সাবেক এমপি খোকন ও সাবেক ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকারের নামে চাঁদাবাজি মামলা

পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবী ছিলো গাংনী থানার তৎকালিন ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার, সাবেক এমপি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকনসহ অন্যান্য আসামিদের। ভিকটিম এসব আসামিদের হাতে ২ লাখ টাকা চাঁদা দিয়েও মুক্তি পাননি। ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকার দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ভিকটিমকে শারীরিকভাবে নির্যাতনসহ ক্রস ফায়ারের হুমকি ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৩ টি মিথ্যা মামলা দিয়ে চালান দেন কোর্টে।

ঘটনার পাঁচ বছর পর গাংনী পৌরসভার চৌাগাছা গ্রামের ভিকটিম মনিরুজ্জামান(৪৪) বাদী হয়ে বিজ্ঞ আমলী আদালত, গাংনীর বিচার জাহিদুর রহমানের আদালতে ২১ জনকে আসামি করে ধারা ৩৬৪/৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭/১১৪/৫০৬(২০) পিসি একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন, গাংনী থানার তৎকালিন উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হক, এসআই বখতিয়ার, এসআই ইসরাফিল হক এসআই নারদ কুমার, এএসআই শরীফুল ইসলাম, এএসআই রেদওয়ানুল হক, ডিএসবির কনস্টেবল বজলুর রহমান, চৌকিদার মো: শামীম, গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, গাংনী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা আইতাল হক, আব্দুর রশিদ, গাংনী শহরের আব্দুল খালেক, গাংনী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌগাছা গ্রামের মজিরুল ইসলাম মিয়া, নিশিপুর গ্রামের আব্দুল কাদের, বামন্দী বাসস্ট্যান্ড এলাকার রাজনুল হক, শিমুলতলা গ্রামের আকছেদ আলী, কাজিপুর গ্রামের মো:স্বপন আলী, মো: ঝন্টু, ও মটমুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ।

বাদী মনিরুজ্জামানের মামলার এজাহাওে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৪ টার সময় বাদি গাংনী উপজেলা শহরের আব্দুল মালেক ফল ভান্ডারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় আসামি চৌকিদার মো: শামীম আমাকে ডেকে নিয়ে যুবলীগ নেতা মোশাররফ হোসেনের অফিসে যায়। আমি সেখানে পৌছানো মাত্রই ১২ থেকে ২১ নং আসামিরা আমাকে চড় থাপ্পর মারতে থাকেন। এসময় তারা বলেন ৫ লাখ টাকা চেয়েছিলাম। এখনো পরিশোধ করিসনে কেনো। পরে আমার পরিবারের লোকজনকে ৯ নং আসামি ডিএসবি কনেস্টবল বজলুর রহমান আমার বাড়িতে খবর দেন। পরে পরিবারের লোকজন ১ লাখ টাকা নিয়ে মোশাররফ হোসেনের অফিসে আসেন। এসময় তিনি আরও টাকা দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে গাংনী থানার এস আই আব্দুল হকের নেতৃত্বে ৬/৭ জন পুলিশ এসে আমাকে আটক করে থানায় নেন। পরে তৎকালিন ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকারের অফিস কক্ষে আমাকে চোখ বেঁধে ও পিচ মোড়া করে হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে মারপিট করতে থাকে।

এসময় ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন ৫ লাখ টাকা না দিলে আজ রাতেই তোকে ক্রস ফায়ার দিয়ে হত্যা করবো। এক পর্যায়ে চোখ বেঁধে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে মাঠে নিয়ে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখায়। এক পর্যায়ে অকথ্য নির্যাতনের ফলে রাত আনুমানিক ১ টার দিকে আমার খালার কাছ থেকে ও মায়ের স্বর্ণালংকার বিক্রির দুই লাখ টাকা দিই। তারপরেও আমাকে না ছেড়ে দিয়ে বাকি দুই লাখ টাকা না পেয়ে আমাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের মিথ্যা ঘটনা সাজায়। পরে একটা সার্টারগান ও বিস্ফোরক আইনে অন্য দুটি মিথ্যা মামলা দিয়ে পরের দিন আদালতে প্রেরণ করেন। মামলাগুলো এখন আদালতে বিচারাধীন। এসব মিথ্যা মামলার ফলে আমার শারীরিক ও মানষিক ক্ষতি হয়েছে। এতোদিন পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় মামলা করার সাহষ পাইনি।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান জানান, বিজ্ঞ বিচারক আমাদের আরজি শুনে খুশি হয়ে গাংনী থানা পুলিশকে মামলাটি নথিভ’ক্ত করার আদেশ দিয়েছেন। আমরা আশা করছি আমরা আদালতে ন্যায় বিচার পাবো।




