লাগিয়ে করব খাঁটি” স্লোগানকে সামনে রেখে দর্শনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দামুড়হুদা উপ‌জেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা। আজ সকাল ১১ টায় দর্শনা শাহরিয়ার শুভ মুক্ত মঞ্চ চত্তরে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয় ।

প্রধান অতিথি রোকসানা মিতা বলেন, দর্শনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্র জনতার উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে এটা প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ। আপনারা জানেন সারা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল গুলো এখন বন্যা কবলিত। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এগুলো কিন্তু আসলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। আমাদের যে পরিমাণ বনভূমি থাকা প্রয়োজন সে পরিমাণ বনভূমি নেই বিধায় পরিবেশের এই বিরূপ প্রভাব। এজন্য আমাদের বেশি বেশি বৃক্ষ রোপন প্রয়োজন। এ ধরনের কর্মসূচিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার সব সময় তা অব্যাহত থাকবে।

কৃষিবিদ রবিউল কবির পল্লব বলেন, একটি দেশে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন সেখানে আমাদের দেশে রয়েছে মাত্র ৪ শতাংশ বনভূমি । আমারা যতদিন বনভূমি না বাড়াতে পারবো ততদিন আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পরিবর্তন করতে পারবো না। এজন্য আমাদের সকলকেই বেশি বেশি বৃক্ষ রোপণ করতে হবে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা জানি আমাদের দেশের জলবায়ু আগের মতো নেই গরমের সময় প্রচন্ড গরম হয় এবং শীতের সময় প্রচন্ড শীত। আমাদের ৬ ঋতুর দেশ এখন ২ ঋতু হয়ে গেছে। এর মূল কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। আমরা এটা দূর করতে পারি বেশি করে বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে ।

সে সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেরু উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাসেল আহম্মেদ শাওন, কেরু উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম, ভালোবাসার বন্ধন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হক সহ দর্শনার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ও গণমাধ্যম কর্মীরা।




মুজিবনগরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ: বাড়িতে ঢুকে অতর্কিত হামলা আহত ২

মুজিবনগরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় স্বামী-স্ত্রী আহত হয়েছে।  আজ শুক্রবার ভোর বেলায় উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামের ইনসান আলীর বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘুমিয়ে থাকা ইনাসান আলীর মেয়ে আসমা খাতুন (২৬) ও তার জামায় রাকিব হাসান (৩৫) মারাত্মক জখম হন। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, আহত রাকিব হাসানের মাথায় ১৬ টি সেলাই হয়েছে। রাকিব হাসানের স্ত্রী আসমা খাতুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

আহত আসমা খাতুন জানান, দির্ঘদিন ধরে আমাদের দুপক্ষের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। পরে গত বৃহস্পতিবার গ্রাম্য সালিসে বিষয়টি মিমাংসা হয় এবং আমাদের জমি পাওনা হয়। কিন্তু আজ শুক্রবার ভোর বেলায় ভবেরপাড়া গ্রামের মল্লিকের ছেলে মোতালেব,হেলাল নাতী মিনারুল, মোতালেব এর স্ত্রী শাহানারা মোতালেবের খালাতো বোন মিনুয়ারা ইনসান আলীর বাড়ির পকেট গেট ভেঙ্গে আচমকা বাড়িতে প্রবেশ করে আমাদের উপর দেশিয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় বাড়িতে বেড়াতে আসা ইনসান আলীর জামায় রকিব হাসান এর মাথায় আঘাত করে আহত করে স্বর্নের চেইন,ঘরে থাকা আড়াই লাখ টাকা তারা নিয়ে যায়। আমাদের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। তানিয়ারা উদ্ধার করে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে তারা মামলা করবেন বলে প্রতিবেদককে জানান, স্থানীয় কয়েকজন জানান, সালিসে মিমাংসা হওয়ার পরও মারামারির ঘটনা ঘটে। আমরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোতালেব জানান, আমরা তাদের কোন মারধর করিনি। কিভাবে মাথা ফাটলো আমি জানিনা। টাকাপয়সা কোন কিছুই নিইনি। সব অভিযোগ মিথ্যা। আমাদেরকে হেনেস্তা করার জন্য তারা এই মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে।

এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলম জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা

দামুড়হুদা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামী। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার সময় দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোঃ নায়েব আলীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোঃ রুহুল আমীন।

এসময় প্রধান অতিথি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে বলেন, এদেশে কেউ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে সেদিকে আমাদের সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দূর্নীতি করে কেউ যেন পার পেয়ে না যায় সেজন্য আপনাদের কে তথ্য দিয়ে প্রশাসন কে সাহায্য করতে হবে। ভাল কে ভাল বলার সৎ সাহস আপনাদের কাছে আমরা কামনা করি। সমাজের ইতিবাচক খবর গুলোকে আপনারা গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করবেন, যেন সমাজের মানুষ ইতিবাচক কাজ করতে উদ্বুদ্ধ হয়।

তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সকল নেতা কর্মী মাদকমুক্ত, দূর্নীতি মুক্ত, দখলদার মুক্ত, টেন্ডারবাজ মুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত, গ্রুপিং মুক্ত, জামায়াতের মূল শক্তি আল্লাহর উপর ভরসা, ধৈর্য্য এবং দলীয় শৃংখলা তার পরেও যারা আমাদের গালিদেয়, মারে, জেলে পুরে হত্যা করতে চাই, শত্রুতা করতে চাই, তাদের রাজনৈতিক শক্তি কি তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কি? তারা কি দেশ এবং জাতীর জন্য কিছু করতে চাই না নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য রাজনীতি করে ? এই প্রশ্ন আপনাদের মাধ্যমে জাতীর কাছে রাখলাম। আমরা বিশ্বাস করি দুনিয়ার জীবনের সমাপ্তি আখেরাতের জীবনের সূচনা, দুনিয়ার প্রত্যেকটি কাজের হিসাব আখেরাতে দিতে হবে ।

দুনিয়ার জীবন খুবই ক্ষণস্থায়ী আখেরাতের জীবন স্থায়ী। দুনিয়ার জীবনে সুখ দুঃখ উভয়ই আসে আর আখেরাতে শুধুই সুখ অথবা শুধুই দুঃখ । আমরা জামায়াত কর্মীরা আখেরাতের জীবন কে প্রাধান্য দেয় বলেই দুনিয়ার এই তথাকথিত প্রতিযোগীতায় গিয়ে অর্থশালী হতে আগ্রহী হয় না। শেখ হাসিনা সরকার এক “দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে গিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে সাংবাদিক দের স্বাধিনতা হরণ করেছিল। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এক দলীয় ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা চিরস্থায়ী করার উদ্দেশ্য ডিজিটাল আইনে শত শত মামলা করলেও, সাগর রুণীর হত্যা সহ অসংখ্য সাংবাদিক’দের হত্যার বিচার হয়নি। বরং দিনের পর দিন উক্ত হত্যা মামলার বিচার বিলম্বিত করে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমরা চাই আইন বর্হিভূত হত্যার বিচার হোক। সকল দূর্নীতির বিচার হোক। সকলেই আইনের শাসনের আওতায় আসুক। সরকারের সকল কর্মচারী, পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিক সহ সরকারী সকল দপ্তর রাজনীতি মুক্ত হোক।

দামুড়হুদা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী মোঃ আবেদ উদ দৌলার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাও মোঃ আজিজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারী এ্যাড. মোঃ আসাদুজ্জামান, সহকারী সেক্রেটারী এ্যাড. মোঃ মাসুদ পারভেজ রাসেল, দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী সেক্রেটারী মোঃ রফিকুল ইসলাম জিয়া, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন শাখার আমির মোঃ আবুল বাশার। মতবিনিময় সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী সেক্রেটারী মোঃ রফিকুল ইসলাম জিয়া।




কোটচাঁদপুরের কুশনা বাওড় থেকে মাছ লুট

কোটচাঁদপুরের কুশনা বাওড় থেকে মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার সকালে ওই বাওড় থেকে মাছ লুট হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। ওই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন,সমিতির সভাপতি প্রশান্ত কুমার হালদার।

জানা যায়, গেল ২০১৮ সালে কোটচাঁদপুরের ফুলবাড়ি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি বাওড়টির ইজারা পান।এরপর থেকে তারা নির্বিগ্নে মাছ চাষ করে আসছিলেন বাওড়টিতে।

গেল ৫ আগষ্ট সরকার বদলের পর থেকে বাওড়ে প্রতিদিনই মাছ লুটের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়। এরপর বাওড় থেকে আর কোন মাছ লুটের ঘটনা ঘটবে বলে আশ্বাস দেন নেতৃবৃন্দ। এরপরও শুক্রবার সকালে বাওড়ে মাছ ধরার সময় স্থানীয় এড়ান্দা গ্রামের কয়েকজন যুবক মাছ লুট করে নিয়ে যায়।

যার মধ্যে ছিলেন, ওই গ্রামের আকবার আলীর ছেলে রকি,ইসাহাকের ছেলে মোশাররফ হোসেন, সলেমানের ছেলে সবুজ, এরশাদের ছেলে জিয়া ও কলম বিশ্বাসের ছেলে মহাসিন আলী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুশনা বাওড়ের গার্ড সাইফার রহমান ও প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল। তারা বলেন, সরকার পতনের পর থেকে এলাকার কিছু দূর্বৃত্তরা প্রায় বাওড়ে হুইল, ছিপ ও জাল দিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যায়। আজ শুক্রবার সকালে তাদের মধ্যে মহাসিন ও রকির নেতৃত্বে আবারও মাছ লুটের ঘটনা ঘটে। ওই দুই জনের মধ্যে মহাসিন উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সদস্য সচিব ও রকি বিএনপি সমর্থিত নেতা বলে জানা গেছে। ওই সময় তারা বাওড় থেকে ৫০ হাজার টাকার মাছ লুট করেছেন বলে দাবি বাওড় কতৃপক্ষের।