সাবেক এসপি নাহিদকে প্রধান আসামি করে ২৬ জনের নামে মামলা

মেহেরপুর সদর উপজেলার হিজুলি গ্রামের জামায়াত নেতা ও ইউপি সদস্য (মেম্বর) আব্দুল জব্বারকে গুলি করে হত্যা করে বন্দুকযুদ্ধ বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে তৎকালিন পুলিশ সুপার (এসপি) একেএম নাহিদসহ পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট ও আওয়ামীলীগ নেতাসহ ২৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মেহেরপুর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

এ নিয়ে মেহেরপুরের তৎকালিন পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলামের নামে মেহেরপুর আদালতে দুইটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর জামায়াত নেতা আব্দুল জব্বারকে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ তার বাড়ি থেকে আটক করে। ওই রাতেই তাকে গুলি করে হত্যার পর বন্দুকযুদ্ধ হিসেবে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি আসামিরা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা ও অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধারের নাটক সাজায় আসামিরা।

মেহেরপুরের চাঞ্চল্যকর আব্দুল জব্বার হত্যাকাণ্ডের মামলায় এজাহার নামীয় ২৬ জন আসামির মধ্যে রয়েছেন- তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মোমিন মজুমদার, ওসি তদন্ত তরিকুল ইসলাম, সদর থানার এসআই শরজিদ কুমার ঘোষ, এসআই গাজী ইকবাল হোসেন, কনস্টেবল সাধন কুমার ও নারদ কুমার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ভগ্নিপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম।

এছাড়াও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নিহত আব্দুল জাব্বরের ছেলে আব্দুল মালিতা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানার ওসিকে এফআইআরএর নির্দেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
আসামিরা পরস্পর জোগসাজসে আব্দুল জব্বারকে আটক করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নিহত আলহাজ্জ আব্দুল জব্বার ইসলামি ভবাদর্শের তৃণমূলে নেতা এবং আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বর) ছিলেন। পরবর্তী নির্বাচনে তিনি আমঝুপি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন।

মামলার আর্জিতে আরও বলা হয়েছে, আব্দুল জব্বারের পাশাপাশি তার ছেলেকেও (মামলার বাদি) গ্রেফতার করে সদর থানা হাজতে রাখা হয়। পরে ছেলেকে একটি মামলা আদালতে সোপর্দ করা হলেও আব্দুল জব্বারকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন শেষে বুকে পিঠে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার দুই মাস পর বাদি জামিনে মুক্তি পেয়ে স্বাক্ষীদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডের বিষয়টি জানতে পারেন।

প্রসঙ্গত, মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি তারিক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যার অভিযোগে গেল ৬ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তার ভাই। এ মামলটিরও প্রধান আসামি তৎকালিন পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলাম। মামলাটিতে পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আসামি রয়েছেন।




মেহেরপুরে চাষীদের কার্ড বাতিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