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক বলেন,মহাসিন উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সদস্য সচিব ছিলেন। তবে বিএনপি কোন লুটপাটে বিশ্বাস করে না। এ কারনে সে দলের যেই হোক না কেন,তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমান পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একই মন্তব্য করেন,উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন। তিনি বলেন, ওই মাছ লুটের ঘটনায় দলের যেই জড়িত থাকুক না কেন,প্রমান পেলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন বলেন,বাওড় থেকে কে বা কাহারা মাছ লুট করছেন। এমন খবর জানতে পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। তবে তার আগে লুটকারীরা পালিয়ে যান। তাদের কাউকে দেখা যায়নি। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির অভিযানে ৪৫টি ভারতীয় অবৈধ মােবাইল ফােন উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গায় ৬ বিজিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে বড়বাজারের একটি ফ্লাক্সিলােডের দােকান থেকে ৪৫টি ভারতীয় অবৈধ মাবাইল ফােন উদ্ধার করেছে।

আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১১টায় এ অবৈধ মােবাইল ফােন সেট গুলাে উদ্ধার করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল সাঈদ মােহাম্মদ জাহিদুর রহমান পিএসসি গতকাল বিকাল ৩টার দিকে মেইলে পাঠানাে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তীর মাধ্যমে সংবাদকর্মীদের জানান, চুয়াডাঙ্গা শ্যাকরাতলা পাড়ার মরহুম আনােয়ার হােসনের ছেলে ফ্লাক্সিলােডের দােকানদার রাশেদ ভারত থেকে অবৈধভাবে মােবাইল ফােন সেট গুলাে চােরাই পথে নিয়ে আসে। গােপনে তার প্রতিষ্ঠানে যৌথ অভিযান করার আগেই রাশেদ পালিয়ে যায়। ওই দােকান থেকে উদ্ধার করা হয় ৪৫ টি দামি মােবাইল ফােন সেটগুলো জব্দ করে চুয়াডাঙ্গার সদর থানায় জমা দিয়ে পলাতক রাশেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিজিবি।




মেহেরপুরের যুবসমাজের বিজয় পথযাত্রা

শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের কারণে মেহেরপুরের যুবসমাজ বিজয় পথযাত্রার আয়োজন করে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কে থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

পথযাত্রায় তানভীর আহমেদ, গোলাম সাদাত, আবুল আল মামুন,মোনায়েম খান,এইজ এমন সায়েদ, মামুনূর রশিদ, রুবেল ইসলাম,রাহিমুল রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দুই মাদক কারবারীর জেল জরিমানা

চুয়াডাঙ্গা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আলমডাঙ্গায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে দুই মাদক কারবারীকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানা করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার ভূমির নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলমডাঙ্গার সহকারি কমিশনার ভূমি আশিষ কুমার বসু ও চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খানের নেতৃত্বে আলমডাঙ্গা থানাধীন বিভিন্ন এলাকার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানে আলমডাঙ্গার রেল স্টেশন পাড়ার আখতার আলীর স্ত্রী হাসি খাতুনের নিকট থেকে ৪০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারে হাসি খাতুনকে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান ও ৫শ’ টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করা হয়। একই সময়ে স্টেশন পাড়ার আফহাল উদ্দিনের ছেলে সামাদ আলী (৩৫)’র বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারের সামাদ আলীকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১শ’ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় স্টাফবৃন্দ। দন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামীকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




ভারতের বাঁধ খুলে কৃত্রিম বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে মেহেরপুরে বিক্ষোভ

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডুম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে কৃত্রিম বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মেহেরপুরের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট ) বিকেল ৫ টার দিকে মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে মিছিল নিয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কে গিয়ে শেষ হয়।

সেখানে বক্তব্য দেন বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ভারত সরকার অবৈধ বাদ দিয়ে বাংলাদেশকে কৃত্রিম বন্যায় ঠেলে দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক বাঁধ নিয়মে কখনো বলা নাই যে মধ্যরাতে আকস্মিকভাবে কোনো বাঁধ খুলে দেওয়া হবে। বাঁধ খুলে দেওয়ার আগে বাংলাদেশকে একটা সতর্কতা জারি করতে হয়, ভারত সেটা করে নাই। এই সব অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে।




মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত যুবকের মৃত্যু

অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলো তাওহিদুল আমিন শশী (২৫)। সড়ক দুর্ঘটনার পর আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) ভোরের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।

নিহত শশী মেহেরপুর শহরের ঘোষপাড়া এলাকার মোঃ সেলিমের ছেলে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনি মিয়া পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৮ আগস্ট দিবাগত রাত ৮ মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের সামনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শশী মারাত্মক আহত হয়।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর-২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই সময় তার অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানেই চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।