মেহেরপুর সদর উপজেলার কালি গাংনী গ্রামের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির লিফ রিজনের অর্ধশত তামাক চাষীদের তামাক বিক্রয়ের কার্ড প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে বাতিল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী চাষীরা।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে কালিগাংনী-কাথুলী সড়কে মানববন্ধন করেন তামাক চাষীরা। মানববন্ধনে নেতৃত্বদেন, কালিগাংনী গ্রামের লিফ রিজনের তামাকচাষী মানিক হোসেন।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ( আর এম) হাসিবুর রহমান, এরিয়া লিফ ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম, সহকারী লিফ ম্যানেজার তাসনিম হোসেন, যোগদানের পর থেকে মেহেরপুরে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে তামাক ক্রয় করে আসছিলেন। গত বছর আমাদের এলাকার প্রকৃত তাৃাক চাষীদের তামাক না নিয়ে দালালদের মাধ্যমে অন্য জেলার বড় বড় তামাক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে কেজিপ্রতি কমিশন নিয়ে নিম্নমানের তামাক ক্রয় করেন। ফলে কার্ডে তামাক বিক্রি করা ও ন্যায্যমুল্য থেকে বঞ্চিত হন চাষীরা। এমন নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করি। এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে কালিগাংনী গ্রামের লিফ রিজনের প্রায় ৪০ জন তামাক চাষীর কার্ড অবৈধভাবে বাতিল করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।

আমরা এই ঘটনার বিষয়টি ব্রিটিশ টোব্যাকো কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করছি। কার্ড কেটে দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে নিয়মানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি। একই সাথে আমাদের কার্ড তালিকাভুক্ত করার দাবী জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, কালি গাংনী গ্রামের লিফ রিজনের তামাক চাষী, জাকের হোসেন, ইশারত আলী, জিনারুল ইসলাম, পিকলু, জিয়া উল হক, ইয়ারুল ইসলাম, সরোত দাস, ভরোত দাস, রকবুল হোসেন, গোলাম মোস্তফা, রমজান আলী, আখের আলী, মাহাবুল হক, আসাদুল হকসহ গ্রামের অর্ধশত তামাক চাষীরা মানববন্ধনে আংশ গ্রহন করেন




ঝিনাইদহে কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে আমন ধানের আন্ত: পরিচর্যা, বীজ উৎপাদন, সংরক্ষন ও সরিষা চাষাবাদের কলাকৌশল শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের মিলনাতায়নের এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে মাগুরার বিনা উপকেন্দ্র। প্রশিক্ষণে ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলার ৫০ জন কৃষকদের বিনা উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল ও স্বল্পজীবনকালীন জাতসমূহের পরিচিতি আমন ধান ও সরিষা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

এতে ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্ঠি চন্দ্র রায়, বিনা ময়মনসিংহের পরিচালক ড. ইকরামুল হক, জেলা প্রশিক্ষন অফিসার মোশাররফ হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা, আমন ধান ও সরিষাচাষাবাদে কৃষকদের করণীয়, প্রযুক্তিগত পরিচর্যা ও বীজ সংরক্ষণে নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদাণ করেন। সেই সাথে চাষাবাদে কোন প্রকার সহযোগিতার প্রযোজন হলে কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।




ঝিনাইদহে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বিক্ষোভ মিছিল মানববন্ধন ও সমাবেশ

বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা, সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বমুক্ত শিক্ষাঙ্গনের দাবিতে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্র্ন্ট।

শিক্ষা দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলকারীরা শহর ঘুরে পোষ্ট অফিস মোড়ে এক মানবন্ধন ও সক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি শারমীন সুলতানা, সাধারণ সম্পাদক ফারজানা ইয়াসমীন, নুসরাত জাহান সাথী, রাফসানা হোসেন, জেহাদ হোসেন, আসিফ ইকবাল সহ অন্যান্যরা।

সমাবেশে বক্তারা ছাত্র জনতার অভুত্থানের চেতনায় বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে বেগবান ও ছাত্র রাজনীতির আদর্শবাদী বিপ্লবী ধারাকে শক্তিশালী করার দাবি জানান।




ঝিনাইদহে পুলিশের এসআইসহ ৩ জন আটক

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটগোপালপুর থেকে পুলিশের এক এসআইসহ ৩ জনকে বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিলসহ আটক করেছে র‌্যাব-৬।

আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত দুইটার দিকে হাটগোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো-হাটগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের এস.আই সাজ্জাদুর রহমান, মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের মৃত সিদ্দিক সর্দারের ছেলে সোহেব আলী ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার দোয়ারপাড়া গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে ফারুক হোসেন।

র‌্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর নাঈম হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন, হাটগোপালপুর এলাকা দিয়ে মাদক পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় র‌্যাব। সেসময় প্রাইভেট কারে পাচারের সময় ১২০১ বোতল ফেন্সিডিলসহ ওই ৩ জনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে আসামীদের সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।




জনবল নেবে ল্যাবএইড হাসপাতাল

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল। প্রতিষ্ঠানটিহেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল

পদের নাম: হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট

পদসংখ্যা: ০১টি

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এমবিএ/ এম.ফার্ম/ বি.ফার্ম/ ব্যবসায় প্রশাসন, মার্কেটিং বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রি

অন্যান্য যোগ্যতা: ব্যবসা উন্নয়ন, বিক্রয় এবং মার্কেটিংয়ে দক্ষতা। সমস্ত মাইক্রোসফট অফিস অ্যাপ্লিকেশনে দক্ষতা।

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ১৫ বছর

চাকরির ধরন: ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র: অফিসে

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)

বয়সসীমা: উল্লেখ নেই

কর্মস্থল: ঢাকা (গ্রিন রোড)

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

অন্যান্য সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী

আবেদনের শেষ সময়: ১৪ অক্টোবর ২০২৪

সূত্র: কালবেলা




মেহেরপুর সরকারি কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রবাহ-মেহেরপুর অ্যাডভান্সমেন্ট এলায়েন্সের আয়োজনে মেহেরপুর সরকার কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে মেহেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্মেলন কক্ষে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সরকারী কলেজর অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ. কে. এম. নজরুল কবীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ ড. এস এম আতিয়ার রহমান।

এছাড়াও এসময় মেহেরপুর সরকারি কলেজের প্রভাষক মিলন মন্ডল, সানজিদা ফেরদৌস, নাহিদ রেজাসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে পবিত্র ঈদ-ই মিলাদুন্নবী (স.) উদযাপন

মেহেরপুরে জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সঃ) উদযাপন করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে  আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা , আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ জে এম সিরাজুম মূনীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন।

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সিনিয়র শিক্ষক সিরাজ উদ্দিন, রাজনগর দাখিল মাদ্রাসা সহকারী শিক্ষক কাজী রুহুল আমীন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামীক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মোঃ আমানুল্লাহ।

এসময় জেলা মডেল মসজিদের ইমাম মুফতি মোঃ সাদিকুর রহমান, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার আবু রায়হান, মাস্টার ট্রেইনার মাওঃ মোঃ আঃ হামিদ, ফিল্ড সুপারভাইজার তাওহীদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




গামছায় নান্দনিক সাজ

দেশীয় ফ্যাশন হাউসে একবার গিয়ে দেখুন। গামছার শাড়ি, কুর্তি, ব্লাউজ আর কটি এখন বাড়তে শুরু করেছে। গামছা দিয়ে বানানো ব্যাগ, টুপি, হেডব্যান্ড এমনকি পার্সও এখন দেদারসে ব্যবহৃত হচ্ছে।

গামছার মতো জিনিস কিভাবে ফ্যাশন অনুষঙ্গ হলো তা বোঝা জরুরি। পরতে আরামদায়ক ও টেকসই বলে গামছার কাপড় সব সময়ই সমাদৃত হয়ে আসছে। আর এই আরামদায়ক পোশাক গরমের সময় অনেক আরামদায়ক, বর্ণিল ও রঙিন হওয়ায় অনেক কাজে আসে।

শাড়ি ব্লাউজ কুর্তিতে
গোসলখানা থেকে গামছা ফ্যাশনে আসে শাড়ি হয়ে। বৈশাখ, ফাল্গুন, গায়েহলুদের মতো অনুষ্ঠানের জন্য একসময় অনেকে বেছে নিয়েছিলেন গামছা প্রিন্টের শাড়ি।সময় বদলে গেছে। এখন সুতির পাশাপাশি সিল্ক, হাফসিল্ক শাড়িতেও গামছা চেক দেখা যায়। তবে তাঁতের শাড়ির মধ্যে গামছা চেক দেখা যায় বেশি। শুধু যে বাঙালি উৎসবে গামছা শাড়ি পরিধান করা হয়, তা কিন্তু নয়। অনেকে ফরমাল অনুষ্ঠানেও এসব গামছার পোশাক পরছেন। অনেকে সাধারণ তাঁতের শাড়ির সঙ্গে গামছা প্রিন্টের ব্লাউজ ব্যবহার করছেন। সে ক্ষেত্রে গামছা ব্লাউজ ঘটি হাতা কিংবা বোট গলা দিয়ে বানানো যেতে পারে। কিংবা গলা দিয়ে কোমর পর্যন্ত ব্লাউজ বানিয়ে ভাঁজ করে শাড়ি পরলে আলাদা একটা লুক পাওয়া যায়। কিছু শাড়ির পাড়ে গামছার প্যাচওয়ার্কও করা হচ্ছে।গামছার কুর্তিও রয়েছে। এগুলো অফিস, ক্লাস কিংবা প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য বেশ আরামদায়ক।

কটি, কাফতান, টপস, ফতুয়া ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে গামছার ব্যবহার দেখা যাচ্ছে এখন। গামছা দিয়ে বানানো পোশাক জাঁকজমকপূর্ণ করা হয় না বটে; কিন্তু এর সঙ্গে মানানসই অনুষঙ্গ ব্যবহারে দিতে পারে একেবারে ভিন্ন লুক। ভিন্নতা আনার জন্য কড়ি কিংবা কাঠ-পুঁতির ব্যবহার করা যায় এতে। অনেক গামছা পোশাকে কিছুটা হাতে করা সুতার কাজ দেখা যায়। বাজারের প্রচলিত গামছা দিয়ে পোশাক বা অন্যান্য অনুষঙ্গ তৈরি হয় না। সে জন্য বিশেষ গামছা তৈরি করা হয়, যাতে পাকা রঙের ব্যবহার থাকে। ফলে পোশাক থেকে সহজে রং বিবর্ণ হয়ে যাওয়ার চিন্তা থাকে না।

গয়না ও অন্যান্য
গামছা দিয়ে যে শুধু পোশাক তৈরি হচ্ছে, তা নয়। গামছার কাপড় দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে হাতে তৈরি গয়না। অনেক গয়না প্রেমী বৈচিত্র্য ও ভিন্নধর্মী গয়নার খোঁজে থাকেন। তাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে গামছা দিয়ে তৈরি গয়না। এ ছাড়া অনেকে নিজের ঘর নান্দনিকতা ও দেশীয় ঐতিহ্যের ছোঁয়ায় সাজিয়ে রাখতে ভালোবাসেন। তাদের জন্যও পাওয়া যাচ্ছে গামছা প্রিন্টের চাদর, কুশন, পর্দা, ডাইনিং রানার ইত্যাদি।

পশ্চিমি পোশাকে গামছা
টপস, স্কার্ট, গাউন, কটি ইত্যাদি পোশাক তৈরিতে এখন গামছার ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। ছেলেদের জন্যও তৈরি করা হচ্ছে শার্ট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া ইত্যাদি। এ ছাড়া রয়েছে গামছার ব্লেজার ও কটি। কটিগুলো সাধারণত এক রঙের পাঞ্জাবির ওপর পরা হয়। তবে গামছা নিয়ে কাজ করার সময় অনেক সময় ফ্যাশন হাউজকে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ মানুষের কাছে সবসময় নতুন ট্রেন্ডের ওপর আস্থা তৈরি করা কঠিন। তাও এখন আস্তে আস্তে এর গুরুত্ব বাড়ছে।

দাম কেমন হয়?
গামছা পোশাকের দাম নির্ভর করে ডিজাইন ও ফ্যাশন হাউসের ওপর। পণ্য ও ধরন-ভেদে ১ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে এ পোশাক পাওয়া যায়। এখন অনলাইন ও অফলাইন অনেক ভেন্ডর ফিউশনধর্মী পোশাক করছেন। সেখানে রয়েছে গামছার ব্যবহারও।

সূত্র: ইত্তেফাক